তখন হাই স্কুলে পড়ি। একদিন এক আলেম মসজিদে বললেন "ইয়া নবি সালাম আলাইকা" বলা যাবে না। কারন আমরা নবী ﷺ এর সামনে দাড়িয়ে নেই। বরং "আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ" বলতে হবে।
মনে পড়লো নামাজে "আসসালামু আলাইকা ইয়া আইয়ুহান্নাবিয়ু" পড়ার কথা।
তবে কিছু বললাম না। চুপ থাকলাম।
____
কলেজে পড়ি। এক আলেম বললেন নবী ﷺ আমাদের মত মানুষ ছিলেন এটা বলা যাবে না।
মনে পড়লো সুরা কাহাফের শেষ আয়াত, "কুল ইন্নামা আনা বাশারুম মিথলুকুম..." এর কথা।
তবে কিছু বললাম না। চুপ থাকলাম।
____
ইউনিভার্সিটিতে পড়ি। একজন বললো "পিতা মাতা আমাদের খাওয়ান এ ধরনের কথা বলা হবে শিরক। বলতে হবে আল্লাহ খাওয়ান।"
মনে পড়লো "রাব্বিরহাম হুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা" এর "রাব্বায়ানি" শব্দের কথা।
তবে কিছু বললাম না। চুপ থাকলাম।
____
চাকুরিতে ঢুকেছি। একজন বললো "আল্লাহ তায়ালা আরশের বাইরে অন্য কোথাও আছেন এমন কথা বলা হলো কুফর।"
মনে পড়লো "ওয়া ইদা সাআলাকা ইবাদি আন্নি, ফা ইন্নি কারিব" আয়াতটা।
এবারও কিছু বললাম না। চুপ থাকলাম।
____
নিজে পথ পেলেই আমি খুশি। অন্যদের পথ দেখানোর দায়িত্ব হলো আলেমদের, আমার না।
- Comments:
- বস্তুতঃ এখানে দাওয়াহ দেয়ার কথা বলা হয়েছে, যেটা সব মুসলিম দিতে পারে।
আমি যেটার কথা বলেছি সেটা হলো ফতোয়া। যেটা শুধু আলেমদের দায়িত্ব।
- শাহাদাৎ ভাই, প্রথম কাজ হলো সময় হয়ে গেলে ওজু করে আল্লাহর জন্য নামাজ পড়া।
দ্বিতীয় হলো প্রতিদিন কিছু কোরআন তিলওয়াত করা।
এই দুটো কাজ যদি আমি আর অপনি করতে পারি তবে এর পর অন্য কারো ভুল বা সঠিক কথার জন্য আমাদের কারো জবাব দিতে হবে না।
- ঠিক করে দিয়েছি। আবার এবার দেখেন।