১
গল্প: হটাৎ করে এক অপরিচিত সাধারন ব্যক্তিকে বলা হলো সে আসলে স্পেশাল একজন, যার কথা প্রফেজাইজড করা হয়েছিলো অনেক আগে। এখন পৃথিবী ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে। তার কাজ হলো সময় শেষ হয়ে যাবার আগে মানুষদের রক্ষা করা।
এই থিম ব্যবহার করে বহু গল্প কাহিনী লিখা হয়েছে। তবে সবগুলোই মিথ্যা। বানোয়াট কাহিনী।
২
তবে ইতিহাসে সর্বশেষ এই ঘটনা সত্য সত্য ঘটেছিলো রাসুলুল্লাহ ﷺ এর জীবনে। যাকে হটাৎ করেই জানানো হয় উনি প্রফেসাইজড একজন যার কথা তাওরাত যবুরে বলা হয়েছিলো। পৃথিবীর সব মানুষ আগুনের দিকে ছুটছে। উনার দায়িত্ব তাদের রক্ষা করা।
৩
এর পর উনি সেলফ লেস হয়ে যান। যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেটা পালন করতে থাকেন। জীবনে আনন্দ খুব কম সময়েই করেছেন।
শেষ পর্যন্ত উনি উনার দায়িত্ব পূর্ন করেন। খুব অল্প সময়ের মাঝে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের রসুলের উপর অসংখ্য সালাত সালাম পাঠান।
৪
মক্কার ১৩ বছর উনি কষ্টে কাটান। এর পর হিজরতের পর প্রথম বছর মদিনার পানি ও নতুন আবহাওয়াতে রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।
উনার ﷺ প্রথম বিজয়ের আনন্দ ছিলো বদরের যুদ্ধের বিজয়। হিজরতের ২য় বছরে। তবে সে আনন্দ মাত্র ১ বছর থাকে। পরের বছর ওহুদের পরাজয় পর্যন্ত। এর উপর ছয় মাস পরে আবার বীর মাউনাতে ৭০ জন ক্বারী সাহাবীকে মিথ্যা কথা বলে ডেকে নিয়ে কতল।
মক্কা বিজয় পর্যন্ত উনাকে ﷺ আল্লাহ তায়ালা বিশাল কোনো বিজয় দেন নি। তবে ইসলামকে প্রচার করে দেন ভেতর ভেতর, আস্তে আস্তে, দিকে দিকে, দলে দলে।
৫
মক্কা বিজয়ের সময়ও উনি ﷺ উট বা ঘোড়া চড়ে বীর দর্পে ঢুকেন না। বরং গাধায় চড়ে শহরে প্রবেশ করেন। মাথা সামনে এত নিচু করে যেন মাথা গাধার পিঠের সাথে লেগে যাবে।
এই বিজয়ের আনন্দের মাঝেও আল্লাহ তায়ালা উনাকে ﷺ বেশি দিন রাখেন নি। উনাকে তুলে নেন এর দুই বছরের মাথায়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের নবির উপর অসংখ্যা সালাত সালম পাঠান।
৬
উনার ﷺ কাজ উনি পূর্ন করেন। তবে বাদশাহ হিসাবে না, আল্লাহর দাস হিসাবে। দাস হিসাবেই চলেছেন, দাস হিসাবেই থেকেছেন।
উনাকে অপশন দেয়া হয়েছিলো বাদশাহীর। তবে উনি বাদশাহীর বদলে আল্লাহকেই বেছে নেন।
এই না যে উনি বিশাল সম্পত্তি করে গিয়েছিলেন। উনার উত্তরাধিকারি নিয়ে যখন কথা চলছিলো তখন উনার সম্পত্তির দাবিদার আলী রা: বলেছিলেন সেটা ছিলো মাত্র পাচটা জিনিষ, একটা ঢাল, উনার জোব্বা, একটা পাত্র এসব।
এই না যে উনি হাদিয়া পেতেন না। কিন্তু যে দিন যা পেতেন সে দিনই সেটা আবার অন্য কাউকে দান করে দিতেন।
৭
প্রস্থানের পরও উনি এই যুগেও উনার উম্মাহর ব্যপারে খোজ নেন। হাশরের ময়দানে উনি ﷺ আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবেন। হাউজে দাড়িয়ে মুসলিমদের পানি পান করাবেন। জাহান্নামিদের জন্য শাফায়াত করতে থাকবেন।
উনার কষ্টের শেষ উনার জান্নাতে প্রবেশের পর। যেটা আরম্ভ হয়েছিলো সেই নবুয়ত পাবার দিন থেকে।
উনার উপর, উনার সমস্ত উম্মাহর পক্ষ থেকে অসংখ্য সালাত সালাম।
- Comments:
- এই জিনিসটা তাদের সাইটে ফিক্স করে একটা ভেরিফিকেশন দেয়া ৫ মিনিটের কাজ ছিলো। তাহলে মানুষের ভোগান্তি কমতো।
- :-)