This is what my wife does. :-P
- Comments:
- :-P
২৪শে সেপ্টেম্বর সৌদি আরবে ছিল ঈদের দিন। দক্ষিণ দাম্মাম ইসলাম প্রচার অফিস থেকে আসা আমরা ৪৮ জন অবস্থান করছিলাম লোকাল হজ্জ এজেন্সি ‘আল রাজেহী’ এর তাবুতে। যার অবস্থান ছিল ৫২২/৯ মুজদালিফার শুরু এবং মিনার ঠিক শেষে, মিনার আল ওয়াদী হাসপাতালের বিপরীতে। সকাল পৌনে সাতটায় আমার কাফেলা নিয়ে বের হই জামারাতে কংকর নিক্ষেপের উদ্দেশ্যে। ৫২২ নং রোড ধরে জামারাতের অভিমূখে আমরা পায়ে হেঁটে চলতে থাকি। কিছুদুর যাওয়ার পর ৫১১ নং রোডে উঠি। এই সড়কটি দু’দিকে ভাগ হয়ে গেছে। ডান পাশের রাস্তাটি গিয়ে জামারাতের একটি প্রধান সড়ক (কিং ফাহাদ রোড) এর সাথে মিশেছে। আর বাম পাশের পথটিও জামারাতের আরেকটি প্রধান সড়কে গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে। আমরা এই পথটি ধরেই অগ্রসর হয়েছি। কিছুদূর যাওয়ার পর সিড়ি বেয়ে জামারাতে যাওয়ার অন্যতম প্রধান সড়ক সূক আল আরব মহা সড়কে আমরা উঠি।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, মিনার প্রধান সড়কগুলো হলো যথাক্রমে- কিং আবদুল আজীজ সড়ক, কিং ফয়সাল সড়ক, সূক আল জাওহারাহ সড়ক, সূক আল আরব সড়ক, কিং ফাহাদ সড়ক এবং পদচারীদের জন্য বিশাল টিনসেড সড়ক ও রিং রোড। এরমধ্যে মেট্রো রেল লাইন ঘেঁষে যাওয়া কিং আবদুল আজীজ সড়কটি জামারাতের পাশ দিয়ে মক্কা পর্যন্ত চলে গেছে। আর অপর পাশের রিং রোডটিও জামারাতকে পাশে রেখে মিনার বাহিরে চলে গেছে। আর অবশিষ্ট সকল প্রধান সড়কই গিয়ে জামারাত ব্রীজে (যেখানে কংকর নিক্ষেপ করতে হয়) গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে।
আমরা জামারাতের যে রোডটি ধরে অগ্রসর হয়েছি সেটা ছিল খুব সম্ভব সূক আল আরব সড়ক। সুবিশাল এই সড়ক তখন কানায় কানায় পরিপূর্ণ। দলে দলে মানুষ পায়ে হেঁটে জামারাতের দিকে ছুটে চলেছেন। কিছুদুর যাওয়ার পর এই সড়কটি কোন কারণে বন্ধ থাকায় দায়িত্বরত নিরাপত্তা রক্ষীরা আমাদেরকে ডান পাশের একটি সরু পথ ধরার নির্দেশ দিলেন। পরিকল্পনা ছিল, সেই ছোট্ট সড়কটি হয়ে কিং ফাহাদ মহাসড়কে উঠার-যেটি জামারাতে গিয়ে মিশেছে। এই রোডটি হলো দু’পাশে সারিবদ্ধ তাবুর মধ্যবর্তী পথ, যা মূলত: তাবুর লোকদের চলাচলের জন্য। স্বভাবত:ই সেই পথটি ফেলে আসা মহা সড়কের চেয়ে অনেক সরু। বিশাল সড়কভর্তি লোকগুলো যখন মহল্লার সরু পথে ডাইভার্ট হলো, তখনই শুরু হলো প্রচন্ড চাপাচাপি ও বর্ণনাতীত ভিড়। এদিকে সে সময়ের তাপমাত্রা ছিল হজ্জের যেকোন দিনের চেয়ে বেশি। ফলে অনেক হাজী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের পথ চলার গতিও শ্লথ হয়ে আসতে লাগলো। এভাবে পথ যতো এগুতে থাকে ভিড় ততই বাড়তে থাকে।
ঘটনাস্থল অর্থাৎ ২০৪নং সড়কে কৃষ্ণবর্ণের সুঠাম দেহী আফ্রিকান ও এরাবিয়ান হাজীদের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। আর হজ্জ বা উমরায় আসা যেকোন লোকই জেনে থাকবেন- নাইজেরিয়ান, কেনিয়ান ও অন্যান্য দেশী কৃষ্ণাঙ্গ হাজীরা সাধারণত: অনেক বেশি হুড়োহুড়ি করে চলতে অভ্যস্ত। দুর্ঘটনাস্থল (২০৪ নং রোডে) তাদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হওয়াটাও ভিড়ের ভয়াবহতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আর মৃতদের মধ্যে তাদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়া থেকেও বুঝা যায় যে এই পথে তাদের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল।
এই পথে ইরানী হাজীদের গ্রুপগুলোর আধিক্যও চোখে পড়ার মতো ছিল। পুরো পথে প্রায় শতকরা ৩০ জনই ছিলেন ইরানী হাজী। ইরানী হাজীদের একটি চরিত্র হলো, কখনোই তারা গ্রুপ বিহিন চলাফেরা করেন না। কোন ইরানীকে বিশেষ করে হজ্জ বা উমরার কোন কাজ সম্ভবত: কেউ একা করতে দেখেন নি। তাদের প্রতিটি গ্রুপকে ঘিরে থাকে শক্তিশালী কিছু লোক। যারা অন্যদেরকে ঠেলাঠেলি করে হলেও নিজেদের গ্রুপকে বিচ্ছিন্ন হতে দেয় না। ফলে স্বাভাবিক পথ চলা অনেক সময় রুদ্ধ হয়ে যায়। মিনা ট্রাজেডির ঘটনাস্থ ২০৪নং রোডেও তাদের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি এবং যথারীতি গ্রুপ আকারে। এটিও অতিরিক্ত ভিড় সৃষ্টির অন্যতম কারণ।
প্রচন্ড ভিড় ও চাপাচাপির মধ্যে আমরা চলতে থাকি। এরই মাঝে কিছু দুর্বল লোক পেছনের চাপ সামলাতে না পেরে পড়ে যেতে লাগলেন। আর ভয়াবহ এই ভিড়ে দু’একজন পড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই তাদের আশপাশের লোকেরাও হুমড়ি খেয়ে তাদের উপরে পড়ে সেখানে পতিত মানুষের স্তূপ সৃষ্টি হয়ে যেতো লাগলো। কারণ, পেছনের মহাসড়ক থেকে আসা মানুষের স্রোতের চাপে কেউ পড়ে গেলেই পিছনের লোকেরা শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে না পেরে তারাও হুমড়ি খেয়ে পড়ে যেতে লাগলেন পতিত লোকদের উপর। পড়ে যাওয়া মানুষের কারণে যখন আর সামনে এগুনো যাচ্ছিল না তখন আশপাশের মানুষ সর্বশক্তি দিয়েও দাঁড়িয়ে থাকতে পারে নি। পেছনের চাপে তারাও একের পর এক পড়ে যেতে লাগলেন। এভাবে একজন পড়ে গেলে মুহূর্তের মধ্যে তার উপর আরো বহু লোক পড়ে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে লাগলো। এদিকে এমত পরিস্থিতে আশপাশের সকল তাবুর গেটগুলো ছিল বন্ধ। আমরা বহু চিৎকার করে গেট খুলে পথের বৃদ্ধ ও নারীদের অন্তত ভেতরে প্রবেশের সুযোগ দিতে বললেও সম্ভবত: হুড়োহুড়ি সৃষ্টি হয়ে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরির ভয়ে তারা গেট খোলে নি। অপরদিকে কর্তব্যরত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এখানে হতাহতের খবর পেয়ে উদ্ধারের জন্য বিপরিত দিক থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করানোর ব্যর্থ চেষ্টা শুরু করলো। যার ফলে সামনের লোকগুলোর বের হওয়ার পথও অনেকটা রুদ্ধ হয়ে গেলো। আর তখনই কয়েক মিনিটের মধ্যে পেছন থেকে আসা মানুষের স্রোত থমকে যাওয়া লোকগুলোর উপর একের পর এক আছড়ে পড়তে থাকে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই রচিত হয়ে গেলো ইতিহাসের বিষাদময় ট্রাজেডিক উপাখ্যান। যারা আশপাশের তাবুর গ্রীল বেয়ে উপরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন তারাই কেবল বেঁচে ছিলেন। আমার গ্রুপে আমি সহ মোট ৪৮ জন ছিলাম। তার মধ্যে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার সাজেদুল ইসলাম নামের দুই সন্তানের জনক এক টেক্সি ড্রাইভার ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর কুমিল্লার জসিম নামের অপর একজনের এখনো কোন খবর পাওয়া যায় নি। আর বুকের হাড় ভেঙ্গে গুরুত্বর আহত দুই জন এখনো মক্কার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও অনেকের হাত বা পা ভেঙ্গেছে। অনেকে বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। তারা সবাই ইতিমধ্যে সেই অবস্থায়ই নিজ গন্তব্য দাম্মামে এসে পৌঁছেছেন।
লেখক: ট্রান্সলেটর ও প্রিচার, পশ্চিম দাম্মাম ইসলাম প্রচার অফিস, ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয়, সৌদি আরব
http://mzamin.com/details.php?mzamin=OTQ2ODA%3D&s=MQ%3D%3D
আরেক বুড়োকে আমি চিনি। তাকে ফেসবুকে একজন লিখেছিলো, ভাইজান, সময় থাকতে ভালো হয়ে যান। এই কমেন্ট পড়ে তিনি পরের দিনের ফ্লাইটে আমেরিকা চলে যান। জেএফকে বিমানবন্দরে নামার পর তাকে টিকেটের অর্ধেক টাকা ফেরত দেয়া হয়। কারণ পুরো যাত্রা পথে তিনি সিটে বসে জার্নি করেননি। নার্ভাস ব্রেক ডাউনের কারণে তার পেট নেমে গিয়েছিলো, ফ্লাইটের পুরো ১৫ ঘন্টা তিনি টয়লেটে বসে ছিলেন।
ইসলামের মাঝে যত উপদল বা ছোটদল আছে তারা জানে যে তারা মেজরিটি না। তাই তাদের মাঝে "আধিকাংশ মুসলিম ভুল" এটা কথাটা প্রামান করার জন্য একটা মরিয়া চেষ্টা দেখা যায়।
এর জন্য স্পেশালি তারা আশ্রয় নেয় কোরআন শরিফের ঐ সকল আয়াতে যেখানে আধিকাংশ মানুষকে পথভ্রান্ত বলা হয়েছে। লজিকটা এরকম যে "আধিকাংশ মানুষ পথভ্রান্ত, তাই আধিকাংশ মুসলিমদের সাথে চললে আমিও পথভ্রান্ত হয়ে যাবো।"
এই ব্যাখ্যাটা যেন আমাকে পথ ভ্রষ্ট না করে। আধিকাংশ "মানুষ" আর আধিকাংশ "মুসলিম" এর মাঝে পার্থক্য আছে।
আধিকাংশ মুসলিমদের সাথে আমাকে থাকতে হবে। আধিকাংশ আলেম কোনো ব্যপারে যে মত দেন, সে মতটাই ঠিক মত। আধিকাংশ মুসলিম যে দিকে আছে, সেটাই মুসলিমদের মূল দল।
কোরআন শরিফে "অধিকাংশ মানুষের" কথা বলা হয়েছে। এবং আধিকাংশ মানুষই মুসলিম না। তাই কোরআন শরিফের কথা এই যুগেও সত্য, যেমন ঐ যুগেও ছিলো।
কিন্তু আধিকাংশ মুসলিম ঠিক। এবং আধিকাংশ মুসলিম যেহেতু এরপরও দুনিয়ার সব মানুষের মাঝে সংখ্যালঘু। তাই কোরআনের কথাও ঠিক।
আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে আধিকাংশ মুসলিমদের সাথে রাখেন, এবং যারা বলে "আধিকাংশের সাথে থাকলে পথ ভ্রষ্ট হতে হবে" তাদের কথা দ্বারা যেন আমাকে আর আমার সন্তানদেরকে পথভ্রষ্ট না করেন।
The red zone areas experience late sunrise and sunset. Late with respect to clock time. Opposite for blue zones.
Bangladesh falls somewhat in the median.
- তাহসান ভাইর পেইজে, মাওলানা হাসান জামিল সাহেবের কমেন্ট।।
এবং হাদিসের ব্যখ্যা উস্তাদ দিচ্ছিলেন উর্দুতে। এটা এক দিক থেকে ভালো কারন আঞ্চলিক ভাষায় দিলে অন্য জেলার ছেলেরা বুঝতে পারতো না।
But that might not be the whole of the equation and US might not leave it all for Russia. Or it might. But whatever happens, it would be interesting to see how things turn out the way it's prophesized to be.
This year will be interesting. As events are unfolding rapidly after the Hajj.
যেমন একবার রচনা এলো বাবা মায়ের প্রতি সন্তানের কর্তব্য। তো সে লিখলো- বাবা মা আমাদের জন্ম দেয়। তারা আমাদের লালন পালন করে। কুমিররাও তাই করে। জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী। এটি পানিতে বসবাস করে। এর চোখ গোল গোল। কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা...দশ পৃষ্ঠা শেষ।
এরপরের পরীক্ষায় রচনা এলো আমার প্রিয় শিক্ষক। সে লিখল- আমার প্রিয় শিক্ষক এর নাম মোহাম্মদ আসাদ। তার চোখ গুলো গোলগোল। কুমিরেরও চোখ গোল গোল। জেনে রাখা ভালো যে কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী। এটি পানিতে বসবাস করে। কুমিরের পিঠ খাঁজ কাটা ,খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা ,খাঁজ কাটা...দশ পৃষ্ঠা শেষ।
শিক্ষক দেখলেন এতো ভারী বিপদ। শেষে তিনি অনেক ভেবে চিন্তে রচনার বিষয় ঠিক করলেন পলাশীর যুদ্ধ। লেখ ব্যাটা, এই বার দেখি কি করে তুই কুমিরের রচনা লিখিস।
তো ছাত্র লিখলো- ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজ এবং বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলার মধ্যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। এই যুদ্ধে নবাব সিরজুদ্দৌলা তার সেনাপতি মীরজাফর এর উপর ভরসা করে খাল কেটে কুমির এনেছিলেন। জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী। এটি পানিতে বসবাস করে। এর চোখ গোল গোল। কুমিরের পিঠ খাঁজ কাটা ,খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা ,খাঁজ কাটা...দশ পৃষ্ঠা শেষ!
From/AKM Wahiduzzaman
https://www.naij.com/545601-man-calls-living-god-kenya-killed-mosquitoes-photos.html
এখন শরৎকাল, কাশফুল ফোটার সময়।
[তিরমিযী]
মিশকাত; হাদিস নং- ৩৫২৬।।
কঠিন কাজ। কিন্তু দুনিয়াটাই পরিক্ষা। নিজাম ভাই
আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে এর উপর আমল করার তৌফিক দেন।
এই পীরের কাহিনী বেরিয়ে আসলে আরো ভালো ভাবে বুঝা যাবে। তবে খবর পড় মনে হচ্ছে একই স্রোতের ঘটনা।
নতুন ফন্টটা ভালো নাকি আগেরটা ভালো ছিলো এখনো বুঝতে পারছি না।
শীত মুমিনদের জন্য দুটো সুসংবাদ নিয়ে আসে বলে একটি হাদিসে অছে।
১/ রাত দীর্ঘ বলে রাতে দীর্ঘক্ষন নামাজ পড়তে পারে।
২/ দিন ছোট বলে দিনে সহজে রোজা রাখতে পারে।।
আমার আত্মিয়দের বলে যাবো অসুস্থ হলে যেন আমাকে হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে কখনো না দেয়। এর থেকে বাসায় বসে শান্তিতে মৃত্যু ভালো।
Wondering, who dared defending the goal when he was on strike. :-P
Putin is enjoying cult like popularity in Russia. And he has brought order into Russian army, turning it into a superpower, again.
তবে উনি মারা গেলেও সংগে সংগে সবাই জানতে পারবে না। নতুন বাদশাহ ক্ষমতায় উঠে তারপর সাধারনতঃ জানান আগের বাদশাহ মারা গিয়েছেন। আগের দুই বাদশাহর ক্ষেত্রে মৃত্যুর এক মাস পর খবরটা প্রচার করা হয়েছিলো।
যদি খবরে আসে "উনি মারা গিয়েছেন, নতুন বাদশাহ কে হবে এখনো জানা যায় নি" তবে এটা একটা ক্রাইসিসের লক্ষন।
http://en.abna24.com/service/middle-east-west-asia/archive/2015/10/06/713917/story.html
আশি বছর ধরে কাফির ছিলেন। এরপর ইসলাম গ্রহনের দুই মাসের মাঝে মৃত্যু। এমন মৃত্যু যেখানে উনার জীবনের সমস্ত পাপ উনার হত্যাকারিকে দিয়ে দেয়া হয়েছে, এবং হত্যাকারীর সমস্ত নেক আমল উনাকে দিয়ে দেয়া হয়েছে।
এটা আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে একটা নিদর্শন আর আল্লাহর ফয়সালাকে ভয়ের একটা কারন, আমাদের জন্য।
যে কোনো দেশের রাজনৈতিক সমস্যার উৎস জনগনের নিঃস্কৃয়তা থেকে হয় না। বরং জনগনের অতিরিক্ত সক্রিয়তা থেকে হয়, যেখানে একেকজন মনে করে একেকটা জিনিষ করতে হবে।
http://news.yahoo.com/ap-exclusive-saudi-hajj-disaster-deadliest-ever-strike-111906027.html
আল্লাহ হাকিকতের নূর দিয়া
হাবীবের নূর করলেন পয়দা
ডুব মারিলেন, জোশ মারিলেন
এশকের দরিয়ায়
গো সময় যায়, পড় দুরূদ নবী মোস্তফায়।।
আল্লাহ মোহাম্মদী নূর হইতে
একই আল্লাহ পাক জাতে
সৃষ্টি করলেন তামামও দুনিয়া।
নবী যদি না হইতো
কিছুই পয়দা না হইতো
অন্ধকারে থাকিতো দাড়ায়
গো সময় যায়, পড় দুরুদ নবী মোস্তফায়।।
এদের কারো কিন্তু নিজেদের প্রডাক্ট নেই। ট্রাস্টেড ব্রেন্ড করে একটা আমব্রেলা তৈরি করা তাদের কাজ।
কিন্তু সিরাজুদ্দৌলা ব্যপারে কিছু বুঝতে পারছি না। উনার নামে ভালো মন্দ, দুই রকমের কাহিনীই প্রচলিত আছে।
তাহলে বাকিরা উৎসাহিত হবে।
- ভিডিওর পেজে যেতে হবে। popup এ থাকলে পেজটা রিলোড করতে হবে। বা ফিডে থাকলে time এর উপর ক্লিক করতে হবে।
- এর পর URL এ www.facebook এর জাগায় m.facebook লিখে পেজটা রিলোড করতে হবে। মোবাইল ভার্সন লোড হবে।
- প্লে করতে হবে। তাতে প্রিভিউ ইমেজটা চলে গিয়ে ভিডিও লোড হবে।
- ভিডিওর উপর রাইট ক্লিক করে "Save Video As..."
Some are new some are old,
Some are kept some are told
No light shines as bright
Some will come in a flick, others, you will try
Remember with all your might.
Ancient it might be,
But not as much as your memory.
- Written by a 7 year old from my wife's family.
Funny comments aside, it's a wonder how the Palestinians are still being able to create such a resistance, when they are being killed in droves every few years.
This time it's escalating, yet again.
http://www.independent.co.uk/news/world/middle-east/a6692536.html
দুর্দান্ত আত্মউপলব্ধি। একজন সালাফির পার্সপেকটিভে।
Technically, I don't care, যতক্ষন না এক পক্ষ অন্য পক্ষকে "তোমারটা ভুল", "তোমরা সবাই কাফির" এরকম করতে থাকে। এরকম হয়নি বলছেন? হয়েছে। মতিউর রহমান মাদানীর দেওবন্দি আকিদার ভিডিওগুলো এখনো ইউটুবে আছে।
- বংলা ফিলিম আর নাটকে মানুষ দেখে তালাক দিতে হলে "এক তালাক, দুই তালাক, তিন...." এই সব বলতে হয়। এটা ভুল!!! এবং দেশের অধিকাংশ মুসলিম এই ভুলটা করে বিপদে পড়ে যায়।
- তালাক দিতে চাইলে স্ত্রীকে শুধু এক তালাক দিতে হবে। তালাক হয়ে যাবে। এর পর স্বামির বাড়িতে স্ত্রী তিন মাস থাকবে। এবং এর পর অন্য কোথাও বিয়ে করে চলে যাবে, বা বাপের বাড়ি চলে যাবে। শেষ। এটাই নিয়ম।
- তিন মাস পরে মেয়ে চাইলে আগের স্বামিকেও দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারবে। বা অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবে।
- যদি আগের স্বামিকেই বিয়ে করে তবে -- "স্ত্রীকে তালাক দিলাম, আবার তাকে আরেকবার বিয়ে করলাম" -- এই নাটক দুই বারের বেশি খেলা যাবে না। তৃতীয়বার একই কায়দায় তালাক দিয়ে বসলে মেয়েকে অন্য জায়গায় পাত্র খুজতে হবে। আগের স্বামির সাথে আর তৃতীয় বার বিয়ে বসার উপায় নেই।
_______
সব নিয়ম জানানো এই স্টেটাসের উদ্যেশ্য ছিলো না। সবকিছু জানতে হলে বই পড়তে হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের পথ দেখাক।
You can rightfully own multiple souls.
Now kid of 2015s are working hard to fix that time discrepancy. And it looks like, it does work on water :-P Maybe because "it's powered".
এতটুকুতে হানাফি সালাফি আহলে হাদিসে কোনো পার্থক্য নেই। একই।
নিয়মে কোনো মতভেদ নেই।
কিভাবে পেলাম:
আম্মার সাথে গল্প করতে বসলাম। আম্মা হটাৎ করে বললো আমাদের স্কুলটা 14 July Street এ ছিলো।! আমি জীবনেও এই নামটা শুনি নি।
জিজ্ঞাসা করলাম
- বাসা কোথায় ছিলো মনে আছে?
আমি তো খুশিতে অটখানা। তাড়াতাড়ি গুগুল নিয়ে বসলাম। তাহসানিয়া দিয়ে সার্চ দিলাম। কিছু নেই। 14 July Street সার্চ দিলাম, আছে!!
এর পর আরবীতে তাহসানীয়া লিখে সার্চ দিলাম। দুটো হিট আসলো আরবি থেকে বাংলা করলে যা দাড়ায়।
১। নতুন তাহসানিয়া, পুরান বসরাহ, ইরাক।
২। পুরান তাহসানিয়া, পুরান বসরাহ, ইরাক।
পুরান টায় গেলাম, যে খালটা দুই পাশ দিয়ে দুটো রাস্তা চলে গিয়েছে সেটা পেলাম। আমাদের বাসার কাছে দুটো রাস্তা মিলে একটা বাস স্টেন্ড হয়েছিলো, সেটাও পেলাম। হাসপাতালটা খূজলাম পেলাম না। শুধু দেখি একটা "পুরান আদালত" বিল্ডিং মার্ক করা আছে।
আম্মাকে জিজ্ঞাসা করলাম
- আমাদের বাসায় যাবার রাস্তাটা কি ছিল?
এর পর সবকিছু সহজ হয়ে গিয়েছে :-D
এখন স্কুলটা বের করতে হবে। আম্মার স্কুলের নামটাও মনে আছে।
এর পর যে পার্কে গিয়ে আমরা পিকনিক করতাম আর খেলতাম সেটা খুজে দেখবো পাই কিনা :-P ইনশাল্লাহ।
২/
স্ত্রী ক্ষেপে গিয়ে স্বামীর গালে চড় বসিয়েছে৷
এবার স্বামী বলছে: তুমি কি সিরিয়াসলি মারলা, না ঠাট্টা?
স্ত্রীঃ সিরিয়াসলি
স্বামীঃ বাইচা গেলা তাইলে, ঠাট্টা আমি একদম সহ্য করতে পারিনা।
কুয়াশা পড়তে যদিও আরো দেরি আছে।
http://edition.cnn.com/2015/10/20/entertainment/back-to-the-future-day-feat/
সালমান রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
এক ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে একটি মাছির কারণে।
অন্য এক ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে একটি মাছির কারণে।
এ কথা শুনার পর লোকেরা জিজ্ঞেস করল
তিনি বললেন
লোকটি উত্তর দিল "আমার কাছে তো এমন কিছু নেই যা আমি এ প্রতিমার জন্য উৎসর্গ করতে পারি।"
তারা বলল। "একটি মাছি হলেও উৎসর্গ কর।"
সে একটি মাছি উৎসর্গ করল।
তারা তাকে ছেড়ে দিল।
ফলে সে জাহান্নামে যাবে।
তারপর তারা দ্বিতীয় ব্যক্তিকে অনুরূপ কথা বলল।
সে উত্তরে বলল, "আমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য কিছু উৎসর্গ করি না।"
তারা তাকে হত্যা করল।
ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করল।
- আবু নঈম, আহমদ
উত্তরে ডা. জাকির নায়েক বলেন[....“আল্লাহ্ তোমাদের জন্য হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস খাওয়া। আর যে পশু জবাই করার সময় আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নাম নেয়া হয়েছে” অর্থাৎ যা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে উৎসর্গ করা হয় সেটা আমাদের জন্য আল্লাহ্ হারাম করে দিয়েছেন। আর এই কারনেই পূজার প্রস্বাদ খাওয়া হারাম।
এখন আসি পূজার অনুষ্ঠানে মুসলিমদের যাওয়ার বিষয়ে- আমাদের দেশে যখন হিন্দুদের পূজার উৎসব চলতে থাকে তখন অনেক মুসলিম-ই তাদের ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে। ঐ অনুষ্ঠানে উপভোগ করে।অনেকে উৎসুক ভাবেই যায়। ঐ সমস্ত মুসলিমদের যদি বলি- ভাই হিন্দুদের পূজায় অংশগ্রহন করো না, উৎসুক ভাবেও যেও না, তাদের দেব-দেবীর নামে উৎসর্গকৃত প্রসাদও খেওনা। তখন তারা উত্তরে খুব বুক ফুলিয়েই বলে-গেসি তো কি হয়েছে? গেলেই কি আমি হিন্দু হয়ে যাব? আমার ঈমান ঠিক আছে।
এখন একটু ভেবে দেখুন,মূর্তিপূজা হচ্ছে আল্লাহর সাথে শির্ক করা।আর শির্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়, সবচেয়ে বড় অপরাধ। মহান আল্লাহ বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্র সাথে শির্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়।(সুরা লুকমানঃ ১৩) আর শির্কের অপরাধ আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। মহান আল্লাহ বলেন : "নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে অংশী স্থাপন করলে তাকে ক্ষমা করবেন না,কিন্তু এর চেয়ে ছোট পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন,এবং যে কেউ আল্লাহর অংশী স্থির করে, সে মহাপাপে আবদ্ধ হয়েছে।
এখন দেখুন,সবচেয়ে বড় অন্যায় আপনার সামনে হচ্ছে। ... .... অথচ আপনি ঐ অন্যায়কে বাঁধা তো দেনই না, মনথেকেও ঘৃণা করেন না বরং ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে মনে মনে উপভোগ করেন। অন্তত মন থেকে ঘৃণা করলেও দুর্বলতম ঈমানদার হিসেবে আপনার ঈমান থাকত কিন্তু ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে তাদের অনুষ্ঠান মনে মনে উপভোগ করার পরেও কি আপনি দাবী করবেন যে- আপনার ঈমান ঠিক আছে। এটা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়।
কিন্তু আমার বাড়ি অমি ২ তলা করবো নাকি ১০ তলা। এটা ফেসবুকে আলোচনা করা যায়। যার যার মত দেয়া নেয়া যায়। এখানে ইঞ্জিনিয়ারের কথা শোনার আমার দরকার নেই।
কারন দিনের শেষে টাকাটা আমার পকেট থেকে যাবে।
বেশ কষ্ট হলো খেলতে। সমস্ত রুলসের বিপরিতে গিয়ে ডাম্ব খেলা খেলতে হলো। সে জিতলো ৫ বার আমি জিতলাম ৩ বার।
বড় ভাই-বোনের কাছে গিয়ে বললো
পন্ডিত বাচ্চাগুলো বলে
"শুনো! বাবা ইচ্ছে করে হেরেছে।"
"না!"
"আমি তোমাকে বলছি, ইচ্ছে করে হেরেছে বলে তুমি...", আরেক পন্ডিত যোগ করে।
মেয়েটা দৌড়ে এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করে
বাচ্চাদের আমি মিথ্যা বলি না। "Lying by omission" ভিন্ন কথা। প্রসংগ বদলিয়ে ফেললাম।
এটা এক বছর আগের কথা।
আজকে আবার সেই মেয়েটা আবার শ্লেট আর চক নিযে এলো।
বললাম "অকে" :-P
// তোমরা যারা গ্লোবাল গ্লোবাল কর।
// তোমরা যারা মনে করতে সৌদি সবসময় বাংলাদেশের থেকে এক দিন আগে থাকে।
Now that there are players in what had, this far been an empty field, no wonder some people will call foul.
সে কি মিন করে?
"আপনি ইসলামের সমর্থক?"
"আপনি ইসলাম সম্পর্কে জানেন?"
"আপনি মুসলিম?"
"আপনি মৌলিবাদী মুসলিম?"
// তোমরা যারা দোষ ধরতে পছন্দ কর।।
// Strategy: ignore everything, and only hear what you want to hear. :-P
এই ভয়কে বলে তাকওয়া। যার মৃল্যের কথা কোরআন শরিফে বার বার এসেছে।
আল্লাহ তায়ালার ভয় অন্তর থেকে কমে গেলে এর একটা সমাধান হলো মাথা নিচু করে আল্লাহ তায়ালার কাছে মাফ চাওয়া। গুনাহ মাফ হলে আল্লাহ তায়ালা উনার ভয় অন্তরে বাড়িয়ে দেবেন।
আল্লাহ তায়ালা যার আমলকে পছন্দ করেন। উনার ইচ্ছে।
দিনের শেষে, সবাই জান্নাতে যাবে না।
আমার প্রতিক্রিয়া:
Didn't read :-P আগে আমার টাকা থাকতে হবে তো নাকি?
HUSBAND:
The rain makes all things beautiful.
The grass and flowers too.
If rain makes all things beautiful
Why doesn't it rain on you?
WIFE:
Roses are red; Violets are blue
Monkeys like you should be kept in zoo.
Don't feel so angry you will find me there too
Not in cage but laughing at you!!
Now wondering, what is it that I might have to learn from my son, 20 years from now?
"তাদের ধারণা ঈমান লেখার ঝাঁজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হয়" <-- মধ্যপন্থার বাইরে যারা আছে, তাদের ইগনোর করে যাওয়া ভালো। বিশেষ করে তারা যদি কোনো দলের পক্ষে হয়।
// For: তোমরা যারা সকালে ঘুমাও।
- একই ব্যক্তি?
আমার অন্তর আন্ধার, এটাতে আলো কিভাব জ্বালাবো জানি না।
এগুলো এখন লেবু হিসাবে ব্যবাহার করি :-P
I still had to fail him but I did feel bad about it."
- মসজিদে মাইকে আজান হতো না। কোনো ওয়াক্তেই না। কখনো কোনো আজান শুনি নি। বাংলাদেশে ফিরার পর প্রথম আমি যেটা অবাক হয়েছিলাম সেটা হলো চারিদিকে আজান শুনে।
- টিভিতেও কখনো আজান প্রচার করা হতো না।
- তবে মসজিদ ছিলো। গলির ভেতর, ছোট আকারে। বড় রাস্তা দিয়ে চলার সময় কোনো মসজিদ চোখে পড়তো না।
- ছোট মসজিদগুলোতে জুম্মার নামাজ হতো। আব্বার সাথে গিয়ে মাঝে মাঝে পড়ে আসতাম। খুতবাও শুনেছি আরবীতে।
- স্কুলে কখনো ইসলাম, রাসুলুল্লাহ ﷺ বা আল্লাহর কথা কখনো বলা হতো না। এগুলোর বিষয়ে কিছু কখনো পড়ানো হতো না।
- ইরাকের মহিলারা বোরকা পড়তো। তবে মুখ ঢাকতো না।
- সাদ্দাম ক্ষমতায় এসে ইউনিভার্সিটিতে বোরকা নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। আব্বার কাছে শুনেছি নিষিদ্ধ করার পর উনার ক্লাসে চার জন মেয়ে কেমন কান্না করছিলো কারন পর দিন থেকে তারা আর ক্লাস করতে পারবে না।
- সরকার যে কোনো কারনে যে কাউকে ধরে নিয়ে যেতো। আব্বা বলছিলেন উনার ক্লাস চলা সময় ক্লাসে এসে কয়েকজন ছাত্রকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলো। এর পর এক ছাত্রের বাপের সাথে দেখা হয়েছিলো হটাৎ বাজারে। সে প্রকাশ্যে কিছু বলতেও পারছিলো না, শুধু কান্না করছিলো ভয়ে।
আমি ৪৬ বছর পার করলাম।
আমিও আল্লাহ তায়ালার কাছে "বার্ধক্যের শেষ প্রান্ত পৌছা" থেকে আশ্রয় চাই।
মৃত্যুর সবচেয়ে উত্তম সময় হলো ৬০।
সে হিসাবে আমার হয়তো আর ১২ বছর বাকি আছে।
কিন্তু মৃত্যুর তৈরি কতটুকু?
আল্লাহ তায়ালা আমাদের ভবিষ্যৎ আগে থেকে লিখে রেখেছেন।
এবং এটা লিখে রাখার কথা আমাদের জানিয়েছেন একারনে যে আমরা যেন, যা কিছু হারিয়েছি আর যা পেয়েছি তার উপর অতিরিক্ত ইমোশোনাল না হয়ে যাই।
আমার পাপ যেন আমাকে আল্লাহ তায়ালার সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছে থেকে বিরত না রাখে।
সুরা বাকারাতে আল্লাহ তায়ালা ইহুদিদের উদ্যেশ্য অনেক কথা বলেছেন।
এবং এর পরের সুরা আল-ইমরানে খৃষ্টানদের উদ্যেশে।
তাহলে নাস্তিকদের উদ্যেশ্যে কোন সুরা?
আমি বলবো সুরা আনআম।
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তৌহিদ, আল্লাহ তায়ালা কেন আরো প্রমান পাঠান না যে উনি আছেন? এবং না দেখে কেন উনাকে বিশ্বাস করবো? এ সব সম্পর্কে বলা হয়েছে।
যেমন আয়াত ৭ তে বলা হয়েছে যদি আল্লাহ তায়ালা ফিজিক্যেলি কোনো কাগজে লিখা বই আকাশ থেকে নাজিল করতেন, তবুও অবিশ্বাসিরা বইটা হাত দিয়ে ধরে বলতো, "এটা যাদু"।
এর পর, কাফিররা বলে "উনি একজন ফিরিস্তা কেন পাঠান না?"
যদি আল্লাহ তায়ালা কোনো ফিরিস্তাকে স্বরূপে পাঠাতেন তবে এই পৃথিবীর পরিক্ষা তখনই শেষ হয়ে যেতো। এর পর কাফিরদের আর ঈমান-আমলের জন্য সময় দেয়া হতো না।
তাই ফিরিস্তা পাঠালে আল্লাহ তায়ালা মানুষ রূপেই তাকে পাঠাতেন। তাহলে এর পরও কাফিররা ঐ সন্দেহেই পড়ে থাকতো।
এরকম আরো বহু আয়াত। বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন জনের অন্তরের প্রশ্নের জবাব দিয়ে।
কিন্তু জেনারেল/বাংলা লাইনে শিক্ষিত কোনো ছেলে কেউ যদি মাদ্রাসা পড়া মেয়ে বিয়ে করে তবে অনেক ক্ষেত্রে মেয়েটা তার ইলমের দোহাই দিয়ে পুরুষের উপর কর্তৃত্ব পরায়ন হয়ে বসে।
প্রথমতঃ ঈশার নামাজের পর পরই শুয়ে পড়তে হবে। নাইট পার্টি, টিভি দেখা বাদ।
রাতে যখনই ঘুম ভাঙ্গবে উঠে বসে তর্জনি তুলে পড়তে হবে
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু
লাহুল মুলক ওয়ালাহুল হামদ
ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির"
এর পর সে যা দোয়া করবে তা কবুল হবে বলে একটি হাদিসে আছে। ফেসবুকে শায়েখ আসিম হাকেম একবার বলেছিলেন উনি এই ভাবে দোয়া করে সবসময় কবুলিয়াত পান।
ওজু করে ঘুমের পোষাক ছেড়ে ভালো পোষাক পড়ে নামাজে দাড়াতে হবে।
এই দোয়া পড়তে হবে যদি মুখস্ত থাকে। মুখস্ত না থাকলে প্রথম দুই তিন লাইন মুখস্ত করে শুধু সেটুকু পড়তে হবে। এর পর অতটুকু ভালো মত মুখস্ত হয়ে গেলে এর পরের কয়েক লাইন মুখস্ত করে নিতে হবে, এভাবে।
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ
أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ
وَلَكَ الْحَمْدُ
، لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ
وَلَكَ الْحَمْدُ
أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ
وَلَكَ الْحَمْدُ
أَنْتَ الْحَقُّ،
وَوَعْدُكَ الْحَقُّ،
وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ،
وَقَوْلُكَ حَقٌّ،
وَالْجَنَّةُ حَقٌّ،
وَالنَّارُ حَقٌّ،
وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ،
وَمُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم حَقٌّ،
وَالسَّاعَةُ حَقٌّ،
اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ،
وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ،
وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ،
وَبِكَ خَاصَمْتُ،
وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ،
فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ،
وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ،
أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ،
لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
এই দুয়াটা বুখারি শরিফে আছে। রাসুলুল্লাহ ﷺ তাহাজ্জুদের আগে পড়তেন।
http://sunnah.com/bukhari/19/1
সংক্ষেপে দুই রাকাত নামাজ পড়ে নিতে হবে। তাহাজ্জুদের নামাজ আরম্ভ করার আগে রাসুলুল্লাহ ﷺ প্রথমে দুই রাকাত নামাজ সংক্ষেপে পড়ে নিতেন। কাফিরুন ও ইখলাস দিয়ে সংক্ষেপে নামাজ পড়া যায়।
দুই রাকাত নামাজ পড়ার পর হাদিসে বর্নিত "শয়তানের তিনটি গিটের" তিনটাই খুলে যাবে।
এর পর তাহাজ্জুদের নামাজ আট রাকাত পড়তে হয়। দুই রাকাত দুই রাকাত করে। চার রাকাতের পর একটু বিশ্রাম দোয়া তসবিহ। মিনিমাম চার রাকাত, মেক্সিমাম বারো রাকাত।
অপটিমাম হলো এই আট রাকাতে কোরআন শরিফ থেকে ১ পারা পড়া। এটা ঐ হাদিস থেকে এসেছে যেখানে রাসুলুল্লাহ ﷺ একজন নওজোয়ান সাহাবিকে উপদেশ দিয়েছিলেন
"তুমি মাসে এক খতম কোরআন শরিফ পড়বে।" উনি জবাব দিয়েছিলেন "যদি এর থেকে বেশি পড়তে পারি?"... এভাবে হাদিসটি। ঐ সাহাবী এর থেকে বেশি পড়তেন। কিন্তু শেষ জীবনে এসে আফসোস করতেন ইশ যদি আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কথাটাই তখন মেনে নিতাম।
রমজান মাসে কাবা শরিফে প্রতি রাকাতে ২ পৃষ্ঠা করে ১০ রাকাত পড়া হয়। এ ভাবে এক পারা। হাফেজি কোরআন শরিফের ২০ পৃষ্ঠায় এক পারা হয়। এটাও একটা ভালো সিসটেম।
কিরাত নিজ কানে শোনা যায় এমন উচু স্বরে পড়া। যদি কারো ঘুমের কষ্ট না হয়।
দ্রুত তিলওয়াতে এক পারার বেশি পড়ার থেকে একটু ধীর স্থির ভাবে এক পারা পড়া ভালো।
কিন্তু ১ পারা কুরআন শরিফ যদি মুখস্ত না থাকে? মুখস্ত করে নিতে হবে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে সময় দিলে এক বছরে ১ পারা ইনশাল্লাহ যে কেউ মুখস্ত করে নিতে পারবে। দুই বছরে দুই পারা মুখস্ত হলে তাহাজ্জুদের জন্য যথেস্ট।
নামাজ শেষে বিতির। বিতিরের তিন রাকাত নামাজে যথাক্রমে
১। সুরা সাব্বিহিসমা
২। সুরা কাফিরুন আর
৩। সুরা ইখলাস পড়া।
তৃতীয় রাকাতের দোয়া কুনুতের পর দোয়াকে ইচ্ছামত লম্বা করা যায়।
বিতিরের পর আবারো সংক্ষেপে দুই রাকাত পড়ে নামাজ শেষ করা। এটা অপশনাল।
সব মিলিয়ে সোয়া ১ ঘন্টার মত সময় লাগবে।
শেষ রাতে পড়তে চাইলে রাত দেড়টার পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত সময়। ঘুমাতে যাবার আগে রাত বারোটা বেজে গেলে নামাজ পড়ে একবারে শুতে যেতে হবে।
এই নামাজের ব্যপারে একটা মত হলো, যারা তাহাজ্জুদ পড়ে না তাদের জন্য এটা নফল। কিন্তু যারা নিয়মিত পড়ে তাদের জন্য এটা ওয়াজিব হয়ে যায়। তাই রেগুলারিটি মেন্টেইন করা জরুরী।
#HabibDua
"পরাজয় বলতে কি মৃত্যু বোঝাচ্ছেন? ... ..."
সেটাও ছয় দিন আগের পোস্ট।