Discussion: দ্বীনদার মেয়ের বাবারা কেন বিয়ের সময় দুনিয়াদার পাত্র খুজেন?
১ নং ভাইয়ের কথা _____
আফসোস লাগে, যে তাবলীগওয়ালারা সারাদিন 'দুনিয়া থেকে না হওয়ার' বয়ান করেন মেয়ের বিয়ের সময় তারাও খোঁজেন চাকরি আর ডিগ্রী!
শুধু দ্বীনদারীতে সন্তুষ্ট থাকেন কতজন?
আমরা ঐ দ্বীনদার ছেলে চাই একই সাথে যার দুনিয়াও আছে নচেৎ দ্বীন বাহুল্য বিষয়!
সকল মেয়ের বাবাদের জন্য এক মিনিট নীরবতা !!
২ নং ভাইয়ের কথা _____
গল্পের মত বলছি।
ছেলেটাকে দেখলে মনে হয় দ্বিনদার। কিন্তু তার চাকরি বাকরি নেই। এই ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে দিলো এক ধনী পরিবার। শুধু ছেলের দ্বিনদারী দেখে।
বিযের পর ছেলে বৌয়ের খরচ চালাতে পারে না। বাজার করার টাকা নেই। আল্লাহ তায়ালার উপর তাওয়াক্কুলও করতে পারে না, কারন ছেলের অন্তরে আসলে দুনিয়াদারীর প্রতি আকর্ষন লুকিয়ে আছে।
সে এর পর তার বৌকে পাঠায় বাপের বাড়ি, "টাকা নিয়ে আস, আমাদের সংসার চলছে না।"
বা "এটা লাগবে তোমার বাপকে কিনে দিতে বল, তারা তো অনেক বড়লোক।"
বা "এত টাকা দিয়ে তারা কি করবে? আমাদের কিছু দিতে বলো"
বা "তোমার বাপকে বল এর চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে"
বা "তোমার সম্পত্তির হিসাব নিয়ে আসো, মরলে তো তুমিও পাবে"
শেষে মেয়ের বাপ বুঝলো: ছেলে দ্বিনদ্বার হলেও ছেলের অন্তরে দুনিয়াদারী প্রথম থেকেই লুকিয়ে ছিলো। এজন্যই ছেলে নিজে গরিব হলেও গরিব ঘরের কোনো মেয়েকে বিয়ে করে নি। দ্বিনদ্বারির দোহাই দিয়ে ছেলে বড়লোকের মেয়েকে বিয়ে করেছে।
এর পর বাপ তার দ্বিতীয় মেয়েকে বিয়ে দিলো দুনিয়াদার দেখে। দ্বিতীয় ছেলের অন্তরে যদিও দুনিয়াদ্বারি আছে, কিন্তু এই ছেলে, মেয়ের বাপকে দুনিয়ার জন্য বিরক্ত করে না। কারন তার দুনিয়া সে নিজেই কামাই করে নিতে পারে।
Just একটা গল্প।
৩ নং ভাইয়ের কথা _______
আজব বিষয়ে তর্ক হচ্ছে। চাকুরীর অনাগ্রহতা দ্বীনদারীর মাপকাঠি হতেই পারে না। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা সওয়ালের কারন হয়।
এছাড়া আমাদের মেয়েদের তরবিয়্যতও এতো উত্তম হয় না যে স্বামীর সাথে বৈরাগ্য আর উপবাসের সাথী হবে। আর ছেলের মুজাহাদা তার নিজের উপর কিন্তু তার স্ত্রীর উপর মুজাহাদা চাপানো মুর্খতা । বরং খানদানের মর্যাদা অনুযায়ী খরপোষ প্রদান শরীয়তের দাবী।
আর যেই ছেলে আল্লাহর জন্য দুনিয়াত্যাগী হয় তার ধনী বাবার মেয়ের দিকে কেনো নজর যাবে? আর কেনোই বা সমালোচনা হবে। সে তো কোন এতীম মিসকীন দিনমুজুরের একবেলা খেয়ে অভ্যস্ত পয়সার অভাবে বিয়ে আটকে থাকা দ্বীনদার মেয়েকে চাইলেই পারে বিয়ে করতে। তবে দ্বীনদারীর সাথে মোলায়েম চামড়ার সাদা রং চাহিদা থাকে কেনো?
আসলে নিজের চিন্তাগুলোকে উল্টে দিলে কারোরই ভালো লাগে না।
__________________________
Conclusion: "যেই ছেলে আল্লাহর জন্য দুনিয়াত্যাগী হয় তার ধনী বাবার মেয়ের দিকে কেনো নজর যাবে?"
- Comments:
- :-P