মাজহাবগত মতপার্থক্য - ১৪ : হানাফিদের মাঝে
১
বেরলভী:
দেওবন্দিদের সাথে আকিদাগত পার্থক্য।
বেরলভিরা বিশ্বাস করে:
১। নূরে মুহাম্মদি : রাসুলুল্লাহ ﷺ এর দেহ মুবারক আমাদের মত মাটি না বরং নূর দ্বারা তৈরি ছিলো। উচু লেভেলে বিশ্বাস: এই নূর হলো আল্লাহর জাতী নূর।
২। হাজির নাজির : রাসুলুল্লাহ ﷺ মহাবিশ্বের সর্বত্র একই সময়ে উপস্থিত আছেন ও সবকিছু দেখছেন।
৩। আলিমুল গাইব : অদৃশ্যের সবকিছু আল্লাহ তায়ালা রাসুলুল্লাহ ﷺ কে সৃষ্টির প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছিলেন।
এই বিশ্বাসগুলো দেওবন্দি এবং সৌদি আলেমদের বিশ্বাসের সাথে মিলে না। তাই বেরলভিদের মতে দেওবন্দি এবং সালাফিরা কাফের।
২
"মোহাম্মদি ইসলাম" বনাম "এজিদি ইসলাম" এটা একটা বড় টপিক।
বেরলভিদের অধিকাংশের মতে ইসলাম কারবালার মাঠে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। সরকারী ভাবে তখন যে ইসলাম প্রচার হচ্ছিলো সেটা ছিলো এজিদি ইসলাম। এবং আহলে বাইতের সদস্যগন [আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর সালাম পাঠান] দ্বারা সঠিক ইসলাম "মুহাম্মদি ইসলাম" মেইনটেইন্ড করা হয়েছে।
তাদের লেকচারে এই পয়েন্টটা প্রায়ই আসে এবং এজিদের পক্ষে কোনো কথাকে আক্রমন করা হয়, বা কাউকে এজিদ পন্থি প্রমান করা হয়।
৩
এর বাইরে আরেকটা ধারা আছে "মাইজভান্ডারী"। তবে তাদের আমি হানাফিদের মাঝে ধরছি না, কারন তারা সাধারনতঃ নামাজ পড়ে না, এবং নিজেদের অনেক সময়ে চার মাজহাবের অনুসারী দাবী করে। তাদের সাথে শিয়াদের আকিদা বিশ্বাসের অনেক মিল আমি পেয়েছি। যদিও তারা নিজেদের শুধুমাত্র "ছুন্নি" পরিচয় দেয়।
৪
আমলের দিক থেকে বেরলভিদের সাথে অন্যদের পার্থক্য:
১। মিলাদ পড়া।
বেলরভী : সুন্নাহ বা ওয়াজিব। এবং এটা দুরুদের মত।
অন্যরা : বিদআত। এবং দুরুদ ও মিলাদ আলাদা দুই জিনিস।
২। পীরদের মাজারে গিয়ে উপকার নেয়া।
বেরলভী : করা হয়, এবং মাজারে শায়িত পীর রুহানী ফায়েজ পাঠাতে পারেন, বা অন্য কোনো দোয়া কবুলের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন বিশ্বাস করা হয়।
অন্যান্য : করা যায় না। সালাফিদের মতে এটা শিরক।
৩। পীরের মর্যাদা।
বেরলভী :
দেওবন্দি: পীরকে একজন গাইড হিসাবে ধরা হয়।
সালাফি: পীর মুরিদির পুরো বিষয়টাকে বিদআহ ধরা হয়।
#HabibDiff
পরবর্তি খন্ডে : শিয়া, এবং তাদের ব্যপারে ফতোয়া।
- Comments:
- Factual mistake থাকলে correct করে দিলে খুশি হবো।
তবে পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি দেখানো আমার এই সিরিজের কোনো পোষ্টের উদ্যেশ্য না। - ডিগ্রেটরি টার্মগুলো এভয়েড করছি। সব পক্ষের জন্য।
- বেশি সুক্ষ্ম এবং ডিটেলস হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টাকে বোল্ড করে সামারাইজড করতে হবে। এটা কিভাবে করবো চিন্তা করে দেখছি।
- ভাই আমি মডারেট বেরলভীদের কথা লিখেছি। আপনি তো এক্সট্রিমিস্ট বেরলভীদের কথা নিয়ে আসলেন :-)
- দেওবন্দিদের মূলধারা ধরেছি। বেরলভি আলেমদের মাঝে অনেক আছে যারা দেওবন্দ থেকে পাশ করা। তবে তাদের মত দেওবন্দি আলেমদের মূলধারার মত না। এবং তারা দাবি করে তারা "আদি দেওবন্দি" অনুসরন করছে। "বর্তমান দেওবন্দিরা পথভ্রষ্ট" বা "হাটহাজারি মাদ্রাসা দেওবন্দি আইডিওলজির উপর চলছে না" -- এরসব।
এক্সেপশন আছে। মূলধারা হলো কোনো গ্রুপের মত।
- সমস্যা নেই।
- উস্তাদের সাথে তর্কে পারবো না। স্টেটাস বড় না করে কি মুছে কি লিখতে বলবেন? এবং এটা কিভাবে লিখতে বলবেন যেন কেউ অফেন্ডেড না হয়? বলে দিলে করে দিবো ইনশাল্লাহ।