১
চাকরিজিবি মেয়ে বিয়ে করতে পারেন। কিন্তু এর পর রান্না বান্না, কাপড় ধোয়া সব কাজ আপনাকে করতে হবে। বৌ চাকরি করে, আপনিও করেন। তাহলে ঘরের কাজ সে একা করবে কেন?
বিদেশে এই ভাবে চলে। এই দেশেও এটা আরম্ভ হয়েছে।
২
"আমরা কাজের লোক রাখবো।"
ঢাকা শহরে কাজের লোক পাওয়া মুশকিল। গেলেও ১০-১২ হাজার টাকা মাসে। ১০% দিনে সে ছুটি নিবে। তখন আপনাকে করতে হবে।
"হোটেল থেকে কিনে খাবো।"
ওয়েল। এটাই হচ্ছে দেশে। এবং রেস্টুরেন্টের চাহিদা বাড়ছে।
৩
আপনি যদি কম্পানির মালিক হন। তবে কোনো মেয়েকে চাকরি দেবার আগে মনে রাখতে হবে, সে চাইলেই মাতৃত্বকালীন ছুটি নিতে পারে এক সপ্তাহের নোটিশে। তখন ছয় মাস ছুটি তাকে দিতে হবে। ছুটির সময়ে বেতন দিয়ে। প্লাস তার জায়গায় আরেকজন রাখতে হবে। তাকেও বেতন দিয়ে।
এখানে ফাকিবাজি বা পলিটিক্স করতে পারবেন না। শ্রমিকরা আন্দোলন করবে। আপুর পক্ষে সবাই এগিয়ে আসবে জান দিতে। অন্য ছেলের জন্যও যারা এগিয়ে আসতো না। :-)
"তাতে আপনার সমস্যা কি?"
সমস্যা নেই। Cost factor টা হিসাবে রাখতে হবে। ওভার অল একজন পুরুষ এবং মহিলাকে সমান বেতনে রাখলেও মহিলার পেছনে কম্পানির খরচ শেষ পর্যন্ত ২০% বেশি হবে। এই সব বিভিন্ন কারনে।
উল্লেখ্য পিতৃত্বকালিন ছুটি বলে কিছু নেই। :-)
৪
"মহিলাদের কি তবে ঘরে থাকতে বাধ্য করতে চান? বাইরে কাজ করতে পারবে না?"
Logic goes both way. পুরুষদের কি ঘরের বাইরে কাজ করতে বাধ্য করতে চান? তারা ঘরে বসে থাকতে পারবে না?
"থাকতে পারবে। নিষেধ করলো কে? তবে তাদেরও ঘরের কাজ করতে হবে।"
এতক্ষন সেটাই বললাম :-)
৫
বাংলাদেশে ও বিশ্বে এখন মেয়েরা ছেলেদের থেকে বেশি এডুকেটেড। তাই মেয়েদের বিয়ে দেবার সময় তার থেকে কম শিক্ষিত ছেলে পাবেন। Pure math. ভাঙ্গার উপায় নেই।
যেমন, মেডিক্যল কলেজে যদি ৭০% মেয়ে থাকে। তবে পাশ করার পর সব মেয়ে ডাক্তার স্বামি পাবে না। শুধু ১০ জনে ৪ জন মেয়ে ডাক্তার বিয়ে করতে পারবে। বাকিদের অন্য পেশার ছেলে খুজতে হবে।
৬
আমাদের বাপ-দাদাদের যুগ পর্যন্ত নিযম ছিলো মেয়ের বিয়ে দিতে হবে তার থেকে এক ক্লাস উপরের ছেলের সাথে। Apparently things are changing.
Glory to women empowerment. :-)
৭
"আচ্ছা, শেষ যুগে এরকম হবে এটা কি কোথাও বলা আছে?"
উত্তর : জানা নেই। :-)