প্রসংগ : বার্ধক্য
১
: এই লোক বার্ধক্যের শেষ প্রান্তে চলে এসেছে। দ্বিনের জন্য সে কি করতে পারবে? হজ্জে যাবার মত শক্তি নেই। মুরজিয়া-খাওয়ারিজের পার্থক্য বুজার মতও বোধ নেই।
: প্রশ্ন এই না সে দ্বিনের জন্য কি করবে। প্রশ্ন সে কি করে এসেছে? সে এখন মূলতঃ তার রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করছে।
: তবে আমি এখনো ইয়ং। সুযোগ আছে। : -)
: রাইট। কিন্তু তুমি যদি মনে কর প্রতিদিনের রেগুলার আমলের বেশি মূল্য নেই, কারন পরে তুমি বড় কোনো নেক আমল করবে যা দ্বারা সবার চেয়ে এগিয়ে যাবে। তবে তুমিও ভুল পথে আছো।
: হু? তাই তো করতে হবে! নরমাল আমল দিয়ে তো জান্নাতে যাওয়া যাবে না।
২
চিন্তা করে দেখো: ঐ বৃদ্ধও যদি এই ধারনা করতো যে দৈন্দিন নামাজ-রোজা-তিলওয়াত দ্বারা জান্নাতে যাওয়া যাবে না। তবে সে এগুলো খুব কম করতো।
সে যদি মনে করতো গুনাহ "ইনশাল্লাহ মাফ হয়ে যাবে"। তবে ছোট ছোট গুনাহতে সারা জীবন লিপ্ত হয়ে থাকতো।
এর পর বয়সের এই প্রান্তে এসে আবিষ্কার করতো জীবনে নেক কাজ খুব বেশি নেই। বরং গুনাহ বেশি।
তোমার চারদিকে হাজারো বৃদ্ধদের দিকে তাকিয়ে দেখো: বিশাল একটা নেক কাজের সুযোগ তাদের কারো জীবনে আসে নি। বার্ধক্য পর্যন্ত।
এ কারনে প্রতিদিনের আমলে মনোযোগ দাও।
প্রতিদিনের গুনাহ থেকে বেচে থাকা
এটাই মূল সঞ্চয়।
- Comments:
- আগে দেখতাম ফেসবুকিস্টরা পাল্টা প্রশ্ন করতো, "সগিরা গুনাহর একটা উদাহরন দেন তো?" implying ছোট গুনাহ বলে কিছু নেই।
- বলতে চাচ্ছিলাম, মাজহাবগত পার্থক্য আছে।
সহজ উত্তর হলো : হানাফি মতে কবিরা গুনাহ তৌবা ছাড়া মাফ হয় না। - তাইলে জিগাইলেন ক্যা?
- দিছিলেন আরেকটু হলে ফাদে ফেলে। এই জন্য এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেই না।