পাকিস্তানে:
বেরলভী: ৫০%
দেওবন্দি: ২০%
শিয়া: ১৮%
আহলে হাদিস: ৪%
ইসমাইলী: ২%
অন্যান্য: ২%
কাদিয়ানী: ০.২৫%
বেরলভী: ৫০%
দেওবন্দি: ২০%
শিয়া: ১৮%
আহলে হাদিস: ৪%
ইসমাইলী: ২%
অন্যান্য: ২%
কাদিয়ানী: ০.২৫%
- এই যে কোরআন শরিফ। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে গাইডলাইন পাঠালেন, কিন্তু এই গাইডলাইনে কি লিখা আছে কোনো দিন পড়ে দেখেছো?
- কিন্তু আলেমদের কাছ থেকে তো শুনি...।
- আলেমদের অন্ধ অনুসরন নিষেধ। নিজে পড়ে তোমাকে জানতে হবে। আল্লাহ তায়ালা কোরআন শরিফ কি শুধু আলেমদের জন্য পাঠিয়েছেন?
____
দশ বছর পর ছোট ভাই:
- ভাইজান আমি নিজে কোরআন শরিফ পড়েছি। পড়ে যা বুঝেছি সেটা হলো "কাফির" বলতে ... (ব্যখ্যা আরম্ভ করলো)
- আস্তাগফিরুল্লাহ! তোমাকে কোরআন শরিফ পড়ে ব্যখ্যা করতে কে বলেছে?
- তাহলে?
- আলেমদের কাছ থেকে শিখতে হবে। নয়তো তুমি পথহারা হবে।
- এই কথা তো তখন বলেন নি? হুম! তাহলে কি দশ বছর আগেই সঠিক পথে ছিলাম না? ভুলটা কোথায় করলাম?
____
ভুলটা হলো:
উপদেশ দাতারা লিটারেলি কি বলে, সেটার থেকে জরুরী হলো উপদেশ দাতা কি উদ্যেশ্যে বলছে সেটা ধরতে পারা।
বড় ভাই মুখে বলছিলেন "নিজে পড়"।
কিন্তু বুঝাচ্ছিলেন "তুমি যে আলেমদের ব্যখ্যা এখন অনুসরন কর, তা না করে আমি যাদের অনুসরন করি তাদের অনুসরন কর।"
وقال صلى الله عليه و سلم إن أهل الجوع في الدنيا هم أهل الشبع في الآخرة وإن أبغض الناس إلى الله المتخمون الملأى وما ترك عبد أكلة يشتهيها إلا كانت له درجة في الجنة
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
দুনিয়াতে যারা ক্ষুধার্ত, আখিরাতে তারা তৃপ্ত হবে। অল্লাহর কাছে ঐ বান্দা অধিক ঘৃনিত যার বদহজম লেগে থাকে আর পেট ভরে খায়। বান্দা খায়েশ সত্বেও যে লোকমাটি ছেড়ে দেয় তার বিনিময়ে সে জান্নাতে একটা স্তর লাভ করে।
- এহইয়াউ উলুমউদ্দিন।
গ্রেডিং: জানা নেই।
اللهم إنك سلطت علينا عدوا
عليماً بعيوبنا
يرانا هو وقبيله من حيث لا نراهم
اللهم آيسه منا كما آيستـه من رحمتك
وقنطه منا كما قنطـته من عـفوك
وباعــد بيننا وبينه كما باعـدت بينه وبين رحمتك وجنتك
প্রতিদিন ফজরের পরে।
অর্থ: হে আল্লাহ৷ আপনি আমাদের উপর এক শত্রুকে ক্ষমতা দান করেছেন, যে আমাদের দােষত্রুটি সম্পর্কে ওয়াকিফহাল৷ সে এবং তার দলবল আমাদেরকে এমন জায়গা থেকে দেখে, যেখান থেকে আমরা তাদেরকে দেখি না৷ হে আল্লাহ! অতএব আপনি তাকে আশা থেকে নিরাশ করুন, যেমন তাকে আপনার রহমত থেকে নিরাশ করেছেন৷ তাকে আমাদের থেকে হতাশ করুন, যেমন আপনার ক্ষমা থেকে হতাশ করেছেন৷ তার মধ্যে ও আমাদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি করুন, যেমন তার মধ্যে ও আপনার রহমতের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন৷
_____
এহইয়াউ উলুমুদ্দিন থেকে এটা সহ মোট তিনটা দোয়া কালেক্ট করলাম।
আর কালেক্ট করে লাভ নেই, যদি না এই তিনটার উপর আমল করতে পারি।
উপকারী ইলম দরকার।
সব ইলম না।
#HabibDua
আমি রাজপথ ছেড়ে গলির পথ নিয়েছিলাম
সর্টকাটে যেতে, অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকতে।
আজ লক্ষ মানুষ তাদের গন্তব্যে পৌছে গিয়েছে,
আমি আজো পথহারা।।
#পথহারা
A photon is going through airport security. The TSA agent asks if he has any luggage. The photon says, "No, I'm traveling light."
___
Heisenberg was speeding down the highway. A cop pulls him over and says, "Do you have any idea how fast you were going back there?" Heisenberg says, "No, but I knew where I was."
___
First Law of Thermodynamics: You can't win.
Second Law of Thermodynamics: You can't break even.
Third Law of Thermodynamics: You can't stop playing.
___
A linguistics professor says during a lecture that, "In English, a double negative forms a positive. But in some languages, such as Russian, a double negative is still a negative. However, in no language in the world can a double positive form a negative."
But then a voice from the back of the room piped up, "Yeah, right."
:-P
...আমি [আল্লাহ] তার [মানুষের] ঘাড়ের রগের থেকেও বেশি কাছে।
...[মৃত্যুর সময়] তোমরা তাকিয়ে থাক, তখন আমি তোমাদের থেকেও তার বেশি কাছে থাকি; কিন্তু তোমরা দেখ না।
পূর্ব ও পশ্চিম আল্লারই। অতএব, তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও, সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ।
তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথে আছেন।
...তিন ব্যক্তির এমন কোন পরামর্শ হয় না যাতে তিনি চতুর্থ না থাকেন এবং পাঁচ জনেরও হয় না, যাতে তিনি ষষ্ঠ না থাকেন। তারা এর থেকে কম বা বেশী হোক বা যেখানেই থাকুক, তিনি তাদের সাথে আছেন...।
গত বেশ কিছু দিন ধরে অনেক জানার চেষ্টা করলাম তাদের সম্পর্কে। এরা সেই গ্রুপ যেটা মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকী টিভিতে শিক্ষা দিতেন। অন্যদের সাথে তাদের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো, তারা মাজার পন্থী। মানে, তাদের দোয়া ও ইবাদতের একটা সিগনিফিকেন্ট অংশ মাজারকে ঘিরে হয়।
_____
আমার একটা ধারনা ছিলো এদের হয়তো কালেকটেড কোনো গাইডলাইন নেই। যে যা ধারনা করে সেটা একজন অন্য জনের কাছ থেকে শুনে বলে। অনেকটা মাইজভান্ডারি আইডলজির যেভাবে প্রচার পায় সেরকম। সেটা না।
জানলাম এদের তফসির গ্রন্থ আছে। নাম "কানজুল ঈমান"। লিখক হলেন আহমেদ রেজা খান বেরলভী। ১৯০০ সালের দিকে লিখা উর্দুতে। বাংলা অনুবাদ আছে।
নেট থেকে PDF ডাউনলোড করে পড়ে দেখলাম উনাদের শিক্ষার সাথে এটা হুবহু মিলে যায়। যতটুকু দেখেছি।
_____
"বেরলভী" মানে, আহমেদ রেজা খান বেরলভ এলাকার মানুষ। এটা ভারতের উত্তর প্রদেশে। উনার জীবনী দেখলাম। সিগনিফিকেন্ট দুটো জিনিষ চোখে পড়লো।
উনি নিজেই উনার জন্মসাল আর মৃত্যুসাল কোরআন শরিফ থেকে বের করেছেন।
প্রথম আয়াতটা হলো "উলাইকা কাতাবা ফি কুলুবিহিমুল ঈমান" অর্থাৎ, তাদের অন্তরে আল্লাহ তায়ালা ঈমান লিখে দিয়েছেন। এই আয়াত থেকে উনি বের করেছেন ১২৭২ হিজরিতে উনি জন্ম গ্রহ করবেন। এবং উনি জন্ম নিয়েছেন ঐ সালে।
কিন্তু কিভাবে বুঝা যায়? নিউমারোলোজী? কোরআন শরিফের অক্ষরের বিপরিতে সংখ্যা ধরে গুনে? জানি না।
যাই হোক, এই আয়াতের বিপরিতে উনি নিজের ব্যপারে বলেছেন, "যদি আমার অন্তরকে দু’টুকরো করা হয় তবে দেখা যাবে যে, এক টুকরোর উপর লিখা আছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, অপর টুকরোর উপর লিখা আছে মুহাম্মাদুর রাছূলুল্লাহ।"
_____
উনার মৃত্যুর সালও উনি কোরআন শরিফের আয়াত থেকে মূত্যুর কয়েক মাস আগে নির্ধারন করেছিলেন। "ওয়া ইয়াতুফু আলাইহিম বি আনিয়াতিন মিন ফিদ্দাতিও ওয়া আকওয়াব" অর্থাৎ, স্বর্ন আর রূপার প্লেট নিয়ে জান্নাতে তাদের চারদিকে ঘুরা হবে।
নিউমারোলোজি দিযে সম্ভবতঃ এই আয়াত দিয়ে বের করেছিলেন উনার মৃত্যু ১৩৪০ সালে হবে। এবং ঐ সালে উনি মারা গিয়েছেন।
এগুলো কে বের করেছেন? উনার মুরিদরা? না! বরং উনি নিজেই। নিজেই নিজের ব্যপারে এগুলো বলে গিয়েছিলেন।
_____
কি বুঝলাম?
কাউকে বিচার করার দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালা আমাকে দেন নি।
শুধু এতটুকু ছাড়া, যে আমি উনাকে অনুসরন করবো কি করবো না সেটা জানার জন্য। এবং উনাকে যারা অনুসরন করে, তাদের থেকে অমি শিক্ষা গ্রহন করবো নাকি করবো না সেটা বুঝার জন্য।
কংক্লুশন?
আমি কনভিন্সড না।
আহমেদ রেজা খানকে আমি নিজের জন্য অনুসরনীয় মনে করছি না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সিরাতিল মুসতাকিমের উপর রাখুন।
ال - আল - The
و - ওয়া - এবং
আমি এবং সে = আমি "ওয়া" সে
ام - আম - অথবা
من - মিন - থেকে
"কোপ" কথাটা স্পেলিং মিসটেক। কাপ হবে মনে হয়।
____
"কোপ যার যার। আনন্দ সবার" - জনৈক।
এখানেও কি স্পেলিং মিসটেক?
প্রচলিত যে বিশ্বাসগুলো আছে, যেমন "পীর ধরা জরুরী", "ধরতে হবে", "পীর ধরলে তাড়াতাড়ি সুফল পাবেন", "নিজে নিজে আমল করতে গেলে শয়তানের ধোকায় পড়ে যাবেন" এই ধরনের কোনো কথা এই বইয়ের কোথাও চোখে পড়লো না।
বরং সব বলা হয়েছে "নিজে কর" এই স্টাইলে।
___
এই বইটার সমালোচনা আছে অনেক। বিশেষ করে সালাফি আলেমদের মতে সুফিজমের পুরো বিষয়টা হলো বিদআত বা নবআবিস্কৃত এবং রাসুলুল্লাহ ﷺ উম্মাহকে এসব শিক্ষা দিয়ে যান নি। এগুলো দরকার নেই, বা ক্ষতিকর। কারন উম্মাহকে আরো জরুরী কাজ করা থেকে এগুলো বিরত রাখে।
তবে হানাফি আলেমদের মতে সুফিজম গ্রহনযোগ্য। কেউ বিদআত বলেন না। কিন্তু কেউ কেউ স্পেসিফিকলি এই বইগুলো নিজে নিজে পড়তে নিষেধ করেন। বা পড়ার আগে আলেমদের অনুমতি নিয়ে নিতে বলেন।
___
সবার কথাই ঠিক। যে যার পয়েন্টে।
এর পরও দুদল আলেমের কথা যদি বিপরিতমুখি হয় তবে, তার অর্থ এই না যে আমাকে দুজনের কথাই গ্রহন করতে হবে। এবং তার অর্থ এই না যে একজনের কথা গ্রহন করার জন্য আমাকে অন্য জনের কথাগুলোকে ভুল প্রমান করতে হবে।
দুজনের কথাই ঠিক। আমি একজনের কথা গ্রহন করবো অন্যজনকে ভুল না বলে।
____
বর্তমান যুগের আলেমদেরকে আমি অতীত যুগের আলেমদের থেকে উত্তম মনে করি না।
مَلِكِ النَّاسِ
মানুষের মালিকের কাছে
إِلَهِ النَّاسِ
মানুষের ইলাহের কাছে
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
গোপনে ফিসফিসকারীর ক্ষতি থেকে
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
যে ফিসফিস করে মানুষের বুকে
مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ
জ্বীন এবং মানুষ থেকে।।
- সুরা নাস।
http://quran.com/114/6/
http://quran.com/114/6/
// Just before switching jobs: Add one of these.
# define M_PI 3.2f
# define floor ceil
# define true ((__LINE__&15)!=15)
# define true ((rand()&15)!=15)
# define if(x) if ((x) && (rand() < RAND_MAX * 0.99))
https://gist.github.com/aras-p/6224951
https://gist.github.com/aras-p/6224951
"সন্ধা দিনের মাঝে পড়ে নাকি নাকি রাতের মাঝে" এ ব্যপারে দুজনের বিপরিতমুখি কথা দুটোই ঠিক হতে পারে। বা একটা ঠিক হতে পারে।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ حُبَّكَ
وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ
وَالْعَمَلَ الَّذِي يُبَلِّغُنِي حُبَّكَ
اللَّهُمَّ اجْعَلْ حُبَّكَ أَحَبَّ إِلَىَّ مِنْ نَفْسِي
وَأَهْلِي
وَمِنَ الْمَاءِ الْبَارِدِ
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই আপনার ভালোবাসা।
আর যারা আপনাকে ভালোবাসে তাদের ভালোবাসা।
আর ঐ আমল যা আমাকে, আপনার ভালোবাসার কাছে আনে।
হে আল্লাহ! আমার নিজের, পরিবারের এবং ঠান্ডা পানি থেকেও আপনার ভালোবাসাকে আমার কাছে আরো প্রীয় করেন।
- তিরমিজি/৩৪৯০
#HabibDua
রমজানের আর ঠিক দুই মাস। রজব মাস হলো ইসলামের হারাম মাসগুলোর একটা। এই মাসে যুদ্ধ করা নিষেধ।
____
রজব মাস নিয়ে একটা হাদিস যেটা একাধিক কিতাবে এসেছে। islamqa.com এর মতে এটা জয়িফ, এবং এর উপর আমল করা যাবে না।
হানাফি আলেমদের মতে এর উপর আমল করা যাবে কিনা জানি না। তাই শুধু আরবী বর্ননা দিলাম।
روى عبد الله بن الإمام أحمد في "زوائد المسند" (2346) والطبراني في "الأوسط" (3939) والبيهقي في "الشعب" (3534) وأبو نعيم في "الحلية" (6/269) من طريق زَائِدَة بْن أَبِي الرُّقَادِ قَالَ: نا زِيَادٌ النُّمَيْرِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ رَجَبٌ قَالَ: ( اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ، وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ )
নতুন সবাই এসেছে রজব মাস আরম্ভ হলো কিনা জানতে।
এদের জন্য আরো কিছু করতে পারলে খুশি হতাম। বিশেষ করে অনেক আরব মুসলিম, গুগুল ট্রান্সলেশনের সাহায্য নিয়ে ক্যলেন্ডারটা পড়ে। আরবীতে দ্বিতীয় একটা ভার্শন করতে পারলে তাদের জন্য সুবিধা হতো।
সামনের শাবান, রমজান, শাওয়ালে এটা হু হু করে আরো অনেক বাড়বে ইনশাল্লাহ।
___
আরব দেশেগুলোতে নতুন চাদ দেখে টেলিস্কোপ দিয়ে। তাই তাদের মাস সবসময় শুরু হয় আমাদের একদিন অগে।
আমরা দেখি খালি চোখে। এবং ক্যলেন্ডারটা খালি চোখে দেখার উপর ভিত্তি করে হিসাব করা হয়েছে। একটু সময় নিলে টেলিস্কোপ দিয়ে দেখার উপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় একটা ক্যলেন্ডার এড করা যায়।
___
রমজান আসছে। বাংলাদেশে ঢাকার সাথে অন্যান্য জেলার সময়ের পার্থক্য যেটা মিনিটে দেয়া হয়, সেটা সারা বছর এক থাকে না। যেমন সেহরীর সময় কোনো জেলায় ঢাকার থেকে ১ থেকে ৭ মিনিট পর্যন্ত পার্থক্য হতে পারে। নির্ভর করে ইংরেজি কোন মাসে রমজান পড়লো তার উপর।
প্রতি মাসে প্রতি জেলার সাথে পার্থক্যটা একটা টেবিল আকারে একসময় এই সাইটে দিয়ে ছিলাম। এখন নেই। রমজানের আগেই আবার দিতে পারলে খুশি হতাম।
____
সারা বছরের প্রতিটি দিনের জন্য প্রতিটি জেলার নামাজের সময়সূচি PDF আকারে দিতে পারলে আরো খুশি হতাম। এটার জন্য সময় কম লাগবে।
করতে হবে ইনশাল্লাহ।
Straight vertical landing without toppling. Unbelievable.
Kudos. (Y) I doubt NASA would have been able to do it themselves.
অর্থাৎ,
প্রত্যেক ইবাদতকারীর মাঝে একটা উদ্যম আছে।
এবং প্রত্যেক উদ্যমের মাঝে হাল ছেড়ে দেয়া আছে।
এর পরে সে হয় সুন্নাহর উপর স্থির হয়
অথবা বিদআহর উপর স্থির হয়।
শেষে যার অভ্যাস হয়ে যায় সুন্নাহর উপর থাকা সে হিদায়া পেলো
আর যার অভ্যাস এটা এর ব্যতিক্রম হয়, সে ধ্বংশ হয়ে গেলো।
Reference: http://library.islamweb.net/hadith/display_hbook.php?bk_no=970&pid=401075&hid=86
ড: খন্দকার জাহাঙ্গিরের লেকচার থেকে কালেকটেড।
মিলাদ পড়া মানে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর জন্মদিন পালন করা।
অনেকে মিলাদ পড়া মানে "দুরুদ পড়া" অর্থ করেন। এটা ভুল।
মিলাদে দুরুদ পড়া হয়। কিন্তু মিলাদ মানে দুরুদ না। মিলাদ মানে জন্মদিন পালন করা। এবং জন্মদিন পালনের নিয়মগুলোর একটা অংশ হিসাবে আরো অনেক কিছুর সাথে দুরুদও পড়া হয় ।
মিলাদে সবাই দাড়িয়ে যাবার আগে একজন জোরে পড়েন "ওয়া লাম্মা তাম্মা মিন হামলিহি... "। এর অর্থ হলো "রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মায়ের গর্ভ যখন পূর্ন হলো তখন..."... এর পর মা আমিনা কিভাবে রাসুলুল্লাহ ﷺ কে প্রসব করেন তার বর্ননা দেয়া হয়।
জন্মের বর্ননা শেষে হলে, সংগে সংগে সবাই দাড়িয়ে গিয়ে পড়ে "ইয়া নবী সালাম আলাইকা..."।
মানে, মূল অনুষ্ঠানটা হলো রাসুলুল্লাহ ﷺ এর জন্মদিন পালন করা।
____
প্রশ্ন হলো তাসাউফের জন্য মিলাদ পড়া কতটুকু জরুরী? এ উপমহাদেশের "সুন্নিজামাতের" মত হলো এটা খুবই জরুরী। এবং যারা মিলাদ পড়ে না তারা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর উপর মহব্বত রাখে না। এবং তারা হলো "ওহাবী"।
এই বিষয়ে ক্লিয়ার হবার জন্য, এহইয়াউ উলুমিদ্দিন পড়লাম। দেখলাম রাসুলুল্লাহ ﷺ এর জন্ম নিয়ে কোনো বর্ননা নেই। জন্মদিন পালন নিয়েও কোনো কথাও আমি পাই নি।
বরং উনার ওফাত বা মৃত্যুর বর্ননা ডিটেলস দেয়া হয়েছে। উনার আবেগ, কস্ট, শিক্ষা এগুলো বর্ননা করে হয়েছে। এবং এই বর্ননা দিয়েই উনার ﷺ এর প্রতি আমাদের ভালোবাসাকে জাগিয়ে তোলা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর উপর অনেক সালাত সালাম পাঠাক।
الْحَيُّ الْقَيُّومُ
উনি জীবিত, সব কিছুকে কায়েম রেখেছেন
لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ
উনার ঝিমুনি বা ঘুম ধরে না
لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ
আকাশ আর পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সব উনার
مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ
উনার অনুমতি ছাড়া কেউ উনার কাছে সুপারিশ করতে পারে না
يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ
তাদের সামনে কি আছে আর পেছনে কি আছে, উনি জানেন
وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء
উনি যতটুকু ইচ্ছে করেন তার বাইরে উনার জ্ঞান থেকে কেউ কিছু পায় না
وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ
উনার কুরসি আকাশ আর পৃথিবী পর্যন্ত বিস্তৃত।
وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا
এদুটোর হিফাজত করতে গিয়ে উনি কাহিল হন না
وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
উনি সবচেয়ে উচু, সবচেয়ে বড়।
- আয়াতুল কুরছি, সুরা বাকারা ২৫৫।
এর পর গঙ্গায় অনেক পানি বহেছে।
বাংগালী এখন একটা সুডো-ধর্মে পরিনত হয়েছে। ধর্ম বনাম সংস্কৃতি নামে একটা দ্বন্ধ জাগিয়ে তোলা হয়েছে।
সংস্কতিসেবীদের কাছে ইসলামে যা কিছু বাংগালী সংস্কৃতির বিপরীত তা ঘৃন্য, পরিত্যাজ্য, ভিনদেশী, আরব কালচার।
শাহবাগ দেখিয়েছে আমাদের সংস্কৃতিসেবীদের উচু গলা। কথার গালি। তাদের অন্তরের ঘৃনা।
মুসলিম হয়ে তাদের ডাককে আমি প্রত্যাখ্যান করলাম।
"ইসলামে কি এই আছে? সেই নেই? ইসলাম কি এই বলে?" এই সব বিষয়ে তাদের যুক্তিগুলোকেও আমি অগ্রাহ্য করলাম। মুনাফিকদের কাছ থেকে আমি ইসলাম শিখি না।
বাংগালী সংস্কৃতির যা কিছু ইসলামের বিপরতি সব আমার কাছে ঐ রকম পরিত্যাজ্য, যেরকম কিনা তাদের কাছে ইসলামি সংস্কৃতি পরিত্যাজ্য।
___
দুই দিকে থাকার দিন শেষ।
"...মা হুম মিনকুম ওয়ালা মিনহুম...", না তারা মুসলিমদের দলে, না তারা কাফেরদের দলে। সুরা মুজাদিলা।
এখন সাইড নেবার পালা।
আমার ধর্ম দুটো না।
একটা।
الْلَّهُم إِنِّي أَعُوْذ بِك مِن الْهَم و الْحَزَن
و أَعُوْذ بِك مِن الْعَجْز و الْكَسَل
و أَعُوْذ بِك مِن الْجُبْن و الْبُخْل
و أَعُوْذ بِك مِن غَلَبَة الدَّيْن و قَهْر الْرِّجَال
হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে রক্ষা চাই দুশ্চিন্তা আর দুঃখ থেকে
আর আশ্রয় চাই দুর্বলতা আর অলসতা থেকে
আর আশ্রয় চাই ভিরুতা আর কৃপনতা থেকে
আর আশ্রয় চাই ঋনে ভরাক্রান্ত হওয়া আর মানুষের কাছে পরাজিত হওয়া থেকে।
- বুখারী, আবু দাউদ, নাসায়ি, তিরমিযি।
____
রাসুলুল্লাহ ﷺ একদিন এক আনসারকে অসময়ে মসজিদে বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসা করেলেন তোমার কি হয়েছে?
উনি বললেন: আমি দুঃখ আর ঋনে জর্জরিত।
রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন আমি তোমাকে কিছু দোয়া শিখিয়ে দেবো যদি এগুলো পড় তবে আল্লাহ তায়ালা তোমার দুঃখ অর ঋন থেকে মুক্তি দেবেন।
এর পর উনি উপরের দোয়াটা শিখিয়ে দিয়ে বললেন সকালে আর সন্ধায় এটা পড়বে।
ঐ সাহাবা বলেছেন, আমি এটা করার পর আল্লাহ তায়ালা আমাকে দুঃখ আর ঋনমুক্ত করে দেন।
- আবু দাউদ।
#HabibDua
প্রচলিত ওজিফার কিতাবে এই কবিতাটা আছে। অনেকে এটাকে দোয়া মনে করে, বা সোয়াব হবে মনে করে পড়ে। কিন্তু এটা দোয়া না, বা হামদ না, বা সালাতও না। তাই সোয়াবের কোনো আশা নেই।
শুধুই একটা কবিতা। লিখক কে সেটাও কেউ জানে না।
কিন্তু বেশ আবেগ আনার মত কবিতা, regardless.
এটার একটা আবৃতি। আবৃতিকার আননোন।
https://www.youtube.com/watch?v=nWnqMfTVs6I
এধরনের আলোচনা আসলেই দলিল আর তর্কের প্রসংগ চলে আসে। এবং এ ব্যপারে আলেমরা এক্সপার্ট। আমি না।
____
চেষ্টা করি, যে-সকল মুসলিমরা ভুল পথে চলছে তাদের প্রতি ঘৃনা না রাখার জন্য। কারন এক্সপরিয়েন্স থেকে দেখেছি, কোনো মুসলিমের ভুল নিয়ে যদি আমি অতিরিক্ত তামাশা করি তবে কিছু দিন পর আল্লাহ তায়ালা আমাকে এক্সাক্টলি ঐ ভুলে ফেলে দেন যেটা নিয়ে কিছুদিন আগেও আমি হাসা হাসি করেছিলাম।
____
কিন্তু এই অতিরিক্ত নিরবতার একটা সাইড ইফেক্ট আছে। নিরবতা দেখে মানুষ মনে করে: আমি তাদের সমর্থন করছি।
এটা শাহবাগের দিনগুলোতে দেখেছি। কয়েকটা নিউট্রাল পোস্ট দিয়েছিলাম যেন শাহবাগীদের প্রতি আমার অতিরিক্ত ঘৃনা যেন আমার অন্তরকে ছেয়ে না ফেলে। সেটা দেখে রাতা-রাতি এক দংগল শাহবাগী জুটে যায়, "ওই এই দিকে আয়! একজন হুজুর পাওয়া গেছে আমাদের পক্ষে।" :-P
____
আজকে একজন আমার ওয়াইফকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলো, "পহেলা বৈশাখ আসলে হাবীব না দান করা বাড়িয়ে দেয়?" এটা ভুল কথা। কখনো করি নি।
আবারো বুঝলাম, আমাকে এক্সপ্লিসিট হতে হবে। স্পস্ট করে বলতে হবে।
কিন্তু কতটুকু বলতে হবে আমি জানি না।
এবং কোন জায়গায় গিয়ে থেমে যেতে হবে সেটাও জানি না।
এখনো আমি পথ খুজছি।
وَنَسْتَغْفِرُكَ
আপনার কাছে মাফ চাই
وَنُؤْمِنُ بِكَ
আপনার উপর ঈমান রাখি
وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ
আপনার উপর ভরসা করি
وَنُثْنِيْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ
আপনার ভালো গুলোর জন্য প্রশংসা করি
و نَشْكُرُكَ
আপনার শোকর করি
وَلَا نَكْفُرُكَ
আপনার কুফর করি না
وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ
সম্পর্কছেদ এবং পরিত্যগ করি যে আপনার কাছে অসৎ তাকে
الَّلهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ
হে আল্লাহ, আমরা আপনার ইবাদত করি
وَلَكَ نُصَلِّيْ
আপনার সালাত আদায় করি
وَنَسْجُدُ
সিজদা করি
وَإِلَيْكَ نَسْعَى
আপনার কাছে সাহায্য চাই
وَنَحْفِدُ
আপনার কাজের জন্য নিজেকে সমর্পন করি
نَرْجُوْ رَحْمَتَكَ
আপনার রহমতের আশা করি
وَنَخْشَى عَذَابَكَ
আপনার আজাবকে ভয় করি
إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِق
নিশ্চই আপনার আযাব কাফেরা ভোগ করবে।
- দোয়া কুনুত।
#HabibDua
____
"জীবনে কিছু নেই":
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃস্টি করেছেন শুধু মাত্র উনার ইবাদত করার জন্য। এটা ঠিক থাকলে জীবনের সব ঠিক আছে।
পাচ ওয়াক্ত নামাজ যদি মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে পড়তে পারো তবে তোমার জীবনের উদ্যেশ্য তুমি পুর্ন করেছো।
মেয়েদের জন্য ওয়াক্ত হয়ে যাবার সাথে সাথে নামাজ পড়তে হবে। "একটু পরে" না।
এর বাইরে যা আছে, সেগুলো এক্সট্রা।
____
"সবার এত আনন্দ, আমার এত কস্ট কেন?":
সুখি মানুষের সংগে সবাই বন্ধুত্ব করতে চায়।
গোমরামুখিদের কেউ পছন্দ করে না।
তাই সুখি মানুষদের চারিদিকে অন্য সুখি মানুষদের একটা ভিড় জমে যায়।
বাকি গোমরামুখিরা তাদের দেখে মনে করে, "তাদের সবার এত অনন্দ আর আমার কেন কস্ট?"
সমাধান?
আল্লাহ তায়ালা সব মানুষকে সমান কস্ট দিয়েছেন। কেউ সেটা প্রকাশ করে। কেউ কস্টগুলো ভুলে গিয়ে যা কিছু ভালো আছে সেগুলোর জন্য আনন্দিত থাকে। দ্বিতীয় গ্রুপের মানুষকে বলে হাসি-খুশি মানুষ।
তাই নিজের কস্টগুলো ভুলে যেতে হবে। এর বাইরে আল্লাহ তায়ালা ভালো কি কি দিয়েছেন সেগুলোর খোজ লাগাতে হবে। যখন খুজে পাবে, তখন তোমার হাসি খুশি এটিচিউডের জন্য দেখবে তোমার চারদিকে হাসি খুশি বন্ধুদের ভীড় জমে গিয়েছে।
তুমিও তাদের মত সুখি।
____
"থাক! আমি নিজের কস্ট নিয়েই থাকতে চাই":
এটাকে বলে অসন্তুস্টি। এটা দিয়ে যেন আমি বলছি, "হে আল্লাহ যদিও আপনি আমাকে এই এই ভালো জিনিসগুলো দিয়েছেন, কিন্তু ওই ওই জিনিসগুলো দেন নি। দুটো মিলিয়ে হিসাব করে অমি সন্তুস্ট না। তাই আমি কিছুই চাই না।"
এই এটিচিউড দিয়ে আল্লাহর কাছ থেকে বেশি কিছু নিতে পারবে না। বরং তিনি যা দিয়েছেন তার উপর সন্তুস্ট-খুশি হয়ে গেলে উনি আরো বেশি করে দেবেন।
But when, exceptions become the rule, then implementing the rules is counterproductive.
- যখন তুমি দেখবে ফেসবুক তর্কে তোমার বৌ তোমার স্টেটাসে লাইক না দিয়ে তোমার বিরোধি পক্ষের কমেন্টে লাইক দিচ্ছে, তখনকার অবস্থা। :-P
سُبحَانَكَ اللهُمّ
আল্লাহ আপনি পবিত্র
وَبحمدكَ
আপনার প্রশংসার করছি
وَتَبَارَكَ اسْمُكَ،
আপনার নাম বরকতময় হোক
وَتَعَالَى جَدّكَ
আপনার অবস্থান উচুতে
وَلا إلَه غَيْرُكَ
আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।
- ছানা।
#HabibDua
আরব দেশগুলোতে আদ্রতা থাকে ১৫-২০%। তাই প্রচন্ড গরম পড়লেও খারাপ লাগে না। ঘাম হয় না বলে।
_____
পৃথিবী নিজের অক্ষের উপর যে ঘুরে, তাতে কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। এর কারন খুজতে গিয়ে বৈজ্ঞানিকরা বের করলো ভারত-বাংলাদেশ এলাকায় খরা চলছে বলে এত বেশি পানি তোলা হয়েছে মাটির নিচ থেকে, যে পানি কমে যাবার কারনে পুরো পৃথিবীর ব্যল্যন্স বদলিয়ে গিয়েছে।
পৃথিবীর অন্য কোনো জায়গায় এত দ্রুত, পানি, মাটির নিচের এত কমে যায় নি।
Quote: "Groundwater levels on the Indian subcontinent have been so badly depleted by climate change, intensive irrigation and population growth that it has caused the Earth to tilt on its axis, new research shows."
_____
ভারতে খরা চলছে আজ কয়েক বছর ধরে। এখন ট্রেনের বগি করে পানি নিয়ে এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে সাপলাই দেয়ে হচ্ছে।
"India: A special train carrying around five lakh litres of water for parched Marathwada region, which is battling the worst drought ever, reached the town on Tuesday morning."
____
শুস্ক আবহাওয়ায় কড়া তাপ, আমার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে ভালো লাগে। আরব দেশের মত। শীতকালের হিমেল বাতাস প্রচন্ড অস্বস্তি লাগে। :-P But that's just me.
বাংলাদেশ যে "পাকিস্তান" না হয়ে, বরং "আরব" হয়ে যাচ্ছে তার জন্য বোরকা গননার দরকার নেই। আবহাওয়া দেখলেই বুঝা যায় :-P
গত দুই দিনে এই দিকে চারটি বড় ভুমিকম্প হয়েছে, বাংলাদেশেরটা সহ। গত তিন মাসে হয়েছে ৯ টা।
ইউনিভার্সিটি কলরাডোর প্রফেসরের মতে এই দিকে ৮ মাত্রার উপরে আরো চারটি ভুমিকম্প হবার সম্ভাবনা আছে। নেপালে যে ভুমিকম্পে ৮ হাজার লোক মারা গিয়েছে গতবছর, সেটা ছিলো ৮ মাত্রার নিচে।
গতকাল বাংলাদেশেরটা হবার পর আজকে জাপানে ভুমিকম্প হয়ে ৪০ জন আহত। বাড়িঘড় ভেঙ্গে পড়েছে। ৪ দিন আগে পাকিস্তানে ভুমিকম্পে ৬ জন মারা গিয়েছিলো।
Source:
http://www.express.co.uk/news/science/661052/SCIENTISTS-fear-the-Big-One-is-COMING-as-four-major-earthquakes-strike-in-48-hours
- Linus Torvalds, 2007
- আল-বিদায়া ওয়াননিহায়া ১৯
বিস্তৃত, অবতরণ স্থল প্রশস্ত কিস্তৃ পালানাের পথ সংকীর্ণ৷ রোমান বাহিনীর সেনাপতি ছিল তার ভাই ‘তযােরুক'৷ অগ্রবাহিনীর অধিনায়ক জু_রজাহ্'৷ দৃপড়ার্শ্ব বাহিনীর অধিনায়ক মাহান ও দারাকিম৷ মধ্য বাহিনীর অধিনায়ক কায়কালান৷
মুহাম্মদ ইবৃন অইিয বলেছেন, আবদুল আ লা সুত্রে সাঈদ ইবৃন আবদুল আযীয থেকে যে, ইয়ারমুক যুদ্ধে মুসলমানদের সৈন্য ছিল চব্বিশ হাজার৷ সেনাপতি ছিলেন আবু ঊবায়দাহ্৷ রোমানদের সৈন্য ছিল এক লক্ষ বিশ হাজার৷ ওদের সেনাপতি মাহান ও সাকলাব৷
ওয়ালীদ ..... আবদুর রহমান ইবৃন জুৰায়র থেকে বর্ণিত যে, মাহান আরমানীর নেতৃত্বে রোমান সম্রাট হিরাক্লিয়াস দুই লাখ সৈন্য প্রেরণ করেন৷ সায়ক বলেন, রোমানগণ অগ্রসর হলো৷ ইয়ারমুকের নিকটবর্তী ‘ওয়াকওয়াসা' নামক স্থানে এসে তারা শিবির স্থাপন করে৷ ওই ময়দানে তারা পরিখ৷ খনন করে৷ অতিরিক্ত সৈন্য সাহায্য চেয়ে এবং ইয়ারমুকে খ্রিস্টান সৈন্য সমাবেশের সংবাদ জানিয়ে সড়াহাবিগণ খলীফার নিকট দুত পাঠান৷ খলীফা এই মর্মে খালিদ ইবৃন ওয়ালীদকে চিঠি লিখবেন যে, তিনি যেন ইরাকে অন্য কাউকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে নিজে সেনাবাহিনীসহ দ্রুত ৩সিরিয়া গিয়ে পৌঁছেন৷ ওখানে গিয়ে তিনিই হবেন যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক৷ তিনি মুছান্ন৷ ইবৃন হা৷রিছাকে ইরাকের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে দ্রুত ৩সিরিয়ার পথে যাত্রা করেন৷ তাঁর সাথে ছিল নয় হাজার পঁাচশ মুসলিম সৈন্য৷ রাফি ইবৃন ঊমায়রা তাঈ হলো পথপ্রদর্শক৷ সে অগ্রসর হতে লাগল পাহাড়ী পথে"৷ তারা এসে পৌঁছলেন ‘কারাকির’ অঞ্চলে৷ পথপ্রদর্শক রাফি‘ এমন পথে চলছিল যে পথে ইতোপুর্বে কেউ আসেনি৷ তাঁরা পাহাড়-পর্বত, মরুভুমি, ধু-ধু ময়দান, পাছ-পাছড়া বিহীন বিরান ভুমি অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন৷ কখনো পাহাড়ের চুড়ায়, কখনো সমতল ভুমি পার হচ্ছিলেন তাঁরা৷ রাফি‘ তাদেরকে এমন * পথে নিয়ে এস্যেছ যেখানে শুধু পানিবিহীন মরু প্রড়ান্তর৷ ঊটগুলো হয়ে পড়ে তৃ_ষ্ণার্ত৷ র্তারা ঊটকে বার বার পানি পান করিয়ে নেন৷ তারপর সেগুলোর নিচের ঠোট কেটে মুখ বেঁধে ফেলা হয় যাতে সে মুখ নাড়াচাড়া ও পেটের কিছু মুখে আনতে না পারে৷ এগুলােৰক সাথে নিয়েই র্তারা পথ চলতে লাগলেন৷ যেতে যেতে যখন এমন স্থানে পৌঁছলেন যে, সেখানে কোন পানি নেই৷ তখন তারা এই ঊট জবইি করে সেগুলোর পেটে রক্ষিত পানি পান করলেন৷ ' * *
কথিত আছে যে, কোন জায়গায় পানি পাওয়া গেলে ওই পানি তাঁরা তাঁদের ঘোড়াগুলােকেও ভালভাবে পান করিয়েছেন৷ আর পানিবিহীন স্থানে আসার পর ওই ঘোড়া জবইি করে পেটে রক্ষিত পানি বের করে, পান করেছেন এবং ওগুলাের গোশত থেয়েছেন৷ অবশেষে তাঁরা সিরিয়া এসে পৌঁছলেন৷ আলহাম্দুলিল্লাহ্৷ পঁড়াচদিনের একটানা সফরের পর তাঁরা এখানে এলেন৷ ‘তাদমুর' অঞ্চল দিয়ে তাঁরা রোমানদের উপর চড়াও হলেন৷ তাদমুরের
http://sunnah.com/abudawud/39/4
এই হাদিসের ব্যপারে নানান জনের নানান রকম ব্যখ্যা আছে।
আমি যে ব্যখ্যা গ্রহন করি সেটা নিচে:
১। বলা হয়েছে, প্রথমে জেরুজালেম শহররের ডেভালেপমেন্ট আরম্ভ হবে। জেরুজালেম শহর এখনো সেই মধ্যযুগীয় স্ট্রাকচার নিয়ে আছে। ইসরাইলি অকুপেশনের জন্য উন্নয়ন নেই।
এটা পরিবর্তিত হবে। এখনও ঐ রকম ভাবে হয় নি।
___
২। জেরুজালেমের ডেভেলেপমেন্ট অরম্ভ হবার পর পরই মদিনা শহর ধ্বংশ হবে। কি হবে? কেন হবে? কিভাবে হবে? সেটা বলা নেই। শুধু বলা আছে خراب ধ্বংশ হবে, ধ্বংশস্তুপে পরিনত হবে।
মদিনা শরিফের কোনো ক্ষতি হবে, অনেকে ইমোশোনালি এটা মেনে নিতে পারে না। তাদের ব্যখ্যা এর দ্বারা বুঝাচ্ছে, "মদিনা শহরের পলিটিক্যল পাওয়ার কমে যাবে।" তবে আমি কোনো কারন ছাড়া এ ধরনের রূপক ব্যখ্যা গ্রহন করি না।
কিন্তু রওজা শরিফের কি হবে? কিছু হবে না। রওজা শরিফ ঠিক থাকবে। ঈসা আ: এর দাফন সেখানে হবে।
ধ্বংশ হওয়া মানেই প্রত্যেকটা বিল্ডিং মাটির সাথে মিশে যাওয়া বুঝায় না। মদিনা শরিফ এর আগেও ধ্বংশ হয়েছিলো ১ম শতাব্দিতে। ইয়ামুল হাররার দিনে। এর পর আবার উঠে দাড়িয়েছে।
অন্য বর্ননায় আছে মদিনা শরিফ তিন বার ধ্বংশ হবে, প্রতিবারই নতুন করে আবার জনবসতি হবে। শেষ বার আর মানুষ ফিরে আসবে না।
এই হাদিসে যে ধ্বংশের কথা বলা হচ্ছে সেটা শেষ বারেরটা না। মাঝের কোনো একটা। আমি এভাবে দেখি।
____
৩। মদিনা শরিফ ধ্বংশের কারনে বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হবে। আরবী শব্দ যেটা ব্যবহার করা হয়েছে সেটা হলো "মুলাহিম"। কয়েক দফায় হবে।
___
৪। বিশ্বযুদ্ধের পর তুরস্ক বিজয় হবে। এটা এখনো মুসলিমদের দখলে। আমি ধরে নিয়েছি এটা মুসলিমদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে এর আগে।
অনেকে "তুরস্কের সরকার কাফির" এই ব্যখ্য দিয়ে বলেন এটা এখনই মুসলিমদের হাতছাড়া। আমি এই ব্যখ্যা গ্রহন করি না। তুরস্কের সরকারকে আমি মুসলিম মনে করি।
___
৫। শেষে, তুরস্ক বিজয়ের পর পরই দাজ্জাল বেরিয়ে আসবে।
___
এখন এগুলো নিয়ে ওভার এক্সইটেড হবার কোনো কারন নেই। একটা উদাহরন, কসতুনতুনিয়া [তুরস্ক] অবরুদ্ধ হয়েছিলো মুসলিমদের কাছে সেই ১ম শতাব্দিতে। তখনই মুসলিমরা ধারনা করেছিলো দাজ্জাল বোধ হয় এখনই আসবে যেহেতু হাদিসে বলা হয়েছে কসতুনতুনিয়া বিজয়ের পর পরই দাজ্জাল আসবে। কিন্তু এর পর আরো ১৩শ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এবং দ্বিতীয় আরেকবার তুরস্ক বিজয়ের সময় হয়ে আসছে।
তাই এসব ব্যপারে, কি হবে? এই নিয়ে বেশি বেশি ধারনা করতে থাকলে কিছুই মিলে না। কিন্তু সত্যিকারের যখন হতে থাকে তখন মুসলিমরা বুঝতে পারে যে "এটার কথাই হাদিসে বলা হয়েছে।"
যেমন "উচু বিল্ডিং কন্সট্রাকশন আর বিল্ডিংগুলো হবে পাহাড় থেকে উচু", এটা এখন মিলছে কোনো রূপক অর্থ ছাড়াই। সবাই বুঝতে পারছে কোনো ব্যখ্যা ছাড়া।
___
FAQ:
এধরনের পোস্ট দিলে কিছু কমন প্রশ্ন আসে সবসময়। যেগুলোর উত্তর এখনই দিয়ে দিচ্ছি। ফিতনা, বিতর্ক এড়ানোর জন্য কমেন্টের সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব না বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
Q. আমি এই ব্যপারে ইন্টারেস্টিং। আরো জানতে চাই। কিভাবে পাবো?
নেটে পাবেন। সার্চ দিন। আমি জেনেছি হাদিসের বই পড়ে। হাদিসের সকল বই, কোনো নির্দিস্ট একটা না।
Q. ঐ কথার দলিল দেন।
অনেক কথা বলেছি। সবকথার দলিল আমার কাছে মৌজুদ নেই। নিজে খুজে নিন। না পেলে ধরে নিন ঐ কথার দলিল পাওয়া যায় নি।
আমি তাই করি। কারো পোস্টে যদি আমি নতুন কোন কথা দেখি তবে তার কাছে দলিল না চেয়ে আমি নিজে নেটে সার্চ করে দলিল খুজে নেই। না পেলে ধরে নেই এটার দলিল পাওয়া যায় নি।
Q. আমি জানি "এটার" ব্যখ্যা আপনি যা লিখেছেন সেটা না, এর অর্থ "ওটা"।
এই বিষয়ে আমাদের দুজন দুরকম ব্যখ্যা গ্রহন করলে তাতে আমি ক্ষতি দেখি না।
Q. এই সব ব্যখ্যা করার অধিকার আপনাকে কে দিলো? এই ভুল ব্যখ্যা দিয়ে যত মানুষ পথভ্রস্ট হবে তার দায়িত্ব কে নেবে?
আমি যদি উত্তর দেই "দায়িত্ব এই লোক নেবে" এবং আমার এই দায়িত্ব চাপানো যদি ভুল লোকের উপর হয়, তবে এভাবে ভুল লোকের উপর গুনাহর দায়িত্ব চাপানোর দায়িত্ব কে নেবে? :-P
এদিকে গতকালের জাপানে ভুমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৪০ জন নিহত আর দেড় হাজার আহত হবার খবর এসেছে।
কিছু ভুয়া নিউজ সাইট বলছে "বাংলাদেশে ৪৮ ঘন্টার মাঝে পাচটি ভুমিকম্প হবে।" -- এটা বানোয়াট নিউজ। ভূমিকম্পের এরকম দিন ধরে পূর্বাভাস দেয়া যায় না।
ভুমিকম্প হটাৎ বেড়ে গিয়েছে।
বলকানে রাশিযা আমেরিকার ঠোকা ঠুকি বেড়েছে।
ভারতে চলছে আরএসএসের মসজিদ ভাঙ্গার মহোৎসব।
বাংলাদেশের পাসপোর্ট, এয়ারপোর্ট সব ভারতীয়দের দখলে।
পাঞ্জেরিকে এখন আর সময় জিজ্ঞাসা করি না।
মানুষ যা আশংকা করছিলো, ঘটনা সে দিকেই যাচ্ছে।
দিক না বদলিয়ে, বরং গতি বাড়িয়ে দিয়ে।
আর কয়েকটা বছর সময় পাবো?
নাকি ভেঙ্গে পড়া আরম্ভ হবে তার আগেই?
আল্লাহ উনাকে উত্তম পুরস্কার দান করুন।
আর আমাকে সঠিক পথের উপর তুলে আনুন।
____
বাই দা ওয়ে উনি এই বইগুলোর লিখক। কেউ যদি আগ্রহী হন কিনতে পারেন। উনার "২৭ ঘন্টায় কোরআন শিক্ষার" বইটা বাজারে বেস্ট সেলার। যে কোনো ইসলামি বইয়ের দোকানে গেলে দেখতে পাবেন সাজিয়ে রেখেছে।
ক্যমিক্যল দিয়ে কেউ নকল ডিম তৈরি করলে, সেখানে আসল ডিমের থেকে খরচ বেশি পড়বে। এবং সেটা রান্না করা যাবে না। কারন ক্যমিক্যল সিদ্ধ করলে শক্ত হয় না। এবং খেতে লাগবে প্লাস্টিক অথবা লোহার মত।
তাই "আসল ডিমের সাথে পার্থক্য বুঝা যায় না" বলে যত ডিম দেখানো হোক, সবই আসল ডিম।
কিছু কিছু hoax এমন ভাবে যুক্তি যুক্ত মনে হয় যে সেটা অবিশ্বাস করা টাফ। এই ভিডিওতে যেমন এক পোল্ট্রি বিজ্ঞানি বলছেন কিভাবে নকল ডিম তৈরি হয়।
তারা এত সব কিছু প্রমান দেবার পরও আমি বলছি, নকল ডিম বলে কিছু নেই। সব ডিমই আসল ডিম।
এর পর যে যেটাকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে সে সেটাকে বিশ্বাস করবে, এটাই স্বাভাবিক। :-D
আমাদের জেনারেশন যখন ছোটো ছিলো তখন কাউকে "বড় হয়ে কি হবে?" জিজ্ঞাসা করলে সবাই জবাব দিতো "পাইলট হবো, প্লেন চালাবো।"
পাইলট হওয়া তখন ছিলো ড্রিম জব।
তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি পাইলট হওয়া পছন্দ করতাম না। আশংকা ছিলো পাইলট হলে নামাজ কাজা হবে। বা এটলিস্ট জামাতের সাথে পড়া যাবে না।
___
পাইলট হওয়া ঐ যুগে রিস্কি এবং হিরোইক হিসাবে দেখানো হতো। বিশেষ করে ফাইটার পাইলট।
এক জনপ্রীয় বাংলা-হিন্দি ফিলিম ছিলো তখন। সেটাতে দেখানো হতো বাপ পাইলট, প্লেন ক্রাশ করে মারা যায়। এর পর ছেলে পাইলট হয়, সেও প্লেন ক্রেশ করে মারা যায়। এর পর নাতিও পাইলট হয়ে মারা যায়।
মা তখন আর কাদতে পারে না। পাথর। সে যুগে যে বাংলা ফিলিম মানুষকে যত কাদাতে পারতো সেটা তত হিট।
ন্যকামি যতসব। :-D
___
এরশাদের আমলে বাংলাদেশের পাইলটরা সব স্ট্রাইকে যায় বেতন বাড়ানোর জন্য। তখন পত্রিকায় বাংলাদেশের সব পাইলটদের নাম ধরে কার কত বেতন সেটা ছাপিয়ে দেয় সরকার।
তাদের বিশাল বেতন দেখে আমাদের চক্ষু চড়কগাছ।
বড় হবার পর জেনেছি বিশ্বব্যপি পাইলটদের বেতন আসলে তত বেশি না। যেহেতু সবাই পাইলট হতে চেতো তাই পাইলটদের সংখ্যা বেশি ছিলো। সাপ্লাই বেশি, তাই বেতন কম।
আমেরিকার একজন প্রোগ্রামের বেতন ছিলো পাইলটের দ্বিগুন।
___
আজকে খবরে পড়লাম: আমাদের পরবর্তি জেনারেশনের পাইলট হবার মোহ কেটে যাওয়ায় পাইলট তৈরি হয়েছে কম। অধিকাংশ পাইলট বয়স্ক এবং তারা রিটায়েরমেন্টে যাচ্ছে।
এদিকে তেলের দাম কমে যাওয়ায় মানুষ প্লেনে চড়ছে বেশি। ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ছে। পাইলটের ক্রাইসিস তৈরি হচ্ছে। ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে কারন পাইলট নেই। এবং যারা প্লেন চালাচ্ছে তারাও বিশ্রাম পাচ্ছে না বলে ঘন ঘন প্লেন ক্রাশ করছে।
ঐ যুগের অতিরিক্ত পাইলট থেকে বর্তমানের পাইলটের ক্রাইসি।
লম্বা সময়, অনেক পরিবর্তন।
৩০ বছর পর। দুচারটা গাড় সবুজ রংয়ের তরমুজ আসে বাজারে। চাহিদা বেশি, দাম বেশি, লাভও বেশি। পরের বছর হালকা সবুজ তরমুজের চাষের পরিমান কমে যায়। এই বছর ঐ পুরানো তরমুজ আর বাজারে দেখলাম না। সবই গাড় সবুজ রংয়ের।
তাই তর্কের সময় বিপরিত পক্ষকে চুপ করানো, বা ডিসক্রেডিট করার কিছু প্রচলিত ফরমুলা দিলাম। সুযোগ বুঝে কাজে লাগাতে পারেন। :-P
____
যদি দেখেন সে জানে কম, তাহলে তাকে এই ডায়লগ ছাড়তে হবে
"মোল্লাদের সব কথা বিশ্বাস না করে কোরআন হাদিস নিজে একটু পড়ে দেখেন কি আছে। এত বই পুস্তক পড়া সময় পেলেন কিন্তু কোরআন শরিফে আল্লাহ তায়ালা কি বলেছে সেটা পড়ার সময় পেলেন না?"
____
যদি দেখেন সে কোরআন হাদিস কিছু জানে, তখন আর উপরেরটা না। এই ডায়লগ ছাড়তে হবে
"কোন আলেমদের কাছে শিখেছেন? আলেমের কাছ থেকে না শিখে নিজে নিজে কোরআন পড়ে বুঝতে গেলে এই রকম উল্টা বুঝবেন।"
____
বিপরতি পক্ষ কোনো আলেমের কাছ থেকেও শিক্ষা নিয়ে এসেছে? হাল ছাড়বেন না। এখনো ডায়লগ আছে। ছাড়ুন,
"নিম হেকিম খতরে জান, নিম মোল্লা খতরে ঈমান। এইসব আধা আলেমরাই ইসলামের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে।"
এখন যদি ঐ ব্যক্তি যদি দাবি করে
"মানুষের কাছে নিজের বিপদাপদের কথা প্রকাশ করতে হয় না", তাই কেউ নিজের মুসিবতের কথা গোপন করে।
"আমার মা হাসপাতালে, সবাই দোয়া করবেন প্লিজ", তাই কেউ দোয়া চাইতে প্রকাশ করে।
"দাড়ি লম্বা করা হুকুম", তাই কেউ দাড়ি লম্বা রাখে।
"আমার আব্বা ছোট করার হুকুম দিয়েছে", তাই কেউ ফ্রেঞ্চকাট রাখে।
___
মত, বুঝ আর পথের অনেক পার্থক্য আছে।
তবে দিনের শেষে যেটা সবচেয়ে বেশি কাজে আসবে, সেটা হলো "তাকওয়া"।।
সুফি হওয়ার সর্বপ্রথম ৩টি ধাপ।
এক. অনাহারে থাকা ।
অনাহারে বলতে তাকে ক্ষুধার্ত থাকতে হবে। কারণ মানুষের যখন উদর পূর্ণ থাকে তখন ধর্মের কথা তার ওপরে কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। ক্ষুধার্ত অবস্থায় কোনো বিষয় যতোটা আত্মস্থ করা যায় পূর্ণ উদরে তার সিকিভাগও আত্মস্থ হয় না।
ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়ায় বলা হয়েছে, ভরাপেটে ওয়াজকারীর ওয়াজে শ্রোতাদের ওপর কোনো প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে না। তেমনি ভরাপেটে ওয়াজ শোনে যে শ্রোতা, তার ওপরও নসিহত কোনো প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে না।
ইমাম গাজ্জালি রহ. বলেন, যে ব্যক্তি দু’বেলা খাবার খায়, সে কখনো ক্ষুধার কষ্ট বুঝতে পারে না। আর যে ক্ষুধার কষ্ট অনুভব করেনি, সুফিত্ব তার জন্যে নয় ।
মানুষের যখন উদর পূর্ণ থাকে তখন তারা ধর্মকে তামাশার বস্তু বানিয়ে ফেলে।
দুই.
নেক আমল হোক বা না হোক, কোনোভাবেই গোনাহের কাজ করা যাবে না ।
তিন. কোনো সৃষ্টিকে কষ্ট না দেয়া ।
মানব প্রজাতি থেকে শুরু করে সমস্ত সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসাই আল্লাহর রঙে রঙিন হওয়ার প্রধান উপায়।
___
শেষে একটা নোট: এসব পোস্ট দেবার অর্থ এই না যে আমি এসব করি। বরং একজনের ফেসবুকের পোস্ট আর তার ব্যক্তিগত জীবনে আকাশ পাতাল পার্থক্য থাকতে পারে। -হাবীব।
একটা SSL Certificate এর আগে বছরে ৪০ থেকে ১৫০ ডলার খরচ করতে হতো। ফ্রি যেগুলো ছিলো সেগুলো ছিলো আনইউজেবেল।
আমেরিকার NSA এর কেলেংকারী ফাস হবার পর, গতবছর Free Software Foundation চালু করেছে Lets encrypt নামে SSL Certificate বিতরন ব্যবস্থা। কিছু দিন limited test চালানোর পর এখন এটা open for all.
গতকাল habibur.com এর জন্য একটা সার্টিফিকেট সংগ্রহ করলাম। simple installation. তাদের প্রোগরাম সার্ভারে ডাউনলোড করে চলালা সেটাই verfify করে সার্টিফিকেট ইসু করে একবার ডাউললোড করে সার্ভারে save করে দেয়। কোনো ইমেইল ভেরিফিকেশ বা অন্য কিছু নেই।
প্যরামিটার হিসাবে শুধু subdomain নামগুলো দিতে হবে। আমি ইসু করেছি habibur.com, mail.habibur.com এবং www.habibur.com এর জন্য। এরকম ২০০টা পর্যন্ত করা যায়।
সার্টিফিকেট ইসু করে ৩ মাসের জন্য। কিন্তু crontab এ autorenew এর এন্ট্রি দিয়ে দিলে এটা নিজে নিজেই রিনিউ করতে থাকবে। ম্যনুয়েলি আর কিছুর দরকার নেই।
সুবিধা?
SMTP এবং IMAP email সার্ভার এখন valid certificate দিয়ে চালাতে পারছি। mail client আর warning দেয় না। এটা আমার জন্য সবচেয়ে বড় সুবিধা।
gmail এর spam filter এখন আমার জন্য অনেকটা ineffective হয়ে গিয়েছে। মেইলের থেকে স্পেম বেশি। এখন নিজের সের্ভারে postfix mail server + dovecot imap server install করে spamassassin install করে দিয়েছি। এর পর কিছু spam mail দিয়ে system টাকে trained up করার পর spam এখন zero.
spam গুলোকে Mail client এ স্পেম হিসাবে মার্ক করে দিলেই spamassassin সেগুলোকে spam হিসাবে চিনে নেয়, এবং এ ধরনের সব mail ব্লক করে দেয়।
আরেকটা সুবিধা হলো, habibur.com এখন HTTPS দিয়েও চলে। এটা এতদিন চলতো না।
রফিক সাহেব আর তার বাচ্চাদের শত্রু মনে করতাম। তাদের জন্য ধমক খেতে হয় যে :-P আর স্বপ্ন দেখতাম একদিন বড় হলে এই সব কথা শুনতে হবে না।
___
এখন ৩০ বছর পর। বাচ্চাদের মা বলে, "শিবলি মেহদি ভাই তার বাচ্চাদের কত সুন্দর ট্রেনিং দিয়ে দিয়ে বড় করছে, আর তুমি?"
ইয়া কিড। এখন কি তবে নতুন করে শত্রু বানাতে হপে?
___
"পজিটিভলি চিন্তা করতে পারো না? সব কিছু এত নেগেটিভলি দেখো কেন?"
~ জনৈকের স্ত্রী।
Note that DOOM contained a multilevel game with its own 3D rendering engine.
Second point is: top 10 sites on the web is getting lighter while others are getting more bloated.
https://mobiforge.com/research-analysis/the-web-is-doom
But this one sounds legit. Scientists discover a way to extend Li-ion battery recharge cycle from current 1000 to 200,000 simply by sinking it into an electrolyte gel.
Forget those dead batteries in a few years from now.
Or hopefully earlier.
This is a big news, if it holds.
আল্লাহ ছাড়া কারো সামনে মাথা নত করবে না।
শয়তান যেন তোমাকে এই ধোকায় না ফেলে যে "তাকে তো রব হিসাবে মানছি না! মাথা নিচু করতে দোষ নেই।"
মূর্তিকে সিজদা করে ঈমান হারানোর জন্য ঐ মূর্তিকে খোদা মানার দরকার নেই। শুধু সিজদা করলেই হলো।
___
কাউকে সালাম দেবার সময় তাকে সম্মান দেখিয়ে মাথা সামনের দিকে ঝুকিয়ে "নড" করবে না। উল্টো মাথা স্বাভাবিকের থেকে উচু করে সালাম দিবে। যেন একটুও ঝুকানো না হয়।
কুংফু ক্যরাতে অনুশিলনের সময় একজন অন্যজনকে নড করে। তুমি যদি কখনো শিখও তবুও নড করবে না। সম্মান দেখানোর দরকার হলে পশ্চিমাদের মত স্যলুট করবে। যে যাই মনে করুক, কেয়ার করবে না।
___
হিন্দুদের পুজা উৎসব দেখার জন্য কখনো তাদের অনুষ্ঠানে যাবে না। মূর্তির রং, আলো, ডাক, স্তুতি বাক্য শুনে যদি মূর্তির প্রতি তোমার অন্তরে বিন্দু মাত্র ভক্তি আসে, তোমার অন্তর থেকে ঈমানের একটা বড় অংশ চলে যাবে।
এই ভক্তি প্রকাশ করার দরকার নেই। অন্তরে আসলেই শেষ।
___
পীরদের মাজার জিয়ারতের জন্য কখনো যাবে না। দরকার হলে দূর থেকে তাদের জন্য দোয়া ইস্তেগফার করবে। কাছে গেলে খাদেমরা তোমার পিঠে ধাক্কা দিয়ে তোমার কপাল মাটিতে ঠুকিয়ে দিতে পারবে।
রাস্তায় আছাড় খেয়ে কপাল মাটিতে ঠেকালে তুমি ঈমান হারাবে না।
তবে মাজারে গিয়ে আছাড় খেয়ে কপাল মাটিতে ঠেকালে তোমার এর পরবর্তি জীবন এর আগের মত হবে না।
এখানে আছাড় খাওয়াটা তোমার দোষ না। মাজারে যাওয়াটা ছিলো তোমার দোষ।
___
ঈমান এক বড় সম্পদ। আল্লাহ তায়ালা যাকে চান তাকে এটা দান করেন।
এর কদর করবে।
#HabibAdvice
যে ব্যপারে আমি কিছু করতে পারবো না, সে ব্যপারে outraged হয়ে থাকার মাঝে আমি ভালো কিছু দেখি না।
আমাকে আমার সামর্থের মাঝে প্রোডাকটিভ কাজ করতে হবে।
"দেশ ও জাতীর কথা চিন্তে" করার জন্য আল্লাহ আছেন।
তবে ছোট দাজ্জাল যাদের বলা হয়েছে প্রত্যেকে নবুয়ত দাবী করবে। মানে তারা প্রত্যেকে ধর্মিয় ব্যক্তিত্ব হিসাবে আবির্ভুত হবে।
মির্জা আহমেদ একজন ছোট দাজ্জাল। বর্তমানে দেওয়ানবাগী একন দাজ্জাল না হলেও কাজ্জাব।
আলস্যকে সংজ্ঞায়িত করা হয় এভাবে: 'কাজ, সক্রিয়তা বা প্রচেষ্টার প্রতি অনীহা'। আর এই আলস্যকে সালাফগণ তীব্রভাবে ঘৃণা করতেন।
.
এই হাদিসটির ব্যাপারে ইবন হাজার বলেন, 'এই হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, মেজাজ ভালো রাখার গোপন চাবিকাঠি কিয়ামুল-লাইল এর মাঝে লুকিয়ে আছে।' বিভিন্ন হাদিসগ্রন্থে লিপিবদ্ধ বিভিন্ন ঘটনা থেকে এই বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ ব্যাপারে সব বর্ণনা বলে শেষ করা যাবে না, তবে নিচের ঘটনাগুলো নিয়ে একটু ভাবুন:
- মূল তারেক মেহান্নার লিখা।
উনার জেলখানার বর্ননাগুলো বাদ দিয়ে শুধু হাদিসগুলো দেয়া হলো।
ইসলাম নামে এক ভদ্রলোক ছিলেন ফেসবুকে। জামাতের পক্ষে কথা বলতেন। অনেক ফলোয়ার হয়ে গেলো।
এর পর উনি জামাতের বিপক্ষে কথা বলা আরম্ভ করলেন। ফলোয়াররা উনাকে গালি দিলো।
এর পর উনি ঘোষনা দিয়ে নাস্তিক হয়ে গেলেন।
সেলিব্রিটি হওয়ার এটা একটা খারাপ দিক। আল্লাহ তায়ালা এরকম পরিনতি থেকে আমাদের রক্ষা করুন।
___
কায়সার নামে আরেক ভাই ছিলেন। প্রথমে শাহবাগী। স্টেটাস প্রতি ৩০ হাজার লাইক।
এর পর হটাৎ করে উনি ইসলামিস্ট হয়ে গেলেন। লাইক নেমে আসলো ৩০০ তে।
এখন উনার স্টেটাসের ৪০% ই হলো "আল্লাহ যেন আমাকে সেলিব্রিটি হবার ক্ষতি থেকে রক্ষা করেন।"
আল্লাহ উনাকে ক্ষমা আর কবুল করুন।
___
হাতেম তাই নামে একজন বিশাল দাতা ছিলেন ইরানে। উনার প্রশংসাও ছিলো চারিদিকে প্রচুর। উনার দান বেশি ছিলো নাকি দানের প্রশংসা বেশি ছিলো সেটা আমরা জানি না।
তবে উনার ছেলে যখন রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করেছিলেন "আমার আব্বার কি হবে?"
রাসুলুল্লাহ ﷺ জবাব দিয়েছিলেন, তোমার আব্বা যা চেয়েছিলেন, আল্লাহ তায়ালা উনাকে দুনিয়াতেই সেটা দিয়ে দিয়েছেন।
ইমপ্লাইং, আখেরাতে উনার জন্য কিছু নেই।
বুঝলাম, দুনিয়ার প্রশংসা আখিরাতের জন্য ক্ষতিকর।
___
হামযা রা: শহিদ হবার পর রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছিলেন, যদি কুরাইশরা বিচলিত না হয়ে যেত তবে এই লাশ উনি এভাবেই মাঠে ফেলে রাখতেন। জন্তু জানোয়ার এসে খেয়ে নিতো। সেটাই আখিরাতে উনার জন্য ভালো হতো।
আসওয়াদ নামে আরেক প্রচন্ড আল্লাহ ভীরু ব্যক্তি ছিলেন। উনিও দোয়া করতেন, আমার লাশ যেন জন্তু জানোয়ার খায়। আল্লাহ উনার দোয়াও সেই ভাবে কবুল করেছিলেন উনাকে শাহাদাৎ দান করে।
অথচ "তোর লাশ শিয়াল কুকুরে খাবে" এইটাকে আমরা বদ দোয়া মনে করি। আভিশাপ মনে করি। মনে করি হয়তো তার কোনো পাপ ছিলো।
এগুলোতে দুনিয়ার প্রশংসা নেই। তবে আখিরাত আছে।
___
এখন মানুষ আমার যত প্রশংসা করছে
পরে মানুষ আমার ঠিক ততটুকু নিন্দা করবে।
তাই প্রশংসাতে খুশি হবার কিছু নেই।
এই নিন্দা আর প্রশংসা কাটাকাটি যাবার পর, আখিরাতের জন্য কিছু বাকি থাকে না।
শুধু শুধুই এত কস্ট।
___
"এটা আল্লাহর হক যে: দুনিয়াতে যা কিছু উচু হবে, তাকে উনি নিচু করে দেবেন।"
অহংকার হলো আল্লাহর চাদর।
এবং উনি কারো পরোয়া করেন না।
News Quote: "জানা গেছে, শনিবার বিকেলে দেশের সবচেয়ে বড় কওমি মাদ্রাসা দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। মাদ্রাসার দারুল হাদীস মিলনায়তনে ‘ইসলাম প্রচারে মাতৃভাষার গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন বাংলা ভাষা সাহিত্য বিভাগ।
হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা আজিজুল হক ইসলাবাদী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, মন্ত্রী বাংলাভাষার প্রচারে আলেমদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি মাদ্রাসা অঞ্চলের এমপি ও মন্ত্রী। তাই আমরা তাকে দাওয়াত দিয়েছি।"
http://www.banglatribune.com/politics/news/99457/
____
সমালোচনা করা উদ্যেশ্য না। Fact গুলো সঠিক ভাবে জানা উদ্যেশ্য। এর পর যার কাছে যেটা অধিক সঠিক মনে হয় সে সেটা অনুসরন করবে।
যুক্তি সব পক্ষেরই থাকে, সবসময়।
____
দিনে দিনে পরিক্ষা কঠিন হয়ে উঠছে।
আমরা মানতাম না। আপনি মানিয়েছেন।
আমাদের কোমরকে বাকা করিয়েছেন।
সিজদা করিয়েছেন
রুকু করিয়েছেন।
আমরা পথ ভুলে বার বার অলিতে গলিতে ঘুরেছি।
আপনি প্রতি বার হাত ধরে পথে তুলে এনেছেন।
আমরা আপনাকে ডেকেছি
আপনি সাড়া দিয়েছেন।
আমরা বার বার গুনাহ করেছি।
আপনি বার বার ক্ষমা করেছেন।
আমরা কৃতজ্ঞ।
আমরা আপনার হামদ আদায় করছি।
_____
"শুনলাম আর মানলাম, আমাদের রব!
আমরা আপনার দিকেই ফিরে আসছি।
আমাদের রব!
ভুলি বা ভুল করি -- আমাদেরকে ধরবেন না।
আমাদের রব!
এমন বোঝা দেবেন না -- যা আগেরদের উপর দিয়েছিলেন।
আমাদের রব!
এমন ভার বহন করাবেন না - যার শক্তি আমাদের নেই।
মাফ করেন, ক্ষমা করেন,
আমাদের উপর রহম করেন।
আপনি আমাদের মাওলা।
কাফেরদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করেন।"
- সুরা বাকারা ২৮৬
চোখ বন্ধ রাখলো। ঘরে বসে থাকলো। তো বাচলো।
মিনিমান প্রয়োজন হলো ১। জাইরোস্কোপ, ২। কম্পাস আর ৩। কুইক চার্জ।
সবচেয়ে কম দামে নেটে যেটা পেলাম সেটা হলো এটা।
Xiaomi Redmi 3
http://www.gsmarena.com/xiaomi_redmi_3-7862.php
Tk. 14,500
Negative হলো
কিনবো কি কিনবো না ডিসিশন নিতে হবে ১ দিনের মাঝে।
কোনো এক সময় ব্যপারগুলো হয়তো শাতিমির রাসুল ছিলো।
কিন্তু এখন রিলেশনটা ডাইরেক্ট না। লতায় পাতায়।
পাকিস্তানে মুমতাজ কাদরী যাকে হত্যা করেছে, সে ব্যক্তি নিজে রাসুলুল্লাহ ﷺ কে অবমাননা করেন নি। তবে অবমাননার আইনের বিরোধি ছিলেন।
তাই সম্পর্কটা এখন "অবমাননাকারীর সমর্থনকারী"তে গিয়ে ঠেকেছে।
হয়তো একসময় "সমর্থনকারীর সমর্থনকারী"র দিকে যাবে।
তাহলে এখন পার্থক্যকারী দাগটা কোথায় টানতে হবে?
কখন মানুষ বলবে "সে আসলে হয়তো শাতিমির রাসুলের দোষে দোষি না।"
এবং কথাটা কে বলবে?
এই বিচারের দায়িত্বটা কার?
প্রত্যেকের? যে যার বুঝ মত কাজ করবে? যে যাকে শাতিমির রাসুলের দোষে দোষি মনে করে?
এবং, এ ব্যপারে একজনের রায় বা অন্যজন মানবে কেন?
____
রাস্তার বামে:
ধরেন, এলাকায় কোনো এক সন্ত্রাসী মারা গিয়েছে।
সবাই খুশি।
- কিন্তু এই সন্ত্রাসীকে যে অবৈধ ভাবে মারা হলো? সেটার কি হবে?
- সন্ত্রাসী মারা কি তাহলে সোয়াবের কাজ বলছেন?
- আপনার কাছে যদি কেউ বলে আমি সন্ত্রাসী মারতে যাচ্ছি, আপনি তাকে উৎসাহ দেবেন?
- তার পরও বলবেন, তাকে যে মারা হলো সে জন্য আপনি খুশি?
____
রাস্তার মাঝে:
রাস্তার মাঝ দিয়ে পথ খুজে আমরা চলার চেস্টা করছি।
এর একদিকে আগুন।
অন্যদিকে বরফ।
সারা সপ্তাহের মাঝে এই সময়টা সবচেয়ে শান্তি লাগে।
সারা সপ্তাহের পরিশ্রমের পর, দুইদিনের ছুটি। :-D
- Zulhaz না হয়ে Xulhaz কেন?
"হুদুদ কায়েমে এখানে কোনো বাঁধা নেই। কেননা যারা এগুলো করছেন তারা একজন সেন্ট্রাল আমীরের আনুগত্যে এসব করছেন যা তাদের কাজকে বৈধ করে। আর মুসলিমরা কোনো একজন মুসলিম আমীরের আনুগত্যে বাধ্য। এটা সেই ক্ষমতা যার আওতায় উমাইয়্যা,আব্বাসিয়া ও ওসমানীদের আমলেও শাসন কেন্দ্র থেকে বহু দূরে দারুল হারব ও কুফরের অভ্যন্তরেও অভিযান চালানো হয়েছে কিন্তু উলামায়ে কখনোই বিরোধীতা করেন নি। উদাহরণ স্বরূপ ক্রিমিয়ার খানকে মস্কোভা সাজম্রাজ্যে চালানো অভিযানে দেয়া ওসমানীয়া জানিসার দের সাহায্য এর কথা বলা যায়।কাজেই মূল আমীরের দেয়া অনুমতির সাপেক্ষে অন্য দেশের অভ্যন্তরে চালানো অভিযান কখনও নাজায়েজ হতে পারে না। এমনকি কাফেররা ও এটা মনে করে না। CIA,RAW,KGB,MO SAD,MI প্রভৃতি সংস্থা এধরণের কাজ বরাবরই করে আসছে।"
~ জনৈক।
___
কথাগুলো আমার কাছে নতুন।
অথচ আমার ধারনা ছিলো সব দলের সব যুক্তি আমার জানা।
এটা over confidence, obviously.
তাই নতুন করে হিসাব করার সময়।
কথাগুলো কি ঠিক? ভুল?
Time should say.
কিন্তু প্রথম প্রশ্ন হলো আমার আমির কে?
আমি যে ভুখন্ডে থাকি সে ভুখন্ডের বর্তমান আমির হলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।
আর মুসলিম বিশ্বের আমির?
de-facto হিসাবে বর্তমানে সৌদি বাদশাহ।
কারন আরব বিশ্বের বাকি সব আমির সৌদি বাদশাহকেই বড় আমির মনে করে। এবং উনার নিয়ন্ত্রনেই মক্কা মদিনা।
এতটুকু অমি বুঝি।
বাকিটা বুঝতে হবে, যদি বুঝার প্রয়োজন আছে মনে করি।
But what he said is a new thought, and interesting. Interesting even if its right or wrong.
আমি নিজে মোনাফেক আমিরেরও আনুগত্য করি। তবে এই ব্যপারে কাউকে ফতোয়া দেবার অধিকার আমর নেই।
যে যেই আলেমদের অনুসরন করে তার কাছ থেকে ফতোয়া নিয়ে নিতে হবে। ফতোয়ায় পার্থক্য থাকতে পারে।
And to everyone whos using their old phone --- you suck :-P
"উনি নববর্ষের বিরুদ্ধে নিরুৎসাহিত করেন নাই"
- হুম। উৎসাহিত করেছেন?
___
"সেকুলারদের বিরুদ্ধে কিছু বলেন না, মুসলিমদের বিরুদ্ধে বলেন"
ভেলিড পয়েন্ট।
আমি খেয়াল করে দেখলাম অমি নিজেও হিন্দুদের আচার কালচার নিয়ে কিছু বলি না, শুধু মুসলিমদের কাজ কর্ম নিয়ে বলি।
সবাইকে সব ব্যপারে বলতে হবে, এটা জরুরী না। যে ব্যপারে যে যা বলছে সেটা ঠিক না বেঠিক সেটা হলো প্রশ্ন।
___
"উনি শাতিমির রাসুল জনিত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে"
উনার লিখায় হুদুদ জনিত হত্যাকান্ডের বিরোধিতা দেখতে পারছি। কিন্তু শাতিমির রাসুল নিয়ে সরাসরি কিছু বলেন নি।
কিন্তু আমরা সবাই ধরে নিয়েছি এটা ইমপ্লাইড। ব্যখ্যাটা আমাদের, উনার না।
___
On the other side:
জামাতে ইসলামি এবছরও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
লুৎফুর ফারাজি সাহেব শাতিমির রাসুল এর বিষয়ে ওয়েব সাইটের ফতোয়ায় লিখেছিলেন "এ ব্যপারে জনগন বিচার নিজের হাতে না নিয়ে বরং সরকারের কাছে মৃত্যুদন্ডের দাবী তুলতে হবে" এধরনের কিছু। যেটা নিয়ে এর পর জাভেদ কায়সার ভাই উনাকে ফোন করে এ বিষয়ে উনার সাথে কথাও বলেছিলেন। কোনো এক সময়ে।
কিন্তু ঐ সব নিয়ে ইন্টারনেট তখন ভেঙ্গে পড়ে নি, যেটা এখন হচ্ছে।
___
তাহলে আমি কি উনার সাথে একমত?
উনার লিখার মূল পয়েন্ট ছিলো, "এগুলো নিয়ে আমাদের খুশি হওয়া উচিৎ না"। এ ব্যপারে অমি দ্বিমত। আমি খুশি।
কিন্তু এটাকে earth shattering কোনো disagreement মনে করি না।
উনাকে পথভ্রস্ট মনে করবো যখন দেখবো উনি মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসুদের পথ ধরেছেন। সেটা এখনো বহু দূর।
____
Conclusion?
এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি না করে আমাকে আমার কাজে ব্যস্ত হতে হবে। আসিফ ভাইকে আসিফ ভাইয়ের কাজে। এবং ইসলামিস্টদের ইসলামিস্টদের কাজে।
যেটা যার কাজ।
যদি ভুল ধরাই কারো কাজ হয়, well then be it. যে যেটাকে সোয়াবের মনে করে।
তাই নিজের ছবি বসিয়েছিলাম নিজেকে কন্ট্রোল করার জন্য।
টেকনিকটা কিছু দিন কাজ করেছে। এর পর যেই সেই।
তাই আবার ফেক ছবি নিয়ে এলাম। "মুরুব্বি মানুষ কি উল্টা পাল্টা বকছে" --- এরকম শক যেন মানুষ না খায়। :-P
___
পলিটিক্যল ব্যপার নিয়ে বেশি কপচালে তেতো হয়ে যায়। তাই পলিটিক্স বাদ দিয়ে অন্য কিছু নিয়ে পোস্ট দিতে হবে।
অলটারনেট এখন আছে এগুলো:
১। নারমাল ঘটনা funny করে বর্ননা করা। এটা সেলিব্রিটে হবার অব্যর্থ ঔষধ। তবে সত্য ঘটনার সাথে সামান্য কিছু, যেমন ১০%, মিথ্যা মিশাতে হয়। :V
২। সাইন্স নিয়ে লিখা। কিন্তু বিজ্ঞান মনস্কদের কল্যানে মানুষ এখন "সাইন্স" শুনলেই ভয় পায়।
৩। বর্তমান যুগের বিতর্কিত বিষয়গুলোর উপর আদি তফসিরের কিতাবে কি আছে সেগুলো অনুবাদ করে জানিয়ে দেয়া। এটা ভালো এই সেন্সে যে আরবী প্রেকটিস হয়। খারাপ হলো, "প্রথমে তারা আপনাকে শায়েখ ট্যগ দিবে, তার পর তারা আপনাকে আক্রমন করবে" সিম্পটম। আসিফ সিবগাতের যে অবস্থা। :-D
৪। আথবা, সুফিজমের উপর পড়ালেখা পোস্ট চালিয়ে যাওয়া। এটাতে উপকার মূলত শুধু নিজের।
তাই নেক্সট কোন পথে যাবো সেটা চিন্তা করছি।
এর পর যে বিপদ-কস্টগুলো আসবে সেগুলোতে ধর্য্য। বেসিকেলি এটা।