১
ছোটকালে যখন রোজা রাখতাম তখন রমজানের শেষে পাজরের হাড় সবগুলো চামড়ার উপর উচু হয়ে যেতো। সোমালিয়ার অনাহারিদের মতো। কোনো দিন সেহরি না খেয়ে রোজা রাখলে মনে হতো মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসছি।
৩৩ বছর ঘুরে এখন আবার সেই জুন মাসে রোজা। এখন শুধু ইফতারি খেয়ে রোজা রাখি। সেহরি বা রাতের খাবার বাদ। পাজরের হাড় বের হয় না। বরং ওজন বাড়ে।
২
প্রচন্ড ক্ষুধার একটা আলাদা আনন্দ আছে। অটোমেটিক মুখে জিকির আসে। ক্ষুধার সময় জিকির হয় মু'মিনদের খাদ্য। সুফিরা ৩০-৪০ দিন না খেয়ে থাকতো কি করে? মনে মনে জিকির করে বলে। জিকির করলে ক্ষুধা কমে যায়।
শেষ যুগে ঈসা আঃ এর সময়ে তুর পাহাড়ে যখন মু'মিনরা আশ্রয় নেবে তখনো তাদের খাদ্য হবে জিকির।
৩
এর কিছুই এখন আর আমার হয় না। কারন ক্ষুধা লাগে না।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্ষুধার অনুভুতি চলে গিয়েছে।
আনতে হলে, এক দিন না বরং টানা ৫-৭ দিন না খেয়ে থাকতে হবে।