উনি বলছেন:
তাই ধাপে ধাপে উনার কথাগুলো বুঝার চেষ্টা করি।
- নবীকে উদ্দ্যেশ্য করে আল্লাহ বাশার বলেন নি।
দাবিটা ভুল। নবী ﷺ কে উদ্যেশ্য করেই আল্লাহ বাশার বলেছেন। সুরা কাহাফের শেষ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, "কুল ইন্নামা আনা বাশারুম মিথলুকুম...", বাংলা অর্থ:
হে নবী আপনি বলে দেন, "নিশ্চই আমি তোমাদের মত বাশার, তবে আমার উপর ওহি নাজিল হয় যে তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ।"
এই আয়াতে আল্লাহ তায়াল নবী ﷺ কে বাশার বলেছেন।
- এটা কাফেররা বলেছে।
উহু! এটা কাফেরদের কথা না। আল্লাহ তায়ালা নিজের কথা।
- কথাটা কাফেরদেরকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেছেন, মুমিনদেরকে উদ্যেশ্য করে না।
বেশ কয়েকটা মূলধারার তফসিরের কিতাবে ঘেটেও আমি এরকম কোনো ব্যখ্যা পাই নি যে কথাটা আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের উদ্যেশ্যে করে বলেছেন, তাই মুমিনদের জন্য প্রযোজ্য না। অথবা মুমিনদের জন্য ভিন্ন কোনো কথা আছে।
আইনুল হুদা ভাই উনার আরেকটা লেকচারে এই বিষযের উপর ৩০ মিনিট কথা বলেছেন। কিন্তু সেখানেও কোনো তফসির বা অন্য কোনো কিতাবের রেফারেন্স উনি দেন নি। তাই আমি ধরে নিচ্ছি এই ব্যখ্যাটা উনার মনগড়া। এবং তফসিরের কিতাবগুলোতে এরকম কোনো ব্যখ্যা নেই।
এর উপরে যদি উনি এটা বুঝান, যে আল্লাহ তায়ালা যেহেতু কাফেরদের উদ্দ্যেশ্য করে কথাটা বলেছেন, তাই এই কথাটা ১০০% সত্য না। তবে দাবিটা দাড়ায় আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের উদ্যেশ্য করে মিথ্যা বলেছেন। নাউজুবিল্লাহ। আমরা এ ধরনের বিশ্বাস থেকে পবিত্র।
- নবী বিনয়ের জন্য কাফেরদের সামনে নিজেকে বাশার বলেছেন।
স্বিকার করি বিনয়ের জন্য। এর পর? আমরা বিশ্বাস করি বিনয় করে উনি সত্য বলেছেন। বিনয় করে কেউ বলতে পারে "আমি গুনাহগার"। কথাটা সত্য কারন নবী রসুল বাদে সবাই কম বেশি গুনাহগার। তার অর্থ এই না যে বিনয় করে যা বলেছেন তার উল্টোটা সত্য হতে হবে। তাহলে উনাকে মিথ্যার তোহমদ দেয়া হলো। নাউজুবিল্লাহ। আমরা এটা থেকে পবিত্র।
প্লাস, এটা নবী ﷺ এর নিজে বলছেন না। এটা আল্লাহ তায়ালার কথা "আপনি তাদের বলে দেন আমি তোমাদের মত বাশার..."
- বাশার বলতে অনেক কিছু বুঝাতে পারে। অন্য আয়াতে জিব্রিল ﷺ কে বাশার বলা হয়েছে।
এই আয়াতে "আমি তোমাদের মত বাশার" বলা হয়েছে। মানে আমাদের মত। জিব্রিল আ: এর মত না। আয়াত এখানে স্পস্ট।
- নবীর জাত বাশার এটা তো আইনুল হুদা ভাই স্বিকার করেছেন।
তাহলে তর্ক থাকে কেন? "কথাটা শুধু কাফেরদের উদ্দ্যেশ্যে বলেছেন মুমিনদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন নি" এই দাবির তাহলে আসছে কেন?
- কোরআন শরিফ থেকে প্রমান দেখাও কোনো মুমিন নবীকে বাশার বলেছে?
কোরআন শরিফ মুমিনেদের কথা না। আল্লাহ তায়ালার কথা। মুমিনদের কথা খুজতে হলে অন্য কিতাব দেখতে হবে।
এবং কোরআন শরিফে আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং নবী ﷺ কে বাশার বলেছেন। সুরা কাহাফ শেষ আয়াত দ্রস্টব্য। যেটার অনুবাদ উপরে দিয়েছি।
- শয়তান, ফিরআউন নবীদের বাশার বলতো।
শয়তান ফিরআউনরা দাবি করতো বাশার নবী হতে পারে না এবং নবী বাশার হতে পারে না। এবং বাশার যদি নবী হয় তবে তাকে কাফিররা মানবে না।
এখন আমিও যদি ঐ একই দাবি করি যে নবী বাশার হতে পারে না, তবে আমার বিশ্বাস আর ঐ শয়তান-কাফেরদের বিশ্বাস একরকম হলো।
বরং আমি আল্লাহর কথা ঐ বিশ্বাস করি যে রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদের মত বাশার ছিলেন এবং রসুলও ছিলেন। এবং নবীর বাশার হতে কোনো দোষও নেই।
নবী বাশার হতে পারেন নাকি পারেন না --- এটা আমার আর ফিরআউনের বিশ্বাসের মাঝে পার্থক্য।
- কিন্তু কাফেররা নবী ﷺ কে খাটো করার জন্য এই কথা বলতো। তাই উনাকে বাশার বললে আমরাও উনাকে খাটো করলাম।
বাশার হওয়াকে যদি কেউ খাটো হওয়া মনে করে, তবে সেটা তার বিশ্বাসের সমস্যা, মানে ঈমানে সমস্যা।
বাশার হওয়া দ্বারা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মর্যাদা বিন্দু মাত্র কমে না। আমার কাছে বরং মনে হয় মর্যাদা আরো বেড়েছে। ফিরিস্তারা বাশারকে সিজদা করেছিলেন। এবং ইনসানের জন্যই হলো জান্নাহ। ফিরিস্তাদের জন্য না।
শেষে:
আল্লাহ তায়ালা উনার রাসুলের উপর অজস্র সালাম আর সালাত পাঠাক।
আর বিভ্রান্তকারীদের বিভ্রান্তি থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের হিফাজত করুন।
এবং কোরআন শরিফের এমন নতুন ব্যখ্যা যা আগের ব্যখ্যার বিপরতি, তা থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের হিফাজত করুন।
তাই, আইনুল হুদা ভাইযের ব্যখ্যা আমি গ্রহন করতে পারছি না।
ড: খন্দকার জাহাঙ্গিরের চমৎকার বয়ান। উনি বলছেন ইসলাম গনতন্ত্র শুধু সমর্থন করে তা না, বরং ইসলাম যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা দিয়েছে সেটা গনতন্ত্রের সবচেয়ে কাছা কাছি।
তাই এখন দুটো ফতোয়া পাওয়া গেলো। আমাদের ফেসবুক মুফতিদের বিভিন্ন যুক্তি প্রমান নোট দিয়ে "গনতন্ত্র কুফর" ফতোয়া।
আর ড: খন্দকার জাহাঙ্গিরের "ইসলাম গনতন্ত্র শুধু সমর্থন করে না, বরং ইসলামি ব্যবস্থা গনতন্ত্রের সবচেয়ে কাছাকাছি" ফতোয়া।
https://www.youtube.com/watch?v=mtAStok49dc
ফেসবুক মুফতিদের উপর আমার কোনো আস্থা নেই।
তাই আমি ড: খন্দকার জাহাঙ্গিরের কথাকে গ্রহন করলাম।
আল্লাহ তায়ালা আমাকে হকের উপর রাখুন। এবং তাকফিরিদের কুফর ফতোয়ার ভয়ে পথভ্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করুন।
বিএনপি ইসলাম ধর্মকে পরিত্যগ করে এখন আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত।
ধর্মই এখন দুনিয়া শাষন করছে। এ পৃথিবীতে এখন নিরপেক্ষদের কোনো স্থান নেই।
হিন্দু ধর্মই হোক বা ইসলাম ধর্ম। আমেরিকার ট্রাম্পই হোক বা আমাদের শেখ হাদিনা, ধর্মের পক্ষেরাই এখন টপ।
"আমি কাউকে বলিনি। আমি বিপদ থেকে বাঁচতে চাইছিলাম। মনে করছি যা হওয়ার তা তো হইছেই। এখন যদি আমি বলি তাইলে তো আমি ধরা পরে যাব। আমার ফাঁসি হবে। এখন যদি বাঁচতে পারি তাহলে নতুন করে জীবনটা আবার শুরু করতে পারব।"
- The Others (2001)
[আলোচ্য ভিডিওর লিংক নিচে দেয়া আছে যেটা আসিফ সিবগাত ভাই কিছুক্ষন আগে শেয়ার করেছেন]
প্রথম দুই মিনিটে শায়েখ বলছেন
- কোনো দেশের অধিকাংশ মানুষ যদি মুসলিম হয় এবং তারা ইসলামি মত চলতে পারে তবে সেটা দারুল ইসলাম। তাদের সরকার কাফের হলেও সেটা দারুল ইসলাম।
- অধিকাংশ মানুষ যদি মুসলিম হয় তবে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা বা হুদুদ সেখানে চালু না থাকলেও সেটা দারুল ইসলাম। তারা ব্যক্তিগত ভাবে ইসলাম পালন করতে পারলেই হলো।
- প্রশ্নকর্তা বলছেন: আবু ইউসুফ বলেছেন "যে দেশে ইসলামি শাসন চালু আছে সেটা দারুল ইসলাম যদিও তার অধিকাংশ লোক কাফের হয়।"
শায়েখ জবাব দিলেন আবু ইউসুফের উদ্যেশ্য এখানে ভিন্ন। দারুল ইসলামের সংগা দেয়া না। বরং উনি হিন্দুস্তানের কথা বলছেন যদি শাসক মুসলিম হয় এবং ইসলামি শাসন চালু থাকে, তবে অধিকাংশ মানুষ অমুসলিম হলেও সেটা দারুল ইসলাম। যেটা ভারতবর্ষে ছিলো।
এর পর কংক্লুশন টানলেন ১। যদি অধিকাংশ মানুষ মুসলিম হয় কিংবা ২। শাসক মুসলিম হয় এবং দ্বিনের ব্যপারে স্বাধিনতা থাকে তবে সেটা দারুল ইসলাম।
https://www.youtube.com/watch?v=pN0ZClhfUoI
<এর পরের কথাগুলো অনুবাদ করা হলো না...>
#HabibTranslation
আমার এবং অন্যদের ফেসবুক ব্যবহারে একটা বড় পার্থক্য আছে।
১। ফেসবুক থেকে আমি দ্বিন শিখি না। এর জন্য অন্য সোর্স আছে।
২। ফেসবুক শুধু দাওয়াহ দেবার জন্য আমি সেটা মনে করি না।
"ছুন্নীদের" বিশ্বাস হলো রাসুলুল্লাহ ﷺ নূরের তৈরি। সেখান থেকে আরো এসেছে এই সব টার্মস:
- "নূরে মুজাসসাম" মানে উনার দেহ নূরের তৈরি।
´এ গেলো তাদের বিশ্বাস। এবং এই শব্দগুলো পরবর্তিতে কোথাও পেলে বুঝতে পারবেন কি বুঝাচ্ছে।
_____
আর তাদের দাবীর বিপক্ষে সবচেয়ে ডাইরেক্ট আয়াত হলো সুরা কাহাফের শেষ আয়াত। কুল ইন্নামা আনা বাশারুম মিথলুকুম।
যার বাংলা অর্থ: আপনি বলে দিন, নিশ্চই আমি তোমাদের মত মানুষ [আরবীতে বাশার], তবে আমার উপর ওহি নাজিল হয় যে তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ।
"আপনি বলে দিন" মানে হলো আল্লাহ রাসুলুল্লাহ ﷺ কে বলছেন এটা অন্যদেরকে বলে দেবার জন্য।
_____
আমি অনেকদিন ধরেই এই ব্যপারে একটা স্পস্ট ফতোয়া খুজছিলাম। ধরে নিয়েছিলাম ছুন্নীরা এই আয়াতের কি ব্যখ্যা করে সেটা জানতে পারলে হয়তো আমার কনফিউশন দূর হয়ে যাবে।
অনেকদিন চেস্টার পর জানলাম। কিন্তু তাতে খুশি হওয়াতো দূরের কথা, দাজ্জালের ভয়ে আমি ভীত হয়ে গেলাম। লিটারেলি।
____
এখানে তাদের ব্যখ্যা:
https://www.facebook.com/habib.dhaka/videos/vb.552028175/10153423301033176/?type=2&theater
- বাশার শব্দটা আল্লাহ তায়ালা কোরআন শরিফে নবীকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেন নি।
তাই ধাপে ধাপে উনার কথাগুলো বুঝার চেষ্টা করি। এখানে আইনুল হুদা ভাই বলছেন:
____
দাবিটা ভুল। নবী ﷺ কে উদ্যেশ্য করেই আল্লাহ বাশার বলেছেন। "কুল.." অর্থাৎ "হে নবী আপনি অন্যদের বলুন"।
_____
উহু! এটা কাফেরদের কথা না। আল্লাহ তায়ালা নিজের কথা। "কুল.." অর্থাৎ "হে নবী আপনি অন্যদের বলুন"। এখানে "অন্যদের" বলতে যদি কাফেরদের ধরি তাহলেও এটা কাফেরদের কথা হয় না। এটা আল্লাহর কথা থেকে যায়।
____
- কথাটা কাফেরদেরকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেছেন, মুমিনদেরকে উদ্যেশ্য করে না।
হতে পারে। মূলধারার তফসিরের কিতাবে ঘাটলাম এমন কথা আছে কিনা। কাফেরদের উদ্যেশ্যে বলেছেন এমন ব্যখ্যা আছে।
কিন্ত কাফেরদের উদ্যেশ্যে যেহেতু বলা হয়েছে তাই মুমিনদের উদ্যেশ্যে এটা প্রযোজ্য না -- এমন কোনো কথা নেই। অথবা মুমিনদের জন্য ভিন্ন কোনো কথা আছে, এমন কোনো কিছু কোথাও লিখা নেই.
এই বিষযের উপর আইনুল হুদা ভাইয়ের ৩০ মিনিটের একটা লেকচার আছে। সেখানেও কোনো তফসিরের কিতাবের কোনো রেফারেন্স উনি দেন নি। তাই ধরে নিচ্ছি এই ব্যখ্যাটা উনার মনগড়া। এবং তফসিরের কিতাবগুলোতে এরকম কোনো ব্যখ্যা নেই।
____
সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এখানে দাবি তোলা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের উদ্যেশ্যে এক কথা বলেন আর মুমিনদের উদ্যেশ্যে ভিন্ন কথা। যেখানে দুটো কথা বিপরিতমুখি। কাফেরদের উদ্যেশ্যে বলা কথা মুমিনদের জন্য প্রযোজ্য না। তাই আল্লাহ তায়ালা যেন কাফিরদের উদ্যেশ্যে মিথ্যা বলেছেন, নাউজুবিল্লাহ।
এই পয়েন্টে এসে আমি তাদের ব্যপারে দাজ্জালের ভয় করা আরম্ভ করেছি।
_____
ঠিক আছে। কিন্তু এর পর? আমরা বিশ্বাস করি বিনয় করে উনি সত্য বলেছেন। বিনয় করে কেউ বলতে পারে "আমি গুনাহগার"। কথাটা সত্য কারন নবী রসুল বাদে সবাই কম বেশি গুনাহগার।
তবে তার অর্থ এই না যে বিনয় করে যা বলেছেন তার উল্টোটা সত্য হতে হবে। তাহলে উনাকে বিনয় করে মিথ্যা বলার তোহমদ দেয়া হলো। নাউজুবিল্লাহ। এই তোহমদ দেয়া থেকে আমরা পবিত্র।
এর পরও, এটা নবী ﷺ এর নিজের কথা না। এটা আল্লাহ তায়ালার কথা। "কুল..." মানে "আপনি তাদের বলে দেন আমি তোমাদের মত বাশার..."
_____
এই আয়াতে "আমি তোমাদের মত বাশার" বলা হয়েছে। মানে আমাদের মত। জিব্রিল আ: এর মত না। আয়াতে এখানে স্পস্ট করে দেয়া হয়েছে।
____
তাহলে তর্ক থাকে না। "কথাটা শুধু কাফেরদের উদ্দ্যেশ্যে বলেছেন মুমিনদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন নি" এই দাবি আসছে কেন?
____
কোরআন শরিফ মুমিনেদের কথা না। আল্লাহ তায়ালার কথা। মুমিনদের কথা খুজতে হলে অন্য কিতাব দেখতে হবে।
এবং কোরআন শরিফের এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালাই স্বয়ং নবী ﷺ কে বাশার বলেছেন।
____
শয়তান ফিরআউনরা দাবি করতো বাশার নবী হতে পারে না এবং নবী বাশার হতে পারে না। এবং বাশার যদি নবী হয় তবে তাকে কাফিররা মানবে না।
এখন আমিও যদি ঐ একই দাবি করি যে নবী বাশার হতে পারে না, তবে আমার বিশ্বাস আর ঐ শয়তান-কাফেরদের বিশ্বাস এক রকম হলো।
বরং আমি আল্লাহর ঐ কথা বিশ্বাস করি যে রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদের মত বাশার ছিলেন এবং রসুলও ছিলেন। এবং নবীর বাশার হতে কোনো দোষও নেই।
নবী বাশার হতে পারেন নাকি পারেন না --- এটা আমার আর ফিরআউনের বিশ্বাসের মাঝে পার্থক্য।
____
বাশার হওয়াকে যদি কেউ খাটো হওয়া মনে করে, তবে সেটা তার বিশ্বাসের সমস্যা, মানে ঈমানে সমস্যা।
বাশার হওয়া দ্বারা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মর্যাদা বিন্দু মাত্র কমে না। বরং বাড়ে। ফিরিস্তারা বাশারকে সিজদা করেছিলেন। এবং ইনসানের জন্যই হলো জান্নাহ। ফিরিস্তাদের জন্য না।
____
কংক্লুশন:
আল্লাহ তায়ালা উনার রাসুলের উপর অজস্র সালাম আর সালাত পাঠাক।
আর বিভ্রান্তকারীদের বিভ্রান্তি থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের হিফাজত করুন।
এবং কোরআন শরিফের এমন নতুন ব্যখ্যা যা আগে কেউ করে নি, তা থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের হিফাজত করুন।
আমি আইনুল হুদা ভাইয়ের এই বিষয়ে ব্যখ্যা গ্রহন করতে পারছি না।
মনে পড়লো নামাজে "আসসালামু আলাইকা ইয়া আইয়ুহান্নাবিয়ু" পড়ার কথা।
তবে কিছু বললাম না। চুপ থাকলাম।
____
কলেজে পড়ি। এক আলেম বললেন নবী ﷺ আমাদের মত মানুষ ছিলেন এটা বলা যাবে না।
মনে পড়লো সুরা কাহাফের শেষ আয়াত, "কুল ইন্নামা আনা বাশারুম মিথলুকুম..." এর কথা।
তবে কিছু বললাম না। চুপ থাকলাম।
____
ইউনিভার্সিটিতে পড়ি। একজন বললো "পিতা মাতা আমাদের খাওয়ান এ ধরনের কথা বলা হবে শিরক। বলতে হবে আল্লাহ খাওয়ান।"
মনে পড়লো "রাব্বিরহাম হুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা" এর "রাব্বায়ানি" শব্দের কথা।
তবে কিছু বললাম না। চুপ থাকলাম।
____
চাকুরিতে ঢুকেছি। একজন বললো "আল্লাহ তায়ালা আরশের বাইরে অন্য কোথাও আছেন এমন কথা বলা হলো কুফর।"
মনে পড়লো "ওয়া ইদা সাআলাকা ইবাদি আন্নি, ফা ইন্নি কারিব" আয়াতটা।
এবারও কিছু বললাম না। চুপ থাকলাম।
____
নিজে পথ পেলেই আমি খুশি। অন্যদের পথ দেখানোর দায়িত্ব হলো আলেমদের, আমার না।
আমি যেটার কথা বলেছি সেটা হলো ফতোয়া। যেটা শুধু আলেমদের দায়িত্ব।
দ্বিতীয় হলো প্রতিদিন কিছু কোরআন তিলওয়াত করা।
এই দুটো কাজ যদি আমি আর অপনি করতে পারি তবে এর পর অন্য কারো ভুল বা সঠিক কথার জন্য আমাদের কারো জবাব দিতে হবে না।
সংস্কৃতি ও ইসলাম দুটো বিপরিতমুখি ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম। হয় আপনি মুসলিম। নয়তো আপনি সংস্কৃতি মনা। তবে দুটো এক সাথে না।
যে ভাবে মুসলিম একই সাথে খৃস্টান হতে পারে না। বা খৃস্টানমনা মুসলিম হতে পারে না, সে ভাবে।
ছবিটা পাস কোর্স ডিগ্রির বাংলা পাঠ্যপুস্তক থেকে।
ডালমে কুচ কালা হে।
- বাংলাদেশ ব্যংক বলছে হ্যকাররা তাদের নিউ ইয়র্ক ব্যংক একাউন্ট থেকে টাকা চুরি করেছে।
- নিউ ইয়র্ক ফেড বলছে তাদের ব্যংকি সিসটেমে কোনো হ্যকার ঢুকে নি, বা কোথাও সিকিউরিটি নিয়ে কোনো সমস্যা হয় নি।
- কত টাকা চুরি হয়েছে সেটা বাংলাদেশ ব্যংক বলছে না। এবং বাংলাদেশ ব্যংকের ২৮ বিলিয়ন ডলার আছে বিদেশে জমা।
- নিউ ইয়র্ক ফেড বলছে যে টাকাগুলো সরানো হয়েছে সেগুলো স্বাভাবিক নিয়মে বাংলাদেশ ব্যংকই সরিয়েছে। কোনো হ্যকার ঢুকে কিছু করে নি।
- Bloomberg পত্রিকা বলছে বাংলাদেশ ব্যংকের দাবির প্রক্ষিতে তারা চেক করে দেখেছে। কিন্তু ফেডারেল ব্যংকিক সিসটেমে চোর ঢুকেছে এমন কোনো প্রমান তারা পায় নি।
____
আমার মন্তব্য: টাকা চুরি হলো না কি হলো তাতে আমার কি?
কালকে সকালে সূর্যগ্রহন। দেশে সকালে সূর্য যখন উঠতে থাকবে তখনই আংশিক গ্রহন অবস্থায় উঠবে। এবং সকাল ৬:৪০ এ peak এ পৌছবে। মানে সূর্যের সবচেয়ে বেশি অংশ চাদের দ্বারা ঢাকা থাকবে। এর পরও আংশিক গ্রহন থাকবে।
এর পর এটা কেটে যেতে থাকবে। ৭:২০ এর পর আর গ্রহন থাকবে না।
সূর্যগ্রহনের সময় খাওয়া যায় না, এমন কথা শুনি নি। সূর্যের দিকে তাকালে চোখ নস্ট হবার আশংকা আছে। তাকানো যাবে না।
মসজিদে জামাতের সাথে সূর্যগ্রহনের নামাজ হলে সেখানে জয়েন করা যায়। ঢাকার কোথাও জামাত হবে বলে শুনি নি।
ইদানিং প্রশ্ন আর ভালো লাগে না।
ইদানিং নতুন লিখকের ইসলামি বই পড়তে আর ভালো লাগে না।
যারা আমাকে বুঝাতে চায়, তারা আমার জান্নাতের দায়িত্ব নেবে না।
আজকে আরো ১ বিলিয়ন ডলারের চুরির খবর বেরিয়েছে।
কিছু টাকা কি আর বাকি আছে? নাকি পুরোটাই গায়েব?
http://business.inquirer.net/208243/ph-blocks-870m-stolen-from-bangladesh
আইনুল হুদা ভাইয়ের বিরুদ্ধে লিখাটা পোস্ট করার পরে, এবং এর পরিপেক্ষিতে প্রাইভেট মেসেজে কিছু বাতচিতের পর মন খারাপ করে গত পরশু রাতে শুয়ে ছিলাম।
স্বপ্নে দেখলাম আইনুল হুদা ভাই এবং কয়েকজন বসে আছেন। এর পর তাদের চেহারা মুছে গেলো। দেখলাম তাদের জায়গায় রাসুলুল্লাহ ﷺ বসে আছেন। কিছুটা দুর্বল অবস্থায় হেলান দিয়ে আছেন। এবং উনার ﷺ চারদিকে দেয়ালে পায়খানা লাগানো। এবং পায়খানার গন্ধে আমি কাছে যেতে পারছি না।
___
সকালে উঠে আমি ইবনে শিরিনের স্বপ্নের তাবির দেখলাম। বুঝলাম এর অর্থ হলো আইনুল হুদা ভাইয়দের গ্রুপটা বিদআতের মাঝে আছেন।
___
এর ভিন্ন কোনো ব্যখ্যা বা এতে সন্দেহ কেউ করতে চাইলে তার সাথে আমার তর্ক নেই। যার পথ তাকে খুজে নিতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা উনার রাসুলের উপর অনেক সালাম সালাত পাঠান।
এটা আব্বাসি খিলাফতের বাগদাদের জন্য যেমন সত্য, কর্ডোভার জন্যও তেমন সত্য ছিলো, এবং রাশিয়ার জনপদগুলোর জন্য সত্য ছিলো। সবগুলোকেই আল্লাহ তায়ালা ধ্বংশ করেছেন, তাদের বড় কোনো খারাপের জন্য।
"কি সেই দোষ? কেন?" সেই প্রশ্নের উত্তর খুজতে সময় নিয়ে বই পড়ে দেখতে পারেন।
Scene 1:
- তাহলে বলছেন কেউ যদি নিয়ম মত ওজু করে, তার পরও তার ওজু হবে না যদি না সে ওজুর ফরজ কয়টা সেটা না জানে?
- কিভাবে হবে?
____
Scene 2:
- আমেরিকাতে ১০ বছর থেকে এসে ফটা-ফট ইংরেজি বলে। তাকে ডাইকা জিজ্ঞাসা করলাম বলেন তো টেন্স কয় প্রকার? বলে জানে না। তাহলে কিসের ইংরেজি বলে?
- মানে আপনি বলছেন কেউ টেন্স কয় প্রকার না জানলে সে ইংরেজিতে কথা বলতে পারবে না?
- কিভাবে পারবে?
____
Scene 3:
- হুম। <বলার মত আর কিছু খুজে পেলাম না>
/////////////
সব ইলম আমার দরকার নেই। শুধু প্রয়োজনীয়টা হলেই হলো।
http://www.cbc.ca/news/technology/go-computer-deepmind-lee-sedol-1.3484671
(লিখেছেন সাইমুম সাদী ভাই)
জেদ্দা নগরীর আল বালাদ মার্কেটের অদুরে.'আল বাইক' রেস্টুরেন্ট এ বসে আছি।
আমার সাথে আছেন প্রখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন মাওলানা এমদাদুল হক আড়াইহাজারী রহ.। সময়টা ২০০২ সাল। জীবনে প্রথম বারের মত হজ্বে গিয়েছি তখন।
'আল বাইক' সৌদি আরবের জনপ্রিয় ব্রান্ড। অনেকটা আমাদের দেশের কেএফসির মত। মানুষ লাইন ধরে খাবার কেনে ওখানে।
আল বাইকের ভেতরে বিভিন্ন দেশের মানুষ। বিভিন্ন ভাষার কিচির মিচির। শাদা, কালো, তামাটে বিচিত্র বর্ণের সমাহার।
আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলছিলাম নিজেদের মধ্যে। আমাদের ডানপাশে ঐতিহ্যবাহী এরাবিয়ান পাগড়ি পরে বসে আছেন তিনজন। বাম পাশে বেশ অল্প বয়স্ক দুই যুবক। পরে জানলাম এরা জেদ্দা ইউনিভার্সিতে পড়াশোনা করেন। আড়াইজাজারী হুজুর তাদের সাথে কথা বললেন আরবীতে।
দশ পনেরো মিনিট পর জেদ্দা খেলাফত মজলিসের এক ভাই নিয়ে এলেন খাবার। ঠিক তখনই ডান পাশের এরাবিয়ানরা রাগত স্বরে কি যেন বলতে লাগল। বাম পাশের একজন ছাত্র এদের কথার প্রতিবাদই যেন জানাল। কিন্তু আমি কিছুই বুঝতে পারছিলামনা। ডানের ওরা উঠে চলে গেল। তাদের কথা না বুঝলেও বাংগালি মিসকিন এতটুকু বুঝেছিলাম।
আড়াইহাজারি হুজুর বললেন, এরা সিরিয়ার নাগরিক। বাংগালিদেরকে ওরা মিসকিন হিসেবেই জানে। তারা আমাদের পাশে বসে খেতে ঘৃণাবোধ করছে। সেজন্য উঠে চলে গেছে।
বললাম, বাম পাশের ওরা গেলনা কেনো?
ওরা জেদ্দা ভার্সিটির ছাত্র। সিরিয়ানদের এই মনোভাবের প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।
খেতে খেতে সময় চলে যায়। আমরা আল বাইক থেকে বেরিয়ে এলাম।
আজ এক যুগ পর সেই সিরিয়ান ভাইদেরকে মনে পড়ছে। তার এখন কোথায়? বেচে আছে? নাকি সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপের কোনোও শরণার্থী শিবিরে?
কে জানে?
ইবনে কাসিরের লিখা মনসুর হাল্লাজের জীবনী, যেটা উনি আল বিদায়া ওয়ান নিহায়াতে লিখে গিয়ছেন। সেই অংশের বাংলা অনুবাদ আছে এখানে।
https://ia902302.us.archive.org/22/items/Mansur1stPartBioCopy/Mansur_1st_part_bio-Copy.pdf
অরিজিনাল আরবী আছে এখানে
http://library.islamweb.net/newlibrary/display_book.php?bk_no=59&ID=1785&idfrom=1490&idto=1492&bookid=59&startno=0
সংক্ষেপে উনি বলছেন হাল্লাজ ছিলেন কাজ্জাব বা মিথ্যাবাদী। এটা শুধু মাত্র আনাল হক বলার জন্য না। বরং উনাকে অন্যান্য বিষয়ে যখন জেরা করা হয়েছিলো সেগুলোর ব্যপারেও মিথ্যা বলেছিলেন। এবং উনি প্রতারনামূলক কিছু কাজ করেছিলেন। আনাল হক দাবী করার আগে নিজেকে নবীও দাবী করেছিলেন।
এবং আনাল হক শুধু মুখের কথায় সীমিত ছিলো না বরং উনার কিছু অনুসারি উনার ইবাদত করা আরম্ভ করেছিলো। এবং উনি সেটাকে উৎসাহিত করতেন।
মূত্যুর সময় হাল্লাজ বলেছিলেন আমি ৩০ দিন পর ফিরে আসবো। সেই হিসাবে উনার অনুসারীরা উনার জন্য ৩০ দিন অপেক্ষাও করেছিলো। কিন্তু ৩০ দিন পর উনি ফিরে আসেন নি।
যাই হোক। বাংলা অনুবাদে আনুবাদক নিজের কথা অনেক ঢুকিয়েছেন যেটা পাবেন প্রতিটা পাতার মাঝের আড়াআড়ি [horizontal] একটা লাইনের নিচে। লাইনের উপরে যা লিখা আছে সেটা ইবেন কাসিরের কথা। লাইনের নিচে যেটা লিখা আছে সেটা অনুবাদকের কথা যেটার কোনো দাম নেই। পড়ার সময় বাদ দিয়ে যেতে হবে।
তখন মনে পড়লো আল-বিদায়া থেকে দেখে নেই ইবনে কাসির উনার সম্পর্কে কি বলে গিয়েছেন। এর পরদিন ঐ অংশের অনুবাদটাও পেয়েগেলাম। তাই শেয়ার।
জয় বাংলা বলাতে কোনো পাপ নেই।
কিন্তু "বন্দে মা তরম" কথাটা কুফরি। কারন এর অর্থ হলো "মা আমি তোমার বন্দেগি করছি"। অথচ বন্দেগি মায়ের না, আল্লাহর করতে হয়। "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।"
তাই এটা নিয়ে কোনো সারকাজম বা ডার্ক কমেডিও আমি করি না। ঈমানের প্রশ্ন।
এট লিস্ট আমি তাই বুঝি।
আমি আবার একটু বেশি বুঝি।
কার্যকরী বাংলা OCR পাবেন এখানে Tesseract OCR
https://github.com/tesseract-ocr/tesseract
এটা OpenSource এবং ফ্রী। বাংলা অন্য যত সকল OCR আছে সেগুলো হয় এখন আর পাওয়া যায় না। অথবা কাজ করে না।
FAQ:
- এটা কি OpenSource?
হ্যা। এবং ফ্রী।
- এটার ডাউনলোড পাচ্ছি না।
সবগুলোর উত্তর: গুগুল করেন।
- আপনি কি একটা চালাতে পেরেছেন?
হ্যা। MacOS এবং Linux এ চালাই।
Computer has beaten human again in its mind game. Three in a row and thus winning the series.
Biggest milestone after Deep Blue defeated Kasparov in the 90s.
http://www.theverge.com/2016/3/12/11210650/alphago-deepmind-go-match-3-result
নতুন কিছু জানলে বা কিছু নিয়ে দ্বিধায় থাকলে, সেগুলো নিয়ে শুধু লিখি।
তাই আমার লিখায় দাওয়াহ কম।
যারা দাওয়াহ মূলক লিখা পছন্দ করেন, তাদের বলবো ফেসবুকে যারা দাওয়াহ দিচ্ছে তাদের যে কারো আইডি ফলো করতে। আল্লাহ তায়ালা উনাদের কাজে বরকত দান করুন।
আমার লিখায় দাওয়া খুজে না পেয়ে কেউ রাগ করলে আমার কিছু করার নেই।
এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটা খুব commonly ঘটে। এবং অনেকেই এই বিষয়ে তাদের অসন্তুস্টি আমার কাছে প্রকাশ করেন।
- রাবেয়া বসরীর ঐ কথাটা শুনেছিস? যদি জান্নাতের আশায় মানুষ আল্লাহর ইবাদত করে তবে জান্নাতকে আমি জ্বালিয়ে দেবো আর যদি জাহান্নামের ভয়ে করে তবে জাহান্নামকে নিভিয়ে দেবো?
- জানি।
- উনি আল্লাহর ইবাদত করতেন শুধু উনার সন্তুস্টির জন্য এবং এভাবেই ইবাদত করা পছন্দ করতেন।
- হুম।
- তবে আমি কিন্তু সেটা করি না।
- তাহলে?
- আমি করি জান্নাতের আশায়। জাহান্নামের আগুন থেকে বাচার জন্য।
- কেন?
প্রশ্নটার জবাব দিলো না। সে আমার দিকে তাকিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করলো,
- আমি কি পথহারা?
বহু পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে মুসাফির
শুধু পথের খোজে।
দাড়ি সাদা হয়ে গিয়েছে
চোখের জ্যতি ক্ষিন হয়ে এসেছে।
কাধ বাকা হয়েছে,
লাঠিতে ভর দিয়েছে,
শুধু পথের খোজে।
রাস্তা শেষে হয়ে এসেছে,
দিগন্তে সূর্য ডুবে যাচ্ছে।
পথের শেষ প্রান্তে দাড়িয়ে
সে বৃদ্ধ আজও চিন্তে করছে:
সে কি তার গন্তব্যে পৌছেছে?
নাকি এখনো সে পথ হারা?
সংগীতের তানে আবেগ আছে। কিন্তু সে আবেগ তোমাকে আগুনের দিকে ডাকছে।
গভীর রাতে কাবার ঈমামদের তিলওয়াত শুনেছো? তাদের কান্না?
সেখানেও আবেগ আছে, কিন্তু সেই আবেগ হলো আগুন থেকে মুক্তির।
তোমার রবের সাথে সাক্ষাৎ তুমি পছন্দ কর বা না কর তার সামনে দাড়াতেই হবে।
বহু দিন অপেক্ষায় ছিলাম আমার রব, বহু রাত।
(লিখেছেন সাইমুম সাদী ভাই)
'চলেন বাংলাদেশে একটা নতুন দল করি। আপনি থাকলে আমি কাজ শুরু করে দিব।'
একটি এরাবিয়ান ফুড শপে বসে বাত চিত করার এক পর্যায়ে তিনি এই কথা বললেন। আমি এসির মধ্যেও কথাটা শুনে ঘামতে লাগলাম। তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম চুপচাপ।
বললেন, চিন্তা করছেন কিসের? আপনার কি লজ্জা করেনা?
বললাম, লজ্জা? এটাও যে বুঝেন জেনে প্রীত হইলাম।
আপনাদের কর্মী ছিল ওই যে ইরান নাকি তুরান কি যেন নাম। সে এখন বিশ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা। আর আপনি এখনো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেন।
ইয়েস। এটা তো জিয়াদা শরমিন্দা কি বাত।
শরমিন্দা মানে? সে প্রথমে নিজে একটা দল করল। তারপর বিশ দলীয় জোটে জয়েন করল। এখন শীর্ষ নেতা।
তাহলে এখন আমাকে কি করতে বলছেন?
আপনি আমি মিলে প্রথমে একটা দল করব। দলের মূলনীতিতে জাতিয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, ইসলামী মুল্যবোধ, সমাজতন্ত্র সব থাকবে।
তারপর?
তারপর সুযোগ বুঝে যে কোন জোটে কল্লা ঢুকাইব?।
কল্লা ঢুকাইব? এটা কেমন কথা।
আরে ভাই যোগ দিব। তারপর পত্রিকায়, টেলিভিশনে সাক্ষাতকার প্রচার করব, টকশো করব।
তারপর?
তারপর সুযোগ বুঝে কোপ মারব আর মাল কামাব।
দারুন প্ল্যান। কিন্তু আপনি তো বলেছিলেন, ইসলামী আন্দোলন মানে ত্যাগ ও কুরবানি। এখন এসব কি বলছেন?
আপনি আসলেই বোকা। কি বলেছি না বলেছি এসব কি আর মনে আছে? একটা নতুন ইসলামী দল করেন বুঝতে পারবেন।
কিন্তু আমাকে বলেন, দেশে বান্দরের কি অভাব পড়ে গেছে? এখন নতুন ভাবে কোন ধরনের ভাড়ামি দেখাবেন?
ধুর মিয়া আপনে একটা বাজে মানুষ। আপনার সাথে সময় দেয়াটাই বৃথা।
ভাইজান রাগ করে খাবারের বিল না দিয়েই সার্কাসের হাতির মত হেলে দুলে চলে গেলেন।
ভাবছি, আমি আসলেই বোকা। নাহলে এই বিল দেয়ার দায়িত্ব এখন আমার কাধে চাপত না। এত টাকা এখন কোথায় পাব আমি?
তখন ব্যক-টু-আন্দোলন।
এক ডাক্তার বলছেন: হাসপাতাল থেকে ফোন আসলো এম্বুলেন্সে এক রোগি আছে, অবস্থা খুব খারাপ।
যখন পৌছলো দেখলাম এক যুবক। মারা গিয়েছে, আল্লাহ তায়ালা তার উপর রহম করুন।
কিন্তু তার মৃত্যুর বিশেষত্ব কি? প্রতিদিনই তো হাজার লোক মারা যাচ্ছে? তাদের মৃত্যু কেমন? আর তাদের জীবনের পরিসমপ্তি কেমন?
একজনের ভুল করে ছোড়া গুলি এই ছেলের গায়ে লেগেছে। তার পর তার বাপ-মা দ্রুত তাকে রিয়াদ সামরিক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আল্লাহ উনাদের দুজনকে উত্তম প্রতিদান দিন।
এম্বুলেন্স যাখন রাস্তায় তখন ছেলেটা তার বাপ-মার দিকে ঘুরে ফিরে তাদের সাথে কথা বলে। কি বলে? চিৎকার করছিলো? হা হুতাশা করছিলো? বলছিলো আমাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে চলো? নাকি সে রাগ আর অভিযোগ করছিলো?
ছেলেটা তার বাপ মা কে বলছিলো: "ভয় পেয়ো না। আমি মারা যাবো। তবে নিশ্চিন্তে থাকো। আমি জান্নাতের সুগন্ধ পাচ্ছি!"
আর এটা সে প্রালাপের মত বলছিলো না। বরং বিশ্বাসের সাথে একই কথা এম্বুলেন্সের ডাক্তারদেরকেও বললো। ডাক্তাররা তখন তার জীবন বাচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলো।
সে বললো: "আখি আমি মারা যাচ্ছি, তোমরা নিজেদের কস্ট দিও না। আমি জান্নাতের গন্ধ পাচ্ছি।"
এর পর সে তার বাপ-মাকে কাছে ডেকে জড়িয়ে ধরলো। তাদের কাছে মাফ চাইলো। তার ভাইদের সালাম পাঠালো। এর পর শাহাদাহ পাঠ করলো, "আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসুলুল্লাহ।"
এর পর তার রুহ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে চলে যায়।
আল্লাহু আকবার।
কি বলবো? কি মন্তব্য করবো? আমার কথা গলায় আটকিয়ে যাচ্ছে। হাতের কলম কাপছে। শুধু মনে পড়লো আল্লাহ তায়ালা কথা "আল্লাহ মুমিনদেরকে মজবুত কথা দিয়ে মজবুত করেন। দুনিয়ার এই জীবনে এবং আখিরাতেও।" এর উপর আর কথা নেই। (সুরা ইব্রাহীম আয়াত ২৭)
এর পর উনি বলে যাচ্ছেন। এর পর তাকে গোসল দিতে হবে। আমাদের জিয়া ভাই উনাকে হাসপাতালের মৃতদের গোসলের জায়গায় নিয়ে যায়। এবং সে সেখানে আরেকটা আশ্চর্যজনক ঘটনা দেখে। যেটা সে আজকে মাগরিবের পর বলে।
প্রথমতঃ আমি দেখি তার কপাল দিয়ে ঘাম ঝড়ছে। এটা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর ঐ কথার প্রমান উনি বলেছিলেন মুমিনদের মৃত্যু সময় কপাল দিয়ে ঘাম ঝড়ে। এটা উত্তম মৃত্যুর লক্ষন।
দ্বিতীয়তঃ তার হাত ছিলো নরম, এবং জয়েন্টগুলো বাকা করা যাচ্ছিলো, এবং সেগুলো গরমও ছিলো। আমি এর আগে যত গোসল দিয়েছি কখনো এরকম দেখিনি।
এটা জানা কথা যে মৃতের শরির ঠান্ডা হয়ে যায় আর হাত পা শক্ত হয়ে যায় ও স্থির হয়ে যায়।
তৃতীয়তঃ তার ডান হাত দিয়ে শাহাদাহ দেখাচ্ছিলো। তর্জনি সোজা হয়ে আছে এবং বাকি আংগুল মুষ্ঠিবদ্ধ করা। সুবহানাল্লাহ। কি সুন্দর মৃত্যু। আমরা আল্লাহর কাছে এরকম মৃত্যু চাচ্ছি।
বন্ধুরা গল্প এখানে শেষ না।
আমার ভাই জিয়া তার আব্বাকে জিজ্ঞাসা করলো সে কি করতো?
কি জবাব দিয়েছিলো জানো?
ধারনা করেছিলাম সে হয়তো সারা রাত রাস্তায় আড্ডা দিয়ে বেড়াতো, কিংবা ডিশ টেলিভিশনে হারাম জিনিস দেখে সময় কাটাতো, অথবা সারা রাত ঘুমিয়ে নামাজ পার করে দিতো। অথবা মদ, ড্রাগ, সিগারেট এইসব?
তাহলে যা দেখছি সেগুলো কিভাবে হবে? তার জীবনের এমন পরিসমাপ্তি কিভাবে হবে, যে পরিসমাপ্তি আমরা পাঠক ভাইরা সবাই চাই? যেখানে তুমি মারা যাচ্ছো আর তুমি জান্নাতের ঘন্ধ পাচ্ছো?
তার আব্বা জবাব দিলো, "সে রাতের অধিকাংশ সময় দাড়িয়ে কাটাতো। এবং নামাজ পড়তো যতটুকু আল্লাহ তায়ালা তাকে সামর্থ দিয়েছে। আর বাসার সবাইকে ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার জন্য ডাকা ডাকি করতো। সে ছিলো হাফেজে কোরআন। এবং হাই স্কুলে ভালো রেজাল্ট করে পড়তো।"
আমি বললাম, "আল্লাহ সত্য বলেছেন --- যারা বলে, আল্লাহ আমাদের রব, এর পর তার উপর স্থীর থাকে, তাদের উপর ফেরেশতা নাজিল হয়, যারা তাকে বলে, ভয় করো না, চিন্তা করো না। বরং যে জান্নাতের ওয়াদা তোমাদের দেয়া হয়েছিলো তার সুসংবাদ শোন।
আমরা তোমাদের বন্ধু, এই দুনিয়ার জীবনে এবং আখিরাতে। সেখানে তোমাদের জন্য আছে তোমাদের যা মনে চায়। সেখানে তোমাদের জন্যে আছে যা তোমরা চাও।
এটা গাফুরুর রহিমের পক্ষ থেকে সাদরতা।" (সুরা ফুসসিলাত আয়াত ৩২)
(মূল আরবী থেকে অনুবাদ করা হয়েছে, আরবীটা পাবেন এখানে)
https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=1060202600668093&id=362699180418442
#HabibTranslation
এখানে উত্তর দেয়া হয়েছে "হানাফি মাজহাবীরা ইমাম আবু হানিফাকে অনুসরন করে আর আমরা কোরআন হাদিস অনুসরন করি" এই উক্তির ব্যখ্যা।
তার পরও এখানে কথা শেষ না। এর উল্টো কথাও আছে। সেগুলো সময় পেলে গ্লোবাল পোস্টে দেবো ইনশাল্লাহ।
- শয়তান যে নেক সুরতে মানুষকে ৭০ হাজার ভাবে ধোকা দিতে পারে জান?
- কেন, কি হয়েছে?
- তুমি এই যে মসজিদে বসে একা একা জিকির করো এটা আসলে নেক সুরতে শয়তানের ধোকা।
- কিভাবে?
এর পর লোকটা ছেলেটার কাছে অনেক কিছু ব্যখ্যা করলো।
এর পর ছেলেটাকে মসজিদ থেকে উঠিয়ে নিয়ে চলে গেলো।
আমি জানি না কোনটা ছিলো নেক সুরতে শয়তানের ধোকা:
তার এখানে বসে থাকা
নাকি উঠে যাওয়া।
পথেই চলছি আমি, তারপরও পথহারা।
ভিতরে ছিলো প্রচুর রোমান সেনা যারা উচু জায়গাগুলো থেকে মুসলিমদের উপর তীর ছুড়ে মারে। মুসলিমরা একপর্যায়ে কাহিল হয়ে যায়।
রাতের বেলা আল্লাহ তায়ালা এক মুসলিম সেনার অন্তরে চমৎকার একটা এলহাম দিয়ে দেন। সে রাতেবেলা একা একা দুর্গের দরজার কাছে যায়, এবং গোপনে একটা গর্ত করতে থাকে যতক্ষন না একটা সুরঙ্গ তৈরি হয়। এর পর সে ফিরে আসে কাউকে না জানিয়ে।
পর দিন সকালে মুসলিম সেনাদল অন্যদিনের মত যুদ্ধের জন্য তৈরি হয়ে যায়। ঐ লোক একা গিয়ে ঐ সুরঙ্গ দিয়ে ঢুকে দরজা খুলে দেয়। মুসলিম সেনারা দরজা দিয়ে ঢুকা আরম্ভ করে এবং দেয়াল বেয়েও উপরে উঠা আরম্ভ করে। এর অল্প কিছু পরেই রোমান সেনারা দেয়ালের উপর থেকে আর দুর্গের ভেতর মুসলিমদের তকবিরের ধ্বনি শুনতে পায়। মুসলিমরা বিজয় লাভ করে।
যুদ্ধ শেষে মুসলিমা বিন আব্দুল মালেক সমস্ত যোদ্ধাদের একত্রিত করে এবং ঘোষনা দেয়, "দুর্গের দরজায় সুরঙ্গ কে তৈরি করেছিলো? সামনে আস। আমি তাকে সন্তুস্ট করে দেবো।"
কেউ এগিয়ে আসলো না।
সে দ্বিতীয়বার ঘোষনা দিল, "কে সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিলো বেরিয়ে আসো।"
কেউ আসলো না।
দ্বিতীয় দিন সে একই ঘোষনা দিল যেটা আগের দিন দিয়েছিলো।
কেউ আসলো না।
তৃতীয় দিন সে দাড়িয়ে ঘোষনা দিলো, "আমি কছম দিয়ে বলছি, যে সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিলো সে যেন আমার কাছে আসে যখনই সে চায়, রাতে হোক বা দিনে।"
রাতে যখন সেনাপতি তার তাবুতে বসে ছিলো, মুখ ঢাকা এক লোক তার তাবুতে ঢুকলো।
মুসলিমা তাকে জিজ্ঞাসা করলো, "তুমি কি সুড়ঙ্গ তৈরি কারি?"
সে বললো, "সুড়ঙ্গকারি চায় তার আমিরের কসম সে পূর্ন করবে। কিন্তু তাকে খুজে পাবার আগে তার তিনটি শর্ত আছে।"
মুসলিমা বললো, "শর্তগুলো কি?"
লোকটা বললো, "শর্তগুলো হলো, তার নাম জিজ্ঞাসা করতে পারবেন না, তার চেহারা খুলতে বলতে পারবেন না এবং তাকে কোনো পুরস্কার নিতে বলতে পারবেন না।"
মুসলিমা বললো, "কথা দেয়া হলো।"
লোকটি বললো, "আমি হলাম সুড়ঙ্গ তৈরিকারী"
এটা বলেই সে চলে গেলো, এবং তাবুগুলো মাঝ দিয়ে দ্রুত হেটে সেনাবাহিনীদের মাঝে হারিয়ে গেলো।
إنْ لم يكن للهِ فعلك خالصًا فكلُّ بناءٍ قد بنيْتَ خرابُ.
যদি তুমি খালেছ অল্লাহ জন্য করতে না পরো,
তাহলে তোমার তৈরি সব ঘরই হবে খারাপ ঘর।
মুসলিমা এর পর সিজদায় বলতো
اللهم احشرني مع صاحب النقب ، اللهم احشرني مع صاحب النقب
আল্লাহ! আমার হাশর সেই সুড়ঙ্গকারীর সাথে করো,
আল্লাহ! আমার হাশর সেই সুড়ঙ্গকারীর সাথে করো।
(অনুবাদ করা হয়েছে এখান থেকে)
https://www.facebook.com/362699180418442/photos/a.362702487084778.83853.362699180418442/1061219150566438/
#HabibTranslation
(Collected)
- ইউনিভার্সিটির ইমামরাতো আছেই, অযু ছাড়াই চলে, চক্রাকারে, গোল হয়ে, নারী পুরুষ একাকার হয়ে!
(মাওঃ হাসান জামিলের কমেন্ট থেকে)
// স্মৃতিতে রাজিব হায়দার।
- এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান স্যার লিখেছেন: "দেখবেন রাজার বাড়ী বিশাল বড় হয়; আসলে ঐ বাড়ীটাই দেশ শাসন করে। দেখবেন বিচারকের চেয়ার অনেক উঁচু হয়; বিচারক সেখানে বসার পর তার নীচে দাঁড়িয়েই আপনি নিজেকে ছোট ভাবতে শুরু করে দেবেন। এখনো দেখবেন- কেউ কেউ নিজে চেয়ারে বসে অন্যদের মাটিতে বসায়।
এগুলো হচ্ছে গুনহীনদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার কৌশল।"
-
ইন্ডিয়া: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলায়, ভারতীয়রা সাপোর্ট করেছে পাকিস্তানিদের। বাংলাদেশীদের প্রতি তাদের ঘৃনা এখন অন্তহীন। আমাদের দুঃখ, সর্বস্ব দিয়েও দাদাদের মন পেলাম না।
অন্য খবরে প্রকাশ, পাকিস্তান সিমান্ত থেকে বাংলাদেশ সিমান্তে এখন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংখ্যা বেশি। পাকিস্তান সিমান্তে ৪০ হাজার। বাংলাদেশ সিমান্তে ৫০ হাজার।
বাংলাদেশ: তথ্যপ্রযুক্তিবীদ জোহা গতকাল রাতে নিখোজ। উনি বাংলাদেশ ব্যংকের সিকিউরিটির সাথে জড়িত এবং এর আগে রিজার্ভ চুরির বিষয় নিয়ে একটা সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন যেখানে বলেছিলেন ব্যংকের কর্মকর্তারা এটা করে থাকতে পারে। বাংলাদেশ ব্যংক এর পর উনার কথার প্রতিবাদ করে।
মধ্যপ্রাচ্য: ঠান্ডা। এত শান্ত অনেক দিন ধরেই দেখা হয় নি।
"...এর পর আসবে অন্ধকারচ্ছন্ন ফিতনা। যখনই বলা হবে এটা শেষ, তখনই সেটা আরো বেড়ে যাবে..."
Time should say.
মুমিনের অন্তরে অবেগের অভাব হয় না। আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা আল্লাহর রাসুলের প্রতি ভালোবাসা তার অন্তরকে সিক্ত রাখে।
ইস্তেগফার তার অন্তরকে পরিস্কার করে।
কোরআন তিলওয়াত তার অন্তরকে কাদায়।
একজন সেকুলারের জন্য জিনিষটা কিছু ভিন্ন। তার কোরআন নেই। স্রস্টা কনসেপটাও তার কাছে স্বত্বসিদ্ধ না।
তাই সে আবেগ খুজে কবিতার মাঝে। অন্তরের শান্তি খুজে গানে।
রবিন্দ্রনাথের মর্যাদা তার কাছে ঐ রকম যেমন মুমিনরা
- হাদিস, এহইয়াউ উলুমুদ্দিন।
হে আল্লাহ আমাকে এবং তাদেরকে দিন, বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে,
দীন, দুনিয়া, আখিরাতে যা আপনার কাছে আছে।
আমাদের সাথে ঐ ব্যবহার করবেন না, হে আমাদের মাওলা, যা আমরা প্রাপ্য।
আপনি গাফুরুর হালিম।
আপনি যাওয়াদুল কারিম।
আপনি রাউফুর রাহিম।
- এহইয়াউ উলুমুদ্দিন।
#HabibDua
উনি জবাব দিলেন, কখনো স্বশব্দে পড়তেন আবার কখনো নিঃশব্দে।
- এহইয়াউ উলুমুদ্দিন।
এই ডেফিনিশনটা ঠিক করতে না পারলে, ওয়াজ করতে পারলেই একজন নিজেকে আলেম দাবি করতে পারে, আর গাড়ি ঠিক করতে পারলেই নিজেকে ইঞ্জিনিয়ার দাবি করতে পারে।
এতদিন অধিকাংশ প্লেন ক্রাশের সাথে লেগে ছিলো মালয়শিয়ার নাম।
এখন অধিকাংশ ক্ষেত্রে আসে রাশিয়ার নাম।
আজকে আরেকটা প্লেন ক্রাশ হলো রাশিয়ায়।
____
ছোট বেলায় শুনতাম কারো কাহিনী, "...আমি ম্যচ জ্বালাতে যাবো, দেখি কেমন একটা গন্ধ। চুলার গ্যস ছাড়া ছিলো। ভাগ্যিস ম্যচটা জ্বালাই নি। জ্বালালেই ...." বহু বার শুনেছি বহু জনের কাছ থেকে।
পার্থক্য হলো
আগে মানুষ বেচে যেতো।
এখন আর বাচে না, বিস্ফোরিত হয়।
رقم الحديث: 10410
(حديث مرفوع) (حديث موقوف) سَلْ يَا سَعْدِيُّ ، فَقُلْتُ : أَبَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ، هَلْ لِلسَّاعَةِ مِنْ عِلْمٍ تُعْرَفُ بِهِ السَّاعَةُ ؟ وَكَانَ مُتَّكِئًا فَاسْتَوَى جَالِسًا ، فَقَالَ : يَا سَعْدِيُّ ، سَأَلْتَنِي عَمَّا سَأَلْتُ عَنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، سَلْ يَا سَعْدِيُّ ، فَقُلْتُ : أَبَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ، هَلْ لِلسَّاعَةِ مِنْ عِلْمٍ تُعْرَفُ بِهِ السَّاعَةُ ؟ وَكَانَ مُتَّكِئًا فَاسْتَوَى جَالِسًا ، فَقَالَ : يَا سَعْدِيُّ ، سَأَلْتَنِي عَمَّا سَأَلْتُ عَنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، هَلْ لِلسَّاعَةِ مِنْ عِلْمٍ تُعْرَفُ بِهِ السَّاعَةُ ؟ فَقَالَ لِي : " يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ لِلسَّاعَةِ أَعْلامًا ، وَإِنَّ لِلسَّاعَةِ أَشْرَاطًا ، أَلا وَإِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يَكُونَ الْوَلَدُ غَيْظًا ، وَأَنْ يَكُونَ الْمَطَرُ قَيْظًا ، وَأَنْ تَفِيضَ الأَشْرَارُ فَيْضًا ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يُصَدَّقَ الْكَاذِبُ ، وَأَنْ يُكَذَّبَ الصَّادِقُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يُؤْتَمَنَ الْخَائِنُ ، وَأَنْ يُخَوَّنَ الأَمِينُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ تَوَاصَلَ الأَطْبَاقُ ، وَأَنْ تَقَاطَعَ الأَرْحَامُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يَسُودَ كُلَّ قَبِيلَةٍ مُنَافِقُوهَا ، وَكُلَّ سُوقٍ فُجَّارُهَا ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ تُزَخْرَفَ الْمَسَاجِدُ ، وَأَنْ تُخَرَّبَ الْقُلُوبُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يَكُونَ الْمُؤْمِنُ فِي الْقَبِيلَةِ أَذَلَّ مِنَ النَّقْدِ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يَكْتَفِيَ الرِّجَالُ بِالرِّجَالِ وَالنِّسَاءُ بِالنِّسَاءِ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ تَكْثُفَ الْمَسَاجِدُ وَأَنْ تَعْلُوَ الْمَنَابِرُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يُعْمَرَ خَرَابُ الدُّنْيَا ، وَيُخْرَبَ عِمْرَانُهَا ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ تَظْهَرَ الْمَعَازِفُ ، وَتُشْرَبَ الْخُمُورُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا شُرْبَ الْخُمُورِ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا الشُّرَطُ وَالْغَمَّازُونَ وَاللَّمَّازُونَ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يَكْثُرَ أَوْلادُ الزِّنَى " ، قُلْتُ : أَبَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ، وَهُمْ مُسْلِمُونَ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، قُلْتُ : أَبَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ، وَالْقُرْآنُ بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، قُلْتُ : أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، وَأَنَّى ذَاكَ ؟ قَالَ : يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يُطَلِّقُ الرَّجُلُ الْمَرْأَةَ ، ثُمَّ يَجْحَدُ طَلاقَهَا فَيُقِيمُ عَلَى فَرْجِهَا ، فَهُمَا زَانِيَانِ مَا أَقَامَا .
দরবেশ চুপ থাকলেন।
তিনি বললেন "তুমি সত্যিকার দরবেশ হলে মৃত্যুকে প্রিয় মনে করতে৷"
এরপর তিনি এই আয়াত পাঠ করলেন: ফাতামান্নাউল মাউতা ইন কুনতুম সাদিকিন [সুরা বাকারা] অর্থাৎ, তোমরা মৃত্যু কামনা কর যদি সত্যবাদী হয়ে থাক৷
দররেশ বললেন, "এক হাদীসে তো রসুলুল্লাহ ﷺ মৃত্যু কামনা করতে নিষেধ করেছেন?"
বুয়ায়তী বললেন, "এই নিষেধাজ্ঞা তখন, যখন বান্দার উপর কোন মুসীবত নাযিল হয়৷"
- এহইয়াউ উলুমুদ্দিন।
একদিন সে আরয করল, "আমি ত্রিশ বছর ধরে অবিরাম রোযা রাখছি এবং রাত জেগে নফল এবাদত করছি৷ কিন্তু এত সাধনা সত্বেও আপনি যে জ্ঞান বর্ণনা করেন, তা নিজের অন্তরে বিদ্যমান পাই না৷ অথচ আমি এই জ্ঞানকে সত্য বলে বিশ্বাস করি এবং ভালবাসি৷"
হযরত আবু ইয়াযীদ বললেন, "ত্রিশ বছর কেন, যদি তুমি তিনশ বছরও রোযা রাখ এবং রাত্রি জাগরণ কর, তবু এই জ্ঞানের কণা পরিমাণও পাবে না৷"
লোকটি এর কারণ জিজ্ঞাসা করলো।
তিনি বললেন, "কারণ এই যে, তুমি নিজের নফসের কারণে আল্লাহ তা’আলা থেকে আড়ালে আছ৷"
লোকটি আরয করল, "তাহলে এর প্রতিকার কি?"
তিনি বললেন "প্রতিকার আছে। কিন্তু তুমি তা কবুল করবে না৷"
সে বলল, "আপনি বলুন, যাতে আমি তা পালন করতে পারি৷"
তিনি বললেন, "এখনি নাপিতের কাছে গিয়ে মাথা ও দাড়ি মুণ্ডন কর৷ এই পোশাক খুলে কম্বলের লুঙ্গি পরিধান কর৷ ঘাড়ে আখরুটের একটি ঝুলি তুলে নাও৷ রাস্তায় গিয়ে নিজের চারপাশে লোকজনকে জড়ো কর৷ এরপর তাদেরকে বল যে কেউ আমাকে একটি থাপ্পড় মারবে, আমি তাকে একটি আখরুট দেব৷ এমনিভাবে প্রত্যেক বাজারে যাও এবং যারা তোমার পরিচিত, তাদের কাছেও যাও এবং থাপ্পড় খেয়ে থেয়ে আখরল্ট বিলি কর৷"
লোকটি বলল, "সােবহানাল্লাহ, আপনি আমাকে এমন কথা বললেন!"
তিনি বললেন, "তোমার সোবহানাল্লাহ বলা একটি শিরক৷ কারণ, তুমি নিজের নফসকে বড় জেনে সােবহানাল্লাহ বলেছ৷ আল্লাহ তা’আল[র তাযীমের জন্যে বলনি৷"
লোকটি বলল, "আমি এটা করব না৷ অন্য কিছু বলুন৷"
তিনি বললেন, "সর্বাগ্রে এটাই করা দরকার৷"
সে বলল, "এটা করার সাধ্য আমার নেই৷"
হযরত আবু ইয়াযীদ বললেন, "আমি তাে আগেই বলেছিলাম যে, তুমি প্রতিকার কবুল করবে না৷"
- এহইয়াউ উলুমুদ্দিন, অহংকার আর আত্মম্ভরিতা বিষয়ে।
কিন্তু as usual, এই বর্ননাগুলো হাদিস থেকে আসে নি। তাই নিজ নিজ আলমের মত নিয়ে নেয়া ভালো।
হানাফি/দেওবন্দি হিসাবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি এর উপর আমল করার ইচ্ছে করি।
ইমাম গাজ্জালি নিজে হানাফি ছিলেন না। বরং ছিলেন শাফেয়ি মাজহাবের অনুসারী।
এবং শাফেয়ি মাজহাবে সুফিজমের শিক্ষা, আমার কাছে মনে হয় হানাফিদের থেকে বেশি।
দোয়াটা এখানে। দোয়ার পেছনের ঘটনা উল্লেখ করলাম না।
اللَّهُمَّ كَما لَطَفْتَ في عَظَمَتِكَ دونَ اللُّطَفاءِ
وَعَلَوْتَ بِعَظَمَتِكَ على العُظَماءِ
وَعَلِمْتَ ما تَحْتَ أَرْضِكَ كَعِلْمِكَ بِما فَوْقَ عَرْشِكَ
فَكانَتْ وَسَاوِسُ الصُّدُورِ كالعَلانِيَةِ عِنْدَكَ
وَعَلانِيَةُ القَوْلِ كَالسِّرِّ في عِلْمِكَ
وَانقادَ كُلُّ شَيءٍ لِعَظَمَتِكَ
وَخَضَعَ كُلُّ ذي سُلطَانٍ لِسُلطانِكَ
وَصارَ أَمْرُ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ كُلُّهُ بِيَدِكَ
اجْعَلْ لي مِنْ كُلِّ هَمٍّ أَمْسَيْتُ فِيْهِ فَرَجاً وَمَخْرَجاً.
اللَّهُمَّ إِنَّ عَفْوَكَ عَنْ ذُنُوْبِي
وَتَجاوُزَكَ عَنْ خَطيئَتي
وَسَتْرَكَ على قَبيحِ عَمَلي
أَطْمَعَني أَنْ أَسْأَلَكَ ما لا أَسْتَوْجِبُهُ مِمَّا قَصَّرْتُ فيهِ
أدْعُوكَ آمِناً
وَأَسْأَلُكَ مُسْتَأْنِساً، فإِنَّكَ الْمُحْسِنُ إِلَيَّ
وَأنا الْمُسِيءُ إِلَى نَفْسِي فِيما بَيْنِي وَبَيْنَكَ
تَتَوَدَّدُ إِلَيَّ بِنِعَمِكَ
وَأتَبَغَّضُ إِلَيْكَ بِالْمَعَاصِي
وَلَكِنَّ الثِّقَةَ بِكَ حَمَلَتْنِي على الْجَراءَةِ عَلَيْكَ
فَجُدْ بِفَضْلِكَ وَإِحْسَانِكَ عَلَيَّ
إِنَّكَ أَنْتَ التَّوّابُ الرَّحِيْمُ، فَإِنَّكَ قُلْتَ
وَقَولُكَ الْحَقُّ: ﴿اللَّهُ لَطِيْفٌ بِعِبَادِهِ يَرْزُقُ مِنْ يَشَاءُ وَهُوَ القوِيُّ العَزِيزُ﴾
يالَطِيفُ
يَاخَبِيرُ
ياحَافِظُ.
[Translation pending]
#HabibDua
https://www.washingtonpost.com/news/the-switch/wp/2016/03/17/why-students-are-throwing-tons-of-money-at-a-program-that-wont-give-them-a-college-degree/
আজকে অফিসে গেলাম এবং পায়ে হেটে বাসায় ফিরলাম।
পায়ে হেটে ঘুরতে পারাটা আজকে আল্লাহ তায়ালার অনেক বড় নিয়ামত মনে হলো।
অথচ যখন পায়ে হেটে সব জায়গায় যেতাম তখন এই বলে না-শুকরিয়া করতাম যে, যদি আমার কাছে বাসে চড়ার ভাড়াটা থাকতো তবে বাসেই চড়েই সবজায়গায় যেতে পারতাম।
নিয়ামতে ডুবে আছি বলে নিয়ামতগুলোকে উপলবদ্ধি করতে পারছি না।
দুই স্কুলেই। তাই ড্রেস দেখে বুঝা যেতো না কে কোন স্কুলের।
আমাদের স্কুলে ক্লাস চলা কালে সবার মাথায় টুপি থাকতে হতো। স্যর ঢুকে জিজ্ঞাসা করতেন,
- এই তোমার মাথায় টুপি কোথায়?
- সে হিন্দু স্যার
বাকি সবাই সমস্বরে জবাব দিতাম।
এর পর স্যার ১৫ মিনিট ধরে লেকচার দিতেন কেন হিন্দুরাও টুপি পড়তে পারে।
- গান্ধিটুপি হিন্দুরাও পড়ে। সব কিছু ঢাকলাম, কিন্তু মাথা খুলা রাখবো এটা নেচারেল না।
এসব।
ক্লাসের ফার্স্ট বয় ছিলো হিন্দু। একদিন দেখলাম ধমক খেয়ে সেও গান্ধি টুপি পড়ে এসেছে।
আমার কাছে স্যারদের কাজটা একটু বাড়া বাড়ি মনে হয়েছিলো।
____
আজ ৩০ বছর পর। খবরে প্রকাশ মতিঝিল মডেলে মেয়েদের হিজাব পড়া নিষেধ। যে স্কুলে কিনা এক সময় ছেলেরা টুপি পড়ে যেতো।
وَتِلْكَ الْأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ
"এই ভাবে আমি দিনগুলোকে মানুষের মাঝে ঘুরাতে থাকি।"
বিজয়-পরাজয় কখনো হিন্দুদের কাছে যাবে কখনো মুসলিমদের। এটাই আল্লাহর নিয়ম।
এখন হিন্দুদের সময়।
আমার পেজে আসতে হয় না। সার্চ করলেই সার্চ পেজ থেকে সরাসরি উত্তর দেখায়।
আমি মুসলিমদের পক্ষে। সে মুসলিম যে দেশের বর্ডারে থাকুক না কেন।
যতক্ষন তারা তাওহিদের সাক্ষ্য দেয় আর নামাজ পড়ে ততক্ষন আমি তাদের পক্ষে।
যদি মুসলিম আর অমুসলিমদের মাঝে দ্বন্ধে দোষটা মুসলিমদের হয়?
তবুও আমি মুসলিমদের পক্ষে।
ন্যয়বিচার তাহলে কোথায়?
আমি ন্যয়-অন্যায় বিচার করি ইসলাম কোনটাকে ন্যয় বলে আর কোনটাকে অন্যায় বলে সেটা দিয়ে। ইসলামকে বাদ দিয়ে নিউট্রাল বা এথিক্যল কোনো পজিশনে দাড়িয়ে না।
আমি নিরপেক্ষ না।
প্রথমত: সর্দি জ্বর সাত দিন পর এমনিতে ভালো যায়। কোনো ঔষধ না খেলেও। এ থেকে প্রবাদটা এসেছে "সর্দি জ্বর ঔষধ খেলে ভাল হয় সাত দিনে না খেলে ভালো হয় এক সপ্তাহে।"
তাই সর্দি জ্বর দিয়ে অনেক ম্যজিক দেখানো সুযোগ আছে। একজন জ্বর নিয়ে তিন জন প্রফেসরের কাছে ঘুরেছে। কাজ হয় নি। সর্বশেষ যে ডাক্তারের কাছে গেলো সেখানে ম্যজিকের মত কাজ হয়েছে। পর দিন জ্বর শেষ।
শেষ ডাক্তারের কাছে সে যে ছয় দিনের মাথায় গিয়েছিল সেটা আর কে খেয়াল করবে?
শেষ ডাক্তার তাকে টেপের পানি দিতে পারে, বা তার দিকে তাকিয়ে জোরে ফুক দিতে পারে, কিংবা নাম না জানা কোনো কম্পানির প্যরাসিটামল ঔষধ দিতে পারে।
যাই দেক তার জ্বর ভালো হয়ে যাবে ৭ দিনের মাথায়।
ঝড়ে বক মরে ডাক্তারের কেরামতি বাড়ে।
___
দ্বিতীয়তঃ কফের সিরাপ হলো suppressant. Curer না। গলাকে অবশ করে দিয়ে কাশির অনুভুতিকে কমিয়ে দেবে।
গলার ইনফেকশন রয়ে গেলো এবং এই অবস্থায় ফুসফুস প্রানান্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে কাশি দিয়ে ভেতরের জীবানু বাইরে ছুড়ে ফেলে দেবার জন্য।
আমার এটা পছন্দ না। তাই ঔষধ খেয়ে গলাকে অবশ করে কাশি বন্ধ করে দিলাম।
ভালো, ভালো না?
প্লাস, হুজুর হয়ে এর রিক্রিয়েশনাল ড্রাগ ইফেক্ট নিয়ে আর কোনো কথা তুললাম না। এর উপর বহু আলোচনা হয়ে গিয়েছে।
___
তৃতীয়তঃ ব্যকটেরিয়েল ইনফেকশন হয়েছে ধরে নিয়েই যদি বেশি বেশি অন্টিবায়োটিক খাওয়া আরম্ভ করে দেই। তবে সুস্থ হব ঠিক। সাত দিন পরে অটোমেটিক হোক বা এন্টিবায়োটিকে। উল্লেখ্য এন্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যকটেরিায়ার বিরুদ্ধে কাজ করে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে এর কাজ হলো zero, nada, কিছুই না।
কিন্তু অপ্রয়োজনে ঘন ঘন এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কারনে কিছু দিন পর আমার শরিরের ব্যকটেরিয়াগুলো ঐ অন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট হয়ে যাবে।
এর পর আমাকে অন্য এন্টিবায়োটিক খুজতে হবে। যতক্ষন না সেটাও রেজিস্টেন্ট হয়ে যায়।
এর পর আরেক এন্টিবায়োটিক।
আর বাংলাদেশের ডাক্তাররা জ্বর হলে ভাইরাল নাকি ব্যকটেরিয়াল ইনফেকশনের জন্য হয়েছে সেটা বুঝেও-না, দেখেও-না। সবই এন্টইবায়োটিক দিয়ে দেয়। রোগীও খুশি।
এর পর যখন বাজারের সব এন্টিবায়োটিকে রেজিস্টেন্স চলে আসে, তখন আল্লাহর উপর ভরসা করা ছাড়া উপায় নেই।
আমিও আল্লাহর উপর ভরসা করি।
তবে ঐ শেষে না গিয়ে, প্রথম থেকেই করার চেষ্টা করি।
ট্যগস:
#নিজের_ডাক্তারি_নিজে
#গুগুল_থাকতে_ডাক্তার_কেন?
#বেশি_পন্ডিতি :-P
#dont_try_this_at_home
যখন সাহসী ও ভীতু ঊভয়ে লড়াইয়ে অংশ গ্রহন করে তখন ভীতু ব্যক্তি বেশি সওয়াব পায়।
আর যখন দানশীল ও কৃপণ উভয়ে দান করে, তখন কৃপণ ব্যক্তি বেশি সওয়াব পায়।
- عبد الله بن المبارك ,كتاب الجهاد
এক বেদুঈন রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এসে জিহাদে যাওয়ার অনুমতি চাইল৷ তিনি বললেন "তোমার পিতামাতা কি জীবিত?"
সে বললাে "হ্যাঁ৷"
তিনি বললেন, "তাহলে ঐ দুজনকে নিয়েই জিহাদ কর৷"
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী)
______
১২৫৩৷ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) বলেন:
এক ব্যক্তি রাসুল ﷺ এর কাছে এসে বললাে, "আমি হিজরতের অংগীকার করার জন্য আপনার কাছে এসেছি এবং পিতামাতাকে কাঁদতে দেখে এসেছি৷"
রাসুল ﷺ বললেন, “তুমি তোমার মা-বাবার কাছে ফিরে যাও এবং তাদেরকে যেমন কাঁদিয়ে এসেছ, তেমনি তাদের মুখে হাসি ফুটাও।"
(আবু দাউদ)
_______
১২৫৪৷ হযরত আবু সাঈদ (বা) বলেন:
এক ব্যক্তি ইয়ামান থেকে হিজরত করে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এলো৷
রাসুল ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, "ইয়ামানে কি তোমার কোন আপনজন আছে?"
সে বললো, "আমার পিতামাতা আছেন৷"
রাসুল ﷺ বললেন, “তারা কি তোমাকে এখানে আসার অনুমতি দিয়েছেন?"
সে বললো "না৷"
রাসুল ﷺ বললেন, "তাহলে তাদের কাছে ফিরে যাও এবং অনুমতি চাও৷ তারা অনুমতি দিলে জিহাদে এসো৷ নচেৎ তাদের সাথে সদাচরণ করতে থাকো৷"
_________
১২৫৫৷ হযরত আনাস (রা) বলেন:
এক ব্যক্তি রাসুল ﷺ এর কাছে এসে বললো, “আমি জিহাদে যেতে চাই কিন্তু আমার যে সামর্থ নেই”৷
রাসুল ﷺ বললেন, "তোমার মা-বাবা কেউ কি বেঁচে আছে?"
সে বললো, "আমার মা আছেন৷"
রাসুল ﷺ বললেন, "তুমি তোমার মায়ের সাথে সদাচরণের মধ্যে দিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ কর৷ এটা করলেই তুমি হাজী, ওমরাকারী ও জিহাদকারীরুপে গণ্য হয়ে যাবে৷"
(তাবরানী, আবু ইয়ালা)
______
১২৫৬৷ হযরত তালহা বিন মুয়াবিয়া সালামী (রা) বলেন:
আমি রাসুল ﷺ এর কাছে এসে বললাম, "ইয়া রাসুলুল্লাহ, আমি আল্লাহর পথে জিহাদ করতে চাই৷"
তিনি বললেন, "তোমার মা কি জীবিত?"
আমি বললাম, "জী৷"
রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন, "তার পায়ের কাছে সব সময় বসে থাকো। কেননা ওখানেই জান্নাত রয়েছে৷"
(তাবরানী)
_____
সবগুলো হাদিস এবং নম্বরগুলো "আত-তারগীব ওয়াত তারহীব" থেকে নেয়া।
মসজিদ আছে অনেক। ম্যপ ঘেটে দ্রুত কাছেরটা বের করে ফেললাম। একটা রেসিডেন্সিয়াল এরিয়ায়। হেটে যেতে হবে।
কাছে গিয়ে দেখি বিশাল কনসার্ট হচ্ছে কোথাও। গান বাজনা। মসজিদের কাছে গিয়ে দেখি মসজিদেই কনসার্ট। মসজিদের ভেতরে না, কিন্তু প্রতিটা মসজিদের পাশে সোসিয়ালাইজেশনের জন্য কিছু জায়গা থাকে, সেখানে।
নামাজে দাড়ালে বুজুর্গদের কানে আর কিছু যায় না। আমার কানেও কিছু যায় না, কিন্তু সেটা যতটা না আল্লাহর ধ্যানে, তার থেকে বেশি দুনিয়া ধ্যনে। কি চিন্তা কোথা থেকে আসে জানি না, কিন্তু নেট ইফেক্ট হলো বাইরের শব্দ তখন আর ডিসটার্ব করে না।
মুসাফির, দুই রাকাত কসর পড়লেই হয়ে যায়। সেটা করে এর পর বেরুলাম কনসার্টের রহস্য ভেদ করতে।
বের করলাম কনসার্ট না, বাচ্চাদের ইসলামি গানের প্রতিযোগীতা হচ্ছে।
আর মিউজিক? না মিউজিক যেটা মনে করেছিলাম সেটা আসলে শুধু মাত্র "দফ"। ঢোলের মত। যেটা শাফেয়ি মাজহাব মতে বাজানো জায়েজ।
এবং মালয়েশিয়া সিংগাপুরে সবাই হলো শাফেয়ী।
হারাম কিছু পেলাম? আমি পাই নি, তাদের মাজহাব মতে তারা ঠিক। বাকিটা আলেমরা বলতে পারবে।
______
শাফেয়ি মাজহাবে ওয়াজিব বলে কিছু নেই। কোনো কাজ হয় সুন্নাহ নয়তো ফরজ।
ছেলেদের দাড়ি রাখা হলো হানাফি মাজহাবে ওয়াজিব।
শাফেয়ি মাজহাবে দাড়ি? ওয়াজিব করার সুযোগ নেই। তাই কারো মতে ফরজ, অন্য কারো মতে সুন্নাহ। এবং সাধারন ভাবে গ্রহন করা হয় সুন্নাহ মতটা।
কেউ আওয়াজ তুলতে পারেন "আমি নেটে অমুক পিডিএফে বইয়ে পড়েছি দাড়ি রাখা চার মাজহাবে ফরজ! আপনি কই পান এই সব ফতোয়া?"
পিডিএফটা সালাফি-হাম্বলিদের লিখা। হাম্বলি মাজহাবে দাড়ি রাখা ফরজ। এবং সেটা প্রমান করতে চার মাজহাবের যেই যেই ইমামদের মতে দাড়ি রাখা ফরজ শুধু সেই মতগুলো কালেক্ট করা হয়েছে। অন্যগুলো বাদ দেয়া হয়েছে। আমি উপরে মেইনস্ট্রিম মত উল্লেখ করেছি। অধিকাংশ যেটা গ্রহন করে সেটা।
এর পর মিশরের বিখ্যাত আলেম সাইয়েদ কুতুবের ছবি চোখে পড়লো এক দিন। দাড়ি নেই।
খারাপ ধারনা করবো? উহু। উনি ছিলেন শাফেয়ি মাজহাবের অনুসারি। এবং শাফেয়ি মাজহাবে দাড়ি রাখা সুন্নাহ। উনি সুন্নাহর এই উপর আমল করেন নি। এতটুকু।
______
মাঝে মাঝে কোনো মুসলিমকে পাপী মনে হতে পারে।
কিন্তু মাজহাবের পার্থক্যগুলো জানলে তখন আর সেটা মনে হয় না।
আমার মাজহাবের নিয়ম তার উপর খাটালে চলবে না।
তার মাজহাবে সে ঠিক আছে।
সুড়ংগের শেষে কোনো আলো নেই।
Now we're back to the beginning
It's just a feeling and no one knows yet
But just because they can't feel it too
Doesn't mean that you have to forget
Let your memories grow stronger and stronger
Till they're before your eyes
You'll come back
When they call you
No need to say goodbye
- The Call.
কিছুক্ষন আগে এয়ারপোর্টে গোলাগুলি এর পর বিকট শব্দে দুটো বোমা বিস্ফোরন হয়েছে। এয়ারপোর্টে ১৪ জন নিহত।
এর এক ঘন্টা পর দুটো মেট্রো রেইল স্টেশনে বোমা বিস্ফোরন। সেখানে আরো ২০ জন নিহত।
কেন যেন আমার মনে হচ্ছে আজকের ঘটনা আরেকটা বড় টার্নিং পয়েন্ট।
এদিকে এবারের ২৭শে মার্চ দেশে রাস্ট্রধর্ম বাদ দেবার পর কি হবে সেটাও জানি না।
কালকের দিনটা সম্ভবতঃ আজকের মত হবে না।
হিফাজতের দোয়াগুলো জানা আছে তো?
যে দলের নাম নেয়া নিষেধ তাদের হাতে উত্তর বংগে এক কনভার্টেড খৃস্টান মারা গিয়েছে। মোটর সাইকেল দিয়ে এসে কোপা। As usual.
মৃত ব্যক্তি ১০ বছর আগে ইসলাম থেকে খৃস্টান ধর্মে কনভার্টেড হয়েছিলো। এতদিন শুধু মানুষের মুখে শুনতাম উত্তর বংগে মুসলিমরা দলে দলে খৃস্টান হয়ে যাচ্ছে। আর এগুলো "ইমোশোনাল বাংগালিদের মুখের কথা" ধারনা করে অবিশ্বাস করতাম। এখন তাহারা "মরিয়া প্রমান করিল তাহাদের অস্তিত্ব ছিলো।"
এটা নিয়ে আমাদের সেন্সরড মিডিয়ায় যত না খবর প্রকাশ করছে, তার থেকে অনেক বড় করে এটা খবরে আসছে বিদেশি মিডিয়াগুলোতে।
বিদেশের নিউজ ফিডগুলো বাংলাদেশের এই খবরটাকে টপে তুলে ধরেছে ব্রাসেলসের বোমা হামলার খবরের সাথে সাথে।
______
কি হবে যদিও আমরা জানতাম তিরিশ বছর ধরে।
কিভাবে হবে সেটা জানতাম না এই তিন বছর আগেও।
ইসলাম অনুসরন করার সময় আপনি যে পথ দিয়ে যাবেন ঐ পথটার নাম মাজহাব। যে পথ দিয়েই যান।
এক ছেলে ডাকলো "ইয়া কুতাইবা"। এইভাবেই। এর সাথে আর সম্মানসূচক কোনো শব্দ যোগ করলো না।
কুতাইবা আসলেন। এর পর উনি, এবং খৃস্টানদের বড় পাদ্রি, সবাই বসলেন মুসলিমদের কাজ্বী জুমাইয় এর সামনে।
কাজী বললেন, "তুমি কি চাও, হে সমরকান্দী?"
ছেলেটি বললো, "কুতাইবার সেনাদল আমাদেরকে পরাজিত করেছে, কিন্তু এর পূর্বে আমাদেরকে ইসলামের দিকে তারা ডাকে নি। এবং আমরা অপ্রস্তুত অবস্থায় ছিলাম যতক্ষন না আমরা আমাদের অবস্থা উপলব্দি করি।
কাজী কুতাইবার দিকে ফিরে বললেন, "এই ব্যপারে তোমার কি বক্তব্য কুতাইবা?"
কুতাইবা জবাব দিলেন, "যুদ্ধ হলো কৌশল। আর এই দেশটা ছিলো শক্তিশালি। এর আগে এর আশে পাশের সবগুলো দেশ আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। এবং সে দেশগুলোর কোনোটা ইসলাম গ্রহন করে নি, কিংবা জিজিয়া কর দিতে রাজি হয় নি।"
কাজী জিজ্ঞাসা করলেন, "হে কুতাইবা, আপনি কি তাদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দিয়েছিলেন? নয়তো জিজিয়ার? নয়তো যুদ্ধের?"
কুতাইবা বললেন, "না। তাদের আকস্মিকভাবে আক্রমন করেছি। যেভাবে আপনাকে বললাম।"
কাজী বললেন, "আমি দেখছি আপনি স্বীকার করে নিয়েছেন। আর দোষ স্বীকার করে নিলে বিচারকের বিচার শেষ হয়ে যায়। হে কুতাইবা। আল্লাহ এই উম্মাহকে সাহায্য করেন শুধু এই দ্বীনের কারনে, আর বিশ্বাসঘাতকতা না করার কারনে, আর ন্যয়বিচার প্রতিস্ঠা করার কারনে।"
এর পর বললেন, "আমি রায় দিলাম, সমরকন্দের ভুমি থেকে সমস্ত মুসলিমদের বেরিয়ে যেতে হবে। সেনাপতি, সন্য, বেসামরিক ব্যক্তি, শিশু এবং মহিলা সবাই। এবং বেড়িয়ে যাবার সময় তারা তাদের দোকান পাট আর বাড়ি ফেলে যাবে। সমরকন্দে যেন একজনও বাকি না থাকে। এর পর যেন সেখানে কোনো মুসলিমকে আর না দেখা যায়।"
পাদ্রী নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলো না সে কি দেখছে আর কি শুনছে।
তার সাক্ষিও চাওয়া হয় নি, বা তার কথাও শুনে নি। কোনো সাক্ষি নেই, কোনো প্রমান নেই। বিচার কয়েক মিনিটের মাঝে শেষ।
পাদ্রী তখন বুঝতে পারলো কি হয়েছে যখন কাজী, ছেলেটা আর কুতাইবা বেরিয়ে এসে তার সামনে দাড়ালো।
এর কিছু ঘন্টা পর সামারকন্দবাসীরা নিনাদ শুনতে পেলো, জোরে ডাক শুনলো, তাদের মাঠের ঝোপগুলো ধুলায় ঢেকে গেলো। তারা দেখলো ধুলার পেছনে পতাকা উড়ে যাচ্ছে।
জিজ্ঞাসা করে করে সবাই জানতে পারলো, "বিচারক আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এবং সেনাবাহিনী চলে যাচ্ছে।"
এ এমন দৃশ্য যে, যে এটা দেখেছে বা শুনেছে, তাদের চামড়ার লোম দাড়িয়ে যাবার মত।
সুর্যডোবার সময়েই দেখা গেলো মুক্ত এবং খালি রাস্তায় সমকন্দের কুকুরগুলো ঘোরা ফেরা করছে।
আর প্রতিটা বাড়ি যেগুলো খালি করে দেয়া হচ্ছিলো সেগুলো থেকে কান্না শব্দ আসছিলো।
এটা সেই উম্মাহ যারা তাদের দেশে ন্যয় বিচার প্রতিস্ঠা করেছিলো আর তারা ছিলো দয়ার্ত।
এর পর বড় পাদ্রী এবং সমরকান্দবাসীরা, বেশিক্ষন স্থির থাকতে পারলো না। তাদের এক দল লোক, বড় পাদ্রীকে সামনে নিয়ে এগিয়ে গেলো মুসলিমদের ক্যম্পের কাছে, এবং বললো তারা শাহাদাহ দিতে চায় লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদ আর-রাসুলুল্লাহ।
ইয়া আল্লাহ। আশ্চর্য ঘটনা। এবং এই বর্ননা আমি "তারীখ আল মাশরিক" - এ পেয়েছি।
কখনো দেখেছো কোনো সেনাবাহিনী কোনো শহর বিজয় করেছে আর সেই শহরের মানুষ বিজয়ী সেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে গিয়েছে? এবং এর পর তাদের বিচারক রায় দিয়েছে বিজয়ীরা যেন সেই শহর ছেড়ে চলে যায়?
ওয়াল্লাহ আমি এর আগের কোনো উম্মাহর থেকে এরকম কিছু শুনি নি।
শেষে জেনে নিন, এই ঘটনা ছিলো একজন ন্যয় পরায়ন খলিফা, উমর বিন আব্দুল আজীজের সময়কার। তখন সমরকান্দবাসীরা তাদের এক দূত পাঠিয়েছিল। বিচার জানিয়ে, যে মুসলিম সেনারা তাদের ভূমিতে প্রবেশ করে, তাদেরকে কোনো রকম সতর্ক বানী না দিয়ে, বা দাওয়াহ না দিয়ে। কাজী তখন তাদের দূতকে এই বিচারের হুকুম লিখে জানিয়ে দেন।
ইতিহাসে এ ঘটনা এভাবে লিখা আছে।
[অনুবাদ, মূল আরবী এখানে]
https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=1075471272474559&id=362699180418442
#HabibTranslation
জোহাকে পাওয়া গিয়েছে গতকাল। রাস্তার উপর উদভ্রান্ত ভাবে ঘোরাঘুরি করা অবস্থায়।
বিড় বিড় করে সে "যায় যদি যাক প্রান, হীরকের রাজা ভগবান" বলছিলো কিনা, সেটা এখনো জানা যায় নি।
اللهم اغفر لي ولوالديّ وللمؤمنين والمؤمنات والمسلمين والمسلمات الأحياء منهم والأموات
হে আল্লাহ আপনি আমাকে মাফ করেন।
আর আমার আব্বাকে আম্মাকে।
আর সকল মু'মিন পুরুষ ও মহিলাদেরকে
আর সকল মুসলিম পুরুষ ও মহিলাদেরকে
তাদের মাঝে যারা বেচে আছে তাদেরকে,
যারা মারা গিয়েছে তাদেরকে।
#HabibDua
যদি একশ বার বলি?
তবে একশ গুন সোয়াব!
আচ্ছা, যদি একশত বার সোবহানাল্লাহ না পড়ে। আমি এক বারে বলি "একশত বার আমি বললাম সোবহানাল্লাহ, হে আল্লাহ।" তাহলে কি আমার একশ বার পড়ার সোয়াব হবে?
ফাকিবাজী? হুম। কে জানে? জানি না।
আর যদি বললামই, তবে "একশ বার" কেন বলবো? যদি বলি "এক লক্ষ বার", "এক কোটি বার?"
এর থেকে বড় সংখ্যা আছে? বলা যাবে?
আকাশের গ্যলাক্সির পরিমান? তারকার পরিমান?
একশ বিলিয়ন গ্যলাক্সি আছে আকাশে।
প্রতি গ্যলাক্সিতে একশ বিলিয়ন করে তারকা।
এর থেকেও বেশি? উনার সৃস্টির সংখ্যাক পরিমান? যা কিছু উনি সৃস্টি করেছেন মহাবিশ্বে?
হুম। আছে।
আছে?
এরকম উদাহরন হাদিস শরিফে আছে।
এক সাহাবী একবার রাসুলুল্লাহ ﷺ এর পেছনে নামাজ পড়ছিলেন। হাচি আসলো। উনি হাচি দেবার পর বললেন
الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى
"আলহামদুলিল্লাহ। এবং অনেক সংখ্যক হামদ, যত আমার রব ভালবাসেন ও চান।"
রাসুলুল্লাহ ﷺ নামাজ শেষ করে বললেন, আমি দেখেছি ৩১ জন ফিরিস্তা এর সোয়াব নিয়ে যাওয়ার জন্য এসে প্রতিযোগিতা আরম্ভ করেছে।
এই দোয়ার বিশেষত্ব কি?
যত সংখ্যাক আমার রব ভালোবাসেন। এই এক কথা দিয়ে সংখ্যাটাকে অনেক উচুতে তুলে দেয়া হয়েছে।
আর কিছু?
আছে।
রাসুলুল্লাহ ﷺ এক দিন ফজরের নামাজের জন্য বেরিয়ে প্রায় দুপুরের আগে ফিরে দেখেন উনার এক স্ত্রী রা: তখনও জায়নমাজে বসে তসবিহ পড়ছেন। রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন: তুমি সকাল থেকে এখন পর্যন্ত যত তসবিহ পড়েছো তার থেকে বেশি সোয়াব আমি পেয়েছি শুধু চারটা কথা পড়ে।
سبحان الله وبحمده عدد خلقه، ورضا نفسه، وزنة عرشه، ومداد كلماته
"সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি --
উনার সৃস্টির সংখ্যা পরিমান,
উনার সন্তুস্টির পরিমান,
উনার আরশের ওজনের পরিমান,
উনার কালিমার শক্তির পরিমান।" -- মুসলিম শরিফের হাদিস।
হুম।
গ্যলাক্সি আর তারকার সংখ্যা এখানে ফেইল।
আরশের ওজন কত?
যে বান্দার অন্তরে আল্লাহ তায়ালা যতটুকু বুঝ দিয়েছেন।
শেষ উদাহরন দিলাম, এটা
একবার রাসুলুল্লাহ ﷺ এক মহিলার বাসায় গিয়ে দেখেন উনি অনেক খেজুরের বিচি আর পাথর দিয়ে গুনে গুনে তসবিহ পড়ছেন।
রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন আমি তোমাকে এর থেকে সহজ কিন্তু এর থেকে বেশি সোযাবের জিনিস শিখিয়ে দিচ্ছি। তুমি বলবে
سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا خَلَقَ فِي السَّمَاءِ وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا خَلَقَ فِي الأَرْضِ وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا خَلَقَ بَيْنَ ذَلِكَ وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا هُوَ خَالِقٌ وَاللَّهُ أَكْبَرُ مِثْلُ ذَلِكَ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ مِثْلُ ذَلِكَ . وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ مِثْلُ ذَلِكَ . وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ مِثْلُ ذَلِكَ
"সুবহানাল্লাহ, আকাশে যা কিছু সৃস্টি করেছেন তত বার
সুবহানাল্লাহ, পৃথিবীতে যা কিছু সৃস্টি করেছেন তত বার
সুবহানাল্লাহ, আকাশ ও পৃথিবীর মাঝে যা কিছু আছে তত বার
সুবহানাল্লাহ, যা কিছু সৃস্টি করা হচ্ছে তত বার।
আল্লাহু আকবার তত বার।
আলহামদুলিল্লাহ তত বার।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তত বার।
লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ তত বার।"
বান্দার এই অবস্থায় মাথা নিচু হয়ে আসে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের যতটুকু জানি ততটুকুর উপর আমল করার তৌফিক দিন।
Facts:
- There’s a package called isArray that has 880,000 downloads a day, and 18 million downloads in February of 2016. It has 72 dependent NPM packages. Here’s it’s entire 1 line of code:
return toString.call(arr) == '[object Array]';
- There’s a package called is-positive-integer (GitHub) that is 4 lines long and as of yesterday required 3 dependencies to use. The author has since refactored it to require 0 dependencies, but I have to wonder why it wasn’t that way in the first place.
- A fresh install of the Babel package includes 41,000 files
- A blank jspm/npm-based app template now starts with 28,000+ files
http://www.haneycodes.net/npm-left-pad-have-we-forgotten-how-to-program/
--John Carmack
This happens, in plain english, when all carbon [read coal] in a massively large star has burnt out, and most of coal has turn into iron.
Now this newly produced iron can't burn any further. Therefore its massive weight collapses into itself, causing a large nuclear chain reaction, and goes Boom! Destroying a part of the galaxy with it.
এই গ্রুপে আরবীতে বাচ্চাদের পিকচার বুকের প্রচুর স্কেন কপি পোস্ট করা হয়।
সহজ বইগুলো কিছু কিছু পড়ার চেস্টা করে প্রেকটিশ চালিয়ে যেতে পারবেন।
- হে আল্লাহ আমাকে এক হাজার স্বর্ন মূদ্রা দান করেন। নয়শ নিরান্নব্বইটা দিলেও আমি সেটা গ্রহন করবো না।
তার এক ধনী প্রতিবেশি ছিলো যে প্রতিদিন তার এই দোয়া শুনে।
আসরের সময় জুহা যখন নিয়ম মত তার রবের কাছে দোয়া করছিলো, তখন ব্যগটা নিচে ছুড়ে দেয়।
আর পেছন থেকে দেখতে থাকে।
জুহাকে বলে
- আমার স্বর্ন আমাকে ফিরত দিয়ে দাও, আমি তোমাকে পরিক্ষা করতে চেয়েছি, আর তোমার সাথে কৌতুক করছি। বুঝলাম যে তুমি তোমার দোয়াতে যা চাও সেটা নিজেই তুমি মানো না।
- সন্দেহ নেই তুমি পাগল। আর তোমার এই গল্প কেউ বিশ্বাস করবে না। কেউ কি এত দিরহাম নিয়ে এই রিস্ক নিবে? এগুলো ছুড়ে ফেলবে? আমার সামনে যা পড়েছে সেটা আল্লাহর কাছে যা দোয়া করেছিলাম তার জবাব। উনার বিশাল ভান্ডার থেকে উনি দিয়েছেন।
শেষে ধনী লোকটা বলে
- এই ঝগড়া সমাধান হবে না যতক্ষন না আদালতে যাই। চলো আমার সাথে কাজীর কাছে।
ধনী লোকটা বলে
- আমি তোমাকে আমার খচ্চর আর আমার কোট দিচ্ছি!!
- আর জোহা? তুমি কি বলবে?
জোহা বলে,
- তাকে জিজ্ঞাসা করেন সে কোনো দিন আমাকে এক দিরহামও দিয়েছিলো কিনা। আর সত্য হলো আমি আল্লাহর কাছে স্বর্ন মূদ্রা চেয়েছিলাম। আর উনি সুবহানাহুল করিম, আমাকে অনেক কিছু দিতে পারেন এবং কমও দিতে পারেন। এই লোক আমার কাছে যা দাবি করছে, সেটা বাতিল।
সে বলে,
- আমার খচ্চর নিয়েও মিথ্যা বলছো? এটা তো আমি তোমাকে চড়ার জন্য শুধু ধার দিয়েছি।
- কাজী সাহেব শুনলেন এই নতুন দাবী? আমি ভয় পাচ্ছি এর পর সে আমার কাছে যা আসে সবই তার দাবী করে বসবে। মজা করে আমার কাপড়ের মাঝ থেকে যেটা পছন্দ সেটাও বলবে তার। বলবে, এই কোটটাও তার।
ধনী লোকটা অবাক হয়ে বললো
- আমি এই কোটটাও তো তোমাকে ধার দিয়েছিলাম।
- তোমার দাবী শূন্য ঘোষনা করলাম। তোমার লোভ আর মিথ্যা বেরিয়ে পড়েছে। তুমি কি চাও এই লোকটার যা কিছু আছে তাই ছিনিয়ে নিতে ?!
habibur.com এখন থেকে আবার আসার কথা।
______
এর আগে যা ছিলো:
habibur.com এখন ডাউন। কারন আমার হোস্টিং প্রভাইডারের DNS ডাউন। এর সাথে লাখ লাখ সাইট ডাউন।
কিছুক্ষনের জন্য পাগল মত nslookup, dig, DNS সব চেক করলাম। দেখি কনফিগারেশন সব ঠিক। কিন্তু ইন্টারনেশনাল ডোমেইন সার্ভারগুলো রিজলভ করতে পারছে না। এর পর শেষে হোস্টিং প্রভাইডারের ডোমেইনে dig চালিয়ে দেখি তাদের সার্ভার ডাউন।
কালকের মধ্যে তারা আপ না করলে আমাকে নিজে একটা ডোমেইন সার্ভার ইন্সটল করতে হবে।
রেজুলেশন: সমস্যাটা আমার না। যাদের সমস্যা তারা ঠিক করছে। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
টুইটার ফিডে এই আউটেজ নিয়ে সবাই যে পাগল হয়ে যাচ্ছে তার ছবি।
_____
খলীফা হযরত উমর (রাঃ) মা’কাল ইবনে ইয়াসারকে কোন প্রদেশের শাসক নিযুক্ত করতে চাইলে তিনি আরয করলেন:
- ও আমীরুল মুমিনীন, এ ব্যাপারে আপনিই আমাকে পরামর্শ দিন আমার এ পদ কবুল করা উচিত কি না?
খলীফা বললেন
- যদি আমার পরামর্শের উপরই নির্ভর কর, তবে আমার মতে কবুল না করাই ভাল৷ কিন্তু আমার এ পরামর্শের কথা অন্য কাউকে বলবে না৷
____
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে সামুবা বর্ণনা করেন, একবার রসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে বললেন:
- হে আবদুর রহমান! শাসক পদের জন্য আবেদন করো না৷ যদি আবেদন ছাড়াই পেয়ে যাও, তবে এর জন্যে তুমি অদৃশ্য জগত থেকে সাহায্য পাবে৷ আর আবেদন করে পেলে সাহায্য পাবে না৷
____
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) একবার রাফে ইবনে উমরকে বললেন,
- দু ব্যক্তির উপরও শাসক হয়ো না৷
কিন্তু পরে যখন হযরত আবু বকর নিজে খলীফা হলেন, তখন রাফে দাঁড়িয়ে তার থেদমতে আরয করলেন
- আপনি কি আমাকে বলেননি যে দুব্যক্তির উপরও শাসক হয়ো না? এখন তো আপনার উপর সমগ্র উম্মতের শাসনভার অর্পণ করা হয়েছে৷
হযরত আবু বকর বললেন:
- আমি এখনও সে কথাই বলি৷ যে ব্যক্তি শাসক হয়ে ন্যায়বিচার করে না, তার উপর আল্লাহর অভিসম্পাত৷
____
এহইয়াউ উলুমুদ্দিন থেকে নেয়া হয়েছে।
যেমন কোনো সাহাবা বলছেন "কিয়ামতের আগে দিয়ে এই হবে...."।
কিন্তু উনি বলেন নি "রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন কিয়ামতের আগে দিয়ে এই হবে..."
তবে এধরনের হাদিসকে বলা হয় "মওকুফ"। এটা ঐ সাহাবার কথা কিন্তু উনি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত করে বলেন নি।
____
"মুরসাল" হাদিস:
যখন কোনো তাবেয়ি বলেছেন "রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন এই..."
এখন ঐ তাবেয়ি সরাসরি রাসুলুল্লাহ ﷺ থেকে হাদিসটা শুনেন নি। কারন শুনলে উনাকে তাবেয়ি বলা হতো না, সরাসরি সাহাবা বলা হতো। সেটা হয় নি।
কিন্তু কোনো কারনে উনি যে সাহাবী থেকে হাদিসটা শুনেছেন সে সাহাবীর নাম উল্লেখ করেন নি।
তাই এই হাদিস গুলোকে বলা হয় "মুরসাল" হাদিস।
যজিফ: উপরের সংগা মতে সহি না। কিছু একটা সমস্যা আছে।
মওজু; এটা কোনো হাদিস না। অন্য কথা হাদিসের নামে প্রচার পেয়েছে।
এর পর চিন্তে করি, জীবনে কত কিছুই শিখেছি। কিন্তু এর খুব অল্প জিনিসের উপর আমল করতে পেরেছি।
জীবনে কাজে লেগেছে ইংরেজী শিখাটা। কিন্তু স্কুলের পাঠ্য পুস্তকের ইংরেজি থেকে এর কিছুই শেখা হয় নি। সব শেখা হয়েছে লাইব্রেরিতে বই পড়ে এবং ভিডিও দেখে।
ইঞ্জিনিয়ারিং জীবনে যা কিছু শিখেছি তার কিছুই চাকরি জীবনে কাজে লাগে নি। কাজে লেগেছে SSC পরিক্ষার পর ৩০ টাকা দিয়ে এক মাস টাইপিং শিখেছিলাম সেটা।
আর দ্বীনের ব্যপারের যুক্তি তর্ক যা শিখেছি তার কোনোটা দিয়ে কোনো সোয়াব কামাই করতে পারি নি। এখন পর্যন্ত কাজে আসছে শুধু কোরআন শরিফ থেকে যতটুকু মুখস্ত করার তৌফিক আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন সেটা।
কে জানে, ছোট কাল থেকেই আরবী বই পড়তে পারলে হয়তো আরো বড় তর্কবাগিশ হতে পারতাম। জ্ঞানের দম্ভ দেখাতে পারতাম, যেগুলো আমার জন্য ক্ষতির কারন হতো।
আমল করার জন্য যথেস্ট ইলম আল্লহ তায়ালা সময় মতই দিয়ে দিয়েছেন।
যদি আমি অলসতা না করতাম।
"রাস্ট্রধর্ম বাতিলের পর এ.কে. সিনহা হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের পরবর্তি প্রেসিডেন্ট।" গতকাল আনন্দবাজার পত্রিকার খবর।
Things are accelerating.
সামনে বহু কিছু হবে। অতিদ্রুত। এর প্রথম স্টেপ হলো রাস্ট্রধর্ম বাতিল।
এটা করা এখন সরকারের জন্য দরকার।
এবং এটা বাতিল করলে যে অন্দোলন হবে, সেই অন্দোলন হওয়াটাও সরকারের দরকার। হয়তো তারা চাচ্ছে হোক, তাদের প্লেনে আছে। তারা কিভাবে এটাকে ব্যবহার করবে সেটাও ঠিক করে রেখেছে।
যে ইন্টেলিজেন্স দেশ চালায়, তারা আমাদের থেকে চার পাচ ধাপ সামনে এগিয়ে চিন্তে করে, এটা বুঝে এই কথা বলছি। এখন পর্যন্ত তাদের ভুলের উদাহরন নেই।
____
Off-topic:
"প্রথম অক্ষরেখায় থাকিবে শীনে’র অবস্থান।
পঞ্চাশতম অক্ষে থাকিবে নূন’ ও বিরাজমান।"
শিন আর নুন কি আমরা জানি। কমেন্টে কেউ এটা নিয়ে প্রশ্ন বা ব্যখ্যা না করলে আমি খুশি হবো। নিরাপদ থাকেন।
কিন্তু: "প্রথম" আর "পঞ্চাশতম" অক্ষরেখা কি?
একটা আর পঞ্চাশটা বাজার সময় কি তবে হয়ে এলো পাঞ্জেরি?
পায়ের নিচের মাটির কম্পন কি টের পাচ্ছেন?
আমি পাচ্ছি।
____
একাডেমিকলি ও মেথডিকেলি শিখতে চাইলে এরকম।
মদিনা এরাবিক কোর্সের বইগুলো দিয়ে আরম্ভ করতে পারেন। তবে এটা নিজে পড়ি নি।
আরেকটা আছে আল-আরাবিয়াতু লিন্নাশিয়িন ( العربية للناشئين ) ছয় খন্ডের বই। এটা পড়েছি।
নেট থেকে খুজে ডাউনলোড লিংক বের করে নিন।
অফলাইনে পড়তে চাইলে আলিয়া মাদ্রাসার ক্লাস সিক্সের আরবী পাঠ্য বইটা কিনে এনে আরম্ভ করতে পারেন।
_____
একা না শিখে, বরং কোর্স করতে চাইলে, আমার জানা নেই কোথায় কোর্স হয়। খবর নিয়ে নিন। ইমারসিভ ফুলটাইম কোর্সে শিখলে ১ বছরে শিখে ফেলতে পারবেন। যেটা আসিফ সিবগাত ভাই কাতারে গিয়ে করেছিলেন।
ফুল টাইমের সময় সুযোগ যাদের নেই তারা বিক্ষিপ্ত ভাবে যখন যেখানে যতটুকু সুযোগ পায় শিখে নিতে পারে। আমি যেটা করি।
কথা বুঝার জন্য ইউটিউবের আরবী কার্টুন দেখি মাঝে মাঝে।
_____
তবে যতটুকু আরবী শিখেছি তার ৮০% শিখেছি নিচের পদ্ধতিতে।
কোনো বই থেকে "সাবাহুল খাইর", "মা ইসমুকা" এই সব ডায়লগ মুখস্ত করার বদলে বরং একটা কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে নিন।
সুরা বাকারার প্রথম আয়াতের বাংলার সাথে আরবী শব্দ গুলো মিলিয়ে নিন।
যেমন:
দালিকা = এই
কিতাব = কিতাব
লা = নাই
রাইবা = সন্দেহ
ফি = এতে
এভাবে আয়াতটা মুখস্ত করতে থাকেন আরবী প্রতিটা শব্দের অর্থ মুখস্ত করে করে।
কোরআন শরিফ হিফজ হবে। আরবীও শেখা হবে। আর এটা সহজে ভুলবেন না। যেহেতু বার বার এই আয়াতগুলো আপনি পড়তে থাকবেন।
প্রথম পৃষ্ঠায় অনেক সময় লাগবে। এর পরের পৃষ্ঠাগুলোতে সময় কমে আসবে যেহেতু বেশির ভাগ শব্দ আপনার আগেই মুখস্ত আছে।
____
একটা ভাষার ৩০% যদি আপনি বুঝতে পারেন তার পর আপনি যে কোনো বই পড়া ধরতে পারবেন। প্রতিটা শব্দ না বুঝলেও কি বলছে সেটা catch করতে পারবেন। পড়তে পড়তে বাকিটা শেখা হয়ে যাবে। মাঝে মাঝে কিছু কিছু শব্দের অর্থ দেখে নেবেন ডিকশনারিতে। তবে সব নতুন শব্দ দেখার দরকার নেই। তাহলে পড়ার উৎসাহ কমে যাবে।
ইংরেজি আমি এভাবে শিখেছিলাম।
এখন আরবী শিখছি এভাবে।
আল্লাহ তায়ালা আমরা যা চাই তার মাঝের উত্তম জিনিস আমাদের দান করুন।
পরবর্তি:
কিছু আরবী পারেন কিন্তু খুব ভালো না। কিভাবে বুঝবেন?
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10154316154458176
#HabibArabic
কোনো কারন ছিলো না এভাবে ক্রাশ করার।
- পাইলট ইচ্ছে করে ক্রাশ করেছে? [সম্ভব]
ব্লেক বক্সের অবস্থা ভর্তা হয়ে গিয়েছিলো। এর পর শুনলাম কিছু ডাটা উদ্ধার করা যাবে। এখন শুনি প্রায় সব ডাটা পড়া গিয়েছে।
http://sputniknews.com/russia/20160326/1036994641/fly-dubai-voice-recordings.html
- ঝড়ো বাতাসে প্লেনটা দ্বিতীয়বার লেন্ড করার চেষ্টা করে পাইলট।
অটোপাইলট ডিসএনগেজ করার সময় হয়তো ভুলে প্লেনের ভার্টিকেল স্টেবিলাইজার সুইচে নিচের দিকে চাপ পড়ে। নাকটা নিচু হয় যায়। অটোপাইলট যেহেতু অফ তাই প্লেন নিচের দিকে পড়ে যায়।
ভার্টিক্যল স্টেবিলাইজার যে এক্সিডেন্টলি অন হয়ে গিয়েছে এটা পাইলট বুঝ উঠতে পারে না। মেনুয়ালি কন্ট্রোল করার চেস্টা করে কিছু করতে পারে না।
এখন পর্যন্ত এতটুকু। এটা Possible.
একরাতে আমি কানআন উপত্যকা দিযে যাচ্ছি৷
দেখি কিছু একটা আমার দিকে আসছে৷
বলছে "ওয়া বাদায়া লাহুম মিনাল্লাহি মা লাম ইয়াকুনু তাহতাসিবুন" [সুরা জুমার]
অর্থাৎ: তাদের কাছে আল্লাহর তরফ থেকে এমন জিনিস আসবে যেটা তারা হিসাব করে নি।
কাছে আসলো।
দেখলাম ছোট বালতি হাতে উলের বোরখা পড়া একজন মহিলা।
সে বললো,
বললাম,
- আল্লাহ আছেন! তার পরও মুসাফির?
কথাটার গভীরতা বুঝতে পেরে আমার কান্না আসলো।
জানতে চাইলো,
- কস্টের উপর ঔষধ পড়েছে, তাই রক্ত বেরুচ্ছে।
- তুমি সত্যবাদী হলে কাদতে না।
- সত্যবাদীরা কাদে না?
- না।
- কেন?
- কান্না অন্তরের একটা সুখ।
Its interesting to see that "design patters" has got irrelevant in less than 20 years.
This whole thing sounded like BS at that time. And time has proven it actually was :-P
http://blogs.tedneward.com/post/reclaiming-design-patterns/
আর্টিক্যলগুলোর কিছু কিছু এই সাইটে পড়া যাবে।
http://quranerkotha.com/
আল্লাহ তায়ালা উনার পরিশ্রমে বরকত দান করুন।
অভাবে আছি দোয়া করছি, "হে আল্লাহ আমার ১০ হাজার টাকার ব্যবস্থা করে দেন।" আল্লাহ তায়ালা চাইলে মানি ব্যগ খুললে দেখবো ১০ হাজার টাকা অলৌকিক ভাবে চলে এসেছে।
কিন্তু আল্লাহ তায়ালা এভাবে সাধারনতঃ করেন না।
অন্য কোনো লোকের অন্তরে দিয়ে দেন -- তাকে দান কর। সে লোক দরজা নক করে বলে "হুজুর এই টাকাটা আপনার।"
সে লোক দানের সোয়াব পেলো। আমার দোয়াও কবুল হলো।
____
চাইলে আল্লাহ তায়ালা কোনো যুদ্ধ ছাড়া মুসলিমদের বিজয় দান করতে পারেন কাফিরদের বিরুদ্ধে। তাদের প্লেনগুলো ফটা ফট আকাশ থেকে পড়ে গেলো অলৌকিক ভাবে। মুসলিমরা বিজয়ী।
কিন্তু এটা আল্লাহ তায়ালার সুন্নাহ না।
উনি চান মুসলিমদের মাঝ থেকে বিরাট সংখ্যাক লোকদের শহিদ হিসাবে কবুল করতে। যতজনকে কবুল করতে চান ততজনকে শহিদ করে তার পর বিজয় দেন।
মুসলিমরা শাহাদাতের মর্যাদা পেলো, আবার বিজয়ীও হলো।
____
যখন কোনো দিক থেকে কিছু হবার কোনো উপায় নেই। সব পথ বন্ধ। তখন?
আল্লাহ তায়ালা জানেন।
উনি বন্ধ করেছেন, আবার উনি খুলে দেবেন।
যখন উনি দিতে চাইবেন।
ঢাকার ভালো স্কুলগুলোতে পরিক্ষার খাতা দেখা হয় কড়া করে। অন্য স্কুলে যতটুকু লিখলে ৯০ পাওয়া যায়, এই সব স্কুলে সেটা লিখলে দেয় ৬০। তবে ম্যট্রিকে গিয়ে সবাই ভালো করে কারন ওখানে তো আর এভাবে কড়া করে খাতা দেখা হয় না।
মা সন্তুস্ট না। "আমার মেয়ে ৬০ এর উপর পায় না।"
ঐ স্কুলের মায়েদের সাথে গল্প করলে তারা বলে "আমার মেয়ে অংকে ৯০ পেয়েছে", "আমার মেয়ে বাংলায় ৮০"
এই মেয়ের মা কোনো অহংকার করতে পারে না। চুপ থাকতে হয়ে।
মেয়েকে কোচিয়ে দিলো। কাজ হয় না।
বাসায় টিউটর রাখলো, দু জন। টিউটররা বলে "এর থেকে ভালো রেজাল্ট এরা করবে না।"
মায়ের বোনের মেয়ে আছে। তারা পড়ে ফালতু একটা স্কুলে। ঐ স্কুলে তারা পায় ৯০। আর এই ভালো স্কুলে পড়িয়ে তার মেয়ে পায় ৬০।
রাগে দুঃখে মা ঘুমাতে পারে না। মাথা ব্যথা করে প্রচন্ড।
এর থেকে বরং আত্মহত্যা করা ভালো। বাচ্চাদের রেজাল্ট নিয়ে অহংকার না করতে পারলে জীবনে বেচে থেকে লাভ কি?
মা যায় রেল লাইনের কাছে। কিন্তু আত্মহত্যার সাহস করতে পারে না। ফিরে আসে।
এর পর ওড়না নিয়ে ফ্যনে ঝুলতে চায়। তাও সাহস করতে পারে না।
তার মনটা যে খুব নরম, তাই।
শেষে চিন্তে করে, "বাচ্চাদের জন্য আমি মরবো কেন? বরং বাচ্চাদেরকে আমি মেরে ফেলবো।"
তাই করে। মেয়েকে উড়না দিয়ে পেচিয়ে হত্যা করে। এর পর, "সব যখন শেষ করলাম এটাকেও করি" বলে ৬ বছরের ছেলেটাকে ঘুমের মাঝে মেরে ফেলে।
এখন মা শান্তিতে। জেলে আরাম করে ঘুমায়। বিচারককে বলে "আমার কোনো আফসুস নেই।"
সত্য ঘটনা।
ফেসবুকে আমার কোনো লিখা নিয়ে আমি ব্যক্তিগত জীবনে কারো সাথে কথা বলা পছন্দ করি না।
কিন্তু কেন যেন পরিচিতদের মাঝে লিখা আরম্ভ করার পর এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
যারা সাথেই দেখা করি সে কিছু না কিছু "এটা লিখবে না", "ওই লিখাটা মুছে দিবে", "সেটা কেন লিখেছিলে?" এই ধরনের আদেশ, উপদেশ দেয়া আরম্ভ করে।
সমাধান কি চিন্তে করছি।
এটার দরকার নেই
না করলে ভালো।
যেন তাদের উপদেশ মত লিখলেই আমার মুক্তি আর সফলতা।
- জীবনে অনেক ঝামেলা লাভলু ভাই।
এর সাথে উটকো আরেক ঝামেলা নিজে যেচে পড়ে যোগ করা বোকামী।
ঝামেলা মানে = অবাঞ্চিত উপদেশ, যেগুলো আমি এক কানে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দেই।
কিন্তু ফেসবুকের কল্যানে এই নতুন ঝামেলাটা জীবনে যোগ হলো।
আমি যুক্তিতে হেরে গিয়ে পথ হারিয়েছি, তা না।
আমার জ্ঞান কম, তাই পথ হারিয়েছে, তাও না।
আমি পথ হারিয়েছে আমর "ইগোর" জন্য।
আমার অত্মমর্যাদার জন্য।
আমার অহংকারের আর ক্রোধের জন্য।
আন্যদের নিজের থেকে নিচু মনে করার জন্য।
গ্রামের সেই সহজ বৃদ্ধ যে নামাজ পড়ে
আর প্রশস্ত হাসি দিয়ে সব মানুষদের নিজের থেকে বড় জেনে সম্মান করে
সে পথ হারায় নি।
অথচ অনেক জ্ঞান গরিমার বোঝা নিয়ে আমি আজও উদ্ভ্রান্ত।
আল্লাহ তায়ালা অহংকারীদের ভালোবাসেন না।
(অ-বিজ্ঞান মনস্কদের জন্য এখানে কিছু নেই :-) )
ফিজিক্সের দুটো সুত্র আমাকে আল্লাহর কথা স্বরন করায়।
_____
2nd law of thermodynamics:
এটা বলে মহা বিশ্বের সবকিছুর স্বাভাবিক trend হলো ভেঙ্গে যাওয়া। গড়া না।
হাজার বছরের রোদে মরুভুমিতে একটা রাজপ্রাসাদ ভেঙ্গে বালি হয়ে যাবে, এটা নিয়ম।
হাজার বছর ধরে বালি উড়ে একটা রাজপ্রাসাদ গড়ে যাবে সেটা হবে না। এটা সেকেন্ড ল এর বিপরিত।
অর্থ: স্রস্টা ছাড়া সৃস্টি অসম্ভব।
____
Quantum Mechanics:
সৃস্টিতে কখন কি হবে সেটা আল্লাহ তায়ালা লিখে রেখেছিলেন সৃস্টির আগে। এটা ছাড়া আর কোনো ব্যখ্যা দিয়ে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সব কিছু ব্যখ্যা করা যায় না।
Delayed choice quantum erasure experiment দ্রস্টব্য। এখানে আমি ভবিষ্যতে কি করবো সেটা আলোর কনাগুলো কিভাবে যেন জেনে, আগে থেকেই নিজেদেরকে সেভাবে সাজিয়ে নেয়। আমি জানি না আমি কি করবো, কিন্তু তারা জানে।
এগুলো রিসেন্ট এক্সপেরিমেন্ট। ২০০০ সালের পরে। যদিও কোয়ান্টাম মেকানিক্স বিষয়টা প্রায় শত বছর পুরানো।
অর্থ: আল্লাহ তায়ালা এই বিশ্বজগৎকে চালাচ্ছেন। নিজে নিজে চলছে না।
উনি বলছেন "আমি ক্রিকেট খেলা দেখাকে নাজায়েজ মনে করি না।"
ইসলামিস্টরা বলছে, "আমরা নাজায়েজ মনে করি, আপনাকে ক্রিকেট খেলা নিয়ে পোস্ট দেয়া বন্ধ করতে হবে।"
উনি বললেন, "আমি কি করবো সে স্বিদ্ধান্ত আমার উপর ছেড়ে দেন।"
ইসলামিস্টরা, "আমাদের ছোট ভাইয়েরা আপনার স্টেটাস পড়ে বিভ্রান্ত হবে। আপনি গোপনে দেখেন। পোস্ট দিতে পারবেন না।"
_____
Relevant on গোপনে করা: "হে আহলে হাদিস ভাইয়েরা। আপনাদের নিয়ম কানুন আপনারা দয়া করে গোপনে চর্চা করেন। নচেৎ আমাদের হানাফি ভাইয়েরা আপনাদের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে যাবে।"
ব্যপার হলো, দ্বিমত আছে।
উনি যেটা সঠিক মনে করেন সেটা ফলো করেন।
আমি যেটা সঠিক মনে করি, ফলো করি।
বাকি উম্মা কি ফলো করবে সে স্বিদ্ধান্ত বাকি উম্মাহর। তাদের দুই পক্ষের যুক্তি শুনিয়ে আপনি যেটা সঠিক মনে করেন সেটা জানিয়ে ছেড়ে দিন।
কেন ভাবছি যে বাকিদের প্রোটেকশনের জন্য আসিফ ভাইয়ের যুক্তি তাদের কাছ থেকে গোপন করতে হবে?
কার কথা কাকে শুনতে দেয়া যাবে, আর কাকে শুনতে দেয়া যাবে না, সেই স্বিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব আমার মনে করছি কেন?
_____
আমার মনে হয় আসিফ ভাই ডেসপেরাটলি চেষ্টা করছেন উনার সাথে ফেসবুকের ইসলামিস্টদের পার্থক্যটা তুলে ধরতে। যে উনি তাদের একজন না। এর অংশ হিসাবে উনি খেলা নিয়ে পোস্ট দেন। "তোমাদের সাথে আমার দ্বিমত আছে। আমাকে তোমাদের মত মনে করো না।"
ভিন্ন মত থাকবে।
আমরা মেনে নিতে পারি না।
আশিদ্দায়ু আলাল কুফফারি, রুহামায়ু বাইনাহুম,
"তারা কাফেরদের উপর কঠোর, কিন্তু নিজেদের মাঝে রহমশীল।" - সুরা ফাতহ।
আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে এবং সবাইকে এর উপর রাখেন।
ইমাম আবু হানিফা ফারসী ভাষায় নামাজ পড়া জায়েজ মনে করতেন। ইবনে বাজ পৃথিবীকে সমতল বিশ্বাস করতেন। এধরনের অনেক।
এখন সারাদিন তাদের ভুলগুলো নিয়ে উপহাস করে কাটানো যায়। অথবা এগুলো বাদ দিয়ে, আলেমদের বাকি ৯৯% ইলম থেকে যা কিছু শিক্ষনীয় আছে সেগুলো শেখা যায়।
আমি দ্বিতীয়টা করতে পছন্দ করি।
Why not take a selfie with the hijacker? 8-) (Y)
Quote _____
ওহ! ইউ ফ্রম বাংলাদেশ? সরি! নো বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইজ অ্যালাউড ইন আওয়ার হোটেল। গভর্নমেন্ট পারমিশন নেহি হ্যায়।’ - কথাগুলো বলছিলেন মুম্বাই শহরের হোটেল ‘সি গ্রিন’ ও ‘সি গ্রিন সাউথ’র ম্যানেজাররা।
আইসিসি টি-টোয়িন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে কলকাতা থেকে প্রায় ২৬ ঘণ্টা ট্রেন ভ্রমণ শেষে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটায় মুম্বাই রেলস্টেশনে নেমেছি আমরা দশ বাংলাদেশি গণমাধ্যম কর্মী।
এভাবে একটি দুটি করে প্রায় ১৯টি হোটেল দেখার পর বিকেল ৩টা নাগাদ খাড়াকের মোহাম্মদ আলী রোডের মিনারা মসজিদের পাশে অবশেষে একটি হোটেলে আমরা উঠি।
http://www.banglanews24.com/national/news/477892/বাংলাদেশি-পাসপোর্ট-নট-অ্যালাউড
It's not a Virtual Machine.
It's not like docker container.
Neither is it Cygwin like native compile.
Basically, and I quote it...
A team of sharp developers at Microsoft has been hard at work adapting some Microsoft research technology to basically perform real time translation of Linux syscalls into Windows OS syscalls. Ubuntu binaries running natively in Windows. Microsoft calls it their Windows Subsystem for Linux.
The sysbench utility is showing nearly equivalent cpu, memory, and io performance."
All of your Windows drives, like C: are mounted read/write directly under /mnt.
And, vice versa, you can see all of your Ubuntu filesystem from Windows Explorer in C:\Users\Kirkland\AppData\Local\Lxss\rootfs\
No need for Putty! Just ssh directly from within the Ubuntu shell.
And apt install and upgrade works as expected.
____
Good step ahead by MS. A few more of these and I might consider switching to Windows again after some long years.
____
Enjoy it, while it lasts.
- But, 256 chars should be enough for everyone.
যেমন: ইমাম আবু হানিফা ফারসী ভাষায় নামাজ পড়া জায়েজ মনে করতেন। ইবনে বাজ পৃথিবীকে যারা সমতল বিশ্বাস করে না, তাদেরকে কোরআন শরিফের কিছু আয়াতে অস্বিকারকারি মনে করতেন। এরকম হাজারো উদাহরন।
এখন,
১। সারাদিন এই মতভেদ গুলো নিযে আলোচনা করে কাটানো যায়। এই মতভেদগুলো নিযে এক এক আলেমকে demonize আর demoralize করা যায়। একটা ইখতেলাফের কারনে একজনের সব কথা বাতিল ঘোষনা করা যায়।
অথবা,
২। প্রত্যেকের মাঝে বাকি যে ৯৯% যে ইলম আছে সেগুলো থেকে শিক্ষা নেয়া যায়। যার মাঝে যতটুকু ভালো।
দ্বিতীয়টা করতে আমি পছন্দ করি।
____
যে সমস্ত আলেমদের সাথে আমি কিছু বিষয়ে দ্বিমত পোষন করি, তাদের থেকেও আমি ইলম শিখি।
কিন্তু শিখি না, এবং দূরে চলে যাই, যখন দেখি উনি ইলমের থেকে মুসলিমে-মুসলিমে ঘৃনা ছড়াচ্ছেন বেশি।
হয়তো উনার ১০% ভালো কথা। বাকি ৯০% সময় দ্বিমত পোষনকারীদের প্রতি আক্রমন করে কাটাচ্ছেন। এবং আক্রমনের ভাষাটা বিনয়ি না, আক্রমনাত্বক। যদিও উনি নিজে এই বিশ্বাস থেকে এটা করছেন যে "আমি হক প্রচারের জন্য এটা করছি।"
_____
"... ওয়ালা তাজয়াল ফি কুলুবিনা গিল্লা, লিল্লা দিনা আমানু"
...আমাদের অন্তরে ঈমানদারদের প্রতি বিদ্বেষ রাখবেন না, আমাদের রব।
এক জীবন অপেক্ষা করেছি
বহু পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি
আপনার সাক্ষাতের আশায়।
তপ্ত মরুর উপর হেটেছি
পাহাড়ের চুড়ায় চড়েছি
আপনার সাক্ষাতের আকাংখায়।
চামড়ায় ভাজ পড়েছে
চুল দাড়ি সাদা হয়েছে
আপনার সাক্ষাতের অপেক্ষায়।
আজ চোখের নিচের অশ্রু ভযের না
আনন্দের
https://www.facebook.com/groups/1495508444111218/