"কোরআন পড়িয়ে টাকা নেয়া" - আরো কিছু কথা।
১১
"টাকাটা সময়ের জন্য দেয়া হয়। শিক্ষার জন্য না।"
বা "হাদিয়া হিসাবে দেয়া হয়, বিনিময় হিসাবে না"
সমস্যা হলো : এটা অনেকটা "হিল্লা"-র মতো হয়ে যাচ্ছে।
এভাবে করেও কি খতম তারাবির জন্য টাকা নেয়া জায়েজ? মাও: আশরাফ আলী থানবি বলে গিয়েছিলেন না এরকম করে জায়জ হবে না। যেমন খতম তারাবি যারা পড়েন তাদেরকে কিছু ওয়াক্তিয়া নামাজের ইমাম বানিয়ে দেয়া। এর পর যেহেতু ইমামতি করে টাকা নেয়া জায়েজ তাই হাফেজদেরও টাকা নেয়া জায়েজ মনে করা।
১২
দ্বিতীয়তঃ হাদিয়া দেয়া হচ্ছে কাজটার জন্য। রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সময় একজনকে পাঠিয়েছিলেন জাকাত আদায়ের জন্য। উনি কিছু মাল দেখিয়ে বলছিলেন "লোকে আমাকে এগুলো ব্যক্তিগত হাদিয়া দিয়েছে।"
রাসুলুল্লাহ ﷺ এটা দেখে রেগে গেলেন। বললেন "ব্যক্তিগত হাদিয়া যদি দেয়, তবে তোমরা বাসায় বসে থেকে হাদিয়া নাও না কেন?"
Implying হাদিয়া দেয়া হয়েছে কাজটার জন্য। "ব্যক্তিগত ভাবে" দাবি করা হলেও। আর ব্যক্তিগত হাদিয়া কাজ না করলেও দেয়া হয়। যেটা এই সব ক্ষেত্রে হয় নি।
১৩
আর উলামা-তবলিগ পক্ষে এই বিষয়ে বিভাজনটা নতুন না। সা'দ সাহেবের আগে থেকে ছিলো। কিন্তু প্রকাশ্যে এগুলো নিয়ে উচ্চবাচ্য করা হতোনা। সা'দ সাহেব এগুলো নিয়ে প্রকাশ্যে এবং মজমায় বয়ানে উচ্চ কন্ঠে এবং জোর গলায় ঘোষনা দেবার পর থেকে সমস্যা আরম্ভ হয়েছে।
- Comments:
- https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10155923385273176
- ^ বলা যাবে এই সেন্সে যে "ওটাও জায়েজ।" কিন্তু সাদ সাহেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো উনি নাজায়েজ বলেছেন। এক্সক্টলি "নাজায়েজ" শব্দটা ব্যবহার না করে হলেও।
- ^ শুধু এতটুকু হলে সমস্যা ছিলো না। কিন্তু অভিযোগ যে কথা বলা হয়েছে এর থেকে বেশি, এর থেকে জোর গলায় এবং এর থেকে বিস্তৃত বক্তব্যে। সেটা নিয়ে দ্বন্ধ।
- ^ উনি অনুসারিদের কি বুঝাচ্ছেন এবং তারা কি বুঝছে সেটা হলো মূল। উনার বলা কোনো শব্দ বা বক্তব্যকে নিজের তরফ থেকে ব্যখ্যা না করে।