Post# 1552577143

14-Mar-2019 9:25 pm


#ব্যবসা

"বেতন না নিয়ে আলেমদের উচিৎ ব্যবসা করা"
"ইমাম মসজিদে নামাজ পড়াবে, পাশের মার্কেটে দোকান চালাবে"

কথাগুলোতে আবেগ আছে, কিন্তু বাস্তবে কিছু দিন চালালে বুঝা যাবে এগুলো প্রেকটিক্যেল না।


ব্যবসায় সবাই লাভ করে না। ১০ জন যারা দোকান খুলে তাদের মাঝে ১ জন লাভ করে। বাকিরা ১ বছরে পুজি হারিয়ে ২ বছরের মাঝে বিশাল ঋন রেখে পালায়।


যে ইমাম পাশে দোকানদারি করবে, তার পুজি কে দেবে? নিজের পুজি যখন লস দিবে নতুন পুজির যোগান কে দেবে? এভাবে কয়বার করে দিতে থাকবে প্রতি বার লস দেবার পরে?


যদি বলেন "দোকান থাকবে মসজিদ কমিটির। ইমাম দোকান চালায় বলে বেতন নিবে। তবেই হলো।" তখন কমিটির খরচ হবে এইরকম :

ইমামের বেতন ধরেন ১০ হাজার + প্রতিমাসে দোকানের লস পূরন আরো ১৫ হাজার = মোট ২৫ হাজার টাকা।

যেখানে ইমামকে সরাসরি বেতন দিলে ১০ হাজারেই হতো।

কিছুদিন পরে হয়তো তারা তাই করবে। অথবা খালি দোকানে ইমামকে বসিয়ে বলবে "আপনার কিছু বিক্রি করার দরকার নেই, লস খাবেন। খালি দোকানে বসেন। আমরা ধরে নেবো আপনি যে দোকানদারি করছেন এর উপর বেতন।"

বেতন কে "হিল্লা" করার নতুন এক উপায় বের করা হলো। এর পরও দোকান ভাড়াটা লস।


হানাফি মাজহাবে যে হুকুমগুলো এসেছে এগুলো এসেছে একটা কারনে। এই প্রেকটিক্যল সমস্যাগুলো দেখে, সয়ে, উপলব্ধি করে এর পর ইজমা।


"মধ্যপ্রাচ্যের আলেমরা মুসুল্লিদের থেকে টাকা না নিয়ে কাজ করতে পারলে দেওবন্দি আলেমরা পারবে না কেন?"

মধ্যপ্রাচ্যে সরকার থেকে আলেমদের বেতন দেয়া হয়। সরকারের অনেক টাকা আছে বলে।

14-Mar-2019 9:25 pm

Published
14-Mar-2019