Post# 1488539813

3-Mar-2017 5:16 pm


প্রসংগ : সুন্নাহ


সে প্রশ্ন করলো, "কিন্তু খৃষ্টানদের সাথে আমার হাশর হবে কেন?
আমি তো মুসলিম ছিলাম!
সুন্নাহর উপর চলতাম।"


হিসাব করতে বসলো কি কি খৃষ্টানদের মত করছে।

খৃষ্টানরা চাকরি করে প্লেনে চড়ে।
সেও চাকরি করে প্লেনে চড়ে।

তবে এগুলো খৃষ্টানদের অনুকরন না, কারন এই কাজগুলোর ভিন্ন কোনো ইসলামি রীতি নেই।

যে কাজগুলো মুসলিম আর খৃষ্টানরা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে করে তার লিষ্ট:

- পোষাক। মুসলিমদের ভিন্ন পোষাক প্রচলিত আছে। তবে সে খৃষ্টানদের পোষাক পড়ে।

- খাবার। খৃষ্টানরা টেবিল চেয়ারে বসে খাবার খায়। মুসলিমদের কালচার যুগ যুগ ধরে ছিলো ফ্লোরে কাপড় বিছিয়ে খাওয়া।

- এথিকস লাইফ লেসনস। সে হিসাব করে দেখলো এর ৮০% খৃষ্টানদের থেকে শিখছে।

তবে অন্তরের গহীনে কি সে খৃষ্টানদের কালচারকে মুসলিমদের থেকে বেশি ভালোবাসছে?


ওস্তাদের সাথে কথা,
: কিন্তু এগুলোতো সুন্নাহ। এর মাঝে যা জরুরী সেগুলো উলামারা ওয়াজিব করেছেন। আর যা নিষেধ, সেগুলো মাকরুহ করেছেন।

: ঠিক।

: এর অনেক কিছু ছিলো আরব দেশের কালচার।

: ঠিক।

: পায়জামা পাঞ্জাবিও কোনো সুন্নাহ পোশাক না। এটা সমাজের প্রচলিত রীতি যেটা মানুষ সুন্নাহ বানিয়ে নিয়েছে।

: তাও ঠিক। তবে হাদিস থেকে প্রমানিত মুসলিমদের পোষাকের নিয়মগুলো জানো?

: শুধু দুটো। কাপড় পায়ের গোড়ালির উপরে থাকতে হবে। আর পোষাক অমুসলিমদের মত হতে পারবে না।

: 'অমুসলিমদের মত হতে পারবে না' এই পয়েন্টে তোমার বাকি উত্তরগুলো আছে।


রাসুলুল্লাহ ﷺ বলে গিয়েছেন, চাদর গায়ে দিয়ে হাত ভেতরে গুটিয়ে না রাখার জন্য। ইহুদিদের মত হয় বলে।

মোচ ছোট করতে দাড়ি লম্বা করতে। নচেৎ অগ্নি পুজারিদের মত হয় বলে।

মুহাররমে ১ দিনের বদলে ২ দিন রোজা রাখতে। ইহুদিদের ব্যতিক্রম করার জন্য।

উনি ﷺ জীবনে কখনো ছোট পায়ের টেবিলের উপর খাবার রেখে খান নি। যদিও তখন সেই টেবিল ছিলো।

আমি বলছি না সব কিছু উনার মত করতে হবে, নয়তো গুনাহ হবে।
তবে উনি বলে দিয়ে গিয়েছেন মুশরিকদের থেকে নিজেকে পৃথক করতে।
তাদের মত না করতে।
এবং শেষ যুগে মুসলিমরা সবাই খৃষ্টানদের অনুকরন করবে।

তাই,
যদি একই জিনিস মুসলিমরা এক ভাবে করে আবার খৃষ্টানরা ভিন্ন ভাবে করে দেখো -
তবে তুমি মুসলিমদের মত করে কর। এটা তোমার সাথে তাদের পার্থক্য।

হোক সেটা সুন্নাহ,
বা হোক শুধু কালচার।


"কিন্তু আমার ফেলিমি পারমিশন দেবে না। আব্বা রাগ করবেন।"

তবে করো না। তোমার আব্বার মন মত চলো। যত দিন উনি আছেন। এটাই তোমার উপর হুকুম। এখানে তোমার দায়িত্ব নেই। দায়িত্ব উনার।

তবে একসময় উনি তোমার সাথে থাকবেন না।
হয়তো তুমি আলাদা হবে, বা হয়তো উনি আলদা হবেন।

সে সময়ে মুসলিমদের মত চল। যত ছোট খাটো জিনিস নিয়ে হোক না কেন।

"আর অফিসেও ড্রেস পড়ে যেতে হয়।"

তবে পড়। এর পর বাকি সময়টা পায়জামা পাঞ্জাবি পড়া প্রেকটিশ কর।

বাড়া বাড়ি করো না।


"আর কিছু?"

"খৃষ্টানদের থেকে এথিকস, লাইফ লেসন, এবং ভালো ভালো জিনিস শিখা তোমাকে বন্ধ করতে হবে। মুসলিম আর ইসলামের শিক্ষাকে এর বদলে বেশি পছন্দ করতে হবে।"

"কিন্তু ধর্মিয় কিছু তাদের থেকে শিখছি না। শুধু ভালো ভালো জীবন শিক্ষা নিয়েছি। এবং বহু উপকারও পেয়েছি।"

"তার পরও।"

"সব ছাড়তে হবে?"

"সব।"

"এগুলো বহু বছরের শিক্ষা। শিরায় উপশিরায় গেথে আছে।
আমি জানি না কত গভীর পর্যন্ত।"

"তুমি পারবে ইনশাল্লাহ। সময় আছে।"

    Comments:
  • বড় কোনো সমস্যা নেই। উপরে একটা পথ দেখানো হয়েছে। খুব ডিটেলস কিছু না বলে।
  • depends on whom you ask.
  • that was the point.
  • এখন শুধু ফেইস বুকে পোষ্ট করছি। এক পারা হয়ে গেলে ইনশাল্লাহ কালেক্ট করে একসাথে কোনো সাইটে দেবো।

3-Mar-2017 5:16 pm

Published
3-Mar-2017