"কোরআন শরিফ পড়িয়ে টাকা নেয়া যাবে কিনা?"
১
উলামা - তবলিগ দ্বন্ধে এটা একটা বড় ইশু।
দেওবন্দি উলামারা একটা লিমিট পর্যন্ত নেয়া জায়েজ বলেন। এর পর নেয়া না-জায়েজ। যেমন তিলওয়াত করে নেয়া না-জায়েজ। কিন্তু কাউকে শিক্ষা দিয়ে নেয়া জায়েজ। এখানে একটা ফাইন লাইন আছে। যেমন : খতম তারাবি পড়িয়ে টাকা নেয়া না-জায়েজ। কিন্তু সুরা তারাবি পড়িয়ে নেয়া জায়েজ।
২
তবলিগের মত হলো এই দাগটা না-জায়েজের দিকে আরো অনেক বেশি। যেমন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেয়া না-জায়েজ। ওয়াজ, মাদ্রাসার বেতন, ইমাম, মুয়াজ্জিনের বেতন অনেক কিছুকে এই দিকে নিয়ে আসার একটা ট্রেন্ড আছে।
৩
প্রথম যুগের লিখকদের একটা বই দেখলাম। শিক্ষা দিয়ে টাকা নেয়াকে তারা নাজায়েজ মনে করতেন। ছাত্রদের থেকে ইনডাইরেক্ট সাহায্যও নিতেন না।
বর্তমান উলামাদের কথা হলো। প্রথম যুগে না-জায়েজ ছিলো। পরবর্তিতে ইলম শিক্ষার প্রচার প্রসারের প্রয়োজন যখন অনেক বেড়ে যায়। তখন ইজমার মাধ্যমে জায়েজ করে নেয়া হয়।
৪
এখন এর এক্সট্রিম দিক গুলো।
মাওলানা সা'দ সাহেব মনে করছেন এই রকম টাকা নেয়াটা একটা পথভ্রষ্টতা। যে কারনে মাদ্রাসা ওয়ালাদের কাজে হেদায়েত আসছে না। এখানে উনি অনেকটা মুজাদ্দিদের রোল প্লে করবেন। একটা খারাপ থেকে ইসলামকে পরিষ্কার করা।
উলামাদের কথা হলো, এর দ্বারা উনি ইজমাকে অস্বিকার করছেন। এবং নিজের মতকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। "নিজের এলহামের তবলিগ"।
৫
হাদিসে কি আছে? যতগুলো হাদিস পেয়েছি সবগুলোতে বুঝছি না-জায়েজ।
মাজহাবের ইমামদের মত? খুজে যা পেলাম:
ইমাম হানিফার মতে না-জায়েজ। কিন্তু পরবর্তিতে হানাফি আলেমগন বলেছেন জায়েজ।
বাকি তিন মাজহাবের ইমামদের মতে জায়েজ।
সালাফি মত: islamqa বলে জায়েজ।