ফিতনার সময় করনীয় কি সেটা নিয়ে যখন ফিতনা চলতে থাকে।
এটার ব্যপারে আমার মাঝে কনফিউশন নেই। যেহেতু মুল হাদিসের কিতাবগুলো পড়েছি। এবং ফিকাহর বইয়ের বাংলা অনুবাদও পড়ে মিলিয়ে দেখেছি।
কিন্তু একটিভিস্টদের জন্য এগুলো মানা খুবই টাফ। এস ইউজুয়াল, হাদিস ঘেটে অধিকাংশ হাদিস বাদ দিয়ে, পছন্দনিয় হাদিসের দুই একটা ওয়ার্ড তুলে নিয়ে এর উপর দুই হাত লম্বা ব্যখ্যা আর অমুক অমুক শায়েখের এক লাইনের উক্তি যোগ করে তারা তাদের করনীয় নির্নয় করে নিয়েছে।
আমার আপত্তি? না নেই।
কারন হাদিসে বলাই আছে ফিতনার সময় দলে দলে মানুষ ফিতনার দিকে ছুটবে। এগুলো ঠেকানোর দায়িত্ব আমার না।
কিন্তু অন্যকে জানিয়ে দেবার দায়িত্ব কি আমার না?
মূল কিতাবগুলো অনুবাদ করা আছে হাজারে হাজার। সেগুলো পড়লেই বুঝার কথা কি করনীয়। ব্যখ্যা লাগে না। কিন্তু সেগুলো পড়ার মত ধর্য্য যার নেই, কিন্তু সারা দিন ফেসবুকে বড় ভাইদের উক্তি খুজে, তাদের জানালেও যে কিছু পরিবর্তিত হবে, আমি মনে করি না।
তবে আমার কাজ কি?
keep watching.
কি দেখলাম?
মানুষ বলছে ফিতনার সময় :
১। তলোয়ার নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
২। ঘোড়া নিয়ে যুদ্ধে ফিতনাবাজ দলের উপর ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
৩। তলোয়ার দিয়ে বাই ফোর্স ফিতনাবাজ দলকে দমন করতে হবে।
৪। সত্যকে প্রকাশ করতে হবে আরো জোর গলায়।
৫। ফিতনার সময়ে সাহাবা কিরামদের মাঝে যারা যুদ্ধে লিপ্ত ছিলো তাদের কাজ হবে আমাদের আদর্শ।
৬। উপরোক্ত কাজগুলোর নিষেধ করা মানে ঐ সাহবায়ে কিরামদের সমালোচনা করা।
এগুলো যে করলো না সে <নতুন নতুন টার্মস>
আমার আর কিছু করনীয় আছে?
না নেই। শুধু যারা ফিতনায় পড়ে গিয়েছে বলে আমি বুঝতে পারছি তাদের ব্লক করা ছাড়া। যেন তাদের কথা দ্বারা আমিও প্রভাবিত না হই।
"আমাদের জন্য কোরআন হাদিসই তো যথেষ্ট।" ঠিক? "কোনো আলেমের কথা শরিয়তের কোনো দলিল না" এটা হাজার বার আমাকে বলছে সেই ৯০ থেকে।
আর "ফিকাহর বইয়ে যা লিখা আছে সেগুলো এখন খাটে না" কারন সেখানে যা লিখা আছে সব মুসলিম শাসকদের ক্ষেত্রে খাটে। এখন যারা আছে সব ত্বাগুত-কাফের। তাই হিদায়া, ফতোয়ায়ে হিন্দ সব বই বাদ। অগ্রহনযোগ্য, এখন খাটে না।
Keep watching.