Post# 1552376544

12-Mar-2019 1:42 pm



সা'দ সাহেবের পক্ষে অনেক যুক্তি আছে। আমি নিজেও দেখাতে পারি। ইংরেজিতে কিছু লিখেছিলাম।

আবার বিপক্ষেও অনেক যুক্তি আছে। যেগুলো বাংলায় দিয়েছি।

কিন্তু যুক্তির থেকে বেশি ঝুকে মানুষের অন্তর। অন্তরের ঝোক ৬০%, যুক্তি বাকি ৪০%।

যার অন্তরের ঝোক যে দিকে। এটা যুক্তি দিয়ে স্থায়ি ভাবে পরিবর্তিত হয় না। কিছু দিন সামান্য অন্য দিকে ঝুকতে পারে, কিন্তু আবার যেদিকে যার অন্তর টানে, সে সেই দিকে ঝুকে পড়বে।


আরো সাধারন ভাবে দেখলে অন্তরের এই ঝোকের কথা সৃষ্টির প্রথমেই মানুষের মাঝে দিয়ে দেয়ার কথা আছে। কারো ঝোক জান্নাতের দিকে কারো জাহান্নামের দিকে। সৃষ্টির সময়ই। যার জাহান্নামের দিকে সে জীবনে প্রচুর নেক আমল করতে পারে। কিন্তু নিশ্চিৎ জান্নাতি হবার আগে তার অন্তরের ঝোক চলে যাবে জাহান্নামের দিকে। সে খারাপ পথে গিয়ে সেই অবস্থায় তার মৃত্যু হবে।


কিছু জিনিস আমরা পরিবর্তন করতে পারি না। কিন্তু যতটুকু পারি ততটুকুর মাঝে বুঝার চেষ্টা আমার গতি কোন দিকে?

ভুল দলে গেলে ক্ষতি কি? যদি আমি অন্য মুসলিমদের উপর আঘাত না হানি? কারো ক্ষতি না করি? আভ্যন্তরিন দ্বন্ধে নিউট্রাল অবস্থান নেই?

এর পরও এর বড় ক্ষতি : প্রচুর পরিশ্রম করে আমি অল্প সোয়াব পাবো। কত কম পাবো সেটা নির্ভর করে সিরাতিল মুসতাকিম থেকে আমি কত দূর সরে যাচ্ছি তার উপর।

এজন্য সঠিক পথ চেনার চেষ্টা।

    Comments:
  • এটা অন্তরের ঝোক। সময়ের সাথে যে যার দিকে সরে যাবে বাধা থাকলেও। প্রতিকুলতার মাঝে হয়তো একটু সময় নিয়ে।

    এর পরও প্রশ্ন রয়ে যায় : যেটা ৩ নম্বর পয়েন্টে বলেছি। যেটা কংক্লুসিভলি জানার কোনো উপায় নেই।

  • সোয়াবের পার্থক্য আছে। অনেক আমল করে স্বল্প সোয়াব যদি সোজা পথ চলার বদলে একটা এংগেলে চলে।
  • অর্থাৎ যে যেই দাওয়াহতে সবচেয়ে বেশি একসপোজড হয়, সে সেই দাওয়াহ ফলো করে। তাই দেখতে হবে কাকে আমি বন্ধু বানাচ্ছি। কারন মানুষ তার বন্ধুর দ্বিনের উপর থাকে -- এরকম একটা হাদিস।

12-Mar-2019 1:42 pm

Published
12-Mar-2019