বুস্তামের জনৈক প্রভাবশালী ব্যক্তি হযরত আবু ইয়াযীদ বুস্তামীর মজলিসে সর্বক্ষণ উপস্থিত থাকত৷
একদিন সে আরয করল, "আমি ত্রিশ বছর ধরে অবিরাম রোযা রাখছি এবং রাত জেগে নফল এবাদত করছি৷ কিন্তু এত সাধনা সত্বেও আপনি যে জ্ঞান বর্ণনা করেন, তা নিজের অন্তরে বিদ্যমান পাই না৷ অথচ আমি এই জ্ঞানকে সত্য বলে বিশ্বাস করি এবং ভালবাসি৷"
হযরত আবু ইয়াযীদ বললেন, "ত্রিশ বছর কেন, যদি তুমি তিনশ বছরও রোযা রাখ এবং রাত্রি জাগরণ কর, তবু এই জ্ঞানের কণা পরিমাণও পাবে না৷"
লোকটি এর কারণ জিজ্ঞাসা করলো।
তিনি বললেন, "কারণ এই যে, তুমি নিজের নফসের কারণে আল্লাহ তা’আলা থেকে আড়ালে আছ৷"
লোকটি আরয করল, "তাহলে এর প্রতিকার কি?"
তিনি বললেন "প্রতিকার আছে। কিন্তু তুমি তা কবুল করবে না৷"
সে বলল, "আপনি বলুন, যাতে আমি তা পালন করতে পারি৷"
তিনি বললেন, "এখনি নাপিতের কাছে গিয়ে মাথা ও দাড়ি মুণ্ডন কর৷ এই পোশাক খুলে কম্বলের লুঙ্গি পরিধান কর৷ ঘাড়ে আখরুটের একটি ঝুলি তুলে নাও৷ রাস্তায় গিয়ে নিজের চারপাশে লোকজনকে জড়ো কর৷ এরপর তাদেরকে বল যে কেউ আমাকে একটি থাপ্পড় মারবে, আমি তাকে একটি আখরুট দেব৷ এমনিভাবে প্রত্যেক বাজারে যাও এবং যারা তোমার পরিচিত, তাদের কাছেও যাও এবং থাপ্পড় খেয়ে থেয়ে আখরল্ট বিলি কর৷"
লোকটি বলল, "সােবহানাল্লাহ, আপনি আমাকে এমন কথা বললেন!"
তিনি বললেন, "তোমার সোবহানাল্লাহ বলা একটি শিরক৷ কারণ, তুমি নিজের নফসকে বড় জেনে সােবহানাল্লাহ বলেছ৷ আল্লাহ তা’আল[র তাযীমের জন্যে বলনি৷"
লোকটি বলল, "আমি এটা করব না৷ অন্য কিছু বলুন৷"
তিনি বললেন, "সর্বাগ্রে এটাই করা দরকার৷"
সে বলল, "এটা করার সাধ্য আমার নেই৷"
হযরত আবু ইয়াযীদ বললেন, "আমি তাে আগেই বলেছিলাম যে, তুমি প্রতিকার কবুল করবে না৷"
- এহইয়াউ উলুমুদ্দিন, অহংকার আর আত্মম্ভরিতা বিষয়ে।
- Comments:
- কিভাবে? উত্তরে দক্ষিনে হলে কি হতো?
- এই দলটা বাংলাদেশেও আসছে। Get ready.