Post# 1552699254

16-Mar-2019 7:20 am


মেদ-ভুড়ি - ২

- ঈসা আঃ বলতেন : তোমরা নিজেদের বস্ত্রহীণ ক্ষুধার্ত রাখো। তবে অন্তরে আল্লাহর দেখা পাবে।

হাদিসের কথা :

- রক্তের মতো শয়তানও মানুষের শিরা দিয়ে চলে। ক্ষুধা দিয়ে তোমরা তার পথ সরু করে দাও।

- মু'মিন খায় এক পেটে মুনাফিক সাত পেটে।

আয়শা রা: কে রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন :

"বেহেস্তের দরজায় সবসময় ধাক্কা দিতে থাকো। তবে দরজা খুলবে।"
"ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ , কি করে ধাক্কা দিবো?
"ক্ষুধা দ্বারা।"

হুজাইফা রা: একবার রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সামনে ঢেকুর তুললে উনি বলেন : এই ঢেকুর দূর করো, কারন যে দুনিয়াতে তৃপ্তির সাথে খাবে আখিরাতে সে ক্ষুধার্ত থাকবে।

আয়শা রা: বলেন : রাসুলুল্লাহ ﷺ কখনো তৃপ্তির সাথে খান নি। কখনো উনার অনেক ক্ষুধা হলে আমি উনার পেটে হাত বুলাতাম। আর বলতাম,

"আমার সব কিছু আপনার জন্য কোরবান হোক। যতটুকু খেলে ক্ষুধায় কষ্ট পেতে হয় না, ততটুকু খেতে কি নিষেধ আছে?"

উনি জবাব দিতেন : "হে আয়শা। আমার আগের নবিগন আমার ভাই। উনারা আল্লার কাছে শ্রেষ্ঠত্বে পৌছেছেন। আমি তৃপ্তির সাথে খেলে আমার মর্যাদা তাদের থেকে কম হয় কিনা আমি সেই ভয় করি। তৃপ্তির সাথে খেয়ে আখিরাতে মর্যাদা কমানো থেকে এই ক্ষুধা আমার কাছে বেশি প্রিয়। আর সবচেয়ে প্রিয় হলো আমার ভাইদের কাছে পৌছবো।"

আয়শা রা: বলেন এই কথা বলার ১ সপ্তাহ পর রাসুলুল্লাহ ﷺ এর ওফাত হয়।

হযরত ফাতিমা রা: একবার একটা রুটি তৈরি করে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এসে বলেন "আমি রুটি তৈরি করেছি। আপনাকে না দিয়ে খেতে চাচ্ছিলাম না।"

উনি ﷺ বললেন "তিন দিন পর এই রুটি তোমার পিতার পেটে প্রবেশ করবে।"

[ গাজ্জালির কিমিয়ায়ে সাদাত থেকে নেয়া ]

    Comments:
  • -

16-Mar-2019 7:20 am

Published
16-Mar-2019