It's easy to criticize the driver. But it's different when you are on the driver's seat.
Asia bibi case will most likely get worse over time. Everything he does to counter it will only increase protesters energy. To the point of turning the whole state dysfunctional.
Lets see how he handles that. Or where it ends up to.
The upcoming days will be interesting.
মনে পড়ে এক সৌদিকে হত্যার জন্য ৭ বাংগালিকে ফাসি দেয়া হয়েছিলো। আমাদের চেতনাপন্থিরা উচ্চকন্ঠ হয়ে যায়। কিছু দিন পরে খবর ১ জন ইন্ডিয়ান হত্যার জন্য ৭ জন সৌদির ফাসি।
আরবদের প্রশ্ন : খাসোগির জন্যও কি তাই হবে?
২
পুরো মধ্যপ্রাচ্যে বৃষ্টি পড়ছে ইদানিং অনেক বেশি। একটা হাদিসে আছে "মক্কার রাস্তায় যখন দেখবে পানি প্রবাহিত হচ্ছে..." হাদিসটার কথা মনে পড়ে।
মক্কা মদিনা আমিরাতের রাস্তা ঘাট সব প্লাবিত। এর ভিডিও ফেসবুকে। মানুষ ভেসে যাচ্ছে।
৩
দেশে চলছে আরেক ড্রামা। যেখানে পলিটিশিয়ানরা খর কুটু ধরে ভাসার চেষ্টা করছে। তাদের ডুবার স্টাইল দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। আবারো।
তবলিগের অনুসারিদেরকে ডঃ জাকির নায়েকের সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করতে দেখেছি। একেবারে arch nemesis.
যতক্ষন না দেখলাম মাওলানা সা'দ সাহেব [হাফি] এর নেতৃত্বে তাদেরকেও একই পথের সমান্তরাল হয়ে যেতে।
শিক্ষা? বিরোধিতা কম করতে হবে। সঠিকটা খুজার দায়িত্ব আমার।
২
হেলোইন আর খৃষ্টামাস খৃষ্টানদের অংগনে দুই মেরুর দুটো উৎসব। একটা শয়তানকে নিয়ে অন্যটা তাদের নবীকে নিয়ে। তারিখ oct 31 ও dec 25. ইন্টারেস্টইংলি octal 31 আর decimal 25 দুটো সমান।
প্রোগ্রামাররা কনফিউশনে পড়ে যায়।
৩
oct 31 আর dec 25 নিয়ে আমি কনফিউশনে পড়ি না।
may 5 আর nov 5 নিয়ে পড়ি।
দুটোর সাথেই ৫ আছে বলে।
১
মনে করেন দিলাম।
"রেফারেন্স? কোন কিতাবে আছে?"
দিলাম।
"এটা কি সহি?"
ব্যখ্যা করলাম এটা কতটুকু সহি বা সন্দেহ আছে। সন্দেহ যোগ্য হলে কোট করলে সমস্যা আছে কিনা নেই। কোন কোন দলের সমস্যা আছে কোন দলের সমস্যা নেই।
"হাদিসটা বুঝতে পারছি না। একটু যদি ব্যখ্যা করতেন।"
ব্যখ্যা করলাম।
"কিন্তু এটা তো ঐ সময়ে হয়েছে। এর সাথে সেটা মিলান কি করে?"
ব্যখ্যা করলাম আমি কি চিন্তা করি।
"এই সব বিষয়ে আমি খুবই ইন্টারেষ্টেড। একটু খোলাসা করে যদি সব বলতেন।"
খোলাসা করে সব বলা আরম্ভ করলাম।
আশে পাশে থেকে বহু ফলোয়ার জুড়ে গেলো। ইন্টারেষ্টিং বিষয় যেহেতু।
ফলোয়ারদের বড় ভাইরা গেলো ক্ষেপে। বড় ভাইরা আসলো আমার আইডিতে। "আমার মুখোশ উন্মোচন" করার জন্য।
তাদের হট্টগোলো শুনে, ট্যগ ফলো করে আরো ফলোয়ার। আরো তর্ক। ফোরামে ফোরামে আলোচনা। গ্রুপিং লবিং।
২
আচ্ছা, এত কেওয়াস কেন লাগলো ভাই?
আপনি একটা হাদিসের শুধু হিন্টস এ খুশি ছিলেন না।
পুরোটা শুনতে চাচ্ছিলেন তাই।
মাওলানা সামিউল হক মারা গিয়েছেন গত রাতে। আমি প্রথমে চেক করলাম দেড়শ স্কুল ছাত্র হত্যাকারি TTP এর সাথে উনার সম্পর্কে ছিলো কিনা।
পাই নি।
PTI. ইমরান খানের দল। যারা এখন ক্ষমতায়।
তাকে কিছু বলতে চাচ্ছিলাম কিন্তু বললে আমি হয়ে যাবো "আউলিয়া-বিদ্বেষি" ইহুদিদের দালাল।
ইহুদিরা কখনো আউলিয়াদের পক্ষে থাকে না।
#metaphoric
১
তার বাপ আর মায়ের মাঝে প্রচন্ড দ্বন্ধ। বাপ জালেম। মাকে মারে। ছেলেটা তার বাপকে সারা জীবন ঘৃনা করে এসেছে। না-হক সে সহ্য করতে পারে না।
ছেলেটার অর্ধেক জীবনে তার বাপ মারা গেলো। সে জানলো দোষ তার বাপের ছিলো না। বরং তার মা খুব "সৎ" ছিলো না। মা বেচে আছে। কিন্তু এখন সে মাকে ঘৃনা করে।
২
ছেলেটার জীবনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ।
যদিও সে না-হকের সাথে কখনো কমপ্রোমাইজ করে নি।
তবে কি করে বুঝবো কোথায় কমপ্রোমাইজ করতে হবে। কোথায় করতে হবে না?
"তৌহিদের ক্ষেত্রে নিশ্চই কোনো কমপ্রোমাইজ নেই? কেউ বললো আমি দুই দিন মুসলিম, দুই দিন হিন্দু -- এটা করতে বলেন?"
তৌহিদের ক্ষেত্রেও বাড়া বাড়ি আছে। যখন আমি তৌহিদের জন্য কঠোর কঠোর শর্ত আরোপ করে বসি। আর এগুলো দ্বারা দুনিয়ার ৯০% মুসলিমদের কাফের ফতোয়া দিয়ে বসি।
১
কিছু বললে ধরতে পারে না। কমেন্ট করতে থাকে।
সফট টোনে তাকে কিছু বললে বুঝে না।
সরাসরি বললে এটা হয় "অহংকার"। সে কষ্ট পায়।
তার নিজের কিছু শিক্ষা আছে সেগুলো রিপিট করতে থাকে।
কমেন্ট মুছে দিলে। বার বার করতে থাকে।
তাকে ব্লক করে দিতে খারাপ লাগে। তার দোষ নেই। সে খারাপ না। আমাকে পছন্দ করে।
তাকে ইগনোর করলে প্রতিটা স্টেটাসে সে কমেন্ট করতে থাকে। কোন কথা ঠিক কোনটা ভুল ব্যখ্যা করে। সংশোধনের জন্য।
২
আমার কোনো ষ্টেটাসই তার জন্য না। সরাসরি বা সহজ ভাষায় কিছু বলি না যেহেতু।
তার শিক্ষা নিয়ে সে থাকতে পারে। আমি তাকে ভ্রান্ত মনে করি না। তাকে আমার "দলে" বা পক্ষে আনার কিছু নেই যেহেতু।
তাই তাকে ব্লক করে দেয়াটা জাষ্টিফাইড মনে হয়।
জিনিসটা খারাপ লাগলেও।
কারন কমপ্লেক্স জিনিসগুলোর কমপ্লেক্সিটিটা তুলে ধরা আমার উদ্দ্যেশ্য।
কে ভালো কে মন্দ সেই উপসংহার না টেনে। "জিনিসটা জটিল এবং এর জটিলতাটা এখানে" -- এতটুকু ইন্ডিকেট করে ছেড়ে দেই। এটা সবার জানা প্রয়োজন নেই। যে বুঝে শুধু তার জন্য।
এখানে এসে যদি আপনি কমেন্ট করতে থাকেন "হ্যা হ্যা! আমি সবসময় বলে এসেছি তারা খারাপ! আপনার সাথে আমি একমত।" তখন আমি বুঝি স্টেটাসটা আপনার জন্য ছিলো না।
আপনার কমেন্ট মুছে দিতে হয়।
এরপর যদি আপনি কমেন্ট করেন "মুছে দিলেন কেন? আমি তো আপনার পক্ষে!" তখন আমার হাতে কোনো অপশন থাকে না। আরো লম্বা কথা বলতে পারি। কিন্তু আপনি বুঝবেন না, যেরকম প্রথমটা বুঝেন নি। কিন্তু আপনার সাথে শত্রুতা বাড়তে থাকবে। অথচ আগে ছিলো বন্ধুত্ব।
তখন ব্লক করে দিতে হয়।
১
ফিতনা হলে সিমান্তে গিয়ে কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে -- গেলো তুরস্ক সিমান্তে।
আমিরকে বায়াত দিয়ে যেতে হবে আমির ভালো হোক বা মন্দ -- করলো।
পথে কুফার গভর্নর তার পথ রোধ করে বললো "খলিফার হুকুম নামা, তোমাকে আমার সাথে কাজ করতে হবে।" -- করলো।
রাসুলুল্লাহ ﷺ এর নাতি হোসেন রা এর সাথে নেগোশিয়েশন করতে হবে -- করলো।
গভরনর হুকুম দিলো শর্ত মানি না - যুদ্ধ করো। কিন্তু সে হোসনে রা: কে হত্যা করবে না কোনো অবস্থাতেই। এতটুকু বিবেচনা আছে।
গভর্নর তার দলের সাথে দুই জন ঘাতক দিয়ে দিলো যারা করলো।
২
"Following the rule book" এখন সে ঐ দলের নেতা যারা হোসেন রা: এর হত্যা কারী। আখিরাতে উনার হত্যাকারীদের কাতারে দাড়াতে হবে। মুসলিম বিশ্বে সবচেয়ে ঘৃন্য মানুষ।
অনেক পরে প্রতিশোধের জামাত আসলো। বললো সেই সেনাপতি কোথায়?
"সে তো ঐ ঘটনার পরে দুনিয়াদারি ছেড়ে দিয়েছে। শুধু কান্না করে, তৌবা করে। একা একা ইবাদত করে।"
বললো, সে যত বড় সুফি হোক, "তাকে নিয়ে আসো" এর পর হাত পা কেটে হত্যা করা হলো।
৩
Follow the rule book তাকে দুনিয়া আর আখিরাতের ধ্বংশ থেকে বাচাতে পারে নি।
এখানে আরো ফেকটর প্লে করে।
৬ কোটি টাকা খুব বেশি না। অন্য নেতাদের ভাগ দিতে হবে। আমার ভাগে পড়বে হয়তো ২ কোটি। একটা পাজেরো কিনলে ৫০ লাখ। তেল-ড্রাইভার মাসে ৮০ হাজার। ২ বছরে টাকাটা শেষ হয়ে যাবে।
২ বছর পরে আমার কি থাকবে?
টাকা নেই। দলও নেই। বাকি জীবনে আমি গাদ্দার। আখিরাত আমার সামনে।
এর স্টেন্ডার্ড আরবীতে অনুবাদ,
يا ليلي و يا ليلة
كيف اشتكي لك يا امي
قالوا لي لا و لا
اني صغير و قلبي موجوع
اريد ان اطير ..اطير الفوق
لكن يريدون قص اجنحتي
ان ابنك مهموم
و اطلب منك العفو
এবার বুঝা যায় :-)
পাচ বছর আগে যা আরম্ভ হয়েছিলো, পাচ বছর পরে শেষ।
Let that sink in.
একটা দ্বিধা একটা কনফিউশন। একটা প্রশ্ন।
কদর আমাদেরকে ডাকে। কখনো ডানে নেয়, কখনো বায়ে।
আমি জান্নাতের ওয়াদা প্রাপ্ত না। বদরি সাহাবিরা প্রাপ্ত।
একটা অনিশ্চয়তা। একটা প্রশ্ন।
- কপালে ঘাম।
আল্লাহর রহমত। তার উপর নাযিল হচ্ছে।
দুই সপ্তাহ আগের জনসভার একটা ভিডিও আছে। উনি বলছেন ".... লোকে বলে আমি নাকি আওয়ামিলিগ... ... হলেও ক্ষতি নেই।"
ভিডিওতে উনাকে মাজুর মনে হয় নি। পূর্ন আকল আছে। স্পষ্ট কথা বলতে পারেন। নিজের অপিনিয়ন আছে।
হয়তো পারবে। কিন্তু ধাক্কা শেষ না। আরম্ভ হলো। যারা তাদের ক্ষমতায় তারা এখনো ক্ষমতায়।
এতিম হলে করলে অনেক সোয়াব। এর বর্ননা কিতাবে আছে।
কিন্তু এতিম না। তবে "এতিমের মতই।" বাপে খবর নেয় না। মারে। দূরে কোথায় থাকে কেউ জানে না। সে এখন আপনাকেই বাপ মনে করে।
সেক্ষেত্রে,
তার আসল বাপ একসময় বৃদ্ধ হবে। ছেলেটা বড় হয়ে কামাই করবে। বাপে তার হকের দাবি নিয়ে আসবে। ছেলেটা তার খিদমত করবে। তার পায়ের নিচে ছেলের বেহেস্ত। আগে যাই করুক।
আপনার প্রতি সে কৃতজ্ঞ থাকবে। এতটুকু।
রাসুলুল্লাহ ﷺ মারা যাবার সময় আকাশের দিকে আংগুল তুলে দুবার বলেছিলে রফিকুল আলা রফিকুল আলা। এর পর উনি চলে যান।
দল যেটাই হোক।
দাবি যাই হোক।
সোয়াব যত হোক।
কোনো দল-দাবি-আন্দোলনে না যাওয়া।
যত গুনাহর ভয় দেখাক।
যত দলিল নিয়ে আসুক।
যত আঘাত করে কথা বলুক।
সময় দিতে চাইলে,
দিতে হবে নিজের কামাইয়ের জন্য।
নেতার কামাইয়ের জন্য না।
ধরি দেশে বা মধ্যপ্রাচ্যে।
কোনো ছেলে দলকে বায়াত দিলো।
দলের নেতা দলকে বিক্রি করে দিলো।
গোপনে, ছেলেটা জানে না।
এই দলকে আল্লাহ তায়ালা বিজয় দেবেন না।
পরাজিত হবে।
যে ছেলেটা দলের জন্য জীবন দিলো।
তাকে শহিদ বলা যাবে?
মানে আপনি তার পুরান শত্রু।
আমিও যদি ঐ লোকের পুরানো শত্রু না হয়ে থাকি, তবে তার ব্যপারে আপনার ভিউ জেনে আমার লাভ নেই।
এই সফর মাস আরম্ভ হয়েছে
সৌদি - মধ্যপ্রাচ্য - অধিকাংশ দেশে : ১০ অক্টোবর বুধবার।
পাকিস্তান - ইন্ডিয়া : এর পর দিন বৃস্পতিবার।
শুধুমাত্র বাংলাদেশে : এর পর দিন শুক্রুবার ১২ তারিখে।
A lot of positive things are going around, as it always does. It's one's choice where he wants to focus.
সব কিছুর সাথে আমার একমত হবার দরকার নেই।
মারা যাবার পরে দুই জনই জান্নাতে, কিন্তু একজনের স্তর অনেক উপরে।
অন্য জনের জিজ্ঞাসা : হে আল্লাহ আমাদের আমল তো সমান ছিলো।
আল্লাহ তায়ালা বললেন : সে আমার কাছে উচু মরতবার দোয়া করতো। তুমি শুধু আগুন থেকে পানাহ চাইতে। যে যেটা চেয়েছে।
#hTasauf
কিছু দিন পর আল্লাহ তায়ালা কিছু ফিতনা দিয়ে দেবেন। মানুষ তার নিন্দা করবে, তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
এটা তার ভালোর জন্য। ঐ সময়ে হুকুম হলো একা একা বসে ইবাদত-ইস্তেগফার-জিকির করা।
#habibsufi
নামাজে দাড়ালেন -- তাহাজ্জুদের আনন্দ পাচ্ছে না।
বিছানায় শুলেন -- ঘুম আসে না।
বসে পড়লেন -- ভালো লাগছে না।
ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায়। হাটবে।
এক লোক কম্বল মুড়ে শুয়ে আছে রাস্তায়। পায়ের শব্দ শুনে উঠে বসে।
বলে : "হে আবুল কাসেম। আমার কথা একটু শুনুন।"
"তুমি তো জানতে না আমি এখানে আসবো?"
"আমি আল্লাহ কাছে দোয়া করেছিলাম যেন উনি আপনার মন আমার দিকে ধাবিত করেন।"
"তোমার ইচ্ছা আল্লাহ পুর্ন করেছেন। বলো কেন ডাকছিলে?"
"জানতে চাই, নফসের রোগ হলে এর চিকিৎসা কি?"
"নফসের বিরুদ্ধে চলা। নফসের কষ্ট হয়। কিন্তু এটাই তার চিকিৎসা।"
লোকটা হাটতে হাটতে চলে গেলো।
নিজের নফসকে বলছিলো "তুই বার বার এটা জানতে চাচ্ছিলি। আমি বারবার একই জবাব দিচ্ছিলাম। তুই মানলি না। চাইলি জোনায়েদের মুখে শুনবি। শুনলি তো?"
জুনায়েদ বলেন : ঐ লোক কে আমি জানি না।
"আমি হক" "আল্লাহ ধ্বংশ করবেন না" এগুলো নিশ্চয়তা না।
ওলি আউলিয়ারা এককালে নিশাপুর মাদ্রাসায় পড়তো। এখন নেই।
Worst case scenario:
একটা ক্ষুদ্র গোষ্ঠি দাড়াবে। যারা "৮ উসুল" এর উপর থাকবে।
নেতৃস্থানীয়রা তাদের বিভাজনের জন্য দোষারোপ করে সরকারীভাবে দমন করবে।
এরা দমন হবে কি হবে না -- সেটা ইন্ডিকেট করবে দেশের ভবিষ্যতে আল্লাহ তায়ালা কি রেখেছেন।
১
মাও: আব্দুল মালেক সাহেবের থেকে মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়া জায়েজ কিনা তার উপর। "সরকারি হুকুম" "চাপে পড়ে" "বাধ্য হলে" এই ধরনের কথাগুলো ফতোয়াতে থাকলেও চলবে। যেটা প্রয়োজন সেটা হলো একটা সমাধান।
২
কওমি বোর্ড থেকে। তারা সরকারী নির্দেশনা মেনে নিয়ে মাদ্রাসাগুলোকে কি করতে নির্দেশ দেয় সেটা। আশা করছি কিছু দিনের মাঝে এটা চলে আসবে।
৩
"গনতন্ত্র কুফর" হলে দেশে যারা গনতন্ত্রের পক্ষে কাজ করছে তাদের কাফের বলা যাবে কিনা সে ব্যপারে মাওলানা মনসুরুল হক সাহেবের কাছ থেকে একটা সরাসরি ফতোয়া।
""
In particular, with the sensor falsely indicating that the nose is too high, when it isn’t, it causes an automatic system response that “trims” the horizontal tail of the plane to begin putting the plane’s nose down.
At the same time, it causes an indicator of the minimum speed to tell the pilot that the plane is near a stall, which also causes the pilot’s control column to shake as a warning. And the airspeed indicators on both sides of the flight deck disagree.
The pilots can use extra force to correct the nose down trim, but the failure condition repeats itself, so that the nose-down push begins again 10 seconds after correcting.
“If the nose is trimmed down on an aircraft, it becomes difficult for the crew to hold it,” said the person briefed on Boeing’s bulletin. “The nose is turning itself down and they are having to fight it. It takes a lot of effort to keep it from diving. Especially if you have a crew that’s confused and doesn’t know what’s going on.”
This description fits exactly the flight pattern of the Lion Air jet that crashed.
For 12 minutes before it crashed, the altitude swung up and down as if the pilots were fighting to maintain height, bringing the plane up, then having it swing down again repeatedly.
// bad joke
পুলিশ অনেক সম্মান দেখাচ্ছে।
https://www.facebook.com/symum.sadi/posts/10217819409781226
তবে জনগন গালি দিচ্ছে।
https://www.facebook.com/Habiburrahmanmisba/posts/1074970326017178
সে লোক ইখলাসের খোজে এর পর মাটির নিচে ঘর করে। সেখানে ইবাদত করা আরম্ভ করে। ধারনা করে এবার নিশ্চই আল্লাহর সন্তুষ্টিতে পৌছেছি।
আল্লাহ ওহি পাঠালেন : আল্লাহর সন্তুষ্টিত পৌছতে পারবে না যতক্ষন না তুমি মানুষের সাথে মিশতে থাকো আর মানুষ তোমাকে যে কষ্ট দেয় সেটার উপর সবর করতে থাকো।
এর পর সে বাজারে বাজারে ঘুরা আরম্ভ করলো। মানুষের সাথে মিশলো, তাদের সাথে চললো, বসলো, তাদের সাথে খাবার খেলো, মানুষদের বিশ্বাস করলো।
আল্লাহ তায়ালা নবির কাছে ওহি পাঠালেন : এবার সে আমার সন্তুষ্টিতে প্রবেশ করেছে।
فقد روي في الإسرائيليات أن حكيماً من الحكماء صنف ثلثمائة وستين مصحفاً في الحكمة حتى ظن أنه قد نال عند الله منزلة فأوحى الله الى نبيه قل لفلان إنك قد ملأت الأرض نفاقاً وإني لا أقبل من نفاقك شيئاً قال فتخلى وانفرد في سرب تحت الأرض وقال الآن قد بلغت رضا ربي فأوحى اللًه الى نبيه قل له إنك لن تبلغ رضاي حتى تخالط الناس وتصبر على أذاهم فخرج فدخل الأسواق وخالط الناس وجالسهم وواكلهم وأكل الطعام بينهم ومشى في الأسواق معهم فأوحى الله تعالى إلى نبيه الآن قد بلغ رضاي
#htasauf
"পাঠাও কনটাক্ট লিষ্ট আপলোড করে কেন?"
সব এপই আপনার কনটাক্ট লিষ্ট নিজেদের সার্ভারে আপলোড করে। প্রায় সব। নেটে সার্চ দিয়ে ডিটেলস জানুন। পাঠাও এক্সট্রা ইভিল না।
"কিন্তু আমার এসএমএস দিয়ে পাঠাও কি করবে?"
মনে করেন কোনো একটি মেয়ে প্রতিদিন রাতের বেলা ৯টার দিকে বের হন। সে যদি বিপদে পড়ে, আর আমাদের কাছে টেক্সট মেসেজ না থাকে, তাহলে তার কাছের মানুষদের সাথে কীভাবে কন্টাক্ট করবো? -- পাঠাও অলরেডি কারন দেখিয়েছে।
"এটা কি এথিক্যল?"
না হয় একটা ভুল করেছে। ধরা খেয়েছে। আর করবে না।
এই এক ভুলের জন্য পাঠাও বন্ধ করে দিয়ে হাজার হাজার মানুষের পেটে লাথি মারা কি এথিক্যল?
//sarcasm.
প্রথম ধাপ হলো
"আল্লাহ তায়ালা যা দিয়েছেন সেটার উপর সন্তষ্ট থাকা।"
এটাকে এক্সট্রিমে নিয়ে যান।
এরকম অনেক। দেখবেন সবকিছুই প্রথম কথাটার সাথে রিলেটেড।
নিজে বুঝতে পারবেন, ইনশাল্লাহ। চলার চেষ্টা করলে।
#htasauf
১। পরাজয় না-হক হবার দলিল কিনা?
২। নেতা যদি পথ ভ্রষ্ট হয় এর পরও ঐক্যের খাতিরে কতদূর পর্যন্ত তার সাথে থাকতে হবে?
৩। কতটুকু পর্যন্ত কোরআন হাদিস "প্রত্যেকে নিজে যা বুঝে" সেটা অনুসরন করতে হবে, এবং কোন দাগের পর থেকে আলেমদের কথা শুনতে হবে?
এই প্রশ্নগুলোর জবাব পাবার এখনই হাই-টাইম। সামনের ফিতনা এই প্রশ্নগুলোকে ঘিরে আবর্তিত হতে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।
১
সমস্যা : "আকিদার ব্যপারে তকলিদ নেই"
হানাফি-সালাফি দু পক্ষের একই মত।
মানে বুঝলাম : কোরআন হাদিস পড়ে আমি আকিদা গত ব্যপারে যা বুঝি আমি সেটা অনুসরন করবো।
ফেসবুকের বড় ভাইরা বড় বড় দলিল দিয়ে যা বলে সব পরিত্যজ্য। এগুলোর কোনো দাম আমার কাছে নেই। তার দলিল তার জন্য। কারন আকিদার ব্যপারে তকলিদ নেই।
ঠিক বুঝলাম তো?
২
এখন আকিদা বলতে শুধু "আমানতু বিল্লাহি ওয়া ..." বুঝালে সমস্যা ছিলো না। কিন্তু সালাফিতে আকিদা আরো অনেক।
"আল-আলা ওয়াল বারাআ"
"কুফর বিত তাগুত"
"ইস্তেওয়া"
সবই আকিদা।
এসব ব্যপারে আমি যা বুঝি সেটাই আমাকে অনুসরন করতে হবে। আমার থেকে বড় আলেমরা কি বুঝলো সেটা না। যেহেতু তকলিদ নেই।
৩
এখন আমি যদি বড় আলেমদের উল্টো বুঝি, তবে উনাদের চোখে আমি কাফের হবো, কারন "আকিদার ব্যপার"।
কিন্তু এর পরও উনাদের কথা আমি মানতে পারবো না কারন, ঐ একই - "আকিদার ব্যপার"। তকলিদ নেই।
এ সমস্যার আপাতঃ স্পষ্ট কোনো সমাধান দেখছি না।
১
এ.কে সিনহা-সরকারের দ্বন্ধ। সিনহা সাহেব একটা বই লিখেন। সেখানে বলেন : উনি প্রধান মন্ত্রির অফিসে গেলেন। প্রধানমন্ত্রী উনাকে বললেন আমি হে*** দলকে কত টাকা দিয়ে কিনেছি জানেন? এত দিয়ে। এমাউন্টটা বইয়ে উল্লেখ নেই।
কাই কাউস পোষ্ট করেছিলো কোটেশনটা।
এটা ইহুদিদেরর চক্রান্ত।
২
তবলিগ-উলামা ঝগড়া। তবলিগওয়ালারা একটা শর্ট ক্লিপ পোষ্ট করলো। ক্লিপে দেখা যাচ্ছে উলামাদের একজন সিনিয়র নেতা। উনি সমাবেশে মাইকে বলছেন "রেবের এক সদস্য আমাকে বলেছে হে*** দলের সবাইকে টাকা খাইয়েছি। শুধু খাওয়াতে পারি নি বাপ-ছেলে কে। বাপ ছেলে হলো ইজহার সাহেব আর উনার ছেলে হারুন।"
এটা ইহুদিদের চক্রান্ত।
৩
চক্রান্ত সেটা জানি।
কি চক্রান্ত? কোনটা চক্রান্ত? কে করছে চক্রান্ত - এসব যদিও জানা নেই।
Q. "একটা মেয়ে প্রতিদিন রাত ৯ টা হলে রাস্তায় বের হয়, একা। এখানে সমস্যা কি দেখছেন?"
A. তার কারনে একটা কম্পানি ডুবতে বসেছে, সবচেয়ে বড় সমস্যা।
Q. "আমার মোবাইল চুরি হয়ে গিয়েছে। বৌয়ের নম্বর সেইভ করা ছিলো। এটা বের করার উপায় আছে?"
A. পাঠাও এর সাথে যোগাযোগ করেন, তারা জানে।
অনেক সৃতি। কখনো যাই নি। পরিবারের কেউ মাদ্রাসায় পড়ে নি। কিন্তু জীবন চলার পথে এই মাদ্রাসা নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা। তাই পরিচিত।
আজকে খবর মুফতি রুহুল আমিন নির্বাচনে দাড়াচ্ছেন। এক দলের মনোনয়ন নিয়ে।
Kudos (Y) :-P
লোকেরা বললো : "কিন্তু জেরুজালেমে তো কোনো জয়তুন গাছ নেই!"
সাহাবা রা: বললেন : "না থাকলে তখন সেখানে জয়তুন গাছ হবে।"
nas daily-এর আজকের রিপোর্ট পেলিষ্টাইন নিয়ে। কমেন্টে। পেলেষ্টাইনের ৬০% এখন অলিভ গাছ।
side note : এখন বিপরিত দিক থেকে বলা যায় self fulfilling prophecy বলে একটা কথা আছে। মানুষ জানতো তাদের নিয়ে এমন কথা আছে, একারনেই তারা জয়তুন চাষ করছে। পক্ষে যুক্তি হলো : একারনে prophecy উল্টে যায় না, কিন্তু ইতিহাস উল্টো হতে পারতো।
// nas-daily-ইহুদি লিংক কমেন্টে দিয়ে লাভ নেই। এগুলো আলোচনা করে পার হয়ে আসতে হবে।
না রে ভাই। নীল আরমস্ট্রংগ মুসলিম হন নি। এর উপর যত ভিডিও আসে ফেসবুকে সব ভুয়া। দেখে যত কনভিন্সিং আপনার কাছে মনে হোক না কেন।
by the way, উনি এখন আর বেচে নেই। ২০১২ সাল মারা গিয়েছেন। অমুসলিম অবস্থাতেই।
গতকালের ভিডিওটা সৌদির উত্তরাঞ্চলের না, বরং মধ্যাঞ্চলের।
তবে রিপোর্টটা তদের কমপিটিটরদের। take it with a grain of salt.
উল্লেখ্য আলিয়া মাদ্রাসায় আমরা চাদা দেই না। সরকার দেয়। স্বিকৃতি আছে বলে।
এই স্টেটাসটা আরো লম্বা করতে পারতাম। উসুলে হাস্তেগান এবং বিভিন্ন প্রসংগে। কিন্তু এতে doom and gloom বেশি আসবে। যে সব আলোচনায় আমার কোনো লাভ নেই। অন্তরে অন্ধকার আনা ছাড়া। যেটায় আমার ক্ষতি।
Keep watching.
ইজরাইল এটা হজম করবে না। এমনি পরিস্থিতি আগে থেকে গরম ছিলো।
উল্লেখ্য এবার পেলেষ্টাইনিরা সরকারি সিমপেথি পাবে না। আরবদের সব সরকার ইজরাইলের পক্ষে।
এমবিএস বাদ দিলাম। কিছু দিন আগে ওমানের বাদশার সাথে ইজরাইলের প্রেসিডেন্ট হেন্ডশেক করে এসেছে ওমানে গিয়ে। এর ছবি পত্রিকায়। জর্ডান শান্তি চুক্তি করে বিশাল এক এলাকা ইজরাইলকে লিজ দিয়ে রেখেছে ৩০ বছর আগে "ভাতৃত্বের বন্ধনের নিদর্শন হিসাবে।" আর মিশরের কথা আমরা সবাই জানি।
সাইডে ইরান ছিলো ইজরাইলের বড় ভয়। কেন সেটা জানি না যদিও। ১ সপ্তাহ আগ থেকে ইরানে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অবরোধ চালু করেছে আমেরিকা।
১। জেরুজালেমের মালিক ইজরাইলিরাই। সুরা বাকারায় বলা আছে। তালুত-জালুত এর ঘটনা দ্রষ্টব্য। তাই ইজরাইল রাষ্ট্র কোরআন শরিফ দ্বারা স্বিকৃত।
২। "ইজরাইল নামে কোনো রাষ্ট্র নেই" এই কথাটা ভুল। কারন ইজরাইল নামটা কোরআন শরিফে বার বার এসেছে। বরং পেলেষ্টাইনের নাম কোরআন শরিফে একবারও নেই।
ছবি, মিশরের ক্লাস থ্রির পাঠ্য বই। যেখানে বলা হয়েছে "জেরুজালেম ইজরাইলের রাজধানী"।
ইজরাইলের রাজধানী তেলআবিব। জেরুজালেম ইজরাইল দখল করেছে জর্ডানের কাছ থেকে ৬৭ সালে। এবং আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক ১৯০০ সালের পর থেকে যুদ্ধ করে এক দেশের অংশ অন্য দেশ দখল করলে, যুদ্ধ শেষে সেটা ছেড়ে চলে যেতে হবে। নিজের দেশের অংশ করতে পারবে না।
সংক্ষেপে,
মুসলিমরা : জেরুজালেমের মালিক ফিলিস্তিনিরা। ইজরাইলের এটা কোনো অংশ না।
ইহুদিরা : ইজরাইলের রাজধানি জেরুজালেম।
এই ব্যপারে দলগুলোর মতামত পেন্ডুলামের মতো দুলে। যখন সংখ্যাটা কারো বিপক্ষে থাকে তখন এটা "হকে মাপকাঠি না"। পক্ষে থাকলে মাপকাঠি।
১
যেমন আমাদের জিহাদী ভাইরা। সংখ্যায় কম ছিলো। তাদের ফ্রিকুয়েন্ট কমেন্ট ছিলো কোরআন শরিফে "অধিকাংশ"-কে খারাপ বলা হয়েছে। বেশি সংখ্যার কোনো প্রসংশা নেই।
ভালো। এর পর যদি আমি কিছু ব্যপারে কিছু বলতাম তখন তাদের কথা : "আপনার এই কথা জমহুর উলামাদের সাথে মিলে না।"
ভাইরে জমহুর যে ঠিক না এটা তো আপনাদের বিশ্বাস ছিলো। নাকি ভুল বুঝেছি?
২
তবলিগেও তাই। "জমহুর" উলামাদের বিপক্ষে। কেউ কেউ আমাদের সেই জিহাদী ভাইদের কথাগুলো কপি করে পোষ্ট করে।
যতক্ষন না চলতি দ্বন্ধে তাদের কাছে ইজতেমার লোকসংখ্যা হয়ে যায় হকের মাপকাঠি। জমহুরের পক্ষে দলিল।
এ ধরনের কোটেশন ভেরিফিকেশন ছাড়া মিসগাইডেন্স। নিজের পক্ষে যুক্তি দেখানোর জন্য বড় বড় সব কথা বাদ দিয়ে খুজে নিজের পছন্দমত অউট অফ কনটেক্সট কোনো কোটেশন বের করে সেটা প্রচার করে লোকদেরকে নিজের পক্ষে আনার চেষ্টা একটা কমন টেকনিক।
১
উলামা - তবলিগ দ্বন্ধে এটা একটা বড় ইশু।
দেওবন্দি উলামারা একটা লিমিট পর্যন্ত নেয়া জায়েজ বলেন। এর পর নেয়া না-জায়েজ। যেমন তিলওয়াত করে নেয়া না-জায়েজ। কিন্তু কাউকে শিক্ষা দিয়ে নেয়া জায়েজ। এখানে একটা ফাইন লাইন আছে। যেমন : খতম তারাবি পড়িয়ে টাকা নেয়া না-জায়েজ। কিন্তু সুরা তারাবি পড়িয়ে নেয়া জায়েজ।
২
তবলিগের মত হলো এই দাগটা না-জায়েজের দিকে আরো অনেক বেশি। যেমন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেয়া না-জায়েজ। ওয়াজ, মাদ্রাসার বেতন, ইমাম, মুয়াজ্জিনের বেতন অনেক কিছুকে এই দিকে নিয়ে আসার একটা ট্রেন্ড আছে।
৩
প্রথম যুগের লিখকদের একটা বই দেখলাম। শিক্ষা দিয়ে টাকা নেয়াকে তারা নাজায়েজ মনে করতেন। ছাত্রদের থেকে ইনডাইরেক্ট সাহায্যও নিতেন না।
বর্তমান উলামাদের কথা হলো। প্রথম যুগে না-জায়েজ ছিলো। পরবর্তিতে ইলম শিক্ষার প্রচার প্রসারের প্রয়োজন যখন অনেক বেড়ে যায়। তখন ইজমার মাধ্যমে জায়েজ করে নেয়া হয়।
৪
এখন এর এক্সট্রিম দিক গুলো।
মাওলানা সা'দ সাহেব মনে করছেন এই রকম টাকা নেয়াটা একটা পথভ্রষ্টতা। যে কারনে মাদ্রাসা ওয়ালাদের কাজে হেদায়েত আসছে না। এখানে উনি অনেকটা মুজাদ্দিদের রোল প্লে করবেন। একটা খারাপ থেকে ইসলামকে পরিষ্কার করা।
উলামাদের কথা হলো, এর দ্বারা উনি ইজমাকে অস্বিকার করছেন। এবং নিজের মতকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। "নিজের এলহামের তবলিগ"।
৫
হাদিসে কি আছে? যতগুলো হাদিস পেয়েছি সবগুলোতে বুঝছি না-জায়েজ।
মাজহাবের ইমামদের মত? খুজে যা পেলাম:
ইমাম হানিফার মতে না-জায়েজ। কিন্তু পরবর্তিতে হানাফি আলেমগন বলেছেন জায়েজ।
বাকি তিন মাজহাবের ইমামদের মতে জায়েজ।
সালাফি মত: islamqa বলে জায়েজ।
৬
এব্যপারে তবে আমার অবস্থান কি হবে? তাকওয়ার দাবিতে বুঝা যায় "না নেয়া সঠিক"। যেহেতু সকল হাদিসে তাই বলা আছে। আগের যুগের শিক্ষকগন যেহেতু ছাত্রদের থেকে কোনো উপকারও নিতেন না।
এরকম করলে আমি "সালাফ"দের দিকে গেলাম।
কিন্তু বর্তমানে আমাদের "সালাফি" ভাই যারা আছেন, যারা সালাফদের দিকে যাবার ব্যপারে আমার থেকে বেশি উৎসাহি তাদের মতে কিন্তু জায়েজ।
আমার জন্য এটা কি being holier than the pope?
৭
এ ব্যপারে বিচক্ষন লোকদের মত কি? ডঃ খন্দকার জাহাঙ্গির স্যারের একটা লেকচার দেখছিলাম। বললেন কোরআন শিক্ষা, ইমাম, মুয়াজ্জিন করে টাকা নেয়া যাবে না এটা ইহুদি নাসারাদের যুক্তি। তারা চায় এভাবে ইসলামি শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাক।
উনার থেকে আমার তাকওয়া নিশ্চই বেশি না?
৮
উল্টো দিকের যুক্তিও আছে। যদি এটা সত্যিই আল্লহ তায়ালার কাছে অপছন্দনীয় হয়? আমরা জায়েজ করে নিয়েছি।
যেমন এক ভাই বলছিলেন : "জায়গা বন্দক দিয়ে টাকা নেয়া সুদ ও হারাম বলেন কওমি উলামারা। এই ফতোয়া দিয়ে তারা কত লক্ষ লোকদের হারাম খাওয়াচ্ছেন। গুনাহগার বানাচ্ছেন। তারা যদি এমন না করে, বন্দক দেয়া জায়েজ ফতোয়ে দিয়ে দিতেন তবে এত লক্ষ লোককে হারাম থেকে বাচাতে পারতেন।"
Deep. এভাবে হারামকে হালাল করার ট্রেন্ড যদি চলতে পারে তবে এটা বহুদূর পর্যন্ত গড়াতে পারে।
৯
তবে সঠিকটা কি? বস্তুতঃ এটা "এলহাম" ছাড়া বুঝার উপায়ে নেই। যে থেকে এসেছে "এটা সাদ সাহেবের এলহাম।"
অথবা পরবর্তি মুজাদ্দেদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ঈসা আ: এর প্রত্যাবর্তন। কিন্তু ঐ দিক থেকে চিন্তা করলে আগের মুজাদ্দিদরা এসে থাকলে এবং এটা ভুল হয়ে থাকলে, উনারা কেন এটা সংশোধন করলেন না? যেমন মুজাদ্দিদে আলফে সানি রাহি:?
মাওলানা সা'দ সাহেবকে মুজাদ্দিদ মনে করলে ভিন্ন কথা।
১০
তাকওয়া আমার জন্য। মাসলা সবার জন্য। এটা বুঝলে সমস্যা নেই।
আমার তাকওয়াকে মাসলা বানালে তখন সমস্যা আরম্ভ হয়।
১১
"টাকাটা সময়ের জন্য দেয়া হয়। শিক্ষার জন্য না।"
বা "হাদিয়া হিসাবে দেয়া হয়, বিনিময় হিসাবে না"
সমস্যা হলো : এটা অনেকটা "হিল্লা"-র মতো হয়ে যাচ্ছে।
এভাবে করেও কি খতম তারাবির জন্য টাকা নেয়া জায়েজ? মাও: আশরাফ আলী থানবি বলে গিয়েছিলেন না এরকম করে জায়জ হবে না। যেমন খতম তারাবি যারা পড়েন তাদেরকে কিছু ওয়াক্তিয়া নামাজের ইমাম বানিয়ে দেয়া। এর পর যেহেতু ইমামতি করে টাকা নেয়া জায়েজ তাই হাফেজদেরও টাকা নেয়া জায়েজ মনে করা।
১২
দ্বিতীয়তঃ হাদিয়া দেয়া হচ্ছে কাজটার জন্য। রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সময় একজনকে পাঠিয়েছিলেন জাকাত আদায়ের জন্য। উনি কিছু মাল দেখিয়ে বলছিলেন "লোকে আমাকে এগুলো ব্যক্তিগত হাদিয়া দিয়েছে।"
রাসুলুল্লাহ ﷺ এটা দেখে রেগে গেলেন। বললেন "ব্যক্তিগত হাদিয়া যদি দেয়, তবে তোমরা বাসায় বসে থেকে হাদিয়া নাও না কেন?"
Implying হাদিয়া দেয়া হয়েছে কাজটার জন্য। "ব্যক্তিগত ভাবে" দাবি করা হলেও। আর ব্যক্তিগত হাদিয়া কাজ না করলেও দেয়া হয়। যেটা এই সব ক্ষেত্রে হয় নি।
১৩
আর উলামা-তবলিগ পক্ষে এই বিষয়ে বিভাজনটা নতুন না। সা'দ সাহেবের আগে থেকে ছিলো। কিন্তু প্রকাশ্যে এগুলো নিয়ে উচ্চবাচ্য করা হতোনা। সা'দ সাহেব এগুলো নিয়ে প্রকাশ্যে এবং মজমায় বয়ানে উচ্চ কন্ঠে এবং জোর গলায় ঘোষনা দেবার পর থেকে সমস্যা আরম্ভ হয়েছে।
১
আমি ঘন্টার পর ঘন্টা একজন শিয়ার সাথে অনলাইনে আলোচনা করতে পারি। বা কোনো কাদিয়ানির সাথে। উত্তেজিত না হয়ে। কিন্তু আশে পাশের শ্রোতারা পারে না। দু জনের কথার মাঝে স্টেপ ইন করে গালাগালি আরম্ভ করে।
এই ধরনের মত জানার কোনো প্রয়োজন আছে সেটা বলছি না।
নিজের বিশ্বাস নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
কিন্তু যদি জানতেই চাই তবে উপরের শর্ত প্রযোজ্য।
২
তবে উদ্দেশ্য যদি হয় তাকে জানা না, বরং "তার ভুলগুলো সংশোধন করা" "তাকে বুঝানো" তবে অন্য হিসাব।
আর সাইলেন্টলি শুনে যাবার অন্য বিপদ আছে। সে মনে করবে আপনি তার পক্ষে। আপনাকে নিজের দলে আনার চেষ্টা করবে "আপনি বুঝতে পারছেন তো?" "আমার কথা ঠিক না?" যদি বলেন হ্যা তবে আপনি শেষ।
৩
এজন্য সবকিছু জানার দরকার নেই। প্রয়োজনীয়টুকু হলেই হলো।
কিন্তু আরেকজনের প্রয়োজন কি সেটা তার উপর ছেড়ে দিন।
আপনি কোনটা অপ্রয়োজনীয় মনে করেন সেটা তার উপর না চাপিয়ে।
I remember earlier digg followed the same fate. Being a 40M company to being sold at just 1% of that value, after it redesigned its site.
Even earlier there was a site which used to sell myspace themes, had huge revenues, which drastically fell to zero after a redesign.
Keeping all that in mind, I am planning to redesign habibur.com .
যে এখানে পার পাবে, এর পরের জায়গাগুলো এর থেকে কঠিন হবে না। বরং কবরের থেকে সে সহজ পাবে।
যে এখানে ধরা খাবে, তার জন্য পরের জায়গাগুলো এর থেকে কঠিন।
তবলিগের বিভাজনটা ছিলো ত্রিমুখি। এখানেও ত্রিমুখি হয় কিনা দেখার বিষয়।
এন্টি সনদ - মাইনরটি।
প্রো সনদ, কিন্তু এন্টি আওয়ামি - মেজরিটি।
প্রো-আওয়ামি - মূলতঃ নেতা, সুবিধাভোগি।
২
by the way,
প্রো-গভারমেন্ট হওয়াকে আমি খারাপ মনে করি না।
যুগ যুগ ধরে একের পর এক সরকার আসতে থাকবে আর মুসলিমদেরকে তার বিরোধিতা করতে হবে সোয়াবের আশায় -- এরকম নিয়ম নেই।
সরকারের বিরোধিতার একটা হাদিস কেউ কোট করলে, এর বিপরিতে ১০০ হাদিস আছে যেগুলোতে পক্ষে থাকার কথা আছে।
৩
ফিতনার সময়।
একা পথ চলা ভালো। কোনো দলের সাথে পেক্ট না হয়ে।
https://www.jpost.com/Israel-News/Culture/Gerard-Butler-hits-Tel-Aviv-for-premiere-of-Hunter-Killer-568980
Today God accepted his prayers.
https://twitter.com/GerardButler/status/1061689222896136192
ওয়াতাসিমু বি হাবলিল্লাহ -- "তোমরা আল্লাহর রশি সবাই মিলে ধরো, আর বিভক্ত হয়ে যেও না" এর ব্যখ্যা দল গুলো করে "আমাদের এই দলের সাথে মজবুত করে থাকো। কোনো কারনেই এই দল ছেড়ে যেও না"
এটা যদি সত্যি হতো তবে এই আয়াতের তফসির দাড়ায় : "তোমরা সবাই দলে দলে বিভক্ত হয়ে প্রত্যেকে নিজ নিজ দলের রশি শক্ত করে ধরো।"
১। বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত :
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান বলেছেন
"নির্বাচনের আগে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ। একইসঙ্গে তাবলিগের জামাতের মধ্যে বিরোধও রয়েছে। এসব বিবেচনায় তাবলিগের বিশ্ব ইজতেমার তারিখ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।"
২। জেলা ইজতেমা আর ওজাহাতি স্থগিত?
একইসঙ্গে তাবলিগের দুই পক্ষের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। মো. আনিছুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে কোনো জোড় ও ওজহাতি জোড় কিছুই করা যাবে না।
৩। দেওবন্দের "সত্যিকারের" অবস্থান জানতে ৬ জন যাচ্ছে দেওবন্দে।
বৈঠকে মাওলানা সাদের অনুসারীদের নিয়ে আলাদাভাবে আগামী ইজতেমা করার দাবি তুলেন সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। যুক্তি হিসেবে দারুল উলুম দেওবন্দ মাওলানা সাদের ব্যাপারে আগের অবস্থান থেকে ফিরে এসে বলেও তিনি দাবি করেন।
এ সময় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, দারুল উলুম দেওবন্দের অবস্থান স্পষ্ট হতে প্রতিনিধি দল যাবে এবং দেওবন্দ অনুমোদন দিলে তারা আলাদা করে ইজতেমা করতে পারবেন।
সে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই দারুল উলুম দেওবন্দ যাবে ৬ সদস্যের এ প্রতিনিধি দল।
৪। কারা যাচ্ছেন?
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন,
মাহমুদুল হাসান,
ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ,
হাফেজ যোবায়ের,
ওয়াসিফুল ইসলাম,
ধর্মসচিব
আওয়ামী লীগের ধর্ম সম্পাদক।
"যারা এই এই তারা সবাই কাফের!!! আপনি কি বলেন?"
এখন আপনার দুটো অপশন আছে :
১। হয় তার কথা না মেনে নিজে কাফের হবেন, এই গ্রুপের চোখে।
২। নচেৎ তার কথা মেনে নিয়ে দুনিয়ার ৯০% মুসলিমদের কাফের বলবেন।
দুটো থেকে একসাথে বাচার কোনো উপায় নেই।
হয় এটা নচেৎ ওটা।
Therefore choose wisely.
এটা কারো ভালো লাগবে না। বা লাগার দরকার নেই।
নিজের জন্য শেয়ার করলাম শুধু। স্মৃতি।
مولاى انى ببابك قد بسطت يدى .. من لى الوذ به ..
الاك يا سندى ..
مولاى .. يا مولاى ..
اقوم بالليل .. والاسحار ساجدة ..
ادعوا وهمس دعائى .. بالدموع ندى ..
بنور وجهك انى عائذ وجل .. ومن يعذ بك لن يشقى الى الابد ..
مهما لقيت من الدنيا وعارضها ..
فأنت لى شغل عما يرى جسدى ..
تحلوا مرارة عبش فى رضاك .. ولا اطيق سخطا على عيش من الرغد ..
من لى سواك .. ومن سواك .. يرى قلبى ويسمعه ..
كل الخلائق ظل فى يد الصمد ..
ادعوك ياربى .. فاغفر ذلتى كرما ..
واجعل شفيع دعائى .. حسن معتقدى ..
وانظر لحالى .. فى خوف وفى طمع ..
هل يرحم العبد بعد الله من احد ..
مولاى انى ببابك .. قد بسطت يدى ..
من لى الوذ به .. الاك يا سندى ..
مولاى .. يا مولاى ..
ইউটুবে হানা দিলাম।
আইনুল হুদা সাহেবের রিসেন্ট লেকচার পেলাম। উনি নিজে বেরলভি ধারার।
উনি বলছেন :
১
রাসুলুল্লাহ ﷺ জিজ্ঞাসা করছেন,
"হে জিব্রিল তোমার বয়স কত?"
"জানি না কিন্তু আমার জন্মের সময় আকাশে একটা তারকা দেখেছি"
"সেই তারকা ছিলাম আমি।"
হাদিসটার তাহকিক উনি করেছেন।
বের করলেন। এই হাদিসের কোনো সূত্র নেই। কোনো হাদিসের কিতাবে নেই। শুধু তফসির রুহুল বয়ানে আছে কোনো সূত্র ছাড়া। বলা আছে ইমাম বুখারি বর্ননা করেছেন। কিন্তু ইমাম বুখারির কোনো কিতাবে এই হাদিস নেই।
ধাক্কা খেলাম - ১ম
২
রাসুলুল্লাহ ﷺ সর্বত্র হাজির নাজির কিনা? এটা সুরা আহজাবের একটা আয়াতের তফসির দিয়ে করা হয়। আরসালনাকা শাহিদাও....
উনি ১২৭০ হিজরি পর্যন্ত সমস্ত তফসিরের কিতাব দেখিয়ে বললেন কোনো কিতাবে এই ব্যখ্যা লিখা হয় নি।
ধাক্কা খেলাম - ২য়।
৩
হাদিসে জাবির। লম্বা হাদিস। জাবির রা: কে রাসুলুল্লাহ ﷺ বলছেন প্রথম আল্লাহ তায়ালা যা সৃষ্টি করেছেন সেটা হলো আমার নূর। মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাকের হাদিস।
উনি বললেন মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাকে এই হাদিস নেই। ভবিষ্যতে যদি এর নতুন কোনো কপি আবিষ্কার হয় তবে সেখানে খুজার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
ধাক্কা - ৩য়।
এর পরে "সুন্নি হবার" কি বাকি থাকে সেটা চিন্তা করছি।
৪
এগুলো সহি না এটা সালাফি ঘরানার আলেমগন সব সময় বলে আসছেন। কিন্তু উনারা তো বলবেনই। ঐ পক্ষের মত কি সেটা শুনতে চাচ্ছিলাম। ঐ পক্ষের মত এর আগে পর্যন্ত সব সময় ছিলো এই হাদিসগুলো সঠিক।
হাদিসগুলো যারা আগে শুনেছে তারা জানেন এই হাদিস-তফসির গুলোর গুরুত্ব বেরলভি-রিজভি ধারায় কত বেশি। প্রায় পুরো আইডলজি এই হদিসগুলোর উপর ভিত্তি করে দাড়িয়েছে।
৫
শুনলাম। এর পর কি বুঝলাম?
এক : হয় এই যে রেজভি-বেরলভি ঘরেও ফিতনা-বিভাজন আরম্ভ হয়েছে। কমেন্টে দেখলাম নিজ দলের কেউ কেউ গালাগালি করছে।
অথবা দুই : এই শিক্ষা আমাদের নেয়া উচিৎ যে, নিজ দলের, গুরুর বা উস্তাদের শিক্ষা নিয়ে বেশি লাফা লাফি তর্ক না করি।
হতে পারে উনাদের মত সময়ের সাথে সাথে বদলাবে।
"এটা ঠিক না"
"আমি জানি সেটা"
"যাচাই না করে কোনো খবর ছাপাবেন না"
"মিথ্যা খবর ছাপিয়ে গুনাহর ভাগিদার হবেন না"
"এই স্টেটাস মুছে দিন"
এর সাথে আয়াতের কোটেশন "যদি তোমাদের কাছে কোনো ফাসেক..."
১
এদের কথার জবাব দেয়া সময়ের অপচয়।
ব্লক করে দেয়া কুইক সলুশন।
"তাদের কথায় ভুল কোথায়?"
ভুলটা ধরার মতো কমনসেন্স তাদের থাকা উচিৎ।
২
৩
এই রকম উক্তির দাবিদাররা এক সময় বলতো "ফাসেক মিডিয়ার কথা বিশ্বাস করবেন না। মোল্লাহ ওমর বেচে আছেন।" সংগে আয়াতের কোটেশন ফাসেকের কথা বিশ্বাস করলে কি হয়।
যতক্ষন না তাদের পছন্দের মিডিয়া বলা আরম্ভ করে "না উনি মারা গিয়েছেন বহু আগেই। আমরা স্ট্রেটেজির জন্য প্রকাশ করি নি।"
এর পর ফাসেক কাকে ধরবো?
আমি নিজেই?
৪
ব্লক করা সলুশন।
তর্ক করা সলুশন না।
বুঝানো সলুশন না।
নিজেকে ডিফেন্ড করা সলুশন না।
ফিতনার সময় যেহেতু।
একা থাকতে হবে। একা চলতে হবে।
কে ঠিক কে ভুল বুঝার উপায় নেই।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের হিফাজত করুন।
News pending.
ব্যখ্যা যদি জানতেই হয় তবে ১৯০০ সালের আগের তফসির দেখতে হবে। এরকম তফসিরের কিতাব শত শত আছে।
এবং একারনে প্রচলিত গ্রুপগুলো ১৯০০ সালের আগের সব তফসিরকে বাতেল ধরে নিয়ে প্রত্যেকে নিজেরা নিজেরা নিজেদের আইডলজির উপর তফসির লিখেছে।
যে কারনে মুফতি ইজহার বলছেন, ইসতেওয়া-তাবিল পন্থিদের চোখে আগের কোনো তফসিরই ঠিক না। ১৯০০ সালর পরে তাদের আলেমদের লিখা তফসিরকে শুধু মাত্র তারা সহি বলে। এমন কি ইবেন কাসিরও ঠিক না।
যে কারনে বেরলভিরা ১৮৫০ সাল পর্যন্ত লিখা কোনো তফসিরে তাদের হাজির-নাজির ব্যখ্যা পায় না। তারা পড়ে "কানজুল ঈমান" যেটা লিখা ১৯০০ সালের পরে।
যে কারেন জিহাদিরা যে তাগুত্বের ব্যখ্যা করে সেই ব্যখ্যা আমি ১৯০০ সালের আগের প্রচলিত ৮ টা তফসির কিতাব ঘেটেও পাই না। কিন্তু ১৯০০ সালের পরে লিখা এক তফসির কিতাবে ২০ পৃষ্ঠা জুড়ে শুধু ত্বাগুতের ব্যখ্যা।
আমরা সালাফিদের কাছে ফিরে যেতে চাই সালাফদের যুগের সব কিতাব ছুড়ে ফেলে দিয়ে, কিছু দিন আগের লিখা লিখকদের কিতাবকে আকড়ে ধরে।
১
নেগেটিভিটি বেশি হয়ে গিয়েছে। কিছু পজিটিভ না হলেই না।
দেশে বা পৃথিবীতে যে ইসলাম অনুসরনের হার গত ৪০ বছর ধরে বাড়ছে, এর একটা বড় কারন এই দলগুলোর পরিশ্রম।
যে দলই হোক। শিবিরকে আমি খারাপ মনে করতে পারি। এর পরও যে ছেলে শিবিরে ঢুকলো সে আগে নামাজ পড়তো না, এখন পড়ে।
ডঃ জাকির নায়েককে আমি অপছন্দ করতে পারি। এর পরও বহু লোক এখন উনার লেকচার শুনে দ্বিনের অনুসরনে যত্নশিল হয়েছে।
চরমোনাইকে আমি বিদায়াত মনে করতে পারি। বহু লোক এখন নামাজের জামাতের ব্যপারে যত্নবান, উনার মুরিদ হবার পর।
২
৪০ বছর আগে কোনো স্কুলের মেয়ে মাথায় উড়না দিয়ে স্কুলে যেতে পারতো না। শুনা কথা। মতিঝিল আইডিয়াল প্রথম উড়না চালু করে। এখন বেশির ভাগ স্কুলের ছাত্রীই হিজাব পড়ে।
এই ওয়াভটা আসছে এই দলগুলোর কার্যক্রম থেকে। কোনো দল ফেইল করে, কেউ সাকসেসফুল হয়। কিন্তু ফেইল করার আগ পর্যন্ত যতদিন যে দল দুনিয়াতে পরিশ্রম করে যাচ্ছে, তার একটা ভালো ইফেক্ট সমাজে রেখে যায়।
৩
এজন্য আমি কোনো দলের অত বেশি বিরোধি না।
যদি না তারা আপনাকে "সুইসাইড মিশনে" পাঠায়। কারন এর পর ভুল বুঝতে পারলেও দুনিয়াতে ফিরে এসে সংশোধনের আর উপায় নেই।
বইটা কার লিখা?
"শয়েখ ফুলানের"
বুঝলাম বইটা পড়লে আমি এই বিষয়ে একজনের মত জানতে পারবো। কিন্তু একজনের মত জানার জন্য সম্পুর্ন বই পড়তে হবে কেন? শেষে এটা একটা এক লাইনের জ্ঞান: 'উনার মত এই'।
"না মানে, পড়লে আপনি পক্ষের যুক্তিগুলো জানতে পারবেন। যুক্তি গুলো না জানলে আপনি বিভ্রান্ত হবেন।"
একারনে উনার পক্ষের লোকেরা বইটার কংক্লুশন না বলে শুধু বলতে থাকে 'পড়েন পড়েন'। যেন যুক্তিগুলো জানলেই আমার কংক্লুশন জানার অধিকার আছে। এবং এর পর আমি যেন উনার পক্ষে চলে আসবো।
উনার যুক্তির কংক্লুশন এর বদলে পুরো ডিটেইলস আমি জানতে চাইবো দুটো ক্ষেত্রে।
এক যদি আমি আগে থেকে উনার মাজহাব-মানহাজ-অনুসারি হই। তবে উস্তাদের মত জানতে পড়বো। বা দুই যদি আমি উনার প্রতিপক্ষ হই। রিফিউটেশন লিখার জন্য।
এর বাইরে উনার মতটা আমার কাছে এই বিষয়ে আরো বহু লোকের বিভিন্ন মতের মাঝে শুধু একটা ফুট নোট। 'এই বিষয়ে অমুকের মত এই।'
১
"যারা সিগারেট খায় তারা কাফের।
দলিল কোরআন শরিফ থেকে এই আয়াত : ওয়ালা তুলকু বি আইদিয়াকুম ইলাত তাহলুকা।
এটা তৌহিদের অংশ। এবং সিগারেট খাওয়া আর মূর্তিপুজারির মাঝে কোনো পার্থক্য নেই।
সাহাবা কিরামদের যুগে এই ফতোয়া ছিলো না কারন তখন সিগারেট ছিলো না। পরবর্তিতে এসেছে।"
২
এখন আমি যদি উনার সাথে তর্ক করতে যাই, তবে আমাকে "সাগারেট খোর" ট্যগ দেবে।
"সিগারেটের জন্য এদের অন্তর যত কাদে, নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য কাদে না।"
"এই সব সিগারেট-খোর, গাজা-খোর মডারেট মুসলিমরা ইসলামকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে!"
"(সার্কাস্টিসক টোনে) না কোনোটাতে কোনো সমস্যা নেই। সিগারেট খাই, গাজা খাই, মদ খাই কোনোটাই আপনার কাছে কোনো গুনাহ না, কি বলেন?"
আমি যদি বলি ভাই আমিও সিগারেট খাওয়াকে খারাপ মনে করি কিন্তু তৌহিদের ...
সংগে সংগে রিপ্লাই : "দেখেন বেক্কলে কয় কি? সিগারেট খাওয়া খারাপ কিন্তু কোনো গুনাহ না? মানে গাছেরটাও নিবেন আবার তলারটাও।"
"ইসলামে কোনো গ্রে জোন নেই। হয় সাদা নয় কালো।"
৩
এই সব জায়গায় তর্ক করা কোনো সলুশন না।
"আপনাদের অবস্থান আমি জানলাম। এবং স্বিকার করি আপনাদের বিশ্বাস এই। অস্বিকার করছি না। তবে অধিকাংশ আলেমদের মতে সিগারেট খাওয়া কুফরি না, আমি এটা ফলো করি।"
তর্ক শেষ।
এখন একা একা ইবাদত করার সময়।
ফিতনা সমাধানের চেষ্টা করলে ফিতনাকে আরো উসকে দেয়া হবে।
প্লাস এর জন্য আলেমগন আছেন। আমি আলেম না।
আজকে খবর : দেওবন্দের সাঈদ আহমদ পালনপুরী সাহেবকে ইমার্জিন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাওয়ার সময় বলে গিয়েছেন "আর ফিরে না আসতে পারি"।
সা'দ সাহাবের বিরুদ্ধে যারা ফতোয়া দিয়েছিলেন তাদের মাঝে উনি একজন।
তাদের আলোচনার একটা বড় অংশই আক্রমনাত্মক যেহেতু।
এগুলো নিয়ে যদি আমি বেশি ঘাটাঘাটি করি তবে দেখা যাবে সমস্যাগুলো নিয়েই পোষ্ট হচ্ছে বেশি। এবং সুন্নিয়ত পন্থিরা আমাকে মনে করবে "এজেন্ট"। মেকি সুন্নি সেজে তাদের ভেতর ঢুকে তাদের ভেতর ফিতনা ঘটাতে চাচ্ছি।
তাই এখানে ক্ষান্ত হলাম। আর বেশি ঘাটা ঘাটির ইচ্ছে নেই। ইন্টারেষ্টিং কিছু ফিডে চলে আসলে ভিন্ন কথা।
উদ্যেশ্য ছিলো রাসুলুল্লাহ ﷺ এর প্রতি যাদের মহব্বত আমার থেকে অনেক বেশি তাদের থেকে ভালো কিছু নেয়া যায় কিনা।
এর জন্য অন্য পথ খুজতে হবে।
Lone man walking.
১। অধিকাংশ আলেম বা মুসলিমদের মত এই কিনা।
২। কারো ব্যখ্যা ছাড়া নিজে কোরআন হাদিস পড়ে আমি একই জিনিস বুঝি কিনা।
দুটোর কোনোটাই যদি না হয়।
অর্থাৎ,
১। হানাফি-দেওবন্দি অবস্থান এটা না।
২। অধিকাংশ মুসলিমদের মত এটা না।
৩। আমি নিজেও কোরআন পড়ে এই জিনিস বুঝি না।
তবে সেই মত গ্রহন করার আমার কোনো কারন নেই।
"আল্লাহর বিরুদ্ধে কিংবা আল্লাহর উপাসনার পাশাপাশি তাগুতের উপাসনা বা আনুগত্য করা কিংবা তা বৈধ মনে করা, তদ্রুপ আল্লাহর দ্বীনের মোকাবেলায় বা তার সাথে তাগূতের আইন-কানুন গ্রহণ করা বা গ্রহণ করাকে বৈধ মনে করা সরাসরি কুফর ও শিরক।"
আজকে আর্টিক্যলটা পড়ে দেখলাম উনি আসলে কি বলেছেন :
"কেউ এমনটা করলে যদি নিজেকে অপরাধী মনে করে, অন্তরে আল্লাহর প্রতি, আখিরাতের প্রতি, তাঁর রাসূল, তাঁর কিতাব, তাঁর বিধান ও শরীয়তের প্রতি ঈমান থাকে, আর তার উপলব্ধি এই থাকে যে, আল্লাহর বিধান অনুসারেই রাজ্য পরিচালনা করা ফরয, এতেই আছে কল্যাণ ও কামিয়াবি কিন্তু ঈমানী কমযোরি ও বুযদিলির কারণে আমি তা করতে পারছি না। তাহলে অন্তরে ঈমান থাকার কারণে এবং ঐ হারাম কাজে নিজেকে অপরাধী মনে করার কারণে তার উপর কাফির-মুনাফিকের হুকুম আরোপিত হবে না।"
এটাই হানাফি মত বলে আমি জানি ও মানি। উনার মত বাকি উালামাদের থেকে ভিন্ন কিছু না।
সিন - ১
আলা-হযরত [আহমেদ রেজা খান বেরলভী] এর একটা কিতাব। ফতোয়া দেয়া আছে "রাইনা" বলা কুফরি। এই আয়াতের উপর ভিত্তি করে।
দ্বিতীয় কিতাব। একই লিখকের। উনি নিজে রাসুলুল্লাহ ﷺ কে বলছেন "রায়ি"।
সিন - ২
আব্বাসি সাহেবের ওয়াজ। বলছেন আলা-হযরতকে এর উপর কুফরি ফতোয়া দেয়া যায়।
সিন - ৩
আইনুল হুদা সাহেবের ভিডিও। এটা কভার করে, এর অনেকটাই সমর্থন করলেন, কিছু করলেন না।
সিন - ৪
আরেক শায়েখের ভিডিও। আইনুল হুদা সাহেবের "ভুল ব্যাখ্যার দাঁত ভাঙ্গা জবাব" দিলেন।
শুধু শেষ ভিডিওর লিংক দিলাম কমন্টে।
উপরে যে চার জনের নাম এসেছে সবাই সুন্নিয়াত পন্থি। বাহিরের কেউ না।
শিক্ষা?
কোরআন শরিফ পড়ে এর গভীর-সুক্ষ্ম-জটিল ব্যখ্যা বের করার দরকার নেই।
কিন্তু যারা বের করে, তাদের কুফরি ফতোয়া থেকে বাচারও সহজ কোনো উপায় নেই।
এটা লাইফ।
১
বিভিন্ন প্লাটফর্মের ৩০০ সুন্নি উলামা মিলে সু্ন্নি-সম্মেলন করলেন। এর শ্রোতা সংখ্যার ছবি কমেন্টে। সেখানে বক্তাদের আশংকা এগুলো নিয়ে। যেমন, পীর সু্ন্নি। কিন্তু উনি একা ছাড়া ছেলেমেয়ে সবাই জামাতে ইসলামি। সুন্নিরা নিজেদের সন্তানদের পড়ান নন-সুন্নি মাদ্রাসায়।
ফোরাম, কমেন্টেও একই কথা "আমাদের এই এই কথার কারনে ছেলেরা আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে"।
২
কিন্তু উল্টো দিক থেকে চিন্তে করলে ২০০০ এর দিকে মনে হতো মূলধারা প্রায় সবাই সালাফি হয়ে গিয়েছে। অনলাইনে, আলোচনায় কেউ নিজেকে মাজহাবি পরিচয় দেবার মতো ছিলো না।
২০২০ এর কাছে এসে আবার উল্টো স্রোত।
৩
কিন্তু সুন্নিয়ত ছেড়ে চলে যাবার ট্রেন্ডটা দীর্ঘ।
৮০ এর দিকে দেখতাম দেশের প্রায় ৯০% সু্ন্নিয়ত পন্থি। এলাকার ইমাম থেকে আরম্ভ করে মুরুব্বি সবাই। আশেপাশের প্রতিবেশিদের ঘরে ঘরে বিভিন্ন কারনে প্রতি সপ্তাহে মিলাদ।
৪০ বছরে এই সিনটা পুরো উল্টে গিয়েছে।
- মানে জেনারেল নিউজের কথা জিজ্ঞাসা করছেন নাকি সুন্নিদের খবর?
১
আমি সুন্নিয়ত পন্থি হতে পারি নি কেন?
কারন তাদের আকিদার ফান্ডামেন্টাল হলো এই বিশ্বাস করতে হবে যে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর দেহ মুবারক মাটির বদলে আল্লাহ তায়ালার নূর দ্বারা সৃষ্টি। এটা বিশ্বাস করলে সু্ন্নি। বিশ্বাস না করলে তাদের সাথে যত থাকি না কেন, আমি তাদের চোখে কাফের বা বাতেল।
সুরা কাহাফের শেষ আয়াত ছিলো আমার বাধা। তাদের ব্যখ্যা আছে। কিন্তু আমি এই আয়াতের সরল সাধারন যে ব্যখ্যা বুঝি তাদের ব্যখ্যা এর বিপরিত।
২
একই কারনে আমি সালাফি/আহলে হাদিস হতে পারি নি কেন?
কারন তাদের আকিদার ফান্ডামেন্টাল বিশ্বাস এই যে কেউ যদি বলে আল্লাহ তায়ালা আরশের বাইরে অন্য কোথাও আছেন তবে সে কাফের। এই কুফর ঘোষনা দিলে আমি সালাফি। না দিলে তাদের সাথে আমি যত থকি না কেন, আমি তাদের চোখে কাফের বা বাতেল। এখানে মিউট বা চুপ থাকা যাবে না। তৌহিদের ঘোষনার মতো।
কোরআন শরিফের ৬-৭ টা আয়াত ছিলো আমার বাধা। এগুলোর ব্যপারে তাদের ব্যখ্যা আছে। কিন্তু আমি ঐ আয়াতগুলোর সরল সাধারন যে ব্যখ্যা বুঝি তাদের ব্যখ্যা ছিলো এর বিপরিত।
কিন্তু বেরলভিরা নিজেদের পরিচয় দেবার সময় বলে আমরা "সুন্নি" বা "ছু্ন্নি"। এথেকে "ছু্ন্নি জামাত" "ছু্ন্নিয়্যাত" অনেক টার্ম।
আমি তাদেরকে, তাদের চোখে derogatory কোনো টার্মে না ফেলে, তারা নিজেরা নিজেদেরকে যে নামে পরিচয় দিতে পছন্দ করে সে নামেই তাদের উল্লেখ করছি। সে থেকে "ছুন্নি" বা "সুন্নি"।
যারা এগুলো জানেন তারা জানেন।
যারা জানেন না, তাদের জানার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
চলছে....
১
"আকিদার ক্ষেত্রে তকলিদ নেই।"
তাই আকিদার কোনো ব্যপার এনে যদি বলেন "কোরআন শরিফের আয়াতের নিজে নিজে ব্যখ্যা করেন কেন? আপনি কি উসুলে তাফসির পড়েছেন? আরবী পারেন? আলেমদের জিজ্ঞাসা করে জেনে নেবেন।"
তবে আপনি আকিদার ব্যপারে তকলিদ করার হুকুম দিচ্ছেন। আপনার শিক্ষায় আপনি ভুল।
২
"ব্যখ্যার কোনো জিনিস আকিদার অংশ হতে পারে না।" - শায়েখ ইমাম হোসেন।
তাই কোনো ব্যখ্যা নিয়ে এসে যদি বলেন "এটা আকিদার অংশ।" তবে আপনার শিক্ষায় আপনি ভুল।
৩
এই দুটো পযেন্ট double edged sword.
হয় বলবেন "এটা আকিদা। তাই বিশ্বাস না করলে কাফের।"
কিন্তু তখন আমি নিজে পড়ে কি বুঝলাম সেটাই আমাকে অনুসরন করতে হবে। আপনি বা আপনার আলেমরা কি বুঝলো সেটা না।
অথবা বলবেন "এটা আকিদা না।"
তখন আলেমদের ব্যখ্যা গ্রহন করার অনুমতি আছে।
কিন্তু গ্রহন না করলেও আমাকে কাফের বলার উপায় নেই। যেহেতু এটা আকিদা না।
১
৮০ এর দিকে এর পক্ষের দাবি ছিলো সবচেয়ে জোরালো। বিপক্ষে ছিলো কিছু "দেওবন্দি" আলেম। যাদের সংখ্যা খুবই কম।
ছুন্নি আলেম আহমদ ইয়ার খান এর একটা কিতাব আছে জায়াল হক। এর বাংলা অনুবাদ ছাপা ১৯৮৮ এর দিকে। আরো অনেক যুক্তির মাঝে এটা বলা হয়েছিলো "আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান না। আল্লাহ তায়াল শুধু মাত্র আরশের উপর। বরং সর্বত্র বিরাজমান হলেন রাসুলুল্লাহ ﷺ "। যে থেকে হাজির-নাজির।
এটা ছিলো hot debated topic.
২
২০২০ সালের কাছে। এখন আমি দেখছি ছুন্নিয়াতের অনুসারিরা সেই টপিক থেকে সরে আসছেন।
"হাজির-নাজির আলা-হযরতের মত না"
৩
Things change. আকিদার মতো গুরত্বপূর্ন টপিক হলেও।
ঐ সময়ে যদি আমি লাঠি দিয়ে মানুষের মাথ ফাটাতাম হাজির-নাজিরের পক্ষে তবে এখন এসে হায় হায় করতাম, "যে উস্তাদদের কথায় আমি মাথা ফাটালাম, এরাই দেখি এখন উল্টো কথা বলছে।"
আইনুল হুদা ভাই আমার আত্মিয়দের কাছের লোক। তাই বেশি কিছু বললে হয় উনি রাগ করবেন, বা আমার আত্মিয় স্বজনেরা।
তবলিগ ইশুতেও বেশি কিছু কভার করার সুযোগ নেই। আমার মসজিদের সাথিরা রেগে যেতে পারেন।
এর পর ইনশাল্লাহ তাসাউফ সংক্রান্ত কিতাবে ফোকাস দেয়ার চেষ্টা করবো শুধু।
আমি বুঝি :
হে নবি আমি আপনাকে পাঠিয়েছি :
"শাহিদাও" : তৌহিদের সাক্ষ্যদাতা হিসাবে।
ওয়া "মুবাশ্শিরাও" : জান্নাতের সুসংবাদ দাতা হিসাবে।
ওয়া "নাজিরা" : জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শনকারি হিসাবে।।
_____
অন্যদের বোধে এখানে হাজির-নাজির এর কথা আছে।
আমি পাই নি।
"ওলি" বন্ধু, থেকে "ওউলায়েত" বন্ধুত্ব থেকে বেলায়েত। উর্দুতে "উই" কে "বে" উচ্চারন করে যেহেতু।
১
ডঃ জাহাঙ্গির স্যারের একটা কিতাব আছে "রাহে বেলায়েত"। পেয়ে খুশি হয়ে গিয়েছিলাম। সঠিক তাসাউফ শেখা যাবে। পড়ে দেখি হাদিসের বই। হাই থটের কথা নেই। কিছুটা হতাশ হয়েছিলাম। গোপন কথা কই? সব তো জানা! /kidding.
২
৮০ এর দিকে আরেকজন লিখেছিলেন "বেলায়েতের গোপন কথা"। উনার নামও জাহাঙ্গির। বাবা জাহাঙ্গির। বইটা ব্যন হয়ে গিয়েছিলো। গোপন কথাগুলো জানা হয় নি। /kidding.
৩
বর্তমানে মূল বই হলো গাজ্জালির। এ থেকে কোট করে পরের বই সমূহ।
কিন্তু এর সহি-জয়িফ নিয়ে প্রশ্ন আছে। এক কালে আগুনে পুড়ানো হতো এ কারনে। মিজান হারুন ভাইয়ের লাষ্ট ষ্টেটাস দ্রষ্টব্য।
কিছু কোট করার চেষ্টা করেছি। ভেরিফাই করতে গেলে দেখি সালাফি আলেমদের মতে হাদিস জাল-জয়িফ।
৪
আগের ওলি আউলিয়ারা তবে কেন এগুলো কোট করেছেন?
এগুলো পড়ে অনুসরন করে তারা ওলি হলেন কি করে?
সালাফিদের কমন কিছু যুক্তি আছে :
"গাজ্জালি বুখারি শরিফ পান নি, শেষ বয়স এসে পড়ে শুধু কান্না করেছেন আমি কি করলাম!" - অথচ, উনার বইয়ের উপদেশে আছে ইলমের প্রথমেই বুখারি-মুসলিম পড়া। নিজের উপদেশ ফলো করেন নি বলছেন?
"উনারা ওলি জানেন কি করে?" - জানি de facto থেকে। অধিকাংশের মত।
৫
এখন রাস্তা দুটো :
সালাফিদের জন্য : ডঃ জাহাঙ্গির স্যারের বই।
ছু্ন্নিয়াতের অনুসারিদের জন্য : বাবা জাহাঙ্গিরের বই।
আমি দুইয়ের মাঝে সাবধানে পা ফেলে চলার চেষ্টার করবো ইনশাল্লাহ।
দু পক্ষের অনেকেই বেজার হতে পারেন।
এক হাদিসে বলা আছে কেউ কোরআন পড়তে পড়তে এমন হবে যে নিজের প্রতিবেশিকে কাফের ঘোষনা দিয়ে হত্যা করতে যাবে।
২
দুনিয়া থেকেও প্রয়োজনের বেশি নিতে নিরুৎসাহিত করা আছে। প্রয়োজন হলো নিজের, পরিবারের, বাপ-মার।
৩
তাই বাকি যা সময় আছে সেটা দিতে হবে ইবাদতে। যে কারনে মানুষকে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন।
শায়েখ : না। অমুসলিমদের সাথে যোগ দিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যায় না।
:-)
২
একজন আলেম যখন কিছু বলেন, বলেন সাধারন মানুষের জন্য। সবার জন্য প্রযোজ্য। নির্দিষ্ট গ্রুপের জন্য না।
না রে ভাই। নিজে নিজে করি না।
প্রথমে দেখি হানাফি-দেওবন্দি মত কি? এটা নিয়ে কোনো বিতর্ক না থাকলে এখানেই শেষ।
এখন কেউ এসে তর্ক জুড়ে দিলো। "এটা আহলে সুন্নাহর মত না" "শুধু এই উপমহাদেশে প্রচলিত" এই ধরনের দাবি। তখন দেখি অধিকাংশের মত কি? অর্থাৎ বাকি মাজহাবগুলোর।
এখানে সমাধান হয়ে গেলে শেষ।
কেউ এর পরও যদি তর্ক তুলতে থাকে। যেমন "দুনিয়ার অধিকাংশ মুসলিমরাই পথভ্রষ্ট" "হকের বিরুদ্ধে আকছারিয়াত কোনো যুক্তি না" এই ধরনের। তখন দেখি তাদের ব্যখ্যা ছাড়া আমি কোরআন পড়ে কি বুঝি? এটা থার্ড লেভেল। প্রথম লেভেল না।
এখন এই পর্যায়ে কেউ এসে যদি বলে "আপনি কি উসুলে তফসির পড়েছেন?" "কিছু জানেন?" "না জেনে কথা বলেন কেন?" "আমাদের শায়েখ/বড় ভাইদের অনুসরন করেন।"
তখন বেক টু স্কোয়ার ওয়ান। আপনাদের কথা তকলিদ [অন্ধ অনুসরন] করার বদলে আমি বরং হানাফি/দেওবন্দি তকলিদ করি।
যেহেতু একই হলো।
তবে এর ছবি ফেসবুকে, টুইটারে, পত্রিকায় ঘুরতো।
পৃথিবীর সব কোটিপতি-বিলিয়নিয়ার, প্রেসিডেন্ট, সাইন্টিস্টি, ইঞ্জিনিয়ারদের মাঝে প্রতোযোগিতা পড়ে যেতো রকেট তৈরি করে সেখানে যাবার জন্য।
আমরা সেখানে চান্স পেতাম না।
পেছনে পড়ে থাকতাম। কান্না করতাম। হতাশ হতাম।
আল্লাহ তায়ালার জন্য হামদ যে ব্যপারটা সেরকম না।
দেখলাম,
"মহব্বত পন্থি"দের ৯৫% সময় কাটে "ওহাবিদের" আক্রমন করে।
বিপরিত পক্ষ? "শিন্নি খোর"-দের নিয়া হাসাহাসি করে।
Conclusion: মহব্বত খুজতে হবে নিজের মাঝে। দলের সাথে থেকে না।
বললো : তোমাকে এই ঠেলার বদলে একটা পিকআপ কিনে দেবো। ওটা চালিয়ে বিক্রি করতে পারবে। ফেরিওয়ালা বলে সে নেবে না। তবে তোমাকে ক্যাশ টাকা দেবো। তাও সে নেবে না।
বলে: আমার এই ঠেলা গাড়িটা যথেষ্ট। বাসার পাশে রাখি। হয়ে যায়। ফিস ফিস করে কানে বলে, এসব যার সত্যিই অভাব তাকে দান করো।
এর পর তার বাসায় গিয়ে স্ত্রীর সাথে কথা।
ফুসহা [কথ্য] আরবী। বুঝা টাফ। প্রায় সবই নতুন শব্দ।
এগুলোতে শিক্ষনীয় আছে।
আমরা কোথায়!
আল্লাহর বান্দারা কোথায়!
কিছু বাদ পড়লে এড করতে পারেন। জাজাকাল্লাহ। Alif Advan
একটা বড় স্টেটাস দিতে পারেন, "কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করতে গেলে যা যা লাগে তার তালিকা"
পজিটিভ হলো এ দিয়ে "দাওয়াহ দেয়া যায়"। যেমন, "বাসায় টিভি কিনা ভালো, কারন কোরআন তেলওয়াত দেখা যায়"।
নেগেটিভ হলো, আখিরাতের পুরষ্কার আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে দিয়ে দেন। আখিরাতে শুন্য হাতে উঠে।
কেউ যখন বলে "এই ব্যপারে এড দিতে হবে। আপনি প্লিজ পোষ্ট দেন। আমার এতটুকু উপকার করেন। কারন আপনার অনেক ফলোয়ার।"
তখন বুঝি ক্ষতিতে পড়ে গিয়েছি।
আমাকে পছন্দ করার সুযোগ দেয়া হয়েছিলো
১। হয় অর্ধেক উম্মাহ জান্নাতে যাবে
২। অথবা আমি শাফায়াত করবো।
আমি শাফায়াতকে পছন্দ করেছি।
فَإِنَّهُ خَيَّرَنِي بَيْنَ أَنْ يَدْخُلَ نِصْفُ أُمَّتِي الْجَنَّةَ وَبَيْنَ الشَّفَاعَةِ فَاخْتَرْتُ الشَّفَاعَةَ
নিচের হাদিসে বলা হয়েছে :
প্রতি উম্মাহর কিছু লোক জান্নাতে কিছু জাহান্নামে যাবে।
আমার উম্মাহ ব্যতিক্রম। সকলেই জান্নাতে যাবে।
এর তাহকিক আলবানির মতে সহি।
https://www.ahlalhdeeth.com/vb/showthread.php?t=4861
পারবে।
مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَأَقَامَ الصَّلاَةَ، وَصَامَ رَمَضَانَ، كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ
এর পর জান্নাতে ১০০ টি স্তর আছে যেগুলো মুহাজির-মুজাহিদের জন্য।
https://sunnah.com/bukhari/97/51
শাহাদাৎ হলো তার জন্য যাকে আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেছেন।
রাসুলুল্লাহ ﷺ এর যুগে জিহাদ করে মারা গিয়েও যেহেতু কেউ কেউ শাহাদাত পায় নি।
এ থেকে আমাদের ভয়ের ব্যপার আছে।
জান্নাত শুধু তার জন্য যাকে আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেছেন।
অনেক মুখলেস আমলদ্বার ব্যক্তির মূত্যু যেহেতু মন্দের উপর হয়েছে।
এ থেকে আমাদের ভয়ের ব্যপার আছে।
এ কারনে বই পড়া সামাধান না। একই চ্যপ্টারের দুটো প্যরা থেকে দুই জন কোটেশন দিয়ে সম্পূর্ন উল্টো দুটো জিনিস প্রমান করতে পারবে। দুটোই "ঐ লিখকের মত, অমুক বইয়ে আছে"।
২
ময়দানেও এই ব্যপারগুলো সবসময় একরকম থাকে না।
যেমন আপনাকে অড পজিশনে ফেলতে পারলে, কোনো দলের সমর্থকরা আপনাকে কাফের ঘোষনা দিয়ে যাবে।
আবার পরবর্তিতে তাদেরকে অড পজিশনে পেয়ে যদি বলেন "আপনাদের মতে তো এই এই সবাই কাফের, ঠিক?" তারা বলবে "কে বললো? না ঠিক না। আমরা এত কঠোর না।"
وصلى الله على محمد كلما ذكره الذاكرون وغفل عن ذكره الغافلون
"আল্লাহ তায়ালা সালাম পাঠান মুহাম্মদের উপর
যতবার স্বরনকারীরা স্বরন করে।
যতবার গাফেলরা গাফেল থাকে।"
এর বিনিময়ে উনাকে কি পুরষ্কার দিয়েছেন?
রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন উনার জন্য পুরষ্কার আমার তরফ থেকে এই যে হিসাবের জন্য উনাকে দাড়াতে হবে না।
Ref:
عن أبي الحسن قال رأيت النبي صلى الله عليه وسلم في المنام فقلت يا رسول الله بم جوزي الشافعي عنك حيث يقول في كتابه الرسالة وصلى الله على محمد كلما ذكره الذاكرون وغفل عن ذكره الغافلون فقال صلى الله عليه وسلم جوزي عني أنه لا يوقف للحساب
#htasauf
নিচের দোয়াটা রাসুলুল্লাহ সা: পড়েছেন ফজরের সু্ন্নাহ পড়ার পরে। ইবনে আব্বাসের বর্ননা। হাদিসটা তিরমিযিতে আছে। জয়িফ বর্ননায়।
https://sunnah.com/tirmidhi/48/50
ইউটুবে এক শায়েখ বলছেন পড়লে সমস্যা নেই। সুন্নাহ মনে না করলেই হলো।
এতটুকু সালাফিদের জন্য। আামাদের হানাফিদের জন্য জয়িফ হাদিসের দোয়া পড়াতে কোনো নিষেধ আছে বলে জানি না।
আমার কাছে, দোয়া দোয়াই, বাংলায় নিজে নিজে বানিয়ে করলেও দোয়া। তোয়াফে এই দোয়াটা অনেককেই পড়তে দেখেছি।
লম্বা কিন্তু খুবই অর্থবহ, যার মাঝে অনেক দোয়া চলে আসছে।
এর রিসাইটেশন আরবীতে কমেন্টে দেয়া আছে। অর্থ পাবেন লিংকড হাদিসে, বা ইউটুব ভিডিওর সাবটাইটেলে ইংরেজিতে।
https://www.youtube.com/watch?v=w-Ho7ZcMUZ4
এই রকম দোয়া রেখে কিসের কবিতা এতদিন অনুবাদ করছিলাম সেটা নিজেকে প্রশ্ন।
Translation pending.
اللهم إني أسألك رحمة من عندك
تهدي بها قلبي
وتجمع بها شملي
وتلم بها شعثي
وترد بها الفتن
عني وتصلح بها ديني
وتحفظ بها غائبي
وترفع بها شاهدي
وتزكي بها عملي
وتبيض بها وجهي
وتلهمني بها رشدي
وتعصمني بها من كل سوء
اللهم أعطني إيماناً صادقاً
ويقيناً ليس بعده كفر
ورحمة أَنَالُ بِهَا شَرَفَ كَرَامَتِكَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ
اللهم إني أسألك الفوز عند القضاء
ومنازل الشهداء
وعيش السعداء
والنصر على الأعداء
ومرافقة الأنبياء
اللهم إني أنزل بك حاجتي
وإن ضعف رأيي
وقلت حيلتي
وقصر عملي
وافتقرت إلى رحمتك
فأسألك يا كافي الأمور
ويا شافي الصدور
كما تجير بين البحور
أن تجيرني من عذاب السعير
ومن دعوة الثبور
ومن فتنة القبور
اللهم ما قصر عنه رأيي
وضعف عنه عملي
ولم تبلغه نيتي وأمنيتي من خير وعدته أحداً من عبادك
أو خير أنت معطيه أحداً من خلقك
فإني أرغب إليك فيه
وأسألكه يا رب العالمين
اللهم اجعلنا هادين مهتدين غير ضالين ولا مضلين
حرباً لأعدائك
وسلماً لأوليائك
نحبب بحبك
من أطاعك من خلقك
ونعادي بعداوتك
من خالفك من خلقك
اللهم هذا الدعاء وعليك الإجابة
وهذا الجهد وعليك التكلان
وإنا لله وإنا إليه راجعون
ولا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ
ذي الحبل الشديد والأمر الرشيد
أسألك الأمن يوم الوعيد
والجنة يوم الخلود
مع المقربين الشهود
والركع السجود
الموفين بالعهود
إنك رحيم ودود
وأنت تفعل ما تريد
سبحان الذي لبس العز
وقال به سبحان الذي تعطف بالمجد
وتكرم به سبحان الذي لا ينبغي التسبيح إلا له
سبحان ذي الفضل والنعم
سبحان ذي العزة والكرم
سبحان الذي أحصى كل شيء بعلمه
اللهم اجعل لي نوراً في قلبي
ونوراً في قبري
ونوراً في سمعي
ونوراً في بصري
ونوراً في شعري
ونوراً في بشري
ونوراً في لحمي
ونوراً في دمي
ونوراً في عظامي
ونوراً من بين يدي
ونوراً من خلفي
ونوراً عن يميني
ونوراً عن شمالي
ونوراً من فوقي
ونوراً من تحتي
اللهم زدني نوراً
وأعطني نوراً
واجعل لي نوراً
#HabibDua
#hTasauf
In this case, it's the tune that matters.
Skip the first minute in case you too are ADHD.
আর্জেন্টিনার পতাকা ঝুলাতে গিয়ে অনেক ছেলে বিদ্যুতায়িত হয়েছে। মেইন লাইনের কারেন্টের শক খেয়ে। পা পুড়ে গিয়েছে। কেটে ফেলে দিতে হবে। হাতও পুড়ে গিয়েছে।
এর পরও খুশি। "আর্জেন্টিনার জন্য আমি সেক্রিফাইস করেছি। অন্যদের থেকে আমার আর্জেন্টিনার প্রেম বেশি। আমার বিদ্যুতায়ন এর প্রমান।"
এর পর সে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটবে। বাকি জীবন কষ্ট করবে।
অন্তরে সে একটা জাষ্টিফিকেশন খুজবে। একটা কারন।
কিছু অহংকার। কিছু আত্মতৃপ্তি।
নিজেকে প্রবোধ দিবে, "যার জন্য তার এত আত্মত্যাগ, এটা ভালো"
২
নিজের দিকে ফিরে আসি:
"শুধু গনতন্ত্রের জন্য"?
সংসার চালানোর দায়িত্ব আপনারই থাকবে।
এটা আপনার বৌ বুঝে। আপনি না বুঝলেও।
"খর-পোসের মামলা" নাম শুনেছেন?
কখনো শুনেছেন স্বামি মামলা করেছে বৌ থেকে খরপোস নিতে?
#SurvivingYourWife
এখন নেতৃত্ব-হীন রায়বেন্ড ছিন্ন হয়ে গেলো।
কাকরাইলের শুরাপন্থি বহিষ্কৃত ফায়সালরা বেরিয়ে গেলো।
"হেফাজতের" ভারে উলামারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো।
মাওলানা সাদ সাহেবের নেতৃত্বেই তবলিগের কাজ এগিয়ে গেলো।
এর পর কি?
মেহনতকারীগন চিন্তা করবেন : আমরা ঐক্য ফিরে পেয়েছি। কাজ আগের মত পূর্ন গতিতে চলবে।
মাও সা'দ সাহেব যা বলবেন সেটা অক্ষরে অক্ষরে অনুসারিরা প্রচার করবেন, এর উপর হয়তো কয়েক গুন শক্ত করে। কারন এখন এক মুরুব্বির কথা ব্যলেন্স করার জন্য অন্য মুরুব্বির কথা আনার সুযোগ নেই।
আমি সামনে একটা cult তৈরি হতে দেখতে পারছি।
ক্ষতি?
একদিক থেকে চিন্তা করলে ক্ষতি নেই। কত দলমত সমাজে প্রচলিত আছে। বাড়লে-কমলে ক্ষতি কি? সব দলেই কিছু পজিটিভ কিছু নেগেটিভ আছে।
Wondering :
"হক কত বছর পর্যন্ত পরাজিত হয়ে থাকতে পারে?"
"বাতিল পরাজিত না হয়ে কত বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে?"
"এবসুলেট সিরাতিল মুস্তাকিমের উপর তবে এখন কোন দল চলছে?"
"হক কত বছর পর্যন্ত পরাজিত হয়ে থাকতে পারে?"
"বাতিল পরাজিত না হয়ে কত বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে?"
"এবসুলেট সিরাতিল মুস্তাকিমের উপর তবে এখন কোন দল চলছে?"
এগুলোর জবাব আমার জানা নেই।
Warning: Images not safe for taqwa.
কারনটা বুঝতে পারি নি প্রথমে। আমাদের মতো আরবরাও শুধু ট্রল করে, সহজ কথায় ব্যখ্যা না করে। :-)
আজকে পেলাম। উনি সাদ্দামের প্রসংশা করে পোষ্ট দিয়েছিলেন। টুইটারে। এর পর প্রতিবাদের মুখে মুছে ফেলেন।
আমার বয়সটা দেখতে হবে। ছোটকাল থেকেই বিভিন্ন গ্রুপের হক কথা শুনে আসছি।
যদি গ্রহন করতাম তবে তখনই করতাম। আমাকে এখন দেখতেন যে কোনো এক দলের পক্ষে অন্ধ প্রচার চালাচ্ছি, অন্য সব দলকে আক্রমন করে।
এখন আমাকে হক কথা বলার সুযোগ আপনি একারনেই পাচ্ছেন যে, আগে আমি কারো হক কথা গ্রহন করি নি তাই।
#HabibMeta
কারন বড় লোকির কোনো সীমা নেই। যত টাকা কামাই করেন না কেন এর পরও বহু কিছু থাকবে যেগুলো স্ত্রীর প্রয়োজন। আপনার সামর্থে নেই। সে থেকে হতাশা।
বৌ সন্তুষ্ট থাকলে আপনিও সন্তুষ্ট থাকবেন। কয়েকদিন আগে একটা ভিডিও শেয়ার করেছিলাম আরব এক ফেরিওয়ালার। তার সুখি হবার কারন ছিলো তার বৌয়ের কানায়াত [অল্পে তুষ্টি]।
Q. "গ্রামের মেয়ে বিয়ে করলে কানায়াত পাওয়া যাবে। বা মাদ্রাসার মেয়ে বিয়ে করলে। ঠিক?"
না ভুল। উল্টো হবার সম্ভাবনা অনেক।
Q. "সব বড়লোকের মেয়ে একরকম না, আমি এক বড় লোকের মেয়েকে বিয়ের চেষ্টা করছি। তারা অন্য রকম। আপনাকে বলে বুঝাতে পারবো না। কি যে ভালো!"
Keep on dreaming. স্বপ্ন আমাদের বাচিয়ে রাখে। :-)
#SurvivingYourWife
https://www.dawn.com/news/1444949/what-now-for-the-tlp
https://www.dawn.com/news/1444949/what-now-for-the-tlp
রাজনিতি বলতে এখনো শুধু বুঝি বিএনপি আর আওয়ামিলিগ।
এখন :
কেউ তালাক দেয় না।
বরং বৌ "হাত ধরে" পালায়।
কিছু দিন পর ফিরে।
জামাই ছুটে আলেমদের কাছে।
জায়েজ করা যায় না?
#SurvivingYourWife
এর পর তাকে ব্লক না করে আমার উপায় নেই।
কারন কথা দিয়ে ফেলেছি।
এই পোষ্টে না হোক পরের পোষ্টে সে আবার বিভ্রান্ত হবে।
কতবার যে এই চক্র পার হয়েছি তার হিসাব নেই।
To be serious,
বিভ্রান্তির ভীতিটা তার আসে স্পেসিফিক আইডলজি থেকে। যেটা অধিকাংশের মত না। আমি অধিকাংশের মতের সাথে স্টিক করার চেষ্টা করি।
কিন্তু সে মনে করে,
এখন curse এনালাইসিসের সময় :
১। হাজি আঃ ওহাব সাহেব মারা গিয়েছেন।
২। এক সপ্তাহ পরে, রাইবেন্ডের ইমাম মারা গেলেন।
৩। দেওবন্দের ফতোয়ায় যারা সই করেছিলেন তাদের একজনকে গত সপ্তাহে ইমার্জেন্সিতে নেয়া হয়। এখনো খবর নেই।
৪। দেশে সনদ-মনোনয়ন-শুকরিয়া-তোষামোদের ভারে ওজাহাতি আলেমরা পর্যদুস্থ, নিন্দিত, জনবিচ্ছিন্ন।
৫। কাকরাইলে যারা বলেছিলেন "সা'দ সাহেব আমির না", তারা সবাই এখন পদ হারিয়ে নিজেরাই আর আমির না। মাওলানা সা'দ হাফি: কে আল্লাহ তায়ালা রেখেছেন বহাল তবিয়তে।
অর্থাৎ, যারা সাদ সাহেবকে সরাতে চাচ্ছিলো তাদেরকেই আল্লাহ তায়াল সরিয়ে দিচ্ছেন একে একে।
২
Off topic. "Assad must go" curse নামে একটা curse follow করা হয় নেটে অনেক বছর ধরে।
আমি এই নতুন curse কে track করতে পারি "Sa'ad must go" curse নাম দিয়ে।
Keep watching.
#saadmustgocurse
এখানে দুই পক্ষের কোনো পক্ষকেই আমি গোমরাহ মনে করি না। দুটোই ঠিক। কোনো পক্ষকে অন্য পক্ষে কনভার্টেড হতে বলি না।
কিন্তু "দুটোই ঠিক" অবস্থান আমাকে আথারি করে না। আশারি করে। কারন আথারিদের মতে আশারির বিশ্বাসগুলোকে কুফর ঘোষনা দেয়াও আকিদার অংশ। আমি এই অংশে বিশ্বাসি না।
এর উপর আগে যে সিরিজ পোষ্ট করেছিলাম তার সংকলন এখানে। ৮০% কথা বলেছিলাম।
https://www.sanjir.com/6262/
#saadmustgocurse
আপনাকে আক্রমন করা উদ্যেশ্য না। যদি এরকম কিছু মনে করে থাকেন।
১। সহি বর্ননায় যে দোয়াগুলো আসেনি সেগুলো সালাফি মানহাজের অনুসারিগন স্কিপ করে যান। এগুলো হানাফিদের জন্য পোষ্ট করছি।
২। অর্থ না বুঝে মন্ত্রের মতো দোয়াগুলো পড়লে কোনো কাজ হবে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু এটা একান্তই আমার বিশ্বাস। কেউ ডিসএগ্রি করলে আমি তর্ক করবো না।
৩। যার নামাজ কাজা হয়, বা দ্বিনের বেসিকগুলো জানে না। তাদের এগুলো পড়ে কাজ হবে বলে আমি মনে করি না। এর বদলে তসবিহ-এস্তেগফার-দুরুদ পড়লে তারাও সোয়াব পাবে। তাই দ্বিনের বেসিক এবং তাসবিহাতে ফোকাস দেন। এই সব দোয়ার পেছনে না।
৪। আরবী ভাষার বেসিকটা জানা না থাকলে বাংলা অর্থ দেখে পড়েও আপনি অর্থ বুঝে পড়ার মতো করতে পারবেন না। এর বদলে বরং তাসবিহাতে মনোযোগ দেন। এই সব দোয়া অনেক পরে আসবে।
৫। একটা দোয়া দেখে মনে হলো "এইটাই আমার লাগবে!" এ জন্য আমাকে ফোন করে বা আমার ওয়াইফকে ফোন করে অস্থির করার কোনো মানে নাই। "দোয়াটা লিখে দাও" "উচ্চারন কি হবে?" "তাকে বলো আমার জন্য পড়ে দিতে" "কখন পড়তে হবে?" "এভাবে পড়লে কাজ হবে কিনা?" এগুলো অর্থহীন প্রশ্ন। যদিও প্রশ্নকারির কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ন।
আবারও দ্বিনের বেসিকগুলোর দিকে নজর দিন। ইনশাল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনার দোয়া কবুল করবে। এ দোয়া গুলো অন্য বিষয়, ভিন্ন লোকদের জন্য।
জাজাকাল্লাহ।
it's not final. just the start.
China has lunched its first AI news anchor.
এক,
মিশরের মতো হতে পারে।
৪০-৬০ বছর ধরে এক পার্টি।
সেই নাসেরের যুগ থেকে।
যাদের ফিরিস্তির শেষ নেই।
কিন্তু এর পরও আল্লাহ তায়ালার মদদ তাদের উপর।
অথবা, আনএক্সপেকটেড টুইস্ট।
যার পরের অবস্থা এখনকার থেকে মন্দ, ভালো না।
ধরি এক জাতি পাপি।
যে কারনে আল্লাহ তায়ালা তদের উপর শক্তি চাপিয়ে দেন।
এটা "এক্সিডেন্ট" না।
এটা প্রাপ্য।
যতটুকু জুলুম।
ততটুকু শাস্তি।
"ফানা ফি শায়েখ" -- বুঝে আসে না।
শায়েখের জন্য ফানা হতে হবে কেন?
এটাকে এক্সট্রিমে নিয়ে যাওয়ার অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে।
১
হাদিস :
যে জাতির মধ্যে খেয়ানত অর্থাৎ আত্মসাতের ব্যাধি আধিক্য লাভ করে, সে জাতির অন্তরে আল্লাহ শত্রুর ভয় সৃষ্টি করে দেন।
যে জাতির মধ্যে জেনা-ব্যভিচার বিস্তার লাভ করে, সে জাতির মধ্যে মৃত্যুহার বেড়ে যায়।
যে জাতি মাপে ও ওজনে কম দেয়, তাদের রিজিক উঠিয়ে নেওয়া হয়।
যে জাতি অন্যায় বিচার করে, তাদের মধ্যে খুন-খারাবি ব্যাপক হয়।
যে জাতি অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তাদের ওপর শত্রুকে চাপিয়ে দেওয়া হয়।
- মুওয়াত্তা ইমাম মালেক।
২
রসুল (সা.) বলেন :
যখনই কোনো জনগোষ্ঠী মাপ ও ওজনে কম দেয়, তখনই তাদের
দুর্ভিক্ষ,
খাদ্যদ্রব্যের ঘাটতি ও
অত্যাচারী শাসকের
মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়।
- বুখারি শরিফ।
৩
রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন :
পাঁচটি বস্তু পাঁচটি বস্তুর কারণে হয়ে থাকে।
এক. কোনো জাতি চুক্তি ভঙ্গ করলে আল্লাহ তাদের ওপরে তাদের শত্রুকে বিজয়ী করে দেন।
দুই. কেউ আল্লাহর নাজিলকৃত বিধানের বাইরে বিধান দিলে তাদের মধ্যে দারিদ্র্য ছড়িয়ে পড়ে।
তিন. কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে মহামারী ছড়িয়ে পড়ে।
চার. কেউ মাপে বা ওজনে কম দিলে তাদের জন্য খাদ্যশস্যের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং দুর্ভিক্ষ তাদের গ্রাস করে।
পাঁচ. কেউ জাকাত দেওয়া বন্ধ করলে তাদের থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
- সুনানে দায়লামি।
করবেই। সবার বৌ করে।
আপনি কতটুকু ধর্য্য ধরতে পারেন সেটার পরিক্ষা।
কম ধর্য্য - চুপ থাকবেন।
মিডিয়াম - চুপ থাকবেন এবং হাসবেন।
এক্সট্রিম ধর্য্য - চুপ থাকবেন, হাসবেন এবং বলবেন "কাহিল হয়ে গিয়েছো? বসো। এক গ্লাস পানি এনে দেই?"
মুসাকে দিয়েছি কিতাব
বনি-ইসরাইলের হেদায়াতের জন্য।
আমাকে ছাড়া কাউকে উকিল করো না।।
সুরা ইসরা ১-২।
অলটারনেট হিসাবে উনারা অন্য কোথাও হয়তো জড়ো হবেন। কোথায় হবেন বা কি করবেন সেটা দেখার বিষয়। আর মাত্র দুই দিন।
বহু বছর আগের সেই পুরানো বড় ভাইদের কথা মনে পড়ছে। যাদের থেকে এক সময়ে দাওয়াতের কথা শুনতাম।
কারো সাথে এখন যোগাযোগ নেই। কে কোথায় কোন পক্ষে আছে এটা জানার অনেক ইচ্ছা যদিও।
ছাত্র সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে করতে হবে ৬০০। এটা অনলাইন কোর্স, এই না যে কোনো ক্লাসরুমে তাদের বসাতে হবে। সবার খাতা দেখা শুধু সময়ের কাজ।
উস্তাদদের বেতন ডবল করতে হবে। প্রোগ্রামারদের পেছনে খরচ ৪ গুন বাড়াতে হবে। অধিকাংশ পরিক্ষা মাল্টি চয়েস থাকলে উস্তাদদের প্রতিটা খাতা চেক করার দরকার নেই। প্রশ্ন-উত্তর সেট করে দেবেন। কম্পিউটার নিজেই মার্ক করতে পারবে।
লেকচার হতে হবে ফুল স্ক্রিন ভিউয়ে। উস্তাদের চেহারায় কেমেরা ফোকাস করে পেছনে সাদাকালো বোর্ডে চক দিয়ে এরকম না। একটা আইপেড কিনে এটাকে বোর্ড হিসাবে ব্যবহার করে লেকচার। এবং এর স্ক্রিন কেপচার রেকর্ড করে।
লেকচার এডিট করতে হবে। "অা", "আমরা এখন" এই টাইপের কথাগুলো কেটে বাদ দিয়ে। ৬০ মিনিটের লেকচার কমে আসবে ২০ মিনিটে। কন্টেন্ট এর পরও একই।
Just my thought.
তবে পূর্ন বইকে সামারাইজড করে দুই-তিন পেরাগ্রাফে এনে ফেসবুকে পোষ্ট করুন। যেটা পড়ার মতো সময় মানুষের আছে।
"কিন্তু পূর্ন বই না পড়লে পূর্ন জিনিসটা জানতে পারবে না"
সম্পূর্ন জিনিসটা হয়তো সবার জানা দরকার নেই। অধিকাংশের জন্য শেষ কথাটা জানলেই হলো।
২
মোকসুদুল মোমিন নিয়ে অনেক হাসা হাসি হয়। কিন্তু কোনো দলিল ছাড়া শুধু শেষ কথাটা উল্লেখ করে একটা সংক্ষিপ্ত বুঝার মতো বইয়ের অভার রয়ে গিয়েছে।
যে কারনে বেহেস্তি জেওর বা এই ধরনের বইগুলো জনপ্রীয়।
বনি-ইসরাইলকে বলেছি কিতাবে,
দুনিয়াতে তোমরা দুই বার ফাসাদ করবে।
চরম অহংকারে উঠে।"
[সুরা ইসরা : ৩-৪]
[by the way, বক্তা কলকাতার]
প্রচলিত গনতন্ত্রের যেগুলোকে আমি খারাপ মনে করি :
১। ১০ মূর্খের ভোটের গুরুত্ব, একজন বিজ্ঞের ভোটের চেয়ে ১০ গুন বেশি।
২। নেতৃত্ব লোভিরাই শুধু নির্বাচনে দাড়াতে চাইবে। এবং এরা সমাজের নিকৃষ্ট লোক।
৩। নির্বাচন গোপন ব্যলটে হয়। যেটা নিয়ে কারচুপি-কনফিউশন। অথচ সমর্থন বায়াত হবে প্রকাশ্যে। সবাই জানবে কে কাকে সমর্থন করছে।
________
তবে গনতন্ত্রের বিপক্ষে যে যুক্তিগুলোকে আমি গ্রহন করি না :
১। "অধিকাংশ দেশবাসি মদ হালাল এর পক্ষে ভোট দিয়ে হারামকে হালাল করে ফেলতে পারে। এজন্য গনতন্ত্র কুফর।"
যুক্তিটা গ্রহনযোগ্য না, কারন এটা যে কোনো শাসন ব্যবস্হার জন্য বলা যায়। যেমন, রাজতন্ত্রে, "বাদশাহর মনে চাইলে মদকে হালাল ঘোষনা দিয়ে হারাম কে হালাল করে দিতে পারে। তাই রাজতন্ত্র কুফর"।
হালাল-হারাম বেছে চলতে হবে আপনার ব্যক্তি জীবনে। বাদশাহর মত নিয়ে না।
২। "বলা হয়েছে অধিকাংশ মানুষই গাফেল, কাফের, ভুল। এজন্য গনতন্ত্রও ভুল।"
"পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের" কথা এখানে বলা হয়েছে। এটাকে সাব গ্রুপে এক্সট্রাপোলেট করে "অধিকাংশ মুসলিমরা ভুল" বলার সুযোগ নেই।
তাহলে হবে,
"অধিকাংশ মুসলিমই ভুল"
"অধিকাংশ আলেমরাও ভুল", কারন এরাও অধিকাংশ। এখন যেমন "জমহুর" বিরোধিরা বলছেন।
এর পর, "আমার দলের অধিকাংশ শায়েখ/নেতারাই ভুল"
এমন কি, "আমার মতানুসারি বন্ধুরাও অধিকাংশ ভুল" -- সেই অধিকাংশ প্রবলেম।
এভাবে চললে, শেষে আমি শুধু ঠিক। বাকি যে কোনো সাব-গ্রুপের অধিকাংশ ভুল যেহেতু।
৩। "গনতন্ত্রের প্রবক্তা আব্রাহাম লিংকন" এজন্য গনতন্ত্র কুফর।
ঠিক। কিন্তু এই কারনটা গনতন্ত্র কুফর হবার কারন হতে পারে না। আর এ দেশের মানুষ আব্রাহাম লিংকনকে চিনে না। তার শিক্ষাও জানে না। এর পরও গনতন্ত্র করে। মানে আব্রাহাম লিংকনের গনতন্ত্র ঠিক ঠাক মতো আমরা করছি কিনা সেটা চেক না করে। তাই এটা নন-ইশু। বা বড় ইশু করার সুযোগ নেই।
Just my thoughts.
নয়তো তার ব্যবসা। কিছু বলার নেই।
যে জামাতগুলো এখন চলছে এবং জোড়ের মাঠে ফিরার জন্য রোখে বলা আছে, তাদের আরেক সমস্যা। সময় শেষ। তাদের ফিরতেই হবে। কোথায় ফিরবে?
এইভাবে তবলিগ চলতে পারবে বলে মনে হয় না। Being pessimist.
Side questions, for example :
- এতাতিদের থেকে মুসাহাফা করে ৩ চিল্লা দিয়ে ফিরলে, তাকে কি ৩ চিল্লার সাথি ধরা হবে শুরা পক্ষ থেকে?
Deep trouble.
এত কিছুর মাঝে যার ডাকে সবাই আসলো, সেই উদ্বোক্তা কোথায়?
ভাই ওয়াসিফ হাসপাতালে।
২
ভাই ভাইয়ে যুদ্ধ।
সংসারও ভেঙ্গে যাচ্ছে।
ইজতেমার ময়দানে জিহাদি জজবায় সাথিদের টহল।
একজনের আফসোস, "মেহনত করে যাদের আমি তবলিগের কাজে জুড়ালাম তারা বলে আপনার বিরুদ্ধে জিহাদ করতে যাচ্ছি। জান দেবো।"
এসব দেখে উত্তেজিত হতে পারতাম। কিন্তু কেমন যেন বয়স বেশি হয়ে গিয়েছ। কিছু নতুন লাগে না। সব আগে দেখা।
৩
তিন চিল্লার জোড় তবলিগের একটা সেল্ফ রিফ্লেকশন।
সেই টর্নেডোতে ছাউনি উড়ে যাওয়া।
এর ছয় বছর পর আবারো একই ঘটনা ঘটা।
গত বছর এই জোড় থেকে প্রকাশ্য সংঘাত আরম্ভ হওয়া।
প্রতি বছর এটা জানায়, কাজ কোন দিকে যাচ্ছে।
আজকে দেশের খবর,
মেয়ে পুলিশে চাকরি করে। Good (Y)
মেয়ের বাপে র্যাবের ডিজি। Good।
বিয়ে করেছে বই পোকা এক বুয়েটের ছাত্রকে। Good.
মেয়ের অভিযোগ স্বামি তাকে পিটায়... huh?
#survivingYourWife
কিন্তু গিলে খেয়ে চুপ করে গেলাম।
যদিও অন্তর প্রচন্ড ঝটফট করছে কিছু পাল্টা বলার জন্য।
দাতে দাতে চেপে দিনের পর দিন চুপ থাকলাম।
জীবনে ভালো যা কিছু পেয়েছি।
পেয়েছি এরকম যে অল্প কয়েকবার করার তৌফিক আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন, সেটার পুরস্কার হিসাবে।
যত জায়গায় আমি "হক কথা" "অধিকার" "ইনসাফের দাবি" "চুপ থাকা পাপ" "ন্যয্য বিচার" "হুশিয়ার করতে হবে" এসব নিয়ে এগিয়ে গিয়েছি, সবগুলোর শেষ পরিনতি দেখে এখন জীবনের এই প্রান্তে এসে নিজের কাজের জন্য আফসোস করি।
১
লরেন্স অফ আরাবিয়া। এই ১৯২০ সালের লোক। তার জীবনি দেখছিলাম। বিবাহ বহির্ভূত জন্ম। সে কারনে নিজ দেশে ছিলো ঘৃন্য। পরিত্যক্ত হয়ে চলে যায় আরব দেশে।
কিছু বছরের মাঝে এত রেডিক্যল পরিবর্তন যে এখন পশ্চিমের অধিকাংশ মানুষের জন্মই বিবাহ বহির্ভুত।
২
হামযা ইউসুফের লেকচার শুনছিলাম। এই ১৯০০ সাল পর্যন্তও পশ্চিমের কোনো মেয়ের কাপড় তার পায়ের খাড়ুর উপরে উঠতো না। এর পর রেডিক্যল পরিবর্তন।
৩
এই ১৫০০ সাল পর্যন্তও ইউরোপকে পৃথিবীর কেন্দ্র ধরা হতো না। মধ্য প্রাচ্যকে ধরা হতো। বানিজ্য, পলিটক্স, যাতায়াত সব কিছুর কেন্দ্র। ইউরোপ ছিলো প্রসাশন বিহিন এলাকা। এখন যেমন মধ্য এশিয়াকে ধরা হয়।
৪
বলা হয়েছে, "মুসলিমরা খৃষ্টানদের অনুসরন করবে, যদি তারা সাপের গর্তে প্রবেশ করে তবুও।"
এখন আক্ষরিক ভাবেই করছে। যেমন জর্দান, তিউনিশিয়ায় আমাদের থেকেও বেশি।
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন জাজিরাতুল আরবের বাকি দেশগুলো ছিলো এমন। যেমন ইরান, ইরাক, কুয়েত, সৌদি। এগুলোতে কিছু পজিটিভ পরিবর্তন আসে ১৯৮০ সালের পরে।