কালকে ৫:১০ এ সূর্যোদয়। সে হিসাবে সকাল সাড়ে ৫ টায় ঈদের নামাজ পড়তে পারার কথা।
১
মধ্যপ্রাচ্যে ফজরের পর পর ইশরাকের ওয়াক্ত হবার সাথে সাথে ঈদের নামাজ হয়। আমাদের দেশে হয় ৮ টার পর থেকে। মফস্বলে ১০ টার পর থেকে।
আগে করলে সমস্যা কি? লোক আসবে না।
এত লোক আনার ঠেকা কেন? দান হাদিয়ার টাকা বেশি উঠবে, তাই।
২
এই দানের সমস্যা না থাকলে এই দেশেও আগে আগে ঈদের নামাজ হতো। ঢাকার বাস স্ট্যেন্ডে যেমন প্যসেঞ্জার তুলে বাসগুলো দেরি করতে থাকে আরো কিছু পেসেঞ্জার উঠলে এর পর ছাড়বে, সেরকম এই দেশের ঈদের নামাজ -- দেরির দিকে মনোযোগ বেশি।
৩
সকাল সকাল ঈদের নামাজ কোথায় হয়? রাজার বাগ পাক দরবার শরিফে। কয়েক বছর আগে এরা চালু করেছিলো এশরাক হবার সাথে সাথে ঈদের নামাজ, ৫:২৫ মিনিটে। এই বছর দেখি তারাও ঠেলে করেছে পৌনে ছয়টা। সামনে আরো ঠেলবে ধরে নেয়া যায়।
এটা "পাক দরবার শরিফ" না হলে ওখানেই পড়তাম। বাইতুল মুকাররমেও ৬ টায় কোনো জামাত নেই। ৭ টা থেকে আরম্ভ।
- Comments:
- ^ এজন্য ফজরের নামাজের পর পরই ঈদের নামাজ করতে হবে যেন ঈদের নামাজের তোড় জোড়ে মানুষ আগে উঠে ফজর পড়তে পারে।
- হাদিয়ার জন্য তাদের ঈদের নামাজ লাগে না। সারা বছর আসে।
- কারন,
- রাসুলুল্লাহ সা: আগে আগে পড়তেন।
- নামাজ মিস হলো কিনা সেই টেনশন থাকে না।
- পড়ে নিলেই ওয়াজিবের দায়িত্ব শেষ।
- পড়ে এসে টানা ঘুম দেয়া যায়।