Post# 1511057484

19-Nov-2017 8:11 am


কাকরাইলের সে দিনকার ঘটনা। মূল লিখা কার সেটা জানা নেই। কারন যে শেয়ার করেছে সে লিংক দেয় নি।

এখােনে প্রশ্ন উঠতে পরে গন্ডোগোলের "কারন এই" মানে সামান্য কিছু। কিন্তু কারন শুধু এতটুকু থাকলে ঘটনা এতদূর যেতো না। বারুদ হয়ে আছে বলে ঘটনা এতদূর। কেন বারুদ হয়ে আছে সেটাই মূল কারন।

______

কাকরাইল মসজিদ মাদরাসার ব্যাপারে মিথ্যাচার করা, কিংবা বিভ্রান্ত করা বা বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি...

যেখানে উলামায়ে হিন্দ, এবং উলামায়ে বাংলাদেশ সমস্যার সমাধান চাচ্ছে! সেখানে গুটি কয়েকজন মুরব্বি ওয়াসিফ বা ওয়াসিফ পন্থিরা উলামায়ে কেরামের কোন তোয়াক্কা করছেনা।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে কাকরাইলের মাশওয়ারায় বিভ্রান্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করে।

আজকেও তারা মাশওয়ারায় বিভ্রান্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে। ১৭ তারিখ থেকে ৩ চিল্লা সাথীদের ৫ দিনের জোড়, সারা বাংলাদেশের ৩ চিল্লার সাথীগণ আসেন, তাই প্রত্যেকটি জেলার জন্য সকল "আহলে শুরা মুরব্বিগণের" পরামর্শ সাপেক্ষে আলাদাভাবে জায়গা নির্ধারণ করা হয় এবং ফায়সালা হয়ে যাওয়ার পর সেটার ম্যাপ তৈরি করা হয়।

মাশওয়ারা সাপেক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে এই বৎসর মিম্বারের সামনে দেওয়া হয়েছে এবং সে অনু্যায়ী ম্যাপ'ও বানানো হয়েছে, যেটা প্রায় একমাস আগেই মাশওয়ারা হয়ে গেছে। কিন্তু হঠাৎ সেটা পরিবর্তন করে ফেলেন, ওয়াসিফ সাহেব একক ভাবে ফায়সালা দিয়ে গত শনিবার ১১ /১১/১৭ তারিখে, এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা'কে মিম্বারের সামনে থেকে সরিয়ে অন্যত্রে দিয়ে দেন।
এ কাজটি করেছে এমন সময় যখন কাকরাইলের অধিকাংশ মুরব্বিয়ানে কেরাম পাকিস্তান এজতেমায় ছিলেন, তাদের অগোচরে কাজটি করা হয়, কোন ধরনের পরামর্শ ছাড়াই! বিশেষ কোন অজানা উদ্দেশ্যে।

মুরব্বিয়ানে কেরাম পাকিস্তান থেকে ফিরে আসেন সোমবার ১৩/১১/১৭ তারিখে, তখন উনাদেরকে এ ব্যাপারে অবগত করেন নারায়ণগঞ্জ সাথীরা মঙ্গলবার ১৪/১১/১৭ তারিখ সকালে মাশওয়ারার নির্ধারিত টাইমে। তখন ভাই ওয়াসিফ কথা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বলেন, এ ব্যাপারে পরে পরামর্শ করে জানানো হবে। তখন মুফতি নজরুল সাহেব এ ব্যাপারটি এড়িয়ে যেতে দিলেন না, তিনি বললেন, এ ব্যাপারে মুরব্বিদের জানানো হয়েছে উনারা ফায়সালা দিবেন, "আপনি বলার কে" এরপর বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন, উপস্থিত সাথীরা, মাওলানা জোবায়ের সাহেব পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে চাইলে হযরতের সাথে বেয়াদবি মূলক আচরণ করা হয় এবং অশালীন ভাষায় গালাগালি করে আকরাম নামের এক ব্যক্তি। তখন বাকবিতণ্ডা হাতাহাতি পর্যায় চলে যায়।

এক পর্যায়ে আকরাম এবং তার সাথে আরো কয়েকজন কোটি হৃদয়ের স্পন্দন হাফেজ মাওলানা জোবায়ের সাহেবের দিকে তেড়ে যায় এবং হযরতের উপর হাত উঠানোর চেষ্টা করে। তখন হযরতকে হযরতের রুমের ভিতর নিরাপদে নিয়ে যান কাকরাইলের অন্যান্য মুরব্বিয়ানে কেরাম এবং হাজি সেলিম (তাবলীগের পুরানোসাথী), এবং পলাশ ভাই, এজন্য তাদের দুজনকেই মারধর করা হয়, এক পর্যায় হাজি সেলিমের শরীরে থাকা পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলা হয়. তখন কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা মুজ্জাম্মেল হক্ব সাহেবের ছেলে আনাস ভাই তাকে বাচানোর জন্য মুজ্জাম্মেল হক্ব সাহেবের রুমে নিয়ে জান এবং দরজা আটকিয়ে ফেলেন, কিন্তু তারা (আকরাম এবং তার লোকজন) হাজি সেলিমকে মারার জন্য হযরতের রুমের দরজা ভেঙ্গে ফেলে, সে মুহূর্তে কাকরাইলের ছাত্ররা খবর পায় যে, জোবায়ের সাহেবের উপর হামলা হয়েছে, তার বাধা দিতে ছুটে যায়, তারা যখন আসে তাদেরকেও মারা হয়, ছাত্রদের আধিক্য দেখে কয়েকজন দৌড়ে পালায়, ততক্ষণে আরো কিছু তাবলীগি সাথী, সালওয়ালা উলামায়ে কেরাম সেখানে উপস্থিত হয়ে যান। যখন তারা জানতে পারেন, আকরাম নামের লোকটি মুরব্বি নাসিম সাহেবের রুমে অবস্থান করছে, তাকে বের হতে বলা হয়, সে বের না হওয়ায় নাসিম সাহেবের রুমের দরজা ভাঙ্গা হয় এবং তাকে সাথীরা মারধর করে, পরে মুরব্বিরা তাকে কাকরাইল থেকে বেরিয়ে যেতে বলে, সে চলে যায়।
কিছু মিথ্যাবাদী মিডিয়া-ফেসবুক দ্বারা মিথ্যাচার করছে যে, ছাত্রদের দ্বারা মুরব্বিদের মারা হয়েছে।

আমি একজন কাকরাইলের প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে বলছি, এমনটি করা আমাদের থেকে কখন'ই সম্ভব না, কারণ আমরা মুরব্বিদের কে পিতার মতই সম্মান করি।

19-Nov-2017 8:11 am

Published
19-Nov-2017