রাজারবাগের পীর সাহেব যখন চাদ দেখার জন্য নতুন কমিটি তৈরি করেন তখন ধারনা করছিলাম একটা গন্ডগোল লাগবে যখন তাদের দেখা আর ইফার দেখা মিলবে না।
কয়েক বছর পর্যন্ত মিলেই এসেছে -- এর পর এই মাসে মিলছে না। এখন? ইফার শালিশ পার হয়ে, তদন্ত কমিটি তৈরি হয়ে, আজকে আদালতে উঠছে। এর পর?
ব্যসিক প্রশ্ন হলো : যদি দুটো কমিটি থাকে তবে সব সময় দুই কমিটি একমত হলে দুটো আলাদা কমিটির দরকার কি? একটা থাকলেই হলো। আর যদি কখনো দুটোর মত ভিন্ন হয়, তখন কে কোনটা অনুসরন করবে? হিন্ট : হানাফি মাজহাবে এই সময়ে সবচেয়ে "সহি"-টা অনুসরনের হুকুম না। বরং সবচেয়ে "জনপ্রীয়"-টা দেখতে হবে। ফতোয়ায় আলমগিরিতে দেখে নিতে পারেন কি আছে।
গ্লোবাল পন্থিদের ঈদের জামাত বন্ধ হয়ে গিয়েছে লোকাল পন্থিদের আন্দোলন প্রতিবাদে। এখন লোকাল পন্থিরা যদি আবার দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় এর পর কি? এটা হতে পারে যদি সামনে ঈদের চাদ নিয়ে এই রকম আবার দ্বিমত হয়।
ঈদের চাদ নিয়ে দ্বিমত হবার সম্ভাবনা বাড়বে, যদি দেখা যায় এই মাসের চাদ দেখা নিয়ে দুই পক্ষ শক্ত অবস্থান নিয়ে এক-অপরকে শত্রু জ্ঞান করে দুই মেরুতে চলে গিয়েছে তবে। এই মেরুকরন আরম্ভ এই মাস থেকে, যদি সে দিকেই ঘটনা যায়।