"ইশ! সবাইকে যদি আল্লাহ তায়ালা রাতারাতি কোটিপতি করে দিতেন!"
পর দিন সকালে বাজারে গিয়ে দেখি দোকান বন্ধ।
পাশের দোকানে প্রচন্ড ভীড়। অন্যান্য দোকান বন্ধ, তাই সবাই এখানে এসেছে। ভীড় ঠেলে সামনে গিয়ে দেখি মালিক আছে, কিন্তু দোকান বন্ধ করে চলে যাচ্ছে। পাশে থেকে একজন বললো,
- এই মালিক আর দোকানদারী করবে না। সেও কোটিপতি।
এদিকে বাসায় চাল শেষ। চাল কিনতে হবে। টিনের ঘরটা ভেঙ্গে একটা দালান তুলবো প্লেন করেছি। আর একটা গাড়ি হলেই আপাততঃ চলবে। বৌয়ে একটা ডায়মন্ডের রিং কিনতে চাচ্ছে, কিন্তু সেটা পরে।
কিন্তু কাজ করার লোক কই? কেউ কাজ করবে না, কারন সবাই কোটিপতি।
বাজারে নিজামের বাপ দোকান খুলে দ্বিগুন দামে মাল বিক্রি আরম্ভ করে। মানুষ ভিড় করে তাই কিনে। কিছুক্ষন পরে সে দাম বাড়িয়ে দেয় ১০গুন। তাও সব বিক্রি যায়। এর পর চালের দাম চায় ৪ হাজার টাকা কেজি।
লোকেরা রেগে তাকে মেরে, তার দোকান ভেঙ্গে দেয়।
তাই দেখে অন্য দোকানদাররা দোকান বন্ধ করে, মাল মাথায় নিয়ে বাসার দিকে হাটা দেয়।
_____
শহরে দেখি এলাহি কান্ড। ৪০ টাকা কেজির চাল ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানুষ তাই কিনছে। প্রতিটা দোকানের সামনে বিশাল মাস্যল-ম্যন, গন্ডোগোলকারীদের ঠেকানোর জন্য। কিন্তু ঐ মাসেলম্যনরাও কোটিপতি! তাই তাদের লক্ষ টাকা বেতন দিয়ে রাখতে হয়েছে। এবং এই টাকাও চালের দাম থেকে তোলা হচ্ছে।
এর থেকে বরং আমাদের নিজামের বাপের দোকানে দাম আরো কম ছিলো। কেন যে তাকে পিটিয়ে দোকান ভেঙ্গে দিলাম, আফসোস হচ্ছে।
এখন কি করি? বাড়ি আর গাড়ির জন্য টাকা বাচাতে হবে। চিন্তা করলাম এর চেয়ে বরং বাড়িতে গিয়ে ৪ জন কামলা নিয়ে নিজে চাষ করে খাই। কত আর খরচ? সংগে বুঝলাম কামলাও আর ৪০০ টাকা রোজে নেই। তারাও কোটিপতি।
______
ছয় মাস পর: