হিজবুত তাওহিদ : ভেতরের কাহিনি
(collected)
আমি হেজবুত তাওহীদের সাবেক সদস্য,
আমি আল্লাহর কসম করে বলছি-
মির্জা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী আজ থেকে ১২০ বছর আগে নিজেকে মাহদী এবং ইহুদি খ্রিস্টান সভ্যতাকে দাজ্জাল বলে আখ্যায়িত করেছিলো।
বায়াজিদ খান পন্নীও নিজেকে ইমামুজ্জামান বলে ঘোষণা দিয়েছিলো। অথচ হেজবুত তাওহীদের অনেকেই জানেনা ইমামুজ্জামান শব্দটা হাদিসে ইমাম মাহদীর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। সেও ভন্ড নবী আর মাহদীর মত ইহুদি খ্রিস্টান সভ্যতাকে দাজ্জাল বলে আখ্যায়িত করেছে।
শুধু তাইনা এরা রমজান মাসে রোজা রাখতোনা এদের মহিলা সদস্যরা ছিলো বেপর্দা দলের ভেতরে ঢুকলে আস্তে আস্তে পন্নীর দু একটা স্বপ্নের কথা বয়ান করে যেখানে স্পষ্টতই তাকে মাহদী হিসেবে জাহির করা হতো।
এদের আলাদা সমাজ। পন্নীর মেয়ে রুফায়দার সাথে বিয়ে হয় তারই একান্ত শিষ্য সেলিমের যে কিনা বর্তমান নেতা।
ওদের কথা বার্তা একদম চামারের মতো। বর্তমান আওয়ামী সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সখ্যতা গড়ে উঠেছে ওদের।
এদের কথা বার্তায় নুন্যতম শালীনতা নাই, অনেকটা হিংস্র বিচ্ছিন্যতাবাদীদের মতো। এদের ভেতরে ঢুকলে বোঝা যায় এরা মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে হুমকি ধামকি দিয়ে টাকা পয়সা চুষে নেই। একজন লোকের কথা আমার আজও মনে পড়ে- ধান বিক্রির সমস্ত টাকা তার কাছ থেকে চাপ দিয়ে আদায় করা হয়েছিলো।
আরেকটা কথা এরা আলেমদের কাফের, তাগুত বলে। এদের সমাজের কেউ কোরআন পড়তে পারে কিনা আমার জানা নেই। মহিলাদের তাদের স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করায় এরা। এরপর নিজেদের কোনো সদস্যের সাথে বিয়ে দেয়।
''আল্লাহর মোজেজা হেজবুত তাওহীদের বিজয় ঘোষণা'' বইটা পড়ে আমি হেদায়েতের আলো ফিরে পাই। কোনো নাস্তিক ও আল্লাহর সাথে কোরানের সাথে এত্ত বেয়াদবী এবং মিথ্যাচার করে নাই যা পন্নী এই বইতে করেছে। উক্ত বইটা পড়ার পর তাওবা করে মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে কালেমা পড়ে আবার ইসলাম এ ফিরে আসি, মুসলমান হই ... আলহামদুলিল্লাহ!