বেডরুমের পাশে প্রেয়ার রুম। রাতে উঠি। নামাজ পড়ব। প্রতিদিন দিনের বেলা মনে হয় একটা এনকাউন্টার হলে খারাপ হয় না। একটা এক্সপেরিয়েন্স হবে। কিন্তু রাতের আধারে, লাইট অফ করে দিয়ে, একা প্রেয়ার রুমে ওই সাহসগুলো উবে যায়।
হাজির হলে হোক! তাই বলে নামাজে দাড়িয়ে আমি আল্লাহকে ভয় না করে জ্বীনকে ভয় করব নাকি? নামাজ শুরু করি। রাতের নামাজে কিরাত হয় জোরে। শব্দ করেই পড়ছি। সুরা নুহ শেষ করি। পরের রাকাতে সুরা জ্বীন। আজকে কিছু ভয়ে নিয়ে সুরাটা শুরু করি। অর্ধেকে আসতেই পাশের বেডরুম থেকে শুনি আমার মেয়ের আর্ত চিৎকার। নামাজ ভাংগার কোন কারন নেই। আমার স্ত্রী আছে তার সাথে। পরক্ষনে শুনি তার মা তাকে শান্ত করছে। আমি নামাজ চালিয়ে যাই।
সকালে এই অদ্ভুত গল্পটা স্ত্রীকে বলব। কিছু বলার আগেই সে বলে "জানো আজকে কি হয়েছে?"
"কি হয়েছে?", জিজ্ঞাসা করি
বলে, "আমি রাতে ভয়ংকর একটা স্বপ্ন দেখি। স্বপ্বে দেখি প্রেয়ার রুমের বারান্দার দরজা দিয়ে কুচ কুচে কালো বিকট চেহারার একটা মেয়ে তোমার রুমে ঢুকার চেষ্টা করছে। কোকড়ানো বিশাল চুল। কানে বিশাল গোলাকার দুল। আমি তাকে বাধা দেই। ঢুকতে দেব না। সে আমাকে বলে, 'আমাকে ঢুকতে দাও প্লিজ। তোমাকে অনেক টাকা দিব। অনেক ভাল জিনিষ দিব'। আমি আতংকে তাকে লাথি ঘুষি দিয়ে আটকাতে থাকি। এ অবস্থায় বাচ্চাটা বিভৎস চিৎকার করে কান্না করে উঠে। আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এখোনো ভয়ে আমার বুক কাপছে!"
বুঝতে পারি এই সবগুলো ঘটনা ঘটেছে এক সাথে। বলি, "তাড়াতাড়ি হুজুরকে খবর দাও"।