অন্ধলোক
সালিম স্কুলে যাচ্ছিলো। পথে দেখে এক অন্ধ লোক পার হতে চাচ্ছে।
সালিম তার হাত ধরে পথ দেখিয়ে রাস্তা পার করে দিলো।
অন্ধ তাকে ধন্যবাদ দিলো, তার কাজের জন্য।
: কি করতে চাও?
: Cut with them. যেহেতু মানুষ তার বন্ধুর দ্বিনের উপর থাকে।
: ভালো-মন্দ সকলের মাঝে আছে। তারা অত খারাপ কি?
: যদি খাওয়ারিজ হয়।
সময় সাপেক্ষ ব্যপার। Basically don't interact. Don't care about what they say or do. Good or bad.
আর ফ্রেন্ডলিষ্ট পরিষ্কার করতে হবে। আনফলো করো।
ফিডে আসলে যে চেইন দিয়ে এসেছে সবাইকে ব্লক করো।
যেন একসময় ফিডেও আর এদের কেউ না আসে।
"সম্ভব?"
হ্যা। একসময় শাহবাগিদের এইভাবে ব্লক করতাম। এর পর ভিন্ন কারো টাইমলাইনের কমেন্টেও যদি কোনো শাহবাগিকে পেতাম তাকেও ব্লক করতাম। যদিও সে আমাকে কিছু বলে নি।
কেউ আমাকে ফলো করলেও তার টাইমলইন আগে দেখে নিতাম শাহবাগি কিনা। হলে ব্লকড।
এভাবে মাস খানেক পরে ফিড ক্লিয়ার। তারা আমার ফিড দেখে না। আমিও তাদেরটা দেখি না। একটা সেপারেশন তৈরি হয়েছে। অথচ এক সময় সেপারেশন ইমপসিবল মনে হতো।
বন্ধুর সাথে দূরত্ব তৈরি করতে হবে।
ক্লোজ ফ্রেন্ডসদের ব্লক করতে হবে।
But that's a pain that you should go through.
তারা তোমাকে মুসলিম মনে করে না।
দুজনের পথ ভিন্ন।
তাদের পথ তোমার আখিরাত ধ্বংশের কারন হবে।
এর পর জালেমদের শিকড় কেটে গেলো,
আলহামদু লিল্লাহ, রাব্বুল আলামিন।
৬:৪৬
قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَخَذَ اللّهُ سَمْعَكُمْ وَأَبْصَارَكُمْ
وَخَتَمَ عَلَى قُلُوبِكُم
مَّنْ إِلَـهٌ غَيْرُ اللّهِ يَأْتِيكُم بِهِ
انظُرْ كَيْفَ نُصَرِّفُ الآيَاتِ
ثُمَّ هُمْ يَصْدِفُونَ
তাদেরকে বলেন,
বলতো যদি আল্লাহ তোমাদের দৃষ্টি-শ্রবনশক্তি তুলে নেন,
আর তোমাদের অন্তর সিল করে দেন,
তবে কোন ইলাহ ফিরিয়ে দিবে, আল্লাহ ছাড়া?
দেখেন আমি কত ভাবে আয়াত বর্ননা করছি।
এর পরও তারা এড়িয়ে চলে।
শব্দ,
দাবির-শেকড় : دَابِرُ
খাতাম-সিল : وَخَتَمَ সে থেকে কোরআন খতম।
সদফ-এড়ানো : يَصْدِفُونَ । এর কোনো Mnemonic পেলাম না। ক্রড শিখতে হবে।
সাররাফ-এক্সচেইঞ্জ : نُصَرِّفُ যেমন money exchange. যারা হজ্জে গিয়েছিলেন তাদের মনে থাকার কথা। আগের পৃষ্ঠাতেও ওয়ার্ডটা এসেছিলো।
এই পৃষ্ঠার অডিওতে তিলওয়াতের সময় কান্নায় শায়েখের তিলওয়াত জড়িয়ে যায়। একারনে বার বার এটা শুনার সুযোগ নেই।
এখানে চেষ্টা করে দেখলাম শুনার স্টেপটা বাদ দিয়ে, শুধু পড়ে মনে রাখা যায় কিনা। দেখলাম হয় না। শুনা জরুরী।
রবি বার থেকে চার দিনে ১ পৃষ্ঠা। আর বৃহস্পতি থেকে ৩ দিনে আরেক পৃষ্ঠা। এভাবে চেষ্টা করছি। শুক্র শনি ছুটি বলে বেশি পড়া যায়।
আমি এই বিশ্বাস রাখি না। এবং ঐ বিশ্বাসিদের কাজের সাথে বরং ইতিহাসে খাওয়ারিজদের অদ্ভুত মিল দেখি।
এটা একটা পুরানো ফেইক নিউজ।
আজকে দেখলাম ourislam এর কোনো রিপোর্টার ছাপিয়েছে।
আফ্রিকার এক দেশের পত্রিকা প্রথমে এটা স্যটায়ার হিসাবে ছাপায়। স্যটায়ার মানে মিথ্যা কিন্তু হাসানোর জন্য কোনো খবর।
এর পর স্যটায়ের না বুঝে বা বুঝলেও ক্লিক কালেকশনের জন্য বিভিন্ন দেশের অনলাইন-অফলাইন পত্রিকা ছাপাতে থাকে।
বিস্তারিত এখানে।
http://www.bbc.com/news/world-africa-35427654
China decided to construct a road in Doklam, a border area between India, China and Bhutan.
India said China was trying to extend a road southwards, changing the status quo. To prevent it, Indian military crossed border into an area.
China said, India has crossed into China.
India said that area is in Bhutan, its ally.
Several dozen troops from each side remain gridlocked while the two capitals seem unable to make any progress on the issue.
Bhutan is trying to distance itself from India’s steps. It didn't name India, but said it viewed the road construction as a problem.
তাদেরকে বলেন,
বলতো যদি আল্লাহ তোমাদের দৃষ্টি-শ্রবন শক্তি তুলে নেন,
আর তোমাদের অন্তর সিল করে দেন,
তবে কোন ইলাহ ফিরিয়ে দিবে, আল্লাহ ছাড়া?
দেখেন আমি কত ভাবে আয়াত বর্ননা করছি।
এর পরও তারা এড়িয়ে চলে।
বলে দিন, যদি তোমাদের উপর আল্লাহর আযাব আসে হটাৎ দৃশ্যমান হয়ে
তবে জালেম কওমই ধ্বংশ হবে।
আমি রসুলদের পাঠাই সুসংবাদ আর হুশিয়ার জানাতে।
যে ঈমান আনে সৎ কাজ করে তার ভয় নেই, দুঃখিত হবে না।
আর যারা আমার আয়াতকে মিথ্যা বলে,
তাদেরকে আযাব স্পর্শ করবে, ফাসেকির কারনে।
বলে দিন,
বলছি না আমার কাছে আল্লাহর খাজানা আছে।
আর গায়েবের খবরও আমার জানা নেই।
আর তোমাদেরকে এও বলছি না যে আমি ফিরিস্তা।
আমি শুধু তাই অনুসরন করি, যে ওহি আমার উপর আসে।
বলুন,
অন্ধ আর অন্ধ-না, দুজন কি সমান?
তোমরা চিন্তা কর না?
এটা দিয়ে আপনি সাবধান করেন তাদের,
যাদের ভয়- তাদের রবের কাছে একত্রিত হওয়া।
উনি ছাড়া কোনো রক্ষাকারী-সুপারিশকারী নেই।
তাই তারা যেন তাকওয়া করে।
আর তাদেরকে দূর করবেন না,
যারা নিজেদের রবকে সকাল-সন্ধায় ডাকে, সন্তুষ্টি চেয়ে।
তাদের কোনো হিসাব আপনার উপর নেই।
আপনার কোনো হিসাব তাদের উপর নেই।
দূর করলে বরং আপনি জালেমদের কেউ।
- সুরা আনআম, পৃষ্ঠা ৬ থেকে।
Actually this guy has solved it.
20 mins video, but all followable with undergrad math.
১
পরিক্ষায় প্রশ্ন : নামাজের জন্য পাচটি প্রয়োজনীয় উপকরনের নাম লিখো।
ছাত্র উত্তর লিখছে, জায়নমাজ, তসবিহ, টুপি...একটু চিন্তা করে...জুতা ও ছাতি।
একটা ওয়াটার প্রুফ জুতা আর ছাতা না হলে এই বর্ষায় মসজিদে যাওয়া কষ্টকর। রাস্তা যেহেতু সবসময় কাদা থাকে।
২
ছাতার দ্বিতীয় উপকার হলো, মসজিদ থেকে বেরুনোর সময় এটা লাঠির মত নামাজীদের সামনে ধরে হেটে পার হয়ে আসতে পারবেন।
একারনে ছোট বেলায় মুরুব্বিদের দেখতাম ১২ মাস একটা ছাতা আর প্লাসটিকের জুতা পড়তে। তখন এটা এক্সট্রিম আনস্মার্ট মনে হতো। এখন আমার কাছে নেসেসিটি স্মার্টনেসের উপর প্রায়োরিটি পায় :-)
৩
দেশের কুকুর প্রেমিকদের কল্যানে আগে যে রাস্তায় ২ টা কুকুর থাকতো সেখানে এখন ২০টা।
বৃষ্টির দিন হেটে যাচ্ছেন। একটা ভিজা কুকুর আপনার গা ঘেষে গেলো। কাপড় নাপাক হবে?
ছাত্র অবস্থায় প্রথম যখন বই পড়ছিলাম তখন পড়েছিলাম, কুকুরের মুখের লালা শুধু নাপাক। এর পর লোকমুখে শুনেছিলাম গা ভিজা থাকলে গা নাপাক। মুরুব্বিদের দেখতাম কাপড়ে ভিজা কুকুর লেগে গেলে বাসায় ফিরে এসে কাপড় বদলিয়ে আবার মসজিদে যেতে।
এখন নেটে সার্চ করে দেখি বর্তমান ফতোয়া হলো, কুকুরের গা ভিজা হলেও নাপাক না। শুধু লালা নাপাক।
৪
রাস্তার কাদা ছিটে কাপড়ে লাগলে ধুতে হবে? নাকি সেই ময়লা দিয়ে নামাজ হবে।
যা শিখেছি - ঐ ময়লা দিয়েই নামাজ হবে। যদি না ঐ কাদায় স্পষ্ট বা নিশ্চিৎ নাপাকি থাকে।
পেছনের লোকেরা আপত্তি জানাবে। কারন দেখতে খারাপ লাগে। কিন্তু নামাজ হবে।
এর আরেকটা সমাধান হলো প্লাসটিকের জুতা। মুরুব্বিদের স্টাইলে। আনস্মার্ট যদিও, তবুও প্রেকটিক্যল। কাদা ছিটবে না।
This resentment manifests in a few major ways:
- People asking me software/math trivia or throwing around obscure terms and acting surprised when I don't know them. People grasping at every time I say "I don't know" to prove my incompetence.
- People simply telling me I'm not actually that successful, or my work isn't actually that valuable or enjoyable, or I'm not actually this happy.
- And they often have networks of other people who have this attitude.
But you see, the people who react with joy:
- Ask me how they can help me. Give without expecting to receive if they're in a position to do so.
- Emanate a joy that's contagious and brightens my whole day, making me want to live life more fully.
- Ask questions that come from a place of curiosity and enjoyment of life, not trying to prove who's smarter or more successful.
- Introduce me to more kind-hearted people.
What is that saying? "A candle loses nothing by lighting another candle." These people live that quote.
It's important for me to acknowledge this because it bleeds into business. I've learned very quickly to avoid doing business with those who react to my success with resentment. Even if they aren't doing it on purpose, even if they aren't malicious, I still keep my distance.
It is a decision that cost me some short term profits early on.
But it is a decision that has more than paid off, over and over and over.
I kindly thank them for their willingness to talk to me, and move back to those who treat others with joy and happiness.
(copy pasted from web)
আবার মাঝে মাঝে কোনো আয়াতের একদম অর্থ বুঝতে পারি না। তখন তফসিরে দেখি এটার অর্থ কি।
____
সুরা আনআমের যে অংশ পড়ছি তার শেষ দুটো আয়াতে প্রসংগ বুঝতে পারছিলাম না। তাই তফসির দেখলাম। বুঝলাম রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কাছে গরিব মুসলিমরা এসে বসে থাকতো। কাফেররা এটা পছন্দ করতো না। তারা চাইতো যেন গরিবদের উনি খেদিয়ে দেন। এবং কাফেররা উনার সামনে এসে বসতে পারে।
এই ব্যপারে আল্লাহ তায়াল এই দুই আয়াতে বলেছেন।
[৬:৫২]
আর তাদেরকে দূর করবেন না,
যারা নিজেদের রবকে সকাল-সন্ধায় ডাকে, সন্তুষ্টি চেয়ে।
তাদের কোনো হিসাব আপনার উপর নেই।
আপনার কোনো হিসাব তাদের উপর নেই।
দূর করলে বরং আপনি জালেমদের একজন।
[৬:৫৩]
এভাবে তাদের কিছুদেরকে দিয়ে অন্যদের পরিক্ষায় ফেলি,
যেন তারা বলে, ওরাই কি আমাদের মাঝে আল্লাহর পছন্দের দল?
আল্লাহর জানেন শোকর আদায়কারীদের।
_____
তফসিরে জালালাইনে:
52 - } ولا تطرد الذين يدعون ربهم بالغداة والعشي يريدون { بعبادتهم } وجهه { تعالى لا شيئا من أعراض الدنيا وهم الفقراء وآان المشرآون طعنوا فيهم وطلبوا أن يطردهم ليجالسوه وأراد النبي صلى االله عليه و سلم ذلك طمعا في إسلامهم } ما عليك من حسابهم من { زائدة } شيء { إن آان باطنهم غير مرضي } وما من
حسابك عليهم من شيء فتطردهم { جواب النفي } فتكون من الظالمين { إن فعلت ذلك
53 - } وآذلك فتنا { ابتلينا } بعضهم ببعض { اي الشريف بالوضيع والغني بالفقير بأن قدمناه بالسبق إلى الإيمان } ليقولوا { اي الشرفاء والأغنياء منكرين } أهؤلاء { الفقراء } من االله عليهم من بيننا { بالهداية اي لو آان ما هم عليه هدى ما سبقونا إليه قال تعالى : } أليس االله بأعلم بالشاآرين { له فيهديهم : بلى
এই ব্যপারে ফতোয়া চাওয়া হয়েছিলো দেওবন্দ মাদ্রাসায়।
ইফতাহ বিভাগের পক্ষ থেকে উত্তর দেন মুফতি যাইনুল ইসলাম কাসেমী।
কয়েক পৃষ্ঠার এই ফতোয়া তাদের ওয়েব সাইটে উর্দুতে প্রকাশিত হয়।
এটা বাংলা অনুবাদ করেছেন মুফতি এনামুল হক কাসেমী।
আর বাংলা অনুবাদটা প্রকাশিত হয়েছে মাসিক আল আবরার পত্রিকায়।
নিচে ফতোয়া। Collected.
_____
দাঁড়াতে ও সিজদা করতে সক্ষম এমন ব্যক্তির জন্য নামাজে কিয়াম বা দাঁড়ানো ফরজ এবং এটি নামাজের একটি রুকন। যদি দাঁড়ানো বা সিজদাদানে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও ফরজ নামাজ বসে আদায় করা হয়, তবে নামাজের ফরজ বা রুকন ছেড়ে দেওয়ার কারণে নামাজ হবে না। নামাজ পুনরায় পড়তে হবে। (দুররে মুখতার, যাকারিয়া বুক ডিপো ২/১৩২)
এমনকি যদি নামাজের কিছু অংশ দাঁড়াতে সক্ষম, পুরো সময় দাঁড়িয়ে থাকতে অপারগ, তবে যেটুকু সময় দাঁড়াতে পারবে তা কোনো লাঠি বা দেয়ালের সঙ্গে ঠেস দিয়ে হলেও সেটুকু দাঁড়ানো ফরজ। এমতাবস্থায় যদি না দাঁড়ায় এবং কোনো কিছুর ওপর হেলান দিয়ে দাঁড়ানোর পরিবর্তে বসেই নামাজ আদায় করে, তবে নামাজ হবে না। (দুররে মুখতার ২/২৬৭)
যদি কোনো লোক দাঁড়াতে সক্ষম, কিন্তু রুকু-সিজদা বা শুধু সিজদা করতে সক্ষম নয়, তার জন্য বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ। সে ইশারার মাধ্যমে রুকু-সিজদা করবে। এমতাবস্থায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করার চেয়ে বসে ইশারার মাধ্যমে নামাজ আদায় করা উত্তম। (দুররে মুখতার ২/৫৬৭), ফতোয়া আলমগীরী ১/১৩৬-তেও এরূপ রয়েছে।
যেসব অক্ষমতার কারণে দাঁড়ানোর আবশ্যিকতা রহিত হয়ে যায়, তা দুই প্রকার :
১। হাকিকি বা মৌলিক : এমন অক্ষম, যে দাঁড়াতে পারবে না।
২। হুকমি বা বিধানগত : এমন অক্ষম নয় যে, দাঁড়ানো সম্ভব না, বরং দাঁড়ালে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অথবা এমন দুর্বলতা থাকে, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে অক্ষমতা বলে বিবেচিত, যেমন অসুস্থতা, যার ব্যাপারে অভিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তাররা পরামর্শ দেন যে দাঁড়ালে রোগ বৃদ্ধি পাবে অথবা সুস্থতা ফিরে আসতে বিলম্ব হবে কিংবা দাঁড়ানোর কারণে অসহনীয় ব্যথা অনুভূত হয়, এসব অবস্থায় বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ। (দুররে মুখতার মাআ রদ্দুল মুহতার ২/৫৬৫)
যদি অসহনীয় ও অস্বাভাবিক ব্যথা না হয়, বরং সামান্য ব্যথা অনুভব হয়, তবে তা শরিয়তের দৃষ্টিতে অক্ষমতা বলে বিবেচিত হবে না। এমতাবস্থায় বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ নেই। (তাতারখানিয়া-যাকারিয়া বুক ডিপো-২/৬৬৭)
যে লোক দাঁড়াতে অক্ষম, কিন্তু মাটিতে বসে সিজদার সঙ্গে নামাজ আদায় করতে সক্ষম, তবে তাকে মাটিতে বসে সিজদাসহকারে নামাজ আদায় করতে হবে। মাটিতে সিজদা না করে চেয়ারের ওপর বসে বা মাটিতে বসে ইশারা করে নামাজ আদায় করা জায়েজ হবে না। (তাতারখানিয়া-যাকারিয়া বুক ডিপো-২/৬৬৭)
যদি রুকু ও সিজদা করতে অপারগ, কিন্তু মাটিতে বসে ইশারা করে নামাজ আদায় করতে সক্ষম, তবে তাশাহুদ অবস্থার মতো বসা আবশ্যক নয়। বরং যেকোনোভাবেই চাই মহিলাদের তাশাহুদে বসার মতো বা যে আসনে বসলে আরাম হয়, সেভাবেই মাটিতে বসে ইশারা করে নামাজ আদায় করবে। চেয়ারে বসা উচিত নয়। কারণ শরিয়ত এমন অপরাগদের মাটিতে বসার ব্যাপারে পূর্ণ ছাড় দিয়েছে, যে আসনে সম্ভব হয়, সেভাবেই বসে নামাজ আদায় করবে। (দুররে মুখতার মাআ শামী-২/৫৬৬)
এমতাবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করলে কয়েকটি কারণে মাকরুহ হবে।
১. মাটিতে বসা সুন্নাত। এ পদ্ধতিতেই সাহাবায়ে কেরাম এবং পরবর্তী মুসলমানদের আমল চলে আসছে। ৯০ দশকের আগ পর্যন্ত চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করার প্রচলন ছিল না। খাইরুল কুরুন তথা ইসলামের সোনালি যুগেও এর কোনো নজির পাওয়া যায় না।
২. চেয়ার ব্যবহারের কারণে নামাজের কাতারে অনেক ফাঁকা রয়ে যায়। অথচ এত্তেসালে সফ তথা কাতারে পরস্পর মিলে দাঁড়ানোর ব্যাপারে হাদিসে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
৩. প্রয়োজন ছাড়া চেয়ার মসজিদে নেওয়ার কারণে বিধর্মীদের উপাসনালয়ের সাদৃশ্যতা দেখা দেয় অথচ দ্বীনি কাজে অন্যদের সাদৃশ্য গ্রহণ নিষেধ।
৪. নামাজ হলো বিনয় ও নম্রতার বহিঃপ্রকাশ, প্রয়োজন ছাড়া চেয়ার ব্যবহার করার চেয়ে মাটিতে নামাজ আদায় করলে বিনয় ও নম্রতা পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ পায়।
৫. মাটির নিকটবর্তী হওয়া নামাজের একটি কাম্য বিষয়, যা চেয়ারের ওপর আদায় করলে পাওয়া যায় না।
যদি কোনোভাবেই মাটিতে বসে নামাজ আদায় করার সাধ্য ও সামর্থ্য না থাকে, তবে প্রয়োজনের ভিত্তিতে চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করা যাবে। কিন্তু যদি যেকোনোভাবে মাটিতে বসে রুকু-সিজদা করার সামর্থ্য থাকে, তবে চেয়ারে নামাজ আদায় করা জায়েজ হবে না।
যে ক্ষেত্রে জরুরতের কারণে চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করার অনুমতি রয়েছে, সে ক্ষেত্রে সিজদার সময় ইশারার ওপরই ক্ষান্ত হওয়া উচিত। চেয়ারের কোনো অংশ যেমন কোনো কাঠের ওপর সিজদা করার তথা অক্ষম অবস্থায় কোনো উঁচু বস্তুর ওপর সিজদা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। যেমন একদিন নবী করিম (সা.) কোনো সাহাবির শুশ্রূষা করতে তাশরিফ নিয়ে গেলেন। ওই সাহাবি অক্ষমতার কারণে একটি বালিশের ওপর সিজদা আদায় করছিলেন। নবী করিম (সা.) তাঁকে সেরূপ করা থেকে বারণ করতে গিয়ে বলেছেন, যদি মাটিতে সিজদা করা তোমার জন্য অসম্ভব হয়, তবে ইশারা করে নামাজ আদায় করবে এবং সিজদার মধ্যে রুকু অপেক্ষা সামান্য বেশি ঝুঁকবে। এ হাদিসটি মুসনাদে বাযযারে বর্ণিত। এর বর্ণনাকারীরা সহিহ হাদিসের বর্ণনাকারী। (এ’লাউস-সুনান- ৭/১৭৮)
আরেক বর্ণনায় আছে, উম্মুল মুমিনীন হজরত উম্মে সালমা (রা.) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর সামনে একটি বালিশ আনা হলো। এর ওপর তিনি সিজদা করতেন। নবী করিম (সা.) এটি দেখেছেন, কিন্তু নিষেধ করেননি। নবী করিম (সা.) কর্তৃক কোনো আমল দেখে চুপ থাকাটা অনুমতির প্রমাণ বহন করে।
আল্লামা শামী (রহ.) উভয় বর্ণনার মধ্যে এভাবে সামঞ্জস্য বর্ণনা করেছেন, নামাজ আদায়কালে কোনো বস্তু উঠিয়ে তার ওপর সিজদা করা মাকরুহ। কিন্তু যদি মাটিতে আগে থেকে কোনো বস্তু স্থাপিত থাকে এবং নামাজ আদায়কারী এর ওপর সিজদা করে, তবে তা মাকরুহ হবে না।
ওই আলোচনার সার কথা হলো, কোনো পূর্ব স্থাপিত উঁচু বস্তুর ওপর সিজদা করা অথবা সিজদার জন্য কোনো বস্তু রাখা ছাড়া ইশারা করে নামাজ আদায় করা উভয়টিই জায়েজ। কিন্তু উল্লিখিত টেবিলসংযুক্ত চেয়ারে সিজদা করলে তাও মূল সিজদা হবে না, বরং ইশারার মতোই হবে। সুতরাং সেরূপ কুরসির ওপর বসে নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি যদি ইমামতি করে, তবে তার পেছনে রুকু-সিজদাকারী মুসল্লির নামাজ হবে না।
আল্লামা শামী (রহ.) লিখেন : কিন্তু নবী করিম (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরাম বারণ করার কারণে তা (উঁচু বস্তুতে সিজদা করা) অনুত্তম বলেই মনে হয়। তা ছাড়া যারা নিয়মিত চেয়ার বা কুরসিতে নামাজ আদায় করে থাকে, তাদের সব সময় নামাজে অসম্পূর্ণতা অনুভূত হবে। অর্থাৎ এরূপ সন্দেহ হবে যে আমরা তো সিজদাই করলাম না আমাদের নামাজ হচ্ছে কি না?
হজরত হাকিমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহ.) একে অনুত্তম বলেন : সিজদা করার জন্য বালিশ বা কিছু উঁচু বস্তু রেখে দেওয়া এবং এর ওপর সিজদা করা উত্তম নয়। যখন সিজদা করতে অপারগ হবে, তখন ইশারা করেই নামাজ আদায় করবে। বালিশ বা উঁচু কিছুর ওপর সিজদা করার প্রয়োজন নেই। (বেহেশতী জেওর ২/৪৫, অসুস্থ ব্যক্তির নামাজের বর্ণনা)
উল্লিখিত দীর্ঘ আলোচনার সংক্ষিপ্ত নিম্নরূপ :
১. যে ব্যক্তি দাঁড়াতে সক্ষম নয়, কিন্তু যেকোনোরূপে মাটিতে বসে রুকু-সিজদা করে নামাজ আদায় করতে পারে, তাকে মাটিতে বসেই রুকু-সিজদা করে নামাজ আদায় করতে হবে। চেয়ার ইত্যাদিতে বসে ইশারায় রুকু-সিজদা করে নামাজ আদায় করা জায়েজ হবে না। নামাজ আদায় হবে না।
২. যদি দাঁড়াতে পারে, কিন্তু কোমর বা হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়ার কারণে সিজদা করার শক্তি নেই অথবা ওই ব্যক্তি যে মাটিতে বসতে পারে কিন্তু রুকু-সিজদার শক্তি রাখে না, এরূপ লোক জমিতে বসে নামাজ আদায় করবে। চেয়ার ইত্যাদির ব্যবহার মাকরুহ হবে। হ্যাঁ, যদি কোনোভাবেই মাটিতে বসা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে, তখন চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করা যেতে পারে। এমতাবস্থায় চেয়ার ব্যবহার করলেও সাদামাটা চেয়ার ব্যবহার করবে। টেবিলযুক্ত চেয়ার ব্যবহার করবে না।
মাটিতে বা চেয়ারে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে দুটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য :
১. চেয়ারে ইশারা করে নামাজ পড়ার সময় অনেকে রুকুতে হাত রানের ওপর রাখে এবং সিজদার সময় শূন্যে আলগে ধরে সিজদার ইশারা করে। এরূপ করা স্বীকৃত নয়। রুকু ও সিজদা উভয় ক্ষেত্রে হাত রানের ওপর রাখা উচিত।
২. অক্ষম অবস্থায় মাটিতে বসে রুকু-সিজদার সঙ্গে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে রুকুতে নিতম্ব মাটি থেকে ওঠানোর প্রয়োজন নেই। বরং কপাল হাঁটু বরাবর হওয়া জরুরি। “বসা অবস্থায় রুকু করার সময় শুধু কপালকে হাঁটু বরাবর করা জরুরি। এর চেয়ে বেশি ঝোঁকার প্রয়োজন নেই। না নিতম্ব ওঠানোর প্রয়োজন আছে। (এমদাদুল আহকাম : ১/৬০৯)
চেয়ারে নামাজ আদায়কারীরা এখন নিজের অবস্থার ওপর চিন্তা করে দেখুন। বাস্তবে কি আপনি এমন অক্ষম যে, শরিয়তের দৃষ্টিতে আপনার জন্য চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ হবে। বাস্তবে আপনি সেরূপ অক্ষম ও অপারগ না হলে চেয়ারে নামাজ আদায় পরিহার করতে হবে। যাতে আপনার নামাজ শরিয়ত অনুযায়ী হয়। মসজিদে প্রয়োজন ছাড়া চেয়ারের আধিক্য না হয়, মসজিদকে কোনো কনভেশন সেন্টার বা বিয়েবাড়ি বা হল মনে না হয়। আর একান্ত প্রয়োজনে যদি চেয়ার ব্যবহার করতেই হয়, তবে টেবিলযুক্ত চেয়ার যেন ব্যবহার না করা হয়।
এটা অনেক পুরানো ছাপার এর পর ছাপানো হয় নি।
মূল লিখক সম্ভবতঃ বদরে আলম মিরাঠি।
কারো কাছে থাকলে জানালে আমি নিয়ে স্কেন করে আবার ফিরত দিয়ে দেবো ইনশাল্লাহ।
১
নানি-দাদিদের আমলে।
দুটো সলিড পাথরের চাকা থাকতো।
মাঝে গম রেখে ঘুরালে গম পিষে আটা।
এর নাম যাতা।
হাতে ঠোসা পড়ে যেতো।
২
মা-খালাদের আমলে।
এত কষ্ট নেই।
আটা মেশিনে ভাঙ্গায়।
পিড়ি বেলুনে রুটি বানায়।
বেলুন চালাতে চালাতে হাত শক্ত।
৩
বর্তমানে ফেমিনিষ্টদের যুগ।
দোকান থেকে কিনে আনে ফ্রোজেন পরটা।
যাতা-বেলা কিছু নেই।
কেবল ফ্রাই পেনে ভাজা।
১
এক ছোট ফার্মের মুরগি কিনেন। ১ কেজি আলু। বাসায় চিকেন ফ্রাই আর আলু কেটে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি করে খান।
খরচ : ২০০/= পরিমান : ২ কেজি। সময় : ২ ঘন্টা।
২
কাটা কাটি করতে ঝামেলা লাগে? দোকান থেকে প্রোসেসড মসলা মাখানো চিকেন কিনেন। আর ফ্রোজেন পেকেট ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। বাসায় এনে শুধু তেলে ভাজা।
খরচ : ৪০০/= পরিমান : ১ কেজি। সময় : ১ ঘন্টা।
৩
এতেও অলসতা? কোনো ফাস্ট ফুডের দোকানে যান। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর চিকেন ফ্রাই অর্ডার দিন।
খরচ : ৮০০/= পরিমান : আধা কেজি। সময় : ৩০ মিনিট।
প্রতি ধাপে খরচ বেড়ে দ্বিগুন। পরিমান কমে অর্ধেক।
Which one is worth it?
দুর্দান্ত সফটওয়ার। মাত্র ১৩ মেগাবাইট ডাউনলোড।
ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড শব্দার্থ আছে। সেটিংস এ গিয়ে "ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড" চেক করে নিতে হবে। এর পর প্রতিটা আয়াতের নিচে বাংলায় প্রতি শব্দের অর্থও দেখিয়ে দেবে। যারা কুরানিক এরাবিক শিখছেন তাদের জন্য খুবই সহায়ক হবে।
দুটো তফসির দেয়া। যে কোনো আয়াতে টাচ করলে এর পর তফসির পড়া যাবে। উপরে ড্রপ লিষ্ট থেকে দুটোর মাঝে সুইচ করতে পারবেন। তবে দুটো তফসিরই সালাফি মানহাজের রিসেন্ট তফসিরকারকদের লিখা। আমার আগ্রহ পুরানো তফসিরে বেশি।
কোনো এড নেই। আরেকটা Plus! তাই মসজিদে পড়তে পারবেন।
আমি সাধানতঃ মোবাইলে খুব প্রয়োজনীয় না হলে কোনো এপ রাখি না। এটা রাখলাম।
আল্লাহ তায়ালা এর পেছনে পরিশ্রমকারীদের উত্তম প্রতিদান দান করুন।
Recommend.
দয়ালু দয়াময় আল্লার নামে।
আলহামদুলিল্লাহ,
যিনি আসমান-জমিন সৃষ্টি করেছেন,
আলো-আধার এনেছেন,
এর পরও কাফেররা শরিক করে।
তিনি তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।
ঠিক করেছেন সময়কাল।
সময়কাল ঠিক করা আছে উনার কাছে।
এর পরও তোমরা সন্দেহ করো।
উনি আল্লাহ! আসমানে-জমিনে।
জানেন তোমাদের প্রকাশ্য-গোপন।
জানেন তোমাদের কামাই।
এমন কোনো আয়াত আসে নি তাদের রব থেকে
যে তারা সে থেকে মুখ ফিরায় নি।
হক আসার পরে তারা সেটাকে মিথ্যা বললো।
শিগ্রি তাদের কাছে সেই খবর আসছে
যা নিয়ে তারা হাসাহাসি করে।
তারা কি দেখে না, তাদের আগের জেনারেশনগুলোকে কিভাবে ধ্বংশ করেছি?
দুনিয়াতে তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম এমন করে, যেভাবে তোমাদেরকে করি নি
আকাশকে পাঠিয়েছিলাম বৃষ্টি দিয়ে, নদী তাদের নিচে।
এরপর তাদেরকে ধ্বংশ করেছি গুনাহের কারনে।
আরম্ভ করেছি নতুন যুগ।
যদি আপনার উপর কাগজের কিতাব নাজিল করতাম।
সেটাকে হাত দিয়ে ছুয়ে কাফেররা বলতো, এ পরিষ্কার যাদু।
তারা বলে, কেন ফিরিস্তা নামান না?
আমি ফিরিস্তা নামালে বিষয়টা শেষ হয়ে যেতো,
এর পর আর সময় দেয়া হতো না।
ফিরিস্তা পাঠালেও, তাকে মানুষ করে পাঠাতাম
ঐ কাপড় পড়িয়ে যা তারা পড়ে।
আপনার আগেও রাসুলদের নিয়ে হাসাহাসি হতো।
এর পর ব্যঙ্গকারীদের কথাই ব্যঙ্গকারীদের ঘিরে ফেলে।
বলে দিন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমন করে দেখো মিথ্যাবাদিদের কি পরিনতি হয়েছিলো।
বলে দিন, আকাশে-জমিনে যা আছে এগুলো কার?
বলেন আল্লাহর!
উনি নিজের নফসের উপর রহমত লিখেছেন।
তোমাদেরকে একত্রিত করবেন কিয়ামতের দিন, এতে সন্দেহ নেই।
যারা নিজেদের ক্ষতি করেছে, তারা বিশ্বাস করবে না।
দিনে-রাতে যা শান্ত হয় সব উনার। উনি সব শুনেন, জানেন।
বলে দিন, আমি কি আল্লাহকে বাদ দিয়ে রক্ষক নিবো?
অথচ উনি আসমান জমিনের প্রতিষ্ঠাতা!
উনি খাওয়ান, উনাকে কেউ খাওয়ায় না।
বলে দিন, আমাকে আদেশ করা হয়েছে, যেন আমি অনুগতদের মাঝে প্রথম হই!
আর আপনি মুশরিকদের কেউ হবেন না।
বলুন, আমি ভয় করি-
আমার রবের অবাধ্য হলে মহা দিনের শাস্তির।
সেদিন যাকে পার করা হবে তার উপর রহম করা হলো।
এটা পরিষ্কার বিজয়।
যদি আল্লাহ আপনাকে বিপদ দেন তবে সেটা সরানোর কেউ নেই, উনি ছাড়া।
যদি ভালো দেন তবে উনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাশীল।
উনি ক্ষমতাসীন উনার দাসদের উপর।
উনি বিচক্ষন, সব জানেন।
বলেন, সবচেয়ে বড় সাক্ষি কি?
বলে দিন, আমার আর তোমাদের মাঝে সাক্ষি আল্লাহ!
আমাকে এই কোরআন ওহি দিয়ে পাঠিয়েছেন
যেন এ দিয়ে তোমাদেরকে হুশিয়ার করি
আর যার যার কাছে এটা পৌছে।
তোমরা কি সাক্ষ্য দিচ্ছো আল্লাহর সাথে আরো ইলাহ আছে?
বলেন, এই সাক্ষ্য আমি দেবো না।
বলেন, বরং উনি একমাত্র ইলাহ!
আর আমি তোমাদের শিরক থেকে মুক্ত।
যাদেরকে কিতাব দিয়েছি
তারা কিতাব এমন করে চিনে, যেমন সন্তানদের চিনে।
যারা নিজেদের ক্ষতি করেছে তারা বিশ্বাস করবে না।
তার থেকে আর বড় জালিম কে আছে,
যে আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়?
বা উনার আয়াতকে মিথ্যা বলে?
জালেমদের উনি সফল করেন না।
সে দিন তাদের সবাইকে এক করবো।
এর পর মুশরিকদের জিজ্ঞাসা করবো
কোথায় তোমাদের অংশিদার?
যাদেরকে কল্পনা করতে?
এর পরে তাদের ফিতনা থাকবে না
শুধু এ ছাড়া,
যে তারা বলবে আমাদের রব আল্লাহর কছম
আমরা মুশরিক ছিলাম না!
দেখেন কিভাবে তারা নিজেদের উপর মিথ্যা বলছে।
দূর হয়ে গিয়েছে আগের বানোয়াট কথা।
তাদের কেউ আপনার কথা শুনতে থাকে।
আমি তাদের অন্তরের উপর আবরন দিয়ে দিয়েছি যেন না বুঝে,
তাদের কানে বধিরতা।
সব নিদর্শন দেখেও তারা বিশ্বাস আনবে না।
এমন কি কাফেররা তর্কে এসে আপনাকে বলে,
এ সব অতীতের কাহিনী।
তারা এ থেকে নিষেধ করে, এ থেকে পলায়।
তারা শুধু নিজেদেরকে ধংশ করছে, না বুঝে।
যদি তখন দেখতে পেতেন,
যখন তাদেরকে আগুনের কাছে দাড় করানো হবে।
বলবে হায়!
যদি আমরা ফিরে যেতে পারতাম,
আর আমাদের রবের আয়াতকে মিথ্যে না বলতাম।
যদি আমরা মু'মিনদের কেউ হতাম।
তাদের কাছে প্রকাশিত হয়েছে যা আগে গোপন ছিলো।
ফিরে গেলেও তারা নিষিদ্ধ কাজেই ফিরে যেতো।
তারা মিথ্যাবাদী।
তারা বলে এই দুনিয়ার জীবনটাই সব।
আমাদের আরেকবার জীবিত করা হবে না।
যদি দেখতে পেতেন,
যখন তাদেরকে দাড় করানো হবে তাদের রবের সামনে।
উনি বলবেন, এটাই কি সত্য না?
তারা বলবে, হ্যা আমাদের রব!
উনি বলবেন, তবে আযাব ভোগ করো তোমাদের কুফরির জন্য।
তারা ক্ষতিগ্রস্থ যারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাতকে মিথ্যা বলে।
হটাৎ কিয়ামত চলে আসবে।
তারা বলবে, আফসোস! আমরা অলসতা করতাম।
নিজেদের পিঠে নিজ পাপের বোঝা তুলবে।
জেনে নিয়ো, তাদের বোঝা নিকৃষ্ট।
দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা ছাড়া কিছু না।
আখিরাতের ঘর তাকওয়াকারীদের জন্য উত্তম।
তোমরা কি বুঝো না?
আমি জানি, তাদের কথা আপনাকে কষ্ট দেয়।
আপনাকে তারা মিথ্যাবাদী বলে না-
বরং জালেমরা আল্লাহর আয়াতকে অবিশ্বাস করে।
আপনার আগের রসুলদেরকেও মিথ্যাবাদি বলা হতো।
উনারা এর উপর সবর করতেন।
অত্যাচারিত হতেন, আমার সাহায্য আসার আগ পর্যন্ত।
আল্লাহর কালামকে কেউ বদলাতে পারে না।
রসুলদের কিছু খবর আপনার কাছে পৌছলো।
তাদের প্রত্যাখ্যান যখন আপনার কাছে বড় মনে হয়-
যেন পারলে মাটিতে সুড়ঙ্গ খুজতেন
বা আকাশে উঠার সিড়ি-
আর তাদেরকে প্রমান এনে দিতেন।
অথচ আল্লাহ চাইলে তাদেরকে এক সাথে হিদায়াত দিতে পারতেন।
আপনি জাহেলদের কেউ হবেন না।
যারা শুনে তারা জবাব দেয়।
আর মৃত - তাদেরকে আল্লাহ পূনঃজীবিত করবেন,
এর পর উনার দিকে ফিরা।
তারা বলে,
কোনো নিদর্শন আসে না কেন তার উপর? তার রব থেকে?
বলে দিন, আল্লাহর ক্ষমতা আছে নিদর্শন পাঠানোর,
তাদের অধিকাংশ জানে না।
পৃথিবীর বুকে যত জীব আছে,
যত পাখি উড়ে দুই ডানায়,
সব তোমাদের মত উম্মাহ।
কিতাবে কিছু বাদ রাখি নি।
এরপর তাদের রবের কাছে সবার হাশর।
যে আমার আয়াতকে মিথ্যা বলে
সে বোবা-কালা অন্ধকারে।
যাকে ইচ্ছে আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেন,
যাকে ইচ্ছে সরল পথে চালান।
তাদেরকে বলেন,
বলতো যদি আল্লাহর আযাব আসে, বা কিয়ামত
তবে কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকবে? যদি সত্যবাদী হও।
বরং উনাকেই ডাকবে।
উনি সারিয়ে দেবেন যে কারনে ডেকেছো, যদি চান।
তোমরা তখন ভুলে যাবে যাদের শিরক করেছো।
আপনার আগের উম্মতদের কাছেও রসুলদের পাঠিাতাম।
তাদেরকে দুঃখ-কষ্ট দিয়েছিলাম যেন তারা আকুতি করে।
তবে শাস্তি আসার পর তারা আকুতি কেন করে নি?
তাদের অন্তর কঠিন হয়েছিলো,
আর শয়তান তাদের কাজকে সুন্দর করে ধরেছিলো।
মনে করিয়ে দেবার পরও যখন তারা ভুলে গেলো,
তখন খুলে দেই সব কিছুর দরজা।
সব পেয়ে তারা খুশি হয়,
এর পর তাদেরকে ধরি, হটাৎ!
তারা হতাশ হয়ে যায়।
এর পর জালেমদের শিকড় কেটে গেলো,
আলহামদু লিল্লাহ, রাব্বিল আলামিন।
তাদেরকে বলেন,
বলতো যদি আল্লাহ তোমাদের দৃষ্টি-শ্রবন শক্তি তুলে নেন,
আর তোমাদের অন্তর সিল করে দেন,
তবে কোন ইলাহ ফিরিয়ে দিবে, আল্লাহ ছাড়া?
দেখেন আমি কত ভাবে আয়াত বর্ননা করছি।
এর পরও তারা এড়িয়ে চলে।
বলে দিন, যদি তোমাদের উপর আল্লাহর আযাব আসে হটাৎ দৃশ্যমান হয়ে
তবে জালেম কওমই ধ্বংশ হবে।
আমি রসুলদের পাঠাই সুসংবাদ আর হুশিয়ার জানাতে।
যে ঈমান আনে সৎ কাজ করে তার ভয় নেই, দুঃখিত হবে না।
আর যারা আমার আয়াতকে মিথ্যা বলে,
তাদেরকে আযাব স্পর্শ করবে, ফাসেকির কারনে।
বলে দিন,
আমি বলছি না আমার কাছে আল্লাহর খাজানা আছে।
আর গায়েবের খবরও আমার জানা নেই।
আর তোমাদেরকে এও বলছি না যে আমি ফিরিস্তা।
আমি শুধু তাই অনুসরন করি, যে ওহি আমার উপর আসে।
বলুন,
অন্ধ আর অন্ধ-না, দুজন কি সমান?
তোমরা চিন্তা কর না?
এটা দিয়ে আপনি সাবধান করেন তাদেরকে,
যাদের ভয়- তাদের রবের কাছে একত্রিত হওয়া।
উনি ছাড়া কোনো রক্ষাকারী-সুপারিশকারী নেই।
তাই তারা যেন তাকওয়া করে।
আর তাদেরকে দূর করবেন না,
যারা নিজেদের রবকে সকাল-সন্ধায় ডাকে, সন্তুষ্টি চেয়ে।
তাদের কোনো হিসাব আপনার উপর নেই।
আপনার কোনো হিসাব তাদের উপর নেই।
দূর করলে বরং আপনি জালেমদের একজন।
বাচ্চাদের যে হুজুর পড়ান উনাকে দিয়েই হবে।
তবে একটু শক্ত হাফেজ হতে হবে যেন এগ্রাসিভলি ভুল ধরতে পারেন।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.greentech.quran&hl=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.greentech.quran&hl=en
لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلَا اللَّعَّانِ وَلَا الْفَاحِشِ وَلَا الْبَذِيءِ
মু'মিন গালি দেয় না, লানত করে না, আশ্লিল কথা বলে না, কর্কশ কথা বলে না।
ঢাকা থেকে দেখা যাবে। আকাশে পূর্নিমার চাদ থাকবে। এই অবস্থায় গ্রহন।
রাত ১০ টায় চাদ লাল হওয়া আরম্ভ করবে।
রাত সাড়ে ১১ টায় কালো ছায়া পড়া আরম্ভ হবে।
সাড়ে ১২ টায় চাদের চার ভাগের এক ভাগ কালো হয়ে যাবে। এর পর আর না বেড়ে গ্রহন কমে যেতে থাকবে।
রাত দেড় টায় কালো ছায়া পুরো কেটে যাবে।
রাত তিনটায় লাল রং চলে যাবে, এর পর নরমাল।
কিন্তু সেটাকেই এবসোলুট মনে করে অন্ধের মত অনুসরন করলে বিপথগামী হবে।
আবার "অন্ধের মত চলা যাবে না" ধরে নিয়ে, কেবল "আমার কাছে ভালো মনে হলে অনুসরন করবো" করলেও বিপথগামী হতে হবে।
২
রাসুলুল্লাহ ﷺ এক কাফেলা পাঠালেন। বললেন উনি হলেন তোমাদের আমির, তার কথা মেনে চলবে। সফরে এক পর্যায়ে আমির কোনো কারনে রেগে গিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বললেন তোমরা সবাই আগুনে ঝাপ দাও।
লোকেরা একজন অন্য জনের দিকে চেয়ে বললো, আমরা তো আগুন থেকে বাচার জন্যই ইসলাম গ্রহন করেছি। ঝাপ দিলো না কেউ।
রাসুলুল্লাহ ﷺ শুনে বললেন, তোমরা ঠিক কাজ করেছো। ঝাপ দিলে তোমরা ঐ আগুনেই জ্বলতে থাকতে।
যদিও ফাষ্ট রুল ছিলো আমিরের আনুগত্য।
৩
"তোমার বানোয়াট এই সব সাইন্টিফিত থিউরির কোনো দাম নেই যদি না তোমার পেপার কোনো জর্নালে এটা ছাপানো হয়। কত জনের কত থিউরি আছে।"
২০ বছর আগে হুজুগ উঠলো। সবাই মরিয়া নিজের পেপার ছাপানোর জন্য। পত্রিকাওয়ালাদের টাকা সাধে, ভাই আমারটা ছাপান। নতুন নতুন জর্নাল বেরিয়ে গেলো চাহিদা বেড়ে যাওয়াতে। হাবি জাবি পেপারে সেগুলোতে ছাপানো হতে লাগলো।
নিয়মটা ঠিক ছিলো। অতিরিক্ত ফোকাস দেয়াতে এটা এর পর নষ্ট হয়ে যায়।
৪
এর পর জনপ্রীয়তা পেলো peer review. তোমার সমকক্ষ আরো কয়েক জন থিসিস পড়ে যদি বলে ঠিক, তবে ঠিক।
সাইন্টিস্টরা সার্কেল তৈরি আরম্ভ করলো। ভাই আমি তোমার পেপার রিভিউ করে দেবো তুমি আমারটা।
নিয়ম এখানেও ঠিক ছিলো। Over emphasis এর জন্য নষ্ট হয়ে যায়।
৫
দেশের সরকারের হুকুম মেনে চলার নির্দেশ কোরআন হাদিসে আমাদের দেয়া হয়েছে।
অন্ধ মত এটা করলেও বিপথগামী হবার আশংকা আছে।
আবার শুধু পছন্দ মত করলেও বিপথগামী হবার আশংকা আছে।
অনুসরন তখনই যখন হুকুমটা শরিয়ত বিরোধি কোনো কাজের জন্য না হয়।
আবার "পুরো সরকার শরিয়ত বিরোধি তাই তার কিছু অনুসরন করা যাবে না" -- এরকম মনে করলে আমি মুসলিমদের জামাত থেকে আলাদা হয়ে গেলাম। খারেজি।
দেশের অধিকাংশ মানুষ তাই করে। সরকারের হুকুম মেনে চলে। কিন্তু সরাসরি শরিয়ত বিরোধি হলে মানে না।
: আর টাকা! এমনও হইতে পারে, দেখা যাবে- দু’দিন পরে আমার সব টাকা-পয়সা ইন্দুরে কাটতেছে! টাকা দিয়া আমি কী করব? আপনে বরং এক কাজ করেন, মসজিদ-মাদ্রাসাْ দান কইরা দেন।
অবাক কাণ্ড! টাকার প্রতি তুফান সরকারের মোহ নেই, এর মানে কী?
: ভাই, পুলিশ কি থেরাপি দিতে দিতে আপনেরে বাউলা বানাইয়া ফেলছে!
: আরে না; পুলিশ আমারে কাবু করতে পারে নাই!
: তাইলে?
: গত রাইতে আমি একটা ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখছি।
: কী স্বপ্ন?
: দেখলাম, আমি আমার নিজের লাশ কান্ধে লইয়া হাঁটতেছি।
______________
লিখক মোকাম্মেল হোসেন : সাংবাদিক, যুগান্তর। কতটুকু পেরডি আর কতটুকু সত্য জানি না।
আগের অনুবাদ এখানে আছে।
https://habibur.com/kitab/shaiba/
এগুলো প্রডাকটিভ কাজ। কোরআন শিক্ষাও প্রডাকটিভ কাজ।
হুজাইফা বিন ইয়ামান রা: বলেছেন,
ফিতনা হবে,
মানুষ দাড়িয়ে তার নাকে আঘাত করতে থাকবে যতক্ষন না সেটা চলে যায়।
এর পর আরেকটা ফিতনা হবে
মানুষ দাড়িয়ে তার নাকে আঘাত করতে থাকবে যতক্ষন না সেটা চলে যায়।
এর পর আরেকটা ফিতনা হবে
মানুষ দাড়িয়ে তার নাকে আঘাত করতে থাকবে যতক্ষন না সেটা চলে যায়।
এর পর পঞ্চম ফিতনা হবে, এর আঘাত হবে প্রচন্ড। পৃথিবীতে এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়বে যেভাবে পানি ছড়িয়ে পড়ে।
عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ ، قَالَ : " تَكُونُ فِتْنَةٌ ، فَيَقُومُ لَهَا رِجَالٌ فَيَضْرِبُونَ خَيْشُومَهَا حَتَّى تَذْهَبَ , ثُمَّ تَكُونُ أُخْرَى ، فَيَقُومُ لَهَا رِجَالٌ فَيَضْرِبُونَ خَيْشُومَهَا حَتَّى تَذْهَبَ , ثُمَّ تَكُونُ أُخْرَى ، فَيَقُومُ لَهَا رِجَالٌ فَيَضْرِبُونَ خَيْشُومَهَا حَتَّى تَذْهَبَ ، ثُمَّ تَكُونُ الْخَامِسَةُ ، دَهْمَاءُ مُجَلَّلَةٌ ، تَنْشِّقُ فِي الْأَرْضِ كَمَا يَنْشَّقُ الْمَاءُ "
আবি মিজলাজ বলেছেন, এক লোক বলছে,
হে বনু তামিমের বংশধর। উমর বিন খাত্তাব রা: তাদের এক বছর দান করা নিষেধ করে দিয়েছিলেন, এর পরের বছর থেকে উনি নিজের থেকে দান করা আরম্ভ করেন।
حدثنا معاوية بن هشام قال حدثنا سفيان عن عاصم عن أبي مجلز قال : قال رجل : يا آل بني تميم ، فحرمهم عمر بن الخطاب عطاء هم سنة ثم أعطاهم إياه من العام المقبل.
আলী ইবনে আবি তালিব রা: বলেছেন,
যে সেই জামানা পাবে সে যেন বর্শা দিয়ে আঘাত না করে।
বা তলোয়ার দিয়ে আঘাত না করে।
বা পাথর ছুড়ে না মারে।
বরং সবর করবে, কারন শেষ পুরষ্কার মুত্তাকিদের।
حدثنا معاوية بن هشام قال حدثنا سفيان عن سلمة بن كهيل عن أبي إدريس عن المسيب بن بجينة عن علي بن أبي طالب قال : من أدرك ذلك الزمان فلا يطعن برمح ولا يضرب بسيف ولا يرم بحجر ، واصبروا فإن العاقبة للمتقين.
এভাবে আয়াত বর্ননা করি, যেন পাপীদের পথ স্পষ্ট হয়।
শব্দ,
ফসল-ভাগ করা : نفَصِّلُ classify.
ইসতাবিন-স্পষ্ট করা : وَلِتَسْتَبِينَ মনে রাখার জন্য বাইনা মাঝামাঝি। আসলে بين থেকে استبين এসেছে কিনা জানি না।
৬:৫৬
قُلْ إِنِّي نُهِيتُ أَنْ أَعْبُدَ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ اللّهِ
قُل لاَّ أَتَّبِعُ أَهْوَاءكُمْ
قَدْ ضَلَلْتُ إِذًا وَمَا أَنَاْ مِنَ الْمُهْتَدِينَ
বলে দিন,
তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ডাকো,
তাদের ইবাদত করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে।
তোমাদের খুশিমতো আমি চলবো না।
চললে আমি বিপথগামী হবো, সুপথে থাকবো না।
قُلْ إِنِّي عَلَى بَيِّنَةٍ مِّن رَّبِّي
وَكَذَّبْتُم بِهِ
مَا عِندِي مَا تَسْتَعْجِلُونَ بِهِ
إِنِ الْحُكْمُ إِلاَّ لِلّهِ
يَقُصُّ الْحَقَّ وَهُوَ خَيْرُ الْفَاصِلِينَ
বলে দিন, আমার রবের পাঠানো প্রমানের উপর আমি আছি।
তোমরা সেটাকে মিথ্যা বলেছো।
তোমরা যা এখনই চাও, সেটা আমার কাছে নেই।
স্বিদ্ধান্ত দেয়ার মালিক আল্লাহ।
উনি সত্য বলেন, উনি শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী।
শব্দ,
কিছছা-বর্ননা : يَقُصُّ কিচ্ছা থেকে।
ফসল-ফয়সালা : الْفَاصِلِينَ এর আগের نفَصِّلُ এর রুট একই।
৬:৫৮
قُل لَّوْ أَنَّ عِندِي مَا تَسْتَعْجِلُونَ بِهِ
لَقُضِيَ الأَمْرُ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ
وَاللّهُ أَعْلَمُ بِالظَّالِمِينَ
তোমরা যা এখনই চাচ্ছো তা যদি আমার কাছে থাকতো,
তবে আমার আর তোমাদের মাঝে সব এখানেই শেষ হতো।
আল্লাহ জালেমদের ব্যপারে জানেন।
আপনার কাছে যখন আমার আয়াতে বিশ্বাসিরা আসে,
বলুন, তোমাদের উপর সালাম!
তোমাদের রব নিজের উপর রহমত লিখেছেন যে,
তোমাদের মাঝে যারা না জেনে পাপ করে,
এর পরে তৌবা করে, নেক কাজ করে,
তবে উনি গাফুরুর রহিম।
এভাবে আয়াত বর্ননা করি, যেন পাপীদের পথ স্পষ্ট হয়।
বলে দিন,
তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ডাকো,
তাদের ইবাদত করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে।
তোমাদের খুশি মতো আমি চলবো না।
তাহলে আমি বিপথগামী হবো, সুপথে থাকবো না।
বলে দিন, আমার রবের পাঠানো প্রমানের উপর আমি আছি।
তোমরা সেটাকে মিথ্যা বলেছো।
তোমরা এখনই যা চাও, সেটা আমার কাছে নেই।
স্বিদ্ধান্ত দেয়ার মালিক আল্লাহ।
উনি সত্য বলেন, শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী।
তোমরা এখনই যা চাচ্ছো তা যদি আমার কাছে থাকতো,
তবে আমার আর তোমাদের মাঝে সব এখানেই শেষ হতো।
আল্লাহ জালেমদের ব্যপারে জানেন।
উনার কাছে গায়বের চাবি।
এসব অন্য কেউ জানে না, উনি ছাড়া।
উনি জানেন স্থলে-জলে যা আছে।
উনার জ্ঞানের বাইরে -
না কোনো পাতা ঝড়ে,
না কোনো শষ্যের-দানা পড়ে মাটির অন্ধকারে,
না শুকনো, না ভেজা।
সবকিছু লিখা আছে পরিষ্কার কিতাবে।
- সুরা আল-আনআম, ৭ম পৃষ্ঠা থেকে।
জীব জন্তুরও গোপন উপায় আছে সময় জানার।
একটা সময় পর পর ঝিনুক মুক্তা খুলে।
সমুদ্র থেকে সরানোর আগ পর্যন্ত এরকম করতে থাকে।
পাখি সকাল কাছিয়ে আসলে জানতে পারে।
এবং ভোরের আলো ফুটার আগে কিচির মিচির করতে থাকে।
নতুন শব্দ,
মাহার-ঝিনুক : محار
আসদাফ-মুক্তা : اصداف
দাল্লা-করতে থাকা : ظل
তাগরিদ-কিচির মিচির : تغريد
বালাজ-ভোর : انبلاج
এজন্য পিকচার বুক প্রথম দিকে বেশ ইফেক্টিভ। ছবি দেখে বুঝা যায় কি বিষয়ে লিখেছে এবং আমি যা বুঝছি সেটা ঠিক কিনা।
২৫% থ্রেশহোল্ড পার হলে এর আরেকটা ভালো সাইড হলো, এর পর বিভিন্ন পত্রিকা-লিখা পড়ার একটা ইন্টারেস্ট আসে। কারন সব না বুঝলেও কিছু বুঝা যায়। পড়তে পড়তে এর পরের শিখাটা আগের থেকে অনেক বেশি গতি পায়।
২
শুনে বুঝার জন্য ভিডিও দেখা। তবে মিশরি আরবী আর অন্যান্য দেশের আরবীর মাঝে বিশাল ফারাক আছে। মিশরী আরবী আমি কোনো কালেই বুঝতাম না।
৩
কথা বলার জন্য? লিখার জন্য?
কথা বলা শিখার জন্য ঐ পরিবেশে গিয়ে থাকতে হবে। এটা রিমোটলি সম্ভব না।
আর লিখা শিখার জন্য একাডেমিক্যলি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে লম্বা সময় নিয়ে শিখতে হবে। এটা শুধু দেখে দেখে বা পড়ে পড়ে হয় না।
মূলধারার বাইরের গ্রুপগুলো সম্পর্কে জানার একটা আগ্রহ আমার সবসময় আছে।
মাঝে মাইজভান্ডারিরা তাদের গানের মাঝে যেই লেকচারগুলো দেয় সেটা শুনতাম ইউটুবে। চমৎকার কথা। হাই থটের। কোরআন হাদিস দলিল দিয়ে বলতো। যুক্তি দিয়ে প্রমান।
তবে তাদের কথাগুলো ছিলো মূলধারার বাইরে। শুনতে ভালো লাগে। ওখানেই শেষ। এর পর সবকিছু একটা ফুটনোট হিসাবে চলে যেতো আমার লিষ্টে যে তাদের বিশ্বাস এই।
দূর থেকে এদের কথা শুনতে সমস্যা নেই। কিন্তু এদের মাঝে ঢুকে গিয়ে শুনলে সমস্যা। ঘটনা যে কোনো দিকে যেতে পারে।
১
পাচ বছরে একবার হ্জ্জ ওমরাতে গেলে দ্বিতীয়বার ঢুকার জন্য ৪০ হাজার টাকা ট্যক্স দিতে হবে সরকারকে। তেলের দাম কমে গিয়েছে বলে সৌদিদের ফান্ডে টান পড়েছে, সে জন্য এই নিয়ম। এটা কয়েক বছর ধরে সৌদি সরকার নিউজে বলছে। এজেন্সিগুলো শুনে নি। হয়তো তাদের অলটারনেট ব্যবস্থা জানা ছিলো।
কিন্তু এই বছর, ভিসা আটকিয়েছে।
২
দ্বিতীয়তঃ বাংলাদেশি এজেন্সিগুলো গ্রেড D বা এই রকম সৌদি সার্ভিস প্রোভাইডার ভাড়া করে খরচ কমানোর জন্য। এই বছর সৌদি সরকার ঐ গ্রেডের তাবু কমিয়ে দিয়েছে। এর থেকে উপরের গ্রেডের নিতে হবে কিছু বেশি টাকা দিয়ে। ওগুলো খালি আছে। লাস্ট গ্রেডে কোনো খালি নেই।
দেশি এজেন্সিগুলো এই টাকা দিতে রাজি না। ভিসা আটকিয়ে আছে।
উল্লেখ্য হজ্জের সময়ে গ্রেড D রাখে মুজাদালিফাতে। অন্য গ্রেডগুলো রাখে মিনাতে। আর বেশি কথা বললাম না।
৩
আজকেও দুই ফ্লাইট বাতিল, কালকের আরো দুই ফ্লাইট বাতিল। কারন হাজ্জি নেই। ভিসা এখনো হয় নি বলে। হজ্জের আর ২০ দিন। আগেও ফ্লাইট বাতিল হতো। কিন্তু হজ্জের এত কাছে এসে হতো না।
কিছুক্ষন আগের টুইট : [Our nuclear arsenal] is now far stronger and more powerful than ever before.
তবে এগুলো এখনো হুমকি ধামকি পর্যায়ে। রিয়েল কিছু না।
Watching.
প্লাস বোম্বে থেকে একজন ফোন করে দেওবন্দে কনফার্ম করার চেষ্টা করেছেন খবরটা সত্য কিনা? মুফতি সাহেবের জবাব দিয়েছেন খবর সত্য। দন্ধ মারামারি পর্যন্ত গড়িয়েছে। তাই জামাত বেরোনো সহ মসজিদেও তবলিগের সব কাজও বন্ধ রাখা হয়েছে। এটা যতদিন না দুই গ্রুপে সমাধান হয় ততদিন থাকবে। কথোপকথন ইউটুবে আপলোড করা আছে। লিংক নিচে।
আমি যতটুকু বুঝেছি। উর্দু বুঝি কম।
তাই কোনো প্রতিষ্ঠানে ঢুকে দৈনিক ১০ ঘন্টা খেটেও যদি ৮ হাজার টাকা বেতন পাওয়া যায়, তবে সেটা সারাদিন ফেসবুক করে মাসের শেষে শূন্য টাকা পাওয়ার থেকে অনেক অনেক ভালো। হোক না সেটা প্রোগ্রামিং জব।
এর থেকে ভালো অফার থাকলে অল্প বেতনে যাবেন কেন? আর কয়েক বছর বসে থেকেও এর থেকে ভালো অফার না পেলে, শুধু শুধু বসে থাকবেনই বা কেন?
তবে উচ্চ শিক্ষিত ছাড়া বাকিদের চাকরির বাজার রমরমা। ঢাকায় একজন কাজের মহিলার বেতন গত বছর ছিলো ১০ হাজার টাকা মাসে। এই বছর ১২ হাজার টাকা। দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজ, সপ্তাহে ১ দিন ছুটি। :'(
১
ছয় পৃষ্ঠা হয়ে গেলে একজন হাফেজকে শুনাতে হবে। হুড়মুড় করে না শুনিয়ে, দৈনিক ১ পৃষ্ঠা করে শুনানো ভালো। আজকে যেটা শুনালাম সেটার ভুলগুলো মার্ক করে রেখে পরদিন সেটা শুদ্ধ করে আবার শুনাতে হবে। এর সাথে নতুন আরেক পৃষ্ঠা। সেটার ভুলগুলো আবার মার্ক করে রাখতে হবে।
২
ইন্ডেক্সিংটা জরুরী। যেন উল্টো পাল্টা না হয়ে যায়। এর জন্য এখন যা করছি।
- প্রতি পৃষ্ঠার প্রথম কয়েকটা শব্দ আলাদা করে মুখস্ত করে নেয়া। সিরিয়ালি যেন বলতে পারি। যেমন, প্রথম পৃষ্ঠা আলহামদুলিল্লাহ, দ্বিতীয় পৃষ্ঠা ওলাও জায়ালনাহুম...।
- যে পৃষ্ঠা শিখছি তার প্রতিটা আয়াতের প্রথম দুটো শব্দ সিরিয়ালি শিখে নেয়া। এটাকে এক্সট্রা চাপ মনে হলেও পরের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়।
৩
সময় একদম কমিয়ে দিয়ে, কতটুকু স্টেডিলি শেখা যায় সেটা দেখার বিষয়। কারন কোনো সপ্তাহে সময় খুব বেশি দিয়ে এর পরে যেন উৎসাহ কমে না যায়।
আল্লাহ তায়ালা সহজ করুন।
গ্রামার শেখার আগে যারা ভাষা শিখে তাদের জন্য মূলতঃ।
https://www.youtube.com/watch?v=lNfiHKtQfU0
‘অনেক দিন ধরে পানির সমস্যায় আছি। আমার ছেলেটা ফিল্টারের পানি দিয়ে কাপড় ধোয়। ওয়াসার লোকজন ও আরএফএলের লোকজন পরস্পরের দোষ দিচ্ছে। এ দুয়ের ধাক্কাধাক্কিতে আমাদের জীবন শেষ!’
এমনই অভিযোগ জানান দক্ষিণ গোড়ানের ১৩১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মো. আবির আহমেদ। তিনি বলেন, বাসায় পানি আসে না। কিনে এনে ব্যবহার করতে হয়। পাইপলাইনে, নাকি অন্য কোথাও সমস্যা, তা কেউ বলতে পারছে না।
গত ১০ দিন দক্ষিণ গোড়ান টেম্পোস্ট্যান্ড থেকে গোড়ান বাজার পর্যন্ত প্রায় ৬০-৭০টি বাড়িতে পানি পাওয়া যাচ্ছে না বলে এ এলাকার মানুষজনের অভিযোগ।
ঢাকা এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পের আওতায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আরএফএল পানির লাইনগুলো বসানোর কাজ করছে।
আবির আহমেদ বলেন, ‘আমার বাড়িতে ৩৪টি ফ্ল্যাট আছে। বাসায় ওয়াসার সরবরাহকৃত পানি না পেয়ে ওয়াসার থেকেই চার গাড়ি পানি কেনার চাহিদা দিয়েছি। কিন্তু পেয়েছি এক গাড়ি, তাও রাত পৌনে দুইটার দিকে পানি দিয়ে গেছে। এক গাড়ি পানিতে এত মানুষের কী হয়?’ তিনি বলেন, পরিচিত বলে তিনি পানি নিতে পেরেছেন। অনেকে পানি পাচ্ছেন না।
একজন গৃহিনী বলেন, ‘গতকাল রাত তিনটায় ওয়াসার গাড়ি থেকে পানি দিয়ে গেছে। সেগুলো ট্যাঙ্কির তলানিতেই পড়ে থাকে।’ তিনি বলেন, তিনি যে বাড়িতে থাকেন সেখানে আরও পরিবার থাকে। সবাই পানির জন্য হাহাকার করছে। তিনি বলেন, ‘বোনের বা ভাইয়ের বাসা থেকে দুই দিন পরপর গোসল করে আসতে হয়। গোসল করতে প্রতিদিন অন্যের বাসায় যাওয়াও বিব্রতকর।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সদস্য বলেন, ওয়াসাকে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তারা বলেছে এটা তাদের দায়িত্বে নেই। যারা কাজ করছে তারা কাজ শেষে ঠিক করে দেবে। আরএফএলের লোকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা বলে, তারা ওয়াসার পুরোনো পানির লাইন ধরেনি। নতুন কোথাও সমস্যা হলে ঠিক করে দেবে। এত সবের মধ্যে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে পানি নেই।
এ এলাকাতেই ভাড়া বাসায় থাকেন হাসনা জাহান। তাঁরা চার ছেলেমেয়েসহ ছয়জনের পরিবারের জন্য যে পানি পান, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তিনি বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় একবার সকালে পানি পাই। পানির অভাবে নিজেদের ও বাচ্চাদের ভালো করে গোসলই হয় না।’
এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার মডস জোন ৬-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রাজ্জাক শিকদার বলেন, ‘গোড়ান এলাকার পানির সমস্যা নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ওই এলাকায় গতকাল ৯৪ গাড়ি পানি দিয়েছি। ওয়াসার লাইনের পানি তো যাচ্ছেই, ওনারা পাচ্ছেন না, পানি তাহলে কোথায় যাচ্ছে? এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকই ভালো বলতে পারবেন।’
আবদুর রাজ্জাক শিকদার আরও বলেন, ‘পানির পাইপলাইন বসানোর কাজ এডিবি-আরএফএল করছে। এ কাজে আমরা হাত দিতে পারি না। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। দুপক্ষের লোকজন গিয়ে দেখুক কী সমস্যা।’ তিনি বলেন, প্রকল্পের পাইপলাইন বসানোর আগে পানি নিয়মিতই পেতেন এলাকার মানুষ।
এ বিষয়ে ঢাকা এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মাহমুদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এই দেশে এই বিশ্বাস আছে যে
এর ইফেক্ট আমি বহু দেখেছি জীবনে। যেগুলো বললে আমাকে মাদ্রাসা বিরোধি ট্যগ দেয়া হবে। সব খবর পত্রিকায় আসে না।
নিচে ২ দিন আগের আরেকটা খবর।
////////////
মিরপুর পল্লবীর মাদ্রাসা। থানার এসআই মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজের শয়নকক্ষ থেকে ছাত্র ৯ বছরের কাউসারের লাশ উদ্ধার করে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, সে গলায় গামছা পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পুলিশ এই সপক্ষে কোনো তথ্য পায়নি।
সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, হাফিজুর রহমান কাউসারের মাথার পেছনে কাটা জখমের চিহ্ন ও মাথার বিভিন্ন স্থানে লাল ফোলা জখমের চিহ্ন রয়েছে।
হাফিজুর রহমান কাউসারের বাবা দুলাল হোসেন যুগান্তরকে জানান, তার চার মেয়ে, ১ ছেলের মধ্যে সে তৃতীয়। ২২ দিন আগে তাকে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। সে মাদ্রাসায় থেকেই পড়াশোনা করত। প্রতি বৃহস্পতিবার বাসায় নিয়ে শনিবার আবার তাকে মাদ্রাসায় দিয়ে যাওয়া হতো।
রোববার বিকালে তার স্ত্রী কাউসারের জন্য খাবার রান্না করে নিয়ে যান। মাদ্রাসার পরিচালককে ফোন করলে তিনি গেটে এসে জানান, কোনো আত্মীয়স্বজন দেখা করে চলে যাওয়ার পর হাফিজুর রহমান কাউসার কান্নাকাটি করে। এ কথা শোনার পর কাউসারের মা তার সঙ্গে দেখা না করে গেট থেকে চলে আসেন। এরপর সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা খবর পান হাফিজুর রহমান কাউসার মারা গেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার মৃত্যুর পর মাদ্রাসার পরিচালক আমাদের খবর দেননি। আমরা অন্য মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর জানি।’
https://www.youtube.com/watch?v=vRJsZZnPy54&feature=youtu.be&t=19m40s
সালমান শাহ কবে নায়ক হয় আর কবে হিট হয়, জানা নেই। তবে মারা যাবার পরে পেপারে খবর পড়েছিলাম এটা মনে আছে।
সে সময়ে "শাহ" "সালমান" "খান" এই ধরনের ইন্ডিয়ান নায়কদের নাম দিয়ে দেশে বহু নায়ক বেরিয়ে গিয়েছিলো। উনাকে এদের মাঝে এক্সেপশনাল কেউ মনে করতাম না।
পরে জেনেছি উনি মারা যাবার পর দেশে ২১ জন তরুনী আত্মহত্যা করেছিলো শোকে। এটা এক্সেপশনাল। [একানে ইমো হবে, তবে কি ইমো হবে জানি না]
এখন খবর আসছে তিনি আত্মহত্যা করেন নি, বরং হত্যা করা হয়েছে। এই দাবিটা তার মা আগেও করেছিলেন, পেপারে এসেছিলো, কিন্তু আমরা ধরে নিয়েছিলাম আবেগের কথা। এখন দেখি সত্য হবার সম্ভাবনাই বেশি।
উনি বান্দাদের উপর রক্ষাকারী,
তোমাদের উপর হেফাজতকারী পাঠান।
এমন কি যখন কারো মৃত্যু আসে,
তখন উনি অনেককে পাঠান যারা জীবন নেয়।
তারা কাজে হেলা করে না।
এর পর আল্লাহর কাছে ফিরা- তাদের সত্য মাওলা!
বিচার উনার উপর, সবচেয়ে দ্রুত হিসাব নেন।
বলুন, কে তোমাদের জলে-স্থলের অন্ধকারে রক্ষা করেন?
যখন উনাকে ডাকো কাতর হয়ে মনে মনে-
যদি এ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেন তবে আমরা শোকরকারী হবো।
বলে দিন, তখন আল্লাহ তোমাদের উদ্ধার করেন সেই বিপদ থেকে,
আর সমস্ত বিপদাপদ থেকে।
এর পরও তোমরা শিরক করো।
বলে দিন,
উনি উপর থেকে বা নিচ থেকে তোমাদের আযাব পাঠানোর ক্ষমতা রাখেন।
অথবা তোমাদের দিশেহারা করে দিতে পারেন দলাদলি করিয়ে।
একদলকে ভোগ করাতে পারেন অন্য দলের আক্রমন।
দেখুন কত ভাবে আমি আয়াত বর্ননা করি যেন তারা বুঝে।
তোমার কওম একে মিথ্যা বলে, অথচ এটাই সত্যি।
বলে দিন, আমি কি তোমাদের জন্য উকিল না?
প্রতিটা ভবিষ্যৎবানীর নির্দিষ্ট সময় আছে,
তারা শিগ্রি জানতে পারবে।
যখন দেখবেন তারা আমার আয়াত নিয়ে বাজে কথা বলছে,
তখন তাদের থেকে দূরে সরে যান, যতক্ষন না অন্য প্রসংগে যায়।
যদি শয়তান আপনাকে ভুলিয়ে দেয়,
তবে মনে পড়ার পর জালেমদের সাথে বসে থাকবেন না।
- সুরা আল-আনআম, ৮ম পৃষ্ঠা থেকে।
_____
ছড়া ক্লাস ওয়ানের বই থেকে। মধ্যপ্রাচ্যের।
এখানে ক্লাস সিক্স এর বই। আমার জন্য বেশ কঠিন। ডিকশনারি লাগবে।
https://www.youtube.com/watch?v=Ea4DZITuMFQ
সমস্যা হলো এই বইগুলোর অডিও ভিজুয়াল নেটে প্রিলিমিনারি লেভেলে পাওয়া যায় বেশি।
আরেকটু এডভান্সে যেতে চাচ্ছি।
এটা ক্লাস সিক্স এর বই থেকে। পড়ে কবিতাটা খুব ইনএপ্রপিয়েট মনে হচ্ছিলো। খুজে জানলাম এটাতে আসলে জ্বরের কথা বলা হচ্ছে। :-)
অনুবাদ দিলাম না। ইনএপ্রপিয়েট মনে হবে।
জিনিসটা এইভাবে দেখেন। ঔষধ তৈরি করা কঠিন। কিন্তু ক্যন্সারের ঔষধ তৈরি করার পরেও মানুষ বাজার থেকে ঔষধ সরাসরি কিনতে পারে না। একজন ডাক্তারের কাছে যেতে হয় যে কিনা ১০০০/= ভিজিট নিয়ে ঔষধটা লিখে দেয়।
ডাক্তার হলো কনসালটেন্স, মিডেল ম্যন। রোগি যেহেতু কি ঔষধ লাগবে বুঝে না। তাই "যেটা ভালো মনে করেন লিখে দেন ডাক্তার সাহেব।"
প্রোগ্রামারদের জব এর পর কনসালটেন্টদের মত হবে। বিজনেস অর্গানাইজেশনগুলো ক্লাউড সার্ভিসের ডিটেলস যেহেতু জানে না, বা কোনটা কি কাজে লাগবে বুঝে না। প্রোগ্রামারদের টাকা দেবে "যেটা ভালো মনে করেন, করে দেন" মুডে।
There is still hope. :-)
রেয়ার কিছু কেইস ছাড়া ৯০-৯৫% টাকাই মিড্যলমেন খেয়ে ফেলে। ৫-১০% শুধু গরিবের কাছে পৌছে যদি কপাল ভালো হয়।
রোহিংগাদের অধিকাংশ দান করেছে চট্রগ্রামের লোকালরা গোপনে এবং সরাসরি, যারা নিজেরাও অত বড়লোক না। আর ঢাকা থেকে রোহিংগাদের ইমোশোনালি প্রেজেন্ট করে যে টাকা তুলা হয়েছিলো তার ২% ও সেখানে পৌছাতে পেরেছে কিনা সন্দেহ।
ভিডিওটা ক্লিক করলে যেখান থেকে প্লে আরম্ভ হবে, সেখানে পাবেন আহসান হাবীব পেয়ারের দানের টাকা, ইমোশান, প্লাস ব্যবসা কি করে চলছিলো তার উপর পেয়ার ভাইয়ের নিজর ক্যমেরাম্যনের কথা।
মহিলারা এই সব ইমোশোনাল ট্রেপে পড়ে বেশি।
পরিচিত লোকদের এবং নিজের আশে পাশে গরিবদের সাহায্য করেন। যারা হাত পাতে না। কিন্তু চাকরি নেই ধার করে চালায়। দেখলে মনে হয় ভদ্র লোক, কিন্তু সংসারে অভাব।
সালাফিরা বেতেরের নামাজে কুনুত পড়ার সময় দুই হাত দুলে মোনাজাতের মত ধরে থাকে এটা দেখেছেন তো?
"হুম"
হাদিসে কুনুতের আগে দুই হাত তুলার কথা আছে। সালাফিরা এর অর্থ দুই হাত তুলে মোনাজাতের মত ধরে থাকা নিয়েছে। হানাফিরা দুই হাত তুলা মানে তকবির দেয়া নিয়েছে।
That's the difference.
And we thought this pic was a joke, just six months back.
Sorry, Sir!
Broadcasted on North Korean TV. Their plan to attack Guam, a US territory island in the Pacific.
New Orleans this week. No cyclone this time.
Prayer for earthquake?
তাসনিম জারা নামে একজন ডাক্তার কোনো মেকআপ ছাড়া নানির আমলের পুরানো একটা সুতির সাদা শাড়ি পড়ে বিয়ে করে। ছবি ফেসবুকে দেয়। আলোড়ন।
ষাড় বাবাজির সাথে উনার ছবি নিয়ে আপত্তি উঠেছিলো। এর পর উনি সে ছবিটা সরিয়ে নিয়েছেন।
Pro/Con
(+) breaking the trend.
(-) কে যেন বলছিলো বিয়ের সময়ে হাজার পুরুষের সামনে মেয়েরা নেকাব পড়তে পারে না বলে মেকআপ পড়ে। মাস্ক হিসাবে।
মাঝে আখিরুজ্জামানের হাদিসগুলো নিয়ে কিছু লিখছিলাম -- মার্কড হয়ে গেলাম।
এর পর ফিতনা নিয়ে -- আবার মার্কড।
সাইন্স নিয়ে পড়লাম -- "এই লোক হলো বিজ্ঞানমনস্ক, শুধু অংক বুঝে।"
লিখলাম মাজহাবগত পার্থক্য -- "উনি শুধু ইখতিলাফি বিষয় নিয়ে পড়ে থাকেন।"
Logical fallacy, astronomy এগুলো নিয়ে কিছু বলার পর আর বেশি বলার সাহস করিনি। কে আবার কি মনে করে বসে। :V
এখনও কিছু বলার আগে ১০ বার চিন্তা করে বলতে হয়।
যারা বলেন, এই ভাবে দশ রকম বিষয়ে পোষ্ট দেই কেন? তাদের উত্তর উপরে। :V
আর এখন আরবী পাঠ্য বইয়ের পাতা-ছড়া শেয়ার করছি কারন ছোটবেলায় মধ্যপ্রাচ্যে থাকার কারনে ক্লাস থ্রি পর্যন্ত স্কুলে এই বইগুলো পড়ে এসেছি। এর পরের ক্লাসের বইগুলো তখন বড় ভাইদের পড়তে দেখতাম, খুব কঠিন মনে হতো। এখনো আমার তাই মনে হয় কিনা সেটা চেক করার উৎসাহ রয়ে গিয়ৈছে। No other meaning.
Anyway এর পর মালেকি মাজহাব। No confusion intended. No hidden message.
ভারতীয় সীমান্তের ৩১টি করিডোর খুলে দেয়া হয়েছে। গরু আনার ৯৬টি অবৈধ পথেও পাহারা শিথিল করা হয়েছে। ফলে প্রতিদিন পালে পালে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
বিজিবি মহাপরিচালক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভারতে সমস্যা আছে। গরু জবাই দিতে পারে না, ঘাসেরও সমস্যা। ওরা বেশি পাগল থাকে আমাদের দেশে গরু পাঠানোর জন্য।
এদিকে দেশে যে পরিমাণ গরু রয়েছে তাতে কোরবানির চাহিদা পুরোপুরি মেটানো সম্ভব জানিয়ে ভারত থেকে গরু আনা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন।
বলা হয়, ২০১৬ সালে পশু কোরবানি হয় এক কোটি চার লাখ। বর্তমানে এক কোটি ১৫ লাখ কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। এ অবস্থায় যদি পশু আমদানি বন্ধ না করা যায়, তাহলে দেশীয় গরু লালন-পালনকারীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চলতি আগস্ট মাসে ভারত থেকে বৈধ ও অবৈধ পথে অন্তত ৪০ লাখ ভারতীয় গরু আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১
ইংরেজি গ্রামার শেখার আগে আমাকে ইংরেজিতে কথা বলা শিখতে হয়েছিলো। টেন্স সব জানতাম না। I had been doing... কখনো বলতাম না। বলতাম I was doing... তাতেই চলতো। শ্রোতা বুঝতে পারতো কি বলছি।
এখনো দেখেছি বিদেশে কথ্য ইংরেজিতে এই সরল পদ্ধতি ব্যবহার করে। বৃটিশ posh রা এই রকম পারফেক্ট গ্রামার ব্যবহার করার চেষ্টা করে। বাকি দেশগুলোতে আমরা যেভাবে কথা বলি সে রকম।
২
আরবীতে কথা বলার সময় - যাহাবা "আহমেদু" ইলাল মাদ্রাসা কেউ বলে না। বলে যাহাবা "আহমেদ"। শেষের উ-টা ফেলে দেয়। যদিও গ্রামার রুলে শেষ অক্ষরে কখন ফাতহা-কাসরা-দাম্মা বসবে তার উপর বিস্তারিত আলোচনা আছে।
কথ্য ভাষায় এগুলো সহজ করে ফেলা হয়। গ্রামার লাগে কিন্তু একাডেমিকলি আমরা যত শিখি তত লাগে না।
৩
ইংরেজিতে টেন্স শিখেছিলাম ক্লাস সিক্স এ ঊঠে। ইন্টারেস্টিংলি ঐ সময় স্কুলে যে শিক্ষকগন আমাদের শেখাতেন তারা গ্রামারে খুব এক্সপার্ট ছিলেন। কিন্তু ইংরেজিতে কথা বলতে পারতেন না।
দুটোর মাঝে ঐ রকম স্ট্রং বন্ডিং নেই যেরকম আমরা ধারনা করি।
যারা নিজেদের দ্বীনকে খেল-তামাশা বানিয়েছে তাদেরকে ছেড়ে দিন।
দুনিয়া তাদের ধোকায় ফেলেছে।
আর এই কোরআন দিয়ে উপদেশ দিতে থাকেন
যেন কেউ নিজের কামাই দিয়ে ধ্বংশ না হয়।
তার জন্য কোনো ওলি-শাফায়াতকারী নেই, আল্লাহ ছাড়া।
মুক্তির জন্য সেদিন সব দিতে চাইলেও গ্রহন করা হবে না।
এদের কামাই তাদেরকে ধ্বংশ করেছে।
কুফরির জন্য তাদের শাস্তি ফুটন্ত খাবার পানি আর কষ্টকর আযাব।
বলে দিন,
আমরা কি আল্লাহ ছাড়া অন্যকে ডাকবো?
যে আমাদের উপকার করতে পারে না, ক্ষতিও না।
আল্লাহ আমাদের পথ দেখানোর পর কি পেছনে হাটবো?
তার মত, যাকে শয়তানরা উসকে দিয়ে হয়রান করে দিয়েছে!
তার বন্ধুরা তাকে পথে ডাকছে - আমাদের দিকে আসো!
বলে দিন, আল্লাহর পথই একমাত্র পথ।
আমাদের হুকুম করা হয়েছে রাব্বুল আলামিনের কাছে আত্মসমর্পন করতে।
আর নামাজ কায়েম করতে, উনাকে ভয় করতে।
উনার কাছে তোমরা একত্রিত হবে।
উনি আসমান-জমিন সৃষ্টি করেছেন, সত্যিকারে।
যে দিন বলেন হও, হয়ে যায়, উনার কথা সত্য।
যে দিন শিংগায় ফু দেয়া হবে, সে দিন রাজত্ব তার।
জানেন অদৃশ্য, জানেন দৃশ্য।
উনি বিচক্ষন, সব জানেন।
- সুরা আল-আনআম, ৯ম পৃষ্ঠা থেকে।
১
ঢাকা শহরে এখন পঞ্চাশ বছর পুরানো দালান পাওয়া টাফ। সব ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে এপার্টমেন্টের জন্য। যদিও এগুলোর নির্মাতাদের স্বপ্ন ছিলো যুগ যুগ ধরে তাদের সন্তানেরা এই দালানে থাকবে।
২
এক কালে বাড়ির ফ্লোর হতো মাটির।
এর পরে এর উপর ইট বিছানো আরম্ভ হয়।
এর পর সিমেন্টের প্রলেপ, পার্মানেন্ট স্ট্রাকচার।
আয়রন অক্সাইড মিশিয়ে লাল করা হয়।
এর পর সেটা ভেঙ্গে আরো সুন্দর করার জন্য মোজাইক।
এখন মোজাইক ভেঙ্গে টাইলস।
কোনোটাই পারমানেন্ট না।
পারমানেন্ট ছিলো না।
এটাও থাকবে না।
৩
হাদিসে পাকা দালান করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
অপ্রয়োজনে জায়গা বিক্রি করতেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
৭০ দশকে যার হাতে ১ লক্ষ টাকা ছিলো সে এটা দিয়ে বাড়ি করলে লাভবান হতো, নাকি জায়গা কিনে রাখলে?
জেনে বা না জেনে যারা হাদিসের কথাগুলো অনুসরন করেছে তারাই লাভবান।
বাচ্চাদের শেখা vs বড়দের শেখা।
কিছু পার্থক্য আছে। বাচ্চারা brute force শিখে ফেলতে পারে। বড়রা concept টা শেখে।
ছোটবেলা যখন বাপুরাম সাপুড়ে শিখেছিলাম, তখন এর এক বর্ন অর্থ বুঝতাম না। তার পরও মুখস্ত ছিলো। ক্লাস ৪-৫ এ উঠে বুঝেছি ও অর্থ এই ছিলো? একটা সাপ নিয়ে?
১০ বছরের বাচ্চা যে মাদ্রসায় হিফজ করে সে আরবী কিছু বুঝে না। তার পরও সে সব মুখস্ত করে ফেলতে পারবে। কিন্তু আপনি বা আমি এভাবে পারবো না।
এজন্য প্রথমে আরবী ভাষাটা শিখতে হবে। word forms, sentence formation rules এগুলো জানা প্রয়োজন।
একবার এগুলো জেনে ফেললে, দেখবেন শেখাটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। কথা, বর্ননা বা কাহিনি মনে রাখার মত।
আরবদের হিফজ করা অনেক সহজ, কারন আরবী ভাষাটা তাদের জানা আছে। আমাদের বাচ্চাদের একটু বেশি সময় লাগে। আরবদের বাচ্চারা সাধারন ভাবে ৯ মাসে হিফজ করে। তাদের বয়স্কদেরও ২ বছরের বেশি লাগে না।
_____
একটা পৃষ্ঠা শেখার জন্য স্টেপগুলো, আবার।
১। অনুবাদ থেকে প্রতিটা আয়াতের অর্থ দেখে নেয়া, নতুন শব্দগুলো শিখা।
২। এর পর তিলওয়াত প্লে করে অনেক বার শুনা, অর্থ ধরে।
৩। পৃষ্ঠাটা তিন ভাগে ভাগ করে, উপরের অংশ খুব ধীরে একটা একটা করে শব্দ পড়ে যাওয়া। মনে রেখে।
৪। উপরের অংশ হয়ে যাবার পর মাঝের অংশ একই ভাবে, ধীরে।
৫। শেষ অংশ।
৬। রিভিউ, অডিওর সাথে আবার মিলানো।
প্রতিটা স্টেপে ২০ মিনিট করে দিলে ২ ঘন্টা লাগবে।
____
"ভাই আমি তিলওয়াতটা অনেকবার করে শুনেছি। এর পর কি করবো? উনার মত তিলওয়াতের চেষ্টা করবো?"
উত্তর, না।
বরং এর পর এইভাবে করবেন,
প্রথমে মুসহাফ/কোরআন শরিফ নিয়ে বসেন।
দেখে দেখে প্রথম শব্দটা স্পষ্ট করে কয়েকবার পড়েন, ধীরে।
ওটা শিখা হয়ে গেলে, এর পরের শব্দটাও ধীরে আলাদা করে শিখেন।
পরের বা আগের শব্দের (word) সাথে মিলাবেন না। প্রতিটা শব্দ আলাদা।
মিমবা'দি না। বরং "মিন" এর পর "বা'দি"।
সুর করে পড়বেন না, কিন্তু টান উচ্চারন ঠিক রাখতে হবে।
আয়াতের সবগুলো শব্দ একটা একটা করে শিখা হয়ে গেলে এর পর চেক করেন না দেখে প্রতিটা শব্দ আলাদা আলাদা করে উচ্চারন করে পড়তে পারেন কিনা।
ধীরে ধীরে।
পারলে, এর পর আস্তে আস্তে একটা শব্দের সাথে অন্যটা মিলিয়ে ধীরে তিলওয়াতের মত পড়েন।
এর পর আরো প্রেকটিশ করতে থাকলে আস্তে আস্তে স্পিড উঠবে।
তবে দ্রুত পড়ার মাঝে এক্সপার্টনেস বুঝায় না।
এক্সপার্ট হলো যে ধীরে তিলওয়াত করতে পারে।
এর পর একসময় দেখবেন এই তিলওয়াতকারীর মত পড়তে পারছেন, ইনশাল্লাহ।
____
"সপ্তাহে দুই পৃষ্ঠা?"
এটা শর্ত না। একটা নিয়ম। অন্য কারো জন্য কঠিন মনে হলে দুই সপ্তাহে এক পৃষ্ঠা শিখলেও চলবে। এভাবেও বছরে এক পারা শেষ করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
শর্ত হলো রেগুলার একটা সময় দেয়া। কিছু দিন পরে যেন বন্ধ না হয়ে যায়। সময়টা কমিয়ে ধরা ভালো যেন ব্যস্ততার কারনে আর না কমে।
এভাবে দুই পৃষ্ঠা শিখতে কত দিন লাগে সেটা ট্রাই করে দেখে নিতে হবে। বের করলেন সপ্তাহে ১ পৃষ্ঠা।
এর পর সপ্তাহে ১ পৃষ্ঠাকে টার্গেট করে নিতে হবে। দৈনিক সময় কম-বেশি হবে টার্গেটের জন্য।
শেখার সময়,
"একটা আয়াত বেশ কঠিন, সময় লাগছে, লম্বা। এর পরেরগুলো সহজ।"
এক্ষেত্রেও কঠিনটা ভালোমত শিক্ষা না করে পরের আয়াত শিখতে যাবো না। যদিও অনেক সময় লাগবে, এখানে আটকে থাকবো, সারা দিন লাগবে। এর পরও।
নিজের ভয়ের মুখোমুখি হতে হবে। তাহলে ভয় কেটে যাবে। কিন্তু এড়িয়ে গেলে সবসময় এড়িয়ে যাবার একটা ট্রেন্ড থাকবে। কাজ অগোছালো হবে।
ঠিক তেমন এক পৃষ্ঠা ভালো মত শেষ না হলে পরের পৃষ্ঠায় যাবো না। "পৃষ্ঠার শেষ দুই আয়াত একটু কঠিন পরে শিখবো" -- এরকম যেন না হয়।
কঠিনগুলোর পেছনে সময় দিতে হবে, অনেক সময়।
এবং এটা সহজগুলোতে যাবার আগেই।
quran.com সাইটেও প্রতিটা আয়াত আলাদা করে লুপ খেয়ে খেয়ে শুনতে পারবেন। বার বার।
_____
শেডিউল:
৩ দিনে এক পৃষ্ঠা করে ৬ পৃষ্ঠা। এর পর ৩ দিন রেষ্ট।
পদ্ধতি:
এখন ইনডেক্সে জোর দিচ্ছি।
এর জন্য সময় বের করতে, শুনা কমিয়ে দিয়েছি।
ইনডেক্স মানে প্রতি পৃষ্ঠার প্রথম আয়াত যেন সিরিয়ালি বলতে পারি।
এবং পৃষ্ঠার সবগুলো আয়াতের প্রথম শব্দ যেন সিরিয়ালি বলতে পারি।
Steps:
১। প্রথমে আরবী অর্থটা মিলানো। নতুন শব্দগুলো শিখে নেয়া।
২। প্রথম দুই-তিনটা শব্দ দিয়ে আগের পৃষ্ঠাগুলোর সাথে সিরিয়াল মিলিয়ে নেয়া।
৩। পৃষ্ঠার প্রতিটা আয়াতের প্রথম দুটো শব্দ শিখে নেয়া।
৪। এর পর পৃষ্ঠাটা তিন ভাগ করে তিন দিনে শিখে নেয়া। ধীরে একটা একটা করে শব্দ। সূর ছাড়া, তবে টান ঠিক রেখে স্পষ্ট উচ্চারনে।
৫। শেখা হয়ে গেলে এর পর রেকর্ড থেকে বার বার শুনা, সুর করে মনে গেথে রাখা।
৬। ছয় পৃষ্ঠা হয়ে গেলে ব্রেক এবং হাফেজকে শুনানো।
সময়,
ফজরের সময়ে আধা ঘন্টা।
রাতে বিছানায় শুয়ে রিভিউ।
____
৬ পৃষ্ঠা হয়ে গেলে এক সপ্তাহের একটা ব্রেক দেয়া ভালো।
এ সময়ে শুধু আগেরগুলো রিভিশন।
একেবারে ভালো মত শেখা হয়ে গেলে পরবর্তি ৬ পৃষ্ঠা হবে আরেকটা নতুন ব্লক।
পরের ছয় পৃষ্ঠা শেখার সময়ে যেন আগের ৬ পৃষ্ঠা নিয়ে চিন্তিত না হতে হয়।
কোনো পৃষ্ঠায় বেশি সময় লাগে, কোনোটায় কম। স্বাভাবিক। যেমন এক পৃষ্ঠা শিখতে ৫ দিন লাগলো, পরেরটা ২ দিন।
____
ছয় পৃষ্ঠা হয়ে গেলে একজন হাফেজকে শুনাতে হবে। হুড়মুড় করে না শুনিয়ে, দৈনিক ১ পৃষ্ঠা করে শুনানো ভালো। আজকে যেটা শুনালাম সেটার ভুলগুলো মার্ক করে রেখে পরদিন সেটা শুদ্ধ করে আবার শুনাতে হবে। এর সাথে নতুন আরেক পৃষ্ঠা। সেটার ভুলগুলো আবার মার্ক করে রাখতে হবে।
এভাবে ছয় পৃষ্ঠা শুনানোর শেষ হলে, একদিনে সম্পুর্ন ছয় পৃষ্ঠা শুনাতে হবে।
____
ইন্ডেক্সিংটা জরুরী। যেন উল্টো পাল্টা না হয়ে যায়। এর জন্য এখন যা করছি।
- প্রতি পৃষ্ঠার প্রথম কয়েকটা শব্দ আলাদা করে মুখস্ত করে নেয়া। সিরিয়ালি যেন বলতে পারি। যেমন, প্রথম পৃষ্ঠা আলহামদুলিল্লাহ, দ্বিতীয় পৃষ্ঠা ওলাও জায়ালনাহুম...।
- যে পৃষ্ঠা শিখছি তার প্রতিটা আয়াতের প্রথম দুটো শব্দ সিরিয়ালি শিখে নেয়া। এটাকে এক্সট্রা চাপ মনে হলেও পরের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়।
____
সময় একদম কমিয়ে দিয়ে, কতটুকু স্টেডিলি শেখা যায় সেটা দেখার বিষয়। কারন কোনো সপ্তাহে সময় খুব বেশি দিয়ে এর পরে যেন উৎসাহ কমে না যায়।
আল্লাহ তায়ালা সহজ করুন।
____
এক সময় মনে হয় -- এবার বোধ হয় হলো না। সেই দিন সময় কিছু বাড়িয়ে পড়লে আল্লাহর রহমতে সেটা কভার হয়ে যায়।
হাল ছাড়া যাবে না।
____
কখনো মনে হয় -- শেষ কয়েকটা আয়াত crude method এ মুখস্ত করে ফেলি। বাচ্চারা যেমন করে।
কিন্তু এটা trap. সময় নষ্ট হবে, শিখতে পারবো না।
অর্থ বুঝে, ধীরে একটা একটা শব্দ পড়ে শিখতে হবে। সময় নিয়ে। যত rush থাকুক না কেন। এভাবে করলে মনে থাকবে। দ্রুত পড়ে মুখস্ত করতে গেলে বরং বেশি সময় লাগবে।
____
বড় কোনো পাপ, ঝগড়া ঝাটি এসব করলে অন্তরে সব উলট পালট হয়ে যাবে। তাই এই কয় দিন ডিশ টিভি যা আছে সব বন্ধ করে তুলে রাখতে হবে। যার আছে।
____
যারা শিখছেন তাদের জন্য রিভিউ এর নিয়ম।
রিভিউ না করলে অনেক দিন পরে ভুলে যাবো।
সর্বশেষ ৬ পেইজ যেটা শিখেছি, প্রতিদিন রিভিউ করতে হবে।
বেষ্ট হলো নামাজে পড়া। যেমন জোহরের ৬ রাকাত সুন্নাহ নামাজে সর্বশেষ শেখা ৬ পৃষ্ঠা পড়ে নিলাম। আমাদের যেহেতু ৬ পৃষ্ঠা এখনো হয় নি। তাই শেষ তিন পৃষ্ঠা রিভিউ করবো। বা যে কয় পেইজ ভালো মত হয়েছে।
কোনো কারনে সেটা মিস হলে ইশার নামাজের পরে দুই রাকাত সুন্নাহ নামাজে পড়ে নেয়া যায়।
সেটা না হলে, ঘুমানোর সময়ে বিছানায় পড়ে নেয়া।
দিনে একবার পড়লে হয়। কনফার্ম করে নিলাম এখনো মনে আছে। কোথাও সন্দেহ চলে আসলে দেখে আবার ঠিক করে নিতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য সহজ করুন।
____
যদি দেখেন পিছিয়ে পড়ছেন সময় বাড়াতে হবে। রাতে আরো ২০ মিনিট দিলেন।
এতেও না হলে take it slow. সপ্তাহে ১ পৃষ্ঠা করে শিখেন। রেগুলার থাকা শর্ত।
কিছু শেখা হলে একজন হাফেজের কাছে শুনাতে হবে। ভুল থাকলে ধরে দেবেন। দাগিয়ে ঠিক করতে হবে।
_____
"হাফেজ কোথায় পাবো?"
আপনার বাচ্চাকে যে হাফেজ পড়ান তার কাছে। উনি হাফেজ না হলে বদলিয়ে হাফেজ রাখুন।
বিদেশে থাকলে পেইড হাফেজ আছে যারা ভিডিও চ্যটে শিখাবে। আরব। নেটে খোজ লাগান।
যারা শিখছেন তাদের জন্য পোষ্ট। ৫ জন হবে।
আমরা ২ ঘন্টায় ১ পৃষ্ঠা শিখছি।
যে সব কারনে আপনার একটু বেশি সময় লাগতে পারে।
১। তিলওয়াতে এখনো দক্ষ না: সে ক্ষেত্রে তিলওয়াত ঠিক করে নিতে হবে।
২। বেসিক আরবী এখনো শেখা হয় নি: শিখে নিতে হবে।
৩। এখনো ৫ পারার কম মুখস্ত আছে: ৫ পারার পর সহজ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
যেগুলো আপনার বেশি সময় লাগার কারন হতে পারে না।
১। বয়স বেশি: আমি আরো বড়। :-)
২। স্মরন শক্তি কম: আমার আরো কম। নিজের মোবাইল নম্বর মনে থাকে না।
৩। ব্যস্ততা: ব্যস্ততার মাঝে মানুষ যা করে সেটা সম্পূর্ন হয়। অবসরের কাজ সম্পূর্ন হয় না।
_____
কোরআন শরিফ শেখার সময় আমি তফসির দেখি না। আরবী পড়ে যা বুঝি সেটা নিয়ে এগিয়ে যাই। পরবর্তিতে কেউ যদি এমন ব্যখ্যা নিয়ে আসে যেটা আমি যা বুঝেছি তার উল্টো, তখন তফসির পড়ে দেখি কোনটা ঠিক।
আবার মাঝে মাঝে কোনো আয়াতের একদম অর্থ বুঝতে পারি না। তখন তফসিরে দেখি এটার অর্থ কি।
_____
"শেখার জন্য কতটুকু সময় দিতে হবে?"
দিনকে চার ভাগে ভাগ করে। এর পর যে কোনো এক ভাগে ২০ মিনিট সময় দিতে হবে। বাকি তিন ভাগে প্রতিটায় ৫ মিনিট করে। না হলে রাতে ঘুমানোর আগে বিছানায় শুয়ে।
২০ মিনিট সময়টা যেমন ফজরের সময়ে দিলেন। বরকতের, অনেক মনে থাকে। নতুন আয়াতগুলো শিখলেন। এটা মুসহাফ, মানে কোরআন দেখে শিখতে হবে।
বাকি ৫ মিনিটগুলোতে মনে মনে রিভিউ। অজু না থাকলেও হয়। গাড়িতে, জ্যমে বা ওয়েট করছেন কিছু জন্য তখন। আওড়িয়ে দেখতে হবে কতটুকু মনে আছে। ভুলে গেলে মোবাইলে বা কম্পিউটারে দেখে নিতে হবে। মসজিদে জামাতের আগে পরে যে সময়টা আমরা অপেক্ষা করি, এর জন্য বেষ্ট।
মোবাইলের স্ক্রিনে কোরআন শরিফের আয়াত থাকলে, আয়াতগুলো স্পর্শ করা যাবে না অজু ছাড়া। লিখার সাইড দিয়ে টাচ করতে পারবেন।
এরশাদের আমলে সবচেয়ে বেশি বন্যা হতো। "আজকের চেষ্টা আমার" গান মনে আছে? ৮৮ এর বন্যা ছিলো রেকর্ড। ঢাকায় আমাদের বাসার রাস্তায় নৌকা চলতো।
আজকের খবর:
যমুনা নদির পানি আজকে যে লেভেলে আছে সেটা গত ৬০ বছরে সর্বোচ্চ!
দ্বিতীয় খবর, পানি আরো এক ফুট বাড়বে বলছে ফোরকাস্টাররা।
তৃতীয় খবর, সামনের দুই সপ্তাহে গত ২০০ বছরের মাঝে সর্বোচ্চ বন্যার আশংকা।
চতুর্ধ খবর: বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১। পানিতে লাশ উদ্ধার হচ্ছে। নিখোজ আরো ২৮।
আলহামদুলিল্লাহ ৩০ দিনে ৮ পৃষ্ঠা হয়েছে, তিন দিনে পৃষ্ঠা করে। বিপরিতে এই সময়টা তর্ক চালিয়ে গেলে জিরো পৃষ্ঠা হতো। নিজেকে প্রবোধ দিতাম তর্ক হলো দাওয়াহ, সোয়াবের কাজ করছি। :-)
পরবর্তি প্লেন: দুই দিনে এক পৃষ্ঠা। দৈনিক সময় বাড়াতে হবে, ফেসবুকে সময় আরো কিছু কমিয়ে দিয়ে। প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে শিখবো, ইনশাল্লাহ।
সাইন বোর্ড লাগিয়ে ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় খুলে।
বাংগালিদের টার্গেট করে।
ভর্তি ফি বাবদ ৪ লক্ষ টাকা নেয়।
পার্টটাইম কাজ করা যায় বলে দেশের ছাত্রদের নিয়ে আসে।
মালয়শিয়ায় গিয়ে ছাত্র দেখে কাজ করার আইন নেই।
এদিকে দেশে ঋনের টাকা শোধ করতে হবে।
অবৈধ শ্রমিক হিসাবে কন্সট্রাকশন কাজ করতে বাধ্য হয়।
দালাল তার বেতনের মোটা অংশ রেখে দেয়, তাকে দেয় স্বল্প কিছু।
সে পুলিশের কাছে যেতে পারে না, অবৈধ বলে।
পরিনতি Slave labour.
একজন নাজী মিছিলে গাড়ি তুলে একজনকে হত্যা করেছে? ঐ দিকে লিবারেলরাও কনফেডারেট মূর্তি ভাঙ্গছে, লাথি দিচ্ছে।
সালাফি একটা আধুনিক গ্রুপ। সলফে সালেহিন বলতে প্রথম যুগের মুসলিমদের বুঝায়। প্রথম তিন জেনারেশন মূলতঃ।
এই ব্যপারে আমার মাঝে কনফিউশন নেই। যে জানে না সে প্রথমে দুটোকে এক অর্থ মনে করে কনফিউজড হয়।
সলভড? দেখতে থাকি।
এভাবে ইব্রাহীমকে আসমান-জমিনের রাজত্ব দেখালাম,
যেন শক্ত বিশ্বাস আনেন।
যখন রাত্রি ঢেকে ফেললো, উনি তারকা দেখলেন।
বললেন, এটা আমার রব।
যখন ডুবে গেলো বললেন,
যা ডুবে যায় তা আমি পছন্দ করি না।
যখন চাদ উঠতে দেখলেন, বললেন এটা আমার রব।
যখন ডুবে গেলো, বললেন যদি আমার রব আমাকে পথ না দেখান
তবে আমি পথভ্রষ্টদের একজন হবো।
যখন সূর্য উঠতে দেখলেন বললেন,
এটা আমার রব, এটা সবচেয়ে বড়।
যখন ডুবে গেলো বললেন,
আমার কওম! তোমাদের শিরক থেকে আমি পবিত্র।
আমি মুখ ঘুরালাম একমাত্র তার দিকে,
যিনি আসমান জমিন সৃষ্টি করেছেন।
আমি মুশরিকদের কেউ না।
উনার কওম উনার সাথে ঝগড়া আরম্ভ করলো।
উনি বললেন,
তোমরা কি আল্লাহকে নিয়ে আমার সাথে ঝগড়া করছো?
অথচ উনি আমাকে পথ দেখিয়েছেন।
তোমরা যাদেরকে শিরক কর তাদেরকে ভয় করি না,
বরং আমার রব যা চান সেটাকে ভয় করি।
সব কিছুর উপর আমার রবের জ্ঞান।
তোমরা কি মনে আনো না?
তোমরা যাদের শিরক কর, তাদেরকে আমি কি করে ভয় করবো?
অথচ তোমারা আল্লাহর সাথে শিরক করতে ভয় করো না!
এ অধিকার তোমাদের দেয়া হয় নি।
দু দিকের মাঝে কে বেশি হকদার নিরাপত্তা দিতে?
যদি জানতে।
- সুরা আনআম, ১০ম পৃষ্ঠা থেকে।
পশ্চিমা বিশ্বে রাজনিতীতে দুটো বিপরিত দিক।
কনজার্ভেটিভ মানে রক্ষনশীল। ধর্মপ্রান, খৃষ্টান ধর্মের কাছা কাছি থাকার চেষ্টা করে। নিজেদেরকে অন্যদের থেকে উত্তম মনে করে। জাতীতে-সাদা কালোতে পার্থক্য আছে বলে বিশ্বাস কর, নারি-পুরুষে পার্থক্য আছে দেখে। তারা যুদ্ধ, অস্ত্র এর পক্ষে।
লিবারেল মানে উদার। ধর্ম থেকে দূরে থাকে। সবাইকে সমান মনে করে। শন্তির পক্ষে।
চরম কনজার্ভেটিভরা হিটলারের নাজীদের মত হয়ে যায়।
আবার চরম লিবারেলরা কমুনিজমের দিকে ঝুকে যায়।
"ডানপন্থি-বামপন্থি এরা কারা?"
কনজার্ভেটিভদের বলে ডানপন্থি।
লিবারেলদের বামপন্থি।
"কারা লিবারেল দল সাপোর্ট করে আর কারা কনজার্ভেটিভ?"
সাধারনতঃ গরিব এবং নাস্তিকরা লিবারেল দলগুলোর সাপোর্টার।
ধনী এবং ধর্মপরায়নরা কনজার্ভেটিভ।
ট্রাম্প হলো কনজার্ভেটিভ।
ওবামা ছিলো লিবারেল।
বাংগালি যারা পশ্চিমা বিশ্বে যায়, তারা পশ্চিমের লিবারেল দলগুলোকে সাপোর্ট করে।
"বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল লিবারেল, কোনটা কনজার্ভেটিভ?"
জানা নেই। :-)
না এক না।
"পার্থক্য কি?"
হানাফিরা তাযকিয়াতুন নফসকে বলে তাসাউফ।
সালাফিরা তাসাউফকে বলে তাযকিয়াতুন নফস।
http://www.ahlehadeethbd.org/articles/%23U0986%23U09a4%23U09cd%23U09ae%23U09b6%23U09c1%23U09a6%23U09cd%23U09a7%23U09bf.html
আমি এখন মুফতি তাকি উথমানি বা দেওবন্দ মাদ্রাসার ফতোয়ার জন্য অপেক্ষা করবো।
এ ছিলো আমার যুক্তি
যা ইব্রাহীমকে দিয়েছিলাম তার কওমের উপর।
যাকে ইচ্ছে আমি বহুস্তর উপরে উঠাই।
আপনার রব বিজ্ঞ, জানেন।
আর উনাকে দান করেছি ইসহাক, ও ইয়াকুব।
সবাইকে পথ দেখিয়েছি, নুহকে পথ দেখিয়েছি তারও আগে।
উনার বংশধারায় এসেছে দাউদ, সোলায়মান, আইয়ুব, ইউসুফ, মুসা, হারুন।
এভাবে সৎ লোকদের পুরষ্কার দেই।
জাকারিয়া, ইয়াহইয়া, ঈসা, ইলইয়াস সবাই নেককার ছিলেন।
ঈসমাইল, ইয়াসাআ, ইউনুস, লুত প্রত্যেককে বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম।
তাদের পূর্বপুরুষ, পরবর্তি বংশধর, ভাইদের থেকে নির্বচিত করেছি ও সরল পথ দেখিয়েছি।
এটা আল্লাহর হিদায়াত,
যা দিয়ে উনার আবেদদের মাঝে যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দেন।
যদি তারা শিরক করতো তবে তাদের আমল বাতিল হয়ে যেতো।
উনাদেরকে কিতাব, হুকুমত, নবুয়ত দিয়েছি।
যদি তারা এতে কুফরি করতো তবে
দায়িত্ব দিতাম এমন কওমকে যারা কুফরি করতো না।
আল্লাহ তাদের সৎ পথে চালিয়েছেন,
তাই তাদের সৎপথের অনুসরন করুন।
বলে দিন, এর জন্য আমি তোমাদের কাছে টাকা চাইনা।
এ মনে করিয়ে দেবার জন্য, সব দুনিয়াকে।
- সুরা আল-আনআম, ১১তম পৃষ্ঠা থেকে।
২৩শে অগাস্ট বুধবার সন্ধার আগে চুল নোখ কাটে ফেলতে হবে, কারন এর পর ১০ দিন কাটা যাবে না, কোরবানী দেবার আগ পর্যন্ত।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের জিলহজ্জের প্রথম ১০ দিনের বরকত নেবার তৌফিক দিন।
বলছেন,
- গোস্ত-রক্ত আল্লাহর কাছে যায় না, যায় আপনার অন্তরের তাকওয়া। তাই নিয়ত ঠিক করতে হবে, দেখানোর জন্য না করে।
- তিন ভাগের একভাগে লিমিট না করে পারলে বেশি দান করার চেষ্টা করবেন।
- "ভাগে কোরবানী দিলে হবে না", এটা ভুল ফতোয়া। এবং সৌদি আলেমরাও এরকম কোনো কথা বলেন না।
- বেনামাজীর সাথে ভাগ দেবেন না। কারন কোরবানী সুন্নাহ বা ওয়াজিব, কিন্তু নামজ ফরজ। বেনামাজীর কোরবানী যেন যার শরিরে কাপড় নেই তার মাথায় পাগড়ি পড়া।
- যে বলে "আমি নামাজ পড়ি না এটা খারাপ" তার হয়তো ঈমান আছে, কিন্তু যে বলে "নামাজ না পড়লেও আমি নামাজির থেকে ভালো" তার ঈমান নেই।
- কেউ হটাৎ নামাজ আরম্ভ করলে তাকে খোটা দেবেন না, "এই কারনে নামাজ আরম্ভ করেছে।" সে নামাজ আরম্ভ করলেই ভালো।
- সুদখোরের তৌবা ১ বছর চেক করে দেখতে হয়, সে সত্যি সুদ বন্ধ করেছে কিনা। কিন্তু নামাজে এই শর্ত না। আরম্ভ করলেই হলো।
- আমাদের উদ্দেশ্য হবে বেনামাজীকে সমাজচ্যুত করা না। বরং তাকে নামাজী বানিয়ে সমাজে আনা।
- এক গ্রামে বেনামাজীর জানাজা নিয়ে গন্ডোগল হয়েছিলো। এর ভালো ফল পড়ে এবং এর পর নামাজীর সংখ্যা বেড়ে যায়।
https://www.youtube.com/watch?v=F9iXGwGqq5k&spfreload=10
১
গতবছর এরকম একটা খবর এসেছিলো। কোন ওয়ার্ড কমিশনার মহিলা কোরবানি না করে গরু বিক্রি করে দিয়ে টাকা দান করে দিয়েছিলো। শেয়ার করেছিলাম খবরটা প্রথমে। পরে মহিলার ছবি কেন শেয়ার করলাম এটা নিয়ে ইসলামিস্টরা আপত্তি জানানোর কারনে সরিয়ে দিয়েছিলাম :-)
২
সত্যিকারে মুসলিম যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কুরবানী দেয় তারা কেউ এই ফাদে পড়বে বলে আমি বিশ্বাস করি না।
সেকুলার মনা কেউ যদি এরকম করে, তবে তার সমস্যা কোরবানী না বরং সমস্যা আরো গভীরে। সেটা আগে ঠিক করতে হবে।
সাধারন মুসলিমরা এই টাইপের সেকুলারদের থেকে দ্বীনের আহকাম শেখে না। তাই আমার ভয় এই দিক থেকে না। বরং সরকারের পক্ষ থেকে যদি এই ধরনের প্রচার আরম্ভ হয় তবে সে দিকে ভয় বেশি।
৩
সাধারন ভাবে আল্লাহ তায়ালা আমাকে যতটুকু কোরবানী দেবার সামর্থ দিয়েছেন, বন্যার্তদের সাহায্য করার নিয়তে এ থেকে বিন্দু মাত্র কমাবো না ইনশাল্লাহ।
আগে যদি দুই গরু দেই তবে এবারও দুই গরু। এই বছর এক গরু দিয়ে অন্য গরুর টাকা দান করবো না।
দুটো আলাদা করে পূর্ন করতে হয়। দুটোই নিজের থেকে দিয়ে।
আল্লাহর হক থেকে নিয়ে বান্দার হক পূর্ন করি না।
বা বান্দাদের হক থেকে নিয়ে আল্লাহর হক পূর্ন করি না।
যেরকম আমরা কাউকে বলি না "ভাই কেউ নামাজ পড়বেন না। বরং এই সময়টা আসেন জনসেবা করি। মানব সেবা পরম ধর্ম।"
Now I am confused on what can be considered as optimism.
Though coding in XML is a reality.
Animal cruelty at its worst.
তোমরা যারা হজ্জে যাচ্ছো। সাইড বিজনেস আইডিয়া।
(Y)
কোনো কমেন্ট করছি না।
আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের দ্বিনের উপর রাখেন।
আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের পা কে উনার পথের উপর স্থির রাখেন।
আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে এমন গুনাহ-তে না ফেলেন যা ঈমানকে কেড়ে নেয়।
অহংকারের পরিনতি জাহান্নাম।
অহংকার শুধু আল্লাহর জন্য যিনি প্রথম থেকে শেষ সব কিছুর রব।
এই কিতাব নাজিল করেছি বরকতময় করে,
এর আগের গুলোর সমর্থক করে।
যেন আপনি মক্কা আর আশে-পাশের লোকদের সাবধান করতে পারেন।
যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে তারা
এতে বিশ্বাস করে আর নামাজের হেফাজত করে।
তার থেকে বড় জালিম কে, যে আল্লাহকে নিয়ে মিথ্যে বলে?
যে বলে, আমার উপর ওহি এসেছে, অথচ তার উপর কোনো ওহি আসে নি।
যে বলে, আল্লাহ যেমন নাযিল করেছেন, আমিও নাজিল করে দেখাচ্ছি।
যদি দেখতেন, যখন-
যালেমরা থাকবে মৃত্যু যন্ত্রনায়।
ফিরিস্তারা হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তোমাদের জান বের করে দাও!
তোমাদের জন্য আজকে অপমানকর আযাব,
আল্লাহকে নিয়ে যেই মিথ্যে বলতে তার কারনে।
উনার আয়াতের সামনে তোমরা অহংকার করতে।
তোমরা একা এসেছো, যেভাবে প্রথম সৃষ্টি করেছিলাম।
যা দিয়েছিলাম সব পিছে ফেলে।
তোমাদের সেই সুপারিশকারীদের দেখছি না,
যাদেরকে শিরকে ধারনা করতে।
তোমাদের সম্পর্ক কেটে গিয়ছে, দাবি সরে গিয়েছে।
- সুরা আল-আনআম, ১২ পৃষ্ঠা থেকে।
এভাবে তাদের কিছুদেরকে দিয়ে অন্যদের পরিক্ষায় ফেলি,
যেন তারা বলে, ওরাই কি আমাদের মাঝে আল্লাহর পছন্দের দল?
আল্লাহ জানেন শোকর আদায়কারীদের।
আপনার কাছে যখন আমার আয়াতে বিশ্বাসিরা আসে,
বলুন, তোমাদের উপর সালাম!
তোমাদের রব নিজের উপর রহমত লিখেছেন যে,
তোমাদের মাঝে যারা না জেনে পাপ করে,
এর পরে তৌবা করে, নেক কাজ করে,
তবে উনি গাফুরুর রহিম।
এভাবে আয়াত বর্ননা করি, যেন পাপীদের পথ স্পষ্ট হয়।
বলে দিন,
তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ডাকো,
তাদের ইবাদত করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে।
তোমাদের খুশি মতো আমি চলবো না।
তাহলে আমি বিপথগামী হবো, সুপথে থাকবো না।
বলে দিন, আমার রবের পাঠানো প্রমানের উপর আমি আছি।
তোমরা সেটাকে মিথ্যা বলেছো।
তোমরা এখনই যা চাও, সেটা আমার কাছে নেই।
স্বিদ্ধান্ত দেয়ার মালিক আল্লাহ।
উনি সত্য বলেন, শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী।
তোমরা এখনই যা চাচ্ছো তা যদি আমার কাছে থাকতো,
তবে আমার আর তোমাদের মাঝে সব এখানেই শেষ হতো।
আল্লাহ জালেমদের ব্যপারে জানেন।
উনার কাছে গায়বের চাবি।
এসব অন্য কেউ জানে না, উনি ছাড়া।
উনি জানেন স্থলে-জলে যা আছে।
উনার জ্ঞানের বাইরে -
না কোনো পাতা ঝড়ে,
না কোনো শষ্যের-দানা পড়ে মাটির অন্ধকারে,
না শুকনো, না ভেজা।
সবকিছু লিখা আছে পরিষ্কার কিতাবে।
তিনি রাতে তোমাদের জীবন নিয়ে নেন।
জানেন তোমরা দিনে যা করো,
তাই দিনে তোমাদেরকে জীবিত করেন সময়কাল পূর্ন করতে।
এর পর উনার কাছে ফিরা।
তোমাদেরকে জানানো হবে যা করে এসেছো।
উনি বান্দাদের উপর রক্ষাকারী,
তোমাদের উপর হেফাজতকারী পাঠান।
এমন কি যখন কারো মৃত্যু আসে,
তখন উনি অনেককে পাঠান যারা জীবন নেয়।
তারা কাজে হেলা করে না।
এর পর আল্লাহর কাছে ফিরা- তাদের সত্য মাওলা!
বিচার উনার উপর, সবচেয়ে দ্রুত হিসাব নেন।
বলুন, কে তোমাদের জলে-স্থলের অন্ধকারে রক্ষা করেন?
যখন উনাকে ডাকো কাতর হয়ে মনে মনে-
যদি এ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেন তবে আমরা শোকরকারী হবো।
বলে দিন, তখন আল্লাহ তোমাদের উদ্ধার করেন সেই বিপদ থেকে,
আর সমস্ত বিপদাপদ থেকে।
এর পরও তোমরা শিরক করো।
বলে দিন,
উনি উপর থেকে বা নিচ থেকে তোমাদের আযাব পাঠানোর ক্ষমতা রাখেন।
অথবা তোমাদের দিশেহারা করে দিতে পারেন দলাদলি করিয়ে।
একদলকে ভোগ করাতে পারেন অন্য দলের আক্রমন।
দেখুন কত ভাবে আমি আয়াত বর্ননা করি যেন তারা বুঝে।
তোমার কওম একে মিথ্যা বলে, অথচ এটাই সত্যি।
বলে দিন, আমি কি তোমাদের জন্য উকিল না?
প্রতিটা ভবিষ্যৎবানীর নির্দিষ্ট সময় আছে,
তারা শিগ্রি জানতে পারবে।
যখন দেখবেন তারা আমার আয়াত নিয়ে বাজে কথা বলছে,
তখন তাদের থেকে দূরে সরে যান, যতক্ষন না অন্য প্রসংগে যায়।
যদি শয়তান আপনাকে ভুলিয়ে দেয়,
তবে মনে পড়ার পর জালেমদের সাথে বসে থাকবেন না।
তাকওয়াকারীদের উপর ঐ সব লোকদের হিসাবের দায়িত্ব না।
বরং দায়িত্ব শুধু মনে করিয়ে দেয়া, যেন তারাও তাকওয়া করে।
যারা নিজেদের দ্বীনকে খেল-তামাশা বানিয়েছে তাদেরকে ছেড়ে দিন।
দুনিয়া তাদের ধোকায় ফেলেছে।
আর এই কোরআন দিয়ে উপদেশ দিতে থাকেন
যেন কেউ নিজের কামাই দিয়ে ধ্বংশ না হয়।
তার জন্য কোনো ওলি-শাফায়াতকারী নেই, আল্লাহ ছাড়া।
মুক্তির জন্য সেদিন সব দিতে চাইলেও গ্রহন করা হবে না।
এদের কামাই তাদেরকে ধ্বংশ করেছে।
কুফরির জন্য তাদের শাস্তি ফুটন্ত খাবার পানি আর কষ্টকর আযাব।
বলে দিন,
আমরা কি আল্লাহ ছাড়া অন্যকে ডাকবো?
যে আমাদের উপকার করতে পারে না, ক্ষতিও না।
আল্লাহ আমাদের পথ দেখানোর পর কি পেছনে হাটবো?
তার মত, যাকে শয়তানরা উসকে দিয়ে হয়রান করে দিয়েছে!
তার বন্ধুরা তাকে পথে ডাকছে - আমাদের দিকে আসো!
বলে দিন, আল্লাহর পথই একমাত্র পথ।
আমাদের হুকুম করা হয়েছে রাব্বুল আলামিনের কাছে আত্মসমর্পন করতে।
আর নামাজ কায়েম করতে, উনাকে ভয় করতে।
উনার কাছে তোমরা একত্রিত হবে।
উনি আসমান-জমিন সৃষ্টি করেছেন, সত্যিকারে।
যে দিন বলেন হও, হয়ে যায়, উনার কথা সত্য।
যে দিন শিংগায় ফু দেয়া হবে, সে দিন রাজত্ব তার।
জানেন অদৃশ্য, জানেন দৃশ্য।
উনি বিচক্ষন, সব জানেন।
যখন ইব্রাহিম উনার পিতা আজরকে বললেন,
আপনারা কি মূর্তিগুলোকে ইলাহ বানিয়েছেন?
আমি দেখছি আপনি আর আপনার কওম স্পষ্ট ভুলের মাঝে আছেন।
এভাবে ইব্রাহীমকে আসমান-জমিনের রাজত্ব দেখালাম,
যেন শক্ত বিশ্বাস আনেন।
যখন রাত্রি ঢেকে ফেললো, উনি তারকা দেখলেন।
বললেন, এটা আমার রব।
যখন ডুবে গেলো বললেন,
যা ডুবে যায় তা আমি পছন্দ করি না।
যখন চাদ উঠতে দেখলেন, বললেন এটা আমার রব।
যখন ডুবে গেলো, বললেন যদি আমার রব আমাকে পথ না দেখান
তবে আমি পথভ্রষ্টদের একজন হবো।
যখন সূর্য উঠতে দেখলেন বললেন,
এটা আমার রব, এটা সবচেয়ে বড়।
যখন ডুবে গেলো বললেন,
আমার কওম! তোমাদের শিরক থেকে আমি পবিত্র।
আমি মুখ ঘুরালাম একমাত্র তার দিকে,
যিনি আসমান জমিন সৃষ্টি করেছেন।
আমি মুশরিকদের কেউ না।
উনার কওম উনার সাথে ঝগড়া আরম্ভ করলো।
উনি বললেন,
তোমরা কি আল্লাহকে নিয়ে আমার সাথে ঝগড়া করছো?
অথচ উনি আমাকে পথ দেখিয়েছেন।
তোমরা যাদেরকে শিরক কর তাদেরকে ভয় করি না,
বরং আমার রব যা চান সেটাকে ভয় করি।
সব কিছুর উপর আমার রবের জ্ঞান।
তোমরা কি মনে আনো না?
তোমরা যাদের শিরক কর, তাদেরকে আমি কি করে ভয় করবো?
অথচ তোমারা আল্লাহর সাথে শিরক করতে ভয় করো না!
এ অধিকার তোমাদের দেয়া হয় নি।
দু দিকের মাঝে কে বেশি হকদার নিরাপত্তা দিতে?
যদি জানতে।
যারা ঈমান এনেছে, আর ঈমানের সাথে জুলুম মিশায় নি,
তাদের জন্য নিরাপত্তা, তারা হিদায়াত প্রাপ্ত।
এ ছিলো আমার যুক্তি
যা ইব্রাহীমকে দিয়েছিলাম তার কওমের উপর।
যাকে ইচ্ছে আমি বহুস্তর উপরে উঠাই।
আপনার রব বিজ্ঞ, জানেন।
আর উনাকে দান করেছি ইসহাক, ও ইয়াকুব।
সবাইকে পথ দেখিয়েছি, নুহকে পথ দেখিয়েছি তারও আগে।
উনার বংশধারায় এসেছে দাউদ, সোলায়মান, আইয়ুব, ইউসুফ, মুসা, হারুন।
এভাবে সৎ লোকদের পুরষ্কার দেই।
জাকারিয়া, ইয়াহইয়া, ঈসা, ইলইয়াস সবাই নেককার ছিলেন।
ঈসমাইল, ইয়াসাআ, ইউনুস, লুত প্রত্যেককে বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম।
তাদের পূর্বপুরুষ, পরবর্তি বংশধর, ভাইদের থেকে নির্বচিত করেছি ও সরল পথ দেখিয়েছি।
এটা আল্লাহর হিদায়াত,
যা দিয়ে উনার আবেদদের মাঝে যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দেন।
যদি তারা শিরক করতো তবে তাদের আমল বাতিল হয়ে যেতো।
উনাদেরকে কিতাব, হুকুমত, নবুয়ত দিয়েছি।
যদি তারা এতে কুফরি করতো তবে
দায়িত্ব দিতাম এমন কওমকে যারা কুফরি করতো না।
আল্লাহ তাদের সৎ পথে চালিয়েছেন,
তাই তাদের সৎপথের অনুসরন করুন।
বলে দিন, এর জন্য আমি তোমাদের কাছে টাকা চাইনা।
এ মনে করিয়ে দেবার জন্য, সব দুনিয়াকে।
তারা আল্লাহকে যোগ্য সম্মান করে নি,
যারা বলে: কোনো মানুষের উপর আল্লাহ কিছু নাজিল করেন নি।
বলেন, মুসা যে কিতাব এনেছিলো তা কে নাজিল করেছিলো?
সেটা ছিলো মানুষের জন্য নূর আর হিদায়াত।
যার কিছু তোমরা কাগজে প্রকাশ করো, অধিকাংশ গোপন করো।
তোমাদের শেখানো হয়েছিলো যা তোমরা বা তোমাদের বাপ-দাদারা জানতো না।
বলেন: আল্লাহ!
এর পর তাদেরকে তর্ক খেলার মাঝে ছেড়ে দিন।
এই কিতাব নাজিল করেছি বরকতময় করে,
এর আগের গুলোর সমর্থক করে।
যেন আপনি মক্কা আর আশে-পাশের লোকদের সাবধান করতে পারেন।
যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে তারা
এতে বিশ্বাস করে আর নামাজের হেফাজত করে।
তার থেকে বড় জালিম কে, যে আল্লাহকে নিয়ে মিথ্যে বলে?
যে বলে, আমার উপর ওহি এসেছে, অথচ তার উপর কোনো ওহি আসে নি।
যে বলে, আল্লাহ যেমন নাযিল করেছেন, আমিও নাজিল করে দেখাচ্ছি।
যদি দেখতেন, যখন-
যালেমরা থাকবে মৃত্যু যন্ত্রনায়।
ফিরিস্তারা হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তোমাদের জান বের করে দাও!
তোমাদের জন্য আজকে অপমানকর আযাব,
আল্লাহকে নিয়ে যেই মিথ্যে বলতে তার কারনে।
উনার আয়াতের সামনে তোমরা অহংকার করতে।
তোমরা একা এসেছো, যেভাবে প্রথম সৃষ্টি করেছিলাম।
যা দিয়েছিলাম সব পিছে ফেলে।
তোমাদের সেই সুপারিশকারীদের দেখছি না,
যাদেরকে শিরকে ধারনা করতে।
তোমাদের সম্পর্ক কেটে গিয়েছে, দাবি সরে গিয়েছে।
অকে। বুঝলাম।
আজকের খবর কাকরাইলের মাওলানা আবদুল্লাহ মনসুর সাহেব ourislam এর অফিসে স্বয়ং হাজির। অনুরোধ করেছেন উনার তৌবানামা যেন আরো বড় করে ছাপিয়ে পত্রিকা প্রচার করে।
এনালাইসিসে কিছু কইলাম না।
আমি কিছু কইলেই তো জনগন বলে আমি নাকি ফিতনা লাগাই। :V
এদের নিয়ে কোনো হইহুল্লোড় নেই। আর আমি যদি নিউট্রাল টোনেও দুই সাইডের যুক্তি তুলে ধরি, তবে লাঠালাঠি আরম্ভ হয়ে যায়। এক দিকে একটু ঝুকলে তো হলো -- যেন দুনিয়া শেষ :V
তাই মনে করছি চুপ থাকবো। কতদিন থাকতে পারি এটা এখন দেখার বিষয়। :V
এর সাথে আগে এরকম যারা স্লিপার ধরা পড়েছে তাদের ১০-১২ জনের একটা লিষ্ট। আরেক স্টেটাসে।
ইন্টারেষ্টিংলি দেখলাম ঐ লিষ্টে একজন আছেন যিনি ১৪ বছর কুমিল্লা ক্যন্টনম্যন্টে ইমামতি করার পর ধরা পড়ে উনি আসলে হিন্দু। এক মন্ডপে পুজা করছিলেন।
আর এই ভাই ও ঢাকা ক্যন্টনম্যন্টের এক মসজিদে ইমামতি করতেন।
এনালাইসিস : কিছু বললাম না। কারন বলেছিলাম কিছু বলবো না। :V
শুধু ইন্টারেস্টিং ফ্যক্ট হিসাবে দিলাম। যেহেতু আমি কন্সপাইরেসি থিউরিতে বিশ্বাস করি না।
প্লাস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়া দিনগুলো যদি মনে রাখেন, যে কোনো ক্লাসে ১০% ছাত্র শুধু শিখে। বাকিরা সময় নষ্ট করে। মাদ্রাসাও হয়তো এর ব্যতিক্রম না।
বাংলাদেশে বছরে ৩৫০ কেজি চাল চাষ হয়। পুরোটা খাবার পর আমদানি করতে হয় আরো ৩০ কেজি। সরকারের গুদামে চালের মওজুদ থাকে ১০ কেজি। এ থেকে মূলতঃ সরকারী কর্মকর্তাদের রেশন ভাতা দেয়। বন্যা হলেও এখান থেকে চাল বিতরন করে।
চাল আমদানির উপর সরকার এতদিন ৩০% ট্যক্স দিয়ে বসে ছিলো। আমদানীকারকরা বিশ্বাস করতো সরকার যে কোনো সময়ে ট্যক্স কমিয়ে দেবে তাই চাল আমদানি না করে বসে ছিলো ট্যক্স কমানোর জন্য।
ফলস্রুতিতে চালের মওজুদ ইতিহাসে সর্বনিম্নতে। বর্তমানে মাত্র ২ কেজি চাল স্টকে। এটা রেশন ভাতা দেবার জন্যও যথেষ্ট না। এই অবস্থা এই বছরের শুরু থেকেই। মানে বন্যার আগে থেকে।
৩ দিন আগে সরকার ট্যক্স কমিয়ে ২% করেছে। এখন চাল আমদানি করতে গিয়ে দেখে বিশ্ব বাজারে চালের দাম বেড়ে গিয়েছে।
"কিন্তু বন্যায় ফসলের কতটুকু ক্ষতি হয়েছে?"
দেশে প্রতি বছর চালের উৎপাদন ৩ কেজি করে বাড়ে আগের বছরের উপর। এই বছর এটা না বেড়ে বরং ৪ কেজি কমে গিয়েছে প্রথম দফা বন্যার পর। গত জুনে।
বর্তমান দ্বিতীয় দফা বন্যার পর কত কমবে সেটা এখন জানার বিষয়।
[ উপরে ১ কেজি = ১ লক্ষ টন ]
লাইভ স্ট্রিম দেখার জন্য ইউটুবে এখানে।
https://www.youtube.com/watch?v=BairWejCYY8
ফেসবুক লাইভে এখানে
https://www.facebook.com/NASA/videos/10155497958441772/
উপরের দুটোই NASA এর। এর বাইরে সব নিউজ চ্যনেলগুলো লাইভ দেখাবে।
মিম সাকিন:
ছবিতে সৌদি প্রিন্টের [নীল পাতার] লিখায় দুটো মিম সাকিন হাইলাইট করা আছে হলুদ রং দিয়ে। এর এক জায়াগায় গুন্নাহ হয়ে টান হবে। অন্য জায়গায় কোনো টান হবে না। নরমাল সাকিনে যেভাবে পড়ে সেভাবে পড়তে হবে।
কোথায় কিরকম পড়তে হবে সেটা এদগাম-এখফার নিয়মে আছে। কিন্তু নিয়ম জানা না থাকলেও সৌদি প্রিন্টে যেহেতু এটা মার্ক করা থাকে তাই ঠিক মত পড়তে পারবেন। যেখানে দেখবেন মিমের উপর সাকিন দেয়া আছে সেখানে অন্যান্য সাকিনের মত পড়তে হবে, আর যেখানে মিমের উপর খালি কিছু নেই সেখানে গুন্নাহ হবে।
দিল্লি প্রিন্টে [সাদা পেইজে] এই পার্থক্যটা থাকে না। বরং দুই জায়গাতে সাকিন দেয়া থাকে। তাই নিয়ম জেনে মিলিয়ে ঠিক মত পড়তে হবে।
এভাবে নুন সাকিনের পার্থক্যের উপর আগে লিখেছিলাম।
এটা google voice এ টাইপ করা হয়েছে।
অনন্ত ভাইকে নিয়ে আমি কখনো ফান করি নি। অন্যরা করতো। আজকে উনি ময়দানে-রাস্তায় দাওয়াহ দিচ্ছেন। এর ভিডিও নিউজ মিডিয়াতে। আর আমি ফেসবুক পিটিয়ে নিজেকে প্রবোধ দেই "আমি বা কম কি?"
যাকে ইচ্ছে উনি সম্মানিত করেন। যাকে ইচ্ছে অপমানিত করেন।
কমন ফেক্টর? আমি দেখছি -- যাদেরকে মানুষ খুব বেশি অপমানিত করে কিন্তু তাদের অন্তর পরিষ্কার -- তাদের উপর আল্লাহর রহমত বাড়ে।
I am watching 3 live feeds.
"সব জয়িফ হাদিসের উপর আমল করা হয় না, আবার সব জয়িফ হদিস পরিত্যাজ্য-আমল করা যাবে না এরকমও না। এবং এ ব্যপারে আলেমদের মাঝে কোনো দ্বিমত নেই।"
বিশেষ করে ২০০০ সাল পূর্ব সালাফিদের সাথে এটা একটা বিরাট পার্থক্য। যখন জয়িফ হাদিসকে জাল হাদিসের মত পরিত্যাজ্য গন্য করা হতো। এবং কোনো জয়িফ হাদিসের উপর আমল করাকে পথভ্রষ্টতা গন্য করা হতো।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
“যিলহজ্জের প্রথম দশকের চেয়ে উত্তম এমন কোন দিন নেই, যে দিনগুলোর সৎ আমল আল্লাহ্র নিকট অধিক পছন্দনীয়।”
সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন: আল্লাহ্র পথে জিহাদও নয় ইয়া রাসূলুল্লাহ?
তিনি বললেন: “আল্লাহ্র পথে জিহাদও নয়। অবশ্য সেই মুজাহিদের কথা ভিন্ন, যে জান-মাল নিয়ে জিহাদে বেরিয়ে পড়ে, কিন্তু আর কোন কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না।”
- বুখারী
ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "এ দশ দিনের তুলনায় অন্য কোন সময় আল্লাহর নিকট এতটা মর্যাদা পূর্ণ নয় বা তাতে আমল করা এতটা পছন্দনীয় নয়। সুতরাং এ দিনগুলোতে তোমরা অধিক পরিমাণ তাহলীল (লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ), তাকবীর (আল্লাহু আকবার) ও তাহমীদ (আল হামদুলিল্লাহ) পাঠ কর।"
- মুসনাদ আহমদ
সাঈদ ইবনে জুবাইর জিলহজ্জের দশ দিন শুরু হলে ইবাদত-বন্দেগীতে এত বেশী পরিশ্রম করতেন যে, অন্য কারো জন্য এত ইবাদত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যেত।
- দারেমী
অতীত ইতিহাসের এরকম দুটো ঘটনার বর্ননা পড়েছি।
... মুসলিমরা তার সাথে দেখা করার পর জিজ্ঞাসা করলো, "আপনি যা পড়েছিলেন সব ভুলে গিয়েছেন? কিছু মনে আছে?"
জবাব দিলেন, "কিছু মনে নেই শুধু এই এক আয়াত ছাড়া _____।"
২
শিয়ারা হাফেজ হতে পারে না এটা মশহুর। মশহুর মানে সাধারন ভাবে মানুষ একথা জানে।
কোনো এক বইয়ে পড়েছিলাম।
...এক শহরে একজন বললো "রাফেজিরা হাফেজ হতে পারে না।"
শুনে অন্য এক লোক উত্তর দিলো "আমি রাফেজি, এবং আমি হাফেজ।"
এটা বলার সাথে সাথে ঐ লোক কোরআন শরিফ ভুলে যায়।
৩
কেউ সুন্নি এবং মুরতাদ না, এর পরও ভুলে যেতে পারে। আমল বা চরিত্র খারাপ হলে। কিন্তু এই ব্যপারে বেশি বললাম না।
Lets not get too negative.
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সরল পথের উপর রাখুন। বেশি উপরে না, আবার বেশি নিচেও না।
২
প্রথম ৬ পৃষ্ঠা শিখতে ৩ সপ্তাহ লেগেছিলো।
দ্বিতীয় ৬ পৃষ্ঠার জন্য ২ সপ্তাহ।
পরশু থেকে জিলহজ্জ। এবং এর ১ তারিখ থেকে ইনশাল্লাহ ৩য় ছয় পৃষ্ঠা আরম্ভ করার প্লেন।
৩
কাহিল হয়ে গেলে রেষ্ট নিতে হবে। কিন্তু এটা যেন অলসতায় না চলে যায়।
গত তিন দিন রেষ্ট নিয়েছি। কিছুই পড়ি নি। কালকে থেকে আবার আরম্ভ করবো ইনশাল্লাহ। কালকে ২ ঘন্টা পড়তে হবে। যদিও সাধারন ভাবে দিনে ১ ঘন্টা করে দেই।
কেন? কে জানে। হয়তো সেন্টার থেকে কমান্ড। বা নতুন স্ট্রেটেজি।
তবে এটা এখন telltale সাইন।
দেখলেই ব্লক। :V
যেহেতু এটা দোষের কোনো কথা না। তাই ভাবতে অসুবিধা নেই। ঠিক? :V
"আমাদের স্কুল"
আমাদের স্কুল বিশাল। এতে আছে প্রশস্ত খেলার মাঠ, সুন্দর বাগান আর অনেক ক্লাসরুম।
প্রতি ক্লাসরুমে আছে চেয়ার, ছাত্রদের বসার জন্য। আর সামনে ব্লাকবোর্ড, দেয়ালের সাথে লাগানো। শিক্ষক চক দিয়ে তাতে লিখেন।
আমাদের স্কুল বাসার কাছে। তাই হেটে স্কুলে যাই।...
#HabibArabicWord
আমাদের নব্য কলাবিজ্ঞানী যদি ১০ বছর আগে ঈমান হারিয়ে থাকেন, তবে উনার পেছনে যারা এই দশ বছর মসজিদে নামাজ পড়েছেন তাদের কি এই ১০ বছরের নামাজ দোহরাতে হবে?
জানা নেই।
যদি বলা হয় উনি যেহেতু নাস্তিকতা অন্তরের ভেতরে রেখেছেন বাহিরে প্রকাশ করেন নি তাই এটা প্রযোজ্য হবে না।
তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়: ভদ্রলোক ঢাকা থেকে কলকাতা হয়ে নেপালের প্লেনের টিকেট তো একদিনে সংগ্রহ করেন নি। এখানে কয়েক বছরের গোপন যোগাযোগ হয়েছে উনার গ্রুপের সাথে যেখানে উনি নাস্তিকতা প্রকাশ করেছেন, পরিকল্পনা করেছেন, এই সব বনু কুরাইজার যুক্তিগুলো শিখেছেন, এবং apparently এর মাঝে অনেক কবিতাও লিখেছেন। এগুলো সব উনার নাস্তিকতার প্রকাশ, যদিও ভিন্ন একটা গ্রুপের কাছে।
নামাজ দোহরাতে হবে কিনা সেই প্রশ্নের জবাব হয়তো কয়েকদিন পরে চলে আসবে ইনশাল্লাহ। বা অলরেডি দেয়া আছে। শুধু জেনে নিতে হবে। যেহেতু এ ধরনের ঘটনা একদম নতুন না।
এই সময়টা বেশি বেশি "আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ" পড়তে হবে।
আর নেক কাজের সোয়াব এই সময়ে জিহাদের থেকে বেশি।
ما من أيام العمل الصالح فيهن أحب إلى الله من هذه الأيام العشر
হাদিসে "আমলে সালেহ" এর কথা বলা হয়েছে। নামাজ, রোজা, জিকির, তিলওয়াত, সদকা, দান সব নেক কাজ।
JVM is notoriously bad for GUI.
১
মদিনার ইহুদিরা মুসলিমদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। রাসুলুল্লাহ ﷺ তাদের বিচারে দাড় করান। তারা বলে আমরা ইহুদি, তাই ইহুদি আইনেই আমরা নিজেদের বিচার চাই। কে বিচার করবে সেটাও তারা বলে দেয়। ইহুদিদের টপ আলেম হবে তাদের বিচারক।
বিচারক হুকুম দিলেন: যদি ইহুদি মতেই বিচার হয় তবে তাদের সবাইকে হত্যা করতে হবে। করা হলো।
স্কুল জীবনেই এই কাহিনী পড়েছি। তখনো সেখানে আপত্তির কিছু দেখি নি। বড় হবার পর এখনও বুঝি এর থেকে বড় ইনসাফ আর হয় না।
২
কিছু লোক আমার কাছে এসে নতুন ইসলাম গ্রহন করলো। অনাহার অসুস্থ অবস্থায় আমার কাছে সাহায্য চাইলো। আশ্রয় দিলাম। সুযোগ পেয়ে আমার পরিজনকে খুন করে আমার মাল লুট করে পালালো। "হা হা আমরা মুসলিম না"
এটাও ছোট বেলায় পড়েছিলাম। তখন মনে হয়েছিলো তাদের যে শাস্তি দেয়া হয়েছে, সেটা স্বল্প হয়ে গিয়েছে।
৩
বৈজ্ঞানিক এথিকস বলে কিছু নেই। দুনিয়াতে যত এথিকস আছে সব এসেছে আল্লাহ থেকে। আদি যুগের নবী রসুলদের শিক্ষা থেকে আরম্ভ করে।
রাস্তার মোড়ে যে অন্ধ ফকির ভিক্ষা করছে তাকে আমি ১০ টাকা দান করবো। তার কষ্টের পুরষ্কার সে আল্লাহর কাছে পাবে। আমার সাহায্যের পুরস্কার আমি আল্লাহর কাছে পাবো। সে আমার জন্য আল্লাহর নিয়ামতের রিমাইন্ডার।
তবে বৈজ্ঞানিক এবং যুক্তিযুক্ত কাজ কি হতো? তাকে হত্যা করা! তাকে তার কষ্ট থেকে মুক্তি দেয়া হলো। আর সমাজকে একটা আনপ্রডাকটিভ বোঝা থেকে মুক্তি দেয়া হলো।
কেন বৈজ্ঞানিক এথিকস বলতে কিছু নেই? তার কারন এখান থেকে আরম্ভ।
৪
গত বছর গরুর রক্তে ঢাকার রাস্তা লাল হয়ে গিয়েছিলো। বৃষ্টির পানিতে। এ ছবি চলে যায় আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে। এ বছর বর্ডারলাইন আস্তিক-নাস্তিকরা এ নিয়ে এথিক্যল সমস্যায় ভুগছে। প্লাস ক্যটালিস্ট বন্যা।
কোরবানী সবার জন্য না। মু'মিনদের জন্য। আল্লাহ তায়ালা এর উপর কিছু ক্যটালিষ্ট দিয়ে দেন সময়ে সময়ে। ময়লা সাফ করার জন্য।
৫
আখিরাত আছে এবং কোরআন আল্লাহর পাঠানো -- এই বিশ্বাস নিয়ে যে কাজ করে তার যেই জাজমেন্ট। আর এই সকল কাজ শুধু প্রচলিত কালচার মনে করে যে করে তার যেই জাজমেন্ট -- দুটোয় অনেক ফারাক।
আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে মু'মিনদের সংগে রাখেন।
বিশ্বাসিদের মানুষ অবিশ্বাস করবে। অবিশ্বাসিদের বিশ্বাস করবে। ব্যসিক্যলি কাকে বিশ্বাস করতে হবে কাকে করতে হবে না এটা নিয়ে সবাই কনফিউজড হয়ে যাবে। এবং শেষ পর্যন্ত যাকে বিশ্বাস করবে সে হবে খারাপ কেউ।
মুসলিমরা ঈমানহারা হতে থাকবে। সবাই না তবে প্রচুর সংখ্যায়। এক রাতে বা এক দিনের মাঝে মানুষ আল্লাহর উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে। এখনকার মত ধীরে না।
এবং ঈমান নিয়ে চলাটা দিনে দিনে মানুষের জন্য কষ্টকর হতে থাকবে। এখন যতটুকু কষ্টের তার থেকে আরো অনেক বেশি। এমন কি মৃত্যুর জন্য কান্নাকাটি করতে থাকবে।
উপরের সবগুলো সামনে হবে। এখন এরকম হয়ে গিয়েছে সে কথা বলছি না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের ঈমান ও নিরাপত্তার সাথে রাখেুন।
ভোরকে ফুটান, রাত করেন শান্তির।
হিসাব রাখার জন্য চাদ-সূর্য।
এসব নির্ধারিত মহান জ্ঞানীর।
উনি তারকা দিয়েছেন।
যেন স্থলে-জলের অন্ধকারে এ দিয়ে পথ খুজে পাও।
বিভিন্ন ভাবে আয়াত বললাম, জ্ঞানিদের জন্য।
তোমাদের বিস্তার করেছেন এক জন থেকে।
এর পর থাকার জায়গা, রাখার জায়গা দিয়েছেন।
বিভিন্ন ভাবে আয়াত বললাম, চিন্তাবিদদের জন্য।
আকাশ থেকে পানি নামান।
এ থেকে সকল গাছ বের করি।
এ থেকে সবুজ ফসল।
এ থেকে স্তরে স্তরে শস্য।
আর খেজুর গাছ, যার কাদি বেরিয়ে ঝুলে থাকে।
আংগুর, জলপাই, ডালিমের বাগান।
সব একই রকম, তবুও ভিন্ন।
দেখো সেই ফল, যখন তা ফলে আর পাকে।
এর মাঝে আছে বিশ্বাসিদের জন্য নিদর্শন।
তারা জ্বীনদের আল্লাহর সাথে শরিক করে, যাদেরকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন।
পুত্র-কন্যা আছে বলে দোষারোপ করে, না জেনে।
আল্লাহ পবিত্র তাদের বর্ননার উপরে।
তিনি শুরু করেছেন আসমান-জমিন।
কি করে উনার পুত্র হবে যেখানে সংগী নেই?
বরং উনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন, উনি সব জানেন।
- সুরা আল-আনআম, ১৩ পৃষ্ঠা থেকে।
যেটা আমি নিজের জন্য করা জরুরী মনে করছি।
১
প্রথমতঃ নিজে দ্বিনের উপর চলার জন্য অন্য মুসলিমদের থেকে সোশিয়াল সাপোর্টের প্রয়োজনকে যতদূর সম্ভব কমিয়ে আনা। আমার নিজের বিশ্বাসের ভালিডিটি যেন আমি অন্যের কাছে না খুজা।
সহজ করে বললে:
২
ফিতনা আরম্ভ হয়েছে ২০১০ সাল থেকে। এর আগে আমি যার উপর ছিলাম সেটাকে আকড়ে ধরে থাকতে হবে। যেহেতু বলা হয়েছে ফিতনার সময় তুমি ঐ জিনিসটা আকড়িয়ে থাকো যার উপর তুমি ফিতনার আগে ছিলে।
প্রতিটা দলের, প্রতিটা ব্যক্তির, প্রতিটা মানহাজের নতুন নতুন ব্যখ্যা শুনার দরকার নেই। বা এর কোনটা ভুল কোনটা ঠিক সেটা প্রামান করার দরকার নেই।
৩
এই সময়টা আলোচনা-সমালোচনা সাপোর্ট-বিরোধিতার বদলে বরং আমলে সালেহতে লেগে থাকা। কোরআন শরিফ শিখতে হবে, নামাজ পড়তে হবে, জিকির দোয়াতে লেগে থাকতে হবে।
কারন বলা হয়েছে এই দিনগুলো নেক আমল পঞ্চাশ জনের আমলের সমান।
৬:৬৮ থেকে। নাস্তিকরা যখন রাসুলুল্লাহ ﷺ, আল্লাহ বা কোরআনকে নিয়ে আজে বাজে কথা বলতে থাকে তখন তাদের ঐ কথাগুলো শুনবো না। বরং সেখান থেকে চলে আসতে হবে। যদি ভুলে কিছু শুনেও ফেলি, তবে মনে হওয়া মাত্রই সরে আসতে হবে।
৬:৩৫ থেকে। দাওয়াহ দেবার জন্য একেবারে ডেসপারেট হবার দরকার নেই। আল্লাহ তায়ালা চাইলে দুনিয়ার সব মানুষকে একবারেই হিদায়াত দিতে পারতেন।
৬:৪৪ থেকে। কুফরি করলে আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের উপর বরং উনার নিয়ামত প্রথমে বাড়িয়ে দিবেন। এ দেখে যেন আমি কনফিউজড না হই।
এটার অর্থ কি বুঝলাম না। তালাক দেয়া যাবে না? তালাক দিতে পারবে কিন্তু তিন তালাক দিতে পারবে না?
কেউ তিন তালাক দিলো, এর পর কি? তালাক হয়ে যাবে কিন্তু সে শাস্তি পাবে? তালাক হয় নি তার স্ত্রীর সাথে থাকতে তাকে বাধ্য করা হবে?
যদি এর পর সে তালককে লিগ্যল পদ্ধতিতে পরি পুর্ন করে তবে কি?
লিগ্যল পদ্ধতিতে পূর্ন করতে হলে তিন মাস বৌয়ের খরচ দিতে হবে। তিন তালাক দিলেও একই নিয়ম। পার্থক্য কি?
বস্তুতঃ এখন ভারতের মুসলিমরা তিন তালাক দিলে এর পর তাদের উচিৎ হবে লিগ্যল পদ্ধতিতে এটা পূর্ন করে নেয়া। প্রবলেম সলভড।
দ্বীনের আহকামে আদালত বাধা না দিলেই হলো।
আমার পয়েন্ট হলো যতক্ষন পর্যন্ত না তারা "মুসলিমরা একবার বিয়ে করলে আর জীবনেও তালাক দিতে পারবে না" বা "আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনো মুসলিম তালাক দিতে পারবে না" -- এই ধরনের রুল জারি না করছে ততক্ষন পর্যন্ত এক তালাক আর তিন তালাকের মাঝে আমি বিশাল কোনো পার্থক্য আছে বলে জানি না। দুটো প্রায় এক। পার্থক্য যা আছে সেটা এই আলোচনায় ইনসিগনিফিকেন্ট। সেটা বলছি।
বস্তুতঃ দ্বিন মানার ক্ষেত্রে সমাজের সাপোর্ট আরো কমে যাচ্ছে, যদি আগে কিছু থেকেও থাকতো সে তুলনায়। এটা পার্থক্য। দ্বীন এখন নিজে বুঝে আমল করতে হবে।
১
মনে করেন আয়াতের মাঝে فَمُسْتَقَرٌّ وَمُسْتَوْدَعٌ এসেছে। আমি "মুসতাকাররু ওয়া মুসতাওদাউ" এভাবে মুখস্ত করার চেষ্টা করবো না। বরং শুধু قرر শব্দটা শিখবো অর্থ সহ। এর পর ودع শিখবো। দুটোই যেহেতু তিন অক্ষরের ছোট শব্দ, শেখা সহজ। এর পর مستفعل আরবীর একটা ফর্ম আছে সেই ফরমে ট্রান্সফর্ম হয়েছে শব্দগুলো, এটা মনে রাখতে হবে। সহজ হয়ে যাবে।
২
কোন আয়াতের পর কোন আয়াত এটা মনে রাখার একটা টেকনিক হলো story board টেকনিক। প্রতিটা আয়াতের key word এর icon ছবির মত আলাদা একটা কাগজে একে explicitly visualize করা। এর পর মনে রাখা সহজ হয়ে যায়। এটা এখন করার চেষ্টা করছি।
এখানে এই ভদ্রলোক এই টেকনিকটা বর্ননা করছেন। আরবীতে।
https://youtu.be/uf-SkE3Kh2w?t=10m
রিমাইন্ডার: প্রানীর ছবি আকা নিষিদ্ধ। আমাদের মাজহাবে। তাদের মাজহাবে কি জানি না। এর অলটারনেট চিন্তা করলেই বের করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
৩
এই ভিডিওতে আরো কিছু টিপস পাবেন। ইংরেজিতে। মেয়েদের জন্য এই লিংক। উনিও ভিজুয়েল ইমেজের কথা বলেছেন।
https://www.youtube.com/watch?v=TayZp7gxYxk
এরকম আরো অনেক টিপস আছে ইউটুবে। খুজলে পাবেন। সব টিপস সবার কাজে লাগবে তা না। যেটা যার জন্য ইফেকটিভ হয়।
আর ইন্সটেন্ট তিন তালাক দিলে আদালত যদি এটা বাতিল করেও তবে এর পর স্বামি আলাদা আলদা তালাক দিয়ে সেপারেট হয়ে যেতে পারছে আগের নিয়মে। পার্থক্য কি হলো? স্ত্রী কি রাইট পেলো যেটা ব্যন করার আগে পেতো না?
প্রশ্ন এটা। আর আপনি যে আ্টিক্যল শেযার করেছেন সেখানে এই জবাব নেই।
দৃষ্টি উনাকে পায় না, উনি সকল দৃষ্টিকে পান।
উনি সুক্ষ্ম জ্ঞানী।
তোমাদের রবের থেকে এসেছে অন্তরদৃষ্টি।
যে দেখতে পাবে, তা নিজের জন্য।
যে অন্ধ হবে, তা তার উপর।
আমি তোমাদের রক্ষাকারী না।
বিভিন্নভাবে আয়াত বর্ননা করছি
যেন তারা বলে, আপনি দরস নিয়েছেন।
জ্ঞানিদের কাছে তা বর্ননা করার জন্য।
আপনার রব থেকে যে ওহি এসেছে সেটার অনুসরন করুন।
উনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।
এবং মুশরিকদের থেকে সরে যান।
যদি আল্লাহ তাই চাইতেন তবে তারা শিরক করতো না।
আপনাকে তাদের রক্ষাকারী করি নি,
আপনার উপর তাদের দায়িত্ব না।
আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেগুলোকে তারা ডাকে,
সেগুলোকে গালি দিবে না।
তাহলে তারাও শত্রুতা করে আল্লাহকে গালি দেবে, না জেনে।
এভাবে সব জাতির কাছে নিজেদের কাজকে সুন্দর করে রাখি।
এরপর তাদের রবের কাছে ফিরবে।
তাদের জানানো হবে কি করে এসেছে।
শক্ত শপথে তারা আল্লাহর নামে কসম করে যে-
কোনো নিদর্শন আসলে তারা বিশ্বাস করতো।
বলে দিন নিদর্শন আল্লাহর কাছে।
কে তোমাদের বুঝাবে! নিদর্শন আসলেও তারা বিশ্বাস করতো না।
আমি তাদের অন্তর আর চোখকে ঘুরিয়ে দেবো,
যে রকম তারা প্রথমবার এতে বিশ্বাস করে নি।
তাদেরকে ছেড়ে দেবো নিজেদের অবাধ্যতার মাঝে বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরার জন্য।
- সুরা আল-আনআম, ১৪ পৃষ্ঠা থেকে।
বাংলাদেশের ১৬ কোটি। শুমারিতে এসেছিলো ১৫ কোটি, এটা মানুষ গ্রহন করতে রাজি না বলে পলিটিক্যলি বাড়িয়ে ষোল কোটি বলা হয়। এই নিয়ে পলিটিক্যল ক্যচালের খবর ঐ সময়ে পত্রিকায় এসেছিলো।
স্বাধিনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিলো ৭ কোটি।
পাকিস্তানের ছিলো ৬ কোটি।
এটা নিয়ে পাকিস্তানিদের দাবি ছিলো নির্বাচন হলে সবসময় বাংগালি প্রেসিডেন্ট হবে, কারন তাদের জনসংখ্যা বেশি।
বাই দা ওয়ে। শুমারিতে লোক গুনা বাদ পড়ে না। যেটা বাদ পড়ে সেটার জন্য বাড়িয়ে ধরা হয়। প্রকৃত গননায় যদি ১৪ কোটি আসে তবে বাদ পড়েছে এস্টিমেট করে ১৫ কোটি হিসাব দেয়া হয়। এভাবেই ১৫ কোটি আসে। গননায় এসেছিলো ১৪ কোটি।
প্রতিটা পৃষ্ঠা 150KB। ল্যপটপে স্পষ্ট বুঝা যায়।
মোবাইল থেকে চেক করি নি। মোবাইল ওয়ালারা যেহেতু এপ ব্যবহার করে তাই প্রয়োজন নেই।
http://habibur.com/quran/page/
http://habibur.com/quran/page/
The first tweet was before the eclipse.
Second one after it.
And the pic from after he visited his doc.
He is a famous rapper.
৬:১১৬
وَإِن تُطِعْ أَكْثَرَ مَن فِي الأَرْضِ
يُضِلُّوكَ عَن سَبِيلِ اللّهِ
إِن يَتَّبِعُونَ إِلاَّ الظَّنَّ وَإِنْ هُمْ إِلاَّ يَخْرُصُونَ
দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের অনুসরন করলে
তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে সরিয়ে দেবে।
তারা নিজ ধারনার অনুসরন করে।
তাদের কথা মিথ্যা ধারনা থেকে।
শব্দ,
খারাস-মিথ্যা ধারনাপ্রসূত কথা : يَخْرُصُونَ
এভাবে প্রত্যেক নবীর মাঝে শত্রু দিয়েছি শয়তানকে
মানুষ আর জ্বীন থেকে।
তারা এক দল অন্যকে সাজানো ধোকার কথা শিখিয়ে দেয়।
আপনার রব চাইলে এ কাজ করতো না।
তাদের ছেড়ে দিন, তাদের বানোয়াট কথায়।
যেন যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না
তাদের অন্তর সে দিকেই ঝুকে থাকে।
যেন যারা খারাপ কাজে লেগে আছে
তারা তাতে লেগে থেকে সন্তুষ্ট থাকে।
আমি কি আল্লাহকে ছেড়ে অন্য বিচারক খুজবো?
অথচ উনি তোমাদের উপর কিতাব নাজিল করেছেন, বিস্তারিত।
যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তারা জানে এটা সত্যি আপনার রব থেকে নাজিল।
আপনি সন্দেহকারীদের একজন হবেন না।
আপনার রবের কথা পূর্ন হয়েছে, সত্য আর ন্যয় দিয়ে।
উনার কথার পরিবর্তনকারী নেই!
উনি সব শুনেন জানেন।
দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের অনুসরন করলে
তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে সরিয়ে দেবে।
তারা নিজ ধারনার অনুসরন করে,
মিথ্যা ধারনা থেকে কথা বলে।
আপনার রব জানেন কে পথ থেকে সরে গিয়েছে,
আর কে সরল পথে আছে।
অতঃপর যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়েছে তা থেকে খান,
যদি উনার আয়াতে বিশ্বাসি হন।
- সুরা আল-আনআম, পৃষ্ঠা ১৫ থেকে।
তাই এটা এভয়েড করার চেষ্টা করি। কিন্তু সমস্যা হলো ইউটুবে যত আরবী ভিডিও আছে অধিকাংশই মিশরের। যেহেতু আরব দেশগুলোর মাঝে তারা বেশি সংস্কৃতিমনা।
নিচে মিশরের একটা চ্যনেল। স্ট্যন্ডার্ড এরাবিক ব্যবহার করেছে তাই শুনে বুঝা যায়। বিভিন্ন বিষয়ের উপর ২ - ৩ মিনিটের কথা, লিখা ছবি সহ।
যারা আরবী শিখছেন তাদের জন্য।
https://www.youtube.com/channel/UCP_Iq6B3KKUvxo7lAxQicDQ/videos?spfreload=10
https://www.youtube.com/channel/UCP_Iq6B3KKUvxo7lAxQicDQ/videos?spfreload=10
Tiger IT got the same project in Bangladesh under a joint venture with Bangladesh Machine Tools Factory. They started operations in 2012 with a target of manufacturing 31 lakh registration plates.
In Nepal, they joined US-based Decatur Consortium to win the contract beating some joint ventures from developed countries through a competitive and open international bidding.
Established in 2000, Tiger IT is leading the way in Southeast Asia in identification related software and undertaking national identification and immigration related projects.
They earlier provided machine readable passports in Nepal and national identity cards and biometric ID services for immigration and border control of Bhutan.
In 2008, they developed software solutions for national identity cards and voter registration in Bangladesh, a project that involved around 10 crore people.
It earlier ran international projects in the USA, Canada, UK, Moldova, Tajikistan, Kenya, India, Nepal, Bhutan and Cambodia, among others.
It has offices in the USA, UK and Poland, apart from Dhaka.
লিজেন্ড বলে, চাইনিজ কুং ফু বা জাপানিজ জুজুৎসু বা Bruce Lee এর JKD. তবে রিয়েলিটি বলে, plain old Boxing. একটা ঘুষি মারতে পারলে বাকি সব শেষ হয়ে যায়। ডিফেন্স শেখা মানে, কি করে ঘুষি ঠেকাবেন সেটা শেখা।
এই অপবাদ থেকে মুক্তির জন্য রিসেন্টলি আরম্ভ হয় UFC এর MMA. বক্সিং আর মার্শাল আর্ট এর মিশ্রন।
সে থেকে হাইপ করা হয় Floyd Mayweather Vs. Conor Mcgregor এর ফাইট। এর একজন বক্সিং এর অপরাজিত চ্যম্পিয়ান। অন্যজন MMA এর টপ পার্ফমার। কে জিতবে?
অতঃপর আজকে ঐতিহাসিক ম্যচ হলো। প্লেইন ওল্ড বক্সিং আবার জিতেছে। No surprise there.
MMA ওয়ালাদের মন খারাপ করার দরকার নেই। তাদের পার্ফরমার ১০ রাউন্ড পর্যন্ত টিকে ছিলেন। Congrats.
তোমরা যারা IP Man ভক্ত। :V :-P
Apparently things are changing. জাতি দুই ভাগে ভাগ হযে অন্ত কোন্দলে জড়িয়ে যাচ্ছে। রেসিজম ফিরে আসছে। সামরিক বাহিনী প্রেসিডেন্টের বিপরিত কাজ করছে। দেশের সমস্ত মানুষ আর এক নেতার পেছনে এক জাতি হিসাবে দাড়ায় না।
এর সাথে যোগ হয়েছে নৌ বাহিনীর ঘন ঘন দুর্ঘটনা। তাদের নতুন মডেলের অস্ত্রের ব্যর্থতা। বিশ্বে তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রচন্ড ভাবে কমে যাওয়া।
এর সাথে আজকে ঐতিহাসিক বন্যা বৃষ্টি থেকে। যেরকম আগে কখনো হয় নি।
দুই মাসের মাঝে একই ঘটনা দুই বার ঘটা। দুই জাহাজে।
এতে ১০ জন মারা যাওয়া।
তাদের লাশ সমূদ্রে ৭ দিন ধরে খুজে এর পর বের করা যে, আসলে ঐ জাহাজেই লাশগুলো এতদিন পড়ে ছিলো। আমেরিকান সেনাবাহিনী নিজেদের জাহাজে এতদিন লাশ খুজে পায় নি।
Score: -4
নেগেটিভিটি মানে মানুষের দোষের দিকে আমার দৃষ্টি যখন বেশি চলে যায় নিজের দোষের বদলে।
বললাম "আমি মালিক না।"
সে বললো আচ্ছা। মুখে উজ্জল হাসি নিয়ে ছেলের কাধে হাত রেখে আস্তে আস্তে হেটে চলে গেলো। অথচ অন্যরা অনুমতি ছাড়াই কেটে নেয়।
কেন যেন জান্নাতি লোক মনে হলে এখনো আমার তার কথা মনে হয়।
২
আমি,
মাজহাবগত পার্থক্য জানি।
বিভিন্ন দলের আইডলজি গভীর থেকে বিশ্লেষন করতে পারি।
জমিয়ে তর্ক করা একটা খেলা।
আমি জান্নাতে থেকে নিজেকে অনেক দূরে দেখতে পাই।
৩
মসজিদে,
সাধারন লোকেরা আসছে, নামাজ পড়ছে।
কাউকে বাধ্য করা হয় নি।
তারা আল্লাহর টানে এসেছে।
নামাজিদের দিকে তাকালে মনে হয় তার সম্পর্ক শুধু তার রবের সাথে।
প্রশ্ন,
এখানে কতজন মুরজিয়া?
কয়জন কুফর বিত তাগউত সম্পর্কে জানে?
কয়জন আশারি মাতুরিদি? কয়জন আথারি?
কয়জন জান্নাতি?
প্রশ্নগুলো জাগে?
না। কেন যেন এই প্রশ্নগুলো আমার অন্তরে জাগে না।
এই প্রশ্নগুলোর মুখোমুখি আমি শুধু ফেসবুকে হই।
১
অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমি অবজারভেশন লিখি। কোনো দল মতের পক্ষে বা বিপক্ষে সরাসরি কিছু লিখি না। শেষে এড করে দেই watching... দেখছি শুধু। এটা অবজারভেশন।
কিন্তু এর পরই পক্ষে বিপক্ষের লোকেরা কমেন্টে এসে পক্ষে বা বিপক্ষে শ্লোগান তুলে। পাঠকরা মনে করে নিউট্রালিটির ভং ধরে আসলে এই উসকে দেয়াটা আমার মূল উদ্যেশ্য ছিলো।
২
মুসলিমদের মাঝে কোন দলই সম্পূর্ন ভালো বা মন্দ না। দোষ গুন সবার আছে। এটা বুঝে খুব ব্যলেন্স করে আমাকে লিখতে হয়।
এর পর কমেন্টে যার যেই দলকে পছন্দ বা অপছন্দ, সে তার পক্ষে প্রোপাগান্ডা মেটেরিয়াল পোষ্ট করতে থাকে বা বিরুদ্ধে বিষেদগার করতে থাকে।
এর পর ব্যলেন্স বলে আর কিছু থাকে না।
৩
সব কমেন্টকারী আশা করে আমি তার উত্তর দেবো। না দিলে সে মনে করে,
- আমার কাছে জবাব নেই।
এর পর জবাব দিলে আরম্ভ হয় লম্বা তর্ক। সে থেকে বিদ্বেষ। শত্রুতা।
জবাব না দিয়ে কোনো কমেন্ট মুছে দিলেও সে রাগ করে।
কিন্তু তখনকার ঝামেলা ঐ তর্ক-ঝগড়া-শত্রুতা থেকে অনেক কম।
৪
জবাব দিয়ে যদি তর্ক আরম্ভ করি তবে? আশে পাশের দশ গ্রাম থেকে সবাইকে ট্যগ করে ডেকে আনে তামাশা দেখার জন্য। এর পর ঝগড়া ঝাটির মাঝে পরিবেশ বলে আর কিছু থাকে না।
নিজের সম্মান কিছু থাকলে সেটা চলে যায় তারো আনেক আগে।
৫
আমি গালি দেবো না। কিন্তু যে তর্ক করতে আসে সে গালি দেবে। তার না দেবার কোনো কারন নেই।
৬
না মুছে, না জবাব দিয়ে, যদি কমেন্টটা রেখে দেই?
তাহলে সমস্যাগুলো,
প্রথমতঃ নিরবতা সম্মতির লক্ষন ধরে নিয়ে সবাই মনে করে আমিও বোধহয় কমেন্টারের সাথে একমত। কারন সে আমার লিখার প্রশংশা করে ঐ সব এক্সট্রিম কথা বলছে।
দ্বিতীয়তঃ প্রোপাগান্ডা ওয়ালারা তাদের প্রোপাগান্ডা মেটেরিয়েল একের পর এক পোষ্ট করতে থাকে: "টাই বাবা জাকির নায়েকের মুখোশ উন্মোচন" "কেউ না পড়ে যাবেন না: দরবারী আলেমদের উপর দালিলিক আলোচনা।"
আমার স্টেটাসটার ঘাড়ে চড়ে চলে তাদের প্রোপাগান্ডার প্রচার প্রসার।
তৃতীয়তঃ আপনার বাড়ির সামনে যদি কেউ ময়লা ফেলে এবং এটা যদি আপনি সংগে সংগে সরিয়ে না নেন, তবে কিছু দিন পর দেখবেন সবাই এখানেই ময়লা ফেলছে এটাকে ডাষ্টবিন মনে করে।
৭
যে কারনে আমি কমেন্ট মুছে দেয়া, জবাব দেয়ার থেকে উত্তম মনে করি।
যদিও সে অফেন্ডেড হয়।
এর পরও এটা পরবর্তি শত্রুতা থেকে ভালো।
১
বলা হয়েছে, "বিশ্বাসিদের মানুষ অবিশ্বাস করবে, অবিশ্বাসীদের বিশ্বাস করবে"
তাই নিজে দ্বিনের উপর চলার জন্য অন্য মুসলিমদের থেকে সোশিয়াল সাপোর্টের প্রয়োজনকে যতদূর সম্ভব কমিয়ে আনা। আর নিজের বিশ্বাসের ভেলিডেশন অন্যের কাছে না খুজা।
সহজ করে বললে:
২
বলা হয়েছে, "ফিতনার সময় তুমি ঐ জিনিসটা আকড়িয়ে থাকো যার উপর তুমি ফিতনার আগে ছিলে।"
ফিতনা আরম্ভ হয়েছে ২০১০ সাল থেকে। এর আগে আমি যার উপর ছিলাম সেটাকে আকড়ে ধরে থাকতে হবে।
প্রতিটা দলের, প্রতিটা ব্যক্তির, প্রতিটা মানহাজের নতুন নতুন ব্যখ্যা শুনার দরকার নেই। বা এর ভুলগুলো বের করে কোনটা ঠিক সেটা প্রামান করা আমার দরকার নেই।
৩
বলা হয়েছে, "ঐ সময়ের আমল ৫০ জন সাহাবীর আমলের সমান"
এই সময়টা আলোচনা-সমালোচনা-সাপোর্ট-বিরোধিতার তর্কের বদলে আমলে সালেহতে লেগে থাকা। কোরআন শরিফ শিখতে হবে, নামাজ পড়তে হবে, জিকির দোয়াতে লেগে থাকতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য সহজ করুন।
ছোটবেলার একটা জনপ্রীয় হিন্দি ফিলিম আমর আকবর এন্টনির মত।
সব দিকেই কিছু কিছু।
১। মক্কা থেকে মিনা : হেটে ১ ঘন্টা।
২। মিনা থেকে মুজদালিফা : হেটে ১ ঘন্টা।
৩। মুজদালিফা থেকে আরাফা : হেটে ২:৩০ ঘন্টা।
এর মাঝে ২ নম্বর ডিসটেন্সটা ঈদের দিন সকালে নারি পুরুষ বৃদ্ধ জোয়ান নির্বিশেষে সবাইকে হেটে যেতে হয়। এই রাস্তায় কোনো গাড়ি নেই।
সব কিছু হেটে করতে চাইলে হজ্জের ৬ দিনে মোট ১৩০ কিলোমিটার হাটতে হয়। কোরবানী তওয়াফ সব মিলে।
এবছর শেষ পর্যন্ত ১৩০ জন হাজ্জি ভিসা পেয়েও যেতে পারে নি বেশি দেরি হয়ে গিয়েছে বলে।
আজকের দিনের উপর গত বছরের পোষ্ট।
১
কুতায়বা (রহঃ) জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে কুরবানীর ঈদে প্রত্যক্ষ করেছি। তিনি খুতবা প্রদান শেষ করে মিম্বর থেকে নেমে এলেন। একটি মেষ আনা হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের হাতে সেটিকে যবাহ করলেন। বললেন, ''বিসমিল্লাহি আল্লাহ আকবর। এটি হল আমার পক্ষ থেকে এবং আমার উম্মাতের মধ্যে যারা কুরবানী দিতে পারেনি তাদের পক্ষ থেকে।''
[ সুনান তিরমিজী - ১৫২৭ ]
এই সূত্রে হাদীসটি গারীব।
২
সালামা ইবনু শাবীব (রহঃ) আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সর্বোত্তম কুরবানী হল মেষ আর সর্বোত্তম কাফন হল হুল্লা।
[ সুনান তিরমিজী - ১৫২৩ ]
এই হাদীসটি গারীব।
৩
ইয়াহইয়া ইবনু মূসা (রহঃ) 'আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ আইয়্যুব রাদিয়াল্লাহু আনহ-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যুগে কুরবানী কেমন হতো?
তিনি বললেন, একজন নিজের এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি বকরী কুরবানী করতো, নিজেরাও খেত অন্যদেরকেও খাওয়াতো। শেষে লোকেরা এ বিষয়ে প্রতিযোগিতা করে বাহাদুরী প্রদর্শন শুরু করল। ফলে তা-ই হয়েছে তুমি যা দেখেছ।
[ সুনান তিরমিজী - ১৫১১ ]
সপ্তাহে ৩ পৃষ্ঠা করে শিখছি।
আয়াতের পর আয়াত মনে রাখার জন্য এখন story board টেকনিক। তাতে স্পিড অনেক বেড়েছে আলহামদুলিল্লাহ। ছবিগুলো মাথায় না রেখে কাগজে একেবারে একে। টেকনিকটা আগে শেয়ার করেছিলাম।
শুনার উপর ডিপেন্ডেসি অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছি। শুনাটা লাগতো মূলতঃ কোন আয়াতের পর কোন আয়াত মনে রাখার জন্য।
যথেষ্ট বিশ্রাম এরপরও নিশ্চিৎ করতে হয়। তিন পৃষ্ঠা শিখতে যদি ৪ দিন নেই, তবে এর পর সপ্তাহের বাকি ৩ দিন রেস্ট।
একনাগাড়ে ৩০ মিনিটের বেশি শিখি না। ব্রেক দিতে হয়। এখন দৈনিক দেড় ঘন্টা করে। কারন পুরানো গুলো রিভিশন দিতে হয় ৩০ মিনিট।
Things have changed. এখন সৌদি সরকার বলছে কেউ যেন জুম্মা না ছাড়ে কারন এটা সুন্নাহ বিরোধি। এবং সরকার মনিটর করবে এই রকম কেউ করে কিনা। সৌদিতে যেহেতু শুক্রবার ঈদ।
লিংক কমেন্টে।
২
সালাফিদের মাঝে এই জিনিসটা বহু বছর ধরে দেখে আসছি। কিছু একটা দাবি করলো "এটাই ঠিক বাকি সবাই ভুল করছে"। এর অনেক বছর পর, "না, আসলে ওটা ঠিক না। কে বলেছে ঐ রকম করতে হবে?"
অথচ এর মাঝে নতুন কোনো হাদিস আসে নি যে ডিসিশন বদলাতে হবে। কোরআন হাদিস আগেও আমাদের সামনে যা ছিলো এখনো তাই। তাহলে মত বদলানোর কারন কি?
কারন হলো নতুন করে আবার কোরআন-হাদিস খুলে সে থেকে ফিকাহ নির্নয়ের চেষ্টা। যেটা আমাদের পূর্ববর্তি আলেমগন পুংখানু পুংখ রূপে করে গিয়েছিলেন। কোনো কিছু গননার বাইরে না রেখে।
কিন্তু তাদের কথা আমাদের কাছে গ্রহনযোগ্য না। তাই তাদের সব কথা ছুড়ে ফেলে দিয়ে নতুন করে আবার ফিকাহ বের করতে গিয়ে আমরা ভুল-শুদ্ধ-ভুল ফেইজের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। কর্পোরেটরা যাকে বলে RnD.
৩
হানাফি মাজহাবে জুম্মার দিন ঈদ হলে জুম্মা ঈদ দুটোই আলাদা করে পড়তে হবে। ৪০ বছর আগে তাই দেখেছি। এখনও তাই।
আজকে রাত থেকে হাজ্জিরা আরাফায় যাওয়া আরম্ভ করবে ইনশাল্লাহ। এর উপর একটা serious take কমেন্টে।
জিলহজ্জের ৯ তারিখ আরাফা। সৌদিতে ৯ তারিখ কালকে বৃহস্পতিবার। আর বাংলাদেশে ৯ তারিখ হলো আগামি শুক্রবার, সৌদিদের পর দিন।
তাহলে কবে রোজা রাখতে হবে?
এর ব্যপারে ১/ প্রচলিত ফতোয়া, ২/ হানাফি আলেমদের ফতোয়া, এবং ৩/ islamqa এর ফতোয়া তিনটাই হলো -- যে দেশে যে দিন ৯ তারিখ সে দিন। মানে বাংলাদেশে শুক্রবার রোজা রাখলে সেই সোয়াব পাবো।
আর এর বাইরে কিছুটা আধুনিক ফতোয়া হলো যে দিন হাজ্জিরা আরাফার মাঠে যাবে সেদিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার।
পারলে দুই দিনই রাখি।
এটা পড়ে কি মনে হয় আমি কোনো দিকে ঝুকেছি? প্লাস "আধুনিক" না লিখে "কিছুটা আধুনিক" লিখেছি এটা সফট করার জন্য। :-P
জিনিসগুলো বললাম কত রকম চিন্তা করে ব্যলেন্স করতে হয় এটা দেখাতে। :V
কিছু ইনডিকেট করে আপনাকে এই কথাগুলো বলছি না। Idle chat. সুখ দুঃখের কথা। :-)
// Watchmen নামে একটা গল্প পড়েছিলাম। বহু বছর আগে। তার ডায়লগ। মাঝে মাঝে মনে হয়। যখন সব থমকে দাড়ায়।
Guess who is who :V
তাই যার যার আমলের উপর তাকে ছেড়ে দাও।
যে যেটা বুঝে, যেটা করে।
তার কাজে তোমার ক্ষতি না হলে সাইডে সরো।
তাকে যেতে দাও।
২
: এই গন্ডোগোলের মাঝে তুমি নিজেকে জড়াচ্ছো কেন?
: নিজের অবস্থান পরিষ্কার রাখতে।
: তোমার অবস্থান পরিষ্কার রাখার প্রয়োজন হলো কেন?
: অনেকের সাথে তর্কে জড়িয়ে গিয়েছিলাম। যাদের ভালো মন্দের দায়িত্ব আসলে আমার উপর না।
: তবে কি করতে চাও?
৩
এরকম করা নাজায়েজ ও নিষিদ্ধ। কারন দান করা বা না করা কারো ইচ্ছা। এখানে বাধ্যবাধকতা চাপানো নিষেধ।
https://www.youtube.com/watch?v=nKcUTf1-XN0
সমস্ত হাজ্জি যেহেতু এক সাথে রওনা হচ্ছে তাই প্রচন্ড ভীড়। হাটা রাস্তায় এই সময়ে আরাফার মাঠ থেকে বেরুনোর রাস্তার মুখে প্রচন্ড ভীড় চাপা চাপি হয়। আর মুজদালিফার মাঠে ঢুকার মুখে প্রচন্ড ভীড় আর চাপা চাপি। তবে বাকি রাস্তা খোলা মেলা এবং মরুভুমির রাস্তা দিয়ে রাতে হাটতে ভালো লাগবে। সবার সাথে।
গাড়িতে আসলে গাড়ি রাত ৯ট ১০টা বা ১টা পর্যন্ত দেরি হতে পারে। এর পরও গাড়ির জন্য ধাক্কা ধাক্কি আছে। এর উপর গাড়ি রাস্তায় বেরিয়ে সারা রাত জ্যমে আটকিয়ে থাকতে পারে। দরজা খুলবে না, বা আপনি অপরিচিত জায়গায় নামতেও ভয় পাবেন। এই অবস্থায় সারা রাত টয়লেট আটকিয়ে থাকা আরেকটা কষ্ট।
এজন্য এই রাস্তাটা হেটে আসা ভালো যারা হাটতে পারে।
হেটে দুই ঘন্টা লাগবে আরাফা থেকে মুজদালিফা পৌছতে। ৮টার মাঝে পৌছে মাগরিব ও ইশা কয়েকজনে মিলে জামাতে পড়ে ঘুমিয়ে যেতে পারবেন ৯টার মাঝে। গাড়িতে যারা আসবে তারা তখনো আরাফার মাঠে গাড়ির জন্য দৌড়া দৌড়ি করছে। পৌছতে পৌছতে রাত ১টা যারা আগে পৌছবে। নয়তো সকাল।
১
মুজদালিফা ঢুকার পরে প্রথম কাজ হয় সোজা রাস্তা দিয়ে না হেটে ডান দিকের কোনো রাস্তা নিয়ে মাঠের সাইডে চলে যাওয়া। সোজা রাস্তায় টয়লেটে প্রচন্ড ভীড়। একেক দরজায় ২০-৩০ জন করে লাইন। সাইডে চলে গেলে কমে যায়। ২-৩ জন করে লাইনে।
টয়লেটের সমস্যার জন্য এই দিন কম খাওয়া ভালো।
২
বাংগালিরা যেহেতু মিনার দিনগুলোতে মিনায় না থেকে মুজদালিফার একাংশের তাবুতে থাকে। তাই নিজের তাবুতে ফিরে গেলেও ট্যকনিক্যলি ঠিক আছে। তবে কেমন যেন দল ছাড়া মনে হবে।
বাকি সবাই রাস্তার সাইডে খোলা মাঠে ঘুমায়।
৩
এত কষ্ট না করে শর্টকাট হজ্জ করার উপায় আছে। মুজদালিফায় না থেমে, নিজের বাসায় চলে যাওয়া। এজেন্সি এই সময়ে মক্কার বাসা ছেড়ে দিয়ে মিনার কাছে কোনো এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়।
এর পর বাকি দিনগুলো সেখানেই থাকা, এবং প্রক্সি দিয়ে পাথর মারা। টিকেট কেটে কোরবানী। এবং তিন দিনের মাঝে কোনো একদিন গিয়ে তোয়াফ করে আসা। যাদের সংগে মহিলা থাকে তারা সাধারনতঃ এরকম করে।
বহু লোক কাদিয়ানি হয়ে যায়, কাদিয়ানিদের যুক্তি প্রমান দাওয়াহ বার বার করে শুনতে শুনতে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই ফিতনার যুগে হিফাজত করুন।
Quote: "ঠিক একই প্রশ্ন বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্য ইফতা বিভাগগুলোতে পাঠান। যদি ভিন্ন ফাতওয়া আসে, তাহলে আমি সাথে সাথে তওবা করে বড়দের ফাতওয়া মেনে নিব। নিঃসংকোচে মেনে নিব। নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইবো। এতে কোন সন্দেহ নেই।"