আমাদের লুৎফর ফারাজী সাহেব আজকে জাকির নায়েক বিরোধি উনার প্রথম লেকচার পোস্ট করলেন।
Bad logic. জাকির নায়েক বলেছেন "০.০০০০০০০১% সম্ভাবনা আছে জান্নাতে যাবার"। ফারাজি সাহেব ধরে নিয়েছেন এর অর্থ জাকির নায়ে বলেছেন "সে জান্নাতে যাবে"।
একজনের কোরআন হাদিসের রেফারেন্সের কোনো কথা, অন্য জন ভিন্ন কোনো আয়াত দিয়ে খন্ডন করা অপছন্দ করি। এটাতে কোনো লাভ নেই। শুধু তর্ক বাড়ে। সাহাবা কিরামদের এরকম করতে দেখে রাসুলুল্লাহ ﷺ নিষেধ করেছিলান।
স্পস্ট ভুল খন্ডন করা মানে, কেউ দাবি করলো "সে এটা বলেছে, বা কোরআনে এই আয়াত আছে।" কিন্তু আসলে এরকম কোনো কথা নেই, বা উল্টো কথা আছে। শুধু এসব ক্ষেত্রে তর্ক চলে। বাকি সব হলো যার যার ব্যখ্যা।
প্রথম ভুল ধরা যদি এরকম বেইস লেস হয় তবে ধরে নিতে পারি জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো যুক্তি নেই। যাস্ট "উনি আমাদের মতধারার লোক না" এটা থেকে সমস্যা।
- Comments:
- বুবু জানকে আপনি হালাকু খান বললেন? আমার এই লিস্টে কিন্তু বুবুজানের আত্মিয় স্বজন আছে। রিয়েল আত্মিয়, সারকাস্টিক না। :-D
তবে এটা ঠিক ঐতিহাসিক ভাবে একটা সম্রাজ্যের পতনের আগে আলেমদের মাঝের দ্বিমত, তর্ক, ঝগড়া, কুফরি ফতোয়া এগুলো অবসেসিভ রূপ নেয়। তারা ঝগড়া ছাড়া বাকি সব কিছুকে গৌন মনে করে। এই অবস্থার উপরে পতন চলে আসে।
আর সেকেন্ড হলো, আমাদের হালাকু খানকে দিয়ে আল্লাহ তায়ালা দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টাকারী দলগুলোকে দমিয়ে রেখেছেন। এটা না হলে দেশের আলেমদের মাঝে বিশৃংখলা লেগে যেতো। জামাতি ইসলামিকে দেওবন্দিরা ইসলামী মনে করে না। হিজবীরা দেওবন্দিদের ইসলামি মনে করে, এরকম। তাই এক দলের ইসলামী শাসন কায়েম হবার পরেও বাকি দলগুলো আন্দোলন চালাতে থাকতো, "সত্যিকারের ইসলামি শাসন" কায়েমের জন্য। যার কাছে যেটা "সত্যিকারের"।
জাকির নায়েক, লুৎফুর ফারাজী, দেওবন্দি উলামা, সালাফি/হাম্বলি সকলকেই আমি হকপন্থি মনে করি। যতক্ষন পর্যন্ত না একদল অন্য দলকে কুফরি ফতোয়া দেয়া না আরম্ভ করে। তবে অনুসরন করি এক দল কে।