মালেকি থেকে যা শিখেছি - ৫
১
"রাফে ইয়াদাইন"
বুখারি শরিফে আছে করতে হবে।
তিরমিজি শরিফে করতে হবে না।
হানাফিতে করতে হবে না।
সালাফি করতে হবে।
এতটুকু হলে সমস্যা ছিলো না।
কিন্তু সালাফি মতে এক্সট্রা : রাফে ইয়াদাইন না করাটা ভুল। এবং যে করলো না সে রাসুলুল্লাহ সা: এর নামাজ পড়লো না।
হানাফিদের মতে রাসুলুল্লাহ সা: আগে করতেন শেষে করা ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা সেটা অনুসরন করে। সালাফিদের মতে পরে ছেড়ে দেন নি, মিথ্যা কথা।
২
মালিকি মাজহাবের মত কি? ইমাম আবু হানিফার প্রভাব মুক্ত হয়ে মদিনা শরিফে মসজিদে নববীতে ১০০ বছর পর মুসুল্লিরা কি রাফে ইয়াদাইন করতো?
উত্তর হলো : মালিকি মাজহাবেও রাফে ইয়াদাইন নেই। এমন কি জানাজার নামাজে বা ঈদের নামাজের তকবিরেও হাত তোলা নেই।
৩
সালাফিদের একটা নোট দেখছিলাম নেটে। লিখা ইমাম মালিক প্রথম জীবনে জানতেন না রাফে ইয়াদাইনের হাদিসগুলোর কথা। শেষ জীবনে যখন জেনেছেন তখন উনি অবস্থান পরিবর্তন করেন। এবং এটাই মালিকিদের মূলধারার ফতোয়া।
৪
কিন্তু সালাফিদের নিজেদের শিক্ষাকে "একমাত্র সঠিক শিক্ষা" প্রমান করার জন্য অনেক দাবিকে এক্সাগ্রেট করে প্রেজেন্ট করতে দেখেছি। এর একটা উধাহরন হলো "দাড়ি রাখা ফরজ"। সালাফিদের মতে ফরজ। তাই কিতাবে প্রমান দেখিয়েছে "চার মাজহাবের মতেও ফরজ"। কিন্তু আমি জানি চার মাজহাবে ফরজ না। শাফিতে সুন্নাহ। হানাফিতে ওয়াজিব।
তাদের মাঝে cherry pick করার প্রবনতা বেশি। কোনো মাজহাবের মূল ধারার কথা ছেড়ে পছন্দমত কোনো আলেমের কথা তুলে নিয়ে দাবি করা "X মাজহাবের মত এই, কারন X মাজহাবের এই ইমাম এই কথা বলেছে।"
নারে ভাই। প্রতি মাজহাবে শত শত ইমাম আছে। এর মাঝে কোনো এক বিষয়ে কোনো ইমামের কথা যদি ঐ মাজহাবের মূলধারার অন্য ইমামদের কথার বিপরতি হয় তবে মূলধারার মতের উপর মাজহাবের অবস্থান হয়। এক ইমামের কথায় না।
৫
তাই মালিকি মাজহাবের ব্যপারে শেষ কথা আসবে মালিকি মাজহাবের আলেমদের থেকে। সালাফিদের থেকে না। কারন এই সব বিষয়ে সালাফিদের দাবির উপর অন্ধ বিশ্বাস আমার কাছে উপরোক্ত কারনে কম।
#HabibHanafi