Post# 1495722895

25-May-2017 8:34 pm


শায়খ সিনান হান্নাদ বলেন,

২০১৪ সালের ইজতেমায় বয়ানে সা’দ সাহেব বুখারির কিতাবুয যাকাতের একটি হাদীসের ভূল ব্যাখ্যা করেন। পরে বুখারির দারসে আবু সাবের আব্দুল্লাহ সাহেব এর কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘সা’দ সাহেব যে ব্যাখ্যা করলেন এই হাদীসের, এটা সালাফ-খালাফের কেউ করেননি। সবচে’ আশঙ্কার কথা হচ্ছে তিনি যেভাবে কসম খেয়ে এইসব ব্যাখ্যাগুলো করেন- খোদা কি কাসাম, হারগিজ নেহি হুতা ইত্যাদি- নিজের একটা ব্যাখ্যার ওপর ওনার এই আত্মবিশ্বাস বড় ভয়ের ব্যাপার। দেওবন্দের ফারেগীনদের মধ্যে সবচে’ বড় মুহাদ্দিস ছিলেন আল্লামা কাশ্মীরি রহঃ। তিনি পর্যন্ত উনার কোন ব্যাখ্যায় এই রকম আত্মবিশ্বাস দেখানোর সাহস দেখাননি, যে সব ব্যাখ্যায় সালাফ-খালাফের কারো মতামত না পাওয়া যায়।’

সা’দ সাহেবের এই সব ব্যাখ্যা নতুন কিছু নয়। মুনতাখাব হাদীসের হাদীসগুলো জমা করেছেন ইউসুফ কান্দলভী রহঃ। কিন্তু এর হাদীসগুলো কে বিভিন্ন অধ্যায়ে নাম দিয়ে বিন্যাস করেছেন সা’দ সাহেব।

বিভিন্ন জায়গায় উনার এইসব শুযুয কথাবার্তা বন্ধ করতে সাঈদ পালানপুরি সাহেব তাকে চিঠি লিখেছেন, লোক মারফত বলেছেন, এবং সরাসরি বলেছেন। এরপরো এইসব বন্ধ হয়নি। অবশেষে পালানপুরি সাহেব ২০১৩/১৪/১৫ সালে বুখারির দারসে বলেন, এভাবে চলতে থাকলে আমরা দাওয়াত ও তাবলীগের এই পদ্ধতির সাথে সম্পর্কচ্ছিন্ন করার ঘোষনা প্রকাশ্যে দিতে বাধ্য হব।

25-May-2017 8:34 pm

Published
25-May-2017