প্রসংগ : চাল
বাংলাদেশে বছরে ৩৫০ কেজি চাল চাষ হয়। পুরোটা খাবার পর আমদানি করতে হয় আরো ৩০ কেজি। সরকারের গুদামে চালের মওজুদ থাকে ১০ কেজি। এ থেকে মূলতঃ সরকারী কর্মকর্তাদের রেশন ভাতা দেয়। বন্যা হলেও এখান থেকে চাল বিতরন করে।
চাল আমদানির উপর সরকার এতদিন ৩০% ট্যক্স দিয়ে বসে ছিলো। আমদানীকারকরা বিশ্বাস করতো সরকার যে কোনো সময়ে ট্যক্স কমিয়ে দেবে তাই চাল আমদানি না করে বসে ছিলো ট্যক্স কমানোর জন্য।
ফলস্রুতিতে চালের মওজুদ ইতিহাসে সর্বনিম্নতে। বর্তমানে মাত্র ২ কেজি চাল স্টকে। এটা রেশন ভাতা দেবার জন্যও যথেষ্ট না। এই অবস্থা এই বছরের শুরু থেকেই। মানে বন্যার আগে থেকে।
৩ দিন আগে সরকার ট্যক্স কমিয়ে ২% করেছে। এখন চাল আমদানি করতে গিয়ে দেখে বিশ্ব বাজারে চালের দাম বেড়ে গিয়েছে।
"কিন্তু বন্যায় ফসলের কতটুকু ক্ষতি হয়েছে?"
দেশে প্রতি বছর চালের উৎপাদন ৩ কেজি করে বাড়ে আগের বছরের উপর। এই বছর এটা না বেড়ে বরং ৪ কেজি কমে গিয়েছে প্রথম দফা বন্যার পর। গত জুনে।
বর্তমান দ্বিতীয় দফা বন্যার পর কত কমবে সেটা এখন জানার বিষয়।
[ উপরে ১ কেজি = ১ লক্ষ টন ]