সেলিব্রিটি:
ইসলাম নামে এক ভদ্রলোক ছিলেন ফেসবুকে। জামাতের পক্ষে কথা বলতেন। অনেক ফলোয়ার হয়ে গেলো।
এর পর উনি জামাতের বিপক্ষে কথা বলা আরম্ভ করলেন। ফলোয়াররা উনাকে গালি দিলো।
এর পর উনি ঘোষনা দিয়ে নাস্তিক হয়ে গেলেন।
সেলিব্রিটি হওয়ার এটা একটা খারাপ দিক। আল্লাহ তায়ালা এরকম পরিনতি থেকে আমাদের রক্ষা করুন।
___
কায়সার নামে আরেক ভাই ছিলেন। প্রথমে শাহবাগী। স্টেটাস প্রতি ৩০ হাজার লাইক।
এর পর হটাৎ করে উনি ইসলামিস্ট হয়ে গেলেন। লাইক নেমে আসলো ৩০০ তে।
এখন উনার স্টেটাসের ৪০% ই হলো "আল্লাহ যেন আমাকে সেলিব্রিটি হবার ক্ষতি থেকে রক্ষা করেন।"
আল্লাহ উনাকে ক্ষমা আর কবুল করুন।
___
হাতেম তাই নামে একজন বিশাল দাতা ছিলেন ইরানে। উনার প্রশংসাও ছিলো চারিদিকে প্রচুর। উনার দান বেশি ছিলো নাকি দানের প্রশংসা বেশি ছিলো সেটা আমরা জানি না।
তবে উনার ছেলে যখন রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করেছিলেন "আমার আব্বার কি হবে?"
রাসুলুল্লাহ ﷺ জবাব দিয়েছিলেন, তোমার আব্বা যা চেয়েছিলেন, আল্লাহ তায়ালা উনাকে দুনিয়াতেই সেটা দিয়ে দিয়েছেন।
ইমপ্লাইং, আখেরাতে উনার জন্য কিছু নেই।
বুঝলাম, দুনিয়ার প্রশংসা আখিরাতের জন্য ক্ষতিকর।
___
হামযা রা: শহিদ হবার পর রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছিলেন, যদি কুরাইশরা বিচলিত না হয়ে যেত তবে এই লাশ উনি এভাবেই মাঠে ফেলে রাখতেন। জন্তু জানোয়ার এসে খেয়ে নিতো। সেটাই আখিরাতে উনার জন্য ভালো হতো।
আসওয়াদ নামে আরেক প্রচন্ড আল্লাহ ভীরু ব্যক্তি ছিলেন। উনিও দোয়া করতেন, আমার লাশ যেন জন্তু জানোয়ার খায়। আল্লাহ উনার দোয়াও সেই ভাবে কবুল করেছিলেন উনাকে শাহাদাৎ দান করে।
অথচ "তোর লাশ শিয়াল কুকুরে খাবে" এইটাকে আমরা বদ দোয়া মনে করি। আভিশাপ মনে করি। মনে করি হয়তো তার কোনো পাপ ছিলো।
এগুলোতে দুনিয়ার প্রশংসা নেই। তবে আখিরাত আছে।
___
এখন মানুষ আমার যত প্রশংসা করছে
পরে মানুষ আমার ঠিক ততটুকু নিন্দা করবে।
তাই প্রশংসাতে খুশি হবার কিছু নেই।
এই নিন্দা আর প্রশংসা কাটাকাটি যাবার পর, আখিরাতের জন্য কিছু বাকি থাকে না।
শুধু শুধুই এত কস্ট।
___
"এটা আল্লাহর হক যে: দুনিয়াতে যা কিছু উচু হবে, তাকে উনি নিচু করে দেবেন।"
অহংকার হলো আল্লাহর চাদর।
এবং উনি কারো পরোয়া করেন না।