দুনিয়ার চারদিকে যা হয় এ দেখে হয় তালি বাজানো যায়: "উচিৎ শিক্ষা"।
কিংবা নিজের জীবনের জন্য শিক্ষা নেয়া যায়।
আমি দ্বিতীয়টা করতে পছন্দ করি। ইয়ং ছেলেপেলেরা প্রথমটাতে আকৃষ্ট হয়।
১
বায়াতের বন্ধন গলায় না পড়ে যার মৃত্যু হলো তার জাহেলিয়াতের মৃত্যু হলো। এ রকম একটা হাদিস আছে। আমি বুঝি বায়াত বলতে এখানে সরকারের প্রতি বায়াত।
"কিন্তু সরকার যদি পাপের হুকুম দেয়?"
করা যাবে না। অন্য হাদিসে স্পষ্টতই বলা আছে বাইয়াত শুধু জায়েজ কাজের জন্য। হারামগুলো ইগনোর করতে হবে।
কিন্তু সেনা বাহিনীতে থাকলে ইগনোর করার উপায় নেই। অথরিটি যদি কিছু হুকুম করে, তবে সেটা করতেই হবে। এই নিয়মে যে কোনো বাহিনী চলে। না করলে কোর্ট মার্শাল, মৃত্যু দন্ড।
এখানেই ডিলেমা।
প্লাস, অর্ডারটা ভালো কাজের জন্য নাকি খারাপ সেটা হাইয়ার অথরিটি জানে। সাধারন সেনা বুঝতে পারবে না। কারন তাকে "কেন করতে হবে" সেই ব্যখ্যা দেয়া হয় না।
২
খাসোগি হত্যার ১৫ জনের মাঝে ১০ জন ছিলো সেনা অফিসার। বিষয়টা কেচিয়ে যাবার পরে দায়িত্ব ডিসওউন করার জন্য এনালিষ্টরা বলছিলো এদের এখন গুম করে ফেলা হবে।
তাই হয়েছে। গতকাল এদের এক জন মারা গিয়েছে "সড়ক দুর্ঘটনায়"। হুট করে একটা গাড়ি এসে চাপা দেয়।
এতে শিক্ষা কি? তাদের কি করা উচিৎ ছিলো?
সেনা অফিসার যেহেতু। হুকুমে "না" বলার অনুমতি নেই।
কিন্তু তামিল করার পর এখন তারাই পাপি। শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
৩
"সেনাবাহিনীতে যোগ দিলো কেন? যোগ না দেয়া উচিৎ ছিলো!"
এর কারন প্রথমে বলছিলাম - "বায়াতের শেকল গলায় পড়া ছাড়া যার মৃত্যু হলো..."
উল্লেখ্য বায়াতের সময় নিজের চয়েসের সুযোগ নেই। ভালো লোক খুজে নিয়ে বায়াত করা যাবে না। যে কারনে আমাদের বাড়ির পাশের হাসান সাহেবেকে আমি বায়াত দিতে পারবো না, যদিও উনাকে সবসময় মসজিদে পড়ে থাকতে দেখি।
এলাকায় যে ডিফেকটো রুলার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাকেই দিতে হবে।
Dilemma.
20-Oct-2018 12:21 pm