মাজহাবগত পার্থক্য - ১৮ : বন্ধুত্ব ও শত্রুতা
১
সালাফিদের মাঝে আল-ওআলা ওয়াল বারাআ হানাফিদের থেকে অনেক বেশি কঠোর।
২
সালাফি মতে একজন মুসলিমের,
দ্বিনের কোনো স্বার্থ থাকলে সেটা এক্সেপশন।
https://islamqa.info/en/59879
৩
হানাফি মাজহাবে এ ধরনের কোনো নিষেধ নেই। নরমাল চলাফেরা কথা বা্র্তায় নিষেধ নেই।
তবে তাদের কালচার ফলো করা যাবে না। ধর্মিয় অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া যাবে না। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞাগুলো সবসময় প্রযোজ্য।
http://www.alkawsar.com/issue/2016/09/section/question-answer?page=6
৪
এ কারনে ২০০০ এর আগে সৌদি ছাত্র যারা ইউরোপ-আমেরিকাতে উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতো তারা আমেরিকানদের সাথে মিশতো না, বা কথা বলতো না।
তবে এই নিষেধাজ্ঞাটা হানাফি কোনো আলেমের কাছ থেকে আমি শুনি নি।
৫
এবং সালাফি/মানহাজী ধারা এই নিষেধাজ্ঞাকে ঈমান ও কুফর এর পর্থক্যকারি হিসাবে গন্য করে। অর্থাৎ কাফেরদের সাথে কোনো মুসলিম বন্ধুত্ব রাখলে সেও কাফের।
এর উপর ভিত্তি করে সৌদি সরকার তাদের মতে কাফের কারন সৌদি সরকার আমেরিকানদের সাথে বন্ধুত্ব রাখে।
আল ওআলা ওয়াল বারআ তাদের কাছে ঈমানের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন একটা পয়েন্ট। যেখানে কমপ্রমাইজ বা তর্ক চলে না।
#HabibDiff
- Comments:
- হানাফি ফতোয়ার রেফারেন্স দেযা আছে স্টেটাসে।
- most definitely. এজন্য মূলধারাটা লিখছি। অধিকাংশের মত যেটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।
- FAQ:
- "সালাফিরা সৌদি সরকারকে কাফের বলবে কেন?"
এই খানে লিখেছিলাম সালাফিদের মাঝের ধারাগুলো এবং কোন ধারা সৌদি সরকারকে কাফের বলে সেটা।
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10154398112803176- "মূলধারা মানে মূলধারা না"
মূলধারার কে তার উপর ভিন্ন ভিন্ন ব্যখ্যাগুলো পরে লিখবো ইনশাল্লাহ। - নিঃসন্দেহে। তবে কোনটা বলেন না সেই পার্থক্য শুধু উপরে লিখেছি।
- হাম্বলি আর সালাফিদের শরিয়ার মাঝে আমি পার্থক্য করতে পারি না বলে সৌদি সরকারি মতগুলোকে আমি সালাফি নামে দিচ্ছি। হাম্বলি নামে না দিয়ে।
- এটা ব্যন collateral damage হিসাবে। সৌদি সরকারি ফতোয়া এর সাথে disagree করে সে জন্য না। এর উপর পরে লিখবো ইনশাল্লাহ।
- ১ নং পয়েন্টটা এডিট করে দিয়েছি। এটা নিয়ে সবার আপত্তি ছিলো। এখন আপত্তিগুলো সমাধান হয়ে যাবার কথা। অন্য কোথাও কারো আপত্তি থাকলে জানাতে পারেন।
আমি ওপেন।