অসুস্থ হলে আমি কেন ঔষধ খেতে চাই না তার ব্যখ্যা,
প্রথমত: সর্দি জ্বর সাত দিন পর এমনিতে ভালো যায়। কোনো ঔষধ না খেলেও। এ থেকে প্রবাদটা এসেছে "সর্দি জ্বর ঔষধ খেলে ভাল হয় সাত দিনে না খেলে ভালো হয় এক সপ্তাহে।"
তাই সর্দি জ্বর দিয়ে অনেক ম্যজিক দেখানো সুযোগ আছে। একজন জ্বর নিয়ে তিন জন প্রফেসরের কাছে ঘুরেছে। কাজ হয় নি। সর্বশেষ যে ডাক্তারের কাছে গেলো সেখানে ম্যজিকের মত কাজ হয়েছে। পর দিন জ্বর শেষ।
শেষ ডাক্তারের কাছে সে যে ছয় দিনের মাথায় গিয়েছিল সেটা আর কে খেয়াল করবে?
শেষ ডাক্তার তাকে টেপের পানি দিতে পারে, বা তার দিকে তাকিয়ে জোরে ফুক দিতে পারে, কিংবা নাম না জানা কোনো কম্পানির প্যরাসিটামল ঔষধ দিতে পারে।
যাই দেক তার জ্বর ভালো হয়ে যাবে ৭ দিনের মাথায়।
ঝড়ে বক মরে ডাক্তারের কেরামতি বাড়ে।
___
দ্বিতীয়তঃ কফের সিরাপ হলো suppressant. Curer না। গলাকে অবশ করে দিয়ে কাশির অনুভুতিকে কমিয়ে দেবে।
গলার ইনফেকশন রয়ে গেলো এবং এই অবস্থায় ফুসফুস প্রানান্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে কাশি দিয়ে ভেতরের জীবানু বাইরে ছুড়ে ফেলে দেবার জন্য।
আমার এটা পছন্দ না। তাই ঔষধ খেয়ে গলাকে অবশ করে কাশি বন্ধ করে দিলাম।
ভালো, ভালো না?
প্লাস, হুজুর হয়ে এর রিক্রিয়েশনাল ড্রাগ ইফেক্ট নিয়ে আর কোনো কথা তুললাম না। এর উপর বহু আলোচনা হয়ে গিয়েছে।
___
তৃতীয়তঃ ব্যকটেরিয়েল ইনফেকশন হয়েছে ধরে নিয়েই যদি বেশি বেশি অন্টিবায়োটিক খাওয়া আরম্ভ করে দেই। তবে সুস্থ হব ঠিক। সাত দিন পরে অটোমেটিক হোক বা এন্টিবায়োটিকে। উল্লেখ্য এন্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যকটেরিায়ার বিরুদ্ধে কাজ করে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে এর কাজ হলো zero, nada, কিছুই না।
কিন্তু অপ্রয়োজনে ঘন ঘন এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কারনে কিছু দিন পর আমার শরিরের ব্যকটেরিয়াগুলো ঐ অন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট হয়ে যাবে।
এর পর আমাকে অন্য এন্টিবায়োটিক খুজতে হবে। যতক্ষন না সেটাও রেজিস্টেন্ট হয়ে যায়।
এর পর আরেক এন্টিবায়োটিক।
আর বাংলাদেশের ডাক্তাররা জ্বর হলে ভাইরাল নাকি ব্যকটেরিয়াল ইনফেকশনের জন্য হয়েছে সেটা বুঝেও-না, দেখেও-না। সবই এন্টইবায়োটিক দিয়ে দেয়। রোগীও খুশি।
এর পর যখন বাজারের সব এন্টিবায়োটিকে রেজিস্টেন্স চলে আসে, তখন আল্লাহর উপর ভরসা করা ছাড়া উপায় নেই।
আমিও আল্লাহর উপর ভরসা করি।
তবে ঐ শেষে না গিয়ে, প্রথম থেকেই করার চেষ্টা করি।
ট্যগস:
#নিজের_ডাক্তারি_নিজে
#গুগুল_থাকতে_ডাক্তার_কেন?
#বেশি_পন্ডিতি :-P
#dont_try_this_at_home
- Comments:
- Relevant:
https://www.facebook.com/shiplu.hridoy/posts/1146286172082947?pnref=story