ফিতনা-দ্বন্ধ নিয়ে বেশি কথা বললেও, এগুলো জীবনের মূল বিষয় না। মূল বিষয় হলো আমি জান্নাতি নাকি জাহান্নামি।
১
এটা সলভড হলে, এর পর কোন স্তরের জান্নাতি?
জান্নাত ৮ টা আছে, এটা প্রচলিত মত। হাদিসে বলা আছে জান্নাতের ১০০ টি স্তরের কথা। অন্য হাদিসে আছে কোরআনের প্রতি আয়াত কারো মুখস্ত আছে তার জন্য জান্নাতে এক স্তর করে বাড়বে। সে হিসাবে ৬০০০ স্তর।
আর্থাৎ বহু স্তর। স্তরগুলোকে বিভিন্ন ভাবে গ্রুপ করা হয়েছে।
২
যদি ধারনা করি জান্নাতে গেলেই আমি সর্বোচ্চ স্তরে থাকবো তবুও ভুল।
ধরি যে ৬০ বছর বাচলো তার জীবনে প্রতি ৫ বছর পর পর আল্লাহ তায়ালা একটা পরিক্ষা নেবেন। যদি সে সেটায় পাশ করে তবে এক স্তর জান্নাত বাড়লো। মেটাফরিক কথা।
সে তাহাজ্জুদ পড়ে? সর্বোচ্চ জান্নাতে যাবে? না তা না। এক স্তর বাড়লো।
দুনিয়াতে দরিদ্র ছিলো যার উপর সবর করেছে? আরেক স্তর বাড়লো।
অন্ধ ছিলো? বা পঙ্গু? আরেক স্তর বাড়লো।
পিতা-মাতা খুবই বদমেজেজি ছিলো, এর পরও তাদের খিদমত করেছে? আরেক স্তর।
৩
দিনের শেষে নিজের আমল দিয়ে কেউ জান্নাতে যাবে না। আল্লাহর রহমত দিয়ে। কিন্তু আল্লাহর রহমত তার উপর বেশি, সে দুনিয়াতে যা করেছে তার উপর।