নাউজুবিল্লাহ,
মুফতি ইজহার এগুলো কী বলছে!
হুবহু ভণ্ড দেওয়ানবাগির সাথে মিলে যাচ্ছে তার কথা!
আল্লাহ পাক বলেছেন,
সাদ কান্ধলভী বিশ্ব আমীর!
_______মুফতী ইজহার ।
চট্টগ্রাম লালখান বাজার মাদ্রাসার পরিচালক, আল্লামা মুফতি ইজহার বলেছেন, আল্লাহর শপথ সাদ হক্বের উপর রয়েছেন।
আজ (০৮/০৩/১৯ইং) জুমার পূর্বে লালখান বাজার মসজিদে প্রদত্ত বয়ানে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে যখন পুরো মুসলিম জাতি বিভ্রান্তির বেড়াজালে আবদ্ধ, আমি খুবই চিন্তিত ও মর্মাহত।
এমতাবস্থায় একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ও হযরত খিজির আলাইহীস-সালাম স্বপ্নে আমার কাছে আসেন। রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বলেন, ইজহার!
সাদ হকের উপর রয়েছেন। সমস্ত গাউস, কুতুব ওলী, আবদাল তার পক্ষে রয়েছে।
এটা তুমি দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কাছে জানিয়ে দাও!
অতঃপর কিছুদিন পর স্বপ্নে আমার সাথে স্বয়ং আল্লাহ পাকের দিদার লাভ হয়।
দীর্ঘ দুই ঘন্টা যাবত আল্লাহ পাকের সাথে আমার কথোপকথন হয়েছে।
এতে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো, আল্লাহ তাআলা বলেন, সাদ বিশ্ব আমির।
তিনি হকের উপর রয়েছেন। তার সাথে সমস্ত অলি, গাউস, কুতুব ও আবদাল রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তাআলা তাকে স্বপ্নে সাদ কান্ধলভীর ব্যবহারীত দস্তরখান, জায়নামাজসহ আরো বিভিন্ন জিনিস দেখিয়েছেন।
অবশেষে তিনি কসম করে বলেন, আল্লাহর কসম সাদ ''বিশ্ব আমির।"
সূত্র; ছোট ভাই তাওহীদুল ইসলাম (হাতিয়া) ছাত্র, দারুল হাদীস দারুলউলুম হাটহাজারী । সে ইজহার সাহেবের জুমার পূর্বের বয়ানটি নিজ কানে শুনে এসে আমার কাছে বর্ণনা দিয়েছে।
হুবহু তার বর্ণনাই আমার এপোষ্ট।
(আল্লাহ পাক হেফাযত করুন)
সূত্র : ali bin jakir
_________________________
প্রশ্ন : আলমি /হযরতজির শুরা বানানোর পরামর্শটি পাকিস্তানে হল কেন ?
তারা বলে যারা আলমি /হযরতজির শুরার পক্ষে কথা বলে, সাদ কে আমির মানে না তারা হেফাজতি পাকিস্তানি।
আসল ঘটনা কি ?
উত্তরঃ আলমি শুরা নিজামুদ্দিনের না হয়ে পাকিস্তানের হওয়ার কারণ নিম্নে প্রদত্তএকটি বিষয় সবার জানা থাকা খুবই দরকার যে আলমি মাশোয়ারার স্থান হল তিনটি-
টঙ্গী ইজতেমা
রাইবেন্ডের ইজতেমা
প্রতিবছর হজের মৌসুমে মক্কা মদিনা শরীফ
এই তিন জায়গা হওয়াও একটি প্রেক্ষাপট রয়েছে ।
তাহলো এই তিন জায়গায় সারা আলমের জিম্মাদার হযরত আসার সুযোগ পান।
আবার সবাই আসেন। কারণ মুসলিম রাষ্ট্র হওয়ায় ও তাবলীগের সবচেয়ে বড় প্রোগ্রাম বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে হওয়ায় ভিসা একেবারে সহজ ।
অপর দিকে নিজামউদ্দিন এর ভিসা পাওয়া কঠিন।
সেখানে কোন আলমি প্রোগ্রাম হয় না।
পাশাপাশি ভারত রাষ্ট্র হিসেবে অমুসলিম তাই সেখান থেকে মুসলমানদের ভিসার ব্যাপারে কড়াকড়ি করা হয়।
এরকম আরো বহু হেকমতের কারণে মুরুব্বিগণ এই স্থানগুলোকে আলমি মাসোয়ারার স্থান নির্ধারণ করেন ।
যাহোক এটা কোন ব্যাপার নয় ব্যাপার হলো মাসোয়ারা পাকিস্তানে হলে পাকিস্তানি হয়ে যায় কিন্তু আরবে হলে আরবি হয় না ?
বাংলাদেশ হলে বাংলাদেশি হয় না কেন ?
সাদ,ওয়াসিফ, নাসিম সহ অন্যান্যরাও পাকিস্তানের মাসোয়ারায় অংশগ্রহণ করেছেন।
তাই কি তারা পাকিস্তানি হয়ে গেছেন ?
বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম সাদ কে না মানার কারণে যদি হেফাজতি হয়ে যায় তাহলে মাওলানা আহমেদ লাট সাহেব ,মাওলানা ইব্রাহিম সাহেব, মাওলানা ইয়াকুব সাহেব ,মাওলানা শেখ গাসসান , শেখ রাইয়ান ,শেখ ইউনুস বিন তিউনিস সহ সারা আলমের এর মানুষ কি হেফাজত হয়ে গেছে ?
হেফাজতি হলে অসুবিধা কি ? হেফাজত নাস্তিকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে ?
সাদ ভক্তরা কি নাস্তিকদের পক্ষে আন্দোলন করেছে ?
এবার আসুন আসল কথার দিকে, মাওলানা যোবায়েরুল হাসান (রঃ) সাহেবের ইন্তেকালের পর সাদ মাঠ খালি পেয়ে নিজেকে আমির দাবি করেন ।
বিভিন্ন সময় বয়ান, তালিম, ও জোড়ে সরাসরি ইশারা ইঙ্গিতে নিজেকে আমির মানার জন্য সাথীদেরকে দাওয়াত ও উৎসাহ দেন ।
ক্রমে ক্রমে তিনি এর উপর একটি বাহিনী গঠন করেন ।
যারা সর্বদা সাদের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নে তৎপর থাকবে । জায়গায় জায়গায় সাদ কে বিশ্ব আমির বলবে।
এমন একটি ঘটনা আমার সাথে ঘটেছিলো ২০০১ সালে।
২০-২৫ জনের একটি জামায়াত বাংলাওয়ালী মসজিদ এর তৃতীয় তলায় আমাকে ধমকাতে লাগলো।
বলতে লাগলো আপনি বিশ্ব আমিরকে মানেন না।
তখন তো মাওলানা জোবায়েরুল হাসান সাহেব ও জীবিত ছিলেন। আমি বললাম, এখন তো কাজ শুরাই নেজামে চলতেছে।
এরূপ মনে হচ্ছিল যেন, আমাকে তাড়া খেয়ে ফেলবে। এরপর আমি তর্ক বন্ধ করে চুপ হয়ে গেলাম।
এই সফর শেষে যখন আমি মাজাহির উলুমে মাওলানা তালহা বিন শেখ জাকারিয়া কাছে গেলাম ।
তখন তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন “কোথা থেকে এসেছো”।
আমি বললাম “নিজামুদ্দিন”।
তখন আমাকে বললেন “ সাদের কাছে গিয়েছিলে”?
আমি বললাম “হাঁ” ।
তখন তিনি আমাকে বললেন “সাদের কাছে গোমরাহ হতে গিয়েছিলে”?
আমি আগের তর্ক ও শেখ সাহেবের এই কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম এবং মনে মনে ভাবলাম আসলেই নিজামুদ্দিনে একটা কিছু চলছে ।
১৮ আগস্ট ২০১৫ তারিখে ইউপি জোড় শেষে দোয়া ও মুসাফা নিয়ে সাদ ও মাওলানা জোহায়রুল হাসান এর মাঝে কিছু তিক্ততা দেখা দেয়।
যার পর ২০/০৮/২০১৫ তারিখে কয়েকজন জিম্মাদার এর মাঝে সংঘাতের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এই বিষয়টি মীমাংসার জন্য মুহতারাম নেসার সাহেবের নেতৃত্বে বস্তি নিজাম উদ্দিন এর একটি প্রতিনিধি দল ২৩/০৮/২০১৫ তারিখে বাংলাওয়ালী মসজিদে মাসোয়ারায় আসেন।
ওই মজলিসে বিষয়টি নিয়ে কথা শুরু হওয়া মাত্রই শোরগোল সৃষ্টি হয়।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাদ বলেন “আমি আমির ‘’।
উপস্থিত একজন উত্তর দেন “আপনি আমির নন “।
সাদ উত্তর দেন “আপনি যদি না মানেন মানবেন না’’।
উত্তর আসে “আমরা মানি না’’।
তখন সাদ রাগান্বিত কন্ঠে বলেন “না মানলে জাহান্নামে যাও ।
আমি যা ইচ্ছা করব।
আল্লাহর কসম আমি তোমাদের সবার আমির”।
ঘটনার এক পর্যায়ে তারা কোনো সমাধান করতে না পেরে উঠে যান ।
এরপর থেকে মাওলানা সাদ এর সমর্থকরা জনগণের মাঝে ধোকা দিয়ে তাকে আমির প্রমাণ করতে একের পর এক ঘৃণ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে ।
সাদ নিজেও বলতে থাকেন যে “ আমার মতে যে লোক গণ্ডমূর্খ সে একথা বলে যে এখানে কোন আমির নেই ।
এখানে কোন বড়ই নেই।
মিথ্যা কথা, শতভাগ মিথ্যা কথা।”
তিনি নিজেকে আমির ও বড় মনে করেন ।
এই ঘটনার পর পুরনো সাথীরা বারবার মৌখিক আলোচনা ও লিখিত পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা
করেন ।
কিন্তু সাদের কারণে সমাধান হয়নি।
সর্বশেষ আড়াই মাস পর তথা নভেম্বর ২০১৫ রায়বেন্ডে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
এই ইজতেমায় বিশেষভাবে স্থান পায় এহেন পরিস্থিতির বিষয়টি।
তাই সার্বিক বিবেচনায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জিম্মাদার সাথিরা এই কথার উপর একমত হন যে ,মাওলানা এনামুল হাসান (রঃ) রেখে যাওয়া ১০ সদস্যবিশিষ্ট শুরার মাত্র দুইজন বাকি আছে এবং নিজাম উদ্দিন এর পাঁচ সদস্যের শুরার মধ্যে একজন বাকি আছে তা পূরণ করা হবে।
তারপর মুরুব্বী সাথীরা সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দিলে তা বাড়িয়ে ১৩ জনে উন্নীত করা হয়, এর ৫ জন হিন্দুস্তান, ৫ জন পাকিস্তান এবং ৩ জন বাংলাদেশি। শুরার গঠন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর মাওলানা সাদ সাহেবের কাছে দিলে তাকে তাতে স্বাক্ষর করতে বারবার বলা হলেও তিনি তা মানেননি বরং তিনি বলেন কাজ যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে।
এভাবে আলমী শুরার পরামর্শ পাকিস্তানে হয় ।
#মুফতি জিয়াউর রহমান কাসেমী মাযাহেরী
ফাযেলে দারুল উলুম দেওবন্দ ও মাযাহির উলুম সাহারানপুর, ভারত
_______________
"মোটকথা যেহেতু গুমরা সাদ নিজে আমিরত্ব চাননি এবং হননি।
বরং(উলুল আমর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই তাকে(উলুল আমর বানান)দায়িত্ব অর্পণ করেন। আজ উলুল আমরের কর্তৃত্ব তার হাতেই ন্যস্ত।
সারা পৃথিবীতে কোনো বড় বা ছোট ব্যক্তির মধ্যে এই উলুল আমরের সম্পর্ক ও কর্তৃত্ব নেই। সুতরাং যে তার বিরোধিতা করবে সে বিদ্রোহী ও ফেতনা সৃষ্টিকারী হিসেবে গণ্য হবে।
যাকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হবে। পবিত্র শরিয়তে কুরআন-হাদিসের আলোকে বিষয়টি পরিষ্কার।
এবং এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য ইসলামি শাসন ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। …"
সুত্রঃ পৃঃ-১৬, ‘আল ইমারাতু হিয়াস সুন্নাহ’, আবদুল্লাহ মনসুর।
[বিঃদ্রঃ এই বইটির কেবল যদি ভাষা সম্পাদনা করা হয়, তাহলে লাল কালির ভীড়ে কালো কালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। ]
নাসিমের পরামর্শ,
আবদুল্লাহ মনসুরের এলেম,
আর গুমরা সাদের দোয়া...
এই তিন জিনিসের সম্মিলন হল এই কুখ্যাত বইটি।
আবদুল্লাহ মনসুর এই বইটি ২০১৭ সালের ইজতেমার সময় গুমরা সাদের সামনে অপস্থাপন করে।
গুমরা সাদ এই বই দেখে আনন্দে বলে উঠেন, "দেখ এক বাঙালী মাওলানা কি লিখে এনেছে...!
তোমরা এতদিনে কি করলে...!"
9-Mar-2019 12:59 pm