মালিকি মাজহাবের তাসাউফে আসি।
১
মালিকিতে নামাজে আন্তরিকতাটা আসল। আল্লাহর ধ্যন। ধিরে সুস্থে আন্তরিকতার সাথে নামাজ পড়া। হাত পা কি ভাবে রাখা হবে কতটুকু নড়বে এগুলোতে কোনো ফোকাস নেই। যেভাবেই করা হোক সমস্যা নেই। কিন্তু দুই সিজদার মাঝে সোজা হয়ে বসে নি? নামাজ হবে না, কারন এটা ফরজ। হানাফিতে ছিলো ওয়াজিব, সহু সিজদা দিলেই হয়ে যেতো।
এরকম হজ্জের সময়েও দেখেছি মালিকিদের সবচেয়ে অন্তরিক ভাবে নামাজ পড়তে। একেবারে গোলামি। কিন্তু হাত পা ঊঠা বসা সেগুলোর দিকে কোনো খেয়াল নেই।
পরে জেনেছি তাদের মাজহাবের নিয়মই এরকম।
২
মালিকিতে সম্মিলিত জিকির নেই। জোরে জিকির নেই। সম্মিলিত দোয়া নেই। জোরে সম্মিলিত দোয়া সালাফিতে আছে। যেমন রমজানে বেতেরে দেখা যায়। মালিকিতে কুনুত পড়তে হয় আস্তে। যে যার মতো।
এর কারন হিসাবে ইমাম মালিক বলেছেন সম্মিলিত জোরে দোয়াতে আল্লাহর কাছে নিজেকে নিচু করে আকুতি করার বদলে একটা শো অফ হয়ে যায় কে কত সুন্দর দোয়া করতে পারে।
এজন্য এক সময় দেখতাম কাবায় তারাবির শেষ ১০ রাকাত সবসময় ইমাম সুদাইস পড়াতেন, কারন অন্য কেউ উনার মতো সুন্দর দোয়া করতে পারবে না। এটা খারাপ বলছি না। কিন্তু একটা পার্সপেকটিভ।
বাংলাদেশেও এই রকম দোয়ার প্রতিযোগিতা দেখা যায়।
৩
আর মালিকিতে তাসাউফ আছে। কতটুকু আছে সেটা পরে আরো ভালো মতো পড়ে জানতে হবে। কিন্তু "তাসাউফ এই উপমহাদেশের হিন্দুদের থেকে এসেছে। আল্লার রাসুল ﷺ আমাদের এই শিক্ষা দিতে আসেন নি।" -- এই যুক্তি মালিকিদের ক্ষেত্রে খাটানো যায় না।
এতটুকু শুধু জানার ইচ্ছে ছিলো।
#HabibMaliki
#hTasauf