১
লরেন্স অফ আরাবিয়া। বৃটিশ লোক। ১৯০০ এর দিকের। বিবাহ বহির্ভূত জন্ম। দেশে কেউ তার কাছে মেয়ে বিয়ে দেবে না, চাকরিও না। চলে আসেন আরবে।
সাদা চামড়ার লোক। খাতির পায়। আরবি শিখে নেয়। হয়ে যায় আরব নেতাদের কাছের মানুষ। গোপনে বৃটিশ চর।
২
৪০ বছর পরে। লরেন্স আফ আরাবিয়ার উপর একটা মুভির শুটিং চলছে। সেই ফিল্মের এক বৃটিশ একট্রেসের প্রেমে পড়ে যায় জর্ডানের বাদশাহ। বিয়ে করে। লরেন্স অফ আরাবিয়ার মতো আরেকজন বৃটিশ হয়ে যায় এক আরব বাদশাহর কাছের লোক। এজেন্ট? সম্ভবতঃ না।
৩
তাদের ছেলে আব্দুল্লাহ এখন জর্ডানের বাদশাহ। উচ্চ কুরাইশ-হাশেমি-সৈয়দ-হাসান রা: বংশ। বিয়ে করেছে প্যলেষ্টাইনি এক মেয়েছে। রাজ পরিবার ইসলামি মতে পর্দা করে না। অধিকাংশ টিভি প্রজেন্টাররাও না।
কিন্তু জনগনের মাঝে মহিলারা হিজাব পড়েই চলে। রাস্তায় মাথায় স্কার্ফ ছাড়া কোনো মহিলা নেই। সাধারন মানুষ টিভিতে আসলেও তারা স্কার্ফ পড়েই আসে। তবে শায়েখদের কেউ কেউ সুট-টাই পড়েন। এভাবেই ইসলামি প্রেজেন্টেশন।
এবং সাধারন জনগন সবাই রাজার পক্ষে।
আরব স্প্রিং বা অন্য কোনো আন্দোলন জর্দানকে খুব একটা ঝাকাতে পারে নি।