আরাফার দিনের টিপস:
- রোজা না রাখলেও এই দিন রাসুলুল্লাহ ﷺ সারা দিন প্রায় কিছু খান নি। প্রচুর খাবার বিতরন করা হয়, কিন্তু বেশি খেলে বার বার টয়লেটে যেতে হবে।
- তাবুতে বসে থাকলে হজ্জের খুতবা শুনা যাবে না। তাই ট্রেকার জেনারেশনের উচিৎ জোহরের আগে মসজিদে নামিরার কাছে গিয়ে খুতবা শুনে জোহর-আসর একসাথে পড়ে নেয়া। মোবাইলে GPS ট্রেকিং জানা না থাকলে হারিয়ে যেতে হবে।
- প্রচন্ড গরমের কারনে এইদিন বেশি আবেগ অনুভুতি না আসলেও চিন্তিত হবার কারন নেই। হাজিরা আর দোয়া করাটা মুখ্য। হজ্জের অনুভুতির ধাক্কা আসে হজ্জ শেষ হবার পরে।
- জোহরের সময়ে রোদের জন্য তাবুতে বসে থাকতে হয়। রাসুলুল্লাহ ﷺ আসরের পর বেরিয়ে গিয়ে টিলার উপর উঠে দোয়া করেছিলেন।
_______
Trackers Only: পায়ে হেটে হজ্জ।
মিনা থেকে পায়ে হেটে রওনা দিতে হবে আজকে ইশরাকের পর। আরাফার মাঠ চার ঘন্টার রাস্তা। তবে বাংগালিরা যেখানে তাবু নেয় সেখান থেকে আরাফার দূরত্ব আড়াই ঘন্টা এবং সেখান থেকে মিনা দেড় ঘন্টা।
সংগে একটা ছাতা, মাদুর আর দুই লিটার পানি ও কিছু খাবার নিতে হবে। পথে লক্ষ লক্ষ লোক লাব্বাইক বলতে বলতে যেতে থাকবে। তাই দুরত্বের কোনো কস্ট লাগবে না ইনশাল্লাহ। হাটার রাস্তা আর গাড়ির রাস্তা আলাদা। তাই রাস্তায় কোনো গাড়ি থাকবে না, সাবই হাটছে।
সকাল ১০-১১ টার দিকে আরাফায় পৌছে মাঠের বাইরে বিশ্রাম নিতে পারেন। রাসুলুল্লাহ ﷺ জোহরের নামাজ আরাফার বাইরে পড়ে, এর পর আরাফার মাঠে ঢুকেছিলেন।
মসজিদে নমিরায় ঢুকে যেতে হবে। গেটে প্রচন্ড ভীড় দেখে ঘাবড়ানোর দরকার নেই। সামনে হাটতে থাকলে দেখা যাবে ভীড় শেষ হয়ে বিশাল এলাকা খালি পড়ে আছে।
মসজিদে নামিরার সামনের অর্ধেক হলো আরাফার বর্ডারের বাইরে। এখানে অপেক্ষা করতে হবে নামাজের জন্য। নামাজের আগে অজু লাগলে বোতলের আধাগ্লাস পানি দিয়ে ওজু করে নিতে হবে। ইউটুবে আছে কিভাবে আধাগ্লাস পানি দিয়ে ওজু করতে হয়।
খুতবার পর জোহর-আসর একসাথে পড়াবে। এর পর সবাই বেরুনো আরম্ভ করবে। কিন্তু এখন বের হতে গেলে প্রচন্ড ভীড়ে পড়তে হবে দরজায়, রাস্তায়, সব জায়গায়।
বরং মসজিদের পেছনে আরাফার-অংশে চলে আসতে হবে। এখানে দুপুরটা কাটিয়ে ভীড় আর সূর্যের তাপ একটু কমে গেলে বাইরে বের হয়ে দোয়া। সন্ধ্যা পর্যন্ত।।
#HabibHajj