বয়সের সাথে সাথে ভালো মন্দের বোধ আর তর্ক।
১০ বছর : Ask
বড় কেউকে জিজ্ঞাসা করে "সে ভালো নাকি খারাপ?" উত্তর "খারাপ।" অকে, এর পর টিভিতে ডিসুম ডুসুমে কাকে সাপোর্ট করবে সে এখন জানে।
২০ বছর : Explore
পৃথিবীটা ব্লেক এন্ড হোয়াইট। কে হক আর না-হক খুজার সময়। অনেক প্রশ্ন অনেক তর্ক। তবে এর উদ্দ্যেশ্য থাকে বুঝা কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ। এই অনুসন্ধানে তার গাইড হয় তার দ্বিনি বড় ভাই।
- ডিসিশন রেপিডলি পরিবর্তিত হতে পারে। হলে তার আগের গাইডদের মনে করতে থাকে ইভিল, "তারা তো আমাকে পথভ্রষ্ট করতে লেগেছিলো।"
- বয়স্ক যারা সরাসরি বলে না "সে ভালো, সে মন্দ" তাদেরকে মনে হয় দুই মুখি। দুই দিকেই ভালো থাকতে চায়।
- বড়রা তর্ক করতে চায় না কারন, "তারা জানে কম" : -)
৩০ বছর : Decided
তার পথ সে বের করে নিয়েছে। এর বাইরে আর যারা আছে সবাই পথভ্রষ্ট। তার ডেফিনিশনে সে পথটাকে রাখে সংকীর্ন। খুব বেশি মানুষ ঐ পথে থাকে না, অল্প লোকই হক।
এখনও সে প্রচুর তর্ক করে। তবে এটা হয়
৪০ বছর : Gray zoned
বুঝে যাদের সে ১০০% ভালো মনে করতো, তারা কেউ আসলে অত ভালো না।
আবার যাদেরকে সে ১০০% খারাপ মনে করতো তারা কেউ অত খারাপ ছিলো না।
পারত পক্ষে এখন সে তর্ক করে কম। তবে নিজ মত-পথের পক্ষে কথা বলে, তর্ক এড়িয়ে।
৫০ বছর : Respect all
নিজের প্রতিপক্ষকে সম্মান করে, যদিও মতভেদ থাকে। ইয়ং কেউ তর্ক করতে আসলে হেসে কাটিয়ে দেয়।
এ সময়ে দেখা যায় দুই ভিন্ন মতের শায়েখ পাশা পাশি বসে খুব সম্মানের সাথে কথা বলছে, যদিও তাদের ইয়ং অনুসারিরা মারা মারি করছে।
ভালো মন্দ সব কিছুর পেছনে কারন দেখতে পারে, প্রয়োজন বুঝতে পারে। এবং অধিকাংশ সময় সে দেখতে পারে : স্রষ্টার সৃষ্টিতে ভুল নেই।
৬০ বছর :
কি হয় জানা নেই। : -)
- Comments:
- মাহমুদুর রহমান চাচার থেকে আমি অরো ৫ বছর বড়। সে হিসাবে দাদা।
- প্রায়।
- ৪৭
- একটা কষ্টের সময় সবার জীবনে থাকে। আগে হোক বা পরে।
- ফিতনার সময় আল্লাহ তায়ালা সোয়াবও বাড়িয়ে দেন। কিয়ামতের আগে যে শুধু লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়বে, অর্থ জানে না, আল্লাহ আছে তাও জানে না, কিন্তু বাপ দাদাদের পড়তে শুনেছে, সে মুক্তি পাবে।