এহইয়াউ উলুমিদ্দিন পড়ছি। মেজর যে জিনিসটা চোখে পড়লো সেটা হলো তাসাউফের জন্য পীর ধরার কথা সেখানে নেই।
প্রচলিত যে বিশ্বাসগুলো আছে, যেমন "পীর ধরা জরুরী", "ধরতে হবে", "পীর ধরলে তাড়াতাড়ি সুফল পাবেন", "নিজে নিজে আমল করতে গেলে শয়তানের ধোকায় পড়ে যাবেন" এই ধরনের কোনো কথা এই বইয়ের কোথাও চোখে পড়লো না।
বরং সব বলা হয়েছে "নিজে কর" এই স্টাইলে।
___
এই বইটার সমালোচনা আছে অনেক। বিশেষ করে সালাফি আলেমদের মতে সুফিজমের পুরো বিষয়টা হলো বিদআত বা নবআবিস্কৃত এবং রাসুলুল্লাহ ﷺ উম্মাহকে এসব শিক্ষা দিয়ে যান নি। এগুলো দরকার নেই, বা ক্ষতিকর। কারন উম্মাহকে আরো জরুরী কাজ করা থেকে এগুলো বিরত রাখে।
তবে হানাফি আলেমদের মতে সুফিজম গ্রহনযোগ্য। কেউ বিদআত বলেন না। কিন্তু কেউ কেউ স্পেসিফিকলি এই বইগুলো নিজে নিজে পড়তে নিষেধ করেন। বা পড়ার আগে আলেমদের অনুমতি নিয়ে নিতে বলেন।
___
সবার কথাই ঠিক। যে যার পয়েন্টে।
এর পরও দুদল আলেমের কথা যদি বিপরিতমুখি হয় তবে, তার অর্থ এই না যে আমাকে দুজনের কথাই গ্রহন করতে হবে। এবং তার অর্থ এই না যে একজনের কথা গ্রহন করার জন্য আমাকে অন্য জনের কথাগুলোকে ভুল প্রমান করতে হবে।
দুজনের কথাই ঠিক। আমি একজনের কথা গ্রহন করবো অন্যজনকে ভুল না বলে।
____
বর্তমান যুগের আলেমদেরকে আমি অতীত যুগের আলেমদের থেকে উত্তম মনে করি না।