আগে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো সৌদিতে কোনো এক শায়েখ রাস্তায় ছোট গানের আসরে এসে নিষেধ করে বন্ধ করে দেন। সবাই চলে যায়। একটা উদাহরন। একটা ক্রেডিট।
এখন, হয় না?
করার চেষ্টা করছে। যেমন এই শায়েখ চেষ্টা করলেন। রাস্তায় ওপেন এয়ার ছেলে-মেয়ে মিলে কনসার্ট বন্ধ করতে। পুলিশ বাধা দিয়ে উনাকে সরিয়ে দিলেন।
ওলি-আহাদের হুকুম দেশে গান বাজনা চলবে। পাপ নেই। হিসাব তখন বদলিয়ে যায়।
এখন শুধু ইতিহাস : যখন রাস্তায় দাড়িয়ে সৌদি শায়েখরা মানুষ জড়ো করে তাদের কোরআনের আয়াত শুনিয়ে তৌবা করার জন্য উৎসাহিত করতেন।
My resolution hasn't changed either.
The math might be wrong, but the answer is correct.
Following good advices...
History as we are witnessing it.
Arabic proverb. Good advice.
১
কিছু দিন পরে পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরের কোনো এস্ট্রোয়েড ভিজিট করবে। কত দূরে? ৬.৫ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে। কিন্তু ৬.৫ বিলিয়ন কিলোমিটার দিয়ে কিছু বুঝা যায় না। ৬৫ বিলিয়ন বললেও আমি একই বুঝতাম। যদিও ১০ গুন বাড়লো।
তাই এই ক্ষেত্রে দূরত্ব বুঝতে হয় Astronomical Unit [AU] দিয়ে। যেখানে 1 au = সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর কক্ষের ডানে বামে যে দূরত্ব সেটা।
প্লুটোর দূরত্ব ৩০ au. আর New Horizon Probe এখন আছে ৪৫ au দূরে। এখানে একটা astroid belt আছে। এটা ভিজিট করছে।
২
এই রকেটটার একটা ইতিহাস আছে। যেটা মনে পড়ে।
২০০৬ সালে টা ছাড়া হয়। নিউক্লিয়ার পাওয়ার্ড সার্কিট/সেন্সর/কমুনিকেশন। প্রথম রকেট এরকম। তখন পশ্চিমা ডুমস-ডে পন্থিরা দাবি করা আরম্ভ করে এই শেষ। এটা আকাশে বিষ্ফোরিত হবে। মানবতার পরিসমাপ্তি।
এর সাথে যোগ হয় ঝড়ে এর উৎক্ষেপন বিলম্ব দুই বার। ভয় বাড়ে। কেউ কেউ কন্সপাইরেসি থিউরি আনে। এর পর উৎক্ষিপ্ত হয়। সফল ভাবে। থিউরি তখনো শেষ না। এটা পৃথিবী থেকে সূর্যের দিকে বেশ কয়েক মাস গিয়ে আবার ফিরে এসে পৃথিবীর পাশ দিয়ে গিয়ে মহাশুন্যে যাবে।
থিউরি? দ্বিতীয়বার যখন পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাবে তখন পারমানবিক বিষ্ফোরন হবে।
৩
রকেটটা এর আগে সাকসেসফুলি প্লুটো ভিজিট করে ১৫ সালে।অনেক ছবি পাঠায়। প্লুটোর ৪ টা চাদ আছে, সেগুলোর ছবি সহ।
তবে এই অকারেন্সগুলোকে যত রেয়ার মনে করা হয় তত রেয়ার না। গত বছর জানুয়ারিতেও হয়েছিলো। এবারেরটা বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না। মূলতঃ আমেরিকায়। মধ্যপ্রাচ্যে কিছু দেখা যাবে শেষ রাতে।
- মাওলানা ইয়াকুব সাহেব। অনেক পুরানো সাথি। নিজামুদ্দিনে থাকেন। কিন্তু শুরা পন্থি। ICU তে। মাল্টিপ্যল অরগান ফেইল। তবে উনাকে আমি আগে থেকে চিনি না। খবরে পড়লাম।
- পাকিস্তানের তারেক জামিল সাহেব। শুরার ব্যপারে যাকে সবসময় দায়ি করা হয়। হার্ট স্ট্রোক করেছিলো। হাসপাতালে এখন রিকভার করছেন।
নির্বাচন শেষ। এখন সংঘর্ষ আবার গতি পাবে। কোন দিকে যায় সেটা দেখার বিষয়।
কমেন্টে ওয়ার্ম আপ। শাকিল ভাইয়ের চেষ্টা ওজাহাতিদের "মুখোশ উন্মোচনের"। কিন্তু এবার ভুল জায়গায় ফোন করেছিলেন, উল্টো আঘাত।
#saadmustgocurse
ছবিতে এতায়েতিদের নিউজ সাইটের আজকের স্ক্রিন শট।
তাদের এক আর্টিক্যল থেকে কোট :
Quote ____
বলেছিলাম, আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ (দা.বা.) এর কথা।
তিনি যখন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়, দেশের স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই করেন। তখন মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধীতাকারী আলেমের সংখ্যা এদেশে জমহুর ছিল। কিন্তু দেশের স্বাধীনতার পর আলেমরা জমহুরিয়তের ভুল বুঝতে পারলেন। যদিও সংখ্যাটি তখন খুবই কম ছিল। পরে তিনি এনিয়ে একটি আন্দোলন ঘরে তুললেন আলেম সমাজ যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন।
দেশ স্বাধীনের পর স্বাধীনতার পর রাজধানী জমহুররা মাদরাসা-মসজিদ যখন বন্ধ ছিলো, তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, আমরা তো মুক্তযুদ্ধ করেছি। পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, জিতেছি। মাদরাসাবন্ধ হয়ে থাকবে কেন? মসজিদে আজান হবে না কেন? বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, মসজিদে আজান দিন, মাদরাসার দরজা আপনারা খুলে দিন। আমরা মুসলমান। হযরত কাজী মুতাসিম বিল্লাহ রহ. ও আল্লামা ফরীদ মাসউদ তখন পায়ে হেঁটে হেঁটে জমহুররা আলেমদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। মসজিদ ও মাদরাসার দরজা খুলে দেন।
_____ end quote.
তাই ব্যসকিক্যলি আপনি আওয়ামি পরিবারের? চেতনায় বিশ্বাসি? আপনি খুব সম্ভবতঃ এতায়েতি।
এর উল্টো? তবে ওজাহাতি।
আবু হুরাইরা রা: বলেন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন
যে ব্যক্তি কোনো দিনে ১০০ বার পড়বে
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ
لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
সে সোয়াব পাবে
- সহি মুসলিম।
#HabibDua
অল্প কিছু এস্তেগফার এখন অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারে। শুধু "আস্তাগফিরুল্লাহ" পড়া কয়েকবার। অর্থ : আমি আল্লাহর কাছে মাফ চাই।
এটা পড়ার জন্য "পরে পড়বো" "নামাজের সময়" "ওজু করে" "জায়নামাজে বসে" "পবিত্র হয়ে" এরকম কোনো শর্ত নেই। যখনই নিজের মাঝে আফসোস আসবে তখনই।
দ্রুত পড়ে সংখ্যা বাড়ানোর থেকে কিছুটা ধিরে আন্তরিকতার দিকে খেয়াল রাখা বেশি জরুরি।
এর সমাধান "দুই নৌকায় পা না দিয়ে", এক দিকে চলে যাওয়া। এই উপদেশ বহু জন দিয়েছে।
মুসলিমদের সব দলই আমার কাছে প্রায় সমান লাগে। কোনোটা পূর্ন খারাপ না। খারাপগুলো বাদ দিলে ভালোগুলো কারো মাঝে কম না।
বুঝতে হবে এখন আমরা "গনতন্ত্র উত্তর যুগে" প্রবেশ করেছি। শাসন ব্যবস্থা দুনিয়াতে শুধু দুই রকম আছে। একটা গনতান্ত্রিক - অন্যটা একনায়কতান্ত্রিক। যদিও এর বিভিন্ন ব্লেন্ড বা কালারকে বিভিন্ন নাম দেয়া হয়।
একনায়কতান্ত্রিক ধারায় হলো রাজতন্ত্র। রাজতন্ত্র ইসলামে নতুন না। ফিকাহর বইগুলোতে এই অবস্থায় কি করতে হবে সে ব্যপারে অনেক বিস্তারিত বর্ননা আছে। দেশে রাজতন্ত্র থাকুক বা না থাকুক এর নিয়ম গুলো এখন এপ্লাই করতে হবে।
আমি এগুলো এখানে বর্ননা করতে পারি, কিন্তু এটা bitter pill তিতা ঔষধ লাগবে অনেকের কাছে। এর পরও কিছু কিছু করে বলার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।
মনে রাখতে হবে, গনতন্ত্র কুফর ঘোষনা করে, এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যেমন অনেকে খারেজিদের পথে হেটেছিলো। তেমনি এখন গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য যদি আপনি সংগ্রামে নামেন তবে "বাগি" [বিদ্রোহী] হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এসব ব্যপারে বিস্তারিত পাবেন কিতাবে।
Every man for himself.
এখন বিশ্ব ইজতেমা যদি অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত পিছায় তবে কি হবে কে জানে।
শরির হালকা অনুভর করছি। সন্তানরা বড় হয়ে নিজ দায়িত্বে চলে গেলে বাপ-মার যে অনুভুতি হয়।
এখন আর কোনো "আন্দোলন" নেই। "দাবি" আদায়ের প্রয়োজন নেই। এগুলো গনতন্ত্রের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো।
এখন সব কিছুর দায়িত্ব আল্লাহর।
উনি এর পর যে দিকে নৌকা নিয়ে যান।
আপনার জন্য সমস্ত প্রশংসা।
এবং আমি আপনার উপর সন্তুষ্ট।
আমাদের পথভ্রষ্ট করবেন না।
সহজ করেন।
২
৪ তলার ভাড়াটিয়া বললো ৫ তলা থেকে সারা রাত বাচ্চাদের লাফা লাফির শব্দ আসে। কিন্তু ৫ তলায় জিজ্ঞাসা করে দেখি কোনো বাচ্চা নেই। তবে?
এক ভাড়াটিয়া বললো : জানেন না? আপনাদের বাসার ছাদে আগে স্বামি স্ত্রি দুই জন যে থাকতো। তারা বলেছিলো রাতে তাহাজ্জুদের সময় উঠলে ছাদে শব্দ শুনতো। যেন কেউ হাটছে। কিন্তু কাউকে দেখতো না।
৩
বলছিলাম ভাই ৩০ দাজ্জালের ২ জন হবে মহিলা। সাধু সাবধান।
১
সমস্যা হলো হিরো-কাপুরুষ চ্যল্যঞ্জ ছুড়ে যদি মানুষকে দলে টানতে চান তবে কাপুরুষ টাইপের ছেলেরাই জুড়বে। তাদের একটা প্রেশার আছে প্রমান করা যে "আমি কাপুরুষ না"।
এই ধরনের রিক্রুইটার আর কে আছে?
২
ব্লু হোয়েল গেইম। আপনাকে কাপুরুষ চ্যলেঞ্জ ছুড়ে দেবে। বীর পুরুষ প্রমান করার জন্য তাদের বড় ভাইয়ের তাবেয় [অনুসারি-বাধ্য] হতে হবে। উনি অর্ডার দেবেন আপনি করবেন। প্রথমে ছোট ছোট কাজ। যেগুলোর উদ্যেশ্য হলো আপনাকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা। "বাসায় কিছু একটা কেওস ঘটাও" "সবচেয়ে কাছের বন্ধুর সাথে ঝগড়া করো" "বাপ মাকে গালাগালি করো"।
সমাজ বিচ্ছিন্ন করার পরে আপনাকে কাপুরুষ-না চ্যলেঞ্জ। "ছাদের কার্নিশে গিয়ে দাড়াও" "মাঝরাতে ছাদের বাউন্ডরি ওয়ালের উপর হাটো"। আপনাকে বাধা দেয়ার মতো কেউ নেই। সবার সাথে ঝগড়া করে এসেছেন।
এর পর "লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করো" আপনি নিশ্চই কাপুরুষ না? খেলাটা শেষ হয় এই আত্মহত্যা করার মাধ্যমে। কিন্তু এর পর সে পরের খেলা কি করে খেলবে যদি মরেই যায়? এখানেই পয়েন্ট। পরের খেলা সে খেলতে পারবে না কারন সে মরে গিয়েছে। এর পরও হাজারে হাজার ছেলে পেলে "কাপুরুষ না" প্রমান করার জন্য এই খেলায় ঝাপিয়ে পড়ে।
কারা পড়ে? যারা মূলতঃ কাপুরুষ তারই।
উল্টো প্রমান করার একটা প্রেশার তাদের আছে।
৩
ইন্টারেষ্টিংলি যারা আপনাকে কাপুরুষ চ্যলেঞ্জ ছুড়ে রিক্রুইট করতে চায় তারাও আপনাকে প্রথমে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করবে। তাদের হুকুম মতো বাড়ি ছেড়ে দিয়ে পলিয়ে তাদের গোপন ফ্লাটে যোগ দিতে হবে। এর পর বড় ভাই ছোট ছোট মিশন দেবে। পালন করতে হবে। শেষে কোনো রাস্তায় বা ফাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যার হুকুম। আপনি নিশ্চই কাপুরুষ না?
যদি আখিরাতে গিয়ে দেখেন তাদের কথা ভুল? উলামা কিরাম, আপনার বাপ-মা আর অধিকাংশ মুসলিমদের কথা ঠিক ছিলো? রিপ্লে করার উপায় নেই। আপনার ভিকটিমদের সবাইকে হরর মুভির মতো দেখবেন রক্তাক্ত অবস্থায় আবার জীবত হয়ে উঠে এসেছে। আপনার হাত ধরতে। পলানোর উপায় নেই। কারন দ্বিতীয় মৃত্যু নেই।
৪
এত মন্দের মাঝে ভালো?
এট লিষ্ট আপনি নিজেকে কাপুরুষ না প্রমান করে ছেড়েছেন।
পৃথিবী থেকে চাদের এক সাইড আমরা দেখি। অন্য সাইডটা কখনোই পৃথিবীর দিকে ঘুরে না।
এর আগে রোবোট নামানোতে সমস্যা ছিলো যোগাযোগ। চাদের উল্টো দিক থেকে পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করবে কি করে? এর সমাধান হিসাবে গতবছর একটা স্যটেলাইট পাঠিয়েছিলো চীন যেটা চাদের চারদিকে ঘুরতে থাকবে। ঐ স্যটেলাইট দিয়ে এখন যোগাযোগ।
[ সৌদি রাজতন্ত্রের উদাহরন দিয়ে উগান্ডার রাজতন্ত্রে কি করবেন বুঝাচ্ছি। কোনো পক্ষের অফেন্ডেড হবার কারন নেই ]
রাজতন্ত্রে কে রাজা হলো সেটা ফেক্টর না। "লুকা বিন লুকা" [অর্থ : ইতরের ছেলে ইতর] যদি রাজা হয় তবে তাকেও মানতে হবে।
সৌদি রাজ পরিবারের কোনো বংশ নেই। এরা না কুরাইশ, না সৈয়দ, না হাশিমি, না তামিমি, না উমাইয়া, না অন্য কোনো সাহাবার বংশধর। এর ছিলো মরুর বেদুইন যাদের কোরআনে বলা হতো আ'রাবি। উথমানি খিলাফার পতনে সুযোগ পেয়ে তারা ক্ষমতা দখল করেছে।
আমিরাতের ক্ষেত্রেও একই। এক্সেপশন বর্তমানে শুধু জর্ডান।
কোনো এলাকার চোর যদি আফ্রিকার কোনো দেশের [যেমন উগান্ডার] রাজা-মন্ত্রী-এমপি হয়, তবে একই নিয়ম।
এদের কয়েকজন ছিলো আমার ফ্রেন্ড। প্রকাশ্যে আমার ফ্রেন্ড। আবার গোপনে আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে ডিরেকশন নিয়ে এসে আমাকে ফ্রেন্ড হিসাবে ব্যক্তিগত উপদেশ দিতো "পথে আনার জন্য"।
আপনার পোষ্টের দৈর্ঘ দেখে সে দিনগুলোর কথা মনে পড়লো। আপনাকে এজেন্ট মনে করছি না।
ভাইরে আমি জানি,
৮০ এর দশকে সৌদি রাজ পরিবার রাসুলুল্লাহ ﷺ এর বংশধর প্রচার করা হতো। হযরত হাসান বা হোসাইন রা: এর বংশধর। সৌদি এম্বাসি থেকে বাংলা বুকলেট ছাপিয়ে বিতরন করা হতো যেখনে এগুলো লিখা ছিলো। যেটা আমাদের হলেও এসেছিলো।
এর ২০ বছর পরে আমি চিন্তা করছিলাম ঐ দাবির কি হলো? এখন আর শুনা যায় না কেন? তত দিনে ইন্টারনেট দেশে চলে এসেছে। নেটে সার্চ দিয়ে পেয়েছিলাম ঐ সময়ের ঐ দাবির ইতিহাস, কিভাবে করছিলো, আর প্রচারের শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিলো তার বর্ননা।
এর থেকে বেশি প্রসংশা যদি আপনার জানা থাকে তবে জানাতে পারেন।
নয়তো আপনি যা বলবেন তার থেকে হাই লেভেলের প্রশংসার কথা আমার শুনা আছে।
আপনাকে কষ্ট দেয়ার জন্য দুঃখিত।
জাজাকাল্লাহ।
ঠিক এই প্রশ্নটার জবাব উনাকে এখন আরেকবার দিতে হবে।
সময় বদলায়। এখন "আমি মুসলিমও না, হিন্দুও না" উক্তিকারিকে মুসলিম ধরা হয়।
সামনে একটা সময় আসবে যখন দ্বিনের ১০% কেউ যদি অনুসরন করে তবুও সে নাজাত পাবে। ইসলামের প্রথম যুগে যেখানে ১০% ছেড়ে দিলেও কেউ ধ্বংশ হয়ে যেতো। কিয়ামতের আগে অর্থ না বুঝে কেউ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়লে জাহান্নাম থেকে নাজাত পাবে।
কিন্তু সেই সময় এখনো আসে নি। কোরআনকে তুলে নেয়া হবে। মানুষ নামাজে দাড়িয়ে তিলওয়াত করতে পারবে না। সবাই ভুল গিয়েছে। কোরআন শরিফ খুলে দেখবে লিখা নেই। মুছে গিয়েছে। কিন্তু তখনো মানুষ নামাজ পড়বে। একজন অন্যজনকে ইমামতির জন্য ঠেলতে ঠেলতে।
যারা চিন্তা করে "আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার সব খারাপ লোকদের মেরে ফেলেন না কেন?" তাদের জন্য খবর যে ভালো-মন্দ দুই ভাগ করে আল্লাহ তায়ালা এক ভাগের সবাইকে মেরে ফেলবেন। কিন্তু মারবেন ভালোদেরকে। মন্দরা বেচে থাকবে। এর পর নামাজ বন্ধ।
হজ্জ বন্ধ হয়ে যাবার আগে হজ্জ করে নেয়ার কথা আছে এক হাদিসে।
তেমনি নামাজ বন্ধ হবার আগে আমাদের নামাজ পড়ে নেবার সুযোগ।
কোরআন তুলে নেবার আগে আমাদের কোরআন শিখার সুযোগ।
দাজ্জাল আসার আগে আমল করার সুযোগ।
পশ্চিমে সূর্য উঠার আগে তৌবা করার সুযোগ।
গনতান্ত্রিক দেশে আন্দোলন প্রতিবাদ এগুলোকে নাগরিকদের অধিকার ধরা হয়। অনুমতি আছে। এবং যারা এগুলো করে তারা "হিরো" "নেতা" "কাপুরুষ না"।
কিন্তু রাজতন্ত্রে নেই। রাজতন্ত্রে, এটা সৌদির হোক বা উগান্ডার,
- কোনো প্রতিবাদি মিছিল করা নিষেধ।
হাদিসে অনুমতি দেয়া আছে রাজা যদি খারাপ হয় তবে শুধুমাত্র উনার কাছে গিয়ে নসিহা করা যাবে। হাদিসের বাইরে শরিয়াতে এই নসিহা করার জন্যও আবার অনেক শর্ত যোগ করা আছে "অপমানিত করা যাবে না" "জনগনকে উত্তেজিত করা যাবে না" "এই সময়ে করতে হবে" "এই ক্ষেত্রে করা যাবে না" এই ধরনের অনেক কিছু।
তাই আমাদের মাঝে "কুফরি গনতান্ত্রিক" ধারায় বড় হয়ে যারা এখনো আন্দোলন প্রতিবাদের মাঝে "অধিকার" "দাবি" খুজেন তাদের এখন নতুন করে সব শিখতে হবে।
btw : উপরে ফিকাহ - শরিয়ত দুটো এক ধরছি আমি। যদিও বিজ্ঞ জনেরা বলবে "দুটো ভিন্ন" "যে এর পার্থক্য জানে না, সে কিছুই জানে না।"
সামনে যে দলগুলো আসবে সে থেকে হক দল চিনার জন্য একটা কমন ফরমুলা বের করার চেষ্টা করছি অনেক দিন ধরে। কিন্তু কমন কিছুই বের করতে পারছি না।
"যে দল বিজয়ী হবে?" "সদস্যদের ব্যবহার ভালো হবে?" সব পয়েন্টের বিপরিত পয়েন্ট আছে। ইউনিক কিছু একটা বের করতে হবে যেটা অন্য দলগুলোর মাঝে থাকবে না কেবল হক দলের মাঝে থাকবে।
Lost. পথহারা।
এমনি তবলিগের দ্বন্ধে পথহারা। কোন পক্ষ কতটুকু ঠিক কিছুই বুঝতে পারছি না। এর পরে যখন আরো দল আসতে থাকবে তখন কি হবে?
#পথহারা
When "pro-business & anti-environment" stand is offset by starting a trade war with China.
Every good comes with something bad. Fighting too much to get rid of the bad, erases the good, too.
২
বহু পরে পরে সামান্য কিছু ভালো,
যেন মুসলিমরা হতাশ না হয়।
কিন্তু সাধারনভাবে চলবে মুসলিমদের পরাজয়।
আর বুখারি শরিফে ওমর রা: এর কথায় শুধু কোরআন শরিফের কথা উল্লেখ আছে যেটা অনুসরন করলে আমরা পথ পাবো।
"কোরআন আর সুন্নাহ" এর হাদিসের জন্য আমাদের যেতে হবে বুখারি মুসলিম তো বটেই এমন কি প্রসিদ্ধ ৬ কিতাবের বাইরে।
২
তর্কে আমরা এমন অনেক যুক্তি দেখাই যেগুলো শুধু মাত্র উপরে যে কথাগুলো বললাম সেটা দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া যায়। অর্থাৎ বিপক্ষকে কনফিউশনে ফেলে দেয়া যায়। যদিও এই কথাগুলো জানি আগে থেকে, কিন্তু আমি এখন পর্যন্ত কখনো তর্কে এটা প্রয়োগ করিনি। সাইড দিয়ে কেটে গিয়েছি।
যেমন কেউ বললো :
"আমাদের অনুসরন করতে হবে শুধু কোরআন আর সুন্নাহ। আর সহি হাদিস বলতে আমি শুধু বুখারি মুসলিম বুঝি। এই দুটোতে যদি কোনো হাদিস থাকে তবে আমাদের অন্য কোনো কিতাব দেখার দরকার নেই।"
তখন হয়তো বললাম : "কোরআন আর সুন্নাহর অনুসরন করতে হবে কথাটা কোথায় আছে? হাদিসে?"
"হ্যা। জানেন না। বিদায় হজ্জের সময় ... "
"হাদিসটা আপনি দেখেছেন?"
একটু থমকে : "হ্যা। পড়েছি।"
এখানে এসে আমি থেমে যাই। আর কিছু বলি না।
৩
যেই ফিতনায় যে পড়েনি তাকে সেই ফিতনার কথা জানিয়ে লাভ নেই। কনফিউশন বাড়বে।
উল্লেখ করলাম কারন কিছু দিন আগে একভাই এই প্রসংগ এনে তর্ক করতে চেয়েছিলেন। বুঝলাম বাংগালির মাঝে এই যুক্তি এখন প্রবেশ করেছে।
ঐ ভাইকে ব্লক করে দিতে হয়েছিলো কারন উনি প্রথমেই মেজিক ওয়ার্ড "আপনি মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন" উল্লেখ করেছিলেন। এটা বলার পরে আমার পক্ষে আর ডিসকাশন চালানো সম্ভব হয় না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের ক্ষমা করুন।
#HabibLogic
"কুফরি গনতন্ত্রে" সরকার বিরোধি আন্দোলন করার অনুমতি আছে। সরকারের পতন আন্দোলন সহ।
রাজতন্ত্রে রাজার বিরোধি বা পতন আন্দোলন করলে এটা "রাজদ্রোহিতা"। এদের বলা হয় "বাগি" বা বিদ্রোহী। শরিয়াতে এদের শাস্তি কঠোর। চুরি হত্যার থেকে অনেক বেশি।
বিদ্রোহীদের হাত পা কেটে খুটিতে বেধে অনেক উচু করে ঐ এলাকায় পুতে রাখতে হয় যেন মানুষ দেখে শিক্ষা নিতে পারে। পশ্চিমাদের "যিশু খৃষ্টের কাহিনীতে ক্রুশ বিদ্ধ" এর কোনো মুভি যারা দেখেছে তারা জানেন।
প্লাস সরকারের পুলিশ-সেনা যারা বিদ্রোহিদের দমন করতে গিয়ে নিহত হবে সবাই শহিদ। গোসল ছাড়া রক্তাক্ত কাপড়ে জানাজা দাফন দিতে হবে।
বিদ্রোহিদের জানাজা? জানা নেই। তবে ৭ দিন ঐ খুটির উপর বেধে রাখতে হবে এটা আছে।
> "কিন্তু এগুলো তো করা হয় না।"
হবে। দেশে রাজতন্ত্র আসলে। যেই দলই আনুক।
> "কোথায় পেয়েছেন এসব?"
ফতোয়ায়ে আলমগিরি। অন্য কোনো কিতাবে এর বিপরিত কিছু থাকলে জানাতে পারেন। শর্ত আছে, কিন্তু শর্ত সব কিছুতেই আছে।
> "আপনি পক্ষে বললেন নাকি বিপক্ষে?"
আমি হুকুমগুলোর প্রশংসা করছি।
btw: মিশরি আরবীর প্রতি ছোট কাল থেকে প্রচন্ড ডিসলাইক ছিলো। অর্থ বুঝা তো দূরের কথা শব্দ কি বলেছে সেটা বুঝতে পারতাম না। এখন শুনতে শুনতে ডিসলাইকটা চলে গিয়েছে দেখতে পারছি। কিন্তু অর্থ বুঝা এখনো বহু দূর।
- আপনার নামাজ রোজার কোনো দাম নেই। এগুলো দিয়ে জান্নাতে যাওয়ার আশা করা দুরআশা, হাস্যকর।
- আপনার কোনো ইলম নেই, কিছু জানেন না। কিন্তু নিজেকে আপনি মনে করেন অনেক বড় আলেম।
- আগের যুগের বুজুর্গদের এবং বর্তমান যুগের উনাদের কর্মিদের উক্তি ও কাজ যেগুলো দিয়ে আপনাকে তুচ্ছ করা হবে।
আত্মবিশ্বাস ভেঙ্গে দেয়াটা প্রথম ধাপ।
সামনে সুন্দর একটা জান্নাত রেডি করাটা উদ্দেশ্য।
আজকে ইজতেমার ব্যপারে স্বিদ্ধান্ত জানাবে সরকার। কবে হবে।
উলামা vs তবলিগ বিভাজনটা এখন একদম মুখামুখি। এই একটা দ্বন্ধের কোন পক্ষ ঠিক সেটার উপর ভবিষ্যতের অনেক কিছুর বুঝ নির্ভর করছে।
দ্বন্ধের যে অবস্থা তাতে দুটো একসাথে ঠিক হতে পারে না।
হয় উলামারা টাকা-ক্ষমতা এগুলোর জন্য পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছেন। সু?
নয়তো তবলিগওয়ালারা অতি সঠিক হতে গিয়ে পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছে। খারে__?
দুই পক্ষের কথায় এই বিভাজনটা এখন স্পষ্ট।
কোনোটাই আন-এক্সপেকটেড ছিলো না।
তবে নতুন খবর হলো
ঢাকার অভিজাত মসজিদগুলোতে "নির্বাচনের আগে দ্বন্ধ এড়াতে অত্র মসজিদে তবলিগের সকল কাজ বন্ধ" নোটিশ টাংগানো ছিলো। এমন কি গাস্ত তালিমও বন্ধ। এই নোটিশ এখনই খুলার কোনো কারন নেই।
ঢাকার এক মসজিদে শুনলাম সাথিরা এলাকায় গাস্ত শেষে একজনের বাসায় বসে বয়ান করে। মসজিদে নিষেধ।
উপরেরটা খুবই খারাপ একটা ইন্ডিকেটর। যে গাস্ত তালিমের জন্য এখন সরকারের অনুমতি চাইতে হয়।
আর কালকের উত্তরার জোড় স্থগিত করেছে উলামারা।
Keep watching. এই মাসটা গুরুত্বপূর্ন।
And Rashid Talib was wrong on so many levels for using explicit words on Trump as soon as she was sworn in.
اللهم صل و سلم على سيدنا و مولنا محمد وعلى آل سيدنا محمد
... بعدد رحمة الله
... بعدد فظل الله
... بعدد خلق الله
... بعدد علم الله
... بعدد كلمت الله
... بعدد كرم الله
... بعدد حروف كلام الله
... بعدد قطرات الامتار
... بعدد اوراق الاشجار
... بعدد رمل القفار
... بعدد ما خلق في البحار
... بعدد الحبوب والثمار
... بعدد الليل والنهار
... بعدد ما اظلم عليه الليل و الشرق عليه النهار
... بعدد من صلى عليه
... بعدد من لم يصلى عليه
... بعدد انفاس الخلائق
... بعدد انجوم السموت
... بعدد كل شيء في الدنيا والاخرة
صلوات الله تعالى وملئكته وانبيائه ورسله وجميع الخلائق
على سيد المرسلين وامام المتقين وقائد الغر المحجلين وشفيع المذنبين
سيدنا ومولنا محمد وعلى اله واصحابه وازواجه وذرياته واهل بيته
واهل طاعتك اجمعين
من اهل السماوت الارضين
برحمتك ياارحم الراحمين
ويا اكرم الاكرمين
وصلى الله تعالا على سيدنا محمد واله واصحابه اجمعين
وسلم تسليما دائما ابدا كثرا كثيرا
والحمد لله رب العالمين
অর্থ :
হে আল্লাহ আপনি সালাত আর সালাম পাঠান আমাদের সাইয়েদ [সর্দার] ও মাওলা [বন্ধু] মুহাম্মদ আর উনার বংশধরদের উপর, এত বেশি সংখ্যক যত বেশি ...
আপনার রহমত,
আপনার ফজল,
আপনার সৃষ্টি,
আপনার জ্ঞান,
আপনার কথা,
আপনার করম,
আপনার কালামের অক্ষর,
বৃষ্টির ফোটা,
গাছের পাতা,
মরুভূমির বালি,
সমূদ্রের সব সৃষ্টি,
শস্য-ফল,
দিন-রাত্রি,
রাত্রির অন্ধকার আর দিনের আলো,
যারা সালাম পাঠায়,
যারা সালাম পাঠায় না,
সৃষ্টির সবার নিঃশ্বাস,
আকাশের তারা,
দুনিয়া-আখিরাতের প্রতিটা জিনিস
...এই সব কিছুর সংখ্যা পরিমান।
আরবিটা দিয়েছি যারা জানে তাদের জন্য শর্ট নোট হিসাবে। রিপিটেড লাইন পূর্ন করে না লিখে। কেউ উৎসাহি হলে যে কোনো ওজিফার বই দেখুন।
এর আগে এটা পড়া উচিৎ কিনা সেটা আপনার পছন্দের আলেমের থেকে জেনে নিন। যেহেতু অনেক মাজহাব-মানহাজ-মাসলাকের ফলোয়ার আছেন, সবার জন্য এক নিয়ম না। এই উপদেশটা কমন যে কোনো দোয়ার জন্য যেটা হাদিসে নেই। এই দুরুদটা হাদিসে নেই।
#hTasauf
#HabibDua
Open for all.
পৃথিবিতে,
চামড়ার ৬০% যায় জুতা তৈরিতে।
চামড়ার জুতার চাহিদা কমছে। ফোম রাবারের চাহিদা বাড়ছে।
গোস্তের চাহিদা বাড়ছে। গরু জবাই হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে আমেরিকাতে।
এ কারনে,
চামড়ার চাহিদা কম। জোগান বেশি।
দাম কম। স্টক জমে গিয়েছে বিশ্বব্যপি।
চামড়ার সঠিক ব্যবহারের জন্য কোরবানির চামড়া বিক্রি না করে নিজে শুকিয়ে ব্যবহার করা শিখতে হবে। ফ্লোরে কার্পেটের মতো।
আদি যুগে আমাদের বাপ দাদারা করতে পারতো কোনো মেশিন ক্যমিক্যল ছাড়া। How to আছে নেটে।
প্রথম কথা হলো : সৌদি "সালাফি" বা দেশের "আহলে হাদিস" সবগুলো একেকটা মাজহাব। কোরআন হাদিস থেকে অস্পষ্ট বা বিতর্কিত বিষয়ে তারা সম্মিলিত ভাবে নির্দিষ্ট "একটা" মত বা ব্যাখ্যা অনুসরন করে। যদিও বিপরিত মতের দলিল আছে। সেগুলোকে সম্মিলিত ভাবে "একটা" কারন দেখিয়ে বাতিল করে। [এক্সেপশনের সংখ্যা কম]
"মাজহাব অনুসরন করি না, কোরআন হাদিস অনুসরন করি" কথাটা শুধু ঐ ক্ষেত্রে খাটে যখন আপনি নিজে কোরআন হাদিস পড়ে নিজে নিজে বের করেন নামাজ পড়তে হবে কিনা? কয় রাকাত পড়তে হবে? কি করে জামাত পড়তে হবে? কোনটা করা কতটুকু জরুরি? এই সব। এবং এই ব্যপারে বর্তমান বা অতীতের কোনো আলেমের কথা শুনেন না, বা কোরআন হাদিসের বাইরে অন্য কোন বই পড়েন না।
এবং সে ক্ষেত্রেও আপনি একটা "মাজহাব" অনুসরন করছেন। সেটা হলো আপনার নিজের তৈরি করা মাজহাব। এই মাজহাবের নাম হয়তো আপনার নামে হবে।
to be cont... ইনশাল্লাহ।
না নেই। [কোনো আয়াত দিয়ে কেউ মাজহাব আছে প্রমান দেখালে, ঐ আয়াতের ব্যখ্যা সেটা না এমন প্রমানও দেয়া যায়।]
"তবে আমাকে মাজহাব আরোপিত কোনো কিছু মানতে হবে না। পর্দা করতে হবে না, নামাজ নিয়মিত পড়তে হবে না। ঠিক?"
পাল্টা প্রশ্ন করছি। ঠিক না বেঠিক সেটা আপনি এর পর কি করে বুঝবেন?
১
কিন্তু ফেক্ট হলো ১৯০০ সালের আগের যত আলেম আবেদ শায়খ বুজুর্গ ছিলেন সবাই ছিলেন মাজহাবি। মাজহাব অনুসরন পথভ্রষ্টতা হলে উনাদের সবাইকে এই ব্যপারে পথভ্রষ্ট ধরতে হবে।
এটা নিজে নিজে চেক করতে পারেন। যে কোনো একজন আগের শতাব্দির আলেমের নাম ধরেন।
ইমাম ইবনে-জাওজি? এর পর উইকিপিডিয়াতে চেক করে দেখেন উনি কোন মাজহাবের ছিলেন -- হাম্বলি।
https://en.wikipedia.org/wiki/Ibn_al-Jawzi
ইবনে তাইমিয়া? হাম্বলি।
https://en.wikipedia.org/wiki/Ibn_Taymiyyah
ইমাম জাহাবি? হাম্বলি।
https://en.wikipedia.org/wiki/Al-Dhahabi
ইবনে কাসির? শাফি।
https://en.wikipedia.org/wiki/Al-Dhahabi
২
উক্তি "এই সব পীর-সুফি-বিতায়েতিরা হানাফি মাজহাব থেকে এসে মাজহাব চালু করেছে।"
না, তাও না।
আব্দুল কাদের জিলানি? সারপ্রাইজ! উনি হাম্বলি।
https://en.wikipedia.org/wiki/Abdul_Qadir_Gilani
ইমাম গাজ্জালি? উনি নিশ্চই "পথভ্রষ্ট হানাফি"? না, ছিলেন শাফি।
https://en.wikipedia.org/wiki/Al-Ghazali
৩
মাজহাব যদি পথভ্রষ্টতা হয় তবে আমাদের আগের প্রায় সমস্ত আলেম উলামা মুসলিমদের পথভ্রষ্ট ধরে বলতে হবে ১৯০০ সালের পরে কয়েকজন আলেমের নেতৃত্বে আমরা আসল ইসলাম আবিষ্কার করেছি। এর আগের ১৩০০ বছর ধরে আসল ইসলাম ছিলো না।
যেটা আপনার জন্য সুবিধাজনক।
আপনি যে আলেমের অনুসরন করেন তার মাজহাব।
অথবা, যে মাজহাব সম্পর্কে আপনি সবচেয়ে ভালো জানেন সেই মাজহাব।
অথবা, যে এলাকায় আপনি আছেন ঐ এলাকার লোকেদের মাজহাব।
"কোনটা সবচেয়ে সঠিক?"
সবগুলোই সঠিক। কোনোটা ভুল না। একটা অন্যটার থেকে বেশি সঠিক না। তবে এটা আমার মত।
আর মাজহাবের মত হলো প্রত্যেকের মতে তাদেরটাই সবচেয়ে সঠিক।
"এই পার্থক্য কেন?"
কারন প্রত্যেক মাজহাবে "সঠিক" নির্ধারনের সংগা ভিন্ন ভিন্ন। এটা নির্ভর করে ঐ মাজহাবের ইমাম
- কোন সাহাবা থেকে শিক্ষা পেয়েছেন।
তার উপর।
১
ফেসবুকে এই সপ্তাহে একটা ডিবেট পোষ্ট হয়েছিলো। বৃটেনে এক বেরলভি আলেম দেওবন্দি আলেমের চ্যলেঞ্জ কবুল করে তর্ক করবেন। আগে থেকে ঘোষনা। এর পর ফেসবুক/ইউটুবে লাইভ।
বেরলভি আলেম প্রথমে বসেই বললেন : "আপনি কি উসুলুল বাহাস জানেন?"
দেওবন্দি আলেম এড়াতে চাইলেন, জানেন না।
বেরলভি আলেম বললেন, "যে তর্কের উসুল জানে না, সে মূর্খ তার সাথে আমি বাহাস করতে চাই না।"
৩০ মিনিটে বেরলভি আলেম জিতে গেলেন।
২
ইদানিং তর্কে জিতার জন্য "উসুল" শিক্ষা খুবই প্রয়োজনীয়। হাদিস নিয়ে তর্ক? প্রথমে জিজ্ঞাসা করবেন "আপনি উসুলুল হাদিস জাননে? এটাই জানেন না? তবে আপনার সাথে কি তর্ক করবো? আপনি জাহেল।" সে অফ ১ মিনিটে।
এরকম "উসুলুল তফসির" "উসুলুল আকিদা" "উসুলুল ফিকাহ" অনেক কিছু আছে।
৩
এই মুহুর্তে ফোকাসটা উসুলের উপর। যখন যা ট্রেন্ড।
ইলম শুধু এতটুকু শিখতে হবে যতটুকু শিখলে আমল করা যায়।
তর্কে জিতার জন্য যতটুকু ইলম লাগে সেই ইলম শিক্ষা করা আমার জন্য ক্ষতিকর।
১
"কিন্তু তর্ক না করলে হক পথ চিনবো কি করে?"
প্রচুর ইলাম শিক্ষা, বা তর্কে জিততে পারা হক পথ পাবার নিশ্চয়তা দেয় না।
২
"তবে?"
কনফিউশনের সময়ে আন্তরিক ভাবে আল্লাহর কাছে হক পথের দিশা চাইতে হবে। মাঝ রাতে উঠে। নামাজের শেষে। যে কোনো নামাজে সুরা ফাতিহা পড়ার সময়।
আন্তরিক হতে হবে। নিজেকে আল্লাহর কাছে একেবার নিচু করে। আকুতি সহকারে। যেন সমূদ্রে বা গর্তে পড়ে গিয়েছে। অন্তরে বিন্দুমাত্র অহংকার উদ্যত না রেখে।
আল্লাহ তায়ালা পথ দেখাবেন।
৩
"উপরে যা বললেন সে ব্যপারেও কি দ্বিমত-তর্ক আছে?"
হ্যা। আছে। অনেকে বলবে "হারাম-হালালের ব্যপারে ইস্তেখারা জায়েজ নেই। উসুলে-ইস্তেখারা জেনে এর পর কথা বলবেন।"
In fact এই কথাটাই দুজন শুনিয়ে গিয়েছিলো কিছু দিন আগে। তবলিগের দ্বন্ধের সময়ে।
তেমনি উসুলুল হাদিস শিখতে হবে যদি হাদিস নিয়ে গবেষনা করতে চান।
উসুলুল ফিকাহ পড়তে হবে যদি নিজে নিজে ফিকাহ চর্চা করতে চান। মুফতি হতে চান। আরেকজনের ফতোয়া পড়ে অনুসরনের জন্য ফিকাহর উসুল জানার দরকার নেই।
তেমনি উসুলুল আকিদা। যদি আপনি আকিদার উপর গবেষনা করতে চান।
২
২০ বছর আগে সাধারন মানুষকে কোরআন শরিফের বাংলা অনুবাদ পড়তে নিরুৎসাহিত করা হতো এই কারন দেখিয়ে যে "তারা উসুলে তফসির জানে না" "তফসির করার জন্য যে ২০ টা বিষয়ে এলম থাকতে হবে সেগুলো তাদের মাঝে নেই"। তাই বাংলা অনুবাদ পড়ে তারা পথভ্রষ্ট হবে।
এই ভুলটা ভাঙ্গতে অনেক সময় লেগেছিলো। এর পর কিছু লোক এগিয়ে এসে বলেন ২০ টা বিষয়ে ইলম লাগবে কেউ যদি নিজে নিজে কোরআনের নতুন তফসির করতে চায় তবে। আরেকজনের তফসির পড়ার জন্য এগুলো দরকার নেই।
আমি নিজে পড়তাম লুকিয়ে। কারন বড় ভাইরা দেখলে বাধা দিতো। "পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।"
কিছু বছর আগে হলে সবাই সিমপেথেটিক হতো। কিন্তু এখন কেমন যেন "এই পক্ষ" "ওই পক্ষ" হয়ে গিয়েছে। কেউ সঠিক, কেউ বিভ্রান্ত। পলিটিক্যাল ডিভিশন এখন গভীর ফিকাহ-আকিদাগত ডিভিশনে রূপান্তরিত হচ্ছে। শিয়াদের সময়ে যেটা হয়েছিলো।
একজন যত ভালো হোক না কেন, সে মন্দ যদি সে আমার বিপক্ষের গ্রুপে থাকে। আর পক্ষে হলে "কে জানে, আল্লাহ উনাকে ক্ষমা করবেন না, এটা কি আপনি নিশ্চিৎ জেনে গিয়েছেন?"
এখন এমন যে, আমি সৈয়দ আশরাফুলের শুভাকাংখি। কারন উনি হেফাজতকে পিটিয়েছিলেন। আর হেফাজত আমাদের শত্রু। আমার শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু।
একটা ইকুয়েশন টানা হচ্ছে। একটা রেখা। যেটা খুবই গভির। এবং এর বিস্তৃতি যাবে বহু দূর।
১
কিন্তু সবেচেয়ে সঠিক কোনটা সেটা আপনি কি ভাবে বিচার করবেন? কোরআন আর হাদিস ফিক্সড। সবাই অনুসরন করছে। এর বাইরে আর কোনটাকে সোর্স ধরবেন? কনফিউশনের সময় কোনটাকে প্রায়োরিটি দেবেন, কোনটার উপর?
যদি বলেন "১৯০০ শতাব্দিতে প্রাপ্ত হাদিসগুলোর মাঝে সবচেয়ে সহি হাদিসকে সবচেয়ে দুর্বল হদিসের উপর অগ্রাধিকার দিয়ে" তবে এটা আপনার জন্য আগেই করে গিযেছেন শায়েখ আলবানি, ইবনে-বাজ, উথাইমিন রাহি: উনারা।
২
আপনার শর্ত ঠিক রেখে [উসুলুল ফিকাহ?] আপনি উনাদের থেকে ভিন্ন কিছু বের করতে পারবেন না। শেষে আপনি উনাদের মতের সাথে একমত হয়ে উনাদের "মাজহাব"-ই অনুসরন করবেন। কিন্তু থিউরিটিক্যলি বিশ্বাস করবেন "আমি কোনো একটা মাজহাব অনুসরন করছি না, কারন অন্য মাজহাবে আরো সঠিক কিছু পেলে সেটা অনুসরন করতাম।"
যদিও প্রেকটিক্যলি আপনি "একটা" মাজহাবের উপরই আছেন।
ভিন্ন কিছু পাওয়া সম্ভব যদি আপনি "উসুল"-এ কিছু পরিবর্তন করেন। নয়তো আপনার আগের আলেমগন এই উসুলের উপর সবচেয়ে সঠিক মতটা আপনার জন্য বের করে দিয়ে গিয়েছেন উনাদের জিবদ্দশাতে।
৩
উল্লেখ্য ১৪০০ বছর ধরে কোরআনে কোনো পরিবর্তন হয় নি। ১১০০ বছর ধরে কোনো নতুন হাদিস আসে নি। অরিজিনাল সোর্স ফিক্সড। কোনো পরিবর্তন নেই।
এর পরও যদি উসুল ঠিক রেখে ভিন্ন কিছু পান? তবে হয় আপনি ভুল বা উনারা ভুল। বা আপনারটা উনাদের থেকে বেশি সঠিক না।
"পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরে" এমন কথা থাকবে? না থাকবে না।
থাকবে কি করে নির্ধারন করতে হবে কোনটা কার চারিদিকে ঘুরে সে ব্যপারে সম্মিলিত মত। গবেষনার পদ্ধতি বলা থাকবে। কিন্তু সরাসরি বিজ্ঞান শিখাবে না। মেথডটা অনুসরন করে কংক্লুশন বের করা হবে বৈজ্ঞানিকদের কাজ। কংক্লুশন বলে দেয়া উসুলের কাজ না।
উসুল অনুসরন করে কেউ বের করতে পারে পৃথিবী ঘুরে, কেউ বের করবে সূর্য ঘুরে। পদ্ধতিটা সব সময় ঠিক।
২
যেমন Scientific methodology কি [উসুল]?
যদি হয় তবে থিউরি ঠিক। নয়তো ভুল।
এটা উসুলে সাইন্স। যেই উসুলে বলা নেই সূর্য চন্দ্র পৃথিবীর কোনটা ঘুরে।
২
লাইব্রেরিতে দুটো বই আছে উসুলে ঈমান/আকিদার উপর। একটা শায়েখ মঞ্জুল এলাহির, অন্যটা ডঃ বেলাল ফিলিপসের।
খুলে দেখলাম উসুলগুলো কি। কিন্তু দেখলাম সেখানে সরাসরি আকিদা শেখানো হয়েছে। আকিদার উসুল বলতে আমি যা ধারনা করেছিলাম সেগুলো না।
আরম্ভ হয়েছে "তৌহিদ তিন প্রকার"। এর পর প্রতি প্রকারের ব্যখ্যা। শেষ পর্যন্ত এই। তবে "উসুল" কোথায়?
"উসুলে আকিদা" বলতে কি তবে সবাই "আকিদার আমার ভার্শন" বুঝায়? আমার ধারনা ছিলো পদ্ধতিটা শেখায়, ঐ পদ্ধতির উপর আমার কংক্লুশন না।
৩
কে জানে। হয়তো আকিদার আমার ভার্শনকে একটা পক্ষ এত দ্রুব, এত সত্য, এত গ্লোবাল ধরে নিচ্ছে যে এর বাইরে আর কিছু থাকতে পারে না।
আমার আকিদাই "আকিদার উসুল"। এর বাইরে যারা তারা আকিদার শুধু বিরোধিতা করছে না, বরং মূল উসুলটাই জানে না। তারা অজ্ঞ।
যেই ভাবে নিউটন জিনিস আবিষ্কার করেছে একই ভাবে বর্তমানে কোয়ান্টাম রিসার্চ চলছে। একই উসুলে। কিন্তু কংক্লুশন ভিন্ন। শিক্ষা ভিন্ন। যদি বুঝেন।
১/ কেউ সালাফি নাকি হানাফি সেটা নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নেই। একজনকে অন্যজনের থেকে ভালো বা মন্দ মনে করি না। কাউকে দল পরিবর্তন করতে বলি না। বা কোনো দলের আলেমকে অগ্রহনযোগ্য মনে করি না।
২/ আমি দন্ধটার বিরোধি। যেখানে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে বাতেল, ভুল বলে আক্রমন করতে থাকে।
৩/ Terminology নিয়ে দুই পক্ষ যখন অর্থহিন প্রচার চালাতে থাকে তখন সেটায় আমি যোগ দেই না। "কাজ" টা দেখি। "নাম" কি লাগিয়েছে সেটা না।
৪/ ব্যক্তিগত ভাবে আমি হানাফি/দেওবন্দি মত অনুসরন করি।
World's richest man's asset now = half its previous size.
Looks like the pullout call was another fake call.
সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি : দেওবন্দ ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দেবে কিন্তু এদেশের উলামারা সেটা মানবে না। সংঘর্ষ চলবে।
২
দেওবন্দের দুটো ভাগ আছে একটা "ওয়াকফ দেওবন্দ" [সাইজে অনেক ছোট] অন্যটা শুধু "দেওবন্দ" [মূল ও বড়]। "ওয়াকফ দেওবন্দ" সা'দ সাহেবের পক্ষে। বিরোধি ফতোয়া এসেছিলো "দেওবন্দ" থেকে।
এর ব্যাপারে মাওলানা জিয়া [এতায়েতি] যখন উনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলো তখন উনি জবাব দিয়েছিলেন "[প্রতি তকবিরে হাত তুলেছিলাম কিনা] বলতে পারবো না। এমন কিছু আমার মনে নেই"
মাওঃ জিয়ার কংক্লুশন এই ভিডিওটা তাই ফেইক। প্রথম তকবিরের হাত তুলাকে জোড়া লাগিয়ে পরের তিনবার হাত তুলা কম্পাইল করা হয়েছে।
ভিডিওটা ফেইক না রিয়েল এটা ২০%।
এর পর রিয়েল/সত্য হলে এর পরের ব্যখ্যা।
"তবে পোষ্ট করছেন কেন?"
বিপরতি পক্ষের যুক্তি বুঝার মতো মেচুইরিটি যাদের আছে তাদের জন্য।
১
১। ফেইক হলে এত দিনে এটা নিয়ে পোষ্ট আসতো।
২। জোড়া দেয়া ভিডিও হলে "repeated frame" দেখা যেতো ভিডিওতে, যেটা এই ভিডিওতে নেই। বা আমার চোখে পড়ে নি।
৩। ভিডিও প্রথম যারা প্রকাশ করেছে তারা এই ব্যপারটা হাইলাইট করে প্রকাশ করে নি। পরে ধরা পড়েছে। তাই "অসৎ উদ্যেশ্য" আসছে না।
২
বুঝতে হবে সা'দ সাহেব হক পন্থি হতে হলে উনাকে মুজাদ্দিদ হতে হবে। সাধারন ভাবে শুধু "হক" হলে চলবে না। কারন উনি প্রতিষ্ঠিত অনেক কিছুর বিরোধিতা করছেন। হয় অধিকাংশ দেওবন্দি আলেম ঠিক, নয়তো সা'দ সাহেব মুজাদ্দিদ। দুটোর একটা।
৩
"আমার মনে নেই, জানি না" এই কথাগুলো সাহায্য করছে না।
এর উপর ওজাহাতিদের দাবি সা'দ সাহেব এক সময় "পাগল হয়ে গিয়েছিলেন" "বিষ খাওয়ানো হয়েছিলো" এধরনের। তারা এ থেকে আরো সরব হবে।
ওজাহাতিদের দাবি প্রত্যাখ্যান করলেও কিছু করে এর পর সেটা "মনে নেই" বলা মুজাদ্দিদ হবার পক্ষে সহায়ক না।
৪
উল্টো দিক থেকে দেখি। কোন ক্ষেত্রে সা'দ সাহেব
১। জানাজায় হাত তুলতে পারেন?
২। তুলেছিলেন যে, সে কথাটা এড়াতে পারেন।
৩। একই সাথে মুজাদ্দিদ হতে পারেন?
প্রথমতঃ আমি দেখছি একটা ক্ষেত্রে :
"দেওবন্দি শিক্ষা ভুল। আহলে হাদিস/সালাফি শিক্ষা ঠিক" - এই ক্ষেত্রে।
৫
এর পর দেখতে হবে উনার অন্যান্য কাজেও কি এই জিনিসটা রিফ্লেক্ট করে? নাকি এর অন্য কোনো ব্যখ্যা আছে?
উনি ফাজায়েলে আমল বাদ দিয়ে মুন্তাখাব হাদিস চালু করেছেন - এটা একটা ইন্ডিকেটর।
উনার অনুসারিরা ক্রমেই আহলে হাদিসের পক্ষে যুক্তি দেখাচ্ছেন এবং দেওবন্দের মূল শিক্ষাগুলোর বিপক্ষে কথা বলছেন - এটা আরেকটা ইন্ডিকেটর।
উপস!!! আমাদের আগের তাকফিরি দল শেষ হতে না হতেই আরেক দল?
এবং ওজাহাতিদের মত এই। উনি স্বজ্ঞানে নেই। সেক্ষেত্রে লিড দেয়ার মত অবস্থায় উনি নেই।
কিন্তু এই রাস্তাটা আমি বাদ দিলাম। ধরে নিলাম স্বজ্ঞানে করেছেন।
৭
কিন্তু উনি আহলে হাদিস শিক্ষা পাননি। তবে হাদিস পড়েছেন। সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে উনি "বিদ্রোহী" ব্যক্তিত্বের। প্রতিষ্ঠিত নিয়মকে চ্যলেঞ্জ করতে ভালোবাসেন। "এটাই কি ঠিক?" একেবারে মূলে গিয়ে প্রশ্ন করতে। যেরকম আমাদের আহলে হাদিস ভাইয়েরা করেন।
যদি এটাই উনার ব্যক্তিত্ব হয় তবে পথভ্রষ্টতার সম্ভাবনা অনেক। যেহেতু উনাকে আর গাইড করার মতো কেউ নেই। যখন যা বুঝেন।
মুজাদ্দিদ হলে ভিন্ন কথা, as usual.
৮
ধরে নেই উনি মুজাদ্দিদ এবং সঠিক। তবে হাত তোলার কথা অস্বিকার করেছেন কেন?
"সরাসরি অস্বিকার করেন নি। সফটলি অস্বিকার করেছেন। ফিতনা এড়ানোর জন্য। তবলিগের সবাই দেওবন্দি যেহেতু তাই এখনই সব বদলানো যাবে না। আস্তে আস্তে করতে হবে। এবং উনি ব্যক্তিগত ভাবে যতটুকু সম্ভব ততটুকু 'সঠিক' টা পালন করার চেষ্টা করেন। ফিতনা এড়িয়ে।"
Makes sense. সে ক্ষেত্রে হানাফি/দেওবন্দি শিক্ষা ভুল।
এটাকেও একটা সফট টোন দেয়া যায়। "সব সময় দেওবন্দি/হানাফিরা ভুলে ছিলো না। আগে কোনো এক সময় পর্যন্ত ঠিক ছিলো। এর পর ভুল পথে গিয়েছে।"
বিশ্বাসের মূলে ঝাকুনি। Question everything.
৯
এই worst case scenario টা ধরি। কারন আমি দেখতে পারছি মুখে সবাই এই এক্সট্রিমটা আস্বিকার করতে করতে বাস্তবে সবাই ঐ দিকেই ছুটছে। কতদূর যাবে সেটা অজ্ঞাত।
দেওবন্দ যদি ভুল হয়? তবে?
- প্রথমে আমি দেখবো কোন ধরনের লোক কোন পক্ষে যাচ্ছে সেটা।
আগের তবলিগের দুইটা দলের দিকে দেখি। একটা ময়মনসিংহের সাধারন মানুষ। দ্বিতীয়টা বাংলাদেশ ব্যংকের অফিসাররা। দুই গ্রুপই ডেডিকেটেড তবলিগের কর্মি ছিলেন এক কালে। এক গ্রুপের এলম কম, কিন্তু তাকওয়া অনেক। অন্য গ্রুপের ইলম বেশি, কিন্তু তাকওয়া কম। কে কোন দিকে গিয়েছে?
ময়মনসিংগের লোকেরা শুনেছি সা'দ সাহেব এর বিপক্ষ আছেন।
বাংলাদেশ ব্যংকের অফিসাররা? এটা জানা নেই। এই ধরনের ইনসিগনিফিকেন্ট তথ্য এই কারনে আমার কাছে কখনো খুবই সিগনিফিকেন্ট হয়ে যায়।
১১
এ দেশে এই যুগে টাইটেল ধারি, পদবি ধারি, বা লকব ধারিদের একটা বড় অংশ bully টাইপের। পলিটিক্সে দক্ষ। হয়তো ইয়ং কালে পদ দখল করে নিয়েছেন সরল সোজা আল্লাহ ওয়ালাদের সাথে ধাক্কা ধাক্কি করে। এর পর চাটুকার জুটে গিয়েছে যারা উনাদেরকে বিভিন্ন পদবি দিয়ে সম্মানিত করে রেখেছে।
তাই "বড় নেতা" বা "পরিচিত ব্যক্তিত্বদের" দিয়ে হক বাতেল বুঝা যায় না। উনারা বাদ। তাদের মাঝে তাকওয়াবান কারা সেটা চিনতে পারলে ঐ কেইসগুলো সিগনিফিকেন্ট। এটা করতে হলে কারো পোষাক দ্বারা প্রাভাবিত না হবার মতো যোগ্যতা থাকতে হবে।
১২
Recently I had been seeing a bunch of Facebook ads offering this route to USA to Bangladeshis. "Agents" as they call them.
এর কারন এটা লিখা হয়েছিলো একেবারে টেকনলজির এজ [বিজ্ঞানের শেষ প্রান্তে] যা রিসার্চ হচ্ছিলো সেগুলো নিয়ে। এর রিফিউটেশন লিখতে হলে বিজ্ঞানকে আগে বাড়তে হবে।
দ্বিতীয় সম্ভাবনা ধারনা করছিলাম নাস্তিকরা না, বরং আলেমরা এর ভুল ধরে হই চই আরম্ভ করবে। সেটাও হয় নি। সেদিন দেখলাম উল্টো এক আলেম বলছেন এটা পড়ার জন্য।
দুই দলের মাঝে যে দল বেশি ঘৃনা দেখাচ্ছে, ধরে নিতে হবে সে দল তত বেশি ভুলের মাঝে আছে।
এর কারন ভুলের মাঝে থাকলে অন্তরে একটা অস্বস্তি জাগে। অস্বস্তি থেকে বিপরিত পক্ষের উপর ক্রোধ বাড়ে। "মানুষ ঐ পক্ষের ভুলটা বুঝতে পারছে না কেন?" সে থেকে বাড়ে ঘৃনা।
এই ক্রোধের অনেকটাই নিজের উপর। অজান্তে।
ঐ সময়ে আক্রমন না করে বরং একটু সময় নিয়ে থেমে চেক করা দরকার : আমি কিসের উপর আছি। ঠিক তো? তবে আমার অন্তরে এত ঘৃনা কেন?
আরবিতে একজনের নাম পড়লাম, "সা আকুন আলে সৌদ"। মানে, শিগ্রিই আমি সৌদির বংশধর হয়ে যাবো।
হুহ? তাই নাকি?
কতক্ষন পরে বুঝলাম, না, আসলে নাম "সাকিন আল সাদ"।
ساكن ال سعد
- আকিদা, কিছু লিখার পরে পড়ে আছে।
শেষে এই সা'দ সাহেবের উপর তিনটা পোষ্ট লিখে মনে হচ্ছে "দরকার কি খোচাখুচি করার?" অথচ আরো কমপক্ষে ছয়টা পোষ্ট দেয়ার প্লেন ছিলো।
- কোন পক্ষে কে?
ইন্ডিকেটিং,
নির্বাচনের "আগে - পরে" হিসাব করে দাবার ছক উল্ট গিয়েছে। ইনফেক্ট উল্টে গিয়েছিলো বিএনপি নির্বাচন করবে গো ধরে থাকার পর পরই।
কওমি-হেফাজত-মাদ্রাসা-তবলিগ সব পুতি এখন এক মালা। সরকারের হাতে।
Keep watching. এই মাসটা গুরুত্বপূর্ন। কি আসছে বুঝার জন্য।
জামাত এর পর আওয়ামিলিগের সাথে আন্দোলনে নামে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। জিজ্ঞাসা করেছিলাম কেন এরকম করছেন? বলছিলো এর পর যদি আওয়ামিলিগ ক্ষমতায় আসে তবে তাদের শেষ করে দেবে। এর থেকে বরং তাদের সাথে এক সাথে আন্দোলন আর এক টেবিলে বৈঠক করার কারনে আওয়ামিলিগের মনে একটা সিমপেথি থাকবে। জামাত নিজেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আন্দোলনে গিয়েছে।
এর পর ৯৬ এ আওয়ামিলিগ ক্ষমতায় এসে তাদের অর্ধেক করে দেয়। কিন্তু যুক্তি থাকে যদি ঐ সময়ে তাদের সাথে একত্রে আন্দোলন না করতো তবে পরিস্থিতি এখন আরো খারাপ হতো। তাদের একেবারেই শেষ করে দিতো, অর্ধেক না।
এর পর ২০০৮ পরবর্তিতে সে রক্ষাটাও হয় নি। যে বিশ্বাস নিয়ে তারা ৯০ এর দশকে একত্রে আন্দোলন করেছে সেটা শেষ পর্যন্ত তাদের শুধু ক্ষতির কারন হয়েছে। তত্বাবধায়ক বাংলার বা জামাতের কোনো উপকার করে নি।
History repeats itself.
হেফাজত সরকার তোষন করছিলো কেন? কারন মাদ্রাসা রক্ষা করতে হবে। সরকারের রোষানলে থেকে এটা সম্ভব না। পক্ষে এসেই করতে হবে।
Keep watching. নির্বাচনের আগে আর পরে।
And history repeating itself.
২
উপরেরটা ১৯০০ শতকের উক্তি ছিলো। এখন ২০০০ শতকে কি আবার নতুন করে আমাদের ফিকাহ বের করতে হবে?
করা যায়, এই উক্তি দিয়ে :
১৯০০ সালে কমপিউটার, ডিজিটাল আর্কাইভ ছিলো না। এখন একটা সার্চ দিয়ে আমরা ২ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ কিতাব খুজে বের করতে ফেলতে পারি। ইতিহাসের সমস্ত হাদিস সার্চ করতে পারি, কোনো একটা বাদ না দিয়ে।
যারা ঐ সময়ের আলেম ছিলেন, যেমন ইবনে বাজ, উথাইমিন, আলবানি রাহি:, তাদের কারো হাজার কিতাব পড়া থাকলেও এর বাইরে কিতাব আছে লক্ষ। লক্ষ হাদিস জানা থাকলেও এর বাইরে হাদিস আছে ১০ লক্ষ। তাই অনেক কিছু তাদের চোখে পড়েনি। অজানা ছিলো। বা কিছু জানা থাকলেও প্রয়োজনের সময়ে সব এক সাথে মনে আনা সম্ভব ছিলো না। যেটা এখন আমরা সার্চ দিয়ে করতে পারি।
এ জন্য ২০০০ শতকে পুরানো ফিকাহ ব্যবহার না করে আমরা নতুন ফিকাহ লিখতে পারি।
৩
উপরে,
২নং পয়েন্ট ভুল প্রমান করার জন্য আপনি যে যুক্তি ব্যবহার করবেন।
ঐ একই যুক্তি ১নং পয়েন্ট ভুল প্রমান করার জন্য ব্যবহার করা যায়।
// for those that won't "get it". All these are fake tech. will work against the warrior in real battle field, instead of helping him even if these were real, which it isn't.
বিসমিল্লাহ বলে মালিকি মাজহাব আরম্ভ করলাম।
মনে রাখতে হবে
১/ ইমাম মালিক, ইমাম আবু হানিফার কোনো ভক্ত ছিলেন না। এমন কি ছাত্রও ছিলেন না। তাই উনি আবু হানিফাকে অনুসরন করে "ভুল" শিক্ষা দিয়েছেন এটা বলার উপায় নেই।
২/ দুজন এক শহরেও ছিলেন না। তাই দুজনই "ভুল" শিক্ষা পেয়েছেন বলার উপায় নেই।
৩/ দুজন একই সময়ে ছিলেন। কিন্তু ইমাম আবু হানিফা থেকে ১০-২০ বছর জুনিয়ার ছিলেন। তাই আগে বা পরে জন্মেছিলেন বলে বেশি বা কম হাদিস পেয়েছিলেন সেটা বলার উপায় নেই।
৪/ উনি মূলতঃ মদিনা শরিফে থাকতেন। এবং মদিনাতে প্রচলিত সুন্নাহগুলোকে অগ্রাধিকার দিতেন আমলের ক্ষেত্রে। তাই উনি বলেছেন মানে আমি ধরে নেই মদিনা শরিফে এটা প্রচলিত ছিলো। এটা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর ওফাতের ১০০ বছর পর।
৫/ মালিকিরা মূলত থাকে আফ্রিকায়। তাই তাদের মাঝের কোনো দ্বিনী শিক্ষার ব্যপারে এই দাবি করার উপায় নেই যে "ভারত উপমহাদেশের হিন্দুদের থেকে এই কালচার মুসলিমদের মাঝে ঢুকেছে"। আফ্রিকা আর ভারত দুনিয়ার দুই প্রান্তে।
৬/ ইমাম আবু হানিফাকে যারা "আহলে রায়" দাবি করে তারা কেউ ইমাম মালেক সম্পর্কে কটুক্তি করার সাহস করে না। উনি অনেক উচু স্তরের বুজুর্গ। যার কবর মদিনার বাকির কবরস্থানে মার্ক করা আছে। উনার নবি প্রেম আর তাকওয়া বিশ্ব বিখ্যাত। সকল ইমামদের ক্ষেত্রেই এটা সত্য।
৭/ উনি নিজে হাদিস গ্রন্থ সংকলন করেছেন। নাম মুয়াত্তা। তাই হাদিস জানতেন না, বা মানতেন না বলার উপায় নেই।
তাই উনি যদি বলেন জোরে আমিন বলতে হবে নাকি আস্তে, এবং রাফে ইয়াদাইন করতে হবে নাকি হবে না, তবে যে যুক্তিগুলো দিয়ে আমরা হানাফিদের আক্রমন করি সেগুলো দিয়ে উনাকে আক্রমন করা যাবে না।
নতুন কিছু খুজতে হবে।
#HabibMaliki
মালিকি মাজহাবে রাফে ইয়াদাইন নেই। নামাজে তকবিরের সময় হাত উঠাতে হবে শুধু মাত্র তকবিরে তাহরিমাতে, অর্থাৎ নামাজ আরম্ভের সময়ে। রুকু সিজতার সময় তকবির হবে কিন্তু হাত উঠবে না।
মালিকিরা ঐ হাদিস অনুসরন করে যেটাতে বলা আছে "শুধু মাত্র প্রথম তকবির ছাড়া অন্য তকবিরে হাত উঠানো নেই।"
এটাকে তারা হানাফিদের থেকে আরো বিস্তৃত করে অনুসরন করে। হানাফিরা ঈদের নামাজের তকবিরে হাত তুলে কিন্তু মালিকিরা ঈদের নামাজেও হাত তুলে না। বিতিরের নামাজেও না। জানাজার নামাজেও না।
সোর্স : নেটে খুজলে পাবেন।
#HabibMaliki
খবর হলো গত সপ্তাহে মক্কার হারাম শরিফে পঙ্গপাল আক্রমন করেছিলো। আরব মিডিয়াতে ভিডিও এসেছিলো নেটে। কিন্তু আমি ধারনা করেছিলাম ফেইক, কারন খরবটা এতই অদ্ভুত। এখন মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে এর খবর। হারাম শরিফে পঙ্গপাল মারা হচ্ছে ধুয়া দিয়ে আর ফ্লোর থেকে পরিষ্কার করছে বিশেষ বাহিনি।
উল্লেখ্য বর্তমান বাদশাহ ক্ষমতায় আসার পর পরই হারাম শরিফে হজ্জের সময়ে এক বছরই পর পর কয়েকটা দুর্ঘটনায় ৬ থেকে ৮ হাজার হাজ্জি মারা গিয়েছিলো।
হারাম শরিফে পঙ্গপালের আক্রমন "সম্ভবত" এটাই প্রথম। উল্লেখ্য কাবা শরিফের উপর দিয়ে কোনো পাখি উড়ে যায় না।
Just a sign.
#HabibSign
যদিও ছাদে কোনো লোক হাটে না। বিড়াল নেই। এবং পাখিরা এই সব জায়গা খুজে বাসা বানানোর জন্য। বাসার জন্য নিরাপদ।
সুরা ফাতিহা শেষে আস্তে আমিন বলতে হবে। হানাফিদের মতো।
উল্লেখ্য মালিকি মাজহাবে ফাতিহা আরম্ভ করার আগে সুবহানাকা পড়া হয় না। এমন কি আউজুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়া হয় না। তকবির বলে নামাজ আরম্ভ করে সরা সরি সুরা ফাতিহা। এর পরে ইমাম মুক্তাদি দুইজনই আস্তে আমিন বলবে। তার পর সুরা মিলানো। এখানেও বিসমিল্লাহ ছাড়া। বিসমিল্লাহ পড়া মাকরুহ।
#HabibMaliki
আমিও চেষ্টা করবো এখানে choose and pick না করার জন্য। কেউ করে স্বান্তনা পেতে চাইলে এটা তার ব্যপার। আমি এর উর্ধে উঠার চেষ্টা করছি।
জুম্মার খুতবার সময়ে যে মসজিদে আসবে মালিকি মাজহাবে সে দুই রাকাত নামাজ না পড়েই বসে যাবে। হানাফিদের মতো। তাদের মত হলো খুতবার সময়ে নামাজ পড়া হারাম।
প্লাস ব্যখ্যা, খলিফাদের যুগে সাহাবা কিরামগন খুতবার সময়ে মসজিদে ঢুকে ২ রাকাত নামাজ পড়াকে অপছন্দ করতেন।
সোর্স : নেটে PDF.
#HabibMaliki
যে নামাজে ইমাম জোরে কিরাত পড়ে সে সব নামাজে মুক্তাদিরা ইমামের পেছনে সুরা ফাতিহা পড়বে না। পড়া মাকরুহ।
এবং যে নামাজে আস্তে কিরাত পড়ে সে ক্ষেত্রে পড়া মুস্তাহাব।
#HabibMaliki
আরবিতে হবে। শ্রোতারা বুঝুক বা না বুঝুক। অন্য ভাষায় দিলে খুতবা হবে না।
খুতবার মাঝে অন্য ভাষায় কথা বললে সে যেন ঐ সময়ে চুপ থাকলো। এতে সমস্যা নেই যদি লম্বা সময় চুপ না থাকে।
http://malikifiqhqa.com/uncategorized/the-language-of-the-friday-sermon-khutba-in-the-maliki-school/
#HabibMaliki
শুধু মাত্র মালিকি মাজহাবের আলেমদের বা ফলোয়ারদের মত কমেন্টে পোষ্ট করেন। ডমিনেন্ট ভিউ, মেজরিটি ভিউ বা মেইনস্ট্রিম ভিউ এখান থেকে জানা যাবে।
উল্লেখ্য "কোনটা ঠিক" -- এটা "ফেক্ট" না, বরং "অপিনিয়ন"। কোনটা তাদের মেজরিটি পালন করে এবং তাদের মেইনস্ট্রিম ভিউ -- এটা ফেক্ট। অপিনিয়ন নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। এখানে ফেক্ট খুজছি।
সালফি-হানাফি আলেমদের মত এখানে পোষ্ট করবেন না প্লিজ।
"নামাজের শেষ বৈঠকে আংগুল"
শাহাদাহ পড়ার সময় আংগুল তুলে ডানে বামে নাড়াতে হবে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত। সালাফিদের মতো।
"ঈদের নামাজ"
১১ তকবিরে। প্রথম রাকাতে ৬ দ্বিতীয় রাকাতে ৫। সবগুলো তকবির সুরা ফতিহা আরম্ভ করার আগে পড়তে হবে। তকবিরে হাত উঠবে না। হানাফিতে হাত উঠে।
"বেতের"
দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে, এর পর আবার এক রাকাত। সালাফিদের মতো। বেতেরে কুনুত নেই। কুনুত পড়তে হবে ফজরের নামাজের দ্বিতীয়র রাকাতে। রুকুতে যাওয়ার আগে।
#HabibMaliki
১
নামাজ শেষে কেবল একদিকে সালাম ফিরাতে হবে। দুই দিকে না। এবং বলবে সংক্ষেপে "আসসালামু আলাইকুম"। "ওয়ারাহমাতুল্লাহ" যোগ করবে না।
২
এখানে আমার একটা শিক্ষা আছে। হানাফিতে নিয়ম পড়েছিলাম,
- প্রথম সালাম ফিরানো ওয়াজিব, দ্বিতীয় সালাম সুন্নাহ।
- ইমামের প্রথম সালাম ফিরানোর আগে যদি কেউ তার সালাম ফিরানো শেষ করে তবে নামাজ হবে না। দ্বিতীয় সালামের ক্ষেত্রে সমস্যা নেই।
এগুলো আমার কাছে একসময় "দলিল-হীন" নিয়ম মনে হতো। "দুই সালামের মাঝে ভাগ করে একটাকে করা হয়েছে ওয়াজিব অন্যটাকে সুন্নাহ? কোন হাদিসে আছে?" - এই ধরনের চিন্তাভাবনা। এর পর প্রথমটার আগে শেষ করলে সমস্যা দ্বিতীয়টার আগে শেষ করলে সমস্যা নেই? এই সব "মাজহাবিয় গোড়ামি" আর কতো সহ্য করতে হপে?
৩
মালেকি মাজহাবের এক সালামের নিয়ম জানার পরে everything made sense. না কোনো ভুল নেই। আমি ছিলাম সন্দেহ প্রবন কারন আমি "জানি কম"।
আমি যে জানি কম সেটা ফেসবুকবাসি প্রথম থেকেই বলছিলো। কান দেই নি। এখন দেখা যাচ্ছে সত্য।
৪
এর সাথে আছে যে দেরিতে জামাতে এসেছে [মাসবুক] সে ইমামের এক সালামের পর উঠে দাড়াবে নাকি দুই সালামের পর এটা নিয়ে দ্বন্ধ। ৮০ এর দিকে মসজিদে দেখতাম মুসুল্লিরা এক সালামের পর দাড়ায়। কিতাবে নিয়ম লিখা ছিলো দুই সালামের পরে দাড়াতে হবে।
এখন বুঝতে পারি দুটোই কম বেশি ঠিক। কারন প্রথম সালামটা আসল।
প্লাস মক্কা শরিফে জানাজার নামাজের পরে এক দিকে সালাম যে ফিরায় সেটাও আমার কাছে এখন আর "odd" মনে হয় না।
৫
যেভাবে মালিকি মাজহাব থেকে অনেক কিছু শিখেছি।
#HabibMaliki
কোথাও বাধতে হবে না। হাত নিচের দিকে ছেড়ে নামাজ পড়তে হবে। একে মালিকিরা বলে "সদল"। হাত নিচের দিকে এটেনশন করে টান টান করেও রাখতে হবে না। স্বাভাবিক ভাবে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
এর উপর আগে লিখেছিলাম। তাই এখানে আর লম্বা করলাম না। লিংক কমেন্ট।
#HabibMaliki
তাই কড়া কথা হলেও শেয়ার করছি। লিংক কমেন্টে।
হাবি জাবি তর্কে আগ্রহ নেই। আমার বয়স বেশি হয়ে গিয়েছে যেহেতু। তর্ক বহু বছর ধরে করেছি। কিন্তু আপনি ইন্টারেষ্টেড হলে চালাতে পারেন। নেটে অনেক আইডি আছে যারা আপনার সাথে এসব ব্যপারে "ডিসকাশন" [তর্ক] করবে।
বস্তুত বলা হয়েছে দুই পক্ষই একে অন্যকে যেন মেনে নেয় এবং মারামারি না করে। কারন নিজেরা মারামারি করলে অন্যদের দাওয়াহ দেয়ার মতো সম্মান-প্রভাব বাকি থাকে না।
আমি বুঝলাম, তবলিগের দাওয়ার মেহনতের ময়দান সারাবিশ্বে মোটামুটি সংকুচিত হয়ে এসেছে। শক্তি যেহেতু ব্যয় হচ্ছে বিরোধিতায়। আর এর নেগেটিভ ইফেক্টে।
এদেশে যেমন, সেটাই এখন সারা বিশ্বে।
২
দেওবন্দে মন্ত্রীরা আজকে যাচ্ছেন এমন কোনো খবর নেই। কবে যাবেন সেটা অনিশ্চিৎ। অন্য খবর, "শেষ স্বিদ্ধান্ত দেবে শেখ হাসিনা, দেওবন্দ না।"
সরকারের এখন এন্টি-হেফাজত স্ট্যন্ড থেকে ধারনা করছি এখন থেকে উনারা ঝুকে থাকবেন এতায়তিদের পক্ষে। অথবা দেশে "শান্তির" কথা চিন্তা করে stay-still order. এ ক্ষেত্রে ইজতেমা আর হবে না।
কি হবে সেটা শিগ্রই বুঝা যাবে।
৩
অযোগ্য বা অসৎ কেউ নেতৃত্বের উর্ধে উঠতে পারে। পলিটিক্স করে যদি সে পলিটিক্সে দক্ষ হয় আর আশে পাশে সবাই সৎ এবং দ্বন্ধ বিমুখ হয়। এর পর সৎদের সাথে অসৎরা মিলে থাকলে বুঝার উপায় নেই কে কেমন। চাটুকাররা সবারই প্রশংসা করে যেহেতু। সাধারন অনুসারিরা নেতাদের সমালোচনা করা বা দোষ ধরতে যায় না যেহেতু।
ফিতনা লাগলে এই বিভাজনে অযোগ্যরা ছিটকে বেরিয়ে আসে।
ব্যসিক্যলি এখানে বলা হচ্ছে :
হানাফিরা অনুসরন করে : শরিয়ার ক্ষেত্রে তকলিদ, আকিদার ক্ষেত্রে না।
সালাফিরা অনুসরন করে : আকিদার ক্ষেত্রে তকলিদ, শরিয়ার ক্ষেত্রে না।
যে কারনে আমি দেখি সালাফিতে আকিদা "শিক্ষা নেয়ার" উপর প্রচন্ড গুরুত্ব দেয়া হয়। শরিয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা যে যা বুঝে।
হানাফিতে শরিয়ার শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্ব বেশি। আকিদায় অনেকটা যে যা বুঝে।
// the above been put boldly. not literally.
paste___
আকিদার দলিল গ্রহণে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন জরুরী ....
শরীয়তের মৌলিক দলিল চারটি যথাঃ
১. কুরআন।
২. সুন্নাহ।
৩. ইজমা।
৪. কিয়াস।
আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত এই চার মূলনীতি অনুসরণ করে। মুসলিম উম্মাহের ইজমা যে কোন যুগেই হতে পারে। সাহাবীদের ইজমা, তাবেয়ীগণের ইজমা কিংবা পরবর্তী যুগের আলেমদের ইজমাও শরীয়তের দলিল।
এই চার মূলনীতির বাইরে শরীয়তের অন্য কোন দলিল নেই। সালাফদের ব্যক্তিগত মতামত শরীয়তের পৃথক কোন দলিল নয়। বিষয়টা এমন নয় যে, সালাফদের যে কেউ যাই বলুক, সেটাই শরীয়তের দলিল হয়ে যাবে। তবে কোন বিষয়ে সালাফদের মধ্যে যদি ইজমা হয়, তাহলে সেটা শরীয়তের দলিল হবে। নতুবা এটা সাধারণ বক্তব্য হিসেবে ধর্তব্য হবে। সালাফদের মধ্যে যারা ইজতিহাদের যোগ্য ছিলেন, তাদের কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক ইজতিহাদ শরীয়তের দলিল বলে গণ্য হবে। মুজতাহিদের ইজতিহাদ সব যুগেই শরীয়তের দলিল। এটা শুধু সালাফদের সাথেই নির্দিষ্ট নয়। সালাফদের যুগ অবশ্যই উত্তম যুগ ছিলো। এটা রাসূল (সা.) এর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। একইভাবে সালাফদের ইলম,তাকওয়া, যুহদ অবশ্যই অতুলনীয়। ইবনে রজব হাম্বলী রহ. তাদের ইলমের ফজীলতের বিষয়ে পৃথক কিতাব লিখেছেন। ফাজলু ইলমিস সালাফ আলাল খালাফ। কিন্তু তাদের প্রত্যেকের সকল বক্তব্য শরীয়তের দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে না। এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
কিছু ভাইয়ের মধ্যে এক ধরণের স্ববিরোধীতা দেখা যায়। বিষয়টা বেশ অবাক করার মতো। উলামায়ে কেরামের মতে তাকলীদ হয় ইজতিহাদী মাসাইলের ক্ষেত্রে। অধিকাংশ আলেমের মতে আকিদার ক্ষেত্রে তাকলিদ করার অনুমতি নেই। আমাদের এই ভাইয়েরা বিষয়টা উল্টিয়ে দিয়েছেন। তারা ইজতিহাদী মাসআলায় তাকলীদ অস্বীকার করেছেন আর আকিদার ক্ষেত্রে কিছু লোকের অন্ধ তাকলিদ করার দাওয়াত দিয়ে থাকেন। অথচ বাস্তবতা এর বিপরীত হওয়া উচিৎ ছিলো। এসব ভাইদের কাছে কারও বক্তব্য দ্বারা মুস্তাহাব প্রমাণিত হয় না, অথচ আকিদার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তারা ব্যক্তির কথাকে শরীয়তের দলিল বানিয়ে দেয়। এর চেয়ে আশ্চর্য আর কী হতে পারে? অথচ আকিদার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। কোন ব্যক্তির বক্তব্য দলিল হওয়া তো দূরে থাক, বহু আলেমের মতে খবরে ওয়াহিদ বা একক রাবী বর্ণিত সহীহ হাদীসও আকিদার দলিল নয়।
আকিদার বিষয়ে কোন ব্যক্তির বক্তব্য দলিল হতে পারে না। তিনি সালাফ হোক কিংবা সালাফের পরবর্তী কেউ হোক। শরীয়তের দলিল ছাড়া অন্য কারও দলিল চাওয়ার কোন অর্থ নেই। সালাফের বুঝ কোন দলীলের সহায়ক হতে পারে, তবে সেটি শরীয়তের কোন দলিল নয়। এটা ভালো করে মনে রাখা প্রয়োজন। মাসআলা মাসাইলে মুজতাহিদ ইমামগণের ইজতিহাদ শরীয়তের দলিল। কিন্তু আকিদার মাসআলায় ইজতিহাদ যেমন অপ্রয়োজনীয়, তাদের বক্তব্যও শরীয়তের কোন দলিল হতে পারে না। এজন্য আকিদার মাসআলায় কুরআন-সুন্নাহের অকাট্য দলিল ছাড়া অন্য কারও বক্তব্য চাওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আমার কথার সাথে কেউ একমত না হলে আকিদার মাসআলায় কোন ব্যক্তির বক্তব্য কতটুকু দলিলযোগ্য আগে সেটা আলোচনা করুন। আগে এটা প্রমাণ করুন যে, আকিদার মাসআলায় পূর্ববর্তীদের প্রত্যেকের বক্তব্য শরীয়তের দলিল। প্রত্যেকের বক্তব্য যদি দলিল না হয়, তাহলে কার, কোন বক্তব্য দলিল হবে সেটিও আলোচনা করুন। কারও বক্তব্য কতটুকু দলিলযোগ্য সেটা উল্লেখ না করে তার বক্তব্য বা রেফারেন্স উল্লেখ করা অর্থহীন। এজন্য যারা মুস্তাহাব প্রমাণে সাহাবী বা তাবেয়ীর কথাকে দলিল মানতে নারাজ, তারা আকিদার ক্ষেত্রে কীভাবে দলিল মনে করে সেটাই বিস্ময়।
এখানে আবেগ দিয়ে কথা বললে কাজ হবে না। আপনি আকিদার মাসআলায় ইমাম আবু হানিফা রহ. এর বক্তব্যও যদি আনেন, সেটা আমার কাছে দলিল নয়। খুব ভালো করে মনে রাখবেন। তাকলীদ বিষয়ে মুফতী তাকী উসমানী দা. বা. এর বইটা দেখুন। সেখানে কোথায় তাকলীদ হবে আর কোথায় হবে না, সেটা স্পষ্ট করা আছে। সেখানে লেখা আছে, মৌলিক আকিদার বিষয়ে কোন তাকলীদ হবে না।
যেটা শরীয়তের দলিল নয়, সেটাকে মৌলিক দলিলের স্থান দেয়া কখনও সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। এটি অবশ্যই অন্যায়। যারা আকিদার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী আলেম কিংবা সালাফের বক্তব্যকে শরীয়তের মৌলিক দলিলের মান দিয়ে থাকেন, তাদের একাজ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। শরীয়তের মৌলিক দলিলকে তার স্থানে রাখুন, আলেমদের মতামতকে স্বস্থানে রাখুন। এটাই ইনসাফের দাবী।
বিষয়টা ভালো করে বোঝার জন্য একটা উদাহরণ দেই। কিছু মুহাদ্দিস ইমাম মুজাহিদ রহ. থেকে একটা ইসরাইলী রেওয়াত বর্ণনা করেছে। মাকামে মাহমুদের ব্যাখ্যা হিসেবে এই বর্ণনায় বলা হয়েছে, মাকামে মাহমুদ হলো, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন রাসূল স.কে তার সাথে আরশে বসাবেন।
শুধু এই ইসরাইলী রেওয়াতের উপর ভিত্তি করে বিশাল এক আকিদা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অনেকে তো রীতিমত এটার পক্ষে কিতাব লিখেছে। অনেকে বলেছে, যে বিশ্বাস করলো না যে, আল্লাহ তায়ালা আরশে রাসূল (সা.) কে তার সাথে বসাবেন, সে জাহমিয়া। অনেকে আবার বলেছে, এ ব্যাক্তি কাফের।
আল্লাহর সাথে রাসূল (সা.) আরশে বসবেন, এই ধরণের জঘন্য কথায় বিশ্বাস না করলে তাদের মতে কুফুরী হবে। চিন্তা করুন। যারা এধরণের কথা বলেছে, তারা অজুহাদ দিয়েছে আমাদের পূর্ববর্তীরা এটা বর্ণনা করেছে। এটাতে বিশ্বাস না করলেই তুমি জাহমিয়া। কী আজীব অবস্থা। অথচ উক্ত কথাটাকে শরীয়তের মানদন্ডে যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। পানি এতোদূর গড়িয়েেছে যে, এটাতে বিশ্বাস না করার কারণে ইমাম ইবনে জারীর ত্ববারী রহ. এর ঘরে পাথর মারা হয়েছে।
এভাবে বিভিন্ন ধরণের জঘন্য আকিদা সালাফের নাম ব্যবহার করে ইসলামী আকিদার অংশ বানানো হয়েছে। আর কেউ শরয়ী দলিল চাইলে তাকে জাহমিয়া, কাফের, জিন্দিক ইত্যাদি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এজন্য আকিদার ক্ষেত্রে সব সময় আমাদেরকে মৌলিক দলিলকে সামনে রাখতে হবে।
এধরণের আরেকটি উদাহরণ দেই। কিছু লোক বিশ্বাস করে যে আল্লাহ তায়ালা সীমা রয়েছে। যেমন ইবনে তাইমিয়া রহ. এই আকিদা পোষণ করতেন। এটি একটি সুস্পষ্ট ভ্রান্ত আকিদা। আল্লাহর হদ বা সীমা থাকার বিষয়টি কোন শরয়ী দলিল দ্বারা প্রমাণিত নয়। আর এটি হতেও পারে না। আব্দুল্লাহ ইবনে মোবারক রহ. এর একটি সম্ভাবনাময় বক্তব্যকে অবলম্বন বানিয়ে এটাকে ইসলামী আকিদা বানানো হয়েছে। ইবনে তাইমিয়া রহ. ও তার অনুসারীরা এখনও এই ভ্রান্ত আকিদা প্রচার করে থাকে। সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে তারা কিতাবও বের করেছে এই ভ্রান্ত আকিদা প্রচারের উদ্দেশ্যে।
ইবনে হিব্বান রহ. আল্লাহর জন্য সীমা থাকার আকিদাকে বাতিল মনে করতেন। আল্লাহর স্বীমা অস্বীকারের কারণে সে সময় ইবনে হিব্বান রহ. কে তার শহর থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
এবার চিন্তা করুন, সালাফের অনুসরণের নামে কীভাবে ইসলামী আকিদায় বিভিন্ন ধরণের ভ্রান্ত আকিদা জায়গা করে নিয়েছে। এরকম আরও বহু আকিদা শুধু কিছু ব্যক্তির মতামতকে কেন্দ্র করে ইসলামী আকিদার অংশে পরিণত হয়েছে। অথচ এগুলোর অধিকাংশই ভ্রান্ত আকিদা।
ইমাম আওযায়ী রহ. বলেন “যে ব্যক্তি আলেমদের ‘নাদেরসমূহ’ অনুসরণ করবে সে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবে”। -সুনানে কুবরা বায়হাকী, ১০/২১১;সিয়ারু আলামিন নুবালা ৭/১২৫;তাজকিরাতুল হুফফাজ ১/১৮০।
-নাদের হচ্ছে, সকল আলেমের বিপরীতে বিরল এক মত। আজ একটি দলের অনুসরণীয় ব্যক্তিদের মাঝে বিষয়টি বেশ লক্ষনীয়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এসব ভ্রান্তি থেকে হেফাজত করুন।
এখন দলিয় লোকজন এর "প্রকৃত" ব্যখ্যা দেবে। এর পর চাইবে যে আমিও যেন তাদের কথাই প্রচার আর প্রসার করি। সব দলই যেরকম চায়।
বাকি আমার ব্যখ্যা? ইজতেমা যে অনিশ্চিৎ, এর আরেকটা নিদর্শন।
No special sign there. যারা এটাকে স্পেশিয়ালি হাইলাইট করছেন।
১
মালিকিতে নামাজে আন্তরিকতাটা আসল। আল্লাহর ধ্যন। ধিরে সুস্থে আন্তরিকতার সাথে নামাজ পড়া। হাত পা কি ভাবে রাখা হবে কতটুকু নড়বে এগুলোতে কোনো ফোকাস নেই। যেভাবেই করা হোক সমস্যা নেই। কিন্তু দুই সিজদার মাঝে সোজা হয়ে বসে নি? নামাজ হবে না, কারন এটা ফরজ। হানাফিতে ছিলো ওয়াজিব, সহু সিজদা দিলেই হয়ে যেতো।
এরকম হজ্জের সময়েও দেখেছি মালিকিদের সবচেয়ে অন্তরিক ভাবে নামাজ পড়তে। একেবারে গোলামি। কিন্তু হাত পা ঊঠা বসা সেগুলোর দিকে কোনো খেয়াল নেই।
পরে জেনেছি তাদের মাজহাবের নিয়মই এরকম।
২
মালিকিতে সম্মিলিত জিকির নেই। জোরে জিকির নেই। সম্মিলিত দোয়া নেই। জোরে সম্মিলিত দোয়া সালাফিতে আছে। যেমন রমজানে বেতেরে দেখা যায়। মালিকিতে কুনুত পড়তে হয় আস্তে। যে যার মতো।
এর কারন হিসাবে ইমাম মালিক বলেছেন সম্মিলিত জোরে দোয়াতে আল্লাহর কাছে নিজেকে নিচু করে আকুতি করার বদলে একটা শো অফ হয়ে যায় কে কত সুন্দর দোয়া করতে পারে।
এজন্য এক সময় দেখতাম কাবায় তারাবির শেষ ১০ রাকাত সবসময় ইমাম সুদাইস পড়াতেন, কারন অন্য কেউ উনার মতো সুন্দর দোয়া করতে পারবে না। এটা খারাপ বলছি না। কিন্তু একটা পার্সপেকটিভ।
বাংলাদেশেও এই রকম দোয়ার প্রতিযোগিতা দেখা যায়।
৩
আর মালিকিতে তাসাউফ আছে। কতটুকু আছে সেটা পরে আরো ভালো মতো পড়ে জানতে হবে। কিন্তু "তাসাউফ এই উপমহাদেশের হিন্দুদের থেকে এসেছে। আল্লার রাসুল ﷺ আমাদের এই শিক্ষা দিতে আসেন নি।" -- এই যুক্তি মালিকিদের ক্ষেত্রে খাটানো যায় না।
এতটুকু শুধু জানার ইচ্ছে ছিলো।
#HabibMaliki
#hTasauf
মিলার সেটা ছেটে চাল বের করে ১ কেজি।
বিক্রি করে ২৮ টাকায় পাইকারদের কাছে।
পাইকাররা এটা শহরে এনে বিক্রি করে ৪০ টাকায়। খুচরাদের কাছে।
খুচারা ওয়ালারা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে ৪২ টাকা কেজিতে।
খরচ :
ধানের দাম : ২৫/=
ধান ছাটা : ৩/=
ট্রাকে করে আনা : ১২/=
দোকানদার : ২/=
ট্রাকে আনার খরচ বেড়ে যায় যখন দেশে চাদাবাজি বেড়ে যায়।
১
এখানে মাজহাবগত পার্থক্য আছে :
হানাফি : সাক্ষি আর মোহরানা শর্ত। ওলি না হলেও চলে।
হাম্বলি : সাক্ষি আর ওলি শর্ত। মোহরানা না হলেও চলে।
মালেকি : ওলি আর মোহরানা শর্ত। সাক্ষি না হলেও চলে।
এটা নিয়ে একজন আলেম বলছিলেন যদি কেউ প্রতি মাজহাবের সবচেয়ে সহজ জিনিসটা নিয়ে আমল করতে চায় তবে সে সাক্ষি, মোহরানা এবং ওলি কোনোটা ছাড়াই বিয়ে করতে পারে।
২
এটা উপলব্ধির ব্যপার যে হুকুমগুলোর মাঝে একটা ইন্টার ডিপেন্ডেন্সি আছে। এক মাজহাবে একটা সহজ করা হয়েছে অন্যটা কঠিন করা হয়েছে বলে।
কওমি ধারায় একটা স্প্লিট। বা নতুন ধারা। দেওবন্দি হিসাবে নিশ্চই নিজেদের পরিচয় দেবে না? কারন দেওবন্দের সাথে ঝগড়া।
কোন পথে হাটে সেটা দেখার বিষয়। হানাফি? মাজহাব নিউট্রাল - সালাফি? অন্য কিছু?
মালেকি মাজহাবে মাগরিবের পরে স্ট্যন্ডার্ড সুন্নাহ ধরা হয় ৬ রাকাত। সবচেয়ে বেশি সোয়াব যেখানে। যাকে আমরা বলি আওয়াবিন।
কিন্তু "চাশত, তাহাজ্জুদ আছে, তবে আওয়বিন নামে কোনো নামাজ নেই" -- এটা শুনে আমি নিরুৎসাহিত ছিলাম এই নামাজের ব্যপারে। এখন দেখি উল্টো।
মালেকি থেকে যা শিখলাম, এটা তার একটা।
২
এটা আবদাল كرز بن وبرة কে শেখানো খিজির আঃ এর দোয়া, যা উলুমুদ্দিনে বর্নিত আছে কাহিনি সহ।
#HabibDua
হেফাজত বিরোধি আনেক পোষ্ট আসবে সামনে। আপনি সহ্য করতে পারবেন তো? হয়তো এগুলো না পড়াই ভালো আপনার জন্য। Things can only go downhill from here.
১। প্রতিবেশির হক নষ্ট করা।
২। মিনারে উঠার আমানত খিয়ানত করা।
২। মুয়াজ্জিন হিসাবে বিশ্বাস খিয়ানত করা।
সবার জন্য শিক্ষা।
হে আল্লাহ আমাকে মাফ করেন। আর মু'মিনদের।
১
আহলে হাদিসে বিয়ের সময় ওলি লাগে। মানে কোনো মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করলে তার বিয়ে হবে না। তার অভিবাবক তাকে বিয়ে দিতে হবে।
হানাফিতে এই শর্ত নেই।
তাই বিয়ের সময়ে অনেক আহলে হাদিসের অনুসারিরা হানাফি নিয়মে বিয়ে করে যদি মেয়ের বাপকে রাজি না করাতে পারে। কিন্তু মেয়ে রাজি সেক্ষেত্রে।
২
এর পর পালিয়ে বিয়ে করলে যা হয়। ঝগড়া। কিছু দিন পর পর "তালাক দিলাম, তালাক দিলাম" বলে চিৎকার। এর পর বেলা পার হলে, "না আমি রাগের মাথায় দিয়েছি" "দিতে চাই নাই"।
এইখানে আবার আহলে হাদিস সফট। এক ঘটনায় যতবারই তালাক দেয়া হোক এক তালাক হবে। মানে বিয়ে ভাঙ্গে নি। হানাফিতে বিয়ে ভেঙ্গে গিয়েছে তিন বার তালাক বললেই।
এখন ডেসপারেট হানাফি ভাইরা বিয়ে টিকানোর জন্য এই সময়ে আহলে হাদিস হয়ে যায়।
সে থেকে ফ্রেইজ "বিয়ের সময়ে হানাফি, তালাকের সময় আহলে হাদিস।"
৩
আমি বেলেন্সটা দেখি এভাব,
আহলে হাদিসে : পালিয়ে বিয়ে করার উপায় নেই, তাই তালাকের ব্যপারে সফট।
হানাফিতে : পালিয়ে বিয়ে করা যায়, তাই তালাকের ব্যপারে কঠোর।
কিন্তু ক্রস মাজহাব হলে দুই দিকের কঠিনটা বাদ দিয়ে শুধু সহজটা নিতে পারেন।
১
এটা সলভড হলে, এর পর কোন স্তরের জান্নাতি?
জান্নাত ৮ টা আছে, এটা প্রচলিত মত। হাদিসে বলা আছে জান্নাতের ১০০ টি স্তরের কথা। অন্য হাদিসে আছে কোরআনের প্রতি আয়াত কারো মুখস্ত আছে তার জন্য জান্নাতে এক স্তর করে বাড়বে। সে হিসাবে ৬০০০ স্তর।
আর্থাৎ বহু স্তর। স্তরগুলোকে বিভিন্ন ভাবে গ্রুপ করা হয়েছে।
২
যদি ধারনা করি জান্নাতে গেলেই আমি সর্বোচ্চ স্তরে থাকবো তবুও ভুল।
ধরি যে ৬০ বছর বাচলো তার জীবনে প্রতি ৫ বছর পর পর আল্লাহ তায়ালা একটা পরিক্ষা নেবেন। যদি সে সেটায় পাশ করে তবে এক স্তর জান্নাত বাড়লো। মেটাফরিক কথা।
সে তাহাজ্জুদ পড়ে? সর্বোচ্চ জান্নাতে যাবে? না তা না। এক স্তর বাড়লো।
দুনিয়াতে দরিদ্র ছিলো যার উপর সবর করেছে? আরেক স্তর বাড়লো।
অন্ধ ছিলো? বা পঙ্গু? আরেক স্তর বাড়লো।
পিতা-মাতা খুবই বদমেজেজি ছিলো, এর পরও তাদের খিদমত করেছে? আরেক স্তর।
৩
দিনের শেষে নিজের আমল দিয়ে কেউ জান্নাতে যাবে না। আল্লাহর রহমত দিয়ে। কিন্তু আল্লাহর রহমত তার উপর বেশি, সে দুনিয়াতে যা করেছে তার উপর।
১
এটা আমার জন্য না। হানাফিতে সোয়াবের ব্যপারে জয়িফ হাদিস গ্রহনযোগ্য। কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের সালাফি ভাইদের জন্য। উনারা কি করবেন? তাই উনাদের প্রশ্ন আমাকে ঘেটে এনে বলতে হয় "এটা সহি বা এটা জয়িফ"।
এতে
১। সময় বেশি লাগে।
২। আমার কোনো লাভ নেই।
৩। করলেও পোষ্টে তর্ক বাড়ে।
২
যেমন এখন একটা হাদিস পোষ্ট করতে চাচ্ছিলাম। যে ১০ বার কুলহু আল্লাহ পড়বে জান্নাতে আল্লাহ তায়ালা তাকে ১টা ঘর তৈরি করে দেবে।
সহি?
islamqa বলছে সহি না। জয়িফ। শায়েখ ইবনে বাজের তাহকিক।
https://islamqa.info/ar/answers/118152/
কিন্তু শায়েখ আলবানি এর কোনো মত এখানে নেই। কেন নেই এটা পরে বুঝলাম। আলবানির মতে এই হাদিস সহি। সহি আল জামিয় ৬৪৭২ এ হাদিসটা আছে।
http://www.almeshkat.net/vb/showthread.php?t=138741
তবে কি বুঝবো?
আমি বলে দেবো হাদিসটা সহি? বলে দেবো হাদিসটা জয়িফ?
সহি জয়িফ পুরোটা যে ব্যক্তির-মত এটা আমি জানি। হাদিস যখন পড়তাম তখনই দেখতাম একই হাদিসে লিখা অমুকের মতে সহি, অমুকের মতে গরিব, অমুকের মতে হাসান।
কিন্তু আমাদের সালাফি ভাইরা এটা স্বিকার করে না। তাদের মতে সহি জয়িফ এক্সাক্ট সাইন্স। এখানে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
৩
এর পর প্রশ্ন আসে উনাদের সমস্যার সমাধান আমাকে করে দিতে হবে কেন? কারন হানাফিতে এই ব্যপারে সহি-জয়িফে দুটোই গ্রহন যোগ্য।
হানাফি-সালাফি উভয় পক্ষকেই মানিয়ে চলার চেষ্টা এমন একটা সমস্যা যার কোনো সমাধান নেই। লাভও নেই।
কিন্তু না করলে কমেন্টে কেউ না কেউ তর্ক নিয়ে আসবে।
১
৯০ এ তবলিগে দুটো দল আমার চোখে পড়তো। ময়মনসিংগের সাধারন মানুষ। আর ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যংকের ডিরেক্টররা যারা সংখ্যায় ছিলো অনেক। কেউ কেউ মুরুব্বি।
কে কোন দলে? সা'দ সাহেবের পক্ষে বা বিপক্ষে?
ময়মনসিংহের মানুষরা বিপক্ষে, যতটুকু শুনেছি।
বাংলাদেশের ব্যংকের ডিরেক্টররা? এটা আমাকে জানতে হবে।
২
বিদেশি জামাত আসতো তিন দেশ থেকে :
১। দক্ষিন আফ্রিকা
২। মালয়শিয়া।
৩। আরব।
এর কে কোন দিকে?
দক্ষিন আফ্রিকা : বিপক্ষে।
মালয়শিয়া : পক্ষে।
আরব : বিপক্ষে।
৩
এখন মুরুব্বিদের মাঝে ভাগ করার পালা। আমি ঐ সময় থেকে চিনতাম শুধু দুই জনকে :
মাও জোবায়ের সাহেব : বিপক্ষে।
ইউনুস শিকদার সাহেব : পক্ষে।
৪
নিজামুদ্দিনের মুরুব্বিরা?
ঐ সময় থেকে আমি শুধু একজনকেই চিনি। আহমদ লাট সাহেব। সাদ সাহেব ৯০ এর শেষের দিকে জনপ্রিয় হয়েছেন। উনাকে যখন শুরা সদস্য করা হয়েছিলো তখন উনাকে আমরা চিনতাম না। বা আগে নামও শুনি নি।
তাই শুধু,
আহমদ লাট সাহেব : বিপক্ষে।
৫
ঐ সময় প্রেডিকশন কি ছিলো? বলা হতো আরবরা আর উলামারা তবলিগের কাজের দায়িত্ব একসময় নিয়ে নেবে। কি অর্থে কি ব্যখ্যায় কি বিষয়ে কি সময়ে সে তর্কে গেলাম না। বোল্ডলি নিলাম অর্থ।
আলেম : বিপক্ষে।
আরব : বিপক্ষে।
৬
এর পর? আর বাকি কে? ফিতনা লাগার আগে থেকে কোন কোন গ্রুপগুলোকে চিনতাম তবলিগের মাঝে ভালো বা মন্দ হিসাবে? এবং তাদের মাঝে এখন কে কে কোন দিকে? এগুলো থেকে হিন্টস পাওয়া যায় কোন পক্ষ ঠিক, কোন পক্ষ ভুল।
৭
বড় ভাইদের মাঝে যাদের দেখতাম নিজের আত্মসমালোচনায় বেশি উদ্বিগ্ন থাকতে তারা কোন দিকে? আর যাদের দেখতাম অন্যর সমালোচনায় বেশি উদ্বিগ্ন থাকতে তারা?
এই সবই ইন্ডিকেটর।
৮
এখন বিভাজনে কে কোন গ্রুপের লিড দিচ্ছে? সা'দ সাহেবের পক্ষে-বিপক্ষে।
মাও জোবায়ের সাহেব : বিপক্ষে।
ওয়াসিফ সাহেব : পক্ষে।
দুজনের মাঝে কাকে বেশি তাকওয়াবান মনে করবো? ওয়াসিফ সাহেবকে উত্তম মনে করতে হলে এটাও সত্য ধরতে হবে যে ইলম মানুষকে মিসগাইড করতে পারে এবং সেক্ষেত্রে একজন দুনিয়াদার দ্বায়ি ঐ আলেমের থেকে উত্তম হতে পারে।
অথবা মাও জোবায়ের সাহেব আলেম না, একা একা নিজের বুঝে চলেন। কিন্তু এটা সত্য না কারন উনি বড় সড় একটা আলেমদের গ্রুপের সংগে আছেন।
৯
রুহানী গাইড? কোন পক্ষের কারা?
ফরিদ উদ্দিন মাসুদ সাহেব : পক্ষে।
বিপক্ষে? আব্দুল মালেক সাহেব?
ফরিদউদ্দিন মাসুদ সাহেবকে উত্তম ধরতে হলে এও ধরতে হবে যে "দরবারি" বলতে আমরা যা বুঝি সেটা খারাপ না। কারন, হাদিসে শাসকের পক্ষে থাকতে বলা হয়েছে। আর উনার আমেরিকা, জাতিসংঘ তুষ্টির চেষ্টা? মডারেট অনুষ্ঠান? এগুলো ব্যপারে বলতে হবে আমরা এসবকে যত খারাপ ধারনা করি তত খারাপ না।
১০
এর পর চেতনা দন্ড। এটা overwhelmingly clear,
চেতনা : পক্ষে।
এন্টি-চেতনা : বিপক্ষে।
"পাকিস্তান থেকে সমস্ত ফিতনার উদ্ভব হয়", "পাকিস্তান পন্থিদের বহিস্কার করো" এই শ্লোগান গুলো আরো বেশি প্রমান।
পক্ষের দল যদি হক হয় তবে ধরে নিতে হবে চেতনাই সত্য। বর্তমানে চেতনার জয় জয়কার এর দলিল। বাংলাদেশ ভারতের অংগ হলে আরো ভালো হতো। পুরানো তবলিগওয়ালাদের মাঝে এই বিশ্বসটা আগেই প্রচলিত ছিলো। এবং এগুলো ইমোশন দিয়ে বিচার না করে যুক্তি দিয়ে বিচার করতে হবে।
১১
শেষে দেখতে হবে কোন ক্লাসের মানুষ কোন দিকে যাচ্ছ?
স্বল্প শিক্ষিত সাধারন মানুষ? - জানা নেই।
ক্ষমতাবান আর অর্থবানরা? - পক্ষে।
বয়স্করা? - পক্ষে
ইয়ং জেনারেশন? - বিপক্ষে
এগুলো সব একেকটা ইন্ডিকেটর।
যখন দেখি ক্লাস-মেটরা ইউরোপ আমেরিকাতে। আমি কিছু করতে পারলাম না।
কিন্তু "সফল"-দের সারা জীবনের সফলতা কি? ঢাকায় বাড়ি? বিদেশে বাড়ি?
দশবার "কুলহু আল্লাহ" পড়ি। জান্নাতে একটা বাড়ি হয়ে যাবে। বা কোনো দিন মাগরিবের পরে ৬ রাকাত নামাজ। আমার জান্নাতের বাড়ির দাম তার বাড়ি থেকে বেশি।
"কিন্তু সে পড়লে তারও তো একটা বাড়ি হয়ে যাবে।"
Indeed. কিন্তু জান্নাতে আমার আর তার, দুজনেরই যদি কোটি টাকার বাড়ি থাকে, তবে এর অতিরিক্ত তার দুনিয়াতে আরো একটা সস্তা বাড়ি থাকলেই বা কি বা আমার না থাকলেই বা কি?
"কিন্তু সেগুলো তো অনেক দূরে।"
রাতে ঘুমানোর সময় সকালও অনেক দূরে মনে হয়। কিন্তু এটা সারা রাত যে জেগে বসে থাকে তার জন্য। ঘুমিয়ে গেলে সময় মনে হয় ১০ মিনিট।
কবর আমাদের ঘুম।
শাহাদাহ পড়তে পড়তে মারা গেলো? শাহাদাহ পড়তে পড়তে উঠবে।
কুফরি কথা বলতে বলতে? কবর থেকে উঠে সে ঐ কথাই বলবে।
তবে কোন জিনিস আমাকে নিশ্চয়তা দেবে ঈমানের উপর মৃত্যুর?
কিছুই না। কোনো নিশ্চয়তা নেই। রাসুলুল্লাহ ﷺ বেচে থাকতে যদি বলতেন "তুমি জান্নাতি" তবে সে জান্নাতি, আগেই জেনে গেলো। কিন্তু এখন কাউকে ঐ কথা বলার জন্য উনি বেচে নেই।
একটা রিস্কের উপর আমরা জীবন কাটাই। একটা অনিশ্চয়তা।
যার শেষে হয় অন্তকাল আগুন।
নয়তো খুব সুন্দর বিশাল বাগান সহ নিজের একটা বাড়ি। যেখানে মৃত্যু নেই।
যেমন নামাজে হাত বাধবো কোথায়? হাত বাধাটা সুন্নাহ বা মুস্তাহাব। সিজদা থেকে দাড়ানোর ক্ষেত্রেও একই। পাশের আহলে হাদিস মসজিদে দেখি ইমাম সাহবে বসেন না। মুসুল্লিদের কেউ সামান্য বসেন, কেউ বসেন না। মক্কা শরিফে একই। সালাফিদের অনেকই বসেন না।
আবার যেমন, গোল্ড যেগুলো জমিয়ে না রেখে, হাতে বা গলায় পড়ে -- এর উপর কি জাকাত দিতে হবে? এটা হারাম-হালাল-ফরজ এর ব্যপার। এখানে আমি ১ মাজহাবি।
সত্যিকারে যে জিনিসগুলো নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি তর্ক করি সেগুলোর ব্যপারে হাশরে আমাকে জবাব দিতে হবে বলে আমি আশংকা করি না।
আমি মাজহাবি নাকি আহলে হাদিস? এটা নিয়ে বিপদে পড়ার আশংকা করি না।
ইমাম আবু হানিফা এসে বলবেন "আমি কি তোমাদের বলেছিলাম আমাকে অনুসরন করতে?" -- এটাও আমার আশংকা না।
অথচ এগুলো নিয়ে আমাদের তর্ক বেশি।
কিন্তু স্পষ্ট হুকুমগুলো স্পষ্ট। নামাজ পড়েছিলাম কিনা। জুলুম করেছিলাম কিনা। পিতা-মাতার বাধ্যতা। মিথ্যা না বলা। সৎ চরিত্র-ব্যবহার। মুসলিমদের গালি না দেয়া। এগুলোর ব্যপারে মাজহাবগত কোনো বিভেদ নেই।
এগুলোর ব্যপারেই জবাব দিতে হবে। এটা ভয়।
১
খবর। টাইটেল "অশ্লিল কথার জন্য চলচিত্রের গান নিষিদ্ধ করার দাবিতে মিছিল"। এক কালে এগুলো ইসলামিষ্টদের জনপ্রীয় টপিক ছিলো আন্দোলনের। Return of the old days?
ছবিতে দেখি সবাই আধুনিক ড্রেস পড়া মেয়ে ছেলেরা। কোনো হুজুর নেই। খবর কি? পড়লাম দাবিটা জানিয়েছে চলচিত্র অভিনেতা, কর্মিরা।
কাহিনি কি?
২
গানের নাম ধরে ইউটুবে সার্চ দিলাম। "হাজির বিরিয়ানি"। প্রথম কিছু লাইন শুনেই বুঝলম এটা কলকাতার লিখকের লিখা। বাংলাদেশের গানের কথাগুলো হয় মনোটোনিক।
আসল কাহিনী : বৈচিত্রের জন্য এখন বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গন ঝুকে পড়েছে কলকাতার গায়ক, কম্পজার আর গিতিকারদের দিকে। বাংলাদেশিদের কদর নেই। বাংলাদেশি অভিনেত্রীদের আন্দোলন মূলত নিজেদের বাজার ফিরে পাবার জন্য। কলকাতা যদি এখন বন্ধ করা যায়। তবে নিজেদের বাজারে আবার নিজেরা।
৩
বহু বছর ধরে বাংগালি সংস্কৃতিমনাদের আদর্শ ছিলো কলকাতা। তাদের মতো সুশিল হওয়া। কিন্তু সুশিল হওয়ার কম্পিটিশনে বাংলাদেশিরা কলকাতানদের হারাতে পারবে না, এটা বুঝার ব্যপার ছিলো।
এখন সংস্কৃতি অঙ্গন ৯৫% কলকাতা সংস্কৃতি। এবং এটা হয়েছে কলকাতার লোকদের এনে। এ দেশিদের এই বাজারে পাত্তা নেই।
Therefore watch what you pray for.
১
- এলাকার কাজি বিয়ে রেজিষ্টার করতে অস্বিকার করতে পারেন। এবং করেনও। তখন অন্য কোনো কাজি বিয়ে পড়াতে পারবে না। আপনি বিয়ে করতে পারবেন না।
- তালাকের জন্য কাজি অফিসে গেলে হবে না। আপনাকে যেতে হবে সিটি কর্পোরেশন অফিসে। তিন মাসে তিন বার দৌড়াতে হবে। এর পর মেয়র ব্যক্তিগত ভাবে নিজ হাতে তালাক পত্র সই করে অনুমতি দিলে তালাক হবে। নয়তো তালাক হবে না।
২
তবে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের জন্য এত ঝামেলা নেই। আপনার পক্ষে তখন পত্রিকা-সাংবাদিক-সমাজ আর সারা দেশ।
৩
এই জিনিসটা আমেরিকায় আরম্ভ হয়েছিলো ৬০ বছর আগে। আমেরিকায় এখন ছেলেরা পারত পক্ষে বিয়ে করে না। মেয়েরা পাগল হয়ে ছুটতে থাকে বিয়ের জন্য।
গন্তব্য সে দিকে।
Edited to 2mins audio.
১
৫% সম্ভাবনা যাওয়ার। গেলে এতদিনে চলে যেতো বা খবর পাওয়া যেতো রওনার তারিখ এত।
বস্তুতঃ যাওয়ার সম্ভাবনা বাদ। না গিয়ে পরবর্তি কি স্বিদ্ধান্ত হয় সেটা দেখার বিষয়।
All signs negative.
২
এক কালে রাজ-দরবার আসতো ইজতেমায়।
এখন ইজতেমা যায় দরবারে।
ইনফেক্ট মডারেট হিসাবে আমার নিজের অবস্থানও এই। চার ঘন্টার ডিবেটে সত্যিকারে আমার শিক্ষনীয় ১০ সেকেন্ড, যেটা দুই পক্ষের কেউ বলেন নি, বরং বলেছেন উপস্থাপক প্রথমেই।
কিন্তু আকিদার ব্যপারে সব দলের এর উপর অনেক এক্সটেনশন আছে। যেগুলোতে অন্য দলের এগ্রিমেন্ট নেই। যে কারেন এক দলের মতে অন্য দলগুলো আহলে সুন্নাহর বাইরে। গোমরাহ। বা কাফের।
২
শায়েখ আকরামুজ্জামানের আরেকটা ভিডিও। এক্সপ্লিসিটলি বললেন : কিছু মানুষ আকিদা মানে মনে করে শুধু ৬ টা জিনিস। এর পর সেটা যে ঠিক না এবং এই দাবি যে হাস্যকর এর উপর লম্বা কথা।
৩
"আকিদার ব্যপারে দেওবন্দের বাড়াবাড়ি আছে না?"
"বাড়াবাড়ি" শব্দটা আমি ব্যবহার করবো না। কিন্তু কিছু ব্যপারে আমি তাদের সাথেও একমত হতে পারি না। এটা লিখার জন্য এনার্জি-সাহস সঞ্চয় করছি।
না। সব নষ্ট হয় নি। আল্লাহ তায়ালা আগের মতো পবিত্র আছেন।
এই দ্বিন আগের মতই পবিত্র আছে।
মসজিদ পবিত্র আছে। কোরআন পবিত্র আছে।
শুধু আমি নষ্ট হয়ে গিয়েছি।
আমার দুই ইঞ্চি বাইরের সব কিছু পবিত্র
আগের মতো।
সামনের রাস্তা পরিষ্কার, আগের মতো।
শুধু কিছু তৌবা। আর কিছু এস্তেগফার।
এর পর আবার একই পথ ধরে হাটো।
আগের মতো।
বক্তা "কোরআনের জন্য জীবন দেয়া..." শুধু কথা তুলেছেন। এর পর দুই দিক থেকে দুই জন চেপে ধরে। পাশের জন বলছেন "রসুলের মক্কি জীবন নিয়ে বলেন" কয়েকবার রিপিট করলেন মক্কি জীবনের কথা।
এর পর বললেন "মন্ত্রী বা এমপি আসছেন। বুঝে শুনে কথা বলতে হবে।" বক্তা বললেন "উঠে চলে যাবো?" জবাব দিলেন "না, বলেন মক্কি জীবনের কথা বলেন"। বক্তার বাম দিকের জনের গলা শুনে ধারনা করছি "পার্টির" লোক। বললেন, "আপনার না হইলে উঠে চলে যান"। এর পর এমপির সাথে ফোনে কথা বললেন। বক্তাকে ফোন দিয়ে বললেন আপনি ফোনে কথা বলেন। এই পুরো সময়ে বক্তার চার দিকে চার জন দাড়িয়ে থাকে।
বক্তা অনেকক্ষন পরে কন্টিনিউ করলেন বক্তব্য। নতুন কথা এনে : হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ছদ্মবেশে রাস্তায় এক ছেলেকে দেখে জিজ্ঞাসা করে "বলো তো হাজ্জাজ কেমন?" লোকটা বলে "খুবই জালেম।" হাজ্জাজ বলে "আমি হাজ্জাজ" লোকটা জবাব দেয় "আমার দুই দিন মাথা পাগল হয়ে যায়, আজকে এর প্রথম দিন।"
গল্পটা শুনিয়ে বুঝিয়ে দিলেন উলামাদের বর্তমান অবস্থা। এরকম ভিডিও এটাই একমাত্র না। আরো কয়েকটা চোখে পড়লো। সবগুলো একই রকম। পাশে ছাত্র** বসে বক্তাকে গালি দিচ্ছে কথা লাইনের বাইরে হলেই। সবার কমন ডায়লগ "কোরআনের তফসির করেন। এই সব কথা বলবেন না।"
তাই মুখ বন্ধ রাখি। And keep watching.
খারাপের তলানিতে আমরা এখনো ঠেকি নি। আল্লাহ তায়ালা যতটুকু সুযোগ দিয়েছেন আমল করতে থাকি। কারন সামনে হয়তো আমলের সুযোগও থাকবে না।
এটা খুব কমন প্রশ্ন। উত্তর হলো
১। পাচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে মসজিদে পড়া।
২। ভালো নম্র ব্যবহার। নিজের অন্তরকে যতটুকু সম্ভব পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করা।
৩। কোরআন শরিফ রেগুলার পড়তে থাকা শিখতে থাকা।
ফিকাহর ইখতেলাফি বিষয়ে তর্ক করার জন্য আলেমরা আছেন। আমাদের সবার এগুলো নিয়ে তর্ক করার দরকার নেই।
সাইন্টিফিক রিসার্চ? এর জন্যও লোক আছে।
এ ধরনের বিভিন্ন কাজের জন্য ডেডিকেটেড কিছু কর্মি আছেন, যারা ঐ কাজে ভালো। আমাদের নিজেদের ঐ কাজে যাবার দরকার নেই। আবার যারা ঐ সব কাজে ডেডিকেটেড আছেন তাদেরকে নিষেধ বা নিরুৎসাহিত করার দরকার নেই।
বিভিন্ন কাজের জন্য কিছু লোক লাগবে, এবং তারা আছেন।
উনার মৃত্যু একটা মাত্র ঘটনা। অভার অল সালাফিয়া মুভমেন্ট কোন দিকে যায় সেটা দেখার বিষয়।
দুই বছর আগে ফেসবুকে কিছু পোষ্ট দিলে জিাহদিষ্টরা ধরতো।
এখন ফেসবুকও খালি।
তথ্যও ভুল হতে পারে। আপনি দলের ভেতর থেকে এক তথ্য দেখেন। আমি দলের বাইরে থেকে অন্য তথ্য দেখি। আপনার থেকে কম দেখি। কিন্তু এর পরও আপনার কথা পুরো বিশ্বাস করতে পারি না কারন আমার দৃষ্টিতে আপনি দলের পক্ষে বলবেন সবসময়।
তাই ছোটখাটো ব্যপার, কাকে কি নামে ডাকতে হবে, কোনটা একটু কম বা বেশি এগুলো নিয়ে প্রতিবাদ করে লাভ নেই। কথা বাড়বে। আরো অনেকেই আসবে তাদের দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে প্রতিবাদ করার জন্য। কেওস আরম্ভ হবে।
এর পর ক্রেকডাউন গান বাজনা মেনে নেয়ার জন্য। শেষে খাসোগজি হত্যার ব্যপারে সরকারি প্রচার চালানোর জন্য।
আলেমদের দৃষ্টিকোন থেকে দেখি। উনারা নিজেদের কলিগদের গ্রেফতার আর হত্যার ব্যপারে কি ভাবছেন?
"কেউ বাদশাহ বিরোধি কাজ করলে, তাকে দমন করা যায়। এই অধিকার ইসলামে আছে" -- এটা ছিলো এতদিনের যুক্তি।
কিন্তু কোনো আলেম বিপক্ষে বললো না, শুধু পক্ষে ষ্ট্যন্ড নিতে অস্বিকার করলো, তবে?
বিশেষতঃ বাদশাহ যখন ভুলে। এর পর আলেমদের হুকুম দেন "চুপ থাকতে পারবেন না। আমার স্বিদ্ধান্তের পক্ষে প্রচার চালাতে হবে, কারন আপনারা আমার চাকরি করেন" - তখন?
এই দোটানায় এখন সৌদি আলেমরা।
- সরকার চাচ্ছে : দুই পক্ষ একত্রিত হয়ে যাক। এর পর ইজতেমা।
সম্ভাবনা : আদালতে যাবে। স্টে অর্ডার। কাজ বন্ধ।
ওজাহাতি দৃষ্টিকোন থেকে এতাতিরা এতটাই পথভ্রষ্ট যে তবলিগের কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও ক্ষতি এর থেকে কম। এজন্য তারা বিভাজনের বিপক্ষে।
এতাতিরা প্রথম থেকেই বিভাজনের পক্ষে। সমঅধিকার। ৫০-৫০ স্প্লিট।
যদি সামনের ২ মাস এরকম থাকে, তবে এটাই ফাইনাল।
আমাদের আহলে হাদিস আন্দোলন, সালাফি মুভমেন্ট, বা এখন তবলিগের সা'দ পন্থি গ্রুপের কথাই বলেন। এই জিনিসটা কম বা বেশি এর উপর চলছে। তবে কতটুকু গোড়া পর্যন্ত গিয়ে question করবো? এটা আরেকটা pending question.
এগুলো নিয়ে আলোচনা করতে গেলে pandora's box খুলার মতো হয়ে যাবে। কিন্তু box যদি থাকে তবে কেউ না কেউ এটা খুলে প্রশ্ন গুলো সামনে নিয়ে আসবে। আমি না করলেও অন্য কেউ। ইতিহাস সাক্ষি।
তাই প্রশ্ন আসে : কতটুকু পর্যন্ত "অন্ধ বিশ্বাস" থাকবে, আর কতটুকু "question everything" এ? এটা একটা গুরুত্বপুর্ন আলোচনার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে এখন।
এই টাইটেলে এর পর অনেকটাই "মারফতি" টাইপের কথা বলবো ইনশাল্লাহ। যেগুলোতে অধিকাংশের কোনো উপকার নেই। Ignore most of it.
যেহেতু আমরা এখন গনতন্ত্র উত্তর যুগে প্রবেশ করেছি। হাদিসে কি পেয়ে আমি কি বুঝবো? ফিকাহতে কি পড়ে কি বুঝবো? আমাদের "দল"-গুলো কি শেখায়, আর কি বুঝাতে চায়?
এই প্রশ্নটা এখন দুই বছর আগের থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছে। তবিলিগ বলেন। আমাদের জিহাদি দল বলেন। পীর-মুরিদির সিলসিলা বলেন। বা চলমান রাষ্ট্র-প্রশাসন বলেন। সামনের দিনগুলোতে এটা হবে একটা অগ্নি-প্রশ্ন।
কতটুকু করার হুকুম আছে? আর কোন দল কতটুকু করার শিক্ষা দেয়? ডিসকাশন আর পথপাওয়ার দাবি রাখে।
তাসাউফ লাইনে পড়তে গিয়ে কেন যেন ইদানিং "আবদাল"-দের কথা বার বার মনে আসছে। এদের উপর কিছু তথ্য জমাবো। অধিকাংশই সুফি লাইনের কথা। হাদিসের যে রেফারেন্স দেবো সেগুলো জয়িফ। জয়িফ হাদিস যারা গ্রহন করেন না তারা ইগনোর করে যাবেন।
সব পোষ্ট সবার জন্য না। সবার জন্য হতে হবে এমন শর্তও নেই। নেটে চলতে হলে প্রত্যেককে বুঝতে হবে কোন পোষ্ট তার নিজের জন্য কোনটা তার জন্য না। নয়তো বিপদ। আমি পোষ্ট না করলেও।
তাই আমাকে "পোষ্ট করবেন না" বলে লাভ নেই। নিজে বুঝে "পড়বেন না" তবে আপনি নিরাপদ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের ক্ষমা করুন।
Link in comment.
১
দ্বিনের ব্যপারে আমার বিশ্বাস অন্ধ, কোনো যুক্তির উপর নির্ভর করে না। এর পরও অন্ধ বিশ্বাস আমাকে বিপথগামিতা থেকে বাচাবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। অন্যকে আমি এই পথে ডাকি না।
বরং যে যেটায় কমফোর্টেব্যল।
২
এক ছেলের কথা শুনছিলাম। রাসুলুল্লাহ ﷺ কে ৩০ বার স্বপ্নে দেখেছে। আবার দাজ্জালকে দেখেছে ১০ বার। এটা কমন ট্রেন্ড এই জেনারেশনে।
উপরের জন না। অন্য এক জনের সাথে কথা সেও দাজ্জালকে দেখেছে।
জিজ্ঞাসা করলাম, "কি বললো?"
"বললো, মানুষের বিচার করার জন্য আমি খোদা দুনিয়াতে নেমে এসেছি। মানুষকে জান্নাতে বা আগুনে পাঠাবো।"
"কিন্তু কিয়ামত হয় নি? তার আগেই?"
"বললো কিয়ামত হবে না। আমি কোরআন শরিফে মিথ্যা কথা বলেছি। মিথ্যা বলেছি মানুষের মঙ্গলের জন্য। এবং আমি এটা করতে পারি। যা ইচ্ছা করতে পারি। এই মিথ্যাটা না বললে মানুষ দ্বিধায় পড়ে যেতো।"
৩
দাজ্জাল কবে আসবে আমি জানি না। তবে উপরের ডায়লগটা "question everything" এর একটা এক্সট্রিম ভার্শন। এটা যদি ঠিক হয়, এবং ঘটনা যদি ঐ সময়ে এরকমই হয় তবে এখন খুব দ্রুত question everything এর ট্রেন্ড বাড়তে থাকবে।
কিন্তু আমার বিশ্বাস অন্ধ। আমি question করি না।
৪
এরপর একজন শিয়ার কথা চিন্তা করি। তার আশে পাশে "অধিকাংশ" মুসলিমই শিয়া। সে যদি question না করে তবে শিয়া অবস্থায় তার মৃত্যু হবে। সাহাবা কিরামদের লানত দিতে দিতে, যে লানত তার উপর পড়বে।
কিন্তু সে জানে না। কারন সে question করে না।
৫
দুটো এক্সট্রিমের কথা বললাম। তবে কতটুকু question করবো, কতটুকু করবো না?
cont...
#HabibBlindFaith
এম্বারগ্রিসের উপর ফিয়েচার। দাম ঐ সময়ে যত বেশি ধারনা করেছিলাম, অত না।
যেমন : আমেরিকায় কে প্রেসিডেন্ট হলো এটা নিয়ে আমাকে আখিরাতে জবাবদিহি করতে হবে না। আমাকে আল্লাহ তায়ালা যে দায়িত্ব দিয়েছেন শুধু সেগুলোর ব্যপারে জবাবদিহি করতে হবে।
আমার দায়িত্ব আমি নিজে, মূলতঃ এবং সম্পুর্ন। এর পর আমার পরিবার। এলাকার নেতা আমি না হলে এলাকার ব্যপারে আমার দায়িত্ব নেই।
মন্দ দেখলে "এনকার" করতে হবে, মানে অপছন্দ। যেমন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যদি মুসলিমদের জন্য মন্দ কেউ হয় এবং এটা যদি আমি পছন্দ করে চিয়ার করি তবে এটা আমার গুনাহ। আমাকে জবাবদিহি করতে হবে। অপছন্দ করলে আমার দায়িত্ব শেষ।
"আমেরিকার প্রেসিডেন্ট" বলে একটা উদাহরন দিলাম। প্রয়োগ করতে হবে আরো কাছের ব্যপারে। আশে পাশের সব কিছুর ব্যপারে।
এটা নিয়ে ছেলেপেলেরা একটা সিগনিফিকেন্ট সময় ব্যয় করে। নিচে আমার অবস্থান।
ধরে নিলাম এর মাঝে কোনো একটা অন্যটা থেকে বেশি সঠিক। কিন্তু হলেও পার্থক্যটা এত বেশি না, যে আমল করে কভার করা যাবে না।
যেমন ধরলাম হানাফি বেশি সঠিক। এখন সালাফি কোনো ভাই যদি তাকওয়া আর আমলের দিক থেকে অল্প কিছু বেশি করে, তবে সে হানাফি ভাইয়ের থেকে এগিয়ে যাবে। যদিও সে অপেক্ষাকৃত কম সঠিকটার উপর আমল করছে।
আর সত্যিকারে আল্লাহ তায়ালা আমাদের যত সময় দিয়ে রেখেছেন তাতে অল্প না, আমল অনেক বেশি করা সুযোগ আছে।
তাই আমার কাছে,
- কোনটা অপেক্ষাকৃত বেশি সঠিক, এই রিসার্চে প্রচুর সময় ব্যয় করা। এর অর্থ আমার সময়টা খুব একটা কাজে লাগানো হলো না।
- কোনটা ঠিক এটা নিয়ে তর্কে লিপ্ত হওয়া। আমার সময় কিছুটা খারাপ কাজে ব্যয় হলো। ঝগড়া, ঘৃনা, একগুয়েমির দিকে যাওয়া হবে।
- সময় পুরোটা বিপরিতপক্ষকে আক্রমন করে করে ব্যয় করা। আমি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। এর দ্বারা শুধু আমার ইগো বুস্ট হচ্ছে আর কিছু না। যত জায়গায় আমি আক্রমনে সিমা অতিক্রম করছি সবগুলো আল্লাহ তায়ালা ফিরিয়ে দেবেন আমার দিকে - দুনিয়াতে।
এটা ২০০৬ পর্যন্ত ছিলো। এর পর আর নেই। এখন নেই এটা স্পষ্ট।
সরকারের অবস্থানটা বুঝতে পারছি। চাচ্ছে সব কিছু "স্বাভাবিক" রাখতে। At any cost. তাদের age old formula আছে এর জন্য। এগুলো করার কারনে সরকারকে দোষ দিতে পারি না।
বলির পাঠা আবারও হলেন উলামা-তুলাবা।
Keep watching.
চলতি ক্রেইজ।
১
উলামাদের আন্দোলনে যাওয়া উচিৎ না। ফতোয়া দেয়া পর্যন্ত শেষ। যেমনটা ভারতের দেওবন্দ করছে। সমস্যার জায়গায় বিরোধি ফতোয়া দিয়ে দিলো। এবং এর পর ব্রেক, check yourself.
তবে এটা সম্ভবতঃ বাংলাদেশে হবে না কারন এই দেশে আন্দোলন করাকে গ্লোরিফাই করা হয়। প্লাস, দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো বৃটিশ বিরোধি আন্দোলনের মাধ্যমে। এটাকে সামনে রাখা হয়।
২
আমি এখনো জানি না কোন পক্ষের ভুল ছিলো। আব্দুল মালেক সাহেব overly eager হয়ে ফতোয়া দিয়েছেন। নাকি সাদ সাহেবের ভুল গুলো within limit ছিলো না।
ফিকাহগত ভুলগুলো আমার কাছে বড় কোনো সমস্যা মনে হয় নি। যদিও understandably উলামাদের বিচারের মানদন্ড ভিন্ন। আমার কাছে exaggeration টা ছিলো মূল সমস্যা।
৩
আর তবলিগের সমস্যা তবলিগ ওয়ালারাই সমাধান করবে। যেমন হাজবেন্ড ওয়াইফের মাঝে ঝগড়া তারাই মিটমাট করবে। এখানে অন্যের কোনো সুযোগ নেই। নাক গলানোর চেষ্টা করা ভুল। যতক্ষন না তালাক দিয়ে দেয়। সমাজের দায়িত্ব আসবে এর পরে।
হানাফি-সালাফি দ্বন্ধ দেখে আসছি ৯০ থেকে। ৮০ থেকে যদি আহলে হাদিস ধরি। আকিদাগত পার্থক্য যদি এখন আলোচনায় না আনি তবে মাসলাগত পার্থক্যগুলোর বড় বড় পয়েন্টগুলো নিচে দিলাম। এর মাঝে মালেকি মাজহাবের নিয়ম কোন দিকের সাথে বেশি মিলে সেটা ইন্ডিকেট করে।
- রাফে ইয়াদাইন - হানাফি।
এগুলো ছিলো বড় বড় পার্থক্য। যেগুলো দেখতে চেয়েছিলাম।
মালেকি মাজহাবের উপর এর পরও কন্টিনিউ করবো ইনশাল্লাহ। কিন্তু সেটা validation এর জন্য না। শেখার জন্য। পরেরগুলো দিয়ে দ্বন্ধ নিরসন হবে না। কিন্তু জানা হবে।
#HabibMaliki
রাজা যদি চেয়ারমেনের পক্ষে থাকতে চায় গ্রামবাসির বিপক্ষে তবে এর স্টেপগুলো হবে এরকম।
১। প্রথমে মিডিয়া গ্রামবাসিদের বিপক্ষে প্রচার করবে। সাধারন জনগন বুঝে নিবে গ্রামবাসিদের সমস্যা আছে।
২। এর পর রাজার পাইক পিয়াদা মন্ত্রীরা চেয়ারমেনের বিপক্ষে প্রচুর কথা বলবে। গ্রামবাসি ঠান্ডা হয়ে যাবে। সুবিচারের আশায়।
৩। এর পর রাজা সকল কাজ করবে চেয়ারমেনের পক্ষ নিয়ে।
এই ফরমুলা রিপিট হয়েছে তবলিগ ইশুতে। এর আগে এই নির্বাচনে।
১
"বিজয় হক হবার কোনো দলিল না।"
"পরাজয় নাহক হবার কোনো প্রমান না।"
তবে হক পরাজিত হলেও বিস্তার লাভ করতে থাকে। সংকুচিত হয় না। রাসুল্লাল্লাহ ﷺ সব যুদ্ধে বিজয় লাভ করেন নি। কিন্তু উনার পরাজিত অবস্থাতেও দ্বিন বিস্তার লাভ করছিলো। কখনো সংকুচিত হয় নি। এবং এই ভাবে চলেছে গত ১৪০০ বছর ধরে। বিস্তার - যদিও মুসলিমরা বহু জায়গায় পরাজিত হয়েছে।
২
তবলিগের দুই দল এই মুহুর্তে আর নেই। এক দল। সম্মিলিত দলটা হয়েছে সা'দ সাহেবের শিক্ষার উপর। দেওবন্দ থেকে ভিন্ন মাদ্রাসা, ভিন্ন আকিদা, ভিন্ন শিক্ষা, ভিন্ন পথ চলা।
এই টোটালটা কতটুকু ঠিক? এটা দেখা যাবে এর পর তবলিগের বিস্তার ঘটে নাকি সংকুচিত হয় সেটা দেখে।
হয় তবলিগ বিস্তার লাভ করতে থাকবে, দেওবন্দ সংকুচিত হতে থাকবে।
নয়তো তবলিগ সংকুচিত হতে থাকবে, দেওবন্দ বিস্তার লাভ করতে থাকবে।
৩
শত বছর আগে কোনো দল হকের উপর ছিলো। এর অর্থ এই না যে সেই দল এখনো পরিপূর্ন হকের উপর আছে ঐতিহাসিক কারনে।
"এত ভালো দল, গোমরাহ হতে পারে না।"
১
ফজরের আগে ২ রাকাত
জোহরের আগে ২+২, পরে ২+২
আসরের আগে ২+২
মাগরিবের পরে ২+২+২
ইশার পরে, কিছু নেই।
বিতর ২+১
২
মালেকিতে বেতের ফজরের ওয়াক্তেও পড়া যায়। যদি আগে পড়া না হয়ে থাকে। বিতর ওয়াজিব না বরং "সুন্নতে মুয়াক্কাদা"। সম্ভবতঃ মালেকিতেও ওয়াজিব বলে কিছু নেই। বাকি সুন্নাহগুলোকে বলা হয় "নফলে মুয়াক্কাদাহ"।
ফরজের আগে পরের নামাজগুলো ২ রাকাত করে পড়তে হয়।
বেতেরে কুনুত পড়া হয় না। কুনুত পড়া হয় ফজরের নামাজের সাথে নিয়মিত।
৩
এতদিন শুনতাম "আওয়াবিন" নামাজ বলে কিছু নেই। কিন্তু মালেকিতে দেখলাম এই নামাজটার গুরুত্ব সোয়াব অনেক। এ জন্য মাগরিবের পরে ২ রাকাতের বদলে ৬ রাকাত পড়তে উৎসাহ দেয়া হয়। "আওয়াবিন" নাম নেই যদিও।
সোর্স : http://seekershub.org/ans-blog/2013/08/26/a-summary-of-the-non-obligatory-prayers-in-the-maliki-school/
#HabibMaliki
لا إله إلا الله
وحده لا شريك له
له الملك وله الحمد
وهو على كل شيء قدير
উচ্চারন :
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু। ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু। লাহুল মুলক ওয়ালাহুল হামদ। ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
বাজারে ঢুকার সময় যে দোয়াটা পড়লে ১০ লক্ষ বা ২০ লক্ষ নেকি হয়। সেটা এই তসবিহ।
মাঝ রাতে উঠে শাহাদাহ আংগুল তুলে [এক আল্লাহ দেখানোর মতো] এটা পড়ে যে দোয়া করবে সেই দোয়া আল্লাহ কবুল করেন।
https://sunnah.com/bukhari/19/35
ওজু করে আকাশের দিকে তাকিয়ে যে দোয়া পড়লে জান্নাতে আট দরজা খুলে যায? এই কালিমা। এর কিছু কম-বেশি হয়তো।
হজ্জের দিনে সবচেয়ে পিক সময়, আরাফা মাঠে কোন দোয়া করতে হবে? রাসুলুল্লাহ ﷺ বলে গিয়েছেন, উত্তম দোয়া হলো ঐটা যেটা আমি আর আমার আগের সব নবী-রসুল আরাফার মাঠে পড়েছেন। সেটা এই কালিমা।
কিন্তু এটা তো শাহাদাহ? দোয়া হয় কি করে? এটাই দোয়া just carry on.
দিনে ১০০ বার যদি কেউ পড়ে তবে এ দিন তার থেকে বেশি আমল আর কেই নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে না। সে ছাড়া যে এর থেকে বেশি পড়েছে।
১০ বার পড়লেই চার জন গোলাম আযাদের সোয়াব।
https://sunnah.com/riyadussaliheen/16/4
প্রতি নামাজের পরে রাসুলুল্লাহ ﷺ এই কালিমা পড়তেন।
https://sunnah.com/riyadussaliheen/16/10
সকাল হলে পড়তেন সন্ধা হলে পড়তেন।
https://sunnah.com/riyadussaliheen/16/48
সাফা-মারওয়া দৌড়ানোর সময়েও পড়তেন।
https://sunnah.com/urn/1129950
দিনে ১০০ বার পড়লে শয়তানের ধোকা থেকে সেদিন আল্লাহ তায়ালা তাকে হিফাজত করবেন।
https://sunnah.com/riyadussaliheen/16/3
রাসুলুল্লাহ ﷺ অতিরিক্ত প্রশ্ন করতে নিষেধ করেছেন। আর বাজে কথা। এবং নিষেধগুলোর সাথে একই হাদিস বলা আছে উনি এই কালেমা পড়তেন।
https://sunnah.com/riyadussaliheen/18/272
সময় পেলে পড়ি। অবসর পেলে পড়ি। সুস্থ আবস্থায়। অসুস্থ অবস্থায়।
এর পর অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর সময় এটা পড়ে মারা গেলে?
আগুন তাকে স্পর্শ করবে না।
https://sunnah.com/ibnmajah/33/139
এটাতেই মুক্তি।
মুক্তি এই পথে।
আল্লাহ না করুক আমার বংশে যদি কেউ আত্মহত্যা করে তবে আমি তার জানাজা পড়বো না। তার জন্য দোয়াও করবো না। তার মৃত্যু কুফরির উপর হয়েছে, এই কথাই বেশি জোরালো। কোনো সিমপেথি নেই।
কিন্তু এগুলো সালাফি আলেমদের শিক্ষার একেবারে বিপরিত। উনাদেরকে shocked and disgusted না করে কি করে এই আলোচনা কন্টিনিউ করা যায় সেটা ভাবছিলাম।
Play nice. কোনো হিন্ট?
- শিয়া
বাকি দলগুলোকেও এই স্কেলে কোনো না কোনো জায়গায় ফেলতে পারবেন। এতদিন আমি জিহাদিদের নিয়ে কমেন্ট করতাম। এটা ছিলো খারেজিদের একেবারে কাছাকাছি।
এখন যেহেতু সুফি নিয়ে পড়েছি। এটা শিয়ার কাছা কাছি। অনেক কিছুতে মিল পাবেন।
এটা মনে রাখতে হবে। সবগুলো ডেঞ্জার জোন। পচা আম খাওয়ার মতো। পোকাটা কেটে ফেললে ঠিক আছে। কিন্তু পোকা কোনটা সেটা চেনা হলো সমস্যা।
সবার জন্য না।
You have been warned.
সালাফি ভাইদের কিছু দিনের জন্য দূরে থাকার অনুরোধ করছি আবারো। নয়তো এই সব দেখে সহ্য করতে পারবেন না। কমেন্টে আমাকে সংশোধন করে পথে আনার চেষ্টা করবেন। শেষে ব্লকড।
আর পোলাপাইনদের একটু দূরে থাকতে হবে। কারন "পর্যালোচনা" উদ্যেশ্য, "শেখানো" উদ্যেশ্য না। তাই শেখানোর সময় যত ডিটেলস ব্যখ্যা করে বুঝায়, এরকম কিছু থাকবে না। আপনি বুঝবেন না। কমেন্টে হাবি-জাবি প্রশ্ন করতে থাকবেন শুধু যেগুলোর উত্তর দেয়ার মতো কেউ থাকবে না।
তাই শিখতে চাইলে ইমাম গাজ্জালির "এহইয়া উলুমুদ্দিন" পড়েন। কিছু শিখতে পারবেন। এই সব ফেসবুক স্টেটাসে পড়ে কিছু শিখতে পারবেন না।
এর আগে জেনে নিন কোনটা আগে শিখা এখন আপনার জন্য বেশি জরুরি? এগুলো জানার দরকার আছে কি?
প্রায়োরিটির ব্যপারে এই শায়েখ বলছেন কোরআন শিক্ষা করা সবচেয়ে জরুরি।
উনার কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিলো : আমি শরিয়া শিক্ষা করবো নাকি হেফজ করবো?
ব্যসিক্যলি, আলেম হবো নাকি হাফেজ, এই প্রশ্নের উত্তর।
এখানে বুঝতে হবে,
কোরআন "শিক্ষা করা" বলতে বুঝাই : অর্থ বুঝে আরবীটা মুখস্ত করে নেয়া। কোনো ব্যখ্যা-তফসির ছাড়া।
এটা কিছু দলের শিক্ষার থেকে ভিন্ন। যারা তফসিরের উপর সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়। মুখস্ত করাকে কিছুটা ডিসকারেজ করে।
নিজের অবস্থানকে অপেক্ষাকৃত ভালো মনে করি এই কারনে যে,
যদি শুধু তফসির-অনুবাদ পড়ে যান তবে যে আয়াতগুলো আপনি বুঝতে পারছেন না সেগুলো ইগনোর করে যাবেন। অর্থাৎ কিছু দিন পরে আপনার মনে থাকবে না।
কিন্তু অর্থ বুঝে মুখস্ত করে রেগুলার পড়তে থাকলে আস্তে আস্তে ঐ আয়াতগুলো আপনার কাছে অর্থবহ হয়ে উঠবে। অনেক প্রশ্নের উত্তর আয়াতে পাবেন, যেগুলো প্রথমবার পড়ে হয়তো বুঝেন নি।
নিজে কোরআন শিক্ষার সময় তফসিরের পেছনে সময় দেই না। অর্থাৎ পড়ি না। শুধু অর্থ বুঝে মুখস্ত।
যেমন একটা উদাহরন,
একটা সুরা আছে সুরা তাহরিম। সুরাটা নাজিল হয়েছে একটা ঘটনা উপলক্ষে। পড়লেই বুঝা যায়। কিন্তু ঘটনাটা একদম জানা ছিলো না মুখস্ত করার সময়। কিছু একটা হয়েছে ধরে নিয়ে অর্থ বুঝে মুখস্ত করে গিয়েছি।
এর অনেক বছর পরে একটা হাদিস চোখে পড়লো যেখানে ওমর রা: কে একজন জিজ্ঞাসা করেন এই সুরাটা কোন ঘটনা উপলক্ষে নাজিল হয়েছিলো? কার কথা বলা হচ্ছে?
ওমর রা: জবাব দেন, দেখ, ভালো বিষয়ে প্রশ্ন করবে, খারাপ বিষয়ে না। এর পর বর্ননা করেন কাদেরকে নিয়ে কোন ঘটনায় সুরাটা নাজিল হয়েছিলো।
তাই তফসির পরবর্তিতে জানা যাবে। মুখস্ত করার সময় শুধু অর্থ বুঝে মুখস্ত করে যেতে হবে।
#MemorizeQuran
২৯ এবং ৩০ এই দুই পারা মুখস্ত থাকলে নিজের নামাজের জন্য যথেষ্ট। লম্বা কিরাতে তাহাজ্জুদ সহ যদি প্রয়োজন হয়।
এই দেশে মসজিদের ইমাম হতে হলে ধরা হয় ৫ পারা মুখস্ত থাকতে হবে।
আর মদিনা ভার্সিটির ডক্টরেট হতে হলে ১০ পারা।
কমেন্টে কি করে মুখস্ত করবেন তার উপর আগের পোষ্টের লিংক।
#MemorizeQuran
১
"কেন?"
কারন ছাপাখানা আসার আগে মানুষ আয়াত নম্বর দিয়ে কোরআন শরিফ মুখস্ত করতো। ১০ আয়াত, ১০ আয়াত করে। এজন্য দেখবেন হাদিসে লিখা থাকে "৪০ বা ৫০ আয়াত পরিমান তিলওয়াত করলো" এরকম।
"তবে এখন করে কি করে?"
পৃষ্ঠা অনুসারে। ১ম পৃষ্ঠা, ২য় পৃষ্ঠা এভাবে।
"আয়াত নম্বর দিয়ে মুখস্ত করলে উপকার কি?"
প্রথমতঃ কোনো আয়াত ছুটে গেলে বুঝতে পারবেন এখানে একটা আয়াত মনে পড়ছে না।
দ্বিতীয়তঃ যে কোনো মুসহাফ থেকে এর পর হিফজ করতে পারবেন। হাফেজি কোরআন হতে হবে এমন জরুরি থাকবে না।
তৃতীয়তঃ আপনি যে কোনো জায়গা থেকে তিলওয়াত আরম্ব করতে পারবেন। পৃষ্ঠার প্রথম থেকে মুখস্ত টানতে হবে না মাঝের আয়াত মনে আনার জন্য।
কোনো আয়াতের আগের আয়াত, পরের আয়াত কোনটা ভিজুয়েলাইজ করতে পারবেন।
"এভাবে মুখস্ত করা কঠিন হবে না?"
না। কিভাবে করবেন সেটা বলছি।
২
"কি করে?"
অনেকটা story board এর মতো। কল্পনা করবেন প্রতি পৃষ্ঠায় ৫ আয়াত। ডান দিকের পৃষ্ঠায় ৫ আয়াত। বামে ৫ আয়াত। দুই দিকে মিলে ১০ আয়াত।
আয়াতগুলোকে লেআউট করে ফেলেন। প্রতি পৃষ্ঠায় চারটা খোপ করে ৪ আয়াত। আর এর নিচে বড় একটা স্লটে একটা আয়াত। দুই দিকেই এরকম। নিচের ছবির মতো।
প্রতিটা আয়াত তার খোপে যাবে। এবং আয়াতের সাথে এর একটা ছবি ভিজুয়েলাইজ করতে হবে। যেমন সূর্যের কথা যদি আয়াতে থাকে তবে সূর্যের ছবি। তর্কের কথা? তবে অনেক মানুষ যেন তর্ক করছে। এরকম।
কোন খোপে কোন ছবি আপনার মনে থাকবে। কোনো আয়াত বাদ পড়লে সংগে সংগে ধরতে পারবেন। বক্স-আয়াত মিলছে না।
প্লাস মুতাশাবিহার আয়াতগুলোতে ভিন্ন সুরাতে চলে যাবার সম্ভাবনা কম।
৩
এভাবেই করতে হবে বলছি না। এটা একটা নিয়ম যেটাতে আমি উপকার পাচ্ছি।
#MemorizeQuran
আমার উম্মতের আবদালদের আলামত হলো তারা কখনো লানত দেয় না।
وقال يزيد بن هارون : الأبدال هم أهل العلم
ইয়াজিদ হারুন বলছেন : আবদালরা হলেন আলেম।
وقال الإمام أحمد : إن لم يكونوا أصحاب الحديث فمن هم؟
ইমাম আহমেদ বলেন : তারা যদি আহলে হাদিস না হয় তবে আর কে হবে?
وقال بلال الخواص
বেলাল খাওয়াস বলেন,
: كنت في تيه بني إسرائيل
বনি ইজরাইল যেখান দিয়ে সাগর পার হয়েছিলো আমি সেখানে ছিলাম।
فإذا رجل يماشيني فتعجبت منه وألهمت أنه الخضر ،
এক লোক আমার পাশ দিয়ে গেলে অবাক হয়ে যাই। ধারনা করি সে খিজির।
فقلت له : بحق الحق من أنت؟
জিজ্ঞাসা করলাম : সত্য করে বলো, তুমি কে?
قال : أنا أخوك الخضر ،
বললো : আমি তোমার ভাই খিজির।
فقلت له : أريد أن أسألك ،
বললাম : আমি আপনার কাছ থেকে কিছু জানতে চাই।
قال : سل ،
বলো।
قلت : ما تقول في الشافعي ؟
ইমাম শা'ফির ব্যপারে আপনার মত কি?
قال : هو من الأبدال ،
উনি আবদালদের একজন।
قلت : فما تقول في أحمد ؟
ইমাম আহমেদের ব্যপারে?
قال : رجل صديق ،
উনি সিদ্দিক [সত্যবাদি]
قلت : فما تقول في بشر بن الحارث ؟
বিশর হাফিজের ব্যপারে?
قال : رجل لم يخلق بعده مثله ،
এমন লোক, ভবিষ্যতে যার মতো কেউ আর আসবে না।
قلت : فبأي وسيلة رأيتك ،
শেষে কিসের উসিলায় আপনাকে আমি দেখতে পেলাম?
قال : ببركة أمك
তোমার মায়ের বরকতে।
উল্লেখ্য রানওয়ের দুটো নম্বর একই রানওয়ের দুই দিকের নম্বর। রানওয়ে খালি ছিলো। এই না যে একদিক থেকে এক প্লেন অন্য দিক থেকে অন্য প্লেন এপ্রোচ করছিলো।
ولأبي نعيم في الحلية ، عن ابن عمر رفعه : " خيار أمتي في كل قرن خمس مائة والأبدال أربعون ، فلا الخمس مائة ينقصون ، ولا الأربعون كلما مات رجل أبدل اللَّه مكانه آخر "
ইবনে ওমর রা: থেকে মারফু হাদিস :
"সর্বোত্তম মানুষ প্রতি যুগে আমার উম্মতের মাঝে হবে ৫০০ জন আর আবদাল ৪০ জন। ৫০০ জন কমবে না, ৪০ জনও না। তাদের কেউ মারা গেলে আল্লাহ তায়ালা অন্য কাউকে তার বদলে আনবেন।"
قالوا : يا رسول اللَّه ، دلنا على أعمالهم ؟
লোকেরা বললো "ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে তাদের আমল বলেন।"
قال : " يعفون عمن ظلمهم ، ويحسنون إلى من أساء إليهم ، ويتواصلون فيما أتاهم اللَّه عز وجل "
বললেন, "কেউ জুলুম করলে তারা ক্ষমা করে দেয়। খারাপ ব্যবহারে ভালো ব্যবহার করে। আর তারা উসিলা হিসাবে কাজ করে আল্লাহ তাদের যা দিয়েছেন তার।"
. وفي لفظ للخلال : " لا يزال أربعون رجلا يحفظ اللَّه بهم الأرض ، كلما مات رجل أبدل اللَّه مكانه آخر وهم في الأرض كلها "
অন্য বর্ননায় : সবসময় ৪০ জন লোক থাকবে যাদের দিয়ে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াকে হিফাজত করবেন। একজন মারা গেলে বদলে অন্য কাউকে এনে। এরা দুনিয়ার সর্বত্র ছড়িয়ে আছেন।
عن ابن مسعود رضي اللَّه عنه رفعه : "لا يزال أربعون رجلا من أمتي قلوبهم على قلب إبراهيم يدفع اللَّه بهم عن أهل الأرض ، يقال لهم الأبدال ، إنهم لم يدركوها بصلاة ولا بصوم ولا بصدقة " ،
ইবনে মাসউদ রা: থেকে মারফু হাদিস :
"আমার উম্মতে ৪০ জন লোক সবসময় থাকবে যাদের অন্তর হবে ইব্রাহীম আ: এর অন্তরের মতো। এদেরকে দিয়ে আল্লাহ দুনিয়াবাসীদের পরিচালিত করবেন। তাদের বলা হবে আবদাল। কিন্তু তারা নামাজ, রোজা, সদকা দিয়ে এগিয়ে থাকবে না।"
قالوا : فبم أدركوها يا رسول اللَّه ؟ قال : " بالسخاء والنصيحة للمسلمين " .
জিজ্ঞাসা করা হলো : "তবে কি দিয়ে এগিয়ে থাকেবে ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ ?"
বললেন, "অন্তরের প্রসস্ততা আর মুসলিমদের নসিহা দিয়ে।"
والجملة الأخيرة تروى كما للطبراني في الأجواد وغيره ، كأبي بكر بن لال في مكارم الأخلاق ، عن أنس رضي اللَّه عنه رفعه بلفظ : " إن بدلاء أمتي لم يدخلوا الجنة بصلاة ولا صيام ، ولكن دخلوها بسخاء الأنفس وسلامة الصدور والنصح للمسلمين
আনাস রা: এর সূত্রে মারফু হাদিস :
"আমার উম্মতের আবদালগন জান্নাতে নামাজ রোজা দিয়ে প্রবেশ করবে না বরং প্রবেশ করবে অন্তরের প্রশস্ততা, অন্তরের প্রশান্তি, মুসলিমদের জন্য নসিহা দ্বারা।
. وللخرائطي في المكارم من حديث أبي سعيد نحوه . وبعضها أشد في الضعف من بعض ، وآخرها جاء عن فضيل بن عياض رحمه اللَّه من قوله بلفظ : لم يدرك عندنا من أدرك بكثرة صيام ولا صلاة ، وإنما أدرك عندنا بسخاء الأنفس وسلامة الصدور والنصح للأمة
ফজিল বিন আইয়াজ রাহি: বলেন।
আমাদের মাঝে বেশি নামাজ রোজা দ্বারা উচ্চ স্তর লাভ করবে না। বরং উচ্চ স্তর লাভ করবে অন্তরের নম্রতা [সাখা আল-নফস], অন্তরের প্রশান্তি [সালামাত আস-সুদুর] আর উম্মতের জন্য নসিহা দ্বারা।
সাখা আল-নফস আর সালামাত আস-সুদুর -- এর বাংলা যেটা ধারনা করেছি কাছাকাছি সেটা লিখে দিয়েছি। সঠিক অনুবাদ অন্য কোনো কিতাব থেকে জেনে নিতে পারবেন। ব্যসিক্যলি এই দুটো ওয়ার্ড ব্যবহৃত হয়েছে।
এর আগে ভেনেজুয়েলা আমেরিকার সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষনা দেয়। দুতাবাস সরিয়ে নিতে। আমেরিকা বলে সরাবে না। ভেনেজুয়েলার সরকারকে মানে না।
ভেনেজুয়েলার অলটারনেট সরকার দাড়িয়ে গিয়েছে বিদেশে। দেশে প্রচন্ড সরকার বিরোধি আন্দোলন চলছে।
আমি এখানে ভেনেজুয়েলার সরকারের পক্ষে না। আমেরিকার পক্ষে।
ويروى في حديث مرفوع : " ثلاث من كن فيه فهو من الأبدال : الرضا بالقضاء ، والصبر عن المحارم ، والغضب للَّه "
মারফু হাদিস যেখানে বলা হয়েছে : যার মাঝে তিনটা গুন আছে সে আবদালদের একজন। আল্লাহর ফয়সালাতে সন্তুষ্টি, হারাম জিনিসের উপর সবর, আল্লাহর জন্য রাগ।
. وعن بعضهم قال : أكلهم فاقة وكلامهم ضرورة ،
কেউ কেউ বলেন তাদের খাওয়া হয় অল্প-সাধারন আর কথা শুধূ প্রয়োজনীয়।
وعن معروف الكرخي ، قال : من قال : اللَّهم ارحم أمة محمد في كل يوم كتبه اللَّه من الأبدال ،
মারুফ কারগি বলেন : যে প্রতিদিন বলে হে আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মদির উপর রহম করো, সে আবদালদের একজন।
وهو في الحلية بلفظ من قال في كل يوم عشر مرات : اللَّهم أصلح أمة محمد ، اللَّهم فرج عن أمة محمد ، اللَّهم ارحم أمة محمد ، كتب من الأبدال ،
কিতাবে [الحلية بلفظ] আছে :
যে প্রতিদিন ২০ বার বলে : হে আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মদিকে সঠিক রাখো। তাদেরকে আনন্দে রাখো। তাদের উপর রহম করো। তবে তাকে আবদালদের সোয়াব লিখে দেয়া হয়।
[যতটুকু বুঝেছি, ভুল হতে পারে। ভুল হলে উপরে আরবি থেকে দেখে নেবেন।]
সুরা সাফফাত : ৩৭ নং সুরা : ৭ পৃষ্ঠা : ১৮২ আয়াত : ২৬ আয়াত/পৃষ্ঠা
সুরা শুয়ারা : ২৬ নং সুরা : ১০ পৃষ্ঠা : ২২২ আয়াত : ২২ আয়াত/পৃষ্ঠা
সুরা ওয়াকেয়া : ৫৬ নং সুরা : ৪ পৃষ্ঠা : ৯৬ আয়াত : ২৪ আয়াত/পৃষ্ঠা
সুরা নজম : ৫৩ নং সুরা : ৩ পৃষ্ঠা : ৬২ আয়াত : ২০ আয়াত/পৃষ্ঠা
কোরআন শরিফ মুখস্ত করার সময় প্রথম দিকে সবাই আয়াতের সংখ্যা দ্রুত বাড়াতে চায়। তাই ছোট ছোট আয়াতের সুরা গুলোকে প্রায়োরিটিতে রাখতে চায়। তাদের জন্য এই হিন্ট।
শেষ দুই পারা আগে মুখস্ত করতে হবে, এই সুরাগুলোর আগে।
একেক জন একেক কারন ধরে বসে আছে এর উপর।
আপনি যাই বলেন না কেন, কোনো না কোনো দল প্রচন্ড ক্ষেপে যাবে, কারন সে যে কারনটা মূল ধরে বসে আছে, আপনি ঐ কারনটার বাইরে অন্য কিছু বলেছেন।
তাই মুসলিমদের অধ্বপতনের কারন নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা বিপদজনক।
http://habibur.com/quran/box/
In other news 12 people died from flood in -- guess where -- Saudi desert.
Also temperature in North pole this winter was 10 C *above* historical average.
এটা কমন ডায়লগ। প্রথম প্রয়োগ করতে শুনেছি এইচটির এক ছেলের কাছ থেকে। ২০০০ এর দিকে। এর অর্থ এই না যে শুধু তারাই বলে। আরো অনেকেই হয়তো বলে।
এটা দিয়ে কি বুঝায় আমার কাছে স্পষ্ট না।
- কিতাবের কিছু "অস্বিকার" করলে সে আর মুসলিম থাকবে না বলে জানি।
- আমার জানা মতে এমন কোনো মডারেট মুসলিমও পাইনি যে কিনা কিতাবের কোনো অংশ "অস্বিকার" করে।
- কোনো মুসলিমকে এখনো বলতে দেখি নি কোরআনের এইটা "ঠিক না", "মানি না", "আমি শুধু অতটকু মানি" বা "ঐটা মানি না"।
- খুজলে হয়তো কয়েকজন পাওয়া যাবে যারা এরকম বলে, তাদের ভিডিও সহ। কিন্তু সিগনিফিকেন্ট সংখ্যক মুসলিমরা এরকম করে, এমনটা চোখে পড়ে নি।
এরকম কিছু জিনিস আছে যেগুলোকে সমস্যা হিসাবে দেখিয়ে হাইলাট করা হয়, কিন্তু ঐ সমস্যায় কারা ভুগছে কিভাবে সেটা আমার কাছে স্পষ্ট না।
by the way: এটা একটা আয়াতের অংশ। আছে সুরা বাকারায়। ইহুদিদের ব্যপারে বলা হয়েছে।
Repeat : আত্মহত্যা করলে যে অস্ত্র দিয়ে সে আত্মহত্যা করলো, সেই অস্ত্র দিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত তাকে শাস্তি দেয়া হয়। যে কারনেই করুক।
আল্লাহ তায়ালা কাউকে এত কষ্ট দেন না যে তাকে আত্মহত্যা করতে হবে।
আপনার পরিবারের কেউ আত্মহত্যা করেছে? তাই আপনি আত্মহত্যাকারিদের ব্যপারে সিমপেথেটিক? এটা আপনার ব্যপার। আপনার মানসিক শান্তির জন্য হুকুম "নরম" করার উপায় নেই।