মালেকি থেকে যা শিখেছি - ৪
১৬
একটা কমন দাবি আছে যে ইমাম আবু হানিফা হাদিস অনুসরন করতেন না বরং উনার মন মতো ফয়সালা দিতেন। যে কারনে সহি হাদিসের সাথে হানাফি মাজহাবের রায়গুলোর বৈপরিত্য দেখা যায়।
হানাফি আলেমদের জিজ্ঞাসা করলে বলবে "আবু হানিফা হাদিস অনুসারেই দিতেন। সহি হাদিস বলতে শুধু বুখারি মুসলিম বুঝায় না।"
১৭
যুক্তি তো সব পক্ষেরই আছে। কি করে বুঝবো কোনটা norm? কোনটা সঠিকের গন্ডির ভেতর?
উল্লেখ্য Judgement এর এই লেভেলে "এটা আলেমের কথা তাই conclusive" ধরবো না। কারন আমি আলেমদের কথাকেই judge করছি।
১৮
এখানে tie-breaker আমি ধরি মালিকি মাজহাবকে। উমাম মালিক কি করেছেন?
ইমাম মালিক মদিনা শরিফে বসে ওখানকার মুসলিমদের মাঝে প্রচলিত নিয়মগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে ফিকাহের রায় দিয়েছেন। এবং সব ক্ষেত্রে উনার সংকলিত হাদিসের কিতাব মুয়াত্তার সাথে উনার রায় মিলে না। এটা পড়েছি, নিজে ভেরিফাই করে দেখি নি।
উনি ছিলেন ইমাম আবু হানিফার সমসাময়িক। আবু হানিফা কুফায় বসে রায় দিতেন। ইমাম মালিক দিতেন মদিনায় বসে। তবে ইমাম মালিক আবু হানিফার কিছু জুনিয়র ছিলেন। এবং দুজনই ছিলেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট। একজন অন্যজনের শিক্ষক না।
১৯
ছোটবেলায় যখন বুখারি শরিফ পড়ছিলাম তখন হাদিস পেয়েছিলাম রাসুলুল্লাহ ﷺ খুতবা দিচ্ছিলেন। এক সাহাবি মসজিদে ঢুকে বসে পড়ছিলো। উনি ﷺ বললেন বসার আগে ২ রাকাত নামাজ পড়ে নাও। মানে খুতবা চলাকালিন মসজিদে ঢুকলে ২ রাকাত নামাজ পড়তে হবে।
কিন্তু জানতাম হানাফি মাজহাবের রায় এর উল্টো। খুতবা চলাকালিন নামাজ পড়া যাবে না। বসে পড়তে হবে।
মালিকি মাজহাবের রায় কি? পেলাম হানাফিদের মতো। খুতবা চলাকালিন নামাজ পড়া যাবে না। বসে পড়তে হবে।
কেন? সহি হাদিসে তো এর বিপরিত কথা আছে। মালিকিদের কথা হলো খলিফাদের আমলে উনারা নামাজ পড়া পছন্দ করতেন না। তখন থেকে চালু হয়েছে। প্লাস ঐ সাহাবি যখন নামাজ পড়ছিলেন তখন রাসুলুল্লাহ সা: নিজের খুতবা বন্ধ রেখেছিলেন নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত।
২০
এই যুক্তিগুলো যদি আমি কোনো হানাফি আলেম থেকে শুনতাম, তবে এগুলো আমার কাছে গ্রহনযোগ্য মনে হতো না। তারা তো তাদের পক্ষে বলবেই।
মালিকিদের কাছে যখন একই যুক্তি শুনলাম -- তখন বুঝলাম এটাই norm. আপত্তির কিছু দেখি না।
#HabibHanafi
Comments:
- পরের পোষ্ট :
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10155593408348176
24-Jun-2018 10:49 am