প্রশংগ : খুতবা
১
২০১০ এর আগে হারাম শরিফে খুতবা অনেক লম্বা হতো। এক খুতবাই প্রায় ঘন্টা খানেক শুনেছি। দুটো মিলে প্রায় দেড় ঘন্টা।
ইদানিং এর উপর ফতোয়া দিয়ে সংক্ষিপ্ত করে আনা হয়েছে। ১৫ মিনিটে দুই খুতবা শেষ।
২
২০১০ এর আগে জুম্মায় এক আযান দেয়া হতো। ওয়াক্ত হলো। ইমাম মিমবরে উঠে সালাম দিলেন। সংগে সংগে সামনে দাড়িয়ে মুয়াজ্জিনের আজান। যেটােক আমরা ছানি আজান বলি শুধু সেটা এবং একটাই। এর পর ইমাম দাড়িয়ে খুতবা।
এখন পরিবর্তন হয়েছে। প্রথম আজান দেয়া হয় মাইকে। কিন্তু এটা জুম্মার ওয়াক্ত হবার ৩০ মিনিট আগে। এর পর ওয়াক্ত হবার পর মিম্বরের কাছে দ্বিতীয় আজান। হানাফিদের মত।
৩
দাজ্জাল তখন আসবে যখন মিম্বরে দাড়িয়ে ইমামরা দাজ্জালের ব্যপারে কতা বলা বন্ধ করে দেবে। ২০০০ এর দশকেও জুম্মার এক খুতবায় পুরোটা দাজ্জালের ব্যপারে সাবধান করতে শুনেছি। এখনো হয়তো হয়, জানা নেই।
কিন্তু আখিরুজ্জামান পন্থিদের সংখ্যা খুব বেশি হয়ে গেলে বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। মানুষকে উসকে না দেবার জন্য, উত্তেজিত যেন না হয়।
৪
খুতবার বিষয়ের মাঝে একটা আছে যে শাসকদের সৌর্য প্রসংসা বর্ননা করা। হানাফিদের কিতাবে পড়েছি, সম্ভবত সুন্নাহ হিসাবে বলেছিলো। এটার চর্চাও সৌদিতে দেখেছি। দ্বিতীয় খুতবায় পুরোটা, প্রায় আধা ঘন্টা ধরে সৌদি শাসকদের বীরত্ব-প্রশংসার বর্ননা করেছেন খাতিব।
৫
৪নং এ বর্নিত সুন্নাহ যদি আমাদের দেশেও প্রয়োগ করে আমি কি খুশি হবো? না হবো না। কিন্তু এখানে সমস্যা আরো গভীর। সরকারের সাথে যুক্তের আরো শর্ত আছে জুম্মআর খুতবায়। এট লিষ্ট হানাফিদের কিতাবে। যেগুলো এখন আলোচনায় আনলেও ফিতনা ছড়াবে।