Post# 1542161734

14-Nov-2018 8:15 am


"কোরআন পড়িয়ে টাকা নেয়া জায়েজ কিনা?" - নিজের মত।


এব্যপারে তবে আমার অবস্থান কি হবে? তাকওয়ার দাবিতে বুঝা যায় "না নেয়া সঠিক"। যেহেতু সকল হাদিসে তাই বলা আছে। আগের যুগের শিক্ষকগন যেহেতু ছাত্রদের থেকে কোনো উপকারও নিতেন না।

এরকম করলে আমি "সালাফ"দের দিকে গেলাম।

কিন্তু বর্তমানে আমাদের "সালাফি" ভাই যারা আছেন, যারা সালাফদের দিকে যাবার ব্যপারে আমার থেকে বেশি উৎসাহি তাদের মতে কিন্তু জায়েজ।

আমার জন্য এটা কি being holier than the pope?


এ ব্যপারে বিচক্ষন লোকদের মত কি? ডঃ খন্দকার জাহাঙ্গির স্যারের একটা লেকচার দেখছিলাম। বললেন কোরআন শিক্ষা, ইমাম, মুয়াজ্জিন করে টাকা নেয়া যাবে না এটা ইহুদি নাসারাদের যুক্তি। তারা চায় এভাবে ইসলামি শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাক।

উনার থেকে আমার তাকওয়া নিশ্চই বেশি না?


উল্টো দিকের যুক্তিও আছে। যদি এটা সত্যিই আল্লহ তায়ালার কাছে অপছন্দনীয় হয়? আমরা জায়েজ করে নিয়েছি।

যেমন এক ভাই বলছিলেন : "জায়গা বন্দক দিয়ে টাকা নেয়া সুদ ও হারাম বলেন কওমি উলামারা। এই ফতোয়া দিয়ে তারা কত লক্ষ লোকদের হারাম খাওয়াচ্ছেন। গুনাহগার বানাচ্ছেন। তারা যদি এমন না করে, বন্দক দেয়া জায়েজ ফতোয়ে দিয়ে দিতেন তবে এত লক্ষ লোককে হারাম থেকে বাচাতে পারতেন।"

Deep. এভাবে হারামকে হালাল করার ট্রেন্ড যদি চলতে পারে তবে এটা বহুদূর পর্যন্ত গড়াতে পারে।


তবে সঠিকটা কি? বস্তুতঃ এটা "এলহাম" ছাড়া বুঝার উপায়ে নেই। যে থেকে এসেছে "এটা সাদ সাহেবের এলহাম।"

অথবা পরবর্তি মুজাদ্দেদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ঈসা আ: এর প্রত্যাবর্তন। কিন্তু ঐ দিক থেকে চিন্তা করলে আগের মুজাদ্দিদরা এসে থাকলে এবং এটা ভুল হয়ে থাকলে, উনারা কেন এটা সংশোধন করলেন না? যেমন মুজাদ্দিদে আলফে সানি রাহি:?

মাওলানা সা'দ সাহেবকে মুজাদ্দিদ মনে করলে ভিন্ন কথা।

১০
তাকওয়া আমার জন্য। মাসলা সবার জন্য। এটা বুঝলে সমস্যা নেই।
আমার তাকওয়াকে মাসলা বানালে তখন সমস্যা আরম্ভ হয়।

14-Nov-2018 8:15 am

Published
14-Nov-2018