Facebook Posts - May 2013

1-May-2013 1:48 pm


শাহবাগীদের সেই আড্টাটা আর নেই,
আজ আর নেই,
কোথায় হারিয়ে গেল গাজাটি বিকেল গুলো সেই,
আজ আর নেই।

ইমরান আওয়ামীলীগে,
অমি পিয়াল খোয়াড়ে,
নেই তারা আজ কোন খবরে,
গ্রান্ডের গাজাটিস্ট নাস্তিক থাবা বাবা,
শুয়ে আছে যে আজ কবরে।

কার সাথে নেচে নেচে,
আঘাত পেয়ে যে শেষে,
পাগলা হয়েছে জাফ্রিকবাল।
তানভীর ভুগছে দুরন্ত ক্যানসারে,
জীবন করেনি তাকে ক্ষমা আর।

টম জেরী চেহারা, কাধেতে ঝোলানো ব্যাগ,
মুছে যাবে শান্ত'র নামটা,
সব গুলো ছবি তার হল যে আলুতে ছাপা,
পেল শুধু উপহাস ধিক্কার।

মেডিকেল কলেজের ছেলে,
ইমরান সরকার,
ছাত্রলীগ যে করত,
চোখ ভরা লালসা, শয়তানী চিন্তা নিয়ে লাকির
দিকে চেয়ে থাকত।

লাকি আজ সব চেয়ে সুখে আছে,
শত শত ভক্ত প্রেমিক তার,
মিডিয়া কাভারেজে আগা গোড়া মোড়া সে,
জমির চাচার কাছে নেই কোন দাম তার।

শাহবাগের রাস্তায়,
নেশাখোর মেয়েরা,
অশ্লীল অভিনয় করত,
চ্যানেলের রিপোর্টার মুন্নী সাহা রোজ রোজ,
মনগড়া খবর যে পড়ত।

সেই শাহবাগ নেই আজ,
মন্চটা তবুও আছে,
শাপলাও আজ খালি নেই,
একই সে ঢাকাতে আজ,
এসেছে হেফাজত,
শুধু সেই সে দিনের বিরিয়ানী নেই।

কত জাগরনের ঢেউ উঠে,
এই চেনা ঢাকাতে,
কত জাগরন ব্যর্থ হয়ে যায়,
কত মুরগী চোর এল গেল,
কত দালাল আসবে,
শুধু ইসলাম থেকে যায়।

ও ও ও ও ও ও ও.........
শাহবাগের সেই আড্ডাটা আর নেই, আজ আর নেই।
কোথায় হারিয়ে গেল গাজার আসর গুলো সেই, আজ আর নেই।
লা লা লা লাল লা লা লা লা লা লা, লা লা লা লা লা।

    Comments:
  • হেলিকপ্টার নিয়ে পোষ্ট বাদ দেন।

1-May-2013 1:48 pm

1-May-2013 10:39 pm


ঘুমাইতে যাবার আগে একটু হালকা মেজাজে যাচ্ছি।
এই পোষ্টের একটা এটাচমেন্ট ছিলো যেটা এখানে নেই

1-May-2013 10:39 pm

3-May-2013 6:20 am


সিএনএনের সাথে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের ভিডিও। শেষের কনফ্রনটেশনটা দারুন। সাহস আছে মহিলার, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ধমকের মুখে যেরকম Cool ছিল।

http://amanpour.blogs.cnn.com/2013/05/02/prime-minister-says-bangladesh-is-reforming-its-garment-industry/?hpt=hp_t1

3-May-2013 6:20 am

3-May-2013 10:51 am


জুম্মার পর প্রশ্নোত্তর: "বর্তমান দেশের পরিস্থিতিতে দাড়ি কেটে ফেলা জায়েজ হবে কিনা?"

খতিব বললেন: দাড়ি কেটে ফেললেই যে বেচে থাকতে পারবেন, এমন কোন নিশ্চয়তা আছে? পরের দিন হার্ট এটাক করেও মারা যেতে পারেন। একটা গুনাহর উপর মরলেন।

কিন্তু শুধু দাড়ি রাখার কারনে যদি রাস্তায় পিটিয়ে আপনাকে মেরে ফেলে তবে আপনি শহীদ। কারন দাড়ি রাখার কারনে মারা গিয়েছেন।

3-May-2013 10:51 am

3-May-2013 6:16 pm


খিলগাও হেফাজতে ইসলামের আজকের সমাবেশ থেকে। ৫ তারিখের আগে এটাই ছিল সর্বশেষ সমাবেশ।
    Comments:
  • তারা মূর্তি পুজা করে না, তবে মৃর্তির মাঝে তারা আধ্যাতিকতা খুজে পায়।

3-May-2013 6:16 pm

4-May-2013 1:08 pm


রেল লাইনের কাছ গিয়েছিলাম। হৈ হুল্লর শুনে তাকিয়ে দেখি, ট্রেন আসছে। ভিতরে ও ছাদ সব ভরা। সব ইয়ং জেনারেশনের ছেলেপেলে, হুজুররা না। প্রথমে মনে করেছিলাম ছাত্রলীগ নাকি? ঢাকা শহরে ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য কারো মিছিল দেখা যায় না।

পাশ থেকে সবাই বলল না। এরা সবাই হিফাজতে ইসলামের কর্মি। আসছে ঢাকা অবরোধে যোগ দিতে।

আল্লাহ তায়ালা ইসলাম ও বাংলার মুসলিমদের হিফাজত করুন।

4-May-2013 1:08 pm

4-May-2013 9:39 pm


ছাত্রের উত্তরটাই ঠিক ছিল।
শিক্ষকেরটা ভুল।

4-May-2013 9:39 pm

4-May-2013 10:32 pm


ويرفع الله النصر عن كل حتى تقول الملائكة يا رب ألا تنصر عبادك المؤمنين فيقول حتى يكثر شهداؤهم

"...সব দল থেকেই আল্লাহ সাহায্য সরিয়ে রাখবেন,
Until the angels say,
"O Lord, will You not help Your believing slaves?"
So He will say,
'Not until they have had many martyrs.'"

4-May-2013 10:32 pm

4-May-2013 11:39 pm


প্রচন্ড আতংক লাগছে।
ডিপ্রেসড হয়ে যাচ্ছি।
ভয় হচ্ছে কালকে শত শত আলিমের রক্ত বইবে।

নিজেকে হীন লাগছে।
পাপী, ছুড়ে দেয়া আবর্জনার মত লাগছে।

এদের তুলনায় আমি কিছুই না।
আমার লেবাসের ভিতরে আমি একজন প্রতারক।
টুপি নিচে আমি একজন মুনাফিক।

যদি দ্বিতীয়বার এ জীবন আরম্ভ করার সুযোগ দেয়া হত, তবে আমি এরকম আলিম হতে চাইতাম।

ইনশাল্লাহ এ দ্বীনকে আল্লাহ দুনিয়ার বুকের শ্রেষ্ঠ মানুষদের দিয়ে বিজয়ী করে নিবেন।
এ নিয়ে এখন আর আমার চিন্তা নেই।

তবে আমার নিজের জন্য ক্ষমা চাওয়ার সময়, এখন। --

এই পোষ্টের একটা এটাচমেন্ট ছিলো যেটা এখানে নেই

4-May-2013 11:39 pm

6-May-2013 9:53 am


আমাদের কাজ শেষ।
এখন আল্লাহর নিকট থেকে উনার রায় জানার অপেক্ষায়।

6-May-2013 9:53 am

6-May-2013 3:50 pm


আজকে মনে হচ্ছে সামনের ছয় মাস আর বড় কোন ইভেন্ট নেই।
Life will return to normalcy.
শুধু সমস্যা হল, গত ছয় মাসে যে দিনই আমি এ রকম ভাবি, তার পর দিন সকালেই নতুন কোন ইসু এসে হাজির হয়।

cycle টা কি এবার বন্ধ হবে?

6-May-2013 3:50 pm

6-May-2013 6:32 pm


চিন্তে করছিলাম, কেন? তাদের উপর দিয়ে কেন?
এই হাদিসটা মনে পড়লো/

মুসাইব ইবনে সা'দ তার পিতা থেকে বর্ননা করেছেন,

আমরা জিজ্ঞাসা করলাম
"ইয়া রাসুলুল্লাহ!
মানুষের মধ্যে কার উপর সবচেয়ে প্রচন্ড বালা [মুসিবত] আসে?"
বললেন, "নবীদের উপর,
এর পর উনাদের নিকটে যারা থাকে।
এর পর উনাদেরও নিকটে যারা থাকে।
কোন লোকের দ্বীনের হিসাব অনুযায়ী তার উপর বালা' অবতির্ন হয়।
তার দ্বীন যদি শক্ত হয় তবে তার উপর প্রচন্ড বালা' অবতির্ন হয়।
আর তার দ্বীন যদি দুর্বল হয় তবে দ্বীনের পরিমান মত তার উপর বালা অবতির্ন হয়।
কোন বান্দার উপর থেকে ওই পর্যন্ত বালা' সরে যাবে না
যতক্ষন না তাকে এই অবস্থায় ছেড়ে দেয় যে সে দুনিয়াতে নিষ্পাপ অবস্থায় হাটছে।""

তিরমিযি ২৩৯৮

http://sunnah.com/urn/677030

6-May-2013 6:32 pm

6-May-2013 9:44 pm


মাঝে মাঝে মনে হয় আল্লাহ তায়ালা যদি স্পষ্ট করে বলে দিতেন এখন এক্সক্টলি কি করতে হবে? কি করা উচিৎ? কি করা ভাল?

এর পর মনে হয়, ইহুদিরা এই দোয়াই করতো। তারা স্পষ্ট হুকুম চাইতো যার পরে কোন ব্যখ্যার প্রয়োজন নেই। এবং আল্লাহ তায়ালা তাদের যখন স্পষ্ট হুকুম দিতেন তখন সেটাকে তাদের জন্য কঠিন করে দিতেন। এবং এর পর স্পষ্ট হুকুম আসার পর সেটা না মানার জন্য তাদের শাস্তিটাও হতো কঠোর। তাই ইহুদিদের শরিয়তও সবচেয়ে কঠিন।

কি করবো এ কনফিউশনটাকেও তাই আমি দ্বীনের অংশ মনে করি। এর জন্যও সোয়াবের ও আল্লাহর তরফ থেকে ক্ষমার আশা করি।

6-May-2013 9:44 pm

6-May-2013 10:04 pm


মাঝে মাঝে আমার ওয়াইফকে বলি, "পৃথিবীর কোন না কোন প্রান্তে, প্রতিটা মুহুর্তেই বিভৎস কিছু না কিছু হচ্ছে। এ গুলো আমরা জানি না। এবং আল্লাহ তায়ালা এগুলো সবসময় আমাদের চোখের সামনে ভাসিয়ে রাখেন না বলেই আমরা হাসতে পারি, সুখী হতে পারি।

"তাই তুমি যেখানে কিছু করতে পারবে না, সেখানে এত ডিটেলস খবর জানতে চেয়ো না যে ডিপ্রেসড হয়ে যাও।"

6-May-2013 10:04 pm

6-May-2013 11:03 pm


ওহুদের যুদ্ধে যখন রাসুলুল্লাহ সা: এর চাচা হযরত হামযা রা: শহিদ হল তখন রাসুলুল্লাহ সা: বলেছিলেন কুরাইশরা বিচলিত হয়ে যাবে, নচেৎ তিনি এ লাশ ময়দানে এভাবেই ফেলে রাখতেন। এবং জন্তু জানোয়ার এসে সে লাশ খেয়ে নিতো। হাশরের দিন আল্লাহ তায়ালা উনাকে ওই জীব জন্তুর পেট থেকে নিয়ে একত্রিত করে আবার জীবিত করতেন। ইমপ্লাইং, ওটাই উনার জন্য আরো উত্তম হতো। --
দাতা হাতেম তাই এর পুত্র যখন রাসুলুল্লাহ সা: কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন: আমার পিতার কি পরিনতী হবে? তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন: হাতেম যা চেয়েছিলেন আল্লাহ তায়ালা তাকে দুনিয়াতেই তা দিয়ে দিয়েছেন। ইমপ্লাইং, তার দানের প্রতিদান আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতেই মানুষের প্রশংসা দ্বারা দিয়ে দিয়েছেন। --
কি বুঝলাম?
মৃত্যুর পর মানুষ আমার প্রশংসা করবে, তার থেকে আমার জন্য ভাল যদি আমার লাশ শিয়াল কুকুর খায়।

মতিঝিলের হাজার শহিদদের জন্য আজকে কোন শোক গাথা নেই।
হয়তো তাদের লাশ ময়লার সাথে ফেলে দেয়া হয়েছে। --
ইসলাম!
আমি দ্বীন হিসাবে ইসলামকে পেয়ে সন্তুষ্ট!!!

6-May-2013 11:03 pm

8-May-2013 9:05 pm


রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, মহান আল্লাহ্‌তা'আলা যে ব্যক্তির কল্যাণ চান তাকে বিপদে ফেলেন।
[বুখারী, রিয়াদুস স্বালিহিন, ৩৯]

অপর এক হাদিসে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আল্লাহ্‌ যখন তাঁর বান্দার কল্যাণের ইচ্ছা করেন তখন দুনিয়াতে তার জন্য তাড়াতাড়ি বিপদ-আপদ নাযিল করে দেন। আর যখন তিনি তাঁর বান্দার অমঙ্গলের ইচ্ছা করেন তখন তাকে গোনাহের মধ্যে ছেড়ে দেন। অবশেষে কিয়ামতের দিন তাকে পাকড়াও করবেন।
[তিরমিযী, রিয়াদুস স্বালিহিন, ৪৩]

8-May-2013 9:05 pm

10-May-2013 3:05 pm


বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিন ক্যাম্পাসে নায়ক মাগুর আর নায়িকা ইলিশের সামনাসামনি ধাক্কা। ইলিশের হাত থেকে পড়ে গেল বই।
ইলিশ (নায়িকা): এই যে মিস্টার, দেখে চলতে পারেন না?
মাগুর (নায়ক): (ইলিশের বই তুলে দিতে দিতে) সরি ম্যাডাম, নদীর পানি এত ময়লা যে খালি চোখে কিছুই দেখতে পাই না। আচ্ছা আপনার নাম জানতে পারি?
ইলিশ: হাউ ডেয়ার ইউ? ধাক্কা দিয়ে আবার নাম জানতে চান? যত্তোসব কম পানির মাছ এসে পড়েছে বেশি পানিতে...
(মুখ ঝামটি দিয়ে চলে গেল নায়িকা ইলিশ, আর অপমানিত মুখে দাঁড়িয়ে রইল নায়ক মাগুর)

কয়েক দিন পর বিপদে পড়ল নায়িকা ইলিশ। বান্ধবীদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় আটকা পড়ল এক জেলের জালে।
ইলিশ: ছেড়ে দে, ছেড়ে দে শয়তান। তোর ঘরে কি আর ইলিশ মাছ নেই?
জেলে: চুপ...একটা কথা বলবি না...
ইলিশ: শয়তান, তুই আমার দেহ পাবি কিন্তু মন পাবি না...
জেলে: তোর দেহটাই দরকার সুন্দরী, কেজিতে হাজার টাকা...হু হু হা হা।
ইলিশ: (সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকার) বাঁচাও, বাঁচাও, কে আছো বাঁচাও...গুন্ডারা আমাকে তুলে নিয়ে গেল।
অনেক দূরে নায়ক মাগুর তখন ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’ শীর্ষক এক সেমিনারে অংশগ্রহণ করছিল। ইলিশের চিৎকারে মাইক্রোসেকেন্ডের ব্যবধানে সে হাজির হলো ঘটনাস্থলে। দাঁত দিয়ে কেটে দিল জাল, মুক্ত করল নায়িকা ইলিশকে।
ইলিশ: কী বলে যে আপনাকে ধন্যবাদ জানাব, আপনি না থাকলে যে আজ কী হতো। (আগের ধাক্কা খাওয়ার ঘটনায় একটু ইতস্তত বোধ করে) ইয়ে...আসলে মাছ চিনতে আমার ভুল হয়ে গিয়েছিল। আমাকে ভুল ভাববেন না, প্লিজ। আমি ইলিশ, আপনি?
মাগুর: আমি মাগুর।
ইলিশ: দেশি না বিদেশি...
এভাবেই পরিচয়...পরিণয়...অতঃপর গান...
‘ইলিশ লো...
তোর রুপালি ঐ আঁশ
বাজারেতে কিনতে গেলে
খাওয়া লাগে বাঁশ
ইলিশ লো...’
নেচেগেয়ে চলতে থাকল ইলিশ আর মাগুরের প্রেম। সময়ের পরিক্রমায় বের হলো মাগুরের রেজাল্ট।
মাগুর: (দৌড়ে ঘরে ঢুকে চিৎকার দিয়ে) মা মা, আমি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছি।
মা মাগুর: আজ যদি তোর বাবা বেঁচে থাকত...
মাগুর: বাবার কী হয়েছিল মা?
মা মাগুর: তুই যখন পোনা ছিলি, তখন মানুষেরা তোর বাবাকে ধরে নিয়ে খেয়ে ফেলেছে।
মাগুর: (চোখ মুছতে মুছতে) মাছ হয়ে ভালো রেজাল্ট করে লাভ নেই মা, শেষমেশ মানুষের পেটে যেতে হয়...

এদিকে ইলিশ তার বাবার সঙ্গে মাগুরের পরিচয় করিয়ে দিতে নিয়ে এল ঘরে। কিন্তু মেয়ের প্রেমিকের প্রজাতি দেখে মনঃক্ষুণ্ন হলেন ইলিশের বাবা।
ইলিশের বাবা: সামান্য দেশি মাগুর হয়ে কোন সাহসে তুমি আমার মেয়ের দিকে পাখনা বাড়িয়েছ?
মাগুর: ভালোবাসা কখনো মাছের প্রজাতি দেখে না। ইলিশকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।
ইলিশের বাবা: তুমি জানো, আমার মেয়ের লেজের দাম দিয়ে তোমার মতো কয়েক ডজন মাগুরকে বাজার থেকে কিনে নেওয়া যাবে।
মাগুর: ইলিশ সাহেব, টাকা দিয়ে মাছ কেনা যায়, কিন্তু মাছের ভালোবাসা কেনা যায় না। আমরা গরিব মাছ হতে পারি, কিন্তু ছোট মাছ নই।
ইলিশের বাবা: আমার মেয়েকে বিয়ে করতে হলে তোমাকে ইলিশের মতো চলাফেরা করতে হবে। শরীরে ইলিশের ঘ্রাণ থাকতে হবে। নইলে এ বাড়ির দরজা তোমার জন্য বন্ধ।
নায়ক মাগুরের তৎক্ষণাৎ প্রস্থান। বাবা ইলিশ ঘরে বন্দী করলেন তার মেয়েকে।
ইলিশের বাবা: আজ থেকে তোমার বাড়ির বাইরে যাওয়া বন্ধ। আমার বন্ধুর ছেলে রুইয়ের সঙ্গে শিগগিরই তোমার বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
ইলিশ: না বাবা, না, মাগুরকে আমি ভালোবাসি বাবা। মাগুরকে ছাড়া আমি বাঁচব না। ওই ফরমালিন দেওয়া পচা রুইকে আমি মেনে নিতে পারব না।
ইলিশের বাবা: (লেজ দিয়ে মেয়ের গালে চটাশ করে চড় দিয়ে) আমার মুখের ওপর আর একটা কথা না। তোমার এত অধঃপতন হবে জানলে জাটকা থাকতেই গলা টিপে তোমাকে মেরে ফেলতাম।

নায়ক মাগুর এত সহজে হাল ছাড়ল না। অনেক পরিশ্রম করে বেশ কিছু টাকা জোগাড় করে ফেলল। এরপর সেই টাকা দিয়ে বাজার থেকে ইলিশের গন্ধওয়ালা এক্স ব্র্যান্ডের বডি স্প্রে কিনে আনল। শরীরে স্প্রে করা মাত্র মাগুরের শরীর থেকে ভুরভুর করে ইলিশের গন্ধ বের হলো। শুধু তা-ই না, আশপাশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মেয়ে মাছ পাগলের মতো তার দিকে ছুটে আসা শুরু করল!
মাগুরের এই বুদ্ধি কাজে দিল। ইলিশের বাবা মাগুরের সঙ্গে ইলিশের বিয়েতে রাজি হয়ে গেলেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হলো গুন্ডা রুই মাছ। সে তার দলবল নিয়ে অপহরণ করে নিয়ে এল নায়িকা ইলিশ আর তার বাবাকে। দড়ি দিয়ে বেঁধে দিল দুজনের শরীর।
গুন্ডাদের আস্তানায়।
রুই: সোজা বড়শিতে মাছ না উঠলে তাতে কেঁচো দিতে হয়, ইলিশ সাহেব। আজ থেকে ইলিশ আমার, ইলিশের সব সম্পত্তিও আমার, হু হু হু হা হা হা...
ইলিশের বাবা: তোর জিভ আমি টেনে ছিঁড়ে ফেলব বদমাশ। ইলিশ দেখেছিস, ইলিশের কাঁটা দেখিসনি...
রুই: হু হু হু হা হা হা, সে সুযোগ তুই পাবি না। তোকে খুন করে তোর লাশ দিয়ে ইলিশ পোলাও রান্না করা হবে। হু হু হু হা হা হা। তোর মেয়ে ইলিশ এখন আমার সামনে নাচবে... এই কে আছিস, ইলিশের বাঁধন খুলে দে...
খুলে দেওয়া হলো ইলিশের বাঁধন। ইলিশ আবার আধুনিক মেয়ে, মুক্ত হয়েই সে তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিল ‘gundara amake tule niyese, monta onek kharap’। লোকেশনে লিখে দিল ‘rui er astana’। তারপর গান গেয়ে গেয়ে নাচা শুরু করল। এদিকে স্ট্যাটাস দেখামাত্র মাগুর ছুটে এল রুইয়ের আস্তানায়। দেয়াল ভেঙে ঝাঁপ দিয়ে পড়ল গুন্ডা রুইয়ের ওপর।
মাগুর: শয়তান, আজ আমি তোকে মেরেই ফেলব।
গুন্ডারা গুলি করা শুরু করল ঢিশা... ঢিশা... ঢিশা... (৭০ রাউন্ড গুলি, নিহত ০)
নায়ক মাগুরও গুলি করা শুরু করল ঢিশা... ঢিশা (২ রাউন্ড গুলি, নিহত ৭০)।
সব গুন্ডাকে মারার পর বাকি রইল শুধু রুই। অন্য গুন্ডাদের হাতের নিশানা ভালো না হলেও রুইয়ের হাতের নিশানা ভালো। নায়কের দিকে তাক করে গুলি করল সে। ঢিশুয়া...কিন্তু, ইলিশের বাবা দৌড়ে এসে বুক পেতে দিলেন মাগুরের সামনে। গুলি এসে লাগল তার পেটিতে। এমন সময় পুলিশ মাছের আগমন। ‘আইন নিজের পাখনাতে তুলে নেবেন না’ বলে গ্রেপ্তার করা হলো গুন্ডা রুইকে।
এদিকে—
বাবা ইলিশ: (রক্তমাখা পেটিতে ধরে) বাবা মাগুর, আমার মেয়েকে তুমি দেখে রেখো, বাবা। ওকে তোমার হাতে দিয়ে গেলাম। আ আ আহ্...
ইলিশ: নাআআ আআ বাআআবাআ নাআ, তুমি এভাবেএএ চলে যেতে পারো নাআআ নাআআ।
অতঃপর মাগুর আর ইলিশ সুখে-শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল।

    Comments:
  • আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাব ওয়া শায়বান ওয়া বাল্লিগনা রামাদ্বান।

10-May-2013 3:05 pm

14-May-2013 5:55 pm


রেশমা কে নিয়ে একটি অনুসন্ধানি রিপোর্ট:
লিখেছেন আনিসুল হক

বাংলা সিনেমার গল্প।
নায়িকাকে ধরে নিয়ে গেছে ভিলেন। আকাশ
বাতাস ভেদ করে তথায় নায়ক হাজির। প্রবল
বেগে মারপিট করে সব শত্রু খতম। অতপর
নায়িকাকে নিয়ে নায়কের সুখ শান্তিতে দিন
গুজরান। আবার কোনো গল্পে হঠাৎ মাথায় আঘাত লেগে নায়িকা অজ্ঞান। জ্ঞান
ফিরলে আর কাউকেই চিনতে পারছে না। অনেক
বছর পরে আবার নায়িকার মাথায় আরেক
আঘাত। একে একে ফিরে আসে সব স্মৃতি।
ইবনে মিজান নামে এক চিত্রপরিচালক যাদুর
সিনেমা বানাতেন। সেখানে, নায়িকা শত্রুর আস্তানায় বন্দি। বাবার দোয়ায় নায়িকার
কাছে গায়েবীভাবে আসতে থাকে খাবার,
পানি, নতুন জামা, লাল দোপাট্টা, নেইল
কাটার, ক্লোজ আপ হাসির পেষ্ট,
আরো যা যা দরকার! সময় বদলেছে, অনেক দিন
এসব সিনেমা বানানো বন্ধ ছিল। তবে এবার ইবনে মিজান আবার হাজির হয়েছেন
সাভারের রানাপ্লাজায়! নাটকীয় রেশমা উদ্ধার গল্প
নিয়ে চারিদিকে নানা রকম জল্পনার অবসান
ঘটাতে গিয়ে ৩/৪ বার সময় পরিবর্তন
করে সেনাবাহিনীর কঠোর
নিয়ন্ত্রনাধীনে সাংবাদিকদের
সামনে হাজির করা হয় রেশমাকে। এসময় তার গায়ে ছিল প্রধানমন্ত্রীর শরীর
থেকে খুলে দেয়া চাদর। আগেই প্রশ্ন
নিয়ে নেয়া হয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে।
পরে মুসাবিদা করে অনেক সময় পরে হাজির
করা হয়। একজন সাংবাদিক ভবনধসের সময়ের
ঘটনার বর্ণনা জানতে চাইলে রেশমা বলেন, হঠাৎ মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে জ্ঞান হারায়
সে। এরপর আর কিছু মনে নেই তার। ঠিক কখন
জ্ঞান ফিরেছে নিশ্চিত করে তাও তার
মনে নেই। তিনি কোথায়ও আটকে পড়েননি।
তার সামনে চিত্কার
চেঁচামেচি করতে করতে অনেকেই মারা গেছেন। সঙ্গে থাকা অনেককেই মৃত
অবস্থায় দেখেছেন তিনি। অর্থাৎ অজ্ঞান
ফর্মুলায় নিষ্পত্তির চেষ্টা। এর আগে বিশ্বজুড়ে খবর হয়, ১৭ দিন
রানাপ্লাজার গভীর তলদেশ
থেকে রেশমা নামে এক পোষাক কন্যার
উদ্ধারের খবর!
উদ্ধারকারী সেনারা প্রথমে জানিয়েছিল,
রানা প্লাজার বেইজমেন্টে মসজিদের ভিতরে আবিস্কার হয়েছে এই অসম্ভব
ভাগ্যবতী কন্যা। সেখানে পানির অভাব ছিল
না। খাবারও ছিল প্রচুর। কিন্তু যত গোল
বাধালো এটিএনের বেতাল
মাইয়া মুন্নী সাহা। তার ৫টি প্রশ্ন - ”১/
উনি এতোদিন পর কিভাবে বেঁচে আছেন? ২/ উনাকে এতো ফ্রেশ লাগছে কেন? ৩/ ১৭ দিন
কোন খাবার
ছাড়া কিভাবে বেঁচে থাকতে পারেন? ৪/
(যখন সেনাবাহিনীর একজন বলল, তার
কাছে কিছু শুকনো খাবার ছিল উনার কাছে খাবার কোথা থেকে আসল? ৫/ উনার
জামা কাপড়গুলা এরকম নতুন মনে হচ্ছে, কোন
ময়লা নেই কেন?” এই পাঁচ প্রশ্নই
ঘুরে ফিরে হয়ে যায় পাঁচ’শতে। উদ্ধারকারী আর্মিরা প্রথমে জানিয়েছিল,
বেইজমেন্টের মসজিদ থেকে উদ্ধার
হয়েছে রেশমা। কিন্তু ঘন্টা চারেক
পরে জিওসি সাহেব এসে সাংবাদিকদের
বললেন, রেশমা উদ্ধার হয়েছে দোতলা থেকে।
আর সেখানে খাবার দোকান ছিল, সেই খাবার খেয়ে দিন পার করেছে রেশমা (প্রথম ভার্সন . জিওসি সারোয়ার্দী সিনিয়র মানুষ, তার বক্তব্যই সঠিক ধরতে হবে।
আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
রেশমা বাংলানিউজকে বলেন, “আমি ১৭ দিন
পানি খেয়ে বেঁচেছিলাম। ভবন ধসের পরপরই
আমি ভবনের নিচে আটকা পড়ি। পরে বাঁচার
জন্য ভবনে অবস্থিত নামাজ ঘরে চলে যাই। উদ্ধারকর্মীরা ওপর
থেকে নানা সময়ে বোতলজাত পানি পাঠান।
আমি সেখান থেকে দুই বোতল পানি সংরক্ষণ
করে রাখি। সেই বোতলের
পানি আমি প্রতিদিন অল্প অল্প
করে খেয়ে জীবন বাঁচাই (২য় ভার্সন ” এভাবে ১৫ দিন চালায় রেশমা। শেষ ২ দিন
আর কিছু খায়নি সে। একটা পাইপ দিয়ে দম
নিয়েছে সে। মোটামুটি সাইন্টিফিক বর্ননা।
(৩র্থ ভার্সনে রেশমার বরাত দিয়ে মেজর মোয়াজ্জেম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন,
“ধসে পড়ার দিনই রেশমা সঙ্গে কোন খাবার
নিতে পারেননি। কেবল তার
হ্যান্ডব্যাগে ছোট চার প্যাকেট বিস্কুট
ছিল। সেগুলোই অল্প অল্প করে খেয়েছেন।
উদ্ধারের পর পর সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন উদ্ধারকারী সেনা সদস্যকে, রেশমাকে একদম
সুস্থ মনে হয়েছে। তাঁর জামাকাপড়ও অক্ষত
ছিল। এটা কীভাবে সম্ভব?
উদ্ধারকর্মী জানান, রেশমার
কাছে শুকনো খাবার ছিল
বলে তিনি জানতে পেরেছেন। রেশমা তাঁকে বলেছেন, ‘অনেক খাবার ছিল।
তিনি খাইতে পারেননি।’ (৪থ ভার্সন অবশ্য সর্বশেষে, কালকের সাংবাদিক
সম্মেলনে রেশমা দুই বোতল পানি আর ৪ পিস
বিস্কুটে এসে স্থির হয়েছে। “জাষ্ট একটু
পানি খাইছি, আর কিছু খাইনি” এই
দিয়ে কেটেছে ১৭ দিন!! রেশমাকে কিভাবে পাওয়া গেলো? প্রথম
সংবাদে প্রকাশ পায়, মনোয়ার নামের ১৫
বছর বয়সী এক স্বেচ্ছাসেবী কিশোর প্রথম
দেখতে পায় রেশমার পাইপ নড়াচড়া।
রেশমা বলে ওঠে, “ভাই, আমাকে বাঁচান।”
পরে জিওসি সাহেব সে দাবী বদলে ফেলেন, তিনি বলেন, মনোয়ার নয়,
রেশমাকে খুজে পেয়েছে ওয়ারেন্ট অফিসার
আব্দুর রাজ্জাক। আর রেশমার প্রথম শব্দ ছিল,
“স্যার আমাকে বাঁচান।” এটাও ঠিক
আছে মনোয়ারের বেলায় ”ভাই” আর ওয়ারেন্ট
অফিসারকে “স্যার” বলতে হয়, এতটুকু শিষ্ঠাচার জানা ছিল রেশমার! রেশমার পড়নে নতুন কাপড় ও
ওড়না প্রসঙ্গে মেজর মোয়াজ্জিম
জানিয়েছিলেন, ভেতরে ধুলাবালি ছিল না,
তাই রেশমার কাপড় পরিস্কার ছিল।
পরে সে ভার্সন বদলে নতুনভাবে জানানো হয়,
অন্য মৃতদেহ থেকে কাপড় খুলে পড়েছে রেশমা। সেটা নিয়েও যখন সন্দেহ প্রকাশ
করা হরে নতুন ফর্মুলা বের হয়- রানাপ্লাজার
দোকান থেকে কাপড় এনে এই কয়দিন অদল বদল
করে পড়েছে রেশমা! তার মানে, বেশ ভালোই
ছিলো রেশমা। সর্বশেষে রেশমার
ভার্সনটা আমাদের শুনতে হবে। তাতে সে বলছে তার হাটাচলা করার সুযোগ
ছিল না ওখানে। এই ১৭ দিন সে শুয়ে ছিল ৩/৪
ফুট উচু দেয়াল চাপার মধ্যে। অর্থাৎ
সে কোথাও যেতে পারেনি, মসজিদেও না।
এমনকি পানি সংরক্ষনের ফর্মুলাও
এখানে অচল হয়ে যায়। তার জামাকাপড় ছিড়ে গিয়েছিল, এবং পরনে কোনো কাপড় ছিল
না। উদ্ধারের দিন টর্চ লাইট দিয়ে কাপড়
খুজে এনে পরিধান করে। ঐ সময়ও তার
চিন্তা হয়, কিভাবে এখন থেকে যাবে..সে ত
একজন মেয়ে, ছেলে না!! তখন উদ্ধার
হওয়া নয়, তার মাথায় তখন ছেলে মেয়ের ভাবনা! আর কর্নেল আরশাদ ব্যাখা করেন,
কাপড়ের মার্কেটে গিয়ে পড়ে রেশমা, সেখান
থেকে কাপড় এনে শুয়ে শুয়ে পরিধান
করে রেশমা। কাপড় আনলেন হেটে হেটে খুঁজে,
আর পরিধান করলেন শুয়ে শুয়ে। মিথ্যাতেও
চরম বিনোদন আছে বলা যায়। বাস্তবে দেখা যায়, ১৭ দিনে ৪ পিস বিস্কুট
আর ২ বোতল
পানিতে বাঁচলে যেভাবে একটা মানুষ
শুকিয়ে যাবার কথা, রেশমার তা হয়নি। ১৭
দিন অন্ধকার প্রকোষ্ঠে থাকার
পরে আলোতে এসে রেশমার তাকানোর কথা নয়, এভাবে তাকালে চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।
অথচ ষ্ট্রেচারে শুয়ে সে সব
দেখছিলো রেশমা। ১৭ দিনে রেশমার নখ হাফ
সেন্টিমিটার বড় হওয়ার কথা, অথচ
দেখা যায় রেশমার নখ সুন্দর করে কাটা! ১৭
দিনে দাঁত না মাজলে যে হলুদ দাঁত হবার কথা, ষ্ট্রেচারে দেখা যায় সুন্দর সাদা দাঁত
বের করে দেখাচ্ছে রেশমা!
সাংবাদিকরা রেশমাকে জিজ্ঞাসা করে, তার
সামনে আরও অনেক প্রাণ গেল।
সেগুলো উদ্ধারও হলো, কিন্তু ওই
সময়ে সে চিত্কার করতে পারল না কেন? ১৭টি দিন ওখানে কি করেছিল?
রেশমা ম্যাচিং করে জামা কাপড় পরতে পারল
ওইখানে, অথচ এই ১৭ দিনেও ‘বাঁচাও’ বলার
ক্ষমতাটাও তার ছিল না? কিন্তু এসব প্রশ্নের
কোনো জবাব মেলেনি। ১৭ দিনের
না খাওয়া মানুষের চোখের সঙ্গে রেশমার চোখের কোনো মিল নেই। তার
চোখে কোনো মলিনতাও ধরা পড়েনি।
এমনকি সে ভীতও ছিল না। রেশমা উদ্ধারের পর মেজর জেনারেল
সারোয়ার্দী সংক্ষিপ্ত সংবাদ
সম্মেলনে বলেছিলেন, ”ধসের সময় তার
সঙ্গে আরও তিন পোশাক শ্রমিক ছিলেন,
যাদের আগেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার
করা হয়েছে।” একই যায়গা থেকে আরো তিন লাশ উদ্ধার করা হলেও জীবিত
রেশমাকে উদ্ধার করা হয়নি কেনো?
তাহলে কোথায় ছিলো রেশমা এতদিন? রেশমা বলছে, সে এপ্রিলের ২ তারিখে ৪৭০০
টাকা বেতনে রানাপ্লাজায় কাজ নিয়েছে,
মানে ঘটনার ২২ দিন আগে। রেশমা এসব
বলতে পারলেও সে কিন্তু জানে না, কোন
গার্মেন্টেসে কাজ করতো। তার
মানে দাড়াচ্ছে, সে রানা প্লাজার গার্মেন্টেসের কর্মী নয়, বরং বাইরের
লোক!! রেশমার ভাষায়, সব আল্লাহর ইচ্ছা। ঘটনা যখন ঘটানো হয় তখন মিডিয়ার কেউ
ছিল না সেখানে। উদ্ধারকারী এক
সেনা অফিসার রাজ্জাক বলেন,
আমরা মিডিয়ার ভাইদেরকে উদ্ধার অভিযান
সম্পর্কে জানাতে ভবনের ওপরে নিয়ে যাই। এ
সময় ধংসস্তুপের ভেতর থেকে কেউ যেন একটি এসএস রডের পাইপ নাড়া দেয়
বলে আমার মনে হয়। ...তখন আমি দ্রুত ওই
স্থানে ছুটে যাই এবং দুই হাতে ধ্বংসস্তূপ
সরিয়ে দেখি... এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।‘’
বর্ণনা দেন রাজ্জাক।
’আমি প্রথমে কংক্রিটের একটি ছোট স্লাব সরাই এবং একটি দুই ইঞ্চি পরিমান
ফাঁকা স্থান থেকে মেয়েটিকে দেখতে পাই।’
আমার উপস্থিতি টের
পেয়ে মেয়েটি বলে ওঠেন, ‘স্যার
আমাকে বাচান।’ রাজ্জাকসহ উদ্ধারকর্মীদের
রেশমা জানান, ভেতরে কোনো খাবার না থাকলেও মসজিদের পানি ছিলো। সেটাই
ছিলো তার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।’ প্রথম থেকেই বলে আসছি, রেশমা উদ্ধার
গল্পের পুরো প্লানটি গণভবনে করা।
ঘটনাটি সাজানো। হেফাজতে ইসলামের ওপর
পুলিশ-র্যাব বাহিনীর নারকীয় হামলার খবর
ও ভিডিও যখন একে একে বের হচ্ছিল
এবং নিহতের হিসাব নিয়ে সারা মিডিয়া তোলপাড়, তখন
মিডিয়া ও সকলের
দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার জন্য
রানা প্লাজার বেজমেন্ট মসজিদ
থেকে রেশমা উদ্ধারের নাটক
সৃষ্টি করলো হাসিনার নির্দেশে জেনারেল সারওয়ার্দী! উদ্ধারকালে নারায়ে তাকবীর
দেয়, আর্মি ও অন্যান্যরা। কি থ্রিল!! কথায় আছে না,
একটা মিথ্যা ঢাকতে হাজারটা মিথ্যা বলতে হয়।
এদের দশা হয়েছে তাই। আমি ভাবছি ভিন্ন
কথা। রেশমা উদ্ধার নাটক যেভাবে বিশ্ব
মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, যখন এর আসল সব
ঘটনা বের হবে, তখন কি উপায় হবে? কোনো ঘটনাই চাপা থাকে না।
রেশমা নাটকের গল্পকার, প্রযোজক,
পরিচালাক, পরিবেশক এবং সব কিছুই
বেরিয়ে পড়বে এক সময়। তখন হাসিনার
চোট্টামি ধরা পড়ার সাথে সাথে দেশের
ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হবে। এসব থেকে বাঁচার জন্য, রেশমা, মেজর মোয়াজ্জেম, মেজর
দেলোয়ার এবং ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুর
রাজ্জাক, মনোয়ার এদের সবার মুখ বন্ধ
রাখতে কি নির্মম পরিস্থিতির শিকার
না হয়! এত মিথ্যাচার ও জাতির মূল্যবান সময়
নষ্ট করে হাসিনার কি উপকার হচ্ছে জানি না, শুধু বুঝি তার পাপের
পাল্লাটা ভারি হচ্ছে কেবল। আগেই বলছিলাম, মিয়ারা মুখ বন্ধ রাখো।
নইলে বিড়ালের ‘ম্যাও’ কিন্তু পাবলিক
শুনে ফেলবে। তখন বিড়ালটা আর
থলেতে রাখা যাবে না। কিন্তু কে শোনে কার
কথা। রেশমার গল্পটি পাবলিক খায় নি, তাই
এখন কিলিয়ে কাঠাল পাকিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করলো কিছু সেনা অফিসার। এ
নিয়ে চুপ থাকাই ভালো ছিল। এত মিথ্যাচার
ধরা পরে গেছে। আওয়াজ করার পরে কিন্তু
বোঝা যাচ্ছে, কোনটা কোকিলের বাচ্চা, আর
কোনটা কাউয়ার ছা। লে এবার ঠেলা সামলা! মোটকথা, রেশমা উদ্ধার গল্পের শুরু
থেকে নানাবিধ
কথা বলে যে নাটকীয়তা তৈরীর চেষ্ট
করা হয়েছে,
তাতে করে দিনে দিনে বিষয়টির
প্রতি মানুষের সন্দেহকে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে। তার
চেয়ে সবচেয়ে ভালো হতো যদি জেনারেল
সারোয়ার্দী নিজে কোলে করে রেশমাকে উদ্ধার
করতেন। তবে হিরোইজমও হতো, আর লোকজনের
সকল কথার জবাব উনি একাই দিতে পারতেন।
এই বানোয়াট হল্পের পিছে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে, আর ভালো লাগে না। গল্পের শেষ
এভাবে হোক- ও রঙ্গিন হাচিনা...তোর রঙ
দেখে আর বাঁচিনা।

14-May-2013 5:55 pm

14-May-2013 7:04 pm


শরিয়ত: উলামায়ে কিরামরা যা করতে বলেন।
তরিকত: দলের নেতা/নেত্রী যা করতে বলেন।
মারেফত: নিজের আন্তর যা করতে বলে।
হাকিকত: যুক্তি ও বাস্তবতা দেখে যা করা উচিৎ মনে হয়।

কার কথা শুনা উচিৎ?

14-May-2013 7:04 pm

15-May-2013 5:43 pm


Multi choice question:
প্রশ্ন:
একটা কওমে [সমাজে/জাতিতে] পাপীদের সংখ্যা বেশি।
তাদের পাপের মাত্রা বাড়তে লাগলো দিন দিন।
এক দিন তারা 'নিষ্ঠুর' পাপ করলো।
এর পর তারা 'বিভৎস' পাপ করলো।
আল্লাহর আযাব আসবে ওই কওমের উপর।

কিন্তু ওই কওমে ভাল মানুষও আছে।
শহরে ভালো খারাপ মিশে আছে।
এখন ভালোদের কি হবে?

উত্তর:
১. আযাব আসলে ভাল লোকদের আল্লাহ রক্ষা করবেন। খারাপদের উপর শুধু আযাব আসবে।
২. ভালোদের উচিৎ দ্রুত ওই শহর থেকে সরে যাওয়া। নচেৎ তারাও আযাবে পড়বে।

15-May-2013 5:43 pm

18-May-2013 5:48 am


স্যার : তুমি বড় হয়ে কী করবে?
ছাত্র : বিয়ে।
স্যার : আমি বোঝাতে চাইছি, বড় হয়ে তুমি কী হবে?
ছাত্র : জামাই।
স্যার : আরে আমি বলতে চাইছি,তুমি বড় হয়ে কী পেতে চাও?
ছাত্র : বউ।
স্যার : গাধা, তুমি বড় হয়ে মা- বাবার জন্য
কী করবে?
ছাত্র : বউ নিয়ে আসব।
স্যার : গর্দভ, তোমার মা-বাবা তোমার কাছে কী চায়?
ছাত্র : নাতি-নাতনি।
স্যার : ইয়া খোদা!… তোমার জীবনের লক্ষ্য কী?
ছাত্র : বিয়ে।

18-May-2013 5:48 am

20-May-2013 7:34 pm


কেমন আছেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন? প্রায় দেড় যুগের মতো তিনি স্বেচ্ছায় নির্বাসনে। বিদেশে বসেও থামেনি তার লেখালেখি। পেয়েছেন কলকাতার আনন্দ পুরস্কারসহ বিশ্বের অনেক পুরস্কার। আগের মতো লিখতে পারছেন না বা লিখছেন না। 'উতল হাওয়া', 'আমার মেয়ে বেলা', 'ভ্রমর কইও যাইয়া', বা 'ক' -এর মতো বই আর আসছে না। আগের মতো কাব্যও নেই, কবিতাও না। একাধিক স্বামী ও একাধিক পুরুষের সাথে তার দেহজ সম্পর্কের কথা তো তিনি বেশ রসিয়ে লিখেছেন। কিন্তু আজকাল বয়সের কারণে নারী হিসেবে আর এই সম্পর্ক অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

এখন তিনি হতাশ, চোখের নিচে কালি পড়েছে, চামড়ায় বয়সের চাপ, শরীরের মধ্যে নানারকম ব্যথাতো আছেই। একাকিত্ব তাকে আরও পঙ্গু করে দিচ্ছে। এমনি অবস্থায় বিদেশের কোথাও থিতু হতেও পারছেন না। দেশে ফেরাও তার জন্য দিন দিন কঠিন হয়ে গেছে। যেই মৌলবাদীদের ভয়ে তিনি দেশ ছেড়েছিলেন, সেই ভয় এখনও তাকে তাড়িয়ে মারছে।

প্রশ্ন: আপনি পরিকল্পিতভাবে নিজেকে আলোচিত করে তোলেন। আজ বাংলা সাহিত্যে বা বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে আপনি তো চরমভাবে অবহেলিত।

তাসলিমা: আমি একটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছি। সত্য কথা সাহিত্যে অনেকের জন্য কষ্টদায়ক হয়। আমি আমার বহু স্বামী ও ভোগ্য পুরুষদের নামধাম প্রকাশ করে দেয়ায় অনেক বন্ধু আমাকে এড়িয়ে চলেন। বাংলা সাহিত্যের অনেক দামি দামি পুরুষও চান না যে আমি দেশে ফিরি। এক সময় আমার বিপক্ষে ছিল কট্টর মৌলবাদীরা। এখন প্রগতিশীল অনেক সাহিত্যিকও বিপক্ষে। কারণ এদের নষ্ট মুখোশ আমি খুলে দিয়েছি।

প্রশ্ন: আপনি চিকিৎসক থাকলেই ভালো করতেন। মিডিয়াতে কেন এলেন? সাহিত্যেই বা কেন?

তাসলিমা: আমি নারীর অধিকার নিয়ে ভেবেছি। কিন্তু এখন মনে হয় আমি মানবিকভাবে আশ্রয়হীন। আর এ কারণেই আমি অন্য স্রোতে সুখ খুঁজেছি। পরিবার হারালাম, স্বামী সন্তান হলো না, ঘর-সংসার হলো না। তখন দৈহিক সম্পর্কে নেশাগ্রস্ত না থেকে আর কোনো পথ খোলা ছিলো না।

প্রশ্ন: এখন আপনি কী চান?

তাসলিমা: অনেক কিছু। আমার হারিয়ে যাওয়া জীবন, যৌবন, ভোগ-উপভোগ, স্বামী-সন্তান, পরিবার-পরিজন। কিন্তু দিতে পারবেন কি? আজ আমি নিজ দেশের কাউকে দেখলে কুণ্ঠিত ও লজ্জিত হই। খ্যাতি, অর্থ, পুরস্কার সবই আছে, তবুও মনে হয় আমি ভীষণ পরাজিত। দিনে হইচই করে কাটাই, রাত হলে একাকিত্ব পেয়ে বসে। আগের মতো পুরুষদের নিয়ে রাতকে উপভোগ করার মতো শরীর মন কোনোটাই নেই।

প্রশ্ন: এখন কেমন পুরুষ বন্ধু আছে?

তাসলিমা: এক সময় অনেক ব্যক্তিত্ববানদের পেছনে আমি ঘুরেছি। ব্যক্তিত্বহীনরা আমার পেছনে পেছনে ঘুরেছে। আজকাল আর সুখের পায়রাদের দেখি না। মনে হয় নিজেই নিজেকে নষ্ট করেছি। পরিচিত হয়েছি নষ্ট নারী, নষ্টা চরিত্রের মেয়ে হিসেবে। লেখালেখি করে তাই এসব পুরুষদের উপর আমার রাগ, ঘৃণা ও অবহেলাকে প্রকাশ করেছি। যৌনতার রানী হিসেবে প্রকাশিত হলাম, অথচ এই রানীর কোনো রাজাও নেই প্রজাও নেই। এই জন্য আজ হতাশায় নিমজ্জিত আমি।

প্রশ্ন: ধর্ম-কর্ম করেন?

তাসলিমা: মাঝেমধ্যে মনে হয় সব ছেড়ে নামাজ-রোজা করি, তাওবা করে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করি। কম্যুনিস্টরাও তো এক সময় বদলে যায়। আমার জন্ম ১২ ই রবিউল আউয়াল, মহানবীর জন্মদিনে। নানী বলেছিলেন, আমার নাতনী হবে পরহেজগার। সেই আমি হলাম বহু পুরুষভোগ্য একজন ধর্মকর্মহীন নারী। বলা তো যায় না, মানুষ আর কত দিন বাঁচে। আমার মা ছিলেন পীরের মুরীদ। আমিও হয়ত একদিন বদলে যাবো।

প্রশ্ন: বিয়ে-টিয়ে করবার ইচ্ছে আছে কি?

তাসলিমা: এখন বিয়ে করে কি করবো? পুরুষটিই বা আমার মধ্যে কি পাবে? সবই পড়ন্ত বেলায়। যে বিয়ে করবে, সে যদি আমার মধ্যে যৌন সুখ না চায়, সন্তান না চায়, এমন মানব পেলে হয়ত একজনকে সঙ্গী করার কথা ভাবতেও পারি।

প্রশ্ন: বয়স বাড়লে পুরুষেদের সেক্স বাড়ে এটা কিভাবে বুঝলেন?

তাসলিমা: কত বুড়ো, মাঝ বয়েসী ও প্রবীণ বন্ধুদের নিয়ে দেহজ খেলায় মেতেছি, এটা আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।

প্রশ্ন: দেশে ফিরবেন না?

তাসলিমা: দেশই আমাকে ফিরতে দেবে না। আর কোথায় যাবো? বাবা-মা-ভাই-বোন সবাইকে আমি লেখাতে জবাই করে দিয়েছি। আসলে নেশাগ্রস্তই ছিলাম, অনেক কিছু বুঝিনি। আজ আত্মীয়-স্বজনও আমাকে ঘৃণা করে। মরার পর লাশ নিয়ে চিন্তা থাকে, আমার নেই। যে কোন পরীক্ষাগারে দেহটা ঝুলবে। ছাত্রদের কাজে লাগবে।

http://khaskhabor.com/art-and-literature/2013/05/19/964

20-May-2013 7:34 pm

28-May-2013 9:49 pm


তিমির রাত্রি - 'এশা'র আযান শুনি দূর মসজিদে।
প্রিয়-হারা কার কান্নার মতো এ-বুকে আসিয়ে বিঁধে!

তকবির শুনি, শয্যা ছাড়িয়া চকিতে উঠিয়া বসি,
বাতায়নে চাই-উঠিয়াছে কি-রে গগনে মরুর শশী?

    Comments:
  • ভই আপনার স্টেটাস সবগুলো দুবার করে পোষ্ট হয়। নিজের ওয়ালে গেলে দেখতে পাবেন।
  • Confirm

28-May-2013 9:49 pm

30-May-2013 11:16 pm


প্রশ্ন: মাটি খুড়ে বের করা প্রাচিন সভ্যতার নিদর্শনে শুধু মুর্তি বেরোয় কেন?
উত্তর: মুর্তি পুজা আরম্ভ করার পর ওই সভ্যতাকে আল্লাহ ধ্বংশ করে দেন, তাই।
    Comments:
  • হবে "শালা! ভারতীয় দালালে ভরে গেছে ভারতটা।"

30-May-2013 11:16 pm

31-May-2013 4:45 pm


বৃটেনে পাশাপাশি একটা গির্জা ও একটা মসজিদ। গির্জাটা এখন খালি যায়, মসজিদে জায়গা হয় না।

http://www.dailymail.co.uk/news/article-2332998/One-country-religions-telling-pictures-The-pews-churches-just-yards-overcrowded-mosque.html

31-May-2013 4:45 pm

31-May-2013 11:18 pm


১/ কোন কওম যত দিন পর্যন্ত আল্লাহর আজাবের ভয় করতে থাকবে, ততদিন আযাব আসবে না।
২/ মিম্বরে দাড়িয়ে ইমামরা যত দিন দাজ্জালের ব্যপারে খুৎবা দিতে থাকবে তত দিন দাজ্জাল আসবে না।
৩/ "... এমন কি ইমানদারদের সাথে রাসুলগণও এক সময় বলে উঠতো 'আর কখন আসবে আল্লাহর সাহায্য'?"

... একটা প্যটার্ন আছে, আমি নিজে যেন না ভুলি।

31-May-2013 11:18 pm