জুমার দিন একটা সময় আছে ঐ সময়ে যে দোয়াই করা হোক আল্লাহ তায়ালা ঐ দোয়াটা কবুল করেন।
হাদিসে এতটুকু আছে। সময়টা বলে দেয়া নেই। তবে রাসুলুল্লাহ ﷺ হাত দিয়ে অল্প দেখিয়ে বুঝিয়েছেন, সময়টা খুব সংক্ষিপ্ত।
ঐ সময়টা কখন, সে ব্যপারে ভিন্ন ভিন্ন মত আছে।
____
প্রথম মত হলো, এটা জুম্মার রাতে। ভোর রাত্রের দিকে।
যেমন ইয়াকুব আ: যখন উনার ছেলেদের বলেছিলেন "ছাওফা আছতাগফিরু লাকুম রাব্বি" "শিগ্রই তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবো।" সুরা ইউসুফ। অর্থাৎ উনি ঐমুহুর্তে তাদের জন্য ক্ষমা চান নি। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, উনি অপেক্ষা করেছিলেন পরবর্তি জুমার রাতের জন্য। তফসিরে তাবারি দ্রস্টব্য।
____
দ্বিতীয় মত হলো এটা জুম্মার দিন দুপুরে। ইমাম সাহেব যখন খুতবার জন্য মিম্বরে উঠতে থাকেন।
একটি বিখ্যাত হাদিসে যেমন বর্নিত আছে রাসুলুল্লাহ ﷺ একবার ঐ সময়ে তিনবার আমিন বলেছিলেন। পরবর্তিতে বলেছিলেন জিব্রিল আঃ ঐ সময়ে তিনটা দোয়া করেছিলো আমি আমিন বলেছি। রমজান পেয়ে যে গুনাহ মাফ করাতে পারলো না, রাসুলুল্লাহ ﷺ এর নাম নেবার পর যে দুরুদ শরিফ পাঠ করলো না, আর পিতা-মাতাকে পেয়েও জান্নাত পেলো না তাদের ধংশের জন্য।
____
তৃতীয় মত হলো সময়টা জুম্মার দিন আসর থেকে মাগরিব এর মাঝে।
যেমন এর পক্ষে একজন সাহাবি থেকে বর্নিত আছে। অন্য এক জন বললেন ঐ সময় তো নামাজ পড়া যায় না। তখন ঐ সাহাবী জবাব দিলেন ওজু করে নামাজের অপেক্ষা করা নামাজে পড়ার মতই।
_____
চতুর্থ মত হলো সময়টা ঘুরে। শবে কদরের রাত্রির মত।
আল্লাহ তায়ালা আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে আর সমস্ত মু'মিন-মুসলিমদের ক্ষমা করুন।
#HabibDua
- Comments:
- ৩য় মতে আসরের পরে লিখা আছে।