রেশমা কে নিয়ে একটি অনুসন্ধানি রিপোর্ট:
লিখেছেন আনিসুল হক
বাংলা সিনেমার গল্প।
নায়িকাকে ধরে নিয়ে গেছে ভিলেন। আকাশ
বাতাস ভেদ করে তথায় নায়ক হাজির। প্রবল
বেগে মারপিট করে সব শত্রু খতম। অতপর
নায়িকাকে নিয়ে নায়কের সুখ শান্তিতে দিন
গুজরান। আবার কোনো গল্পে হঠাৎ মাথায় আঘাত লেগে নায়িকা অজ্ঞান। জ্ঞান
ফিরলে আর কাউকেই চিনতে পারছে না। অনেক
বছর পরে আবার নায়িকার মাথায় আরেক
আঘাত। একে একে ফিরে আসে সব স্মৃতি।
ইবনে মিজান নামে এক চিত্রপরিচালক যাদুর
সিনেমা বানাতেন। সেখানে, নায়িকা শত্রুর আস্তানায় বন্দি। বাবার দোয়ায় নায়িকার
কাছে গায়েবীভাবে আসতে থাকে খাবার,
পানি, নতুন জামা, লাল দোপাট্টা, নেইল
কাটার, ক্লোজ আপ হাসির পেষ্ট,
আরো যা যা দরকার! সময় বদলেছে, অনেক দিন
এসব সিনেমা বানানো বন্ধ ছিল। তবে এবার ইবনে মিজান আবার হাজির হয়েছেন
সাভারের রানাপ্লাজায়! নাটকীয় রেশমা উদ্ধার গল্প
নিয়ে চারিদিকে নানা রকম জল্পনার অবসান
ঘটাতে গিয়ে ৩/৪ বার সময় পরিবর্তন
করে সেনাবাহিনীর কঠোর
নিয়ন্ত্রনাধীনে সাংবাদিকদের
সামনে হাজির করা হয় রেশমাকে। এসময় তার গায়ে ছিল প্রধানমন্ত্রীর শরীর
থেকে খুলে দেয়া চাদর। আগেই প্রশ্ন
নিয়ে নেয়া হয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে।
পরে মুসাবিদা করে অনেক সময় পরে হাজির
করা হয়। একজন সাংবাদিক ভবনধসের সময়ের
ঘটনার বর্ণনা জানতে চাইলে রেশমা বলেন, হঠাৎ মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে জ্ঞান হারায়
সে। এরপর আর কিছু মনে নেই তার। ঠিক কখন
জ্ঞান ফিরেছে নিশ্চিত করে তাও তার
মনে নেই। তিনি কোথায়ও আটকে পড়েননি।
তার সামনে চিত্কার
চেঁচামেচি করতে করতে অনেকেই মারা গেছেন। সঙ্গে থাকা অনেককেই মৃত
অবস্থায় দেখেছেন তিনি। অর্থাৎ অজ্ঞান
ফর্মুলায় নিষ্পত্তির চেষ্টা। এর আগে বিশ্বজুড়ে খবর হয়, ১৭ দিন
রানাপ্লাজার গভীর তলদেশ
থেকে রেশমা নামে এক পোষাক কন্যার
উদ্ধারের খবর!
উদ্ধারকারী সেনারা প্রথমে জানিয়েছিল,
রানা প্লাজার বেইজমেন্টে মসজিদের ভিতরে আবিস্কার হয়েছে এই অসম্ভব
ভাগ্যবতী কন্যা। সেখানে পানির অভাব ছিল
না। খাবারও ছিল প্রচুর। কিন্তু যত গোল
বাধালো এটিএনের বেতাল
মাইয়া মুন্নী সাহা। তার ৫টি প্রশ্ন - ”১/
উনি এতোদিন পর কিভাবে বেঁচে আছেন? ২/ উনাকে এতো ফ্রেশ লাগছে কেন? ৩/ ১৭ দিন
কোন খাবার
ছাড়া কিভাবে বেঁচে থাকতে পারেন? ৪/
(যখন সেনাবাহিনীর একজন বলল, তার
কাছে কিছু শুকনো খাবার ছিল উনার কাছে খাবার কোথা থেকে আসল? ৫/ উনার
জামা কাপড়গুলা এরকম নতুন মনে হচ্ছে, কোন
ময়লা নেই কেন?” এই পাঁচ প্রশ্নই
ঘুরে ফিরে হয়ে যায় পাঁচ’শতে। উদ্ধারকারী আর্মিরা প্রথমে জানিয়েছিল,
বেইজমেন্টের মসজিদ থেকে উদ্ধার
হয়েছে রেশমা। কিন্তু ঘন্টা চারেক
পরে জিওসি সাহেব এসে সাংবাদিকদের
বললেন, রেশমা উদ্ধার হয়েছে দোতলা থেকে।
আর সেখানে খাবার দোকান ছিল, সেই খাবার খেয়ে দিন পার করেছে রেশমা (প্রথম ভার্সন . জিওসি সারোয়ার্দী সিনিয়র মানুষ, তার বক্তব্যই সঠিক ধরতে হবে।
আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
রেশমা বাংলানিউজকে বলেন, “আমি ১৭ দিন
পানি খেয়ে বেঁচেছিলাম। ভবন ধসের পরপরই
আমি ভবনের নিচে আটকা পড়ি। পরে বাঁচার
জন্য ভবনে অবস্থিত নামাজ ঘরে চলে যাই। উদ্ধারকর্মীরা ওপর
থেকে নানা সময়ে বোতলজাত পানি পাঠান।
আমি সেখান থেকে দুই বোতল পানি সংরক্ষণ
করে রাখি। সেই বোতলের
পানি আমি প্রতিদিন অল্প অল্প
করে খেয়ে জীবন বাঁচাই (২য় ভার্সন ” এভাবে ১৫ দিন চালায় রেশমা। শেষ ২ দিন
আর কিছু খায়নি সে। একটা পাইপ দিয়ে দম
নিয়েছে সে। মোটামুটি সাইন্টিফিক বর্ননা।
(৩র্থ ভার্সনে রেশমার বরাত দিয়ে মেজর মোয়াজ্জেম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন,
“ধসে পড়ার দিনই রেশমা সঙ্গে কোন খাবার
নিতে পারেননি। কেবল তার
হ্যান্ডব্যাগে ছোট চার প্যাকেট বিস্কুট
ছিল। সেগুলোই অল্প অল্প করে খেয়েছেন।
উদ্ধারের পর পর সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন উদ্ধারকারী সেনা সদস্যকে, রেশমাকে একদম
সুস্থ মনে হয়েছে। তাঁর জামাকাপড়ও অক্ষত
ছিল। এটা কীভাবে সম্ভব?
উদ্ধারকর্মী জানান, রেশমার
কাছে শুকনো খাবার ছিল
বলে তিনি জানতে পেরেছেন। রেশমা তাঁকে বলেছেন, ‘অনেক খাবার ছিল।
তিনি খাইতে পারেননি।’ (৪থ ভার্সন অবশ্য সর্বশেষে, কালকের সাংবাদিক
সম্মেলনে রেশমা দুই বোতল পানি আর ৪ পিস
বিস্কুটে এসে স্থির হয়েছে। “জাষ্ট একটু
পানি খাইছি, আর কিছু খাইনি” এই
দিয়ে কেটেছে ১৭ দিন!! রেশমাকে কিভাবে পাওয়া গেলো? প্রথম
সংবাদে প্রকাশ পায়, মনোয়ার নামের ১৫
বছর বয়সী এক স্বেচ্ছাসেবী কিশোর প্রথম
দেখতে পায় রেশমার পাইপ নড়াচড়া।
রেশমা বলে ওঠে, “ভাই, আমাকে বাঁচান।”
পরে জিওসি সাহেব সে দাবী বদলে ফেলেন, তিনি বলেন, মনোয়ার নয়,
রেশমাকে খুজে পেয়েছে ওয়ারেন্ট অফিসার
আব্দুর রাজ্জাক। আর রেশমার প্রথম শব্দ ছিল,
“স্যার আমাকে বাঁচান।” এটাও ঠিক
আছে মনোয়ারের বেলায় ”ভাই” আর ওয়ারেন্ট
অফিসারকে “স্যার” বলতে হয়, এতটুকু শিষ্ঠাচার জানা ছিল রেশমার! রেশমার পড়নে নতুন কাপড় ও
ওড়না প্রসঙ্গে মেজর মোয়াজ্জিম
জানিয়েছিলেন, ভেতরে ধুলাবালি ছিল না,
তাই রেশমার কাপড় পরিস্কার ছিল।
পরে সে ভার্সন বদলে নতুনভাবে জানানো হয়,
অন্য মৃতদেহ থেকে কাপড় খুলে পড়েছে রেশমা। সেটা নিয়েও যখন সন্দেহ প্রকাশ
করা হরে নতুন ফর্মুলা বের হয়- রানাপ্লাজার
দোকান থেকে কাপড় এনে এই কয়দিন অদল বদল
করে পড়েছে রেশমা! তার মানে, বেশ ভালোই
ছিলো রেশমা। সর্বশেষে রেশমার
ভার্সনটা আমাদের শুনতে হবে। তাতে সে বলছে তার হাটাচলা করার সুযোগ
ছিল না ওখানে। এই ১৭ দিন সে শুয়ে ছিল ৩/৪
ফুট উচু দেয়াল চাপার মধ্যে। অর্থাৎ
সে কোথাও যেতে পারেনি, মসজিদেও না।
এমনকি পানি সংরক্ষনের ফর্মুলাও
এখানে অচল হয়ে যায়। তার জামাকাপড় ছিড়ে গিয়েছিল, এবং পরনে কোনো কাপড় ছিল
না। উদ্ধারের দিন টর্চ লাইট দিয়ে কাপড়
খুজে এনে পরিধান করে। ঐ সময়ও তার
চিন্তা হয়, কিভাবে এখন থেকে যাবে..সে ত
একজন মেয়ে, ছেলে না!! তখন উদ্ধার
হওয়া নয়, তার মাথায় তখন ছেলে মেয়ের ভাবনা! আর কর্নেল আরশাদ ব্যাখা করেন,
কাপড়ের মার্কেটে গিয়ে পড়ে রেশমা, সেখান
থেকে কাপড় এনে শুয়ে শুয়ে পরিধান
করে রেশমা। কাপড় আনলেন হেটে হেটে খুঁজে,
আর পরিধান করলেন শুয়ে শুয়ে। মিথ্যাতেও
চরম বিনোদন আছে বলা যায়। বাস্তবে দেখা যায়, ১৭ দিনে ৪ পিস বিস্কুট
আর ২ বোতল
পানিতে বাঁচলে যেভাবে একটা মানুষ
শুকিয়ে যাবার কথা, রেশমার তা হয়নি। ১৭
দিন অন্ধকার প্রকোষ্ঠে থাকার
পরে আলোতে এসে রেশমার তাকানোর কথা নয়, এভাবে তাকালে চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।
অথচ ষ্ট্রেচারে শুয়ে সে সব
দেখছিলো রেশমা। ১৭ দিনে রেশমার নখ হাফ
সেন্টিমিটার বড় হওয়ার কথা, অথচ
দেখা যায় রেশমার নখ সুন্দর করে কাটা! ১৭
দিনে দাঁত না মাজলে যে হলুদ দাঁত হবার কথা, ষ্ট্রেচারে দেখা যায় সুন্দর সাদা দাঁত
বের করে দেখাচ্ছে রেশমা!
সাংবাদিকরা রেশমাকে জিজ্ঞাসা করে, তার
সামনে আরও অনেক প্রাণ গেল।
সেগুলো উদ্ধারও হলো, কিন্তু ওই
সময়ে সে চিত্কার করতে পারল না কেন? ১৭টি দিন ওখানে কি করেছিল?
রেশমা ম্যাচিং করে জামা কাপড় পরতে পারল
ওইখানে, অথচ এই ১৭ দিনেও ‘বাঁচাও’ বলার
ক্ষমতাটাও তার ছিল না? কিন্তু এসব প্রশ্নের
কোনো জবাব মেলেনি। ১৭ দিনের
না খাওয়া মানুষের চোখের সঙ্গে রেশমার চোখের কোনো মিল নেই। তার
চোখে কোনো মলিনতাও ধরা পড়েনি।
এমনকি সে ভীতও ছিল না। রেশমা উদ্ধারের পর মেজর জেনারেল
সারোয়ার্দী সংক্ষিপ্ত সংবাদ
সম্মেলনে বলেছিলেন, ”ধসের সময় তার
সঙ্গে আরও তিন পোশাক শ্রমিক ছিলেন,
যাদের আগেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার
করা হয়েছে।” একই যায়গা থেকে আরো তিন লাশ উদ্ধার করা হলেও জীবিত
রেশমাকে উদ্ধার করা হয়নি কেনো?
তাহলে কোথায় ছিলো রেশমা এতদিন? রেশমা বলছে, সে এপ্রিলের ২ তারিখে ৪৭০০
টাকা বেতনে রানাপ্লাজায় কাজ নিয়েছে,
মানে ঘটনার ২২ দিন আগে। রেশমা এসব
বলতে পারলেও সে কিন্তু জানে না, কোন
গার্মেন্টেসে কাজ করতো। তার
মানে দাড়াচ্ছে, সে রানা প্লাজার গার্মেন্টেসের কর্মী নয়, বরং বাইরের
লোক!! রেশমার ভাষায়, সব আল্লাহর ইচ্ছা। ঘটনা যখন ঘটানো হয় তখন মিডিয়ার কেউ
ছিল না সেখানে। উদ্ধারকারী এক
সেনা অফিসার রাজ্জাক বলেন,
আমরা মিডিয়ার ভাইদেরকে উদ্ধার অভিযান
সম্পর্কে জানাতে ভবনের ওপরে নিয়ে যাই। এ
সময় ধংসস্তুপের ভেতর থেকে কেউ যেন একটি এসএস রডের পাইপ নাড়া দেয়
বলে আমার মনে হয়। ...তখন আমি দ্রুত ওই
স্থানে ছুটে যাই এবং দুই হাতে ধ্বংসস্তূপ
সরিয়ে দেখি... এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।‘’
বর্ণনা দেন রাজ্জাক।
’আমি প্রথমে কংক্রিটের একটি ছোট স্লাব সরাই এবং একটি দুই ইঞ্চি পরিমান
ফাঁকা স্থান থেকে মেয়েটিকে দেখতে পাই।’
আমার উপস্থিতি টের
পেয়ে মেয়েটি বলে ওঠেন, ‘স্যার
আমাকে বাচান।’ রাজ্জাকসহ উদ্ধারকর্মীদের
রেশমা জানান, ভেতরে কোনো খাবার না থাকলেও মসজিদের পানি ছিলো। সেটাই
ছিলো তার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।’ প্রথম থেকেই বলে আসছি, রেশমা উদ্ধার
গল্পের পুরো প্লানটি গণভবনে করা।
ঘটনাটি সাজানো। হেফাজতে ইসলামের ওপর
পুলিশ-র্যাব বাহিনীর নারকীয় হামলার খবর
ও ভিডিও যখন একে একে বের হচ্ছিল
এবং নিহতের হিসাব নিয়ে সারা মিডিয়া তোলপাড়, তখন
মিডিয়া ও সকলের
দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার জন্য
রানা প্লাজার বেজমেন্ট মসজিদ
থেকে রেশমা উদ্ধারের নাটক
সৃষ্টি করলো হাসিনার নির্দেশে জেনারেল সারওয়ার্দী! উদ্ধারকালে নারায়ে তাকবীর
দেয়, আর্মি ও অন্যান্যরা। কি থ্রিল!! কথায় আছে না,
একটা মিথ্যা ঢাকতে হাজারটা মিথ্যা বলতে হয়।
এদের দশা হয়েছে তাই। আমি ভাবছি ভিন্ন
কথা। রেশমা উদ্ধার নাটক যেভাবে বিশ্ব
মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, যখন এর আসল সব
ঘটনা বের হবে, তখন কি উপায় হবে? কোনো ঘটনাই চাপা থাকে না।
রেশমা নাটকের গল্পকার, প্রযোজক,
পরিচালাক, পরিবেশক এবং সব কিছুই
বেরিয়ে পড়বে এক সময়। তখন হাসিনার
চোট্টামি ধরা পড়ার সাথে সাথে দেশের
ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হবে। এসব থেকে বাঁচার জন্য, রেশমা, মেজর মোয়াজ্জেম, মেজর
দেলোয়ার এবং ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুর
রাজ্জাক, মনোয়ার এদের সবার মুখ বন্ধ
রাখতে কি নির্মম পরিস্থিতির শিকার
না হয়! এত মিথ্যাচার ও জাতির মূল্যবান সময়
নষ্ট করে হাসিনার কি উপকার হচ্ছে জানি না, শুধু বুঝি তার পাপের
পাল্লাটা ভারি হচ্ছে কেবল। আগেই বলছিলাম, মিয়ারা মুখ বন্ধ রাখো।
নইলে বিড়ালের ‘ম্যাও’ কিন্তু পাবলিক
শুনে ফেলবে। তখন বিড়ালটা আর
থলেতে রাখা যাবে না। কিন্তু কে শোনে কার
কথা। রেশমার গল্পটি পাবলিক খায় নি, তাই
এখন কিলিয়ে কাঠাল পাকিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করলো কিছু সেনা অফিসার। এ
নিয়ে চুপ থাকাই ভালো ছিল। এত মিথ্যাচার
ধরা পরে গেছে। আওয়াজ করার পরে কিন্তু
বোঝা যাচ্ছে, কোনটা কোকিলের বাচ্চা, আর
কোনটা কাউয়ার ছা। লে এবার ঠেলা সামলা! মোটকথা, রেশমা উদ্ধার গল্পের শুরু
থেকে নানাবিধ
কথা বলে যে নাটকীয়তা তৈরীর চেষ্ট
করা হয়েছে,
তাতে করে দিনে দিনে বিষয়টির
প্রতি মানুষের সন্দেহকে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে। তার
চেয়ে সবচেয়ে ভালো হতো যদি জেনারেল
সারোয়ার্দী নিজে কোলে করে রেশমাকে উদ্ধার
করতেন। তবে হিরোইজমও হতো, আর লোকজনের
সকল কথার জবাব উনি একাই দিতে পারতেন।
এই বানোয়াট হল্পের পিছে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে, আর ভালো লাগে না। গল্পের শেষ
এভাবে হোক- ও রঙ্গিন হাচিনা...তোর রঙ
দেখে আর বাঁচিনা।