৬০ বছরের পর উনি হাফেজ হয়েছিলেন। অধিক বয়সেও হাফেজ হওয়া যায় এটি তার সপক্ষে একটি উদাহরন।
উনার মৃত্যুটা নাটকিয় ছিল। এর পর জানলাম উনি নামাজে প্রতিদিন এক খতম কোরআন শরিফ পড়তেন!
Shall be checking fabric of cosmos, hadn't read it yet.
এর পর মসজিদুল হারামের ইমাম সাউদ আল-শুরাইমের ভরাট গলার তিলওয়াত মন কাড়ে। উনার পিছনে নমাজ পড়ার অনুভুতি আলাদা। তবে রেকর্ডে সেটা বোঝা যায় না।
শেষে মোবাইল ফোনে জেদ্দার ইমাম আহমেদ আল আজমির তিলওয়াত ডাউনলোড করছি। এখন থেকে এটা শুনব ইনশাল্লাহ।
"মেগাবাইট কিনে চালাচ্ছি" বলতে কি বোঝায়, তা এখন আমি জানি।:)
৮০ দশকে, সকালে ঢাকার গলি দিয়ে হাটলে, পেছনের বাসার তিলাওয়াতের শব্দ দূরে যাবার আগে সামনের দু বাসার আওয়াজ বাড়তে থাকত। রাস্তায় এমন কোন জায়গা ছিল না যেখানে তিলওয়াত শোনা যেত না।
৯০ এ কমে যায়। বারান্দায় সকালে বসলে তার পরও কোন না কোন এক বাসার শব্দ আসত। পরিচিত গলা না হলে অপরিচিত কারো।
২০০০ এর পর, বারান্দায় কোন দিন তিলওয়াত করলে আমি একাই থাকতাম। আর সবার মত আমিও রাতে জাগি সকালে ঘুমাই। নিঃশব্দ শহরে জোরে তিলওয়াত কেমন যেন odd লাগে।
এখন ২০১০। মসজিদে গিয়ে দেখি এক যুবক কোরআন শরিফ নিয়ে বসেছে। অনেক দিন পর নতুন জেনারেশনের কাউকে তিলওয়াত করতে দেখে অন্য রকম অনুভুতি হল।
#HabibTrend
মনে পড়লো অনেক আগে কে যেন আমাকে বলেছিল 'শোন, পীর চলে না বউয়ের কাছে':)
সমস্যা হয়েছে এর পর। এডে যে ভিডিওটা সাইকেল চড়ে করা হয়েছে দেখানো হয়েছে, সেটা সাইকেলে চড়েও করা হয় নি, নোকিয়া ফোন দিয়েও করা হয় নি। পাশের এক গাড়ির রিফ্লেকশনে জন্য দেখা যায় বিশাল এক DSL কেমেরা দিয়ে সাদা ভেন থেকে রেকর্ড করা হচ্ছে। নেটে এই নিয়ে আরম্ভ হয়েছে হই চই।
নোকিয়া এর পর প্রেস রিলিজ দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে। এক এথিকেল অফিসারও রেখেছে যেন এরকম আর না হয়।
http://www.youtube.com/results?search_query=nokia+lumia+fake
http://www.youtube.com/results?search_query=nokia+lumia+fake
হানাফি/দেওবন্দি
হানাফি/বেরলভী
মালিকী
শাফি
হাম্বলী
হাম্বলী/সালাফি
আহলে হাদিস
শিয়া/ইথনে আশরি
শিয়া/বোহরা
শিয়া/জাইদী
শিয়া/ইসমাইলী
শিয়া/আন্যান্য
শুধু কুরআন
"কি?" আবার জানতে চাইলাম।
সস্তা প্লাসটিকের ওয়াটার ফিলটার। ভিতরে সব কিছু দেখা যায়। সামনে একটা কল লাগানো। এক লিটার পানি নিচে পড়লেও ফ্লোর ভেসে যাবে। ফিলটারে ২০ লিটার পানি ধরে। এত পানি যাবে কোথায়? রাতে!
"আমি নিজেও কয়েক রাতে ভরে রেখেছি, সকালে দেখি অর্ধেক পানি নেই!" আস্তে আস্তেই বলে বাচ্চাদের মা, তার গলায়ও কেমন যেন অবিশ্বাস। এবার গা নাড়িয়ে উঠে বসলাম।
খেয়াল করে দেখি ফিলটারটা "জ্বীনের রুমের" দরজায় কাছে রাখা আছে। মানে বাচ্চারা ওই রুমটাকে ওই নামেই ডাকে!
পরের দিন রাত ১১ টায় ফিল্টারের পানি লেভেল নিজে দেখে নিলাম। ফিলটার ভরা। বুয়া প্রতি রাতের মত পানি ভরে শুয়ে পড়েছে, দূরের এক রুমে। সকালে ফজরের নামাজের সময় উঠে চেক করে দেখি অর্ধেক পানি নেই!
মনের ভুল হতে পারে। তবে কেউ পানি নিয়েছে বা পড়ে গিয়েছে সেটা একেবারেই অসম্ভব। নিস্তব্ধ বাসা। ফিলটারটা আমাদের বেডরুমের পাসেই।
পরের রাতে আরো ভাল করে খেয়াল করলাম পানির লেভেল। এ রাতটা কম্পিউটার ইনটারনেট করেই চালিয়ে দিলাম। রাত ৪ টায় চেক করে দেখি এবার ফিলটার পুরো খালি! শুধু তলানিতে অল্প কিছু পানি জমে আছে!
হাজির হলে হোক! তাই বলে নামাজে দাড়িয়ে আমি আল্লাহকে ভয় না করে জ্বীনকে ভয় করব নাকি? নামাজ শুরু করি। রাতের নামাজে কিরাত হয় জোরে। শব্দ করেই পড়ছি। সুরা নুহ শেষ করি। পরের রাকাতে সুরা জ্বীন। আজকে কিছু ভয়ে নিয়ে সুরাটা শুরু করি। অর্ধেকে আসতেই পাশের বেডরুম থেকে শুনি আমার মেয়ের আর্ত চিৎকার। নামাজ ভাংগার কোন কারন নেই। আমার স্ত্রী আছে তার সাথে। পরক্ষনে শুনি তার মা তাকে শান্ত করছে। আমি নামাজ চালিয়ে যাই।
সকালে এই অদ্ভুত গল্পটা স্ত্রীকে বলব। কিছু বলার আগেই সে বলে "জানো আজকে কি হয়েছে?"
"কি হয়েছে?", জিজ্ঞাসা করি
বলে, "আমি রাতে ভয়ংকর একটা স্বপ্ন দেখি। স্বপ্বে দেখি প্রেয়ার রুমের বারান্দার দরজা দিয়ে কুচ কুচে কালো বিকট চেহারার একটা মেয়ে তোমার রুমে ঢুকার চেষ্টা করছে। কোকড়ানো বিশাল চুল। কানে বিশাল গোলাকার দুল। আমি তাকে বাধা দেই। ঢুকতে দেব না। সে আমাকে বলে, 'আমাকে ঢুকতে দাও প্লিজ। তোমাকে অনেক টাকা দিব। অনেক ভাল জিনিষ দিব'। আমি আতংকে তাকে লাথি ঘুষি দিয়ে আটকাতে থাকি। এ অবস্থায় বাচ্চাটা বিভৎস চিৎকার করে কান্না করে উঠে। আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এখোনো ভয়ে আমার বুক কাপছে!"
বুঝতে পারি এই সবগুলো ঘটনা ঘটেছে এক সাথে। বলি, "তাড়াতাড়ি হুজুরকে খবর দাও"।
সব শুনে উনি কিছুক্ষন মাথা নাড়লেন। বললেন "হুম, পীরের মুরিদ না হলে এই রকম হয়"। পীরের মুরিদ হওয়া যে আমাকে দিয়ে হবে না সেটা উনি জানেন। তাহলে সমাধান কি? বললেন, "ঘর বন্ধ করতে হবে"। কিভাবে? চার কোনে চারটা লোহার পেরেক বুনতে হবে। কিছু দোয়া পড়ে।
কিন্তু ঢাকা শহরে সব ঘর এখন ফ্লাট। এখানে বাসা কোনটাকে বলব, ফ্লাটকে? চার কোন কোনটা? সিড়ি সহ নাকি ছাড়া? লোহার পেরেক কিভাবে বুনব? ফ্লোরে? বাড়িওয়ালা মার লাগাবে। প্লাস বাসাটা রেকটেঙ্গেল কোন ভাবেই না। বুদ্ধি করা হল কোন রকমে বাউন্ডারি ওয়ালের চার পাশে যে যায়গা আছে তাতে বুনে দেয়া যেতে পারে।
"তাহলে কি করবে?" জিজ্ঞাসা করল স্ত্রী।
ডিসিশন নিতে হবে। ভাবতে থাকলাম। শুধু পানিই তো খেয়েছে। কাউকে ভয় দেখায় নি এখনো। এটা কি ভাল নাকি খারাপ জ্বীন? পানি ও জ্বীনের মাঝে একটা রিলেশন আমি জানি। সুরা জ্বীনের এই আয়াতগুলো পড়েছি: "আমাদের মাঝে মুসলিম জ্বীন আছে, আবার খারাপ জ্বীনও আছে ... ... ...খারাপরা যদি ভাল পথে উপর থাকত তবে আমি তাদের প্রচুর পানি দিয়ে শান্তি দিতাম"।
কিছু একটা ধারনা করে নিলাম: হয়তো ভালগুলো শুধু পানি খেতে পারে। খারাপগুলো পারে না। আর এটা যেহেতু পানি খেতে পারছে তাই হয়তো খারাপ হবে না। কে জানে, হয়তো সুরা জ্বীনের তিলাওয়াত শুনে এসেছে। হয়তো এটা মুসলিম হবে।
প্রশ্নটা করে আমার স্ত্রী তখনো তাকিয়ে আছে আমার দিকে। বললাম, "থাক, আপাতত কিছু করো না।"
গত রাতে আমার WiFi দিয়ে এক বন্ধু এখানে বসেই তার মোবাইলে ভিডিওটার প্রথম ২ মিনিট দেখেছে। আমি এখনো দেখিনি। দেখলে হয়তো অনেক দিনের জন্য ইমোশেনেলী আপসেট হয়ে থাকতাম।
গত শুক্রবার জুম্মার নামাজে যাচ্ছি, এলাকার এক ভাই বলে "ভাই বাইতুল মুকাররমে যাচ্ছি সিনামার প্রতিবাদ করতে, যাবেন নাকি সাথে? রিকশায় উঠে যাই।" সে আমাকে মিছিলকারী ভাবলো কেন এটাই ভাবতে থাকলাম।
তাহলে এ ঘটনার রেজুলুশন কি? শরিয়ার কিতাবে এ ব্যপারে যা লিখা আছে আমি তার সাথে একমত। মিছিল আন্দোলনের কথা সেখানে নেই। কি লিখা আছে? মাসলার ব্যপার। এসব ব্যপারে কিছু লিখতে গেলেই একেক জন একেক রকম মত দেবে। আমি যেটাকে হক মনে করি সেটার উপর থাকব, ইনশাল্লাহ।
এর স্বরূপটা আর ব্যপ্তিটা কত বড় তা আমার বোধে আসছে, এখন যখন আরবী শিখে অরিজিনাল আরবির সাথে আনুবাদকের আনুবাদ তুলনা করতে পারছি। অনুবাদকরা কিছু রাখছ কিছু কাটছে, আর আনেকে ব্যখ্যা এমন ভাবে ঢুকিয়ে দিচ্ছে যে এই কথাগুলো যে অনুবাদকের কথা এবং অরিজিনাল আরবিতে এই কথাগুলো নেই, সে পার্থক্যটাও আনুবাদ পড়ে বোঝা যায় না। বস্তুত অনুবাদের নামে যে যার মত পথকে প্রচার করছে।
এখন আরবির সাথে না মিলিয়ে কোন হাদিসের অনুবাদ গ্রহন করতেও চিন্তে আসে।
কবি নজরুল বলছে মাছের পেটে ইউনুস আলাইহিসাল্লিম "ইসমে আজম" পড়ে মুক্তি পেয়েছিল। মাছের পেটে ইউনুস আ: যে দোয়া পড়েছিলেন সেটা কোরআন শরিফে উল্লেখ আছে। কিন্তু আলিমরা ওটাকেই ইসমে আজম বলেন না।
তবে ইসমে আজম কি? এটা আল্লাহ তায়ালার এমন একটা নাম। ওই নাম দিয়ে আল্লাহকে ডেকে কোন লোক যে কোন সময় যা দোয়া করেন তাই উনি তাকে তাই দিয়ে দেন। সুফিদের মাঝে এই ধারনা প্রচলিত আছে। সালাফিদের মতে এগুলো কল্প গল্প।
তবে আল্লাহর কাছ থেকে কোন দোয়া কবুল করার জন্য ইসমে আজম জানা জরুরী নয়। কিছু স্থান কাল ইভেন্টের কথা বলা হয়েছে যখন মানুষ যা দোয়া করে আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করেন।
আমেরিকায় এ রকম একটা সুইমিং পুলের দাম হবে কম পক্ষে এক মিলিয়ন ডলার!
এখন কক্সবাজারের আজকের ঘটনা এ বছরের কত তম?