মধ্যবিত্ত একটা পরিবার। স্কুলে পড়ুয়া মেয়েটা অত ট্যেলেন্টেড না হলেও অনেক কস্টে বাপ-মা ভর্তি করিয়েছেন ভিকারুন্নেসায়।
ঢাকার ভালো স্কুলগুলোতে পরিক্ষার খাতা দেখা হয় কড়া করে। অন্য স্কুলে যতটুকু লিখলে ৯০ পাওয়া যায়, এই সব স্কুলে সেটা লিখলে দেয় ৬০। তবে ম্যট্রিকে গিয়ে সবাই ভালো করে কারন ওখানে তো আর এভাবে কড়া করে খাতা দেখা হয় না।
মা সন্তুস্ট না। "আমার মেয়ে ৬০ এর উপর পায় না।"
ঐ স্কুলের মায়েদের সাথে গল্প করলে তারা বলে "আমার মেয়ে অংকে ৯০ পেয়েছে", "আমার মেয়ে বাংলায় ৮০"
এই মেয়ের মা কোনো অহংকার করতে পারে না। চুপ থাকতে হয়ে।
মেয়েকে কোচিয়ে দিলো। কাজ হয় না।
বাসায় টিউটর রাখলো, দু জন। টিউটররা বলে "এর থেকে ভালো রেজাল্ট এরা করবে না।"
মায়ের বোনের মেয়ে আছে। তারা পড়ে ফালতু একটা স্কুলে। ঐ স্কুলে তারা পায় ৯০। আর এই ভালো স্কুলে পড়িয়ে তার মেয়ে পায় ৬০।
রাগে দুঃখে মা ঘুমাতে পারে না। মাথা ব্যথা করে প্রচন্ড।
এর থেকে বরং আত্মহত্যা করা ভালো। বাচ্চাদের রেজাল্ট নিয়ে অহংকার না করতে পারলে জীবনে বেচে থেকে লাভ কি?
মা যায় রেল লাইনের কাছে। কিন্তু আত্মহত্যার সাহস করতে পারে না। ফিরে আসে।
এর পর ওড়না নিয়ে ফ্যনে ঝুলতে চায়। তাও সাহস করতে পারে না।
তার মনটা যে খুব নরম, তাই।
শেষে চিন্তে করে, "বাচ্চাদের জন্য আমি মরবো কেন? বরং বাচ্চাদেরকে আমি মেরে ফেলবো।"
তাই করে। মেয়েকে উড়না দিয়ে পেচিয়ে হত্যা করে। এর পর, "সব যখন শেষ করলাম এটাকেও করি" বলে ৬ বছরের ছেলেটাকে ঘুমের মাঝে মেরে ফেলে।
এখন মা শান্তিতে। জেলে আরাম করে ঘুমায়। বিচারককে বলে "আমার কোনো আফসুস নেই।"
সত্য ঘটনা।